নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মওকা চলিয়া গেল

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৬



মওকা চলিয়া গেল। অদ্য ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১৮ রানে নিউজিল্যান্ডের নিকট হারিয়া যাইবার পর এই বছরের মতো ভারতের বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন শেষ হইয়া গেল।

বাংলাদেশ দল আইসিসির পূর্নাঙ্গ মেম্বার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়। এর আগে পর্যন্ত ভারতীয় দলের একনিষ্ঠ সাপোর্টার ছিলাম। শৈশব হইতে প্রতিবারই শুনিয়াছি ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনআপ বিশ্বসেরা। তবে ফাস্ট বোলিং এ মাঝে মাঝে কিছুটা হয়তো দুর্বলতা ছিল। ভারতীয় বিশ্লেষকেরা জানাইয়া ছিলেন ভারতের এযাবতকালের এটি সর্বশ্রেষ্ঠ দল। ব্যাটিঙে এর চাইতে ভাল অবস্থানে ভারত কখনো ছিল না। তবে আজ ধোনি ও জাদেজা কে বাদ দিলে ভারতীয় দলের বাকি নয় জন মিলিয়া রান করিয়াছে ৭৮। ছয় জন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান আউট হইবার পর সাত নম্বরে নামিয়া জাদেজা একা করিয়াছে ৭৭। অতিরিক্ত রানা আসিয়াছে ১৬ টি যাহা ভারতীয় দলের সাতজন ব্যাটসম্যান এর সম্মিলিত রান এর চাইতে মাত্র ২ বেশি।

বলিঙে তো ভারত অপ্রতিরোধ্য বলিয়া বিশ্লেষকরা দাবি করিয়াছিলেন। ভারত দলের চার জন পেসারের মধ্যে ২ জন ঘন্টায় ৯০ মাইলের অধিক গতিতে বল করিতে পারে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবশ্য ঐ বোলিঙ ভারতের কাজে আসে নাই।

বাংলাদেশের মত দুর্বল দলের সহিত খেলিয়া ভারত কখনও তাহাদের এনার্জি নষ্ট করতে চায় না। বিশ্বের দুর্দান্ত দুর্দান্ত দলের বোলারদিগকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা নাকানি-চুবানি খাওয়াইয়াছেন। ভারতীয় বোলাররা ভাল পিচ পাইলে মাঝে মাঝে বাউন্সার ও মারিতে ছিলেন। এই বছর ভারতের বড় মওকা ছিল। হারিয়া যাওয়ার পিছনে বাজে আপয়ারিঙ বা খারাপ পিচ বা আবহাওয়া দায়ি হইতে পারে। যড়যন্ত্রও হইতে পারে।

যাহা হউক খেলাধুলায় হার-জিত বড় কথা নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা। সু প্রতিবেশি হিসাবে চাহিয়াছিলাম ভারত মওকার সদ্ব্যবহার করুক, জিতিয়া যাউক। এই মওকাই শেষ মওকা নহে , ২০২৩ সালে আবার মওকা আসিবে। র‌্যামবো দাদা এবং তুষার (পুনে, মহারাষ্ট্র) এর জন্য বুক ভরা সমবেদনা রহিল

ছবিঃ আনন্দবাজার পত্রিকা হইতে টুকলি করা।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ইন্ডিয়া জিতলে আমি খুশি হতাম।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: প্রতিবেশীর খুশিই আমাদের খুশি। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ইহারা সকলেই বাংলাদেশকে এখনো মিনোওজ বলিতে চাহে।

পোস্ট দেয়ার আগ্রহ ছিল না। বিকাল পাঁচটা কুড়ির পর পোস্ট আসে নাই গত প্রায় সোয়া চার ঘন্টায়। দেখতে খুব খারাপ লাগছিল, এজন্য পোস্ট দেয়া। আপনার পোস্ট আর পাঁচ মিনিট আগে আসলেই এই পোস্ট দিতাম না।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসান ভাই,

হা হা হা হা দারুণ খেলা হয়েছে। খেলার মধ্যে হার-জিত থাকবেই। সে কথা মাথায় রেখেও বলবো,
আমি অবশ্য এই রেজাল্টে একেবারেই অবাক হয়নি। ভারতীয় দলটি তুলনামূলকভাবে ব্যালেন্স ছিল। কিন্তু অসম্ভব ভোগবাদীতে পরিণত হওয়ায় ডুবতে হলো।বিগত পর্যবেক্ষণে দেখেছি খেলার মাঠে নারীসঙ্গ ভালো ফল আনে না। প্রথম দিকের সাফল্য দলটিকে চূড়ান্ত ভোগবাদে পরিণত করেছিল। কাজেই এ পারফরম্যান্স অপ্রত্যাশিত নয়। আর ফাটকা খেলোয়ার অনেক জন্মায় কিন্তু দ্রাবিড় শচীন ধোনী লাখে একজনই হয়।

