নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অজানা দেশ, অজানা শহর। অচেনা পথে অবিরত মানুষের মুখ। এই ইমারতের ভীরে, রাজপথে নগরে, আমি এক অচেনা আগন্তুক।

ম ইসলাম

ম ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নির্মানাধীন মসজিদ

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩


বিশ্বের মসজিদের ইতিহাসে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে ঝিনাই নদীর তীরে নির্মাণাধীন ২০১ গম্বুজ মসজিদ। নির্মাতাদের দাবী, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম্বুজের মসজিদ হতে যাচ্ছে।

নির্মাণাধীন ২০১ গম্বুজ মসজিদটি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। মসজিদটির মিনারের উচ্চতা ৪৫১ ফুট। অর্থাৎ ৫৭ তলা উচ্চতার মিনারটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ইটের তৈরি মিনার।

গোপালপুর উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার পশ্চিমে ঝিনাই নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে নির্মিত মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে।

মসজিদের মিনার ২০১টি থাকলেও মসজিদের ছাদের মাঝখানে থাকবে ৮১ ফুট উচ্চতার একটি বড় গম্বুজ এবং চারদিকে থাকবে ১৭ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ২০০টি গম্বুজ(ছবিতে দেখা যাচ্ছে)। থাকবে মূল মসজিদের চার কোনায় ১০১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চারটি মিনার। পাশাপশি আরও চারটি মিনার থাকবে ৮১ ফুট উচ্চতার। ১৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪৪ ফুট প্রস্থের দ্বিতল এই মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।


মসজিদের দেয়ালের টাইলসে অংকিত থাকবে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরিফ। যে কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে মসজিদের দেয়ালে অংকিত কোরআন শরিফ পড়তে পারবেন। মসজিদের প্রধান দরজা নির্মাণে ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল। মিনারেও সেই পিতল ব্যবহার করা হবে।


মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে আলাদা পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। সেখানে থাকবে দুঃস্থ মহিলাদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পূণর্বাসনের ব্যবস্থা।

যায়গাটা আমার কর্মক্ষেত্রের মধ্যে। দুবার গিয়েছি দেখতে। মসজিদটা তৈরির আগেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। ছুটির দিনে এই মসজিদ দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে।

তৈরি হলে মসজিদটি একটা নান্দনিক শিল্প হয়ে উঠবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিঃসন্দেহে একটা পর্যটন শিল্প হয়ে উঠবে যায়গাটা একসময়।

তথ্যঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো, সুন্দর মসজিদ অবশ্যই ভালো। তবে তার আগে যদি আমরা ভালো মুসলমান হতে পারতাম, তাহলে আরো ভালো হতো!

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মেমননীয় বলেছেন: এটা বানাতে কত টাকা লেগেছে বা লাগবে?
আর ঐ টাকা কোথা থেকে জোগার হচ্ছে?

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ঢাকার লোক বলেছেন: কিছুদিন আগে এখানেই যেন পড়েছিলাম, জনতা ব্যাংক থেকে বিরাট অংকের টাকা মেরে দিয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের এক হর্তাকর্তা এ মসজিদ বানাচ্ছেন!
আল্লাহ পাক আমাদের হেদায়েত দান করুন!

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মসজিদের জৌলুস আর চাকচিক্য বাড়ানো হলো কিয়ামতের লক্ষণ
দূর্নীতি আর লুটের টাকায় মসজিদ বানিয়ে কি আল্লাহকে বোকা বানানো যাবে???!!!
এ সব ভাবনা যারা ভাবে মসজিদ বানালেই বেহশত তারা বোকার স্বর্গে বাস করে

তারা সূরা মাউন দিয়ে নামাজ পড়ে অথচ কি আবৃত্তি (তেলাওয়াত) করে তারই খবর রাখে না।
বা বুঝলেও আল্লাহর আদেশ অমান্য করে -

আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।

আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন। প্রকৃত জ্ঞান দান করুন।
মসজিদ কিমিটতে যে কবে দৃঢ় ইমানদার লোক পাওয়া যাবে! যারা টাকার উৎস নিশ্চিত না হয়ে সে দান গ্রহণ করবে না!

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২

মেমননীয় বলেছেন: যদি মসজিদটি ব্যাংক লুটের টাকায় তৈরী হয়ে থাকে তবে এটি টাংগাইলবাসীদের জন্য লজ্জার।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ম ইসলাম - জনাব, দুইশ এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের নির্মাণকারী কে জানেন ? জনতা ব্যাংকে সিবিএ সভাপতি রফিকুল ইসলাম , মসজিদের নির্মাণ ব্যয় কত ? মাত্র একশত কোটি টাকা । রফিকুল ইসলাম এত টাকা পেল কিভাবে ? এননটেক্স গ্রুপের মালিক দানবীর ইউনুস বাদল সাহেব দিয়েছেন। ইউনুস বাদল কে ? ঐ যে জনতা ব্যাংক হতে মাত্র 5404 (পাঁচ হাজার চারশত চার ) কোটি যিনি ঋণ নিয়ে নিয়েছেন । এই নান্দনিক মসজিদে নামাজ পড়ুন , অসীম সওয়াবের ভাগী হোন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩

ম ইসলাম বলেছেন: আমিও এই রকমই শুনেছি। আর আমি শুধু নান্দনিক বিষয়টা তুলে ধরেছি। এর বেশি কিছু নয়।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অযুখানা আর টয়লেট ঠিক আছে তো? আমার কাছে মসজিদের চেয়ে বেশী জরুরী এই দুইটি জিনিস...

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগু'র সাথে সহমত। মসজিদ নির্মাণ ভালো। তবে অতিরিক্ত চাকচিক্য বা ব্যয় না করে অনাহারী, সুবিধাবঞ্চিত, দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য টাকা ব্যয় করা হলে ভালো হইতো।

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার নিজের জেলায় মসজিদ নিয়ে এই রকম অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে দেখে হৃদয় নিরতিশয় ব্যথিত হলো । এই মসজিদ নির্মাণকারী বেকুব লোকগুলো আমাদের জেলাবাসী ভাবতেইতো লজ্জ্বা লাগছে । মানুষ নামাজই পড়তে চায়না তাহলে এতো চাকচিক্যময় মসজিদের দরকারটা কি। শুধু শুক্রবারে নামাজ পড়ার জন্য আর গিনেসবুক অফ ওয়ার্ল্ড -এ নাম উঠানোর জন্য এই মসজিদ বানানোর কোনোই দরকার নেই ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

ম ইসলাম বলেছেন: প্রথমবার দিয়ে দেখেছিলাম, রফিকুল ইসলাম কল্যান ট্রাষ্টের নামে একটি সাইনবোর্ড। এবার গিয়ে দেখি সেই সাইনবোর্ডটা নাই। মাইকিং করা হচ্ছে, মসজিদ নির্মাণে শরিক হতে চাইলে দানবাক্সে মুক্ত হস্তে দান করুন।
আজিব!

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.