নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অজানা দেশ, অজানা শহর। অচেনা পথে অবিরত মানুষের মুখ। এই ইমারতের ভীরে, রাজপথে নগরে, আমি এক অচেনা আগন্তুক।

ম ইসলাম

ম ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিড লাইফ ক্রাইসিস

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫


সেদিন একটা গল্প পড়ছিলাম। এক মধ্যবয়সী নারীর জীবন নিয়ে লেখা ছোট গল্প। পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে স্বামী মারা যায়। চাকরীজীবি, দু সন্তানের মা। যে বয়সে একজন মানুষের জীবনে একটা আন্তরিক সঙ্গ দরকার সে বয়সে মেয়েটা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাগত বিভিন্ন সমস্যায় সে জর্জরিত। কিন্তু এত সমস্যার পরও তার কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা তার নিঃসঙ্গতা। শরীরে এখনও যৌবন আছে। সারাদিন পর ক্লান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে তারও ইচ্ছে করে একজন মানুষের সাথে মনের কথা বলতে। ইচ্ছে করে একটু আদর ভালবাসায় আপ্লুত হতে। দ্বিতীয় বিয়ে সে করতে পারে কিন্তু মধ্য বয়সে একজন নারীর সঠিক পাত্র খুজে পাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। আর দ্বিতীয় সমস্যা সন্তান। সব কিছু মিলিয়ে একটা সময় সে ভীষণ ভাবে হতাশ হয়ে পড়ে এবং সোস্যাল মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে সে পুরুষ খোজা শুরু করে। পায়ও। বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন পরিবেশের। এবং এক সময় এই সব পুরুষদের মাঝে সে নিজের নিঃসঙ্গতা উজার করতে শুরু করে এবং নিয়ন্ত্রনহীন জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পরে। সব কিছুরই শেষ আছে। এটাও এক সময় শেষ হয় এবং তারপর তাকে তার নিজের কাছেই ফিরতে হয়। ফেরে সে একবুক শুণ্যতা ও একরাশ লজ্জা নিয়ে।

গল্পের মুল বিষয় যেটা ছিল, তা হল মিড লাইফ ক্রাইসিস বা মাঝ জীবনের সংকট। গল্পটাতে মিড লাইফ ক্রাইসিসে পড়া একটা মেয়ে তার নিঃসঙ্গতা থেকে কিভাবে বিপথে পা বাড়ায় এবং কিভাবে একটা কাল অধ্যায় তার জীবনে যুক্ত হয় সেটা বলা হয়েছে। এই বাক্যটার সাথে এর আগে আমার পরিচয় ছিল না। নেটে সার্চ দিয়ে পড়তে গিয়ে বুঝতে পারলাম, আমি নিজেও এই ক্রাইসিসে আক্রান্ত।

আমার কথা পরে বলছি। আগে বিষয়টা সম্পর্কে বলে নেই।

‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ কিংবা মাঝবয়সের সংকট, পশ্চিমা দেশে এমনই একটা কথা চালু আছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু আমাদের দেশে টার্মটি নিয়ে আস্তে আস্তে মানুষ সচেতন হচ্ছে। মানুষ তার জীবনে চলার পথে মাঝবয়সে এসে যে একটা ক্রাইসিস মোকাবেলা করে তা প্রথম শনাক্ত করেন বিখ্যাত মার্কিন সমাজ বিজ্ঞানী ও মনস্তত্ত্ববিদ এলিয়ট জ্যাক। তিনি তাঁর গবেষণায় এবং লেখায় ‘মিডলাইফ ক্রাইসিসের’ কথা প্রথম উল্লেখ করেন ১৯৬৫ সালে।

অর্ধেক জীবন পেরিয়ে মানুষ যখন পেছন দিকে ফিরে তাকায় তখন চাওয়া-পাওয়ার হিসেব মেলায়। অধিকাংশ মানুষই মাঝজীবনে এসে যখন দেখে সাফল্যের চেয়ে তার ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী, তখন তাকে পেয়ে বসে দুশ্চিন্তা ও হতাশা, সে দারুণভাবে নস্টালজিয়ায় ভুগতে থাকে। জীবনে আসে মিড লাইফ ক্রাইসিস।