শুভকামনা জানবেন।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৯

মা.হাসান বলেছেন: আজকের খেলা নিঃসন্দেহে তুমুল উত্তেজনা পূর্ন হয়েছে। বিশেষ করে ধোনি-জাদব জুটি অসম্ভব উ্ত্তেজনা তৈরি করেছিল। কপিলদেব একবার জিম্বাবুয়ের সাথে সম্ভবত ১৭৫ করেছিলেন, ভারতের সব ব্যাটসম্যান মিলে যা করেছিল তার চেয়ে ঢের বেশি। ঐবার ইন্ডিয়া কাপ জিতেছিল। পুনরাবৃত্তি হলো না।
তুষার এবং র‌্যাম্বোদাদার সঙ্গে আপনার পরিচয় থাকার সম্ভাবনা , বাংলাদেশের দর্শকরা ওনাদের ভালো চেনেন। আজ ওনাদের সমবেদনা খুব প্রয়োজন। সমবেদনা আপনাকে জানালাম না, আপনি স্পোর্টিংলিই বিষয়টা নিয়েছেন।
মন্তব্য ও লাইকের মাধ্যমে অনুপ্রেরনা পেলাম, অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন:

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১১

মা.হাসান বলেছেন: এই মন্তব্যের জবাব প্রদান আমার সাধ্যের বাইরে। :-B

অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪০

বলেছেন: দুঃখজনক।

ইন্ডিয়া আমাগো ২য় টিম ------

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: বড়ই পরিতাপের বিষয় । বাংলাদেশের উচিৎ এই দুঃখের দিনে ভারতের সাথে থাকা। ক্রিকেটে সাহায্য করার ক্ষমতা আমাদের কি আছে? আত্রাইয়ের পানি দিয়ে শুরু করা যায়। আত্রাইয়ের পানির অভাবে অনেক লোক কষ্টে আছে। এই অন্যায় বাঁধ তুলে নেয়া যায়।


৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে এক পর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনাটা জাগিয়ে শেষে এমন করে বিশ্ব সেরা বেটিং লাইন কেন ফ্লপ হল ! গতকালের মত আজকে বৃস্টিটা থাকলেও না হয় কথা ছিল । দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বাংলাদেশও কিছুটা শান্তনা ফিরে পেল , জয়ে অবশ্য উৎফুল্যই বেশী হওয়া যেত, কাপটা অন্তত ঘরের কাছে আসত :) । আসরাফুল ভাই এর মন্তব্যটা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে , লা জবাব ।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৯

মা.হাসান বলেছেন: বৃষ্টির বিষয়ে ফেসবুকে কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে, আমার একজন সহকর্মি দেখিয়েছেন। নিজের ফেসবুক না থাকায় শেয়ার করতে পারছি না। সহ ব্লগাররা কেউ শেয়ার করলে ভালো, না হলে কাল সকালে ওনার কাছে থেকে নিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।
আশরাফুল ভাই লা জবাব। সুধীর বাবুকে নিয়ে ওনার একটা পোস্ট আছে, পড়া না হয়ে থাকলে দেখতে পারেন।
পাঠ শেষে মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪০

মা.হাসান বলেছেন:
বৃষ্টির বিষয়ে ছবিটি পোস্ট করলাম।
নিচে আরো দুটি ছবি দিলাম

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। যে কোন খেলায় হার-জিত থাকবে। তাই পরাজয়কে সহজে মেনে নিতে হবে। ক্রিকেট খেলা আমি আমার জন্য দেখি না। আমার ভাজপা সহকর্মীদের জন্যই মাঝে মাঝে উঁকি মারি। আজ ওদের করুন অবস্থা দেখে নিজের খুব খারাপ লাগছিল। আগামীকাল গিয়ে এজন্য ওদের সান্ত্বনা দেব। তবে ইন্ডিয়ার পরাজয়ে ব্যবসায়ে বিরাট একটা ক্ষতি হয়ে গেল। নিউজিল্যান্ড এই দিকটা ভেবে ইন্ডিয়ার প্রতি একটু সদয় হতেই পারতো।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৬

মা.হাসান বলেছেন: ফিরে এসে মন্তব্য করায় অনেক ধন্যবাদ। বাকি সব দেশ মিলে যত দর্শক একা ভারতে তার চেয়ে বেশি দর্শক। বাজীকরদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেল। অন্যান্য রিলেটেড ব্যবসারও ক্ষতি হলো। অসুবিধা নেই, মওকা আবার আসবে।
ওনাদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সমবেদনা রইলো। ওনাদের বলবেন, দুঃসময়ের বন্ধুই বড় বন্ধু।
(ভেউ ভেউ কান্নার ইমো হইবে, সামুর ইমো বড় দুর্বল)

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: B-))

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩০

মা.হাসান বলেছেন: আপনি পূর্বেই কোনো পোস্টে বলিয়াছিলেন সামুর ইমোর ভান্ডার অকিঞ্চিতকর । উপযোগী ইমো খুঁজিয়া পাইতেছি না। B:-/

৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আফসোস

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

মা.হাসান বলেছেন: বড়ই আফসোস।
https://www.youtube.com/watch?v=4ac51-xfa9g

৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আজ দিনের শুরুতে পিচের অবস্থা ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে ছিল না। নতুন বলে কিউই বোলাররা দারুন শুরু করেছিল। টপ অর্ডারে রাহুল, রোহিত, কোহলি কিছু বোঝার আগেই সাজঘরে গিয়েছে। প্যান্ট, কার্তিক, পান্ডে সময় নিয়েছে, চেষ্টা করেছে কিন্তু টিকতে পারেনি। জাদেজা, ধোনি অসাধারণ খেলেছে; ম্যাচ তো বের হয়েই গিয়েছিল। সামান্যর জন্য...


