নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অজানা দেশ, অজানা শহর। অচেনা পথে অবিরত মানুষের মুখ। এই ইমারতের ভীরে, রাজপথে নগরে, আমি এক অচেনা আগন্তুক।

ম ইসলাম

ম ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশি চিনি শিল্প রক্ষা করুন। দেশি চিনি ও পরিশোধিত চিনির পার্থক্য জেনে নিন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০



সাদা চিনি বা পরিশোধিত চিনি যে শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, সে সম্পর্কে গবেষক ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন এক গবেষণাপত্র বের করেছিলেন অনেক আগেই। সেখানে ড. মার্টিন সাদা পরিশোধিত চিনিকে বর্ণনা করেন বিষের সাথে। ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন গবেষনাপত্রে বলেন, চিনি পরিশোধন করে সাদা করার জন্য চিনির সাথে যুক্ত প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেল সরিয়ে শুধু কার্বোহাইড্রেট রাখা হয়। কিন্তু শুধু কার্বোহাইড্রেট শরীর গ্রহণ করতে পারে না। মিনারেল ও ভিটামিনবিহীন কার্বোহাইড্রেট দেহের মধ্যে টক্সিক মেটাবোলাইট সৃষ্টি করে। এতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। ফলে কোষ অক্সিজেন পায় না এবং অনেক কোষ মারা যায়।



ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন গবেষণা লব্ধ ফলাফল দিয়ে প্রমাণ করেন- পরিশোধন করা চিনি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়, হার্ট ও কিডনী ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং ব্রেনের উপর মারাত্মক ক্ষতিকারণ প্রভাব সৃষ্টি করে। (তথ্যঃ http://goo.gl/7xGRVG)

উল্লেখ্য, দেশীয় চিনিতে গুড় মিশ্রিত থাকায় তা লাল বর্ণ ধারণ করে। অপরদিকে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত চিনি তৈরিতে সবসময় আখ ব্যবহার করা হয় না। আখের বিকল্প উপাদান দিয়েও চিনি তৈরি হয়। এই চিনিতে মিষ্টতা আনতে বাড়তি রাসায়নিক মিশ্রিত করা হয়। আর পরিশোধন প্রক্রিয়ায় চিনিতে যুক্ত হয় আরও ক্ষতিকর নানা উপাদান। আবার পরিষ্কার বা সাদা করার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান সালফার ও হাড়ের গুঁড়ো। বলাবাহুল্য, এই হাড়ের গুড়ো আবার অনেক সময় মুসলমানদের হালালও হয় না।
(তথ্যঃ http://goo.gl/ORWI4d)



আরো উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীরা মরণ ব্যাধি ক্যান্সারের যে ১০ কারণ চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে এই পরিশোধিত চিনি। তাদের মতে বাজার থেকে কেনা এনার্জি এবং ফ্রুট ড্রিংকস-এ থাকে প্রচুর পরিমাণে এই চিনি । সোডা আর এই চিনি ক্যান্সার জীবাণু বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এছাড়া এই চিনি শরীর মোটা করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নষ্ট করে শরীরের শর্করা ও পুষ্টিগুণ। (তথ্যঃ http://goo.gl/72oUjQ)



বাংলাদেশ খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমদানিকৃত পরিশোধিত এবং দেশে উৎপাদিত পরিশোধিত চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

আখ থেকে উৎপাদিত
দেশি চিনিতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ১৬০.৩২ ভাগ, পরিশোধিত চিনিতে ১.৫৬ থেকে ২.৬৫ ভাগ।
দেশি চিনিতে পটাসিয়াম ১৪২.৯ ভাগ, পরিশোধিত চিনিতে ০.৩২ থেকে ০.৩৫ ভাগ।
দেশি চিনিতে ফসফরাস ২.৫ থেকে ১০.৭৯ ভাগ, পরিশোধিত চিনিতে ২.৩৫ ভাগ।
আয়রন দেশি চিনিতে ০.৪২ থেকে ৬ ভাগ, পরিশোধিত চিনিতে ০.৪৭ ভাগ।
ম্যাগনেশিয়াম দেশি চিনিতে ০.১৫ থেকে ৩.৮৬ ভাগ, পরিশোধিত চিনিতে ০.৬৬ থেকে ১.২১ ভাগ।
সোডিয়াম দেশি চিনিতে ০.৬ ভাগ, পরিশোধিত চিনিতে ০.২ ভাগ। (তথ্যঃ http://goo.gl/ORWI4d)



