নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবেশবাদী মুখোশের আড়ালে পরিচ্ছন্ন সাম্প্রদায়িক ও সংস্কৃতিবিরোধী মনন

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪২





দেশের দক্ষিণ থেকে উত্তর, সমুদ্র থেকে পাহাড়, কিংবা সমতল; রাস্তাঘাট, নদী, পুকুর, লেক, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনাল, হাট-বাজার, আবাসিক এলাকার আপনি যেখানেই যাবেন, দেখতে পাবেন যত্রতত্র পড়ে আছে- প্লাস্টিকের বোতল, সিগারেটের টুকরো ও প্যাকেট, চিপস ও চকলেটের প্যাকেট, ব্যবহৃত কন্ডম ও শূন্য প্যাকেট, দেয়ালে ও রাস্তায় পানের পিক, ফুটপাতে পায়খানা ও প্রসাব। আপনি দেখতে পাবেন শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক লোক প্রকাশ্যে জনবহুল জায়গায় ধুমপান করছে আর অন্যের মুখের ওপর ধোয়া ছাড়ছে। পরিবেশ আইন না মানা কারখানাগুলোর বর্জ্য ও নানারকম রাসায়নিক পদার্থ আমাদের নদীতে মিশছে, বন্যার জলে সেইসব বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ জনপদ ও ফসলি জমিতে ঢুকছে। আমাদের জল ও মাটিতে এখন জীবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রচুর ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, প্লাস্টিক কণা ও সীসা পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি এসবের বিরুদ্ধে কয়দিন প্রতিবাদ করেছেন? কয়দিন ফেসবুকে এসবের বিরুদ্ধে লিখেছেন? হেমায়েতপুরের নতুন ট্যানারি পরিবেশ আইন না মেনে ধলেশ্বরী নষ্ট করে ফেললো, আপনি প্রতিবাদ করেছেন? আর আপনিও কি উপরে বর্ণিত কোনো না কোনো পন্থায় পরিবেশ নষ্ট করছেন না? আপনি ধুপপান করে পরিবেশ নষ্ট করেন না? সবাই নিশ্চয় করে না, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই নানাভাবে পরিবেশ নষ্ট করে। আপনার পর্যাপ্ত জামা-কাপড় থাকর সত্ত্বেও ঈদ বা পূজায় নতুন জামা-কাপড় কিনছেন না? আপনার এই বাড়তি জামা-কাপড়ের যোগান দিতে কতো জল নষ্ট হচ্ছে আপনি জানেন? সেই জলের সঙ্গে রাসায়নিক পদার্থ নদীতে মিশে ফসলের মাঠে যাচ্ছে আপনি জানেন? আপনি বাহুল্য যে জিনিসটাই কিনছেন, সেই জিনিসটার নির্মাণপ্রক্রিয়া পরিবেশের ক্ষতি করছে। না আপনি বাহুল্য জিনিস ব্যবহার বন্ধ করছেন, আ আপনি এসবেরে বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আর আজ হঠাৎ হাওরের আলপনা আঁকা দেখে আপনাদের পরিবেশবাদী চেতনা জেগে উঠেছে! চৌদ্দ কিলোমিটার আলপনা আঁকায় কী এমন ক্ষতি হবে হাওরের? জীববৈচিত্র কী এমন ধ্বংসের মুখে পড়বে? বর্ষাকালে বৈধ বালু-পাথরের ব্যবসার জন্য হাজার হাজার বাল্কহেড চলে হাওরে, পেট্রোল-ডিজেলে হওরের ক্ষতি ব্যাপক হয়। বিষটোপ দিয়ে হাওরে অতিথিপাখি শিকার করা হয়। আপনারা এসবের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন? না, বলেননি। আপনাদের এই হঠাৎ পরিবেশবাদী মুখোশের আড়ালে আছে পরিচ্ছন্ন সাম্প্রদায়িক ও সংস্কৃতিবিরোধী মনন।

আর আছেন অবোধ বামপন্থী ভাই-বোনেরা, আপনারা চিরকাল ইসলামী মৌলবাদীদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে গেলেন। বামৈস্লামিক আর অন্ধৈস্লামিক মিলেমিশে একাকার!

ধন্যবাদ বাংলালিংক, বার্জার পেইন্টস ও এশিয়াটিককে; এমন নান্দনিক উদ্যোগ নেবার জন্য। আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে ও বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে কর্পেোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর এভাবেই ভূমিকা রাখা উচিত। অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি, সংস্কৃতিবিরোধীদের বাধা প্রতিহত করে মাথা উঁচু করে বাঁচুক আমাদের সংস্কৃতি।


ঢাকা
নববর্ষ ১৪৩১

*আলপনার ছবি সমকাল থেকে নেওয়া

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: রাজাকার মৌলবাদ ধর্মান্ধ জঙ্গি দেশ বিরোধী, সৃংস্কৃতি বিরোধী, জঙ্গি, বিম্পি ভেক ধরা ছুপা ছাগু ধ্বংস হোক।

শুভ নববর্ষ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫০

রিদওয়ান খান বলেছেন: সৈরাচারমুক্ত গণতন্ত্র হউক। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা হউক। দেশের ইলিশ, দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসসহ দেশীয় সবকিছু সরকারি সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত হউক। প্রশাসন নামক সরকারি গুন্ডাদের হাত থেকে দেশের জনসাধারণ মুক্তি পাক। সরকারি আমলা-কামলা ও গুন্ডাদের দ্বার জবরদখল করা সাধারণ মানুষের প্রতিটা জমি মুক্ত হউক।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০৮

