নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আততায়ী।

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখোশ

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

সেদিন আমি চেয়ারে বসে ছিলাম, আমার ছানা শাবাব দেয়ালের এক কোণে দাঁড়িয়ে একমনে ছড়া কাটছিল,"খোকন খোকন ডাক পারি...." বারান্দায় বেলি রজনীগন্ধা ফুটেছে।চাঁদের আলোয় পুরো বারান্দা আলোকিত।লিলুয়া বাতাসে শাবাবের লম্বা চুল উড়ছে। সায়মার উচ্ছ্বসিত হবার কথা, কিন্তু সে ঘরে থালাবাটি ভাঙছে।ঝনঝন শব্দ হচ্ছে, কতক্ষণ চলবে কে জানে? অন্য সময় হলে সে শাবাবকে বুকে নিয়ে আমার হাত ধরে চাঁদ দেখতো!

"শাবাব, খিদে পেয়েছে বাবা?"
"হ্যা, আমি মা'র কাছে যাবো না।মা মারবে, মা রেগে আছে।"

রাগ, চিৎকার চেচামেচি, ভাঙচুর এগুলো সায়মার আচরণে আগে ছিল না।ইদানীং প্রকটাকার ধারণ করেছে। আজ যা করেছে এটা প্রায় অপরাধের পর্যায়ে পরে,সে আমার বন্ধু পত্নীকে চড় মেরেছে!আমি অবাক আর আমার ছেলে আতঙ্কিত। আমরা তার সাথে কথা বলছি না, সে থালাবাটি ভাঙছে।

আমাদের ৫ম বিবাহ বার্ষিকী ছিল। আমার পরিচিত লোক অনেক, কিন্তু বেশি বন্ধু নেই।যে দু'একজন আছে, তাদের মধ্যে মঈন অন্যতম। সায়মা আজ তাদের দুপুরে খাবার দাওয়াত দিয়েছিল।কি জানি হল, হুট করে ভাবিকে চড় দিয়ে বসলো। এরপর মঈন আমার সাথে কথা বলবে, মনে হয় না!

সায়মা শাবাবকে অনেক আদর করতো। বলা যায়, ওর দুনিয়া জুড়ে ছিল শাবাব। একবার কি হল, মা বলল,"শাবাব ওর দাদার মত কালো হয়েছে।"
সায়মার সে কি কান্না, "আমার ছেলে নাকি কালো!আমার ছেলে সম্রাট পুসকিন!" আমি বললাম,"সম্রাট পুসকিন কিন্তু বিচ্ছিরি কালো ছিলেন।" ও এত রেগে গেল, আমার সাথে দু'দিন কথাই বললো না।ছেলের প্রতি ভালোবাসাটা আর নেই, সে ছেলেকে দেখতে পারে না।শাবাব কাছে গেলেই রাগে দাত কিড়মিড় করে বলে,"দূরে যা ফাজিল ছেলে।তোর গা থেকে কেচোর গন্ধ আসে।"

এই সায়মা আর ৪ মাস আগের সায়মার মধ্যে অনেক তফাৎ। ২০১৪ সালে সায়মা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আমি ওকে ইংরেজি পড়াই।হুট করে আন্টি একদিন বললেন," হাসান, তোমাকে আর পড়াতে হবে না।"
এর কয়েকদিন পরের ঘটনা, আমি, সোহেল, আকাশ, তুরাগ ক্যাম্পাসের সামনে আড্ডা দিচ্ছি।হঠাৎ কোথা থেকে সায়মা এসে আমার হাত ধরে বললো,"হাসান, আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। আমি আর বাড়ি ফিরে যাবো না।চল তুমি আমি অন্য কোথাও চলে যাই।" একটা ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ,বেটে যুবকের হাত ধরে একটা অত্যন্ত রূপবতী মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সবার চোখে যতটা না বিস্ময় তারচেয়ে বেশি ঈর্ষা!

আমি তাকে দুপুরের খাবার খাওয়ালাম, নিয়ে ছবির হাট, চারুকলা অনুষদে বিকাল পর্যন্ত ঘুরে বেড়ালাম। বিকেলে একটু স্বাভাবিক আচরণ করল।আমি বললাম,"সায়মা চল, তোমায় বাসায় দিয়ে আসি।"
সায়মা শান্তভাবে বলল,"না, তুমি আরেকবার এ কথা বললে আমি গাড়ির নিচে ঝাপ দিবো।" আমার দিকে একটা চিরকুট এগিয়ে দিল।তাতে লেখা, আমার মৃত্যর জন্য হাসান দায়ী!

