নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আততায়ী।

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উময়া*

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

আমি হিংস্র। জ্যাক রিপার,রসুই খাঁ বা এরশাদ শিকদারের চেয়েও হয়তো হিংস্র।

রসুই খাঁ ১০১ জনকে ধর্ষণ করার পর উদ্দেশ্য নিয়ে ৪৯ নাম্বারে এসে আটকে গেছেন,কারণ মেয়েটাকে হত্যা করতে তার মায়া লেগেছিল।মেয়েটার ভীত চোখ তাকে আবিষ্ট করেছিল।

এই মেয়েটার,আমি নামও জানি না,ভীত চোখ আমাকে মোহিত করেছে।হ্যা,এখন আমি তার সাথে যৌন মিলন করব না।আমার ভালো লাগে না।

যৌন মিলন আমার উদ্দেশ্য নয়,আমার উদ্দেশ্য তাদের স্বামীদের আমার মত কষ্ট দেয়া।খুব কষ্ট!

আহারে আমার ফেলানীও মনে হয়,এমন ভীত আকুতি জানিয়েছিল ঐ খুনিদের কাছে।কেউ শোনেনি,তাকে খুন করে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে দেয়া হয়েছিল।

তিনটা সাদা থকথকে তরলে ভর্তি কনডম পাশেই পরে ছিল।দুভাগ করা পেটে একটা বাচ্চা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।মনে হয় ছেলে ছিল,ফেলানী বলতো খুব লাত্থি মারে।ছেলে না হলে জোরে লাথি মারে না!

রফিইক্কা,কালাইম্মা আমারে খবর দিল।আমি গিয়ে কেবল তার চোখ বন্ধ করে দিছি।আমার খারাপ লাগে নাই।আমি ঐ বস্তিতে আর যাই না কোনদিন।আল্লার মাল আল্লাহ নিয়া গেছে,আমি কি করতাম?

এই আমার সামনের মেয়েটাও একটু পর নাই হয়ে যাবে,হা হা হি হি!কেবল এই মেয়েটার জামাই আমার কষ্টটা বুঝতে পারতো। আর কেউ না,দুনিয়ার আর কেউ না!

এইতো সেদিন,এখনো চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই।
সেদিন ফেলানীরে আবুইল্লা আনছিল। আমি,আবুইল্লা,রফিইক্কা,কালাইম্মা জুয়া খেলে যে জিতবে সে আগে তারে খুবলে খাবে।আমিই জিতেছিলাম!

ফেলানীর মুখ দেখেই কেমন জানি লাগলো।বিবস্ত্র ফেলানী দুই হাত,আর হাটু দিয়ে তার লজ্জা ঢেকে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছিল।আজকাল যেখানে এত কাপড় চোপড় মেয়েদের লজ্জা ঢাকতে পারে না,সেখানে দু'হাত পারবে কি করে?

মেয়েটার শরীরে আর কোন লোকের হাত পরে নাই।

তার কান্নায় আমার মন গলে গেল।আমি ওদের টাকা দিয়ে পতিতাদের কাছে ভাগিয়ে দিয়েছিলাম।

আমি আর ফেলানী একসাথে থাকছিলাম।২ বছর পর এইতো সেদিন সে বলল,সে পোয়াতি।কি যে খুশি হয়েছি!সেদিনই মাওলানা ডেকে বিয়ে করলাম আমরা।

মেয়েটা কত ভালো ছিল,আমার জন্য রান্না করে বসে থাকতো। একসাথে খেতাম।রাতে সাজতো,খুব সেজে আমার সাথে শুতে আসতো। সকালে আমার গালে তার তার লাল লিপিস্টিক দেখে বস্তির সবাই হাসাহাসি করতো।

ফেলানী ব্র্যাক স্কুল থেকে পড়ালেখাও শিখেছিল।আমারেও রাতে ঐগুলা শিখাইতো।এই যে আমি শুদ্ধভাষায় ফরফর করে কথা বলছি,এটাও সে শিখিয়েছে!

আমার সারাদিন কাটতো অটোচালিয়ে,আর রাত কাটতো পতিতাদের সাথে যৌন সঙ্গম করে।সব টাকাই খরচ করতাম ঐ গর্তের পিছনে ঢেলে।
ফেলানী আমার সাথে থেকে আমায় পরিবর্তন করেছিল।আমার খাওয়া, পোশাক,ঘুম সব সব নিয়ন্ত্রণ করতো।

ফেলানী এখন নেই,এই দুনিয়াতেই নেই!তবুও সে আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

এখন আমার সারা দিন কাটে অটোচালিয়েই।
এখন আর আমার টাকা খরচ করার জায়গা নাই....

পতিতাগুলাকে এনে খুন করতাম,মরলে তো আর কেউ টাকা নিয়ে যেতে পারে না।তাই আমার টাকা আমার কাছেই থেকে যায়।

হঠাৎ মনে হল, এই অসহায় পতিতাদের খুন করে কি লাভ।পতিতার বেচে থাকা,মরে যাওয়ায় কার কি আসে যায়?তার মৃত্যু কাউকে কষ্ট দেয় না।অথচ আমি কত কষ্ট পেয়েছিলাম।

তাই আমি এখন পোয়াতি গৃহবধূ খুন করি,খুব নৃশংসভাবেই খুন করি।

হে পৃথিবী দেখ,আমার ফেলানীকে কত যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করে হয়েছিল!আর আমি কত কষ্ট পেয়েছিলাম!আহ আহ......

পাশের অজ্ঞান মেয়েটি কথা বলে উঠলো।
:দয়া করুন,আমাকে দয়া করুন!আমাকে মারবেন না!
:এই যে ম্যাডাম,আমার দয়া নাই!আমি পাষাণ, আমি সীমারের চেয়েও অধম!

:প্লিজ,আমায় যেতে দিন।আমার পেটে বাচ্চা আছে,বাচ্চা!
:আমার ফেলানীর পেটেও ছিল।কই,তারেতো ছাড়ে নাই!খুবলে খুবলে খেয়েছিল।

:আআ...আমার নামও ফেএএ...লানী!
:তাহলে তো আপনাকে মরতেই হবে।আমার ফেলানী নাই,দুনিয়ায় আর কোন ফেলানী বেচে থাকবে না!

পরেরদিন পত্রিকায় পোয়াতি মহিলার বীভৎসভাবে খুন হওয়া লাশের খবর ছাপা হল।টিভিতে তার পরিবারের কান্নাকাটি দেখে কি যে আনন্দ পেলাম!হা হা...........



*উময়া(Umoya),it's a Xhosa word,official language of South Africa and Zimbabwe. In Bangla "পিশাচ".

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

কানিজ রিনা বলেছেন: মেহেরাব হাসান খান। আবুল্যেগো জীবন
এমনতরা হয় মৃত্যু বিছানায় পোকায় খায়
আজারাইল আহেনা জানকবজ করতে।
সমাজের চালচিত্র বেশ লিখেছেন আপনি
অভিজ্ঞজন বলে মনে হলো। মেহেরাব হাসান।
ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: মিস কানিজ রিনা,গল্পটা এক সাইকো কিলারের ছিল।আজেবাজে গল্প, বানিয়ে বানিয়ে লিখা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

২| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০০

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হ্যা,ভয়াবহ! আসলে সহজভাবেই লিখতে চেয়েছি, কিভাবে যে জটিল হয়ে গেল?

৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভয়ানক

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০১

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ভয়ানকভাবেই বানিয়ে বানিয়ে লিখা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.