৩নম্বর মন্তব্যটা একেবারে পছন্দ হয় নি।

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচওতো প্রায় বের হয়ে গেছিলো, ভারতের সাথেও।
সামান্যর জন্য ...


কেন ছবিতে কি বাঁশ আরো সরু হবার দরকার ছিল?:-*

১০| ১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩১

আরোগ্য বলেছেন:

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪০

মা.হাসান বলেছেন: এত বড় টিমের জন্য এত ছোট ছবি? জাতি হতাশ। বড় কইরা আবার দেওনের রিকুয়েস থাকলো।

১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: দুনিয়ার কি আজব খেলা?
এই নিউজিল্যান্ডের সাথে খেলার জন্যই আমাদের শ্রদ্ধেয় ধনি মহাশয় হলিউডি স্ট্যাইলে ক্রিকেট খেলেছিলেন? উনাকে একটা অস্কার দিতে পারলে মনে বড়ই তৃপ্তি পেতাম। আজকে রেন্ডিয়ার হেরে যাবার কারন হলো পাকিস্থান। এরাই কোন একটা ষড়যন্ত্র করে গতকালকে বৃষ্টি নামিয়েছিল!!!!

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: ষড়যন্ত্র তো কোথাও না কোথাও হয়েছে। আম্পায়ারিঙও ভালো হয় নি। নো বলে অনেক গুলো আউট দিয়ে দিলো!
প্রথম পাঁচজন মিলে যা করলো, ধোনি একাই তার চেয়ে বেশি করেছে। রান আউটটা অসাধারণ ছিল। আর একটু মওকা পেলেই...

১২| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় নীল সাধু ভাইয়ের ফেসবুকে করা এই মন্তব্যটি উল্লেখ করলাম।
Neel Sadhu
8 hrs ·
কাউকে অবজ্ঞা করতে নেই! এর ফল ভালো হয় না।
শুধুমাত্র এ কারণেই আজ ভারতের পরাজয়ে নিউজ ফিডে খুশী উপচে পড়ছে! ভারতের কিছু খেলোয়াড় অবশ্যই আছেন যারা আমাদের ক্রিকেটের ব্যাপারে আগ্রহী, খোঁজ খবর রাখে এবং উৎসাহ দেয়। এদিক দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে রাখা যায় সৌরভ গাঙ্গুলীকে। সাবেক ভারত দলপতি এই ক্রিকেট তারকা বরাবরই বাংলাদেশ নিয়ে পজেটিভ কথাবার্তা বলেন। কিন্তু বর্তমান ভারতে দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলীকে আমরা দেখেছি বাংলাদেশকে নিয়ে উপহাস করতে। আমরা সে সব মনে না রাখলেও ভুলে যাইনি!
ক্রিকেট খেলাকে ভদ্রলোকের খেলা বলা হয়। আমরা এই ভদ্রতাটুকু বিরাট কোহলীর মতোন এমন উঁচু মাপের খেলোয়াড়ের কাছ হতে পাইনি।
দুর্ভাগ্যজনক।
এসবের পাশাপাশি অন্যান্য আরো কিছু অক্রিকেটীয় আচরণের কারণে বন্ধু প্রতিম দেশ, প্রতিবেশী দেশ হয়েও ভারত বাংলাদেশের একটা বড় সমর্থন হারিয়েছে। বাড়ীর পাশের দেশ হলেও আমরা এখনো একটা পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে সেখানে যেতে পারিনি। এর সোজা হিসাব তারা আমাদের গোনায় ধরে না। যারা আমাদের গোনায় ধরে না তাদের পরাজয়ে আমরা খুশী হবো এটাই স্বাভাবিক :)
নিউজিল্যান্ড যোগ্য দল হিসেবে সেমিফাইনালে গেছে।
অভিনন্দন কিউইদের

১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

মা.হাসান বলেছেন:
প্রথম আলোতে প্রকাশিত দুটি কমেন্ট দিলাম। র‌্যামবো দাদা বা তুষারের কমেন্ট এখানে ছাপানোর মতো না।

২০০৩ সালে সম্ভবত বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়। এর আগ পর্যন্ত ভারতকেই নিয়মিত সমর্থন করে গেছি। ভাল সম্পর্ক গড়তে টু-ওয়েই ট্রাফিক থাকা দরকার। না থাকার জন্য বাংলাদেশকে দোষ দেয়া যায় না। সৌরভ গাঙ্গুলি একজন বড় খেলোয়াড় । সিলেক্টরদের আঞ্চলিকতা প্রিতির কারনে বারে বারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, উনি বোঝেন পরাধীনতার কষ্ট। আমরা সৌভাগ্যবান পাকিদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের হয়তো একদিন বোধোদয় হবে।

