নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অজানা দেশ, অজানা শহর। অচেনা পথে অবিরত মানুষের মুখ। এই ইমারতের ভীরে, রাজপথে নগরে, আমি এক অচেনা আগন্তুক।

ম ইসলাম

ম ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়তি চাপ দিয়ে ছেলেমেয়েকে টেনশন দেবেন না!

০১ লা মে, ২০২০ রাত ১০:২২


আমি অধ্যাপক আর আমার স্ত্রী হাইস্কুলের শিক্ষিকা।

সকাল বেলায় আমার গিন্নির মেজাজ আর চায়ের পানি এক সংগে ফুটতে থাকে।

আজ হঠাৎ গিন্নির আদেশ হলো, তিতলির স্কুল থেকে ডাক এসেছে, তোমাকে যেতে হবে। অংকের দিদিমণি দেখা করতে চেয়েছেন।

অগত্যা যেতেই হলো।

গিয়ে দেখি, বিশাল একটা হলঘরে চশমা আঁটা অংকের দিদিমণি আর অভিভাবকরা বসে আছেন।

দিদি গম্ভীর গলায় ডাকলেন-
অনন্যা পাল!
সেই ডাকে অনন্যার মা উঠে দাঁড়ালেন। চললো অনন্যা কোন কোন অংক পারেনি তার বিশ্লেষণ। তার সংগে পাল্লা দিয়ে চললো, বেচারা অনন্যার মায়ের তীব্র আস্ফালন।
- এতগুলো টাকা খরচ করে মাষ্টার রেখেছি। আজ বাড়ি চল, তোর হাত-পা ভাঙব!

পল্লবীর মা আর বাড়ি পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না। তিনি হলের মধ্যেই পল্লবীর চুলের মুঠি ধরে কয়েকটা চড় মেরে বললেন,
-আজ তোর বাবা বাড়িতে আসুক। দেখবি ফাঁকি মারার কত মজা!

আর টুম্পার বাবা টুম্পা তিনটে অংক ভুল করায় তীক্ষ্ণ কন্ঠে বললেন
-সামনের তিনদিন টুম্পার খাওয়া বন্ধ!!!

এভাবেই কেটে গেল অনেকটা সময়।
অবশেষে ডাক এলো-
তিতলি চ্যাটার্জ্জী! মানে আমার মেয়ে, যার জন্য এখানে আমার আসা।

দিদিমনি বলে চললেন,
-আপনার মেয়ে তো অর্ধেক অংকই পারেনি!

আমি বললাম
-বাকী অর্ধেক অংক তো পেরেছে! আর একটু বড় হলে বাকিটা শিখে নেবে। আপনি টেনশন করবেন না ম্যাডাম!

-আপনি কনফিডেন্ট?

-নিশ্চিত! আসলে কি জানেন ম্যাডাম, আমি আর তিতলির মা, মাধ্যমিকে দুজনে মিলেও অংকে ১০০ তুলতে পারি নি। তবুও আমার অধ্যাপক হওয়া কিম্বা তিতলির মায়ের রাগী দিদিমণি হতে কোন অসুবিধেই হয় নি!

তিতলি খুশী হয়ে বলল,
-বাবা, আজ বিরিয়ানী খাব।

আমি বললাম,
-টুম্পাকেও ডাকিস। ওর বাবা ওকে তিন দিন খেতে দেবে না বলেছে !!!!

বাড়তি চাপ দিয়ে ছেলেমেয়েকে টেনশন দেবেন না। টেনশন নেওয়ার জন্য সারাটা জীবন সামনে পড়ে আছে! ওরা নিজেরা যেদিন বুঝবে ঠিক শুধরে নেবে!

_জনৈক অধ্যাপক

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: তিতলি অনেক সৌভাগ্যবতী কারন, সে আপনার মত বাবা পেয়েছে।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ১০:৫৬

ম ইসলাম বলেছেন: আমি আসলে অধ্যাপক না। লেখাটা কপি। ধন্যবাদ।

২| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশের ছেলে মেয়েরা তো হাসি আনন্দ নিয়ে বড় হতে পারবে না। বাবা মা যতদিন বেচে ত্থাকে ততদিন তাদের আনন্দ। তারপর শুরু হয় কষ্টের দিন।

৩| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১১:০৩

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি আসলে অধ্যাপক না। লেখাটা কপি। ধন্যবাদ।



বিষয়টা আমি জানি। ধন্যবাদ

৪| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৩:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার ছোট মেয়ে (৬)ঘুম হতে উঠে ৯টায় । বলে স্কুল বন্ধ তাই পড়াও বন্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.