নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাটে না সময় যখন আর কিছু তে, টুয়েন্টিনাইন খেলাতেও মন বসে না

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭

প্রথম পর্ব - যাও পাখি বলো তারে...



(এই পর্বেও ভৌতিক কিছু নেই। পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আমি গ্রামে কি করছিলাম। সেই কৌতুহল গুলো আগে থেকে মিটিয়ে রাখছি। যারা ভৌতিক অভিজ্ঞতা ছাড়া অন্য কিছুতে আগ্রহী না, তাদের অনুরোধ করবো এই পর্ব বাদ দিয়ে যেতে । পরের পর্বে কিছুটা ভৌতিক ঘটনা থাকতেও পারে। )


মুহিব আমার আপন জেঠাতো ভাই। বয়সে আমার চেয়ে সামান্য একটু বড়; তবে অভাবের কারণে শরীরে গ্রোথ কম, আমার চেয়ে ছোট দেখায়। ভাইদের মধ্যে এর সাথেই আমার ওঠাবসা সবচেয়ে বেশি। সকাল নয়টার মধ্যেই মুহিব এসে উপস্থিত। আমাদের বাড়ি থেকে গ্রামের দূরত্ব প্রায় আড়াই ঘন্টার পথ, কাজেই মুহিবকে সূর্য ওঠার পরে পরেই রওনা দিতে হয়েছে। সকালবেলা খাওয়া দাওয়া করে একটু জিরিয়ে বাবা-মায়ের সাথে জরুরী কথা বার্তা সেরে আমরা এগারোটার দিকে বের হয়ে পড়লাম, দুপুরের খাওয়া গ্রামে ।

তিরিশ বছর আগের উত্তরবঙ্গের গ্রাম এমন কোন আকর্ষণীয় জিনিস ছিল না। এখানে প্রেমপত্র লেখার মতো কেউ নেই, বেশিরভাগ মেয়েরই স্কুলে উঁচু ক্লাসে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। কলেজে পড়ুয়া যে দুই একজন আছে তারা সম্পর্কে হয় ভাতিজি, না হয় ভাগ্নি না হয় নাতনি-পুতনি। নোয়াখালী কুমিল্লার গ্রামগুলোতে সেই সময় বিদ্যুৎ থাকলেও উত্তরবঙ্গের গ্রামে কেনো থানা সদরে ও সেই সময়ে সরকারি অফিসের বাইরে বিদ্যুৎ খুব একটা ছিল না।

গ্রামের শৌখিন লোক শরীফ চাচা। ওনার বাসায় একটা সাদাকালো টেলিভিশন ছিল, ব্যাটারীতে চলে । সপ্তাহে দুই দিন করে থানা সদর থেকে ব্যাটারি চার্জ দিয়ে আনতে হতো। যারা ব্যাটারীতে টেলিভিশন দেখেন নাই তারা জানেন না এই বস্তু কি জিনিস। টেলিভিশন দেখছেন, একটু পরেই টেলিভিশনের স্ক্রিন ছোট হওয়া শুরু করল। ক্রমশ স্ক্রিনের চারপাশে কালো হতে হতে একসময় দেখা গেল যে একুশ ইঞ্চি টিভির ভিজিবল স্ক্রীন মাত্র আট-দশ ইঞ্চি , তারপরে ছবি নেই হয়ে গেল।

সেই সময় বিটিভি ছাড়া আর কোন টেলিভিশন চ্যানেল ছিলো না। ঢাকায় গামলা আসা শুরু হয়েছে কেবল। তবে বিটিভির অনুষ্ঠান খুব ভালো মানের ছিল। এমনকি খবরের মানও ভাল ছিল। সিরাজুল মজিদ মামুন, রোকেয়া হায়দার, আমিনুল হকের মতো ভালো ভালো খবর পাঠক খবর পড়তেন। বিটিভির সাপ্তাহিক নাটক গুলো খুব ভালো মানের হতো। তো, দু এক দিন ব্যাটারির টিভি দেখে আমি আর আগ্রহ পাই নি।

অধিকাংশ বাড়িতেই মাগরিবের নামাজের পরে রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে নেয়া হতো, এশার নামাজের পরেই ঘুম। কেবল শরিফ চাচার বাসায় রাত নটা পর্যন্ত টেলিভিশনের শব্দ। শীতের রাত, সাড়ে সাতটার মধ্যে এশার নামাজ শেষ। অত্যন্ত নিস্তরঙ্গ জীবন। করার মতো কিছু নেই। ইন্টারনেটের নাম তখন পর্যন্ত বাংলাদেশ জানে না। সাথে বই ছিলো মাত্র কয়েকটা । সময় কাটে না ।

বিকেলবেলাটাতে ইউনিয়ন সদরের বাজারে যাই। মুহিবের দোকানে বসে থাকি। মুহিবের একটা ঘড়ি-রেডিও সারাইয়ের দোকান আছে, ওর চলে যায় (মুহিব তখনো বিয়ে করে নি, এখন নানা হয়ে গেছে)। মাঝে মাঝে পাশের ডাক্তার জ্যাঠার বাসায় যাই। ঐ এলাকায় মাত্র দুটো বাসায় দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়। জ্যাঠাতো ভাই পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খুঁজছেন। সেজন্য ইত্তেফাক রাখেন । ইত্তেফাকের দাম পঞ্চাশ পয়সা থেকে বেড়ে দু টাকা হয়েছে। মাসে ষাট টাকা খুব কম না। তবে ঢাকা থেকে পেপার আসতে আসতে বিকেল হয়ে যায়।