নিউজিল্যান্ড যোগ্যতর দল হিসেবে জিতেছে। ওদের অভিনন্দন।

১৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:০১

অগ্নিবেশ বলেছেন: ভারত একটা ভালো দল ১০ টা ম্যাচে ৭ টা জিত, ২টো হার। এখনো বিশ্বকাপে
১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে। তাই এক দিনের হারে যারা মওকা টওকা,
বাঁশ ঘাস নিয়ে ফালাফালি করছে হয় তারা খেলা বোঝে না নয়ত হিন্দু-বিদ্বেষী।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

মা.হাসান বলেছেন: ''ভারত একটা ভালো দল ১০ টা ম্যাচে ৭ টা জিত, ২টো হার''
ভালো বলেছেন, খেলা বোঝেনা এমন লোকেরা কি সব ফালতু কমেন্ট করেছে দেখেন না--


ভারতের সাথে হিন্দুত্বের কি সম্পর্ক? ভারত একটি উদার অসাম্প্রদায়িক দেশ সকল ধর্মের লোক অত্যন্ত সুখে শান্তিতে ওখানে বাস করিতেছে। ইন ফ্যাক্ট বাংলাদেশে মুসলমানেরা যত আনন্দে আছে ভারতে তার চাইতে বেশি আনন্দে আছে। এই জন্য কয়েক কোটি বাংলাদেশি মুসলমান অধিক আনন্দের আশায় আসাম এবং অন্যান্য জায়গায় মাইগ্রেশন করেছে।

আমার একাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বি বন্ধু কাল ভারতের হারের পর আনন্দ প্রকাশ করেছে। হিন্দুদের সঙ্গে থেকে বাংলার মুসলমানেরা পাকিদের চোখে যেরকম ভেজাল মুসলমানে পরিনত হয়েছিল, ওনারাও মনে হয় মুসলমানদের সাথে মিশে ভেজাল হিন্দুতে পরিনত হয়েছেন।এদেশের মুসলমানদের মুসলমানিত্ব রক্ষায় পাকিস্তান ১৯৭১-এ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। ভারত এদেশের হিন্দুদের হিন্দুত্ব রক্ষার পদক্ষেপ নিতে পারে। রানা দাশ গুপ্তের সঙ্গে আলোচনা করে ভারত সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখতে পারেন।

খেলা বোঝার বিষয়ে বলতে পারি, ক্রিকেট খেলা আপনার বা পাপন সাহেবের মতো ভাল বুঝি না।

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: সামু ব্লগরে মাইনাস। ভেউ ভেউ কান্নার একটা ইমোও নাই। এখন কিভাবে বুঝাই যে কত দুঃখ পেয়েছি এই ফলাফলে ?

১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭

মা.হাসান বলেছেন:
চউখের পানি শুকাইয়া গিয়াছে। সামু পাঠকের দুঃখ বুঝিলনা।
উপরের ছবিটি ছোট করিয়া আপাতত ব্যবহার করা যাইতে পারে। এর চেয়ে ভালো একটা ছবি দেখেছিলাম, এখন পাচ্ছি না, পরে পেলে যোগ করে দেব।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মা.হাসান বলেছেন:

১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওইপারের একটা ব্লগার আছে না, বুবলা নামে? কিছু হইলেই পরামর্শ দেয় বাংলাদেশের ক্রিকেট বাদ দিয়া ডাংগুলি খেলা উচিত, হ্যায় কই? কোহলীর লগে বহায়া দ্যান! =p~ =p~

@আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলামঃ হেনাভাই, আমাদের সমস্যা হলো আমরা অতীত দ্রুত ভুলে যাই। এই সৌরভ গাঙ্গুলী আইপিএলে সাকিব আর তামিমের সাথে কি আচরন করেছিল, আপনার সম্ভবতঃ মনে নাই। আমাদের মিডিয়া এরে দাদা, দাদা করে; আর এ সময়মতো আসল চেহারা দেখায়!

@অগ্নিবেশঃ ভারতের হারে যারা বেজায় খুশী, তারা হিন্দু-বিদ্বেষী নয়। তাছাড়া আপনার জানার কথা, ভারতীয় দলে মুসলমান খেলোয়াড়ও আছে। বরং এই মন্তব্য করে আপনি আপনার সাম্প্রদায়িক চেহারা দেখিয়ে দিলেন। আর এরা খেলাও খুব ভালো বোঝে। এরা খুশী এই কারনে যে, অহংকারীর পতন হয়েছে। 'অন্যকে সন্মান করলেই কেবল সন্মান পাওয়া যায়' এটা আপনারা যতো দ্রুত বুঝবেন, ততোই মঙ্গল।

সামু'র ইমো কালেকশান আসলেই খুব পুওর। ''আনন্দে আকাশে উড়ছি'' জাতীয় একটা ইমো খুজলাম, পেলাম না!! X(

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

মা.হাসান বলেছেন: বুবলার ব্লগের সাথে পরিচয় ছিল না, আপনার কথায় সার্চ দিয়ে দেখলাম, নিকে লেখা আছে 'হুগলীর হনুমান'।
সার্চ আরেকটু করতে পেয়ে গেলাম আপনার বলা পোস্টটা