দেশের সব গুলো চিনিকলের কর্মচারীরা গত কয়েক মাস যাবত মানবেতর জীবনযাপন করছে। কারন দেশি চিনি বিক্রি হয় না। ফলে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ঠিকমত দেওয়া হয় না।

দেশি চিনি শিল্পকে বাচাতে এবং নিজেকে ও পরিবারকে সুস্থ রাখতে পরিত্যাগ করুন সাদা চিনি, গ্রহণ করুন লাল চিনি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: চিনি সম্পর্কে আমার কোনো ধারনাই ছিল না।
আমি নিজেই বাজার থেকে সব সময় সাদা চিনি কিনি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

ম ইসলাম বলেছেন: এবার থেকে অবশ্যই লাল চিনি কিনবেন। এটা আমাদের দেশি সম্পদ।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: হুমম, চিন্তার বিষয়! :||

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

ম ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই চিন্তার বিষয়। লাল চিনি খাবেন। নিজের এবং দেশের উপকার হবে।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: লাল খাই :-B

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

ম ইসলাম বলেছেন: সেটাই ভাল। লাগে কম এবং স্বাস্থ্যসম্মত।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

কে ত ন বলেছেন: মানুষ দেশি চিনি পাবে কোথায় যে কিনবে? আমি তো চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের 'আখের চিনি' ছাড়া আর কোন চিনি কিনিনা। সেটাও যে শুদ্ধ দেশি চিনি, তার গ্যারান্টি কে দেবে?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

ম ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন আখের চিনিই আমাদের দেশি চিনি। সব বাজারেই মুদি দোকানে পাওয়া যায়। আর না পাওয়া গেলে দোকানে দেশি চিনি চাইতে থাকুন। দোকানদার রাখতে শুরু করবে। দেশি চিনির বিক্রি বাড়বে।
আর শুদ্ধতার গ্যারান্টি কোন জিনিসে পাওয়া যায়, বলবেন? অন্তত পরিশোধিত চিনির চেয়ে এই দেশি চিনি অনেক গুন শুদ্ধ।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

সবুজ২০১২ বলেছেন: কালিয়াকৈরে এসে শিক্ষকতা পেশা শুরু করার পূর্বে আব্বা চিনি শিল্প কর্পোরেশনের অধিনস্থ চিনিকলে কেমিস্ট হিসেবে চাকুরি করতেন।আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় কালিয়া চাপড়া চিনি কল লে-অফ হয়ে যাওয়ার পূর্বেই আব্বা স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার পর থেকে আর লাল চিনির দেখা পাই নি, তবে গত মাসের ৯ সেপ্টেম্বর সুগার মিল চিলড্রেন ফোরামে গিয়ে চিনি শিল্প কর্পোরেশনের মহাপরিচালক মহোদয়ের কাছ থেকে শুনলাম যে উনারা এখন ডিলার নিয়োগ করেছেন, ফলে সকলেই এখন থেকে আখের চিনি পাবেন।এরপর বাসার চিনি ফুরিয়ে যাওয়ার পর গত সপ্তাহে দোকানে গিয়ে লাল আখের চিনি চাইলে আমার বিস্ময়ের অবসান ঘটিয়ে এক প্যাকেট হাতে দিলেন আর বললেন যে এখন থেকে পাবেন;ভীষণ খুশি হলাম দোকানির কথা শুনে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

ম ইসলাম বলেছেন: আপনার কথা শুনে আমিও খুশি হলাম। আমিও চিনিকলের সন্তান। সুগার মিলস চিলড্রেন ফোরামের আমিও সদস্য। এই লেখাটা চার-পাঁচ দিন আগে এক ভবঘুরে আইডি দিয়ে পোষ্ট দিয়েছি ওখানে। ঐ আইডিতে ঢুকলেই আমার মুল আইডি পাবেন। খুব ভাল লাগল, একজন চিনি সন্তানকে এখানে দেখে।

ধন্যবাদ আর শুভ কামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.