মনস্তত্ত্ববিদ হ্যারল্ড কোহেন তার ‘দ্য সেল মিড লাইফ ক্রাইসিস’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, জীবন এক নিরন্তর বোঝা। এই বোঝা বহনের মাঝপথে এসে কেউ কেউ হাঁপিয়ে পড়েন। সেটাই মিড লাইফ ক্রাইসিস। একই সময়ে মানুষের জীবনে আরেকটা সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। তাকে ইংরেজিতে বলে ‘মিডলাইফ স্ট্রেসার’ অর্থাৎ মাঝবয়সের চাপ বা প্রেশার। অনেক সময়ে এটা হয়ে থাকে আর্থিক কিংবা কাজের ওভারলোডের কারণে। ‘মিডলাইফ স্ট্রেসার’ এবং ‘মিড লাইফ ক্রাইসিস’ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় কিন্তু অনেক সময় এদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায় না।

মিডলাইফ ক্রাইসিস একেক সমাজে এবং একেক সংস্কৃতিতে একেক রকম হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জাপানি এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে মিডলাইফ ক্রাইসিস খুবই মামুলি ধরণের। বাংলাদেশে এ জাতীয় কোনো গবেষণা হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৫ শতাংশ লোক মিডলাইফ ক্রাইসিসে ভুগে থাকে। নারী পুরুষের মিডলাইফ ক্রাইসিসে পার্থক্য আছে বটে, কিন্তু তাদের আবেগজনিত তীব্রতায় কোনো ব্যত্যয় হয় না। মিড লাইফ ক্রাইসিসে মেয়েরা একটু আগে আর ছেলেরা একটু পরে আক্রান্ত হয়। তাত্ত্বিক দিক থেকে মিডলাইফ ক্রাইসিসের কারণ হিসেবে কেউ বলে থাকেন মানুষের মৃত্যু চিন্তা ও মৃত্যু ভয়, কারো কারো মতে এটা হয়ে থাকে সেল্ফ অ্যাকচুয়েলাইজেশন, সেল্ফ  রিয়েলাইজেশন, সেল্ফ ইভেলুয়েশন ইত্যাদি কারণে।

যে কারণেই হোক, এখন প্রশ্ন হল, কেউ মিডলাইফ ক্রাইসিসে আক্রান্ত হয়েছে কি না তা বোঝার উপায় কী? বোঝা কঠিন নয়, এর সুস্পষ্ট কতগুলো আলামত আছে। বিশেষজ্ঞরা মিডলাইফ ক্রাইসিসের কম করে হলেও ৩০/৪০টা আলামত বের করেছেন।  তার মধ্যে প্রধান কয়েকটা হলঃ
১. হঠাৎ করে অনির্দিষ্ট ও না জানা স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলার আপ্রাণ প্রয়াস,
২. আপনার চেয়ে সফল সহকর্মী বা বন্ধুদের কাছে নিজেকে হেয় কিংবা ছোট ভাবা,
৩. তারুণ্য ফিরে পাওয়ার জোর তাগিদ অনুভব করা,
৪. অধিক সময় একা অথবা বিশেষ কোনো বন্ধুর সংস্পর্শে কাটানোর প্রবল ইচ্ছে,
৫. নিজের জীবন ও জীবনযাত্রার গুণে-মানে হামেশা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা,
৬. চারপাশের আসবাব, যন্ত্রপাতি, জিনিসপত্র, নিকটের মানুষজন নিয়ে এক ধরণের বিরক্তি ও একঘেয়েমির ভাব প্রকাশ করা,
৭. নতুন, অস্বাভাবিক, অদ্ভুত, বিপদসঙ্কুল, এবং রোমাঞ্চকর কিছু করার তীব্র আকাঙ্খা মনের মধ্যে পোষা,
৮. হঠাৎ অতিরিক্ত কেনাকাটায় মজে থাকা,
৯. অতীত জীবনের পছন্দ-অপছন্দ এবং সিদ্ধান্তগুলোকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা,
১০. নিজের পরিচয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে রীতিমত সন্ধিহান হয়ে ওঠা,
১১. সব ব্যাপারে ক্রমাগত সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা,
১২. স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন ও ভালবাসায় ফাটল ধরা,
১৩. নতুন করে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া,
১৪. হঠাৎ তীব্রভাবে কোনো কিছু পেতে চাওয়া; যেমন-বাড়ি নেই, যেভাবেই হোক বাড়ি করতে হবে; গাড়ি নেই, যেভাবেই হোক গাড়ি কিনতে হবে,
১৫. একাকিত্ব দূর করার চেষ্টায় বিকল্প কিছু নেতিবাচক পথ বেছে নেওয়া; যেমন-নেশা করা, বিপরীত লিঙ্গের তৃতীয় কারও সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া।

