নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্স। ২৮.০৯.১৩, ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর, আমার জীবনে প্রথম বিমান ভ্রমন। অন্য রকম অনুভুতি। যেহেতু টাকা পয়সা কম সেহেতু কমদামি সিট। ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া প্রায় সব ফ্লাইটের কমদামি সিটে বেশির ভাগ যাত্রীই থাকে শ্রমিক, আমার চারপাশেও তাই। যদিও জানালার পাশে সিট পাওয়ায় ভালই লাগতেছিল। প্লেন টেক অফ করার আগে সবাইকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিতে বলল,মজার দৃশটা শুরু হল তখনই। সবাই আবেগ অনুভূতি ঢালতে লাগলো ফোনে, বিমানবালা সামনের দিকের সিটের যাত্রীকে ফোন অফ করতে বলে তো পিছনের দিকে কথা বলা শুরু করে আবার পিছন দিকের সিটে যায় তো সামনের দিকে কথা বলা শুরু করে। মোটামুটি দৌড়াদৌড়ি অবস্থা, স্কুল কলেজের পরীক্ষার হলের কথা মনে পড়তেছিল।
২. যাইহোক, দুপুরের খাবার দিলো,খাবারটা ভালই ছিল।খাওয়া শেষে নিয়ে আসলো কোমল পানীও। দ্বিতীয় মজার দৃশ্য শুরু হল তখন, আমার সামনের সিটের একটা বলে "বিয়ার, বিয়ার", আবার তার পাশেরটা বলে না দোস্তো, "হুইস্কি, হুইস্কি"। যাচ্ছে কামলা দিতে, প্লেনে উঠতে পারল না, বিয়ার বিয়ার হুইস্কি হুইস্কি শুরু করে দিছে। বিমানবালা বলল ঢাকা থেকে আসা কোন মুসলিমকে এগুলো দেয়া নিশেধ আছে। বেচারার মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আসলেই আমরা অনেক রসিক।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
মোঃ মেজবাহুল হক বলেছেন: ভাই তন্ময় চক্রবর্তী, আপনার প্রশ্নের উত্তরটা দুই ভাবে দেয়া যায়-
১ বিনয়ের সাথেঃ না ভাই, শ্রমিক এর পাশে বসতে খারাপ লাগে না এবং খারাপ লাগার প্রশ্নই আসে না, কারন আমি কোন রাজপুত্র না, আমিও গ্রামেই বড় হয়েছি এক মধ্যবিত্ত পরিবারে এবং আমার আত্মীয় স্বজনের অনেকেই শ্রমিক।
২ আপনি যেভাবে প্রশ্ন করেছেন উত্তরও সেভাবেঃ প্রথমত, আপনার উচিৎ পুরাটা পড়া তারপর আপনি ভালোলাগার কারন পেয়ে যাবেন। দ্বিতীয়ত, আগে খারাপ লাগত না কিন্তু ওই যাত্রার পর থেকে এখন খারাপ লাগে ওই ধরনের শ্রমিকদের পাশে বসতে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: পুরো পোস্ট পড়ি নাই। তবে আপনি বললেন
"ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া প্রায় সব ফ্লাইটের কমদামি সিটে বেশির ভাগ যাত্রীই থাকে শ্রমিক, আমার চারপাশেও তাই। যদিও জানালার পাশে সিট পাওয়ায় ভালই লাগতেছিল।"
কেনো ভাই, শ্রমিকের পাশে বসলে কী খারাপ লাগে যে জানালার পাশে সিট পড়াটাই ভালো লাগার কারণ?