নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আততায়ী।

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেনা-পাওনা

৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

আরিফ পুরোপুরি নেংটা। হাত দিয়ে লজ্জা ঢাকবে সে সুযোগ নেই, ওর হাত গাছের সাথে বাধা।একজন লোক খুব উৎসাহ নিয়ে ওর ছোট নুনুতে চিকন একটা পাটকাঠি দিয়ে বাড়ি দিচ্ছে।ও নিঃশব্দে কাঁদছে, চোখের জল গাল বেয়ে বুকের উপর গড়িয়ে দু'হাটুর চিপা দিয়ে পা বেয়ে পরছে।ওর অপরাধ গুরুতর, ও আমাদের বাগান থেকে কাঁঠাল, আর সুপারি চুরি করেছে।আব্বা ওকে হাতেনাতে ধরেছে। তাই শাস্তি চলছে।দাদী,আম্মা,মেঝফুপু দূরে দুঃখী দুঃখী চোখে দাঁড়িয়ে আছে।আব্বা অত্যন্ত রাগী আর দয়াহীনও, তাই কেউ কিছু বলছে না।ওকে বাচাতে পারে কেবল দাদা ভাই, কিন্তু দাদা ভাই বাজারে গেছে। কখন ফিরবে কেউ বলতে পারে না, দাদা ভাই মাঝেমধ্যে সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসে, আবার মাঝেমধ্যে খুব রাতে ফেরে। আমি ঘুমিয়ে যাই, ফিরেই আমাকে ডাকে।

আরিফ খুব ভালো ছেলে, আমরা দুধেরচর প্রাইমারি স্কুলে একই ক্লাসে পড়ি।ওতো সেদিন আমাকে গোলাম হুজুরের মার থেকে বাচিয়ে দিল।সেদিন সবার আজান শিখে আসার কথা, আমার মনে নেই।সবসময় আজান শুনি, এমনেই আজান দিতে পারার কথা।কিন্তু আমার জোরে কথাই বলতে ভালো লাগে না, আর আজান দেয়া।দেখা যাবে আমার ফ্যাশফ্যাশে গলা শুনে রিপা হাসছে।মেয়েটা শুধু শুধুই হাসে।আজান দিতে না পারলেও হুজুর বেত দিয়ে অনেক মারবেন। তাই আর মাদ্রাসায় যাইনি, পেট ব্যথার কথা বলে দাদার কাছে শুয়ে থাকলাম।নয়তো আব্বা কান ধরে মাদ্রাসায় নিয়ে যেত। আরিফ আমাকে পড়া জানিয়ে মার থেকে বাচিয়ে দিয়েছিল, আর আজকে ওকে আমি বাচাতে পারছি না।সবাই ওকে মারছে।

ও কিছুতেই চুরি করতে পারে না।ইংরেজি পরিক্ষার ও কিছুই লিখতে পারছে না।আমি বললাম,"আরিফ আমার খাতা দেখে লিখে দে।বসে থাকিস না।"
ও কিছুতেই লিখলো না।এমন একটা সৎ ছেলে চুরি করে কিভাবে?
আমার আব্বাই অমন, বিনাকারণে শাস্তি দেয়।
আমার পছন্দের কুকুর লালুর তিনটা বাচ্চা হল, আব্বা সবগুলাকে খালের ওপারে ফেলে দিয়ে এলেন।বাচ্চাগুলো কিভাবে জানি ফিরে এল।পরদিন সকালে দেখা গেল আব্বা বাচ্চাগুলোকে মারছে, বর্শা দিয়ে ওগুলোকে পেট ফুটো করে দিচ্ছে।

আমি দাদাকে আনতে গেলাম।দাদা মিটিংয়ে, একদল গরীব লোকদের সাথে মিটিং,এমন লোকজন দিয়ে দাদা ভাই ধান কাটায়।এদের সাথে মিটিং করার কি আছে? দাদা চেয়ারম্যান হবার পর দাদার ঘরে এমনেই ইচ্ছেমতো যাওয়া যায় না।আবার যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হল, দাদার ঘরে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে গেল।রাতে একদল লোক আসতো খালি গা, পরনে কাছামারা লুঙ্গি। তারা ভাত খেতে আসতো, লোকগুলো খুব দ্রুত ভাত খেয়েই পালিয়ে যেত, যেন কোন মারাত্মক অপরাধ করেছে!কোন শব্দ হলেই আতঙ্কিত হয়ে যেত।একদিন রাতে আমি তাদের দেখতে দরজা ধাক্কা দিতেই সবাই একসাথে আমার দিকে বন্দুক তাক করলো।আমিতো ভয়েই প্যান্ট ভিজিয়ে দিলাম।

