নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একরঙা আলো, ফিল্টার, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

একটা বালতিতে পানি নিয়ে তাতে আস্তে করে হাতের আঙ্গুলটা ডুবিয়ে দিন। পানির ফ্ল্যাট সারফেস উচু-নিচু হয়ে ঢেউ তৈরি করবে। বিজ্ঞানে একে ওয়েভ বলে। ঢেউয়ের একটা উচু পয়েন্ট থেকে পরের উচু পয়েন্ট পর্যন্ত দূরত্বকে বলা হয় ওয়েভ লেন্থ।



বিভিন্ন ওয়েভের ওয়েভলেন্থ সমান না। যেমন, বালতির পানিতে যে ওয়েভ তৈরি হয় তার ওয়েভলেন্থ আর সমুদ্রে পানিতে তৈরি হওয়া ওয়েভের ওয়েভলেন্থ সমান হবে না।
আলোও এক রকমের ওয়েভ। দৃশ্যমান আলো- অর্থাৎ যে আলো আমাদের দেখতে সাহায্য করে তার ওয়েভলেন্থ অনেক ছোট। আমাদের চোখ মোটামুটি ৪০০ ন্যানো মিটার থেকে ৭০০ ন্যানো মিটার এই রেঞ্জে সংবেদনশীল। অর্থাৎ এই রেঞ্জের ওয়েভলেন্থের আলো আমাদের চোখে প্রবেশ করলে তা আমাদের দেখতে সাহায্য করে। ইভোলিউশনের একটা পর্যায়ে আমরা দিবাচর অর্থাৎ দিনের আলোর প্রানি হবার সিদ্ধান্ত নেই। সূর্য্যের অালোর মধ্যে ৪০০ ন্যানো মিটার থেকে ৭০০ ন্যানো মিটার অংশ প্রমিনেন্ট বলে অামাদের চোখ সে ভাবে অ্যাডাপ্ট করেছে। নিশাচর প্রানিদের চোখ অন্য ওয়েভলেন্থে বেশি সংবেদনশীল।
১ ন্যানো মিটার কত বড়? ১ মিটারের ১০০ কোটি ভাগের একভাগকে এক ন্যানো মিটার বলা হয়। সাধারণ ভাবে বলা যায়, আমাদের চোখ যে ওয়েভলেন্থে সংবেদনশীল তা আমাদের চুলের চেয়ে প্রায় ৭০ ভাগ সরু।
সূর্য্যের আলোতে বিভিন্ন ওয়েভলেন্থের ওয়েভ আছে। এদের মধ্যে শুধু ৪০০ ন্যানো মিটার থেকে ৭০০ ন্যানো মিটার ওয়েভলেন্থের ওয়েভ আমাদের দেখতে সাহায্য করে।



আমরা যে বিভিন্ন রং দেখতে পাই তা আলোর ওয়েভলেন্থের কারনে হয়ে থাকে। যেমন ৭০০ ন্যানোমিটারের কাছাকাছি ওয়েভলেন্থের আলোকে আমরা লাল আলো হিসাবে দেখি, আবার প্রায় ৫৫০ ন্যানোমিটার ওয়েভলেন্থের আলোকে আমরা সবুজ আলো হিসাবে দেখি। সুস্থ চোখ ২ ন্যানোমিটার ওয়েভলেন্থের পার্থক্য ধরতে পারে। যেমন, ৫৫০ ন্যানোমিটার আর ৫৫২ ন্যানোমিটার ওয়েভলেন্থের আলোর ক্ষেত্রে চোখ দুটো আলোকেই সবুজ শেড হিসাবে দেখবে কিন্তু দুটো সবুজ যে এক রকম না তাও ধরতে পারবে।

এটা পরিষ্কার যে সূর্য্যের আলো মিশ্র আলো , অর্থাৎ এখানে অনেক গুলো ওয়েভলেন্থের আলো আছে। কখনো কখনো এরকমো হয় যে কোন কোন আলোতে শুধু একটা ওয়েভলেন্থের আলো থাকে। এটাকে মোনোক্রোমাটিক আলো বলা হয় । (বিজ্ঞানের সূত্র অনুসারে পার্ফেক্ট মোনোক্রোমাটিক আলো পাওয়া সম্ভব না, তবে ওয়েভলেন্থের স্প্রেড খুব কম থাকলে তাকে প্রাকটিকালি মোনোক্রোমাটিক আলো বলা যেতে পারে। যেমন, একটা ভাল রুবি লেজারের জন্য ওয়েভলেন্থ ৬৯৪ ন্যানোমিটার থেকে ৬৯৪.৫ ন্যানো মিটারেরে মধ্যে থাকবে। ) উদাহরন হিসাবে বলা যায় সোডিয়াম অালো একটা মোনোক্রোমাটিক আলো। সূর্য্যের আলো, নরমাল বাল্ব বা টিউব লাইটের আলো, মার্কারি ল্যাম্পের আলো- সবই মিশ্র আলো।
মিশ্র আলো থেকে কি মোনোক্রোমাটিক আলো পাওয়া সম্ভব?
হ্যাঁ সম্ভব।
কিভাবে?
ফিল্টার ব্যবহার করে।
ফিল্টার কি?
রঙ্গিন কাঁচ বা রঙ্গিন প্লাস্টিক ফিল্ম।





