নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাও পাখি বলো তারে...

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৪



মাগরেবের আজান হবে হবে, তাড়া হুড়ো করে বাড়ি ফিরছি।পথে সোবহান স্যার পাকড়াও করলেন-- তোমার ইংরেজি তো আগের চেয়ে অনেক ইমপ্রুভ করেছে। তবে বানানের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। সোবহান সার এইচএসসিতে ইংরেজি পড়াতেন। হঠাৎ করে এই কথা কেন বললেন বুঝতে পারলাম না।

একটু এগুতেই শেলী ম্যাডাম ডাকলেন-- এদিকে আয় । মাইকেল ইংরেজিতে কবিতা লিখেছিল , সুবিধা করতে পারেনি; পরে কিন্তু বাংলাতেই ফিরে আসতে হয়েছিল। এটা মনে রাখবি । ৪০০ গজ পথ পেরুতে একে একে রাশেদ স্যার এবং সজিব সার পাকড়াও করলেন। হাতের লেখা ভালো হওয়া, কাটাকাটি না করা বা দুই লাইনের মাঝখানে গ্যাপ ঠিক করার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন।

কলেজ ছেড়েছি বছরের কিছু বেশি হবে তো কম না। হঠাৎ সার-ম্যাডামদের এত খবরদারির কারন ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। যা হোক, আপাততবড় চিন্তা মাগরিবের আজানের আগে বাসায় ঢুকতে হবে। যত বাহাদুরই হই না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছি তো কি হয়েছে, যতক্ষণ বাপের হোটেলে খাচ্ছি ততক্ষণ বাপের আইন মেনে চলতে হবে, সারাদিন যে চুলোয় থাকি না কেনো, মাগরিবের আজানের আগে বাসায় ফিরতে হবে।

মাগরিবের নামাজের পর একটা ডিম সেদ্ধকে গোলমরিচ মাখিয়ে সাইজ করছি, এই সময় বাবার ডাক। সার্টিফিকেটের নাম ধরে ডাক দিয়ে বলছেন এই দিকে আসেন। বাবা আপনি করে বলছে এর মানে অবস্থা সুবিধার না। হঠাৎ কী হলো? কী এমন অপকর্ম করলাম? যাহোক বাবার শুরু করলেন - আমি এখন কিছু করছি কিনা কোন চাকরি-বাকরি পেয়েছি কিনা, উপার্জন করা শুরু করেছি কিনা এইসব দিয়ে আমি হতভম্ব । বাক্যহারা ।

রাজনৈতিক দলগুলোর খেলাধুলার সিডিউল মেলাতে যেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। হল খালি করে দিতে হয়েছে। ঢাকায় আত্মীয়স্বজনের বাসায় থাকার সুযোগ ছিলো, আগ্রহ ছিল না। সাত আট দিন হলো বাড়ি ফিরেছি। দেরি করে শোয়া, দেরি করে ওঠা, কিছু খেয়ে বের হয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, তাস পেটানো, দুপুরে বাইরে খেয়ে নেওয়া, আবার তাস পেটানো, সন্ধ্যের আগে বাসায় ফেরা- এটাই এখন আমার রুটিন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার এটাই সুবিধা, পড়াশোনা করতে আর কেউ বলে না। এর মাঝে হঠাৎ বাবার এই ইন্টারভিউ এবং উল্টোপাল্টা প্রশ্ন। কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।

বাবা বুক পকেট থেকে একটা ভাঁজ করা কাগজ বের করলেন। কাগজটা দেখার সাথে সাথে আমার হৃদপিণ্ড উল্টাপাল্টা রক্তপাম্প করা শুরু করে দিলো। বাবা জিজ্ঞাসা করলেন -এটা চিনতে পারেন ? আমি নির্বাক । এই জিনিস বাবার হাতে চলে আসবে এটাতো আমার কল্পনাতেও ছিলো না। বাবার দ্বিতীয় প্রশ্ন - কয়জনকে এই জিনিস দিয়েছিলেন?

আমার অবস্থা আরো খারাপ। অর্থাৎ একাধিক জায়গা থেকে বাবার কাছে রিপোর্ট আসছে। পছন্দ হয় না ঠিক আছে, কিন্তু তাই বলে বাবার কাছে রিপোর্ট করতে হবে?

বাবার পুনরায় জিজ্ঞাসা আমার জানতে হবে- কতজনের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তৃতীয়বার জিজ্ঞাসার পরে আমার জবাব ছয়জন। বাবার ভর্ৎসনা সাবাস ছয়টার মধ্যে ছয়টাই ফেরত এসেছে। আপনার সাকসেস রেট হানড্রেড পারসেন্ট। চাকরি বাকরি কিছু করছেন না, ছটা প্রেম করার শখ। বিয়েও কি ছটাই করার ইচ্ছে? বউদের ও কি বাপের হোটেলে এনে রাখবেন? প্রেমপত্র ইংরেজিতে লেখা হলো কেন? এত বানান ভুল। ভাষা তো মরি মরি। নিজের লেখা ? না কপি করা?

বাবার কাছে কি করে বুঝাই- হলের বন্ধুদের কাছে তাদের প্রেমের কত নিবিড় বর্ণনার কথা শুনতে শুনতে প্রেমহীন জীবনের প্রতি ঘেন্না চলে এসেছে। বান্ধবীদের সাথে হলের বন্ধুদের কত রোমান্টিক সম্পর্কের গল্প শুনি! ইংরেজির ইয়ারমেট জামাল তার বান্ধবীকে প্রথম চুম্বনের পর একটা এক্সপায়ার্ড ১০ টাকার লটারির টিকেট দিয়ে এসেছে; তার প্রথমে চুম্বনের অভিজ্ঞতার কত রোমান্টিক বর্ণনা প্রতিদিন শুনতে হয়। বাবাকে এগুলো কি করে বুঝাই?

