নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরেধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরে ধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

মিঠুন চাকমা

মিঠুন চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: ভেজাল ঔষধ বিরোধী অভিযান, ঔষধ বিক্রেতাদের ধর্মঘট এবং আমার মতামত

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

প্রসঙ্গ ভেজাল ঔষধ, ঔষধ বিক্রেতাদের ধর্মঘট এবং আমার অভিমত





র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিভিন্ন ঔষধ মার্কেটে অভিযান চালায়। এ সময় ৫কোটি টাকার অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করে আদালত। এছাড়া ২৮টি ঔষধের দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়। ১কোটি ২৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং আটক করা হয় ১০৩ জনকে।(খবরের সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম)







এই আকস্মিক অভিযান, আটক, দোকান সিলগালা করে দেয়া, জরিমানা ইত্যাদির প্রতিবাদে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ০৩ অক্টোবর সারাদেশে ঔষধের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয় এবং ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে দেয়। উক্ত সংগঠনটি ১৬টি দাবিও তুলে ধরে বলে জানা যায়।







এই কর্মসূচির ফলে রোগিদের ব্যাপক অসুবিধা হয়। যাদের জরুরি ঔষধের প্রয়োজন পড়ে তারা ঔষধ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে।



সিউজ ওয়েবসাইটের সূত্র মতে আমরা জানতে পারি, ঔষধ ব্যবসায়ীদের এই ধর্মঘটের কারণে সরকার ঔষধ ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায় যায়। এবং গ্রেপ্তাকৃত ব্যবসায়ীদের মুক্তি ও সিলগালাকৃত দোকান খুলে দেবার আশ্বাস দেয়।







এই জরুরি জনস্বার্থ সংশ্লষ্ট বিষয়টি নিয়েকিছু কথা বলা প্রয়োজন বলেই কিছু লেখার চেষ্টা করছি। কয়েকদিন আগে ঔষধ বিক্রিতে কর্মরত এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম, ঢাকার জিঞ্জিরায় এখন নকল ঔষধ তৈরী করা হয়। তার কথা শোনার পর আমি হাঁ হয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম! সে জানালো এসব নকল ঔষধগুলো খুবই নিন্মমানসম্পন্ন।







এছাড়া সে জানালো, সরকারকে কর ফাঁকি দিতে দেশের বাইরে থেকে ঔষধ আনা হয় অবৈধভাবে। এবং, দেশে পাওয়া যায় না; কিন্তু খুবই প্রয়োজনীয় ঔষধও অবৈধভাবে আনা হয়।







তার কথা শোনার পরে এবং ঔষধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট বা তাদের বিরুদ্ধে হঠাৎ অভিযান এইসব নিয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত মন্তব্য না করে আর পারছি না!







১. একক গোষ্ঠীর হাতে ঔষধ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা দরকার-




ঔষধ শিল্পের মতো একটি ব্যবসা কখনোই একক গোষ্ঠি বা সিন্ডিকেটের হাতে রাখা বা রেখে দেয়া ঠিক হয়নি। এই শিল্পে যে সরকারেরও কিছু নিয়ন্ত্রণ অন্তত থাকা দরকার তা এখন সরকার এবং সচেতন জনগণের বোঝা প্রয়োজন বলে আমি মনেকরি।







২. হঠাৎ অভিযান চালানো কি ঠিক হয়েছে?




অনেক সময় আমরা দেখি প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রশাসনের কোন কর্তাব্যক্তির মাত্র একক সিদ্ধান্তে সম্পন্ন বা সিদ্ধ হয়ে থাকে। প্রশাসনের অনেকেই উৎসাহের বশে এমন কাজ করেন। এতে তারা অনেক সময় প্রশংসাও পেয়ে থাকেন।

কিন্তু প্রশাসনিক পদ্ধতি মতে যেকোন কাজ সামষ্টিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করেই তবে করা দরকার। এভাবে সামষ্টিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে যদি প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজ করা হতো তবে সেই কাজের দায় দায়িত্ব গোটা প্রশাসনের উপর থাকতো।