এসব আলামত নিয়ে মিডলাইফ ক্রাইসিসের ভুক্তভুগীরা এক প্রকার শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটায়।

মিড লাইফ ক্রাইসিসে কেউ কেউ অতিরিক্ত মদ্যপানে ও অন্যান্য নেশা জাতীয় কাজে মত্ত হয়ে থাকে; অতীত জীবনের ভুলভ্রান্তির জন্য মনের দুঃখে দারুণভাবে মুষড়ে পড়ে। কেউ ছেলেমেয়েদের বৈষয়িক সাফল্যের জন্য অতিরিক্ত পেরেশানিতে হায় হায় করতে থাকে; কেউ জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে কারণে অকারণে ঝগড়া করে; কেউ ঘনঘন আয়নায় নিজের চেহারা দেখে; কেউ নতুন নতুন দামি ডিজাইনের জামা কাপড়ের দিকে ঝুঁকে যায়; কেউ কেউ শান্তির আশায় দ্বিতীয়বার বিয়ে করে অশান্তির ঘেরাটোপে আটকা পড়ে, অনেক সময় অনেক কাজের কথা মনে পড়ে, যা করা হয়ে ওঠেনি, অনেক অপ্রাপ্তিরকথা মনে পড়ে যায়, যা পাওয়া হয়নি, অনেক গোপনীয়তা মনকে পীড়া দেয়, অনেক সুপ্ত বাসনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

কথা হল, এর সমাধান কি?

এর এক মাত্র সমাধান সংযম। আর আগেও কিছু নেই, পরেও কিছু নেই। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠতে পারলে মিড লাইফ ক্রাইসিস থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

বেশ কিছু দিন আগের কথা। আমার এক বন্ধু ফোন করেছে। খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ কথা সে কথার পর সে বলছে, শোন, অনেক হিসেব করে দেখলাম, এই বয়সে আর নতুন করে কিছু পাওয়ার নেই। না নতুন করে আর একটা বিয়ে করতে পারব, না নতুন করে অনেক টাকার মালিক হতে পারব। তাই একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমি বললাম, কি সিদ্ধান্ত?
ও বলল, আল্লার রাস্তায় চল্লিশ দিনের সফরে বের হব।
আমি বললাম, ভাল সিদ্ধান্ত। তবে ফিরে এসে জ্ঞান-ট্যান একটু কম দিস!
আচ্ছা।

বন্ধুটা তবলিগ জামাতের সাথে চল্লিশ দিনের সফর শেষ করে ফিরে এসেছে।

এই বন্ধুটা একটা সময় প্রায়ই ফোন করে বিভিন্ন ধরনের আফসোসের কথা বলত। হতাশার কথা বলত। অতীত জীবন নিয়ে অনেক আক্ষেপের কথা বলত। তখন আমি এই মিড লাইফ ক্রাইসিস সম্পর্কে জানতাম না। এখন আমি হিসেব মেলাই, সেই সময়টাতে আমার এই বন্ধুটা মিড লাইফ ক্রাইসিসে আক্রান্ত ছিল এবং এখন সে তার নিজের অজান্তে এই ক্রাইসিস থেকে মুক্ত হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছে।

আমি এই বন্ধুর গল্প বলে যেটা বোঝাতে চেয়েছি, একটা নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এই ক্রাইসিস কে নিয়ন্ত্রন করতে পারে।

আমি প্রায় দুবছর পরিবার থেকে দূরে। কিছু পারিবারিক সমস্যায় স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্ব। দুটো সন্তান তাদের মা'র সাথেই থাকে। আমি তাদের কাছ থেকে অনেক দূরে থাকি, একা। অফিসিয়ালি এখনও আমাদের বিচ্ছেদ হয়নি কিন্তু হতেও খুব বাকি কিছু নেই।

এখন মাঝে মাঝে আমাকে ভীষণ এক নিঃসঙ্গতা, হতাশা চেপে ধরে। নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করে। অনেক সময় অনেক প্রশ্ন ভীর করে মনে।
আমার অতীত জীবনটা কি ভুল ছিল?
আমার চলার ভুল ছিল?
আমার বিবেচনায় ভুল ছিল?
আমার জীবনটাই কেন এমন হল?