আগেই বলেছি, সূর্য্যের আলো মিশ্র আলো। এর মধ্যে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ- সব রং আছে। যদি সূর্য্যের আলোর সামনে লাল ফিল্টার রাখি, তাহলে এই লাল ফিল্টার শুধু লাল আলো যেতে দেবে,অন্য আলো যেতে দেবে না। কাজেই ফিল্টার দিয়ে দেখলে সব কিছু লাল লাগবে। অনুরূপ নীল ফিল্টার শুধু নীল আলো যেতে দেবে, অন্য আলো যেতে দেবে না। কাজেই ফিল্টার দিয়ে দেখলে সব কিছু নীল লাগবে। সমস্যা হবে লাল ফিল্টার দিয়ে লাল ছাড়া অন্য মোনোক্রোমাটিকা আলোর দিকে তাকালে বা এমন মিশ্র আলোর দিকে তাকালে যাতে লাল আলো নাই। যেমন লাল ফিল্টার দিয়ে যদি সোডিয়াম আলোর দিকে তাকনো হয় বা সোডিয়াম আলো পড়েছে এমন কিছুর দিকে তাকানো হয়। যেহেতু সোডিয়াম আলোতে লাল রঙের ওয়েভলেন্থের ওয়েভ অনুপস্থিত, কাজেই লাল ফিল্টারের মধ্যে দিয়ে কোন আলো যেতে পারবে না এবং সব কিছু কালো দেখাবে। একই ঘটবে যদি সোডিয়াম আলোর সাথে নীল ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। যদি হলুদ ফিল্টার ব্যবহার করি তবে এর মধ্যে দিয়ে হলুদ আলো যেতে পারবে এবং সাদা বা হলুদ জিনিস সব হলুদ দেখাবে, কিন্তু লাল বা নীল রঙের জিনিস কালো দেখাবে।

আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠি আছে যারা মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টার লাগানো চশমা পরে থাকেন। এই একই রঙের চশমা যারা পরেন তারা এদের চোখে মুক্তিযোদ্ধা, যারা এই ব্রান্ডের চশমা পরেন না তার সবাই রাজাকার।
এদের চশমা অনুসারে খসড়া মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার লিস্ট দেয়া গেল। পাঠক চাইলে পরে লিস্ট আপডেট করা হবে।

মুক্তিযোদ্ধা লিস্ট:
১) বিকল্প ধারা মহাসচিব মেজর (অবঃ) আব্দুল মান্নান
২) জনাব বদরুদ্দোজা চৌধুরী
৩) মাহী চৌধুরী
৪)হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ
৫) হাজী সেলিম
৬)জনাব বদি (টেকনাফ)
৭) মিসেস বদি (শাহিনা আক্তার চৌধুরী )


রাজাকার লিস্ট:
১) আব্দুল কাদের সিদ্দিকী
২)ডঃ কামাল হোসেন
৩)কর্নেল ওলি
৪)জাফরুল্লাহ চৌধুরী
৫) আ স ম আব্দুর রব
৬) রেজা কিবরিয়া
৭)মাহমুদুর রহমান মান্না

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: মাথাটা ঝিম ঝিম করছে =p~

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

মা.হাসান বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা চশমা পরে নিন, আরাম পাবেন।
প্রাথমিক ভাবে এটা ট্রাই করতে পারেন।

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ মা. হাসান - জনাব, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জেনারেল জিয়া কিন্তু পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন !

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: জী ধন্যবাদ। আমি ওনার নাম দিতে চেয়েছিলাম , কিন্তু পরে লিস্ট খুব বড় হয়ে যাবে বলে সাম্প্রতিক নাম গুলো দেয়েছি। এর পরেও অনেক বাদ পড়ে গেছে নিশ্চয়ই। সম্প্রতি আলোচনায় আসা নামের থেকে কিছু বাদ গেলে জানাবেন, আপডেট করার চেষ্টা করবো। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট নামে যাদের নাম বললেন এতে আপনি সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করলেন আর যাদের রাজাকার এর লিস্ট বললেন এটা সেই সব ব্যেক্তিবর্গ কে অপমান করলেন। যারা রাজাকারের লিস্টে আছে এরা যদি বিএনপি জামাত কে সমর্থন না দিয়ে নিজেরাই ঐক্য গঠন করে নির্বাচনে এগিয়ে যেত এই প্রশ্ন আসতোই না। প্রাথমিক ভাবে কিন্তু তারা তাই করেছিল আপনি খেয়াল করে দেখবেন তখন কিন্তু কোন প্রশ্ন ওঠে নাই। এমন কি বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৌন সমর্থন দিয়েছিল যেই তারা বিএনপি জামাত এর সাথে হাত মেলাল তখনি আজে বাজে প্রশ্ন গুল উঠছে। কাদের সিদ্দিকি কর্নেল অলি এরা বীর মুক্তিযোদ্ধা এরা এই সব রাজাকারদের প্রতিহত করতে জীবন দিতেও পিছ পা হয় নি ঠিক তারাই যখন নিজের স্বার্থের জন্য জামাতের সাথে হাত মিলিয়ে চলে শুধু হাত মেলালে না হয় মেনে নিতাম তাদের তাবুতে আশ্রয় নেয় তখন গালি শুনতেই হবে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।



৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার কি মনে হচ্ছে না এদের এই সব কির্তি কলাপের জন্য মানুষের কাছে এরা হাস্যকর প্রতিমায়ন হয় নি ? মানুষের কাছে এদের গ্রহণযোগ্যতা এর কি হারায়নি?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য আবার ধন্যবাদ। ৭৩এর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পর আমার চশমা ভেঙ্গে গেছে।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: জনগন কে সঠিক ভাবে ভোট প্রয়োগ করতে দেয়া হোক। তাহলে বোঝা যাবে কাদের পাল্লা ভারী

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

মা.হাসান বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি বি.এন.পি.-জামাতের জোট এবং লন্ডনি রাজপুত্রের রাজ্যশাসন বর্তমান অবস্থার চেয়ে ভাল হবে না। তবে আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত- কার দ্বারা শাসিত-শোষিত হবে তা বেছে নেয়ার অধিকার জনগনের থাকা উচিৎ।

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

নয়া পাঠক বলেছেন: উফ্ সাংঘাতিক তো মশাই আপনি! সামান্য একটা কথা কত সুন্দর যুক্তির সাহায্যে প্রমাণ করলেন। ইশ্ কি কষ্ট টাই না করতে হয়েছে আপনাকে এই সামান্য একটা বিষয় প্রমাণ করার জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করা যায় না...... কিন্তু এ কেমন কথা মতের সঙ্গে তাল না মেলালেই ...... আপনি যতখুশি অন্যায়, অত্যাচার করতে পারেন..... আমি তার প্রতিবাদ করলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে আমার...... হবে.......।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এটাই এখন নতুন নিয়ম। তাল মেলাতে শিখুন।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার চশমা এত্ত পলকা ???

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

মা.হাসান বলেছেন: ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য আবার ধন্যবাদ।
মতিউর রহমান রেন্টু, সিরাজুল আলম খান, সুব্রত চৌধুরী, কর্নেল ওসমানি, এবং সবার আগে মাওলানা ভাষানির চশমাও ঠুনকো ছিল, এবং চশমা ছাড়া জগৎ দেখার পর এরা আর কেউ চশমাতে ফিরে যান নি।

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: জি কিন্তু তারা জামাত কে কোলে নিয়ে চুমুও দেয় নাই। আর আমি যতদুর জানি এরা বিনা চশমাতেই ভাল দেখতে পেতেন, এরা সবাই ইতিহাসের অংশ কারন এরা এদের আত্মার সাথে বেইমানী করে নাই। আমরা করছি আমরা চশমা নিয়ে ভাবছি এর পর ক্রাচ নিয়ে ভাববো। কারন আমাদের মূল্যবোধ এত্ত ঠুনকো যে কোন কিছুর সহায়তা ছাড়া আমারা নিজেদেরকেই নিজেরা বিশ্বাস করতে পারি না। যাই হোক আপনার সাথে তর্কে যাব না। জানেন তো ঠগের হাজার যুক্তি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