মুহিবদের জীবনটা বড় কষ্টে কেটেছে। মুহিবের বাবা মুহিবের জন্মের পরপরই মারা যান। গ্রামে প্রচলিত কাহিনী এই যে- উনি বান মারা কাটাতে পারতেন; কিন্তু কাউকে বান মারতেন না। তো একবার এরকম ক্লায়েন্টের অনুরোধে বান মারা কাটানোর জন্য উনি ঘর থেকে বের হচ্ছেন এই সময় ওনার বড় ছেলে ( মুহিবের বড় ভাই )এসে ওনাকে বাধা দেয়। বান কাটানোর কাজ নাকি এতো সাংঘাতিক যে অসম্পূর্ণ রাখলে ওটা উল্টো রিএকশন হয়ে নিজের উপর আসে। সেই কারণে মুহিবের বাবা মারা যায়।

আমি অনেকজনকে জিজ্ঞেস করে এই ভার্সনই পেয়েছি। আমার ধারণাআমার ওই বড় আব্বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। সেই সময় গ্রামের শিক্ষিত লোক মাত্র পাঁচ-ছ জন ছিলেন। তারাও শহরে থাকতেন। ঘটনা বোঝার মতো কেউ ছিলো না। গ্রামের কুসঙস্কারাচ্ছন্ন লোকজন এই বান মারার ঘটনায় বিশ্বাস করে।


মুহিবের একদম বড় ভাই তেমন একটা লেখাপড়া করতে পারেন নি। মুহিবের ইমিডিয়েট বড় ভাই ইন্টারমিডিয়েট ফেল। মুহিব নিজে ক্লাস এইট এর পরে আর পড়াশোনা করতে পারেনি। তবে মুহিব self-made ছেলে। রেডিও ঘড়ি এসবের মেরামতি শিখে নিয়েছে। হাতের কাজ খুব ভালো। দিন চলে যায়। তবে কিছুটা অসৎ সঙ্গে পড়ে গিয়েছিল। মাঝে মাঝেই ফেনসিডিল খোরদের সঙ্গে বসে নেশা করত। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে ফেনসিডিল খুব সহজলভ্য ছিল। ঢাকায় যদিও ৮০-১০০ টাকা বোতল, ঐ এলাকায় ১৫-২০ টাকায় পাওয়া যেতো।

এর মাঝে আমার কলেজের ক্লাসমেট কামরুজ্জামান এবং ওয়াজেদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই ( কামরুজ্জামান পরে ২০০০ সালের দিকে ক্যান্সারে মারা যায়। কামরুজ্জামানের বাবা আমার বাবার চেয়ে বয়সের প্রায় কুড়ি বছরের বড় হলেও দুজনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক সম্পর্ক ছিল)। কামরুজ্জামান একই থানায়, ওয়াজেদ নয় কিলোমিটার দূরের পাশের থানায় থাকে। সপ্তাহে দু তিনদিন কামরুজ্জামান আর ওয়াজেদ (সাথে ওয়াজেদের বড় ভাইয়ের শ্যালক) শালবনে মটরসাইকেল নিয়ে চলে আসে। আমরা চারজন মিলে টুয়েন্টি নাইন খেলি।

যতক্ষণ তাসের ফোটা দেখা যায় ততক্ষণ খেলা চলে। একদিন কামরুজ্জামান বলার চেষ্টা করেছিল --ভাই এদিকে হাতি বের হয় আমরা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। গত ৭০-৮০ বছরে এদিকে কেউ হাতি দেখেনি। কামরুজ্জামান বলার চেষ্টা করছিলো এটা সত্যি কারের হাতি না, অশরীরী হাতি। তা নিয়ে আমরা খুব ঠাট্টা তামাশা করেছিলাম।

ওয়াজেদের বাবা কাজি সাহেব। উনিও বাবার বন্ধু স্থানীয়। ওয়াজেদের বিয়ের কথাবার্তা চলছে। গ্রাম দেশে এটা খুব স্বাভাবিক। তো ওয়াজেদকে একদিন বললাম - চল তোর হবু শশুর বাড়ি ঘুরে আসি। ওয়াজেদের জবাব ক্যানরে? আমার শালিদেরও কি চিঠি দিবি নাকি? চিঠির খবর এদিকেও চলে এসেছে। বড় হতাশ হই। কবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে সেই কথা ভাবতে থাকি।

তো মোটামুটি এভাবেই আমার গ্রামের দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল। অত্যন্ত বোরিঙ জীবন।

তৃতীয় পর্বঃ যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙলো ঝড়ে

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৪

সাগর শরীফ বলেছেন: গ্রাম বোরিং না ভাই, আমরাই আধুনিক।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

মা.হাসান বলেছেন: আসলে আমাদের প্রত্যেকের একটা জীবন যাপনের স্টাইল আছে। আমরা সেই স্টাইলে অভ্যস্থ। আমার কাছে মনে হয়েছে ঘড়ি নামের বস্তুটা গ্রামে অপ্রয়োজনীয়। দুই কিলোমিটার পথ, যেটা হেটে যেতে ২০-২৫ মিনিটের বেশি লাগে না, সেটা মটর সাইকেলে যেতে দেড় ঘন্টা লাগে। পথে সকলের সাথে কেমন আছিস- কি খবর এই সব করতে সময় যায়। আমার মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। আবার গ্রাম থেকে কেউ যখন ঢাকায় আসে তখন তারও এই যান্ত্রিক জীবনে মানাতে কষ্ট হয়। দুটা দু রকম।

যারা গ্রামের জীবনের সাথে অভ্যস্থ তাদের সমস্যা হবার কথা না। আমি ওখানে করার মতো কিছু পাচ্ছিলাম না। সময় কাটতে চাচ্ছিলো না। এজন্য আমার কাছে বোরিঙ লাগছিলো বলতে চেয়েছি।
অনেক শুভকামনা।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

সোহানী বলেছেন: লিখাটা একটু ছাড়া ছাড়া মনে হয়েছে কিন্তু তারপরও ভালোলেগেছে। চলুক.........