দিনেও দাদা ভাইকে পাওয়া অসম্ভব। একদল পাকিস্তানি মিলিটারি আমাদের বাড়ি আসে।প্রতিদিন রাতে আসে ঐ গরীব লোকগুলো আর দিনে আসে পাকিস্তানি মিলিটারী।মিলিটারী এলে মা,মেঝফুপি,বড় আপা লুকিয়ে পরতো,আর গরীব লোকগুলো এলে সবাই ব্যস্ত হয়ে পরতো।যেন ঐ লোকগুলো ছাড়া দুনিয়ায় আর কেউ নেই।
দাদা ভাইয়ের কাছে গেলে তিনি এমনভাবে তাকান যেন আমাকে চিনতে পারছেন না।

যেদিন গভীর রাতে দাদা ভাই গরিবলোকগুলোর সাথে মিটিং করছিল। আমি ঘুমের ভান করে তার কোলে শুয়ে ছিলাম।দাদা ভাই বললেন,"পাঠাকাটা স্কুলে মোট ১২ টা ঘর।পূব দিক থেকে প্রথম ঘরটায় গোলাবারুদ, আর দ্বিতীয় ঘরে আছে বন্দুক। কতগুলো ঠিক বলা যাচ্ছে। আর পাকি কমান্ডার থাকেন পুব দিক থেকে ৬ নাম্বার ঘরে।ঐ ঘরের সামনে একটা ট্যাংকার আর স্কুলে গেটের দুপাশে দুইটা ট্যাংকার আছে।কতজন সৈন্য আছে ঠিক গুনতে পারিনি, তবে ৩০ এর বেশি।"
আমি ঠিক করে বললাম,"৩৭ জন, দাদা ভাই।"
আমিও দাদা ভাইয়ের সাথে পাকিস্তানি ক্যাম্পে গিয়েছি।রাজ্জাক কমান্ডার আমাকে অনেক আদর করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম,"আচ্ছা পাকিস্তানি মিলিটারি কমান্ডার আর আপনি রাজ্জাক কমান্ডার, এর মাঝে পার্থক্য কি?আপনি লুকিয়ে আসেন, কিন্তু তিনি দলবল নিয়ে দিনে আসে।আপনি দিনে আসেন না কেন?" উনি শুধু হাসলেন।
পরদিন সকালে আশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেল।পাঠাকাটা হাই স্কুলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল,পরেছিল পাকিস্তানি মিলিটারিদের লাশ।যেই মিলিটারি অফিসার আমাদের খোরমা,কাজু বাদাম দিত তার কপালে একটা ফুটো আর সারা গায়ে প্রায় ২০ টা ফুটো।খোরমা,কাজু বাদাম এমনেই দিত না, আমাদের চিৎকার করে বলতে হত,"পাকিস্তান জিন্দাবাদ! পাকিস্তান জিতেগা!"
একটা ঘর থেকে বের হল বড় আপুর বান্ধবী শান্তাপু, সারা গা খালি।আমাদের কাউকে চিনতে পারলো না।

সকালে দাদার ধমকানি শুনে ঘুম ভেঙে গেল।দাদা ভাই আব্বাকে খুব বকলেন,"একটা ছোট ছেলে কাঁঠাল, আর দুইটা সুপারি কি চুরি করেছে দেখে তাকে লেংটা করে গাছের সাথে বেধে রাখতে হবে?একটা ছেলেকে এভাবে লজ্জা দিতে হবে!এমনভাবে লজ্জা দিলে সে আরও বড় অপরাধ করবে।তুই যে সারাজীবন আমার পকেট থেকে টাকা চুরি করে জুয়া খেলিস, তোকে কি করা উচিত?যাহ চোখের সামনে থেকে, দূর হ।"

দাদা ভাই চা খাচ্ছেন, এখনো কাচারি ঘরে ভীড় জমেনি।চাইলেই তার সাথে গল্প করা যায়।কিন্তু গেলেই দাদা ভাই পড়া ধরবেন।
সেদিন আমায় শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে রচনা লিখতে বললেন। আমিতো মুখস্থ করিনি, তাই বানিয়ে বানিয়ে আমি লিখেছি 'শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত ভারত প্রিয় লোক, উনি রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতাকে জাতীয় সংগীত বানিয়েছেন, আর ঐদেশের একজনকে দেশে এনে জাতীয় কবি ঘোষণা করেছেন। তবে উনি ভারতের সাহায্যেই দেশ স্বাধীন করেছেন।উনি চাইলে জসীম উদ্দিন বা জীবনানন্দ দাশকে জাতীয় কবি ঘোষণা করতে পারতেন।" দাদা ভাই খুব হাসলেন। ভাগ্যিস দাদা ভাই গোলাম হুজুরের মত না, তবে পাছার চামড়া থাকতো না।আমি "কবর" কবিতা পড়েছি, যতবার পড়ি কান্না আসে।বড় আপা "বনলতা সেন" পড়ে শোনায়।নিশ্চয়ই জসীম উদ্দিন বা জীবনানন্দ দাশকে বললে একটা দারুণ জাতীয় সংগীত লিখে দিত।