মা.হাসান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ।
সুব্রত চৌধুরী এখনো জীবিত, গনফোরামের নেতা (সম্ভবতঃ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন), জামাতকে চুমু খাবার অভিজ্ঞতা আপনার চেয়ে আমার বেশি না, কাজেই মন্তব্য করতে পারবো না।
যথার্থ বলেছেন, ঠগের হাজার যুক্তি।
অনুগ্রহ করে ৩ নং মন্তব্যের জবাব অাবার দেখুন।

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দ্রোনাচার্য যদি ব্লগ পড়তেন তাহলে গর্বিত হতেন যে তেনার ফিল্টার এখন জাতীয়ভাবে একটা গোষ্ঠী ব্যবহার করছে...

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০

মা.হাসান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। নব্য দ্রোনাচার্যরা পড়ার পর কিন্তু মাইন্ড করছেন যে তাদের কপিরাইট করা জিনিস আমি কেন ফাঁস করলাম।

১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে আমি বরং তেমন কিছু বলবো না , তবে উপস্থাপনটা অসাধারণ লাগলো। বেঁচে থাক আপনার সেরূপ ফিল্টার থিওরি++

মানুষের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

মা.হাসান বলেছেন: আমার লেখায় আপনার পদধূলি পড়ায় সম্মানিত অনুভব করছি।
বিষয়টা নিয়ে কিছু না বলতে চেয়েছেন আপনি, সেটাই হয়তো নিরাপদ। ভারতের রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির কিছু পার্থক্য আছে। ভারতে রাজনীতিবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকে, ব্যক্তিগত আক্রমন থাকে, কিন্তু দ্বায়িত্বশীল পদে থেকে একজন কখনো আরেকজনকে বিদেশের দালাল বলেছেন তা শুনি নি (বি.জে.পি. সমর্থকদের বলতে শুনেছি বামদল গুলো রূশ-চিনের দালাল, কিন্তু তা সমর্থক পর্যায়ে, শীর্ষ পর্যায় থেকে নয়)। বাংলাদেশের জন্মের পূর্ব হতেই এটা কমন কালচার যে রাজনীতিবিদরা একজন আরেকজনকে বিদেশি দালাল বলে চিহ্নিত করে করে এসছেন। রাজনৈতিক সহনশীলতা অনেক আগে থেকেই দেশে অনুপস্থিত ছিল। এখন দেশে সব বিষয়ে অসহিষ্ণুতা চরম। ভিন্ন মত, ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন পোষাক এমন কি খাবারে ভিন্নতা থাকলেও তা নিয়ে মানুষ সমালোচনা করতে চায়। বড় অন্ধকার সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
উপস্থাপনা ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আপনার 'কুহেলিকা' শেষপর্বে মন্তব্য এবং লাইক দিয়েছিলাম। ব্লগে সম্ভবতঃ কারিগরি সমস্যা চলছে, আমার মন্তব্যটি মুছে গেছে। ব্লগ কর্তৃপক্ষকে মেইল করে সমস্যা জানাতে গিয়েছিলাম, সেখানেও সমস্যা হয়েছে, মেইল যায়নি।
আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা।

১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: জটিল পরিস্থিতি!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

মা.হাসান বলেছেন: আমার নগন্য ব্লগে পা ফেলায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
স্রষ্টার বন্দনা মূলক লেখাগুলো জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম বদলা দিন। আপনার স্বচ্ছ চিন্তা অন্যদের মাঝে প্রসারিত হোক।

যদি দেশের পরিস্থিতি জটিল বলে থাকেন তবে একমত। নেতাদের এই গালাগালি দোষারোপের কালচার আমরা সাধারন জনতা কখনো চাইনি।

যদি জটিল বলতে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো বুঝিয়ে থাকেন তবে তা আমার ব্যর্থতা।
ভাল থাবে।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

অপু তানভীর বলেছেন: জাফর স্যারের নাম না থাকায় কষ্ট পেলাম বহুত ! :D

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

মা.হাসান বলেছেন: জনাব জাফর ইকবালের সাথে আমাদের অনেকের চিন্তার পার্থক্য থাকতে পারে। তবে আমি তাকে কখনো অন্যদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করতে শুনিনি, যা অামাদের দেশে দূর্লভ এবং শুধু এই কারনেই একজনের মানসিকতাকে শ্রদ্ধা করা যায় বলে মনে করি।
আপনার মন্তব্যের জন্য এবং কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে অতীত দিয়ে বর্তমান বিচার করা ঠিক না।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