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। এই লেখাটি নিয়ে আমিও সন্তুষ্ট নই। কিছু রিপিটেশন আছে, আগের কথা পরে, পরের কথা আগে আছে। অনেক গুলো জিনিস জোড়া দেয়া হয়েছে, জোড়া গুলো স্পস্ট হয়ে আছে, যা সৌন্দর্যহানী করেছে। কন্টেন্ট দূর্বল, পরিবেশনাও ভালো হয় নি। আরেকটু গুছাতে পারলে হয়তো ভালো হতো।

পোস্টটি দিতে যেয়ে একটু তাড়াহুড়া করেছি। মডু একটা ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন। ঐ সময়ের মধ্যে পোস্ট করলে নাকি পরের এক বছরের মধ্যে আর জেনারেল করবে না, যত আক্রমনাত্মক পোস্ট বা কমেন্ট করি না কেনো। ডেডলাইন একটা বিষয় ছিলো। আর এই দিন সকাল থেকে ইন্টারনেট ছিলো না। সিটি করপোরেশন কেবলের বিরুদ্ধে জিহাদে নেমেছে। গত তিন সপ্তাহে আমার বাসার ইন্টারনেট কেবল দু বার কাটা পড়লো। মোবাইল-ভিপিএন দিয়ে লিখতে হয়েছে।

এর পরেও যখন বলেছেন ভালো লেগেছে, তখন বুকটা এত ফুলে গেছে যে সার্টের একটা বোতাম ছিড়ে গেছে।
চলতে চলতে কিন্তু থেমে গেছে। শেষ পর্বের লিঙ্ক দেয়া আছে।

অনেক শুভ কামনা। খুলনার বাসার ভৌতিক অভিজ্ঞতার আরো পোস্ট দেবার জন্য পুনরায় অনুরোধ রইলো।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,




আপনিও মনে হয় ভুতে ধরার প্রথম ষ্টেজে আছেন। নইলে চিঠির কথা শাক চুন্নীর মতো আপনার পেছনেই লেগে রইলো কেন ? আর তাতেই কি ৩০ বছর আগে ফেনসিডিলের কথা লিখেছেন। ঐ সময় কি ফেনসিডিল ছিলো নেশার কাতারে ? মনে হয় ঐ সময়কালে দেশী স্পিরিট পাওয়া যেতো গ্রামে গঞ্জে।

আর গল্পের প্রথম প্যারার তৃতীয় লাইনে " আমাদের বাড়ী" দু'বার এসেছে । মনে হয় ওর একটা "মুহিতদের বাড়ী" হবে।

আপনিও তো দেখি পাঠকের সামনে দড়িতে ল্যাবেনচুস ঝুলিয়ে রাখলেন, "ভৌতিক ঘটনা থাকতেও পারে" বলে।
এখন, পাঠক এই আগাম বাণীতে প্রলুব্ধ হয়ে লাইন দেবেন আপনার ঘরে। তা চা-পানির যোগান দিতে পারবেন তো ? :P

এক কালের গ্রামীন জীবনের নিখুত চিত্র লেখাটি জুড়ে। +++++

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

মা.হাসান বলেছেন: মন্তব্যের জবাব সময় মতো দিতে না পারার জন্য দুঃখিত।
ঐদিন ই মন্তব্য দেখে 'আমাদের বাড়ি' দু বার আসাটা ঠিক করেছি, কিন্তু সময়াভাবে প্রত্যুত্তর করা হয় নি।

আমার এই তিন পর্বের লেখার সবচেয়ে দূর্বল স্টেটমেন্ট (আমার হিসেবে) মুহিবের ফেন্সিডিল খাওয়া। আপনি এক নজরে সেটা ধরে ফেলেছেন। এক কথায় এর ব্যখ্যা দেয়া সম্ভব না, একটু বড় হয়ে যাচ্ছে, এর জন্যেও দুঃখিত।

এক সময়ে বাংলাদেশের ওষুধের দোকানে ফেন্সিডিল বিক্রি হতো । আমার মাও কাশির জন্য খেয়েছেন। সম্ভবত মে অ্যান্ড বেকার (বা এরকম কোনো একটা ওষুধ কম্পানি, নাম ঠিক নাও হতে পারে) নামের একটা ওষুধ কম্পানি এই ওষুধ তৈরি করতো। এরশাদ সরকারে সময়ের ওষুধ নীতিতে এই ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়।

যা হোক, জাতি হিসেবে আমরা প্রতিভাবান। নিত্য নতুন নেশার দ্রব্য খুঁজে বের করতে আমাদের জুড়ি নেই। ঐ সময়ে বিকল্প হিসেবে ইউনেকটিন নামের ট্যাবলেট ব্যবহার হতে দেখেছি। ফেন্সিডিলের একটা উপাদান প্রমিথাজিন দিয়ে তৈরি সিরাপ ফেনারগানও ব্যবহার হতে দেখেছি। নেশার দ্রব্যের আকাল পড়লে বাঙালি টিকটিকির লেজ খেয়ে , তাও না মিললে পলিথিনের মধ্যে শ্বাস নিয়ে বা সাইকেলের লিক সারানোর আঠা শুকেও নেশা করে।

আশির দশকে ফেন্সিডিল নিষিদ্ধ হবার সময়ে কিছু আসক্ত লোক ছিলো। তবে ঐ সময়ে ভারত থেকে এটা অবৈধ পথে খুব একটা মনে হয় আসতো না। আসতো হেরোইন। ভারতে ব্রাউন সুগারও পপুালর ছিলো। বাংলাদেশে হেরোইন আর প্যাথেডিন- এই দুটা সম্ভবত মূল নেশার উপকরন ছিলো।

সীমান্তবর্তি জেলা হওয়ায় আমাদের ওখানে হিরোইন স হজ লভ্য ছিলো। প্যাথেডিন মনে হয় ঢাকাতেই বেশি চলতো।

এই পোস্ট দেয়ার আগে পরিচিত দু জনের সাথে কথা বলেছি। আমার স্মৃতি থেকেও যতটা মনে পড়ে ভেবে দেখেছি। সম্ভবত ১৯৯২-৯৩এর আগে দেশে ফেন্সিডিল তেমন একটা আসতো না। এই পোস্টের ঘটনা তার আগের। তাহলে কি মুহিব ফেন্সিডল নিতো?