আপনি যা বলেছেন সেরকম কিছু লেখা আছে, স্ক্রীন শটঃ

যারা বলবেন আউট অফ কন্টেক্সট কোট করলাম, তাদের জন্য লিংকঃ
https://www.somewhereinblog.net/blog/arnab_am/30214211
আশরাফুল ভাইয়ের ১৭ নম্বর মন্তব্য দেখুন।
অগ্নিবেশ এর ২০ নম্বর মন্তব্য , সাথে ২১ ও ২৩ নম্বর মন্তব্য ও উত্তর (কিছুক্ষনের মধ্যে দেয়ার আশা রাখি) দেখুন।
সামুর ইমোর কালেকশন পুওর । তবে প্রথম আলুতে মন্তব্য থেকে নেয়া অংশ কোট করলামঃ

১৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অতি দর্পে হত লংকা।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। সৌজন্যবোধ না থাকলে যত খ্যাতিই থাক না কেন, পূর্নাঙ্গ মানুষ হওয়া যায় না।

১৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: @ ভাই ভুয়া মফিজ, ১২ নম্বর কমেন্টের বক্তব্য আমার নয়, ব্লগার নীল সাধু ভাইয়ের। আমি উনার অনুমতি সাপেক্ষে ফেসবুক থেকে এখানে শুধু তুলে দিয়েছি মাত্র।

ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে ভারত বা পাকিস্তান কোন দলেরই সমর্থক নই। সাকিব ও তামিমের সাথে গাঙ্গুলির আইপিএল-এর আচরণ সম্পর্কে আমি জানি। ভারতীয়রা (পশ্চিম বঙ্গসহ) সব সময় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে চলে। ওরা খুব চতুর। ওদের অহংকার সম্পর্কে দুনিয়ার সব দেশের মানুষই জানে। ওদের এই আচরণ আমার পছন্দ নয়। সেমি ফাইনালে জেতার মতো সক্ষমতা অবশ্যই ভারতের ছিল। কিন্তু ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেখানে ইঁদুরের লাথি খেয়ে অনেক বড় বড় হাতিকেও আমি শুয়ে পড়তে দেখেছি আমার জীবনে। তাই অহংকার করা ভালো নয়। অন্য দল খারাপ খেললেও তাদের সম্মান করা উচিৎ। কথাবার্তায় অভদ্রতা করা ঠিক নয়। তবে কেউ এরকম করলে তাকে তার ভাষাতেই জবাব দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: ধোনিও ভালো ক্রিকেটার, কিন্তু মোস্তাফিজের সাথে তার ধাক্কার কথা মানুষ ভুলে নাই।
ধোনি, সৌরভ, কোহলি- সকলেই ভালো খেলেন মানতে বাংলাদেশের লোকেদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের সৌজন্য বোধের অভাব পীড়া দেয়। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যে কোন ফলালফলই অপ্রত্যাশিত না, ঠিক বলেছেন।
আজকের প্রথম আলো থেকে নেয়াঃ

১৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার হিসেবে ভারত কে রান চেস করতে দিতে ভয় পায় বিশ্বের সব শক্তিশালী ক্রিকেট দল। ওটাই কাল হয়েছে। আগে ব্যাটিং করতে করতে ওরা রান চেজিং এ দূর্বল হয়ে গেছে কিংবা ভুলে গেছে। এমন আমি আগেই বলেছি। যে ভারতকে হারাতে হলে আগে ব্যাটিং করে ওদের চেজিং এ পাঠাতে হবে। উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দলটিও বিদায় নিল। বৃষ্টি এবারের বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ।।

যাক দেখা হবে পরের বিশ্বকাপে । আশা করি বাংলাদেশ দূর্দান্ত খেলবে সেখানে। দারুনভাবে সফল হবে । আপাতত বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান। তাকে নিয়েই মেতে থাকি।। :) বিশ্বের সেরা অল রাউন্ডার কে? বিশ্ব ক্রিকেটেরর ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডার কে?? হা হা !:#P সে আমাদের এই দেশেরই সন্তান

১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

মা.হাসান বলেছেন: ভারতের সাথে ক্যাচ মিস না করলে এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে ফিল্ডিং একটু ভালো হলে এবছরই আমরা অন্তত সেমি ফাইনাল খেলতে পারতাম। সাকিব তার ফর্মের সেরা সময়ে আছে বলে মনে হয়, দেশের গর্ব। সামনের বার আমরা আরো শক্তিশালী দল নিয়ে আসবো বলেই বিশ্বাস করি। সিলেক্টরদের উচিৎ আরেকটু যত্নবান হওয়া।

১৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত বিরোধী ট্রল/ মন্তব্য দেখে আমি বিস্মিত।
আম্রাতো এক সময় ভারতের বন্ধু ছিলাম। এখন এরূপ হবার কাড়ন কি তা ভারতকেই খুঁজে বের করতে হবে।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৮

