নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আততায়ী।

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইভটিজিং এর আইনি প্রতিকার-প্রতিরোধ!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

বর্তমান কথিত শিক্ষিত, সভ্য সমাজের একটি খারাপ উপকরণ হল ইভটিজিং।শিক্ষিত,অশিক্ষিত, ছোট,বড় সকল মেয়ে এই অপ্রীতিকর বিষয়টি মুখ বুঝে সহ্য করে।তারা এটাকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবেই নিয়েছে।কোন প্রতিকার আশা করে না তারা।

পাশের বিল্ডিংএর ছেলের অত্যাচারে দিয়া বাইরে বের হওয়া বাদ দিয়েছে।ছেলেটির বাবা-মা বিচার শুনে বলেছে,"ব্যাপার না,এই বয়সে ছেলেরা এমন করেই।তারে বলে দিব নে।"তারপর কিছুই থামেনি,বরং বেড়েছে।পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।কারণ ছেলের বাবা ক্ষমতাশীল!

এটা হচ্ছে ইভটিজিংএর কমন ছবি।এমন লক্ষ ছবি আছে সারাদেশে।

অথচ একটু সচেতন, সাহসী হলেই এটা কঠিনভাবে দমন করা যায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইভটিজিং প্রতিরোধ কমিটি তৈরি করতে বলেছেন।এটা কতটা কার্যকরী,জানার উপায় নেই,কারণ এটা গঠন করা হয় না।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ এর ধারা ১০ কে ইভটিজিং প্রতিরোধের তলোয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায়,যদিও ধারাটি মৌখিক মানহানির(কটুক্তি) কোন প্রতিকার দিতে পারে না।

ধারাটি হলো...
[ ১০৷ যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন তিন বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷]

এই ধারা বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় কোন ব্যক্তি যদি তার কামনা পূরণ করার জন্য
১.কোন নারী বা শিশুর কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন
২.কোন নারী বা শিশুর কোন অঙ্গ কোন বস্তু দ্বারা স্পর্শ করেন
৩.শ্লীলতাহানি করেন(যেহেতু ধারা-৯ এ ধর্ষণ বর্ণনা করা হয়েছে,তাই এখানে এর অর্থ মৌখিক-অপমান হতে পারে)

তবে এ কাজ যৌন নিপীড়ন হবে আর শাস্তি
হবে সর্বনিম্ন ৩ বছর, সর্বোচ্চ ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, সাথে আর্থিক জরিমানা হতে পারে।

এবার পাঠক ভেবে দেখুন ইভটিজিংএ খারাপ লোকগুলো এই কাজই করে।

কিছু অতিসচেতন পাঠক যৌন কামনা শব্দটা দেখে নাক সিটকাতে পারেন।তবে আমি বলব ভাই আপনি এখনো (বোকার)
স্বর্গে বাস করছেন!সৃষ্টির শুরু থেকে পুরুষ জাতি এই কামনা মিটানোর জন্যই নারীর পিছনে সময় দেয়,তাই নয় কি?

এবার দেখি এর প্রতিকার, ভুক্তভোগী পুলিশে অভিযোগ করতে পারে।পুলিশ অভিযোগ গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।

এবার পাঠক মুখ টিপে হাসছেন!হ্যা,আমি জানি এত সোজা না। পুলিশ অভিযোগই নিতে চায় না।তবে ভুক্তভোগী
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল অথবা যে কোন ফৌজদারি আদালতে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। প্রতি জেলায় জেলা জজ বা দায়রা জজ এই ট্রাইবুনালের দায়িত্বে থাকেন।বিচারক অভিযোগ গ্রহন করে,পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিবেন।পুলিশ ১৫ দিনে তদন্ত শেষ করতে বাধ্য থাকবে।তারপরও ভয় থেকে যায়,যে পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিবে অর্থাৎ অপরাধ প্রমাণিত হয়নি।তখন ভুক্তভোগী নারাজি দিবে,আবার তদন্ত হবে।সবশেষে বিচারক নিজেই তদন্ত করবেন(জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি)।আর আমাদের দেশের বিচারকদের অবস্থা এত খারাপ হয়নি যে,তারা কর্তব্যে অবহেলা বা পক্ষপাতিত্ব করবেন।