ঠিক উত্তর আমার জানা নেই। আমার মন আমাকে বলে যে হেরোইন নিলে মানুষ বাঁচে না (এটা ভুল ধারণা, কিন্তু এটা জেনেই আমি ঐ সময়ে বড় হয়েছি)। কাজেই আমি বিশ্বাস করতে চাই যে মুহিব হেরোইন নিতো না। স্পিরিটখোরদের একটা আলাদা গ্রুপ আছে। মুহিব সম্ভবত ঐ গ্রুপের সাথে চলতো না। ওর হাতে সুই এর দাগ দেখি নি। তবে সুই ছাড়াও হেরোইন নেয়া যায়।

ঐ এলাকায় সীমান্ত এখনো এত অরক্ষিত যে স্থানীয়রা যে কোনো সময়ে ভারতে ঢুকছে-বেরোচ্ছে এমন দেখেছি। ৯৩এর পর দেদারসে আসা শুরু হলেও, ঐ সময়েও কিছু ফেন্সিডিল মনে হয় আসতো।

আমি নিশ্চিত না মুহিব ফেন্সিডিলই নিতো কি না। ওর বড় ভাই একটা গ্রুপের সাথে ওঠা-বসা করতো, এরা সাধু নামে পরিচিত। সব এলাকায় আছে। লাল জামা পরে, একতারা বাজায়। আর প্রচুর গাজা খায়। মুহিব গাজার নেশাও করতে পারে। স্পিরিটও হওয়া সম্ভব। ও কখনো রিহ্যাব যায় নি। নিজে থেকে নেশা ছেড়েছে। নিজে থেকে হেরোইন ছাড়া প্রায় অসম্ভব বলে মনে করি।

মুহিবের ফেন্সিডিল খাওয়ার ঘটনা সত্য নাও হতে পারে। তবে আমার মন এটা মানতে চায় না যে ও হেরোইন নিতো। আপনি এ বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞতা রাখেন- অনেক দেখেছেন। সময় পেলে আপনার মতামত জানালে ভালো লাগবে।

এখন গ্রামের প্রায় সব বাড়িতে টিভি, অধিকাংশ বাড়িতে ডিশ কানেকশন। আমার কাছে অবাক লাগে, কোনো বাসাতেই শিল-পাটা নেই। সবাই গুড়া মসলা খায়।

এত গুলো প্লাসের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগল গ্রাম্য স্মৃতিচারন। :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু মামা। আপনার ভালো লাগা আমার প্রেরনা। অনেক শুভ কামনা।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভুত দেখাবেন বলে হাতি দেখানোর গল্প বললেন কিন্তু সেই হাতিও তো এলো না।

গ্রামে কাটানো সময়গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩

মা.হাসান বলেছেন: ভুত দেখানোর চাইতে ইথার দেখানো অনেক সহজ। :P

ভুত উপলব্ধির বিষয়। অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করিতে হইবে। পরের পর্বে একটা ঘটনার কথা বলা হয়েছে যেটা আপাত ভাবে কিছুটা অস্বাভাবিক, তবে আমার উপলব্ধি শক্তি কম বলে ভুত বলে মানতে পারি নি।
ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। অনেক শুভকামনা।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখে ঢুকলাম, আমার গ্রামের জীবন কাহিনী খুবই মধুর ছিল, কইমু নে কোন একদিন

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬

মা.হাসান বলেছেন: ড্রয়ার ভর্তি প্রেমের চিঠি ছিলো আপনার, সময়তো মধুর কাটবেই B-)) । কোনো একদিন কেন, এই রোববার থেকেই শুরু করেন। আমরা দুলাভাইরে কমু না, কথা দিলাম।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রামের জীবন বট মিস করি।
আপনার পোস্ট পড়ে এখনই আমার গ্রামে ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

মা.হাসান বলেছেন: করোনার প্রকোপ চলে যাক, তার পর নিয়মিত ছুটে যেয়েন। আমাদেরও সাথে নেবার অনুরোধ থাকলো।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
হাসান ভাই ,
গ্রামীন পরিবেশের সহজ সরল জীবনের উপস্থাপনা বিশেষ
ভাবে আমার ভালো লেগেছে । বানমারা আমার একজনই
ফুফু প্রায় ৭৫ বছরের কাছাকাছি এই প্রবীণ ফুফুর কাছেও
বান মারার একটি ঘটনা শুনেছিলাম। এবং মনে হয়েছিল
ঘটনাটি সত্যি । দেখা যাক আগামী পর্বে অশরীরী হাতি না
পরী আসে ?
ধন্যবাদ আপনাকে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: মুক্তা আপু, আমার আপন বড় আব্বা এবং একজন জ্যাঠাতো ভাইয়ের ওপর বান মারার ঘটনা শুনেছি। ঘরের দরজার নীচ থেকে পাখির ঠোট সহ আরো কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছিলো। ওনারা দুজন প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। এরকমই শুনেছি। ঘটনা আসলে কি তা বলা মুশকিল। যা শোনা যায় বেশির ভাগ ভন্ডামি। দু-একটা হয়তো সত্য হতেও পারে, জগতের সব কিছু দেখি নি বলে সব উড়িয়ে দিতে পারবো না।
পরের পর্ব পোস্ট করেছি। হাতী বা পরী আসে নি :(
খুন খারাবি এসেছে। :(

বিশেষ ভালো লাগায় প্রীত হলাম। অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও শুভ কামনা।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৫

ওমেরা বলেছেন: ভালো তো ভুত পেত্নীর দেখা নাই , গ্রাম ট্রাম ঘুরে এলাম ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: আজকাল মানুষ অনেক বেশি ডেঞ্জারাস। ভুতেরা মানুষকেই বেশি ভয় পায়। এর পরেও ভুতের দেখা পেতে চাইলে আমার যে বান্ধবীর ছবি পোস্ট করেছিলেন ওনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন B-))

ঘোরাঘুরি করবেন ঠিক আছে, কিন্তু সবকিছুই এখন সীমিত আকারে, সোসাল ডিস্ট্যান্স মেনে।

অনেক শুভ কামনা।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন । ভালো লাগা অবিরাম ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

মা.হাসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই। সতত শুভ কামনা।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বড্ড সহজর সরল ছিল সে গ্রামীন জীবন!