মা.হাসান বলেছেন: আপনার তাৎপর্যময় মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ। আমরা বড় অসহায়, আঁকড়ে ধরার মত কাউকে খুজে পাওয়া কষ্টকর। আশাকরি আপনার জীবনে যে সাময়িক অসাচ্ছন্দ ছিল তা কেটে গেছে। ভাল থাকবেন।

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: আপনা‌কে ধন্যবাদ ও বিজয় দিব‌সের শু‌ভেচ্ছা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

মা.হাসান বলেছেন: ভাই অপূর্ব আপনাকে আমার পাতায় স্বাগতম এবং অনেক শুভেচ্ছা। মহান বিজয় দিবসের শুভ বারতা ঘরে ঘরে পৌছে যাক।

১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বর্তমান ঘোষক এবং আগের সরকারের স্বঘষিত মাইককে দেখুন?

এইবারের নিবার্চনে বিএনপির সমর্থিত ক্যান্ডিডেটের মধ্যে ৫০ জনের ও বেশি মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন তারপরও এরা রাজাকারের দল। সময় একদিন ঠিকই আসবে এই দেশে, এই সব অপর্কমের জবাব দিতে হবে পাই পাই করে...........

চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

শুধুই আপনার জন্য ভৌতিক গল্প আরেকটা লেখা হচ্ছে। কথা দিচ্ছে আগেরটার মতোই হবে.........

শুভ কামনা রইল!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

মা.হাসান বলেছেন: কমেন্ট পড়ে আমার ঘরে আবার এসে লিংক থেকে পোস্ট পড়ে কমেন্ট করা এবং লাইক দেয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
যুক্তিহীন তর্ককারীদের সাথে আরগুমেন্টে যাওয়া নিস্ফল।
আমার জন্য লিখবেন একথা বলে যে সম্মান দিলেন তা ভোলার না। অশেষ কৃতজ্ঞতা।
আপনার জন্যও একরাশ শুভ কামনা।

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার তাৎপর্যময় মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ। আমরা বড় অসহায়, আঁকড়ে ধরার মত কাউকে খুজে পাওয়া কষ্টকর। আশাকরি আপনার জীবনে যে সাময়িক অসাচ্ছন্দ ছিল তা কেটে গেছে। ভাল থাকবেন।

ভালো মন্দ মিলিয়েই আছি।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

মা.হাসান বলেছেন: রাজীব ভাই, এই পোস্টে ফিরে এসে মন্তব্যের জবাব দেয়ায় কৃতজ্ঞতা। ভালো-মন্দ মিলিয়েই বাঁচতে চাই, ভালো বাদ দিয়ে শুধু মন্দ চলে আসলেই তখন হতাশ লাগে।

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: হাসান ভাই সুন্দর লিখেছেন। শূধু এই চশমা না অনেক কিছু মিশিয়ে একটা মেশিন ই বানানো হয়েছে। মানুষ এখন সুবিধামত সেটা ব্যাবহার করে ভোল পাল্টাচ্ছে। আর আপনি আম জনতার কথা ভাবুন আসলে আমরা এরকম ই ডিসারভ করি।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩১

মা.হাসান বলেছেন: জমীরউদ্দীন ভাই, পুরাতন এই লেখায় খুঁজে এসে মন্তব্য করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। সে সময় অনেক কষ্ট থেকে এই লেখাটা লিখেছিলাম । সে সময় একাধিক রাজনীতিবিদ ডঃ কামাল হোসেন কে রাজাকার বলে গালি দিয়েছিলেন। মানুষ কেউই পারফেক্ট না, ডঃ কামাল হোসেনেরও মানুষের হিসেবে অপূর্ণতা থাকতে পারে। তবে যারা তাঁকে গালি দিয়েছিলেন, তারা কেউই ডঃ কামাল হোসেনের চেয়ে মানুষ হিসেবে বেশি উন্নত বলে আমার মনে হয় না।
মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকারের বিষয়। কিন্তু কেউ কেউ দলগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ কে কুক্ষিগত করতে চান। এটা আমার কাছে নোংরা লাগে।
এ বিষয়ে আপনি যা বলেছেন তার সঙ্গে দ্বিমত করার কোন অবকাশ নেই যে জনগণ যে ধরনের সরকার ডিজার্ভ করে সে ধরনের সরকারই তাদের কপালে জোটে।
অনেক শুভকামনা।

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিভিন্ন ধরণের ওয়েভ লেংথ এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলো ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.