আর কতো দিন মেরা নাম্বার কব আয়েগা - বলে হা হুতাশ করবো? যোসেফিন কে লেখা নেপোলিয়নের চিঠি, বা অজানা প্রেমিকাকে লেখা বিটোফেনের চিঠি এরকম আরো অনেক চিঠি থেকে টুকলিফাই করে, বাজার থেকে কেনা ফুল আর প্রজাপতির ছবি ওয়ালা খামে, নীল কাগজে চিঠি লিখে আশপাশের পছন্দ করা যায় এমন কলেজপড়ুয়া ছয় জনকে দিয়েছি, গত দুদিন আগে। যদি একটাও ভাগের ভাগ্যে লাইগা যায়! রিজেক্টেড হবো এটা ধরেই নিয়েছিলাম, কিন্তু চিঠি বাবার কাছে ফেরত আসবে সে কথা তো ভাবি নি।

যা হোক, বর্তমানে ফিরে আসি। বাবার জিজ্ঞাসা- তোমার বয়সের ছেলে প্রেমপত্র লিখতে পারে, এটা স্বাভাবিক; কিন্তু একসঙ্গে ছয় জনের সাথে প্রেমকরা তোমার কি ইমমোরাল মনে হয়না? আপনি থেকে তুমিতে নেমে আসায় বুকে ভরসা পাই। মৃদু প্রতিবাদ জানাই। আমি মোটেও ছয়টা প্রেম করিনি। ছয়জনকে চিঠি দিয়েছি ।রেসপন্স কয়জন করবে জানা ছিল না। একাধিক রেসপন্স পেলে আগে আসলে আগে ভিত্তিতে এগুনোর ইচ্ছে ছিলো।

বাবার স্বগতোক্তি- ছেলের কনফিডেন্সের বড়ই অভাব। এরপর আমাকে বললেন- স্ত্রী চরিত্র সম্পর্কে তোমার কোন ধারনা নেই। মেয়েরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে। একজনকে চিঠি দিলে হয়তো শুধু রিজেকশন আসতো; কিন্তু এখন ছয়জনকে চিঠি দিয়ে ছয়জনকেই ক্ষেপিয়ে দিয়েছো। তোমার কথা এলাকার অন্য মেয়েরাও জেনে গিয়েছেবলেই মনে হয়। এই এলাকায় তোমার প্রেমের কোন ভবিষ্যৎ দেখিনা। মুহিতকে খবর দিয়েছি। কাল সকালে চলে আসবে। ব্যাগ গুছিয়ে নাও। কাল দুপুরের খাওয়া গ্রামেই হবে। যাচ্ছ, ধান বিক্রি না করে ফিরে আসবেনা । আশাকরি এর মধ্যেই তোমার বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাবে।

আমার ভৌতিক অভিজ্ঞতার সূচনা পর্ব। ঘটনা প্রায় তিরিশ বছর আগের। আরো দুই বা তিন পর্ব হবে। কাল এক বা একাধিক পর্ব দেবার ইচ্ছে আছে।

আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ২৫
দ্বিতীয় পর্বঃ কাটে না সময় যখন আর কিছু তে, টুয়েন্টিনাইন খেলাতেও মন বসে না

তৃতীয় পর্বঃ যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙলো ঝড়ে

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

সাগর শরীফ বলেছেন: বাকি পর্বের অপেক্ষায়..

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

মা.হাসান বলেছেন: সারাদিন বিদ্যুত ছিলো না। ডেসকো ইন্টারনেটের তার কেটে দিয়ে গেছে। মোবাইল/ভিপিএন দিয়ে ঢুকলাম। ইচ্ছে ছিলো আজ দু পর্ব পোস্ট করবো, সেটা সম্ভব হবে না। তবে অন্তত আরেকটা পর্ব দেবার ইচ্ছে আছে। অপেক্ষায় রাখার জন্য দুঃখিত। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

আপনার লেখার জন্য উপহার হিসেবে ছবিটি। আপাতত মন্তব্য করতে পারছি না। ঘরে গিয়ে মন্তব্য করবো, অফিসে দেড়ি হয়ে গেছে এমনিতে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই, নস্টালজিক করে দিলেন। মোবাইলের যুগে চিঠি আর কে লেখে। পোস্ট অফিস গুলো ধুকছে। আগে বড় শহরে হেড পোস্টাফিসের বাইরে কিছু লোক থাকতো যারা অল্প শিক্ষিত বা অক্ষরজ্ঞানহীন লোকদের চিঠি লিখে জীবিকা নির্বাহ করতো। সেই দিন একেবারেই গেছে।

আপনার ঘরে ফিরে করা মন্তব্যের আশায় রইলাম।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছয় উইকেটের পতনই শুধু নয় একেবারে মাঠের বাইরেই ঠেলে দিল!
ভারী অন্যায় ....

আহা বাবার তখন কি ফিলিংস হচ্ছিল? ;)
আমার বেকুব পোলায় করছে কি দেখছ টাইপ কিনা? :P ভাবছি
হা হা হা

অপেক্ষায়
++++

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: যা বলেছেন |-)

আমার ব্যাড রেকর্ড খুব একটা ছিলো না। শুধু বাবা না, সকলেই মনে হয় আমোদ পেয়েছিলেন।

একেবারে মাঠের বাইরেই ঠেলে দিল!

চরম সত্য। আমি নিজে ঐ ঘটনার পর আর মাঠে ফিরে যাবার আগ্রহ পাই নি।

ভালোবাসাহীনতা কে বাচিতে চায়...

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২

জুন বলেছেন: কয়জনকে দিয়েছিলেন দেখি আগামী পর্বে =p~

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

মা.হাসান বলেছেন: জগতে সমবেদনা জানইবার কেহ নাই, মজা দেখিবার জন্য সকলেই লাইন দিয়া আছে :(

নিষ্ঠুর পৃথিবী।

ঐ ছয় জনই শেষ। :((
আজ ২য় পর্ব আটটার আগে দেবার ইচ্ছে।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,




পাখি আবার কি বলবে ? বলা তো শেষ!
বিদ্রোহী ভৃগুর মতোই বলতে হয়, শূন্য রানেই ছয় ছয়টি উইকেট পতন। এরপরে তো আর খেলা থাকেনা, খোলা মাঠ থাকে ! সেই মাঠে আবার নতুন করে কি খেলা শুরু হয় কে জানে, কারন আগের রাউন্ডে পাখি তো বলতেই পারেনি কিছু । এবারের টেষ্ট ম্যাচে যদি কিছু বলতে পারে! :P

আমাদের ছোটবেলা রঙিন খামে উড়ন্ত পাখির ছবি ও এই লেখাটি ছাপানো থাকতো--
"যাও পাখি বলো তারে ,
সে যেন ভোলেনা মোরে।
"

থাকতো রঙিন কাগজের প্যাডও। এসব খাম বা প্যাড এখন আর পাওয়া যায়না মনে হয় তবে ঐ দুটো লাইন নিয়ে বানানো গানটি প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়।

গল্পের বাবা বেশ রসিক মানুষ। তার কথার শ্রীর যে বর্ণনা দিলেন তা অনবদ্য। ধান বিক্রির টাকায় আবার ৭ম - ৮ম- ৯ম - - - - - - - কাউকে রসগোল্লা খাওয়াবেন না তো ? :(