বেশ ফুটে উঠেছে লেখায়...
পরের পর্বের অপেক্ষায়

++++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: ভৃগু ভাই, অনেক দিক বিবেচনায় সেই জীবন আসলেই সহজ-সরল ছিলো। তবে ভিলেজ পলিটিক্স বলে একটা বিষয় ছিলো। প্রায় প্রতি গ্রামেই দু-একজন অতি সূক্ষ বুদ্ধির লোক থাকতেন। যে কোনো বিষয়ে ঘোট পাকাতে ওস্তাদ। বাংলাদেশের অনেক গ্রামেই দেখেছি দুটা মসজিদ, খুব কাছাকাছি। গোটা গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত। এক মসজিদের লোক অন্য মসজিদে যায় না।

এরশাদ সরকারের সময়ে আমাদের গ্রামে অনেক চেষ্টা তদবির করে একটা প্রাইমারি স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলো। কারা কতৃত্ব নেবে এই দ্বন্দ্বে স্কুল আর হয় নি।

আমাদের গ্রামে এখনো সাপে কাটা রুগিকে হাসপাতালে নেয়া হয় না। ওঝাই দেখে। (অবশ্য হাসপাতালে নিয়ে লাভ নেই, সাপে কাটা রুগির কোনো ওষুধ হাসপাতালে নেই)।

এরকম কিছু বিষয় বাদ দিলে গ্রাম অনেক নিরিবিলি, সহজ, ইদুর দৌড় বিহীন নিস্তরঙ্গ জীবন।

পরের পর্বের লিংক পোস্টের শেষে।
অনেক শুভ কামনা।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: কিসের ভৌতিক গল্প? এটা তো আপনার জীবন কাহিনী লিখে ফেলছেন।
তবে পড়তে বেশ মজাই লাগছগে। উত্তরবঞগে বাড়ি হলেও ছোটবেলায় নানা বাড়িতে বেড়ানো ছাড়া তেমন কোন স্মৃতি মনে নেই।
আমি আবারও বলছি আপনার স্মরণ শক্তি খুবই ভালো। বেশ ঝরঝরে হয়েছে জীবন গদ্য।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

মা.হাসান বলেছেন: আপনার অস্পর্শ গল্পে জেনেছিলাম ঐ খানে আপনার নানার বাড়ি। আপনার নানবাড়ি থেকে আমার দাদার বাড়ির এরিয়াল ডিসট্যান্স ১৫-৩০ কিলোমিটারের মতো হবে বলে মনে করি, এর বেশি হবে বলে মনে হয় না।

যা বলেছি তা যাচাই করবে কে? B-)) কাজেই স্মরণ শক্তি ভালো না মন্দ বলা মুশকিল।
অশেষ শুভ কামনা।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



পল্লী স্মৃতি অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়। সুন্দর। চলুক। +

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮

মা.হাসান বলেছেন: যখন ছোটো ছিলাম, যাতায়াত ব্যবস্থা খুব খারাপ ছিলো। বাস-ট্রেন বদল করে যেখানে নামতাম, সেখান থেকে গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার ছিলো, গরু/মহিষের গাড়ি ছাড়া ঐ রাস্তায় পরিবার নিয়ে যাতায়াতের অন্য কোনো উপায় ছিলো না। ট্রেন মোটামুটি টাইম মেনে চলতো, লেট হলে বিশাল সমস্যা। গ্রাম থেকে চাচাতো ভাই বা এরকম কেউ গরুর গাড়ি নিয়ে সকালে এসে সারাদিন অপেক্ষা করতেন। এজন্য গ্রামে কম যাবার সুযোগ পেয়েছি।

সমবয়সী অন্য ছেলেরা যেখানে গাছ বাওয়া, সাতার কাটা, গুলতি ছুড়ে পাখি মারা বা মাছ ধরার মত আনন্দ করতে পেরেছে আমার সেই আনন্দ লাভ হয় নি। তবে প্রচুর পিঠা খাওয়া হতো। এখন অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে। এর পরেও পুরাতন দিনের স্মৃতি আসলেই অনেক কিছুই মনে করিয়ে দেয়।
অশেষ শুভ কামনা।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: উত্তরবঙ্গে কখনও যাইনি। যে সময়কালের ঘটনা বর্ননা করছেন সেটা খুব সম্ভবত ত্রিশ পয়ত্রিশ বছর আগেকার কাহিনী । ভাল লাগছে পড়তে ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৩

মা.হাসান বলেছেন: এখনো পাসপোর্ট লাগে না :-0 , পরের বার দেশে আসলে ঘুরে যেতে পারেন।
পয়ত্রিশ বছর হবে না, ২৮-৩২ এই সময়কালের মতো হবে।ইচ্ছে করেই একটু ফাক রাখছি। উত্তর বঙ্গে উন্নয়ন অনেক ধীর গতিতে হয়েছে, বিদ্যুত না থাকার ঘটনা শুনে হয়তো আপনার ৩৫ বছর মনে হয়েছে।

তবে হাওয়া ভবনের কল্যানে বিদ্যুৎ না থাকলেও , খাম্বা কিন্তু ছিলো B-))

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: হাতীর সঙ্গে হাতাহাতি শেষপর্যন্ত হয় কি না দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

মা.হাসান বলেছেন: হাতাহাতি একটা হয়েছিলো, তবে হাতীর সাথে মনে হয় না। পোস্ট পরের দিন দিয়েছিলাম, মন্তব্যের জবাব দিতে অনেক বিলম্ব হচ্ছে, আন্তরিক দুঃখিত। অশেষ শুভ কামনা।