উত্তর খুজতে গিয়ে আরও একবার নিজেকে হারিয়ে ফেলি। কিন্তু এখন আমি জানি, আসলে আমিও এই ক্রাইসিসে আক্রান্ত।

এটা কোন রোগ নয়। ছোট্ট একটা মানসিক সমস্যা। একজন মানুষ তার সামান্য ইচ্ছে শক্তির দ্বারাই এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারে। আমাদের সমাজে এখনও আমরা এই বিষয়টা নিয়ে সচেতন হয়ে উঠতে পারিনি। সচেতন করতে পারলে আমার ধারনা, মানুষ এ সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারবে।


তথ্য-উপাত্তঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই।
আসলেই মধ্য বয়সটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বয়স, এই বয়সে মানুষের নানাবিধ চিন্তাভাবনা চেপে বসে, তারমধ্যে যদি হতাশা ঢুকে পড়ে তো অনেকসময় জীবনের উপরও ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আপনার আলোচনা ভালো লাগলো ভাই

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪২

ম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১০

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: ++++++++++++

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১১

সোহানখুলনা বলেছেন: ভালোলাগা রেখে গেলাম

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৩

ম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩০

কল্পদ্রুম বলেছেন: মিডলাইফ ক্রাইসিসে পৌছাতে আমার এখনো দেরি আছে।তবে আমি এখন থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলছি।এমন কোন বিষয়ে কখনো জড়াই না যাতে পরে আফসোস করতে হয়।আবার যেটুকু পরিকল্পনার বাইরে হয় সেটাও মেনে নিই।শেষের দিকে এসে আপনার নিজের কথা পড়ে মনটা ভারি হয়ে গেল।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৪

ম ইসলাম বলেছেন: আপনার চিন্তাভাবনা সুস্থ ও স্বচ্ছ। শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল। যদিও আপনার ব্যক্তিগত বিষয় তবুও বলছি, আপনি যেহেতু নিজের সমস্যাটা ধরতে পেরেছেন যথা সম্ভব চেষ্টা করেন সংসার টা যেন টিকে যায়। সন্তানদের কথা ভেবে ছাড় দিয়ে হলেও আবার সব কিছু নতুন করে শুরু করুন। আপনার সুন্দর জীবনের কামনায়...

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫৮

ম ইসলাম বলেছেন: বিষয়টা আমার একার ব্যক্তিগত না, অনেকের। আমি আসলে সমস্যাটা বোঝাতে চেয়েছি। ব্যক্তিগত বিষয়টা সত্যি তবে সেটা এখানে উদাহরণ হিসেবে টেনেছি। ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা।

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আপনি কি এই সমস্যায় পড়েছেন কখনও?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

ম ইসলাম বলেছেন: লেখার শেষে নিজের সম্পর্কে একটু বলা আছে। ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা গুলি খুবই জীবন ধর্মী। এই লেখাটাও ভালো লাগলো । আমার ব্লগে আপনাকে আমন্ত্রন রইল।

বৌ বেঁচে থাকতে এই সমস্যা হলে এজন্য অনেকাংশে আমরাই দায়ী। আমরা তাদের কি সব চাহিদা পূরণ করতে পারি? নাকি স্বার্থপরের মতো দিনশেষে শুধু নিজের দেনা পাওনা হিসেব করে ফিরি?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

ম ইসলাম বলেছেন: এই সমস্যাটা শুধু বউ নিয়ে হয় তা না। অনেক কারনেই হতে পারে। আর একজন দ্বায়িত্ববান স্বামী অবশ্যই চেষ্টা করে তার স্ত্রীকে সন্তষ্ট করতে। কিন্তু স্ত্রীর চাহিদা যদি স্বামীর সামর্থের চেয়ে বেশি হয় তবেই সেখানে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়। স্বার্থপর আমরা সবাই কমবেশি। তবে এটার একটা সীমানা আছে। সীমা লংঘন করে স্বার্থপরতার প্রকাশ এক ধরনের নির্লজ্জাতারই প্রকাশ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

ম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার ব্লগে অবশ্যই আসব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.