সুপার্ব লেখা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: রিজেকশন আসিতে পারে। ইহার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। নালিশ খাইবো এই কথা স্বপ্নেও ভাবি নাই।

বাবা কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। প্রেমপত্র ঢের দেখিয়াছেন। টুকলিকরা প্রেম পত্রও দেখিয়াছেন । তবে ইংরেজিতে টুকলিকরা প্রেমপত্র , একই জিনিস ছয়জনকে দেয়া দেখেন নাই বলিয়াই অনুমান করি। এখন বুঝি এই ঘটনা আমি ভিন্ন সকলকেই যথেষ্ট আমোদ দিয়াছিলো।
ধান বিক্রির টাকায় আবার ৭ম - ৮ম- ৯ম...
ঐই শুরু, ঐই শেষ। কপাল। লটারির টিকেট আমার আর কেনা হয় নাই :(

রঙিন খাম, কাগজ অনেক দেখিয়াছি। সব চাইতে পছন্দের ছিলো অ্যারোগ্রাম খাম । খরচ ছিলো পোস্ট কার্ডের চাইতে কিছু বেশি, সাধারন খামের চাইতে কম। এক খানা নীল কাগজ, ভাজ করিলে খামের আকৃতি পাইতো, কাগজ কিনিতে হইতো না, ঐ কাগজে চিঠি লিখিয়া উহাকেই খাম হিসেবে ব্যবহার করা যাইতো। আশির দশকের শুরুতেও ছিলো । পরে আর কখনো দেখি নাই।

যাও পাখি বলো তারে লইয়া আশরাফ উদাসের বিখ্যাত গান আছে, নিচে দিলাম- আশা করি খারাপ লাগিবে না।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতীব সুন্দর প্রকাশ। মহনীয় ভাবনা লিখন

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই। অনেক কৃতজ্ঞতা।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

জাহিদ হাসান বলেছেন:

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

মা.হাসান বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ B-))

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাআহাহাহাহহাহাহাহাহাআহহাহাহহাহাআহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাআহাহাহাহহাহাহাহাহাআহহাহাহহাহাআহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাআহাহাহাহহাহাহাহাহাআহহাহাহহাহাআহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাআহাহাহাহহাহাহাহাহাআহহাহাহহাহাআহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাআহাহাহাহহাহাহাহাহাআহহাহাহহাহাআহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা

৬ জনের কাছে একই চিঠি????? ফটোকপি না তো?

অনেক মজা ও রস ছিল লেখায়।

গ্রামে ধান বিক্রি করবেন কিন্তু, খেয়াল রাইখেন কার কাছে ধান বিক্রি করছেন- ভূত, নাকি পেত্নি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

মা.হাসান বলেছেন: খলিল ভাই, অন্যের দুরবস্থা দেখে এত বড় করে হাসলেন?:(

ফটোকপি না। আমার হাতের লেখা খারাপ । আকাবাকা হয়ে যায়। অনেক সময় নিয়ে একেকটা চিঠি লেখা। যাতে আকা বাক না হয় সে জন্য পেন্সিল দিয়ে লাইন টেনে লিখে পরে পেন্সিলের লেখা মিশিয়ে দিয়েছিলাম। বাজার ঘুরে লেখার রঙীন কাগজ খোঁজার কষ্টের কথাও মাথায় রাখবেন। চিঠির ভাজে গোলাপের পাপড়ি ছিলো। নভেম্বরে ঢাকার বাইরে ছোট শহরে গোলাপের পাপড়ি জোগাড় খুব সহজ না।

ধান বিক্রি বড় ব্যাপার ছিলো না। ঘটনা ঘটেছিলো ধান বিক্রির পর।
আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। পরের পর্ব দুটিতে থাকার অনুরোধ করে গেলাম।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এটা তো বেশ লাগলো। চিঠিগুলো বাংলায় লেখা, না ইংলিশে লিখেছিলেন? এ পাড়ায় আর প্রেম হবে না বলে আপনি বাবার কথাতে সুবোধ বালকের মতো মুহিতের সঙ্গে নিলেন- এটাও মানতে কষ্ট হলো।ছটা চিঠি মানে পরিষ্কার যে আপনি রবার্ট ব্রুসের মতো ছয়বার ট্রাই করে গেছেন।কাজেই সেদিনের ব্যর্থতা একজন ব্লগার হিসেবে মানতে কষ্ট হচ্ছে।
পাশাপাশি আমরাও অপেক্ষায় রইলাম 30 বছর আগে সেই হাড় হিম করা ভৌতিক বাধা আধা ভৌতিক কাহিনীর জানার জন্য।কাভা ভায়ের পুরষ্কার আপনার বাঁধা। সেদিন প্রেমে ব্যর্থ হয়েছেন অবশ্য গল্প অনুয়ায়ী; বাস্তবে একজন সফলতম পুরুষ বলেই মনে হয়। তবে এবার ভূতের গল্পে পুরস্কার চাই চাই...

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪২

মা.হাসান বলেছেন: নেপোলিয়ন, ফ্রিদা কাহলো, লিজ টেলর- এনাদের প্রেমপত্র ক্লাসিক। ইংরেজিতে বই আকারে পাওয়া যায়। সেই বইই একখানা জোগাড় করেছিলাম। বাঙলায় পরীক্ষায় ৩২ পাওয়া ছেলে আমি, ঐ চিঠি বাংলায় অনুবাদের দুঃসাহস আর দেখাইনি।

সেদিন প্রেমে ব্যর্থ হয়েছেন অবশ্য গল্প অনুয়ায়ী; বাস্তবে একজন সফলতম পুরুষ বলেই মনে হয়

এটিএম মেশিন হওয়া ছাড়া পুরুষ মানুষের জীবনে আর কোনো কাজ নাই। সফল এটিএম মেশিন মনে হয় হইতে পারি নাই। যে কোনো কিরপিনের পক্ষেই তা কষ্টসাধ্য।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: ছয়জনের একজন বোধহয় বালিকা রূপী পেত্নী! দেখা যাক আন্দাজ মেলে কিনা। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের...

