নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরেধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরে ধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

মিঠুন চাকমা

মিঠুন চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতাল দিয়ে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে আরেকটি ইস্যু সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

হরতাল দিয়ে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে আরেকটি ইস্যু সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।



এই দেশের জনগণ মৌলবাদী-সাম্প্রদয়িক দর্শনকে প্রশ্রয় দেয়নি। মৌলবাদ বা সাম্প্রদায়িকতা অনেকসময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এখানে প্রভাব বিস্তার করলেও তা ডমিনেন্ট এলিমেন্ট হিসেবে স্থিত হয়নি।



কিন্তু বারবারই নানা ছলছুতোয় এই ধর্মান্ধতাকে ব্যবহার করে অনেকে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছে।



এখানে বলে রাখা দরকার, ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষকে দমাতে পারেনি তখন তারা হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বকে উস্কে দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হিটলারও তার দেশে ইহুদীবিরোধী মনোভাব উস্কে দিয়ে ক্ষমতাকে পোক্ত করেছে।



হেফাজতে ইসলামের লঙমার্চের বিপরীতে হরতালের ডাক কী প্রতিক্রিয়া আনার বার্তা বহন করে?

কী মনোভাব এই হরতাল ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে? ধর্মান্ধতা বা সাম্প্রদায়িকতাকে এতে উস্কানী দেয়া হচ্ছে কিনা? অথবা পাল্টা অসহিঞ্চুতার প্রকাশ ঘটানো হচ্ছে কিনা?

এই হরতাল ঘোষনার মাধ্যমে ধর্মান্ধতার প্রতিরোধ কি আদৌ করা হচ্ছে? নাকি উল্টো ধর্মান্ধতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে?

ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে যদি আদৌ লড়াই করা প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে তার মূল উপরানোর আয়োজনই তো করতে হবে।

যাই হোক না কেন, হেফাজতের এই উগ্র অবস্থানের বিপরীতে পাল্টা উগ্র অবস্থান কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেই বিশ্বাস।

পাল্টা হরতাল দিয়ে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে নতুন ইস্যু সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়ার মানেই হচ্ছে জনগনের লড়াইয়ের আকাঙ্খাকে সেন্টিমেন্টাল জনস্বার্থহীন ইস্যুতে পরিণত করার প্রচেষ্টা নেয়া। এই ধরণের পাল্টা উগ্র অবস্থান জনগণের মুক্তির লড়াইকে ভিন্নদিকে কানাগুলিতে নিক্ষেপ করারই মতো একটি সচেতন বা অবচেতন বা অসচেতন প্রচেষ্টা বলেই আমার কাছে মনে হয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

সফিকুর বলেছেন: সহমত নই। হরতাল দিল যাতে দৌড়ে পালাতে পারে

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

মিঠুন চাকমা বলেছেন: মতামত দেবার জন্য ধন্যবাদ। কেন সহমত প্রকাশ করছেন না তা বিস্তারিত জানলেই ভালো হয়।হরতাল দিয়ে কী প্রগতিশীলতা আর দেশপ্রেম প্রকাশ পায় একটু খোলাসা করলে ভালোই হয়।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

মুহসিন বলেছেন: শেষ পর্যন্ত অহিংস হরতাল কি অহিংস থাকলোনা? এটা কি দেখলাম! Click This Link

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

provat বলেছেন: শতকরা ৯০ভাগ মুসলমান যে দেশের নাগরিক, তাদেরকে আপনি 'ধর্মান্ধ গোষ্ঠী' বলে চরম অপমান করলেন । আমি আপনার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি । আপনার মতো লোকদের কারনেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতার কারন তৈরী হয় ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

মিঠুন চাকমা বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আমার লেখার কোনো মন্তব্য আপানার ভালো না লাগলে আপনাকে অনুরোধ থাকবে সমালোচনা করার জন্য। আমি যা জানি বা বুঝি তাই লিখি। এতে আমার দুর্বলতা বা বোঝার ভ্রান্তিও থাকতে পারে।

এখানে বলে রাখি আমি আমার লেখায় দেশের ৯০ ভাগ জনগণকে আমি ধর্মান্ধ বলিনি।
আমার চোখে ধর্মান্ধ তারাই যারা ধর্মকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে।
আমার মতামতের উপর কোনো সমালোচনা থাকলে আপনি যুক্তিযুক্ত সমালোচনা করলে আমার জন্য ভালোই হবে।
তবে আমি কী লিখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতার কারণ হলাম তা জানালেও ভালো হয়।
ধন্যবাদ

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

প্রািন্ত বলেছেন: যারা হরতাল দিয়েছে তাদেরকে আর যাইহোক বিচক্ষণ রাজনীতিবীদ বা বুদ্ধিমান ব্যক্তি বলা যায় না। এবার কোথায় গেল সেই তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা যারা বিরোধীদলের হরতাল হলেই দালাল চ্যানেলেগুলোর টকশোতে বলেন, অয়ৌ্ক্তিক হরতাল। তারা কি মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন? থু থু দেই সেই কথিত বৃদ্ধিজীবিদের মুখে আর এই হরতালকারীদের মুখে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

মিঠুন চাকমা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। যারা হরতাল দিয়েছে তারা বিচক্ষণ বা বুদ্ধিমান নন কিনা আমার জানা নেই। তবে এরা না বুঝেই হরতাল দেন তবে এরা আসলে ফ্যানাটিক বা তথাকথিক প্রগতিবাদী অন্ধ ফ্যানাটিক। আর যদি বুঝে হরতাল ডাকেন তবে এরা জনগণের সত্যিকার মুক্তি চান না। তারা জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার নাটকীয় কসরত করছেন মাত্র।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

কদমা বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

মিঠুন চাকমা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০

মিঠুন চাকমা বলেছেন: ডিয়ার প্রভাত,

আমার লেখা থেকে নিচের উদ্ধৃতি পড়ুন

"এই দেশের জনগণ মৌলবাদী-সাম্প্রদয়িক দর্শনকে প্রশ্রয় দেয়নি। মৌলবাদ বা সাম্প্রদায়িকতা অনেকসময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এখানে প্রভাব বিস্তার করলেও তা ডমিনেন্ট এলিমেন্ট হিসেবে স্থিত হয়নি।"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.