মিশু মিলন বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই কম-বেশি স্বৈরশাসক ছিল, এখনো ব্যতিক্রম নয়। এই জাতির মননে মিশে আছে স্বৈরশাসন। পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, রাষ্ট্রীয়কাজে সব জায়গায় স্বৈরশাসন চালানো আমাদের জাতিগত সমস্যা। ফলে স্বৈরশাসনের হাত থেকে আমাদের সহসাই মুক্তি মিলবে বলে মনে হয় না। সরকারী আমলা বা গুণ্ডাদের দখল করা জমি না হয় মুক্ত করবেন, কিন্তু রাষ্ট্র এবং এই দেশের মুসলমান কর্তৃক দখলকৃত হিন্দুদের হাজার হাজার একর জমির কী হবে?

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৯

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: হিন্দু জমিদারদের জবরদখল সরিয়েছে এ মাটির মানুষ কি তাদের দুধকলা দিয়ে ডেকে আনার জন্যে? এমনটি আপনি মনে করেন? কানাডার মতো সভ্য দেশও অতীতের স্কুল কেন্দ্রিক রূপান্তরের জন্যে হাজার হাজার শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে শাসন করতে হচ্ছে দেশ। বাংলাদেশে যে জমিদারি অত্যাচার, হাজার বছরের ভূমি অধিকারের ভূমি নাশ; এসব কি জমিদারের পদতলে দিয়ে দেবো? এমনটি ভাবাও অন্যায়।
সংস্কৃতির আড়ালে দুঃশাসন নিপাত যাক।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৫৩

মিশু মিলন বলেছেন: কে বলেছে আপনাকে জমিদারের পদতলে দিয়ে দিতে? জমিদাররা হিন্দু মুসলিম উভয় ধর্মেরই ছিল, অত্যাচারি জমিদার দুই ধর্মেরই ছিল। আবার একথাও সত্য যে আধুনিক শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে হিন্দু জমিদারদের অনেক অবদান ছিল। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে মুসলিম জমিদারদের অবদান ছিল ধর্মীয় শিক্ষায়। আমি মুসলমান কর্তৃক সাধারণ মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র হিন্দুদের জমি দখলের কথা বলেছি। এখনও প্রতিনিয়ত মুসলমানরা হিন্দুদের জমি দখল করছে, হিন্দুদের উচ্ছেদ করছে, চোখ-কান খোলা রাখলেই দেখতে পাবেন।

ধর্মের আড়ালে দুঃশাসন নিপাত যাক।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

কথামৃত বলেছেন: ডিভাইডার ঢাকার যুক্তি কি? সংস্কৃতিবান জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাছে জানতে চাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

মিশু মিলন বলেছেন: মহাসড়ক ও জেলা শহরগুলো বাদ দিলে বাংলাদেশের অধিকাংশ সড়কে ডিভাইডার নেই। এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় যাবার বেশিরভাগ সড়কের ডিভাইডার নেই। গ্রামের রাস্তাগুলোতেও নেই। এই সড়কটি প্রত্যন্ত হাওরের মাঝের, বর্ষার সময় পর্যটকের কারণ যানবাহন বেশি চললেও, এই সময়ে খুব কম যানবাহন চলাচল করে। বাংলাদেশ হাজার হাজার কিলোমিটার ডিভাইডারবিহীন রাস্তা নিয়ে কথা না বলে, খুব যান চলাচল করা এই সড়কটির ডিভাইডার নিয়ে চিন্তিত হওয়া উদ্দেশ্যমুলক সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। চিন্তা করবেন না, কয়েক দিন বৃষ্টি হলে পর্যটক মৌসুমের আগেই আলপনার রঙ উঠে যাবে।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: সে না হয় বুঝলাম। তা প্রথম ছবি টা কি আপনার দাদার সংস্কৃতির প্রতিমূর্তি? :D
এবার থেকে পটি না করে পেটে জমিয়ে রেখে দিবেন যদি পরিবেশের একটু উপকার হয়। :-P

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩০

মিশু মিলন বলেছেন: না, না দাদার সংস্কৃতির প্রতিমূর্তি নয়। এটা আপনার মানবতাবিরোধী বাপ-দাদাদের প্রতিমূর্তি। যারা পাকিস্তানের দোসর হয়ে গণহত্যা করেছে, মানুষের সম্পদ লুটপাট করেছে। যারা জন্ম দিয়েছে আপনাদের মতো শিল্প ও সভ্যতাবিধ্বংসী কূপমণ্ডুক।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পহেলা বৈশাখ সফল হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রাও সফল।
সমস্যা হচ্ছে দেশের ৫% মৌলবাদি। এদের জ্বলছে।
এরা সরাসরি পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করতে পারতেছে না। তাই আমাদের দেশের কিছু ধর্মান্ধ আর বুয়েট মাদ্রাসার কিছু মৌলবি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হনুমান বিশেষজ্ঞ সেজেছে।
চুলকানির আরেক জায়গা হচ্ছে আলপনার মতো জিনিস। আলপনার ভিতরে অনেকে হিন্দুয়ানী খুৃঁজে। আল্পনায় এখন পর্যন্ত হিন্দুয়ানী খুজে না পেয়ে আপাতত "টাকা অপচয়", "পরিবেশদূষণ", আজাইরা কাম, এক্সিডিং হইবো ইত্যাদি প্রলাপ বকছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫২

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে মৌলবাদী ৫% না, আরও অনেক বেশি। শুভ নববর্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.