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

মা.হাসান বলেছেন: আসলে কাহিনীর সাথে এই ছয় জনের আর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি শহরের ছেলে হঠাৎ গ্রামে কি ভাবে পৌছালাম তার ব্যাখ্যা হিসেবে কিছু বলতে হয়েছে।

আর প্রেমের ভুতের চেয়ে বড় ভুত তো আর হতে পারে না। সেই অর্থে এই কাহিনী ভৌতিক হতেও পারে :P

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এটা বেস্ট ভূতের গল্প।
বাবা নারী চরিত্র জেনে বুঝেই বলেছিলেন। মেয়েরা মেয়েরা কথা বলাবলি করে জানিয়ে দিয়েছিলো এক যোগে।

তারা আসলেও পেত্নী ছিলো।

বড় অন্যায় করেছিলো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: ঐ সময়ে অলরেডি আমার বাবা বিবাহিত জীবনের পঁচিশ বছরের বেশি সময় পার করেছেন, কিছুটাতো নারী চরিত্র বোঝার কথা। মুশকিল হলো বাবারা এই জ্ঞান ছেলেদের মধ্যে ঠিক মতো ট্রান্সফার করতে পারেন না, যদিও মায়েরা তাদের জ্ঞান-প্রজ্ঞা-অভিজ্ঞতা সবই ট্রান্সফার করেন B-))

বাবা যখনই বলেছিলেন মেয়েরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে তখনই নিজের আহাম্মকি বুঝতে পারি , কাজেই ঐ ছয়জন অন্যায় করেছিলো এটা আর মনে হয় নি। তবে কারো না কারো জন্য পেত্নি ছিলো তাতে সন্দেহ করি না :P

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা সুন্দর। কোনো ভান নেই। ভনিতা নেই।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: ভান না করার ভান ধরাটা কিন্তু আরো বড় ভান রাজীব ভাই।

এরকম সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: হা হা হা....... শুধু দারুণ বললে চলবে না, দারুণের সাথে একটা “এস” লাগাতে হবে.. দারুণস !!!!!
তবে আপনার বাবা সত্যিই অসাধারণ মনের ছিলেন।

আগামী পর্বের অপেক্ষায়...........

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

মা.হাসান বলেছেন: আহ হা, অল্পের জন্য আপনার কাছ থেকে ছয় দফা যৌতুক পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলাম। :``>>

বাবা কলেজের প্রিন্সিপাল বলে অনেক কিছু দেখে অভ্যস্থ। তবে কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় এই কান্ড করলে টিসি খাওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না।

পরের পর্ব এসে গেছে, লিংক এই পর্বের শেষে।
মন ভালো করা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: প্রাপকরা এত হৃদয়হীনা না হলেও পারতো। আপনার বাবা খুবই মজার মানুষ ছিলেন মনে হচ্ছে। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২

মা.হাসান বলেছেন: প্রাপকরা মনে হয় হৃদয়হীন ছিলেন না। রঙীন কাগজে প্রেমের চিঠি, তাতে গোলাপের পাপড়ি। বান্ধবিদের সাথে শেয়ার করতে যেয়ে দেখে সবার কাছে একই জিনিস, একই ব্যক্তির কাছ থেকে। ওনাদের রিঅ্যাকশন সঙ্গত ছিলো। যখনই বাবা বললেন-মেয়েরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে, তখনই নিজের বোকামি বুঝতে পেরেছিলাম। ওনাদের উপর আমার কোনো রাগ বা অভিমান নেই, বরঙ সুযোগ থাকলে দুঃখ প্রকাশ করে নিতাম। ওনারাও আশা করি এত দিনে সব ভুলে গেছেন।

দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করেছি। লিংক এই পোস্টের শেষে যোগ করে দিয়েছি। কাল শেষ পর্ব দেবার আশা রাখি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:০৬

জোবাইর বলেছেন: জীবনের প্রথম প্রেম ফুলের মতো পবিত্র, সূর্যের মতো উজ্জ্বল‬ এবং ভোরের বায়ুর মতো নির্মল হয়। আপনার ক্ষেত্রে এসে দেখি একেবারে বিশ্রী অবস্থা :P ! একসাথে ছয় জনকে প্রেমপত্র দেওয়ার কারণে এগুলো ওদের কাছে ছোবরা গুলির মতো মনে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত চিঠিগুলো আপনার জন্য বুমেরাং হয়ে গেল! যা-ই হোক, কাহিনীর ভৌতিক রহস্যের অপেক্ষায় আছি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২

মা.হাসান বলেছেন: সত্যিকারের প্রেম যেটা, যেটা হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে আলো জ্বেলে যায়, তা নিঃসন্দেহে সুন্দর, পবিত্র। কিন্তু ওর একটা গার্লফ্রেন্ড আছে, আমারো লাগবে এইটা তো প্রেম না। স্কুল জীবন থেকে বন্ধুদের এরকম প্রেম দেখে আসছি। স্কুল পরিবর্তনের সাথে সাথে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড পরিবর্তন হতে দেখেছি।

হ্যা, আমার জন্য এক সাথে ছয় জনকে চিঠি দেয়াটা বোকামি ছিলো, বুমেরাঙ হয়েই দেখা দেয়। তবে আমার জন্য এই অভিজ্ঞতা প্রয়োজন ছিলো।

২য় পর্ব আমার গ্রামের জীবনের সাথে মানিয়ে নেয়ার উপর। তৃতীয় পর্বে একটা ঘটনা আছে যাতে কিছু রহস্য আছে, ভৌতিক কি না সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন।
দ্বিতীয় পর্ব আজ পোস্ট করেছি, লিংক এই পোস্টের শেষে যোগ করে দিয়েছি। কাল শেষ পর্ব দেবার আশা রাখি।

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৬

এ.এস বাশার বলেছেন: ছয় ছয়টি ওরে বাপরে...... গল্প বেশ জমবে.... অপেক্ষায় রইলাম

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

মা.হাসান বলেছেন: ডজন পুরোতে পারি নি, এখনকার ছেলে-মেয়েরা হলে নিশ্চয়ই এর চেয়ে অনেক ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারতো।

বিভিন্ন কারণে মন্তব্যের জবাব দিতে বিলম্ব হওয়ায় আন্তরিক দুঃখিত।

পরের পর্ব দুটি এসে গিয়েছে। লিংক এই পোস্টের শেষে, দাওয়াত রইলো।

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: জেমসের একটা গান আছে- ছয়টি তারে লুকিয়ে আছে, ছয় রকমের দুঃখ আমার....
আপনার ক্ষেত্রে ছয়টি তারই একই তালে বাঁজলো বলে মনে হচ্ছে। লেখার গুণে বেশ সুন্দর হৃদয়ঙ্গম করা গেলো। পরবর্তী পর্বের জন্য বেশিদিন অপেক্ষায় না রাখলে প্রীত হবো স্যার।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২