১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: সময়ের ম্যাড়ম্যাড়া বর্ণনা পড়লাম মনে হচ্ছে......আপনার চিরাচরিত লেখা থেকে ব্যতিক্রম। :D


উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে ফেনসিডিল খুব সহজলভ্য ছিল। -- ঠিকই বলেছেন। এটা এখনও মনে হয় যতটুকু জানি তুলনামূলক ঢাকা থেকে অনেক কম। ভারতের সীমান্তের ওপারে কারখানা দিয়ে এপারে সরবরাহ...মায়ানমারে বাবা, আর ভারতের ডাল...আর বাংলাদেশের পোড়া কপাল...... :(

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১

মা.হাসান বলেছেন: B-))
ম্যাড়মেড়ে হবার কথা। গ্যাঞ্জাম বিহীন পোস্ট লিখিতে ইচ্ছা করে না। এই পর্বে গ্যাঞ্জামের সুযোগ কোথায় !
ব্যক্তিগত কথা পোস্টে লিখিবার ইচ্ছাও নাই (ভ্রমন অভিজ্ঞতা ছাড়া), কিন্তু ভুতের কাহিনী এমন জিনিস যে অন্যের কাছে শুনিয়াছি বলিলে লোকে শুরুতেই নাক সিটকাইয়া রিজেক্ট করিয়া দেয়। বাধ্য হইয়া নিজের ঘটনা বলিতে হইতেছে।

এখনো আসলেই ঢাকার থেকে ফেন্সিডিলের দাম ঐ এলাকায় কম। ভারতের বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা গুলোতে ফেন্সিডিলের কারখানা কুটির শিল্পের মতো গড়ে উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শিদের হিসেবে কোনো কোনো এলাকায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তি ভারতীয় একটি মাত্র গ্রাম/গঞ্জে ৫০ বা আরো বেশি ছোটো আকারের ফেন্সিডিল কারখানা আছে। প্লাস্টিক জার, ড্রাম, বোতল - সব ভাবেই আসে। শুনেছি এক্সট্যাসি ট্যাবলেটে ড্রেন পাইপে জমা গাঁদ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এই সব কারখানায় ফেন্সিডিল তৈরিতে কি ব্যবহার করা হয় জানা নাই। ওষুধ কারখানায় নূন্যতম কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ব্যবস্থা ছিলো, এখন তাও নাই।

মানুষ এমনিও খায়, ওমনিও খায়। দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোকে ডাল-বাবা এসব তৈরির অনুমোদন এবং হাই ট্যাক্স ধার্য করা হলে টাকাটা পুলিশ-চোরাচালানিদের হাতে না যেয়ে সরকারের কাছে যেতো।

১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

জুন বলেছেন: নেশা করতেন :-*
তারপর ভুতেরও কোন দেখা সাক্ষাৎ নাই :(
আখেনাটেন বলেছেন: সময়ের ম্যাড়ম্যাড়া বর্ণনা পড়লাম মনে হচ্ছে.
লেখার জন্য আপ্নারে কেউ চাপাচাপি করতেছে নাকি মা হাসান B:-)
দেখি তৃতীয় পর্বে ভুত আছে নাকি B-)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮

মা.হাসান বলেছেন: কবিতা লেখা এবং পড়ার নেশা ছাড়া বিশেষ নেশা নাই B-))

সুমন কর বিষয়ক পোস্ট গায়েব করার পর ভুত আপাতত ছুটিতে আছে। ছুটি শেষ হলেই দেখা পাবেন।

লেখার জন্য আপ্নারে কেউ চাপাচাপি করতেছে নাকি মা হাসান B:-)

মডু একখানা ডেডলাইন ঝুলাইয়া দিয়াছিলো- আট তারিখ রাত বারোটা (মডুর মনে হয় ভুতের ডর নাই, ঠিক রাত বারোটাতেই তো ভুত বঝির হয়)। ঐ সময়ের মধ্যে পোস্ট করা ভুতের গল্প মডুর ভালো লাগিলে এক বছরের জন্য মডু আর জেনারেল করিবে না, যত গ্যাঞ্জামের পোস্ট দেই আর যতই গাৈ দেই না কেনো। সেই লোভ ছিলো । কাজেই এক খানা চাপ তো ছিলো।

ভুয়া মফিজ এক সপ্তাহ ধরিয়া নিখোঁজ। ভুতে ধরিলো? নাকি হানিমুনে গেলো? :P কোনো খবর আছে আপনার কাছে?

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১

করুণাধারা বলেছেন: প্রথমে বললেন ভৌতিক গল্প দিচ্ছেন, জমিয়ে প্রথম পর্ব শুরু করলেন আর এখন বলছেন এই পর্বে ভূতের কিছু নাই!! অনেকটা বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ঘাটশীলায় মস্ত বড় পাথর উল্টানোর মত লাগছে...

এমনেও মাথায় গোলমাল করে দিচ্ছেন! গল্পের প্রথম প্যারায় মুহিত- মুহিব, ৭ নম্বর প্যারায় এসে হয়ে গেল মুজিব!!

জুনের থেকে জানলাম...নেশা করতেন :-* !!!

পরের পর্বও পড়লাম, প্রথম আর তৃতীয় পর্বের শিরোনাম গানের লাইন, দ্বিতীয় পর্বেও মিল রাখতে গানের লাইন দিয়ে শিরোনাম দিলে ভালো ছিল, যেমন: বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম... বা, গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ...