"কিরে রাঈদ, উঁকি মারছিস কেন?আয় ভিতরে আয়।চা খেয়ে যা।"
"আচ্ছা, দাদা ভাই আরিফ কি সত্যিই বড় অপরাধী হয়ে ফিরে আসবে?এসে কি করবে, আব্বাকে মেরে ফেলবে?"

"হা হা, না তা অবশ্য করবে না।তবে মানুষকে এমন লজ্জা দিতে নেই।লজ্জা খুব দামী জিনিস, একবার ভেঙে গেলে, মানুষ ভয়ংকর কাজ করে।যেমন ধর, ওকে নেংটো না করে, একটা চড় দিয়ে বা বুঝিয়েও ঠিক করা যেত।ওর সাথে যা করা হয়েছে, তা সীমা ছাড়িয়ে গেছে।এমন শাস্তি মানুষকে বড় অপরাধী করে তোলে।"
"আমিতো ওকে রাতে আমার একটা প্যান্ট আর গেঞ্জি দিয়ে এসেছি।"

"তাহলেতো তোকে আর গজপন্ডিত ডাকা যাবে না।তুই আজ থেকে মাদার তেরেসার নাতি!হা হা.…...যা গিয়ে পড়তে বোস।ফিরে পড়া ধরবো। একদম বাড়ির বাইরে বের হবি না।"
"তুমি কোথায় যাও?আমিও যাবো।"

"আমি পলাশকান্দী যাচ্ছি,ওখানে জায়গায় জায়গায় মাটি খুড়ে লাশ তোলা হবে।তুই গিয়ে কি করবি?তুই বাড়িতে থাক।অনেক মানুষ খেতে আসবে, তুই ওদের ভাত-ডাল, পানি এগিয়ে দিবি।"
"আচ্ছা,তুমি তাড়াতাড়ি ফিরবে।"

আমার দাদা ভাই অনেক ভালো। দেশে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল, কিন্ত সবার ঘরে খাবার নেই।দুপুরে সবাই আমাদের বাড়ি ভাত খেতে আসে।বাড়ির ঊঠোনে মহিলা আর বাড়ির পিছনে ছেলের দল খেতে বসে।সবাই আগ্রহ করে ভাত-ডাল খায়।আমিও ওদের সাথে খেতে বসি, বিচ্ছিরি খাবার!ডালে লবণ ঠিক হয়নি, চাল সিদ্ধ হয়নি।কিন্তু সবাই গপগপিয়ে গিলছে।
তবু্ও দাদা ভাইকে কেউ দেখতে পারে না, আরিফও না।দাদা ভাইয়ের পিছনে ছড়া কাটে__
"হুরমুজ কানা গম চোর
এখন হউছে রাজাকার
একদিন হুরমুজ পরবে ধরা
মুক্তির গুলিতে যাবে মারা"
দাদা ভাই মোটেই কানা নয়, আমি পরিক্ষা করেছি তিনি চশমা ছাড়াও দেখতে পান।আর গম চুরির প্রশ্নই আসে না।আমাদের বাড়িতে কখনো রুটি বানানো হয়নি।এইযে ঘরে ঘরে ভাতের অভাব আমাদের বাড়িতে ঠিকই ভাত রান্না হয়, এত লোকজন খেয়ে যায়।তারাও আনন্দ নিয়ে ছড়াটা কাটে, আমার কান্না আসে।নিশ্চয়ই কথাগুলো খারাপ, নয়তো তারা এত আগ্রহ করে বলবে কেন?

আমি দাদা ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি,"মুক্তি কি?রাজাকার কি?তোমাকে কেন মুক্তির গুলিতে মরতে হবে?" দাদা ভাই হেসেছেন, বলেছেন,তিনি মোটেই রাজাকার নন, তাকে মুক্তির গুলিতে মরতে হবে না।রাজ্জাক কমান্ডার তাকে বাচাবেন।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাচ্ছে।দাদা ভাই এখনো বাড়ি ফেরেনি। দাদা ভাই দুপুরে বাড়িতে খেতে আসেন, আজ আসেনি। দিদি বড় কাতলা মাছের মাথাটা রান্না করেছেন।আমি খেতে বসিনি, দাদা ভাই আসলে একসাথে মাছের মাথাটা খাবো।দাদা ভাইয়ের ফেরার নাম নেই।