মা.হাসান বলেছেন: যাহাদের হৃদয় আছে, সেই সব হৃদয়বান পুরুষ এবং মহিলারা অনেক কিছুই হৃদয়ঙ্গম করিতে পারেন। চোখে চোখে কথা হয়, ইশারায় ইশারায় ভাব বিনিময় হয়, ঘটকালি সহ অনেক কিছুই হয়। যাহাদের কপাল ফাটা তাহাদের কিছুই হয় না। এই ক্ষেত্রে ফাটার পরিমান এতই বড় যে ছয় জনই যুগপৎ বাহির হইয়া গেলো। আমার পিঠের ওপর কোনো ঝাটার বাজনা বাজে নাই আমি এতেই খুশি।

২য় এবং ৩য় পর্বের লিঙক পোস্টের শেষে, দাওয়াত রইলো, নেকলেস -আংটি আনা লাগবে না :`>

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যাও.................
যেন.................মোরে

বাকিটা আরও জমবে মনে হচ্ছে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

মা.হাসান বলেছেন: কিছুটা মারপিট না হলে তো প্রেমের ঘটনা জমে না, ৩য় পর্বে অল্পস্বল্প মারপিটভি আছে, দাওয়াত রইলো। অশেষ শুভ কামনা।

১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



এই এলাকায় তোমার প্রেমের কোন ভবিষ্যত দেখি না............

অবস্থার প্রেক্ষিতে অতি সত্য কথা।

চমৎকার লিখেছেন মা.হাসান ভাই।

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: নকিব ভাই, জীবন চলার পথের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেকে শিক্ষা নেই, অনেকে নেই না। এই ঘটনা আমার জীবনে বড় শিক্ষনীয় ছিলো। এই ঘটনার পর থেকে প্রেমের ভুত আমার মাথা থেকে দূর হয়ে যায়। আমি বিষয়টি এখনও পজিটিভলি । ঐ ছয় কন্যার কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে পারলে ভালো হতো, তা যখন হয় নি, মনে মনেই মাফ চেয়ে নিয়েছি।

পরের পর্ব দুটি দিয়েছি, লিংক এই পর্বের শেষে আছে, তবে আগেই বলে রাখি, প্রথম পর্বের মতো মজার কিছু নেই। অশেষ শুভ কামনা।

২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: বহুকাল পরে মন এক নিমেশে ভাল হয়ে যায় , এমন একটি লেখা পড়লাম । এ ধরনের লেখা পড়ার জন্যইতো পাঠক তৃজ্ঞার্ত হয়ে থাকে সবসময়। তাই এত ছোট লেখা পড়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। পরবর্তী পর্বের জন্য আবার কয়দিন অপেক্ষায় রাখবেন?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩

মা.হাসান বলেছেন: ভৌতিক মন্তব্য করিয়া গেলেন! মন ভালো হইলো নাকি মেজাজ খারাপ হইলো নাকি দুই ঘটনাই একত্রে ঘটিলো বুঝিলাম না। :||

আমার নিজের খুব আগ্রহ ছিলো না এত তাড়াতাড়ি সকল পর্ব দেওয়ার। কিন্তু মডু আল্টিমেটাম দিয়াছে- ৮ তারিখ রাত বারোটার পর এই বিষয়ে পোস্ট দিলে কবিতার আকারে ছাড়া দেয়া যাইবে না /:) । সেই জন্য ৮ তারিখ রাত ১২টার আগেই পরের দুই পর্ব দিয়া ফেলিয়াছি।

তবে পদাতিক চৌধুরীর মতো অমানবিক আমি হই নাই B-)) । বেমক্কা জায়গায় শেষ করি নাই। চেষ্টা করিয়াছি তিন পর্ব এমন ভাবে লিখিতে যাহাতে কোন পর্ব বাদ গেলেও মোটামুটি বোঝা যায়।

পরের পর্ব গুলিতে আমন্ত্রন রহিলো।

২১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: যেই লেখা লিখলেন! এক সাথে মনে হয় ছয়তা ভুতের গল্প পাবো।
গল্পের প্রিপারেশন দেখে মনে হচ্ছে নায়ক ছয়তা মেয়ে না ছয়টা মডেল পেত্নীদের চিঠি দিয়েছিল।
ভালো, বেশ ভালো।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

মা.হাসান বলেছেন: প্রেমের ভুতের চাইতে বড় ভুত জগতে নাই। বিনা তাবিজে , বিনা ওঝায় এই ভুত হইতে মুক্তি পাহিয়াছি। ঐ ছয় জন মা জননীকে শত কোটি প্রনাম আমার এই উপকার করায়।

শেষ পর্বের আমন্ত্রন জানাইয়া গেলাম।

২২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বেশ মজার কাহিনি।
ছয়ে ছয়! দারুণ!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৮

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনো পজিটিভ লোক। ছয়ে ছয় বলিলেন। কেহ কেহ তো বলিয়া গেলেন শুন্য রানে ছয় উইকেটের পতন :(
বড় বড় ব্যাটসম্যানরাও গোল্ডেন পেয়ার পাইয়াছেন। ইহাই জীবন।
পরের পর্বের আমন্ত্রন রইলো।

২৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইংরাজিতে পেরেম পতরো লেখন ঠিক হয় নাইক্কা। নিশচয় মাইয়াগুলান চিডির আর্থ বুজবার না পাইরা মাসটারগো কাছে লয়া গেছিলো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২

মা.হাসান বলেছেন: হবার পারে, বেসম্ভব লয়।
এই জমানার মাস্টররা তো নিজেরাই ছাত্রিগো লগে প্রেম-পিরিতি-ইটির-পিটির করে। সেই সময়ডা অত খারাপ আছিলো না। তয় মুই বড্ড বাচা বাইচা গেসিলাম। ঐ সময়ে মুই কলেজের ছাত্র হইলে টিসি দেওনের আগে কয়খান বেত মোর পিডে যে ভাইঙ্গালতো তা জানেন!

২৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা ....একই চিঠি ছয়জনকে? এইডা কি যশোরের দিকের ঘটনা? প্রেমিকারা কেউ পরিচিত কিনা একটু বিস্তারিত লিইখেন। খুঁইজ্যা দেখুমনে তারা অহন কেমুন আচে। আর তাগো লগে একটু আলাপ করণ যায় কিনা সেইডাও দেখতাম :-B

পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিয়েন কইলাম।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

মা.হাসান বলেছেন: না রফিক ভাই, যশোরে আমার মামা থাকতেন, আমি উত্তর বঙ্গের।
ছয়জনের মাঝে দুই জন আমার দুই শিক্ষকের মেয়ে ছিলেন। একজন দেশের বাইরে, আরেক জন ডাক্তারি পড়ার পর নিজের পছন্ডে বিয়ে করায় বাবা সম্পর্ক ত্যাগ করেছে মতন। সারদের সাথে যোগাযোগ ছিলো বলে এটুকু জানি। ঐ জেলা এখন অনেকদিন তেমন একটা যাওয়া হয় না। কাজেই বাকিদের খবর বলতে পারবো না।

আম্রিকান বলগার দের সাথে আপনার যে পরিমান মান অভিমান চলতেসে তাতে আমি তো ভাবলাম আপনি মনে হয় এখন আম্রিকা। ঐটা কিন্তু খুব ভালো জায়গা। ভিটামিন আর ভিটামিন।

পরের দুই পর্ব দিয়েছি। তবে অতটা আকর্ষনীয় হয় নি।

আপনার লেখার গতি কি একটু কমে গেছে? ইদানিঙ প্রতিদিন ভোরে আপনার লেখা আর দেখি না মনে হয়।
অনেক শুভ কামনা।

২৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন:




মজার গল্প, বাবা ছেলের কথোপকথন দারুণ লেগেছে ।
আচ্ছা যদি ছয়জনই রেসপন্স করতো কি হতো তখন, গ্রুপ ডেট ?

বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য কবি সাহিত্যিক (কবির নাম বললাম না কারণ উনি সম্ভবত এ ব্লগে আসেন) বলেছেন, প্রতিটা মানুষের জীবনে প্রেম ছয়বার আসে । প্রেম করুক আর নাই বা করুক । সেদিক থেকে ঠিক ছিল শুধু সমস্যা হচ্ছে নট এট এ টাইম , ওয়ান আফটার আনাদার :)

পরের পর্বের অপেক্ষায় ।

এতো সুন্দর শিরোনাম তাই এ গানটাই শুনতে ইচ্ছে করছে এখন ।
'মনে রেখো এ আমারে............'








১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

মা.হাসান বলেছেন: বাবা ছেলের কথোপকথন দারুণ লেগেছে ।

আমার বাবার সাথে মেয়ের বাবাদের কি কথা হয়েছিলো সেটা জানার জন্য আমি এখনো দু-চারটা বাড়ি খেতে তৈরি :P

যদি ছয়জনই রেসপন্স করতো কি হতো তখন

আমার বাসায় আয়না ছিলো। স্ত্রী চরিত্র না বুঝি , কোনটা সম্ভব কোনটা না -এটুকু বোধ তখন ছিলো।

কৃষ্ণকলি ইসলাম অসম্ভব ভালো গান। আমার ধারণা ছিলো না। আমার স্ত্রী ওনার গানের সাথে আমাকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন, অনেক বছর আগে। তখন ওনার প্রথম অ্যালবাম- সূর্যে বাঁধি বাসা বের হয়েছে। গানের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: রসে ভরা পুরোটাতে।

পড়লাম, পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই।
অদ্ভুত, আদি, করুন, বিভৎস, বীর, ভয়ানক, রৌদ্র, হাস্য এবং শান্ত- সাহিত্যে এই নয় প্রকার রসের কথা বলা আছে। আপনার কি মনে হয়? তিন নম্বরটা? :(

পরের পর্র দুটো পোস্ট করেছি, লিঙ্ক এই পোস্টের শেষে। বিলম্বে মন্তব্যের জবাব দেয়ায় অনেক দুঃখিত।
অশেষ শুভ কামনা।

২৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা........... হাসতে হাসতে অজ্ঞান।

আপনার বাবাকে আমার হাজার সালাম। এমন বাবা ভাগ্যের ব্যাপার। উনার অবজারবেশান মারাত্বক সঠিক। যাক্... চলুক, সাথে আছি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ |-) । যেমন আপনি অজ্ঞান হলে হয়তো ডাক্তারের কিছু কামাই হবে বা দুলাভাই একবেলা ঘরমোছা থেকে রেহাই পাবে ।

উনার অবজারবেশান মারাত্বক সঠিক
একজন মারাত্বক লোকই আরেকজন মারাত্বক লোক কে চিনতে পারে।

সে যাক, সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভুতের অভিজ্ঞতা আর কৈ? খুলনার বাসায় আরো নাকি কি সব হয়েছে। সময় পেলে আর দু একটা লিখুন প্লিজ।

২৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সাত নাম্বার মন্তব্য উত্তর মজা পেয়েছি।
আমার ধারণা ছয়জনই একজন আরেকজনকে চিঠি দেখিয়ে ভূত হয়ে গেছে! অতঃপর সেই চিঠি যথাস্থানে ফেরত - -

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

মা.হাসান বলেছেন: জি ঠাকুরমাহমুদ ভাই, ছুজন একজন আরেকজনকে চিঠি দেখিয়েছে। তার পর রাগে বিস্ফোরিত হয়েছে। আমি নিশ্চিত না, ওরা প্যারেন্টদের মাধ্যমে চিঠি গুলো আমার বাবাকে পাঠিয়েছিলো, নাকি নিজেরা দিয়ে এসেছিলো, নাকি অভিযোগ বাক্সে রেখে এসেছিলো। আমার জিজ্ঞাসা করার সাহস হয় নি।

জাহিদ ভাই রসিক লোক। উগান্ডা ঘুরে এসেছেন। আমরা আমরাই। তাই ঐ ছবি সংযুক্ত করেছি। অন্য কেউ হলে করতাম না মনে হয়।

২৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

মা.হাসান বলেছেন: মিছা কথা কন ক্যা?
আপনে না আপনের ড্রয়ার ভর্তি চিঠি লইয়া কত দুষকু করলেন! সেই হেড মাস্টরের ব্যাডা , আপনের ভাতিজা, হের চিঠিডাও হারাইয়া ফালাইলেন। এখন নিজের কাছে নিজে না লিইখা কি করবেন?