জানিনা সেদিন ওর কথায় কি ছিল!আমি শক্তকরে ওর হাত ধরেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, ভূল করেছি।আবেগের বশবর্তী হয়ে যে মেয়েটা ঘর ছেড়েছিল, এখন অভাব অনটন আর সহ্য হচ্ছে না।তার মা বাবার কথা মনে পরে গেছে।তাই স্বামী-পুত্র, সংসার অসহ্য বোধ হচ্ছে!ও নাহয় ছোট ছিল, আমিতো ছোট ছিলাম না।আমার তাকে লাই দেয়া একদম উচিত হয়নি!

এমন হলে আগেও হতে পারতো, ৫ বছর লম্বা সময়।এখন হচ্ছে কেন? আমি কি কোন অপরাধ করেছি, মনে পরছে না। এক বছর হল, আমি চাকরি পেয়ে সায়মা, শাবাবকে নিয়ে ঢাকা চলে এলাম। একটা ছিমছাম ছোট ফ্ল্যাট ভাড়া নিলাম, সায়মা দ্রুত সব গুছিয়ে নিল।বারান্দায় লাগালো ওর প্রিয় বেলি আর রজনীগন্ধা। আমাদের সংসার সুখেই চলছিল।কেমন চট করে সে বদলে গেল!আমাদের সংসারে অর্থাভাব ছিল, কিন্তু ভালোবাসার অভাবতো ছিল না।

প্রথম বেতন পেয়ে আমরা কেনাকাটা করতে গেলাম।সায়মা সব জামাকাপড় শাবাবের জন্যই কিনল।নিজের জন্য পোশাক দেখবে তখনি পেছন থেকে কেই তাকে ডাকল,"সায়মাপু!সায়মাপু, আমি সামির!কেমন আছো তোমরা, জেঠু তোমার কথা খুব বলেন।যাবে,বাসায় ফিরে যাবে?" সামির সায়মার কাকাতো ভাই, ছেলেটা আগ্রহ করে কথা বলতে এল। সায়মা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল,"কে আপনি?এমন চেচাচ্ছেন কেন?আজবতো!"

এটা নিয়ে আমি আর ঘাটাইনি।কি দরকার, ও অনেক কষ্ট পাবে। আমরা গত শুক্রবারে ক্যাফে ইনট্রোতে খেতে গেলাম।যথারীতি সায়মা অনেক রেগে আছে, অকারণে শাবাবকে চড় মারল।শাবাবকে আমি খাইয়ে দিলাম। সে আমার গলা জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরেছে।সায়মা অযথাই ওয়েটারের সাথে ঝগড়া করলো, পাস্তা নাকি বিস্বাদ!গু গু লাগছে!আমার কাছে ঠিকই মনে হচ্ছিল, বেশ সুস্বাদু। সকল ভিজিটররা আমাদের দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি কিছু বললাম না, পাছে আরও রেগে যায়।

রাত ৩ঃ১০, শাবাব বারান্দার কোণেই ঘুমিয়ে পরেছে।সায়মা জিনিসপত্র ভাঙতে ভাঙতে ক্লান্ত। আমি পাশে গিয়ে বসলাম।হাত ধরে বললাম,"কি হয়েছে আমায় বল।" কিছু বললো না।ঘুমন্ত শাবাবের দিকে তাকিয়ে রইলো। ঘর থেকে ঘুমন্ত শাবাবের মুখ দেখা যাচ্ছে।চাঁদের আলো ছেলের মুখে পরেছে, একটা মায়াময় শান্ত মুখ। সায়মার চোখে জল টলমল করছে।
আমি আবার বললাম,"আমার এক বন্ধু সাইকিয়াট্রিস্ট। কাল চল তার সাথে একটু কথা বলে আসি।"
সায়মা চিৎকার করে উঠলো,"তোর ধারণা আমি পাগল?আমি এখন পাগল না, আগে ছিলাম।যেদিন সব ছেড়ে তোর কাছে চলে এলাম সেদিন পাগলামির চূড়ান্ত করেছি।আর না, তুই থাক তোর সংসার নিয়ে, আমি কাল ফিরে যাবো। তোর ভং ধরা আচরণ আর গুছিয়ে কথা বলা শুনে চলে এসেছি, ভুল করেছি।আর তুই আমাকে ফিরিয়ে না দিয়ে, ভুলিয়ে ভালিয়ে বিয়ে করে ফেললি।জানি, আমার বাবার সম্পত্তির লোভে পরেছিস!"
এরপর আর কথা বলা যায় না।আমি চলে এলাম।