মসজিদে আছরের আযান দিচ্ছে।একদল লোক রামদা, বড় বড় লাঠি নিয়ে আমাদের বাড়িতে ঠুকে পরলো।আব্বা ঊঠোনে ময়না পাখির জন্য বাশের খাচা বানাচ্ছিল।ময়না পাখিটাকে আমি আর দাদা কথা শিখানোর চেষ্টা করছি "জয় বাংলা", এটা কিছুতেই কথা বলছে না।
ওরা এসেই আব্বার মাথায় দিল এক কোপ, আব্বার মাথা থেকে গলগলিয়ে রক্ত পরছে।আম্মা,বড় আপা, আর মেঝফুপুকে একটা ঘরে নিয়ে আটকে ফেলল।ওই ঘর থেকে তাদের চিৎকার আসছে।দিদি ভাই দরজায় কিল ঘুসি মারছেন,ওরা দরজা খুলছে না।
লোকজনের দল আমাদের ট্র‍্যাংক, সিন্দুক,আলমারি সব ভেঙে ফেলছে, সব উল্টেপাল্টে কি খুজছে, কে জানে?
আমি পলাশকান্দীর দিকে দৌড় শুরু করলাম।দাদা ভাই-ই পারবেন এদের থামাতে।

পলাশকান্দী বাজারে অনেক লোকের ভীড়। সবাই একতালে চিৎকার করে বলছে,"রাজাকারের রক্ত চাই!রাজাকারের রক্ত চাই!রাজাকারের চামড়া তুলে নেব আমরা!"
আমি ভীড় ঠেলে এগিয়ে গেলাম।

রাজ্জাক কমান্ডার ও বাকি গরীবলোক যারা আমাদের বাড়িতে রাতে লুকিয়ে আসতো, তাদের সবার লাশ লাইন করে সাজানো।
দাদা ভাইকে একটা খুটির সাথে বেধে রাখা হয়েছে। উনার গায়ে কোন কাপড় নেই, তবে গলায় একটা জুতোর মালা। দাদা ভাই সেদিনকার আরিফের মত আতঙ্কিত চোখে মানুষের দিকে তাকাচ্ছেন।উনি পুরোপুরি নেংটা, মাথা ছিলে দেয়া হয়েছে। দাদা ভাই আমাকে চিনতে পারলেন না।
দাদা ভাইকেও কঠিন শাস্তি দেয়া হচ্ছে, তিনিও নিশ্চয়ই বড় অপরাধী হয়ে যাবেন, রাজাকারের চেয়েও বড় অপরাধী।

আরিফ দৌড়ে এল।ও আমার দেয়া হাফপ্যান্ট খুলে দাদা ভাইকে পরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, প্যান্ট কিছুতেই হাটুর উপরে উঠছে না।ও গেঞ্জিটা খুলে ফেলল।দাদা ভাইকে গেঞ্জিটাই পরিয়ে দিল, এখন দাদা ভাইয়ের লজ্জাটা আর দেখা যাচ্ছে না।তবে গেঞ্জিতে জ্বলজ্বল করছে উল্টো লিখা___
"জয় বাংলা, বাংলার জয়!"

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: জয় বাংলা

৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: জয়..... বাংলা!

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: একটা ছোট বাচ্চাকে গাছের সাথে বেধে এরকম শাস্তি!!!!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ছোটবেলায় আরও ভয়াবহ শাস্তি দেখেছি, শিকার হয়েছি। তবে এই শাস্তিটাই এখনো চোখে ভাসে।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ও মাই গড !!!!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আব্বার শাস্তিগুলা এমনই ছিল।আরও একটা বিশেষভাবে বলা যায়, আমি সাতার জানি না।নদীতে নেমে ছিলাম, আব্বা মারাত্মক রেগে গেলেন। আমাকে ধরে পুকুরে ঢিল দিলেন, আমি যেদিকে পাড়ে ঊঠতে যাই তিনি সামনে চলে আসেন। একটু পর খেয়াল করলাম, আমি ভেসে আছি।মানে সাতার শিখে ফেলেছি।এই গল্পে আরিফের প্রথম কাহিনী ছাড়া সবই মিথ্যে!

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০১

নীল আকাশ বলেছেন: দেনা পাওনা দাদাভাইয়ের সাথে কেন হলো? হবার তো কথা শুধু আব্বার সাথে! উনি তো ভাল মানুষ!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: দাদা ভাইতো সক্রিয় ছিলেন, আব্বা ছিলেন নিস্ক্রয়। তাই দেনা পাওনার হিসেবে তিনি আসেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.