নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীক্ষা -ছাত্রজীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যার নাম X( :-*

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের নাম হয়তো পরীক্ষাই । পরীক্ষা দিয়ে আসলে কি যাচাই হয় ? মেধা, পরিশ্রম, কষ্ট নাকি সাধনা ? তাই তো কবি বলে গেছেন, "ছাত্রজীবন হতো বড়ই মধুর, যদি না থাকতো পরীক্ষা" । কিন্তু আদতে পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষাজীবনের কথা কল্পনাই করা যায় না । পরীক্ষার সাধারণ অর্থ মূল্যায়ন । একজন ছাত্র কিংবা ছাত্রী একটি নির্দিষ্ট সময়ে (ছয় মাসে কিংবা এক বছরে) ক্লাসে কিংবা তার জীবনে কি শিখলো বা তার শেখার আগ্রহ কতটুকু, সেটাই মূল্যায়ন হয় পরীক্ষার দ্বারা । কিন্তু আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এই পরীক্ষা পদ্ধতি আদৌ কোন সুফল বয়ে আনে না । এই কথাটি বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়ে বুঝানো যাক তাইলে ।

প্রথম কথা, পরীক্ষা আসলে কার মূল্যায়ন ? সেই ছাত্র বা ছাত্রীর, যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলো ? জি না, আপনি ভুল জানেন বা আপনার ধারণা ভুল । পরীক্ষা আসলে একজন শিক্ষকের বা একটি পাঠ্যপুস্তকের মূল্যায়ন । কারণ একজন ছাত্র-ছাত্রী তার এই শিক্ষা সেই শিক্ষক বা সেই পাঠ্যপুস্তক থেকেই অর্জন করে । তাহলে সে কি শিখলো তা মূল্যায়ন না করে, সে যা শিখেছে তা আদতে কার্যকরী কিনা সেটাই পরীক্ষা পদ্ধতি হওয়া উচিৎ ।

দ্বিতীয় কথা, একটি নির্দিষ্ট আওতার মধ্যে বা একটি নির্দিষ্ট সিলেবাসের মধ্যে কিছু বিষয় ঝাড়া মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় সেটাই লিখে দিয়ে আসার নাম কি পরীক্ষা ? আমার কাছে এই ব্যাপারটি সবসময় হাস্যকর মনে হয় । অনেকটাই অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে (পড়ুন "পড়ে") তা বমি করে (পড়ুন ঝাড়া মুখস্ত লিখে) আসার নাম যদি হয় পরীক্ষা, তাহলে সেটি হাস্যকর হবে না তো কি ? পরীক্ষা যদি প্রকৃতপক্ষে মূল্যায়ন হয়, তবে সেটি কোন সিলেবাসের গণ্ডীর আওতায় আনা আবশ্যক নয় । কারণ আমরা সারা জীবন ধরে সিলেবাস বেধেই পড়াশুনা করলেই সব শিখে যাই না ।

তৃতীয় কথা, এই সরকার তাদের শাসনামলে প্রথমেই একটি সাহসী পদক্ষেপ হাতে নেয় । সেটি হলো সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করা । এটি অত্যন্ত সাহসী এবং প্রশংসনীয় পদক্ষেপ, নিঃসন্দেহে । এই সৃজনশীল ব্যাপারটাই নিজের মত করে কোন কিছু শেখা, বলা, সর্বোপরি শিক্ষাকে বাস্তববাদী করে তুলতে অত্যন্ত সহায়ক । কিন্তু শিক্ষকরাই এখন এই সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যবসায় মেতে উঠেছে । একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে যদি তার সৃজনশীল ব্যাপারগুলো কোন শিক্ষকের শেখানো বুলি আওরানোর মত কিংবা গাইড বইয়ের লেখা হুবহু করে শিখতে হয়, তাও কি হাস্যকর হয় না ? সরকার এখন নিজের ফাঁদে নিজেই ফেসে গেছে অনেকটা । ইত্যাদি ।

এরকম অনেক কারণে বলাই যায় যে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতি একটি বড়সড় কৌতুক ছাড়া আর কিছুই না । এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে পারে Open book Exam system অর্থাৎ উন্মুক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি । এই পদ্ধতির আওতায় একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে বলা হবে তোমার সামনে বই কিংবা খাতা কিংবা যাই থাকুক না কেন, অমুক বিষয় সম্পর্কে তোমার ধারণা অল্প কথায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখে দেখাও । বাইরের দেশগুলোতে বিশেষ করে ইউরোপ কিংবা আমেরিকা অর্থাৎ উন্নত দেশগুলো তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই পদ্ধতি যোগ করেছে আরও অনেক বছর আগেই । তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, একমাত্র এই ব্যবস্থাই শুধুমাত্র পারে আমাদের দেশীয় এই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে পচে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হচ্ছে, আপনি অজানা কোন সায়েন্সে পন্ডিত হয়ে গেছেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: বিষয়টি এভাবে দেখেন কেন !! পরামর্শ তো যে কেউই যে কারও দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে দিতেই পারে । আপনার যেমন এক ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে, অন্য কারও নিশ্চয় অন্যরকম । তবে সবমিলিয়ে সবার যাতে ভালো হয়, এমন একটি সমাধানে আসাই তো উত্তম কাজ, তাই না ?

যাই হোক, ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.