সকালে আম্মা এলেন।সায়মা এমন ভাব করলো যে আম্মাকে দেখতে পায়নি।আম্মা কথা বলার চেষ্টা করলো, সে পাত্তা দিল না।শাবাবের দিকে ঠান্ডা ভাত আর ডিমভাজা ছুড়ি দিয়ে বললো,"এই নে, খেয়ে আমায় উদ্ধার কর।নয়তো তোর দাদি বলবে, আমি নিষ্ঠুর।" আমার ছেলেটা কুড়িয়ে ভাত খাচ্ছে, ঐদিকে সায়মার দৃষ্টি নেই।সে মাকে বললো,"শুনুন, আপনার ভং ধরা ছেলের সাথে আমি আর থাকছি না।কাল চলে যাবো। রইল আপনার ছেলে আর নাতি।আর হ্যা, আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না।" আম্মা হতভম্ব! এই সায়মাকে তিনি চিনতে পারছেন না।আমিই পারছি না, মা কিভাবে পারবেন?

সকালে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে চলে এলাম।আম্মা, শাবাব আর সায়মা বাসায় রইলো। ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না।কি এমন হল যে, সে এত বদলে গেল? আমি কি করেছি? আমার বাচ্চা ছেলেটা কি এমন দোষ করতে পারে!

বিকালে মঈন কল দিল, সায়মা তাদের বাসায় গিয়েছিল।ভাবিকে সরি বলেছে।কান্নাকাটির এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পরেছে।ওরা সায়মাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে গেছে।আমি দ্রুত চলে এলাম।

সায়মা ১৪৩ রুমে।রুমের বাইরে মঈন আর আম্মা পায়চারি করছে।দূরে দাঁড়িয়ে আছেন,সায়মার বাবা-মা।শাবাব একমনে লাফিয়ে লাফিয়ে ছড়া কাটছে,
"মা মা করিস না, মায়ে করবে কি?
আমার একটা মা ছিল, অতি সর্বনাশী।......"

মধ্যবয়সী ডাক্তার বললেন,"রোগী বেশিক্ষণ বাঁচবে না।দুইটা পচে যাওয়া কিডনি নিয়ে কিভাবে এতদিন টিকে আছে এটাই আশ্চর্যের বিষয়।" এই ডাক্তারতো অত্যন্ত দয়াহীন লোক, নয়তো এমন কথা এত শান্তভাবে বলে কিভাবে? আমারতো বুক ফেটে যাচ্ছে।

আমি রুমে যেতে চাইলাম।ডাক্তার নার্স কেউ যেতে দিচ্ছে না।সায়মা কারো সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না, একা থাকতে চায়।
"শেষ সময়ে তাকে শান্তিতে থাকতে দিন!"

রাত ৯ঃ১০ বাজে, আমরা হাসপাতালের লবিতেই দাঁড়িয়ে আছি।সায়মার বাবা এগিয়ে এলেন।আমার হাত ধরে বললেন,"বাবা, আমার মেয়েটাকে দেখতে চাই।ওর হাত ধরে বলতে চাই,মারে তোর প্রতি আমার কোন রাগ নেই।তোদের অনেক আগেই মেনে নিয়েছি।কোনভাবেই খুজে বের করতে পারছিলাম না।" তিনি কাঁদতে শুরু করলেন।
এই যন্ত্রণা আর নেয়া যাচ্ছে না।আমি জোর করেই রুমে ঢুকে গেলাম।