তুমভি কাঠাল খায়া? :`>

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: আপনাকে কি ফেসবুক আবার ব্যান করছে নাকি? রাত বারোটায় ব্লগে ক্যান? B:-)

৩০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৪

ওমেরা বলেছেন: এমন কথা জীবনেও শুনি নাই !! প্রেম কি লটারীর টিকিট নাকি কয়েকটা কিনলাম যদি —— একটা ল্যাইগা যায় !!! :D

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬

মা.হাসান বলেছেন: জীবনটাই তো মাঝে মাঝে মনে হয় একটা লটারি :(

যা হোক জীবনে যে কথা কখনো শুনেন নাই সেই কথা শুনাতে পেরে আমারো ভালো লাগলো।

তবে জগতে অনেকেই আছে এক সাথে একাধিক প্রেম করছে, বা এক সাথে অনেক গুলো বউ। আমিতো শুধু চিঠিই দিয়েছিলাম :-& । এই ইউটিউব ভিডিওটা দেখতে পারেনঃ https://www.youtube.com/watch?v=vqORJHyNWJc

৩১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: নোটিফিকেশন প্রব্লেমজনিত কারণে আপনার প্রতিমন্তব্য আজকে দেখলাম! এক প্রতিমন্তব্যেই তো আমার সব জারিজুরি ফাঁস করে দিলেন দেখছি। এতকিছু মনে রাখলেন কিভাবে? আজব! সেই কবেকার রুমিয়ান, আর কবেকার নেকলেস.... অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩১

মা.হাসান বলেছেন: ব্যক্তিগত সমস্যা এবং ইন্টারনেট লাইন কাটা পড়ার কারনে আপনার প্রথম মন্তব্যের জবাব দিতে ষাট ঘন্টা পার হয়ে গেছে। আমি দুঃখিত। সময়াভাবে আপনার ঐ পোস্টে কমেন্ট করা হয় নি। তবে তালিকা করা আছে, তালিকা ধরে যাবো, কয় দিন সময় লাগবে।

অশেষ শুভ কামনা।

৩২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ মজা পেলাম। বানান ভুল - বাংলায় ফিরে আসা - স্পেস মেইনটেইন করা টিচাররা ডেকে এগুলো বললেন মানে কি উনারা আগে থেকেই চিঠির বিষয়গুলো জানতেন?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: চিঠির মূল প্রাপকদের দুই জন ছিলেন আমার শিক্ষকদের কন্যা।

তবে আমার ধারনা ঐ ছয় জন নিজেদের অভিভাবকদের কাছে কমপ্লেন করে নাই। আমার কিঞ্চিত সুনাম ছিলো। সম্ভাবনা যথেষ্ট ছিলো যে অভিভাবকদের বললে ওনারা এটা বয়সের দোষ বলে উড়িয়ে দিতে পারতেন। আমার অনুমান ঐ ছয় জন আমার বাবার কাছে সরাসরি অভিযোগ করেন। এই মজার ঘটনা আমার বাবা কলেজের আর সব শিক্ষকদের সাথে শেয়ার করেন। যেহেতু আমি তখন আর কলেজের ছাত্র না, আমাকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেয়ে বড় অ্যাকশন নেয়া সম্ভব ছিলো না। তবে আমি নিশ্চিত, কলেজের ছাত্র অবস্থায় এর কাছাকাছি কিছু করলে টিসির সাথে বেতের বাড়ি ও থাকতো।

সময় বের করতে পারছি না বলে মন্তব্যের জবাবে বিলম্ব হয়েছে, আন্তরিক দুঃখিত।

৩৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা ব্যাপারে আপনার সাহায্য চাচ্ছি। একজনে আমার সাথে বাজি ধরে বলছে যে গ্রিন হর্নেট বিটিভি তে কখনও দেখানো হয় নাই। এটা তার মত। আমি বলছি দেখানো হয়েছে এবং আমি নিজের চোখে দেখেছি। আপনি কিছু জানেন এই ব্যাপারে যেহেতু আপনি বিটিভির অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বেশ জানেন মনে হোল। প্লিজ জানাবেন। এটা ব্রুস লি অভিনীত একটি টিভি শো ছিল যেটা ১৯৮২ বা ১৯৮৩ সালে দেখানো হত বিটিভিতে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: দুঃখিত, সময় বের করতে পারছি না, মন্তব্যের জবাব ঠিক মতো দিতে পারছি না।

আমার খুব ভালো করে মনে আছে বিটিভিতে গ্রিন হর্নেট দেখেছি। ব্রুস লীকে তখন চিনতাম বলে মনে হয় না। ব্রুস লিকে নামে চেনা শুরু করি সম্ভবত ৮৪ সালে। কাজেই গ্রিন হর্নেট ৮৪র আগে টিভিতে দেখেছি। আপনি যে সময় বলেছেন ঐ সময়েই হবার সম্ভাবনা বেশি। তবে ঐ সিরিজটা খুব বেশিদিন চলে নি।

আরেকটা সিরিজ হতো, তবে এটা রাতের ইংরেজি খবরের পর- হাইওয়ে টু হেভেন। এটাও মনে হয় আপনার লিস্টে নেই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মা.হাসান বলেছেন: এই মাত্র ইউটিউবে চেক করে দেখলাম । গ্রিন হর্নেটের মাত্র ২৬টা পর্ব শ্যুট হয়েছিলো। সপ্তাহে একটা করে দেখালে এটা ছয় মাস মতো চলার কথা। এই জন্য বেশি লোক না দেখারই কথা। ইউটিউবে ২৬টা পর্বই আছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক শুনে আরো নিশ্চিত হলাম, যে এটা আগে দেখেছি।

৩৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করার জন্য। এটা যে দেখাতো এ ব্যাপারে আমি ১০০% নিশ্চিত। কারণ আমি নিজে অনেকগুলি পর্ব দেখেছি। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৪ এর মধ্যে মনে হয় দেখাতো। আমি শুধু একজন সমর্থক খুঁজছিলাম। তবে সমস্যা নাই। যে বাজী ধরতে চেয়েছিল তিনি ব্যাপারটা মেনে নিয়েছেন। তাই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। কষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ। হাইওয়ে টু হেভেন বাদ পড়েছে। যোগ করে দিব ইনশাল্লাহ। অনেক ধন্যবাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৬

মা.হাসান বলেছেন: সমস্যা সমাধান হয়েছে যেনে ভালো লাগলো।

প্রিয় সিনেমার হিরো-হিরোইন কে এটা নিয়ে পোস্ট দিতে পারেন। আজিম-সুজাতা, রহমান-শবনম, রাজ্জাক-শাবান, মান্না, শাকিব এই পছন্দক্রম থেকেও বয়স বের করতে পারেন B-))

৩৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাত্র এক ওভারে কাইত =p~

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩

মা.হাসান বলেছেন: অভিজ্ঞতা না থাকলে চাকরি পাওয়া যায় না, আবার চাকরি না পাইলে অভিজ্ঞতা অর্জন হয় না। আমার মতো সাধু লোকেরা কোথায় যাবে |-)