মা.হাসান বলেছেন: একজন খেলোয়াড় তার দেশকে ভালোবাসবেন, দলকে সেরা বলবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু অন্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা সুস্থ মানসিকতার পরিচায়ক না। এভারেজ ভারতিয়কে আমার ভালো মানুষ মনে হয়। তবে উগ্রপন্থী ক্রিকেট ভক্তের সংখ্যা ভারতে কম না। বাংলাদেশের সাথে হারের পর ভারতে ক্রিকেটারদের বাসায় হামলা পর্যন্ত হয়েছিল। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড এই সব সাদা চামড়ার দলের সাথে হারলে জাত যায় না, কিন্তু বাংলাদেশের সাথে হারলে জাত যায়।
গত ৩৬ ঘন্টায় ব্লগে ৪-৫টি খুব ভালো পোস্ট এসেছে যেগুলির কাছে এই পোস্টটি কিছুই না। কিন্তু এতে মন্তব্য সংখ্যা , ভিউ সংখ্যা এবং মন্তব্য দেখুন। তারেক মাহমুদ বা আশরাফ ভাই বা নীল সাধু ভাইদেরকে আমি নিপাট ভদ্রলোক মনে করি। ওনারাও ভারতের আচরনে সন্তোষ্ট না।

২০| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: বাংলাদেশ যদি মুসলিম দেশ হতে পারে ভারত হিন্দু দেশ কেন হতে পারবে না?
ভারত একটি উদার অসাম্প্রদায়িক দেশ এই সব মোদির আমলে অচল। বাহে, খেলা টেলা নিয়ে এই সব ট্রল ম্রল বন্ধ করেন, আমাদের আরো অনেক সমস্যা আছে। আমি তো দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের গাড়িগুলো বর্ডার পার হয়ে বনগাঁ সীমান্তে এলেই
লোকাল ফেসবুকীয় পোলাপান জিজিয়া কর আদায় করছে, না পেলে নিগ্রহ করছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে জয় শ্রীরাম জয় শ্রীরাম করছে। খেলা টেলা বাল ছালের নামে বিদ্বেষ যেভাবে অনলাইনে ছড়াচ্ছেন তাতে করে মামী চাচীদের আর ভারতে চিকিতসা করানো যাবে না, পাঠাতে হবে সিঙ্গাপুরে, টেহা দিবেন আপনি। কি আর করা বাংলাদেশে তো আবার আপনার মত প্রশ্নফাস জেনারেশনে ভরা, তারাই আবার ডাক্তার মোক্তার।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৫

মা.হাসান বলেছেন: তসলিমা নাসরিন বা রানা দাশগুপ্ত বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেকদিন ধরে তো কৌশেষ করিতেছেন। কোন কোন ব্লগার ও যে এর মধ্যে শামিল জানা ছিল না। কৌশেষ করিতে থাকুন। ১৯৪৭ এবং ১৯৭১-- পরপর দুইবার আমরা দ্বিজাতিতত্ত্বকে সত্য বলে প্রমাণিত করেছি কাজেই সেই দিক থেকে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আপনাদের কৌশেষের পিছনে যুক্তি অবশ্যই আছে। তবে পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল । ভারতের হিন্দু রাষ্ট্র হইবার সম্ভাবনা নাই। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে এই বিষয়ের সর্বভারতীয় ঐক্য আছে যে ভারত সকল ধর্মের সকল কালচারের সকল জাতের মানুষের জন্য। বিজেপি সেই বহু জাতিতত্ত্বকে nurture করিতেছে।

মামি চাচি দের নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করানোর কি দরকার , বা দেশে প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশনের ডাক্তার এর ওষুধ খাওয়ার কি দরকার ? জয় শ্রীরাম বলে পানিতে ফু দিয়ে খেয়ে ফেললেই তো পারেন

২১| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ অগ্নিবেশ, মামী চাচীদের যদি আর চিকিৎসা করতে ইন্ডিয়া না পাঠানো যায় তবে তার চেয়ে সর্বোত্তম আর কিছু হয় না। এই দেশে ভাল, অভিজ্ঞ ডাক্তারের অভাব আগেও ছিল না , এখনও নাই। যদি সত্য সত্যই ভারতের সাথে সর্ব প্রকার ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়, তবে বাজী ধরেন যে, এই দেশ থাইল্যন্ড, সিঙ্গাপুর না হইলেও তার কাছাকাছি পৌছে যাবে।


১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৯

মা.হাসান বলেছেন: আপনি শোভনা ভাষায় বলিলেন , যে যেই ভাষায় অভ্যস্থ তাকে সেই ভাষায় বলা আমি শ্রেয় মনে করি।
মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশের সাথে একমত।
২৩ নম্বর মন্তব্যের জবাব কিছু পরে দিব, সুযোগ থাকলে দেখার অনুরোধ থাকলো।

২২| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত বিরোধী ট্রল/ মন্তব্য দেখে আমি বিস্মিত। এরূপ হবার কাড়ন কি তা ভারতকেই খুঁজে বের করতে হবে।

এর কারন ভারত খোজার দরকার নাই। কেনই বা তারা খুজবে? তারা অন্য আরেকটি দেশ। এর কারন খুজতে হবে আমাদের সবাইকে। চেতনার পতাকা টাঙ্গিয়ে যারা আমাদের সকল মৌলিক অধিকার হরন করেছে, তারাই আজ আমাদের এই অবস্থানে এনে দাড় করিয়েছে।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

মা.হাসান বলেছেন: ভারতীয় ফরেন সার্ভিস (ও র ) এর কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সমগোত্রের কর্মকর্তাদের চেয়ে অধিকতর যোগ্য এবং তারা নিয়মিত বাংলাদেশের জনগনের ভারত সম্মন্ধে মনোভাব যাচাই করেন। বিষয়টি ব্লগে আলোচনা সম্ভব না
ভারতের ক্রিকেট দলের হারের পর বাংলাদেশিদের রিঅ্যাকশনের কারনের বিষয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, সকলের মন্তব্যই খুব কাছাকাছি।

২৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সবাই মিলে ছাগ্লামী শুরু করেছেন???