সায়মা আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।আমি শক্ত করে হাত ধরলাম।ও বললো,"এত দেরি করলে কেন?মনে হচ্ছে কতদিন তোমায় দেখি না!দেখ, আমার ছোট বাচ্চাটা থাকবে, আমার বোকা স্বামী থাকবে কিন্তু এদের সাথে আমি থাকবো না।আমার আয়ু শেষ!আমার বাচ্চাটা এখানে সেখানে ধাক্কা খাবে, তোমায় একা চাঁদ দেখতে হবে,একা বৃষ্টিতে ভিজতে হবে; তুমি কষ্ট পাবে!তাই তোমাদের ট্রেনিং দিয়েছি, সব ছবি পুড়িয়ে দিয়েছি; আমাকে ভোলা সহজ হবে।তুমি কাঁদছ কেন?আজ আমার দুঃখের দিন, আমিতো কাঁদছি না!শাবাবকে দেখতে ইচ্ছে করে, ওকে ডাকো।দেখো, ও আসবে না।১০০% সফল ট্রেনিং!" সায়মা একটু হাসলো।

আমি শাবাবকে মা ডাকছে বলতেই ছুটে এল।সায়মার গালে হাত রেখে বললো,"মা, আমি এসেছি। আমি দূরে যাইনি।মা, কথা বল।আমার ছড়া শিখা শেষ।আম্মা, নানা ভাই এসেছে।"
"বাবা, মা কথা বলছে না কেন?"
শাবাব ওর গালে একটা চুমু দিয়ে আবার ডাকলো,"মা,মা, ওঠো।চল বাড়ি যাই।নানা ভাই এসেছে। নানা ভাই বাইরে কাঁদছে।"

আশ্চর্য! সায়মা নড়ছে না।আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে,"সায়মা দেখ, তোমার ট্রেনিং কাজে আসেনি।"

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অতি নাটকীয়তা

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০১

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ।
জীবন অতি নাটকীয়!

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি লেখা পরে দ্বিধায় পড়ে যাই। একবার মনে হয় বাস্তব। আরেকবার মনে হয় বানোয়াট।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৪

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কিছু মানুষ মিথ্যা বলা, হুদাই কল্পনা করার অভূতপূর্ব ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।আমি মনে হয় তাই, প্লট মাথায় এলে সব ঘটনা সামনে ঘটতে থাকে, আমি দেখে দেখে লিখে ফেলি।
২/১ টা গল্প বাদ দিলে সবই বানোয়াট ।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটু নাটকীয় হলেও গল্প হিসেবে বেশ ভালো লেগেছে। ট্রেনিংয়ের পর্বটি বেশ অভিনবত্ব।
পোস্টে দ্বিতীয় লাইক।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৮

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: একজনের কাছে ভালো লাগলেও নিজেকে সার্থক মনে হয়। ভালো থাকবেন।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভিন্নরকমের গল্প!

দারুন নিরিক্ষা! হুম কিছু কিছু ট্রেনিং জীবনে কাজে না লাগলেই বরং সূখ মেলে!
তবে একটা পাঞ্চ লাইন মিস করছিলাম। বাংচুরের আগে সে কোন ডাক্তারের কাছ থেকে এসেছে! এমন কিছু!
যাতে শেষের ক্লাইমেক্সটা দারুন মিলে যেত।
অর্থাৎ ও আগেই জেনে গিয়েছিল বাস্তবতা - তাই ট্রেনিং দিচ্ছিল নিজের কষ্টকে চেপে!

এটা আমার মনে হওয়া কেবল। লেখক তার লেখা সর্বে সর্বা :)

ভাল লাগার সাথে ++++++

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৪

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: সব আমিই লিখে দিব? কিছু আপনারাও কল্পনা করুন!
শেষে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, সায়মা আগে থেকেই অসুখটা জানতো।আমি ওভাবেই গল্পটা বলতে চেয়েছি।
আপনাকে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: কিডনি ডিজিজে এভাবে মারা গেল এটা কিছুটা অতি নাটুকে হয়ে গেছে। অন্য রোগের কথা বলতে পারতেন।

তবে গল্পের শুরুর দিকটা বেশ লেগেছে। ভালো লেখেন আপনি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হুট করে মারা যায়, এমম কঠিন রোগের নাম আমি জানি না।তাই এমন সস্তা রোগ লিখেছি।

উৎসাহ পেলাম, ধন্যবাদ!