৩৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাপরে বাপ, একসাথে ছয়টা প্রেমপত্র, তাও আবার ইংরেজী ভাষায়!
আগে বড় শহরে হেড পোস্টাফিসের বাইরে কিছু লোক থাকতো যারা অল্প শিক্ষিত বা অক্ষরজ্ঞানহীন লোকদের চিঠি লিখে জীবিকা নির্বাহ করতো। সেই দিন একেবারেই গেছে - গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিত মহিলাদেরকে দেখেছি, অবস্থাপন্ন ঘরের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের কাছে এসে ধর্ণা দিতে, তাদের হয়ে চিঠি লিখে দিতে।
"যাও পাখি বলো তারে , সে যেন ভোলেনা মোরে" - এ ছোট্ট দুটো পংক্তির সাথে সেকালের গ্রাম্যবালাদের হৃদয়ের যে করুণ আকুলতা ফুটে ওঠে, তা খুব বেশি কোন গানে কিংবা কবিতায় পাওয়া যায় না। আমার শোনা এরকম আরও কিছু ভাওয়াইয়া গানের কথাঃ
*যদি বন্ধু যাবার চান, ঘাড়ের গামছা থুইয়া যান রে!
*তোমরা গেইলে কি আসিবেন মোর মাহুত বন্ধু রে!
*ওরে সত্য করিয়া কন রে মাহুত, ঘরে কয়জন নারী রে! .... ইত্যাদি।

কোন বৈরাগ্য সাধনে আপনি কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন? বর্তমানে প্রচলিত স্টাইলে যে কারণটাকে ভয় করা যাচ্ছে, তা প্রধানতঃ একটা না, দুইটা হতে পারে- করোনা ও গুম। ও দুটোর একটাও না হলে, চিন্তার কিছু নাই। প্রথমটা হলেও হয়তো জানা যাবে, কিন্তু পরেরটা হলে তো ভীষণ ভয়ের কথা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১১

মা.হাসান বলেছেন: অভিজ্ঞতা আর আত্মবিশ্বাস- দুই এর অভাবের কারনেই ছয়টি চিঠি। :(

গ্রামের শিক্ষাবঞ্চিত মহিলাদেরকে দেখেছি, অবস্থাপন্ন ঘরের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের কাছে এসে ধর্ণা দিতে, তাদের হয়ে চিঠি লিখে দিতে।
কলেজে থাকাকালিন সময়ে সৈয়দপুর রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে (বার্মা শেল নামে পরিচিত ছিলো) টিস্টলে কয়েকজন বন্ধু বসে আছি। একজন বছর পয়ত্রিশের দেহাতি লোক মুখ কাচুমাচু করে বললেন তার কিশোরি বধুকে বধুর বাবা-মা আটকে রেখেছে, একখানা বিরহের চিঠি লিখে দিতে হবে। আমাদের এক সহপাঠি লিখে দিলো। সে নিয়ে কয়দিন বেশ মজা করেছিলাম।

কয়েক দফায় অসুস্থ হবার কারনে বড় বিরতী পড়ে গেছে, অনেক দুঃখিত।
কিন্তু পরেরটা হলে তো ভীষণ ভয়ের কথা।
যাহাদের চেতনা নাই এরা গুম হয়ে যাওয়াই ভালো, কি বলেন /:)

আমার শোনা এরকম আরও কিছু ভাওয়াইয়া গানের কথাঃ
*যদি বন্ধু যাবার চান, ঘাড়ের গামছা থুইয়া যান রে!
*তোমরা গেইলে কি আসিবেন মোর মাহুত বন্ধু রে!
*ওরে সত্য করিয়া কন রে মাহুত, ঘরে কয়জন নারী রে! .... ইত্যাদি।

শেষের টা শোনা হয় নি। তবে আব্বাস উদ্দিনের ''ওকি পতি ধন প্রাণ বাঁচে না যৌবন জ্বালায়'' গানটার কথা মনে করিয়ে দিলেন।

৩৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার প্রায়ই মনে হয়, বিশেষ করে বাংলার পাখিরা নারীবান্ধব, নারীরা পাখিবান্ধব। তাই এদের মধ্যে সহজে সখ্য গড়ে ওঠে, এরা সহজে একে অপরের বার্তাবাহক হতে পারে। আর পুরুষ উভয়কে শিকার করে, তাই এরা ভয়ে পুরুষের অনুগত হতে পারে, বশ্যতা শিকার করতে পারে, কিন্তু সহজে তাদের সাথে নীরব সখ্য গড়ে তুলতে পারেনা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৭

মা.হাসান বলেছেন: অসাধারণ উপলব্ধি। এভাবে কখনো ভাবি নি। তবে পুরুষরা কিন্তু শুধু শিকার করে না, কখনো কখনো ঘায়েলও হয়ে যায় :``>>

৩৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০২

মিরোরডডল বলেছেন:
মাহা এখন কেমন আছে ।
অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগলো ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: মাহা এখন কেমন আছে ।
মডু এবং করোনা, দুই এ মিলিয়ে খারাপ রাখে নাই :P
নিয়মিত হতে কিছু সময় লাগবে।
অধম কে মনে রাখার জন্য অনেক শুকরিয়া। অশেষ শুভ কামনা।

৩৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আব্বাস উদ্দীনের ''ওকি পতি ধন প্রাণ বাঁচে না যৌবন জ্বালায়'' গানটি শুনলাম। শৈশবে প্রায় প্রতি বছরে নিভৃত পল্লীতে যে কিছুদিন সময় কাটাতাম, সেসব দিনের কথা মনে পড়ে গেল। গাড়ীয়াল (গারোয়ান), মৈষাল এমনকি গ্রামের হাটুরে পথচারী কর্তৃক গাওয়া এসব ভাওয়াইয়া গান আমার কানে এখনো লেগে আছে। লিঙ্কটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: পুনরায় আসার জন্য অশেষ শুকরিয়া।

আমি শৈশবে গ্রামে খুব কম সময় কাটিয়েছি। শহর থেকে গ্রামের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৬০ কি.মি. হলেও যেতে প্রায় অর্ধেক দিন লেগে যেতো। আমার দাদি যখন মারা যান তখন আমার বয়স ৪ বা আরো কম। এর পর যোগাযোগ অনেক অনিয়মিত ছিলো। অনেক পরে যখন যাতায়াত কিছুটা নিয়মিত করার চেষ্টা করেছি তখন এসব গান হারিয়ে গেছে, তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে এখনও কিছু বিয়ের গীত শোনা যায়। । আমার যা শোনা প্রায় সবটাই ক্যাসেটে আর এখন ইউটিউবে।

মন্তব্যের জবাবের ক্রম ঠিক রাখতে পারছি না, এজন্য আন্তরিক দুঃখিত।
অশেষ শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.