@ঢাবিয়ানবলেছেন: যদি সত্য সত্যই ভারতের সাথে সর্ব প্রকার ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়, তবে বাজী ধরেন যে, এই দেশ থাইল্যন্ড, সিঙ্গাপুর না হইলেও তার কাছাকাছি পৌছে যাবে।

বিনোদন
ঢাবিয়ানের চিন্তাভাবনা বরাবরই অপুষ্ট। ভারতের বাজারদর আর তাদের সাথে আমদানি রপ্তানি সম্পর্কে তার কতটা ধারণা আছে, কে জানে। আমদানি একটু কমে গিয়েছে তাতেই পেঁয়াজের দাম ৪০-৫০।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৩

মা.হাসান বলেছেন:
একমত হতে পারলাম না।
আশির দশকে দেখেছি ভারতীয় শাড়ি না হলে মধ্যবিত্ত মহিলাদের কাপড় পরা হত না। শাড়ির বাজারে ভারতীয় শাড়ির আধিপত্য এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না।যে কয় বার গিয়েছি, কলকাতার বাজারে বাংলাদেশের কাপড় বিক্রি হতে দেখেছি । বাংলাদেশের লুঙ্গির ভাল চাহিদা আছে, তবে সরবরাহ কম। বাংলাদেশের লুঙ্গির বেশিরভাগই সেলাই করা আর ভারত সরকার দর্জিদের প্রটেকশন দেওয়ার জন্য সেলাই করা লুঙ্গিতে অতিরিক্ত ট্যাক্স দিয়ে রেখেছে যার কারণে বাংলাদেশের লুঙ্গির দাম অনেক বেশি পড়ে যায়। এর পরেও কিছু শৌখিন লোক কেনেন, বড় বাজারে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি সহ বেশ অনেক রকমের শাড়ির ভারতীয় বাজারে অনেক কদর আছে। ভারত সরকারের কিছু অলিখিত চাপের কারণে যায় কম।
আশির দশকের শেষ থেকে নব্বইয়ের দশকের মাঝ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেত। এরমধ্যে গুটিকতক শিক্ষার্থী আইআইটি বা ভাল প্রতিষ্ঠানে পড়তো। ভারতে যে রকম ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং এ ৫০০এর নিচে স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তেমনি অসংখ্য সাইনবোর্ড সম্বল বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশই এ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে পড়তো। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর থেকে এখন ভারতে শিক্ষার্থী যাওয়ার সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। ভারত-নেপাল-ভুটান থেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে পড়তে আসে।

নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত দেখেছি ভারত থেকে চাল না আসলে আমাদের ভাত খাওয়া হতো না। অনেক বছর ধরেই আমাদেরকে চাল আর আমদানি করতে হয় না (তবে সম্প্রতি ভারতকে খুশি করার জন্য সরকার কিছু দিন চাল আমদানি করেছে, প্রয়োজন না থাকলেও)।