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৪

শায়মা বলেছেন: কষ্টের গল্প। অনেক নাটক সিনেমাতেই এমন হয় রোগী জানতে পেরে অযথা খারাপ আচরণ করে যেন সবাই ভুল বুঝে কিন্তু শেষ মেষ জানার পরে আরও কষ্ট বাড়ে তার থেকে যতদন বেঁচে থাকা যায় খাব ভালোভাবে মায়া বাড়িয়ে বেঁচে থাকাটাই ভাল।

কেউ চলে গেলে এমনিতেই খুব বেশি দিন মানুষ মনে রাখেনা কাজেই তাকে ভেবে অকারনে ভালোবাসার মানুষগুলো কষ্ট পাবে এই ভাবনা ভুল আর আরও ভুল বেঁচে তাহাকর সময়টুকুকেও নষ্ট করা! :(

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: তবে খুব সস্তা ধরনের লেখা হয়ে গেছে, তাই না?
অনেকদিন ধরেই এই প্লটটা মাথায় ঘুরছিল, লিখে দিয়েছি।এত কমন আর সস্তা হবে বুঝতে পারিনি।

আপনি নিশ্চয়ই অনেক অনীহা আর ধৈর্য্য নিয়ে পড়েছেন! আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না।আশাকরি আমার গল্প আরও পড়বেন। ভুলভাল লিখতে লিখতে একদিন লেখা শিখে যাবো।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৫

শায়মা বলেছেন: উফ যতদন আর খাব এই ভুলভাল লেখাগুলো তো আমার কমেন্টটাকেই নষ্ট করে দিলো !:(

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আপনি মন খারাপ করবেন না।আমি বুঝতে পেরেছি! ভালো থাকুন।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

শায়মা বলেছেন: আমি অনিহা নিয়ে পড়া কেনো জীবনের কোনো কাজই করি না।

পড়তে গিয়ে শেষে আমার চোখে পানিই চলে এসেছিলো!

আমি এমন নাটক সিনেমা বা গল্প যতবার পড়েছি শেষে এমনটা হবে জানবার পরেও একই ঘটনাই ঘটিয়েছি !

মানে কেঁদে ফেলেছি! :(


অবশ্যই মন খারাপ করা গল্প আর জানবার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়েছি।

গল্পের নায়িকার নাম সায়মা। শুরুটা করেছিলাম তার পাগলাটে স্বভাব দেখে কিন্তু সায়মা এভাবে জীবনের কাছে হেরে যাবে এটা কি মানা যায় বলো ?? :(

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫৯

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আপনি আমার গল্পে কমেন্ট করেছেন, এতেই আমার বেশ আনন্দ হচ্ছে!

আপু, তুমিও তবে আমার মত।আমিও কাঁদি।
আমি ঘটনাগুলো কল্পনা করি, আমার চোখের সামনে ঘটে আর আমি লিখতে থাকি। তাদের কষ্টে কান্না পায়।
এজন্য হেটেহেটে লিখি, কেউ খেয়াল করে না। নয়তো লিখি কোন অত্যন্ত নির্জন স্থানে। বাসায় অনেকদিন লিখতে পারছি না, যদিও লিখি দরজা বন্ধ থাকে।

আর সায়মা হেরে যায়নি, একজন লোক তাকে অসম্ভব ভালোবাসে।একটা ছোট ছেলে এত অবহেলা করার পরও মা'কে এত ভালোবাসে।একজন বাবা তাকে ভালোবাসে।এগুলা অবশ্যই হেরে যাওয়া নয়।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: পুরোপুরি বানোয়াটও নয়। কিছুটা সত্য কি মিশে নেই?

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছেন।
আমরা যা দেখি,শুনি, সমাজে যা ঘটে; এর উপর ভিত্তি করেই লিখি। কিছুটা সত্য মিশ্রিত থাকে।
শুভ সকাল, আপনার সারাদিন দারুণ কাটুক।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সায়মার এমন বিদায় ও সংলাপ চোখে জল আনার মত।

এটা নিয়ে নাটক/সিনেমা হলে বেশ সাড়া পড়তো।

গল্পে+++++

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কখনো সামর্থ্য হলে আপনার কথা রাখবো। আমি ইল্যুশন-ডিল্যুশনে ভোগা মানুষ অত সামর্থ্য আমার নেই।

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: শেষের অংশটুকুতে চোখে পানি চলে এলোরে ভাই।

চমৎকার হয়েছে।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনাদের শুভ কামনা টনিকের মত কাজ করছে। ১ বছর আগের অসমাপ্ত গল্পও চ্যালচ্যালিয়ে লিখে শেষ করছি।
কয়েক দিন আগেও অসমাপ্ত লেখা ডিলেট করে দিয়েছি।এখন আফসোস করছি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.