আপনি পদক্ষেপ নিয়ে দেখুন,খারাপ লোক ভয় পাবে,তাদের শিক্ষা হবে।হ্যা,পথ সোজা নয়,,কখনো হবেও না।

নিজের স্বাধীনতা, সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা, আর অন্য নারীকে সাহসী করতে আপনি এতটুকু করতেই পারেন।

আপনি শুরু করুন,অন্যরা অনুসরণ করবে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: ধরুন আপনার বোন টিজিংয়ের শিকার হলেন। আপনি থানায় মামলা করে দিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে কিছুই পেলনা - আপনি তো আর আপনার বোনের টিজিঙয়ের দৃশ্য বসে বসে ভিডিও করেন নি। বা ইভটিজিং এমন কোন লোকালয়ে করা হয়না যে শ'খানেক লোক সাক্ষী দিতে ছুটে আসবে। ফলাফল যা হবার তাই হবে। কিছু না পেয়ে পুলিশ সব চাপা দিয়ে দেবে আর ঐ মহাপুরুষের মানহানি করায় আপনি খাবেন মামলা! কেমন মজা!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: জোয়ান,আপনি নি:সন্দেহে যুক্তিসংগত একটি ত্রুটি লিখেছেন!হ্যা, পুলিশ বেশিরভাগ সময় কিছুই খুজে পায় না,বা পক্ষপাতী হয়ে যায়।আর এর জন্য আপনি নারাজি দিন,বিচারকের ইনকোয়ারি হবে।বিচারক কিছু খুজে পাবে না, বা পক্ষপাতিত্ব করবেন এত দায়িত্বহীন তারা নন।আর আইন মৌখিক কটুক্তিকে প্রতিকার-প্রতিরোধ করে না।

মান-হানীর মামলা ইভটিজিংএর চেয়েও প্রমাণ করা কঠিন!

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সব থেকে ভাল হয় সব সব স্কুল কলেজ
গুলতে মেয়েদের কাড়াতে ক্লাস শুরুর মাধ্যমে
কাড়াতে শিক্ষা দেওয়া। সরকার যদি একটু
পদক্ষেপ নেয় তাহলে হয়ত অনেকটাই
পরির্বতন আশা সম্ভব। আর মেয়েরা একসাথে
চার পাঁচজন থাকলে রমিওদের মেরে তক্তা
বানাতে পারে। সেই সাথে পরিবারের বাবা
মা নিজের ছেলেকে ধর্মীয় অনুসাশনে
বড় করবে সযত্নে। প্রথম দায়ীত্ব্য বাবা মার।
তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
একটি মেয়ের বেলায় ঘর থেকেই যত বিধি
নিষেধ থাকে, ছেলের বেলায় কিছুই থাকেনা
সেখানেই ভুল। ঘর থেকেই বাবা মা কিছু
বিধি নিষেধ প্রয়োগ করলে শিশু ছেলেরা
গোড়া শক্ত হয়ে বড় হয়।
তাই আমাদের পরিবার সমাজ রাষ্ট্র সচেতন
হওয়া অবশ্যই জরুরী। ধন্যবাদ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ক্যারাটে শিক্ষাদান কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে,তবে গ্রামে এটা গ্রহণযোগ্য হবে কি?গ্রামে সহশিক্ষা প্রগ্রামগুলোতেও মেয়েরা থাকে না বললেই চলে।

মেয়েরা কোরাম করলে আর কিছু করার প্রয়োজন পরবে না,তারা নিজেরা প্রতিরোধ করতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.