আমি বলতে চাচ্ছি, প্রশাসনের একক ব্যক্তির দ্বারা স্থিরিকৃত না হয়ে বা একক ব্যক্তির স্বতপ্রণোদিত প্রশাসনিক কাজ হাতে না নিয়ে আমাদের প্রশাসনের দরকার সমন্বিতভাবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করা। এতে ভুল বা ঠিক কাজ হাতে নিলে প্রশাসনের জবাবদিহিতাও বাড়বে।



কিন্তু একক সিদ্ধান্তের কারণে অনেকে এই সকল অভিযানের কাজ করার কারণে অনেক সময় ভুলভ্রান্তি হলে সেই প্রশাসনিক ব্যক্তিই দোষী সাব্যস্ত হয়। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কয়েক বছর আগে ঢাকায় এক প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি ভেজাল বিরোধী অভিযান চালান। কিন্ত এক পর্যায়ে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। এতে তার ভালো কাজের মূল্যায়ন সরকার করতে পারেনি। সুতরাং, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অগোছালো না হয়ে আরো সমন্বিত হওয়া দরকার বলে মনে হয়।

অনেকেই এই ভেজাল ওষধ বিরোধী অভিযানকে প্রশাসনের হঠাৎ নেয়া কার্যক্রমই মনে করবেন।

সুতরাং কোন প্রশাসনিক কর্মসূচি নেবার সময়্ও প্রচার প্রচারণা জনমত গঠন সহ বিভিন্ন কাজ প্রথমে সেরে নেয়া দরকার বলে মনে হয়।

এছাড়া এসকল কাজ পরিকল্পনামাফিকও করা প্রয়োজন।









৩.অনৈতিকতার কাছে সরকার মাথানত করতে পারে না




অবৈধ ঔষধ ও ঔষধ ব্যবাসায়ী আটকের পরে সরকার যদি তা থেকে পিছু হটে তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ কি শিক্ষা পেলাম? ঔষধ ব্যবসায়রিা কী শিক্ষা পেল? আন্দোলন করলে অনৈতিক দাবিও যদি আদায় করা যায় তবে জনতা কি শিক্ষা পাবে? সরকার এর মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চায়? সুতরাং ঔষধ ব্যবসায়ীদের অনৈতিক দাবিতে সরকার পিছিয়ে আসতে পারে না। তবে সমস্যার ইতিবাচক সমাধানের জন্য সরকার ভিন্ন কোন ব্যবস্থা নিতে পারে মাত্র।







সংক্ষেপে আমি এসকল কিছু মন্তব্য করলাম। এ বিষয়ে ফেসবুক সামাজিক মাধ্যম সোচ্চার ভূমিকা নেবে বলে আমার বিশ্বাস।



একজন নাগরিকের এভাবেই বিভিন্ন ইস্যুতে ভূমিকা রাখা দরকার বলে আমি মনেকরি।



ধন্যবাদ



মিঠুন চাকমা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন:
আপনার বিশ্লেষণ ভালো লাগল। ঠিকই বলেছেন, আমাদের প্রশাসনের মূল সমস্যা হল সমন্বয়হীনতা। আর অন্যায়ের কাছে মাথা নত করা কোন ভাবেই উচিত নয়।।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

মিঠুন চাকমা বলেছেন: সহমত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

মনে হচ্ছে ভেজাল ঔষধ বিরোধী এই কর্মসূচিও সরকরের সমন্বয়হীন একটি কাজ। এবং তাই যদি হয়ে থাকে তবে প্রশাসনকে তার নেয়া ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ থেকে পিছিয়ে আসতে হবে। এবং এতে পরবর্তীতে হিতে বিপরীতই হবে।

অনৈতিক একটি বিষয়ের কাছে পরাস্ত হবারই মতো হবে তা।

আপনাকে ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২২

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: আমাদের প্রশাসনের মূল সমস্যা হল সমন্বয়হীনতা ঠিক

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

মিঠুন চাকমা বলেছেন: মত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.