সর্বশেষ ভারত বাংলাদেশে গরুর সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন বাংলাদেশিদের গরু খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। বাস্তবে উল্টা ঘটেছে। গত কয়েক বছরে কোরবানি দেওয়ার জন্য কোন পশুর সংকট হয়নি। বাজারে গরুর মাংস খেতে সমস্যা হচ্ছে না। বলবেন দাম বেড়ে গেছে । সত্য, কিন্তু কসাইরা বলছে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হলে ৪০০ টাকার নিচে গরুর মাংস দেওয়া সম্ভব। কোন কোন গ্রুপ চাঁদাবাজি করছে কিভাবে করছে তাও কসাইরা বলে দিয়েছে, কিন্তু সরকার নিষ্চুপ। ছাগলের মাংসের দাম ভারতে ৬০০ রুপির মতো প্রতি কিলোগ্রাম (খাসি প্রায় ৭০০)। রুপি থেকে টাকায় কনভার্ট করলে বাংলাদেশেই সস্তা মনে হয়। ভারতের বাজারের কিছু খাদ্য দ্রব্যের দাম এখানে দেখতে পারবেনঃ https://www.kolkatabazar.co.in/product/mutton-standard-1kg/
মনে রাখতে হবে, ভারতে জনসংখ্যা প্রতি বর্গ কিলোমিটারে সাড়ে চারশর মতো, যার বড় অংশ নিরামিশভোজি, বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রতি বর্গকিলোমিটারে এগারোশতের উপর, ভেজিটেরিয়ান নেই বললেই চলে।
ভারতীয় নেতারা অত্যন্ত দেশ প্রেমিক। ১৯৪৭ এর পর ৯০ এর দশকের শুরু পর্যন্ত তারা ভারতীয় শিল্পকে অত্যন্ত শক্তিশালী প্রটেকশন দিয়ে গেছেন। বাহির থেকে সুই পর্যন্ত ঢুকতে দেননি। কোকাকোলার বদলে ভারত নিজে গড়ে তুলেছিলো লিমকা, ভীমটো। এখনো ভারতীয় বাজার প্রটেকশন পায়। অ্যাপল ভারতের বাজারে আইফোন বেঁচে, কিন্তু ভারতে তাদেরকে কারখানা স্থাপন করতে হয়েছে। ১৯৭১এর পর বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের কোন শিল্পকে একদিনের জন্যেও প্রটেকশন দেয়নি। ভারত সরকারের দয়ায় পাওয়া প্রটেকশনের কারনে গরুর মাংসের শিল্প কয়েক বছরের মধ্যে দাড়িয়ে গেছে, যদিও সরকারি আনুকূল্যের প্রবল অভাব রয়েছে।
ভারতের অনেক শিল্প বাংলাদেশের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে । বাংলাদেশে এগুলোর একসেস বন্ধ হয়ে গেলে এই কারখানাগুলো ভারতে বন্ধ হয়ে যাবে। আশির দশকে (অথবা নব্বইয়ের দশকে?) দেশ পত্রিকা একবার লিখেছিল 'তথাকথিত বাংলাদেশ' । এর প্রেক্ষিতে সে সময়ের সরকার বাংলাদেশে দেশ পত্রিকা নিষিদ্ধ করে। তখন ওই ধাক্কায় দেশ পত্রিকার মান নেমে যায় এবং দেশ কর্তৃপক্ষ নিউজপ্রিন্টে পত্রিকা ছাপাতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ শিল্প সরকারি আনুকূল্য ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে। সরকারের সামান্য সহযোগিতা থাকলে আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

মূল পোস্ট ছিল ভারতের হেরে যাওয়ায় এবার বিশ্বকাপ জেতার মওকা নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে। তাতে একজন লিখলেন আমি হিন্দু বিরোধী হয়ে গিয়েছি এবং এরকম পোস্টের কারনে তার মামি-চাচিকে নিয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়ায় সমস্যা হবে। আর একজন তাতে মন্তব্য করলেন ভারতের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের দেশের উপর নির্ভর করলে দেশ দাঁড়িয়ে যাবে। আরেকজন বললেন চিন্তা অপ্রশস্ত। ছাগলামি হয়ে যাচ্ছে।
কোথায় ছাগলামি শুরু হল এবং কোথায় চিন্তা অপ্রসস্থ তা বিচারের ভার বিজ্ঞ সহব্লগারের উপর ছেড়ে দিলাম।

২৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাল ভারতের হারার পর থেকে ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে যে ঈদের খুশি দেখা গেছে।
ঈদ মোবারকের বন্যায় ভেসে গেছে ফিড!
ট্রুল আর হাস্যরসের মাধ্যমেই যেন বিশ্বকাপের শেষ আনন্দ করে নিল বাংলাদেশীরা গতকালই।

ভূয়া মফিজ ভাই বা নীল সাধু ভাইয়ের মন্তব্যে নির্যাস আছে। যে বুঝতে চায়। আর গায়ের জোরে পাহাড়া ঠেললেতো কিছূ করার নাই। দাদাগিরি বা অহংকারের কারণেই তাদের এ পরিণতি প্রাপ্তি! আমজনতার সেন্টিমেন্টের ব্যারোমিটারে সেই সত্যটাই উঠে এসেছে।
আশা করি তারা বদলানোর চেস্টা করবে এই পরাজয়ের শিক্ষা নিয়ে।






১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩২

মা.হাসান বলেছেন: রাস্তা-ঘাটে, টি স্টলে অসংখ্য মানুষের কাছে শুনেছি, --ভাই মাশরাফি, কোনো ম্যাচ জেতার দরকার নেই, খালি ইন্ডিয়ার সাথে ম্যাচটা বের করে দে, আমাদের এতেই বিশ্বকাপ জে্তা হয়ে যাবে।
সামনের বার মওকা আমরাও পাবো।

সম্ভবত আগেও দেখেছেন, এর পরেও সময় থাকলে নিচের মন্তব্যে ইউটউব লিংকটি দেখার অনুরোধ থাকলো ।

২৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কেন জানি ইন্ডিয়ার জন্য আমার বেশ দুর্বলতা আছে।
ভালো থাকুন।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: রাজিব ভাই, আমি চেষ্টা করি সকলের মন্তব্যে উত্তর দিতে।
সকলের পছন্দ এক হতে হবে এমন কথা কি আছে?
দীর্ঘদিন ভারতের সাপোর্টার ছিলাম। একসময়ে ওয়েস্ট-ইন্ডিজেরও সাপোর্টার ছিলাম। সাউথ আফ্রকার খেলারও ভক্ত ছিলাম।
সময় পেলে নিচের ভিডিওদুটি দেখার অনুরোধ থাকলো।

https://www.youtube.com/watch?v=6SRQQ1jdBJw
https://www.youtube.com/watch?v=QkGQf2PycGs

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.