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

মা.হাসান বলেছেন: আসলে কত টুকু হলে বলা যাবে ভুত দেখলাম , কতটা হলে বলবো এখনো দর্শন হয় নি, এই সীমারেখা টানা মনে হয় জলের মতো সহজ না। আপনি যদি ভুতের আইআর ছবি বা এক্সরে ইমেজও নিতে পারেন, যুক্তিবাদিরা বলবে যন্ত্রে এরর ছিলো।

চাচাতো ভাইয়ের নাম মুহিবই লিখতে চেয়েছিলাম, ভুল সম্পূর্ণই অনিচ্ছাকৃত, রাষ্ট্রদোহিতার কোনো ইচ্ছাই ছিলো না। :-&

২য় এবং ৩য় পর্ব একটু কম গোছানো, কিছু বর্ননা মনে হয় না আসলেও চলতো। আরেকটু গোছানো যেতো । এর পরেও কষ্ট করে পড়ে লাইক এবং সুন্দর মন্তব্য করায় কৃতজ্ঞতা।

শিরোনামটা বদলে দিলাম। এর পরেও আমি ঠিক সন্তোষ্ট না। ছবিটা নিয়েও আমি সন্তুষ্ট না। তাস খেলাটাই মূখ্য হয়ে গিয়েছে। ভালো কিছু পেলে বদলে দেবো। আপনার কোনো সাজেশন থাকলে জানানোর জন্য অনুরোধ রইলো।

অশেষ শুভ কামনা।

১৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ, পরের পর্ব পড়ে দেখি।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩

মা.হাসান বলেছেন: ব্যস্ততার জন্য প্রতি মন্তব্য ঠিক মতো করতে পারছি না। আন্তরিক দুঃখিত। এই কমেন্টের পরেই পরের পর্বে যাচ্ছি। পাঠ শেষে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলেই রিউমার বাতাসের আগে চলে :-B

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১

মা.হাসান বলেছেন: ছাত্রাবস্থায় আমার পাশের রুমে কুষ্টিয়ার এক বড় ভাই থাকতেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে ওনাদের ওখানে কথ্য আছে- আমার বাপ হজ করে আসলো তাতে নিজের গ্রামের লোকেই চিনতো না, আর বোন পালায়ে বিয়ে করলো তো আশে পাশের তিন থানার সবাই এখন চেনে। :(

বললে বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, সাবধানতা হিসেবে আমি বিয়ে করেছি অনেক দূর দেশে B-))

২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ছোটবেলায় প্রতিবছর যখন স্বল্পকালীন সময় গ্রামে কাটাতাম, তখন দেখতাম আগের দিনের খবরের কাগজ পরের দিন বেলা দশটা এগারটার আগে পাওয়া যেত না। সেটা নির্ভর করতো ট্রেনের আসা-যাওয়ার উপর।
বাংলা সংবাদ পাঠক 'আমিনুল ইসলাম' এর সঠিক নামটা বোধ হয় আমিনুল হক ছিল। আপনার ভুল হবার কথা নয়, ভুল হলে আমারই হতে পারে, তবুও সাহস করে কথাটা বলেই ফেললাম।
সে যুগে 'ইন্টারমিডিয়েট ফেল'ও একটা মোটামুটি বড় কোয়ালিফিকেশন ছিল বটে! :) ওদের সামনে আজকের যুগের গ্রাজুয়েটরা দাঁড়াতেও পারবে না।
চিঠির খবর এদিকেও চলে এসেছে! :D
যারা তাস খেলে, তাদের ব্রেনও খুব ভাল খেলে বলে শুনেছি। আপনিও হয়তো এ কথার অন্যথা নন।
বোরিঙ জীবন নিয়ে লেখা পোস্ট পড়তে কিন্তু মোটেই বোরিং লাগলো না। তাই পোস্টে ২২তম প্লাস রেখে গেলাম, যা ব্লগের এই দুর্দিনে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলে মনে করি। + +

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: খুব যখন ছোটো, তখন দেখেছি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা (ইত্তেফাক আর অবজারভারই চলতো, কদাচ কোথাও কোথাও সংবাদ দেখেছি) আমাদের শহরে পরের দিন আসতো। এটা সত্তরের দশকের মাঝামাঝি বা শেষের দিকের কথা। সম্ভবত বিআরটিসিতে আসতো। আশির দশকে এরশাদ সাহেবের সময়ের দু একটা হরতালে সম্ভবত দু দিন পরেও পত্রিকা পেয়েছি।

৯২ বা ৯৩এ প্রথম জনকন্ঠ এক সাথে ঢাকার বাইরের কয়েকটা জেলা থেকে পত্রিকা প্রিন্ট করা চালু করার পর সকালের পত্রিকা সকালে পাওয়া শুরু হয়।

এই ঘটনা তার আগের। বড় বড় পত্রিকা গুলো নগর সংস্করন বের করে যেটা ছাপার মেশিনে যায় কয়েক ঘন্টা পর। শুধু ঢাকার জন্য। ঢাকার বাইরে পাঠানোর জন্য আলাদা একটা সংস্করন ছাপা হতো (সম্ভবত এখনো হয়)। রাত দুটার মধ্যে প্রেস থেকে বের হয়ে ভোর চারটার বাস ধরিয়ে উত্তর বঙ্গে পাঠানো হতো। ঐ সময়ে কিছু বাস ভোর চারটা-পাঁচটার দিকে গাবতলি ছেড়ে যেতো। রাত দুটার পরে সেনশেশনাল কিছু খবর আসলে তা বাইরের সংস্করনে বাদ পড়ে যেতো। আশির দশকের শেষে এবং নব্বই দশকের শুরুতে আমরা খবর কাগজ পেতাম বিকেলে। এখনতো বেশ সকালেই পাওয়া যায়।

ওনার নাম আমিনুল হক হবে, আমার ভুল, আমিনুল ইসলাম না। আমি ঠিক করে নিচ্ছি। আরেকজন ছিলেন- সরকার কবির উদ্দীন (অথবা সরদার কবির উদ্দীন, ঠিক স্মরণ করতে পারছি না)।

সে যুগে 'ইন্টারমিডিয়েট ফেল'ও একটা মোটামুটি বড় কোয়ালিফিকেশন ছিল বটে!
কয়েকদিন আগে একজন ব্লগার লিখেছেন- স্কুল গুলো বলদ তৈরীর কারখানা হয়ে গেছে। দ্বিমত করার সুযোগ কম। বড় কষ্ট লাগে। বাচ্চাদের পোটেনশিয়াল আছে। কিন্তু যা কিছু একটা লিখলেও পাশ করিয়ে দেয়া হয়। বাচ্চারা আর পরিশ্রম করতে চায় না। যেখানে স্কুল গুলোর লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ছিলো মেধার বিকাশ সেখানে, সেখানে ধ্বংসের উৎসব চলছে। প্রতিবাদ করা বারণ।

চিঠির খবর এদিকেও চলে এসেছে!


বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বড় ভাই বলেছিলেন- তাদের আঞ্চলিক কথ্য- আমার বাপ হজ করার পর নিজের গ্রামের কেউ ই খবর রাখলো না, কিন্তু বোন নিজের পছন্দে বিয়ে করে ঘর ছাড়ার পর গোটা থানার লোক এখন আমাদের চেনে। X(( বলার কিছু নাই।

যারা তাস খেলে, তাদের ব্রেনও খুব ভাল খেলে বলে শুনেছি। আপনিও হয়তো এ কথার অন্যথা নন।
আমি সাধারণ মেধার লোক। সময় কাটানোর জন্য মাঝে মাঝে খেলেছি। তবে গ্রামের নিতান্ত অশিক্ষিত লোকদের মাঝে দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় দেখেছি। সুযোগ পেলে ওনারা অনেক ভালো কিছু করতে পারতেন বলে মনে করি।


বোরিঙ জীবন নিয়ে লেখা পোস্ট পড়তে কিন্তু মোটেই বোরিং লাগলো না। তাই পোস্টে ২২তম প্লাস রেখে গেলাম, যা ব্লগের এই দুর্দিনে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলে মনে করি।

অশেষ শুকরিয়া। ব্লগে হাজার ভিউ পাওয়া এক সময় খুব দুর্লভ ছিলো না। সাম্প্রতিক সময়ে আপনার নভোনীল পর্ব ছাড়া এমনটা দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। ব্লগের প্রথম পাতার ডান দিকের কলামে লগ ইন করা ব্লগার ত্রিশের ওপরেই দেখি বেশির ভাগ সময়ে। কিন্তু বেশির ভাগ পোস্টে কমেন্ট বা ভিউ খুব কম দেখি। এই স্থবিরতা কেটে যাক এই কামনা করি।

অশেষ শুভ কামনা।

২২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মনে আছে, ছোটবেলায় আমরা সর্দি-কাশি হলে ফেন্সিডিল, ফেনারগান ইত্যাদি কাফ সিরাপ খেতাম। ওগুলো যে পরে এসে এত কুখ্যাত হয়ে যাবে, তখন তা ভাবতেও পারতাম না।
কোনো বাসাতেই শিল-পাটা নেই। সবাই গুড়া মসলা খায় - অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ। শিল্পায়ন এবং বিপনন কৌশলের কারণে ক্রমবর্ধমান শ্রমবিমুখতা।
"রাষ্ট্রদোহিতার কোনো ইচ্ছাই ছিলো না" - :)
কইমু নে কোন একদিন - @কাজী ফাতেমা ছবি, অনেকদিন তো হয়ে গেল। এবারে বলা শুরু করুন!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: ছোটবেলায় আমরা সর্দি-কাশি হলে ফেন্সিডিল, ফেনারগান ইত্যাদি কাফ সিরাপ খেতাম। ওগুলো যে পরে এসে এত কুখ্যাত হয়ে যাবে, তখন তা ভাবতেও পারতাম না।

আমি নিজে ফেনারগান খেয়েছি। আমার মা ফেন্সিডিল খেয়েছেন দেখেছি। আমাদের দেশে মনে হয় নেশার দ্রব্য অপ্রতুল, এজন্য মানুষ এত নতুন নতুন নেশার জিনিস উদ্ভাবন করে। শুনি টিকটিকির লেজ খায়। টায়ারের লিক সারানোর সলিউশনের ঘ্রান নেয়। কিছু না পেলে পলিথিন ফুলিয়ে তাতে শ্বাস নেয়। ভেজাল মদ খেয়ে কত মানুষ মারা যাচ্ছে। সরকার এত উন্নয়ন ঘটাচ্ছে, একটু যদি মাদকেরও উন্নয়ন ঘটাতো তা হলে কষ্ট করে মানুষকে আর ভেজাল মদ-টিকটিকির লেজ-টায়ারের সলিউশন-পলিথিন দিয়ে নেশা করতে হতো না :(

শিল্পায়ন এবং বিপনন কৌশলের কারণে ক্রমবর্ধমান শ্রমবিমুখতা।
সুন্দর কার্যকারন ব্যাখ্যা করেছেন। গ্রামে কাউকে এখন আর শর্ষের তেল ব্যবহার করতে দেখি না। অথচ চল্লিশ বছর আগে সয়াবিন তেল প্রায় অপরিচিত সৈখিন বস্তু ছিলো। সবার বাসায় চিনি। আগে নিজেরা গুড় করতো। অনেক বদলে গেছে। মার্কেটিং মারাত্মক বস্তু। কোকাকোলা খাওয়াবে আবার কালোরি বার্ন করার জন্য ব্যায়াম করার যন্ত্র বেঁচবে। নেতারা তাই দেখে বলবেন ব্যাপক উন্নয়ন।

কইমু নে কোন একদিন - @কাজী ফাতেমা ছবি, অনেকদিন তো হয়ে গেল। এবারে বলা শুরু করুন!

ছবি আপা মনে হয় ওনার নতুন কবিতার বই নিয়ে ব্যস্ত। মার্চ যাক, ভালো করে চাপ দেবো এই বিষয়ে লেখার জন্য।
অশেষ শুভ কামনা।

২৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, আপনি বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ করে কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন? চটজলদি নিজ গৃহে ফিরে আসুন!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৬

মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখিত। ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে ব্লগে দীর্ঘদিন আসা হয় নি। নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি। আপনাদের আন্তরিকতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.