নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরেধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরে ধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

মিঠুন চাকমা

মিঠুন চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে পার্বত্য তিন জেলায় এ কোন রঙ্গ?!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

ঘোষনা ছাড়াই পার্বত্য তিন জেলায় বন্ধ করে দেয়া হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক







০৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন পার্বত্য তিনটি জেলায় কোনো পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল মোবাইল ফোনের সকল অপারেটরের নেটওয়ার্ক। টিভি স্ক্রলবারে লেখা হয়েছিল- ‘নাশকতার’ আশংকায় পার্বত্য জেলাসমূহে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।



বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে তার মধ্যে বোধকরি সবচেয়ে শান্ত এলাকা ছিলো তিন পার্বত্য জেলা। এবং নির্বাচনের আগেও তা শান্ত ছিলো। এমনকি প্রধান বিরোধী দল সহ অনেক দল নির্বাচন বর্জন না করলেও দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের আমেজ ছিলো পার্বত্য খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এ বান্দরবানে।



নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছিলো ততই তিন পার্বত্য জেলার জনগণ বিশেষ করে পাহাড়ি জাতিসত্তার জনগণের মধ্যে নির্বাচনের আমেজ তাতিয়ে উঠছিলো।







কিন্তু নির্বাচনের ঠিক কয়েকঘন্টা আগে হঠাৎ করে তিন পার্বত্য জেলায় একযোগে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ার ফলে পার্বত্য জেলাসমূহ হয়ে পড়ে ঠিক “মান্ধাতা আমলের এক অঞ্চলের মতো”।



অন্যদিকে নির্বাচনের আগে যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে তিন পার্বত্য জেলা এক কথায় সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।



অজুহাত নাশকতা!



হঠাৎ করে কোনো ঘোষনা ছাড়াই “নাশকতা” নামক এক অজুহাতে এভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক দেশের অন্য জায়গায় বন্ধ করে দিলে কী প্রভাব পড়তো এবং তার জন্য বিভিন্ন মিডিয়া কী হেডিং বা কীভাবে কতো রসিয়ে প্রতিবেদন প্রণয়ন করতো তা নিয়ে চিন্তা করতেই আমার দিন গুজরান!



কিন্তু, হায়! মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক! এ যেন কোথাও কেউ নেই! কোথাও সাড়া নেই! নেই এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য! নেই কোনো স্পেশাল প্রতিবেদন!











ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং



কিন্তু যা হবার তা-ই হলো! করা হলো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং! আমাদের ঠায় বসে বসে কানা-কালা-বোবা হয়ে থাকতে হলো! কারণ, সংযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে আমরা জানলামই না কোথায় কী হলো! এবং এর্ মধ্যে বুথ দখল করে, বুথ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে, একটি বিশেষ বাহিনীর প্রত্যক্ষ ভূমিকার মাধ্যমে ব্যালট পেপার আর সিল এক নাগাড়ে পড়তে লাগলো ‘সরকার দলীয়’ একটি নির্বাচনী প্রতীকে। আমরা জানলামই না! কারণ, আমরা তো তখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন! সকল মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম!



খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা মাটিরাঙা, রামগড়, মানিকছড়িতে যেখানে বিকাল দুইটা তিনটা পর্যন্ত ভোট প্রদানের হার ছিলো ১০/১৫ শতাংশ, সেখানে দুয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভোট পড়লো ৫০ শতাংশ বা তারও উপর! আমরা জানলামই না! কারণ নেই কোনো নেট, নেই মোবাইল সংযোগ!







তারপর যখন নাটকের পার্ট করা শেষ বা যখন গড়হারে ভোট প্রদান করা শেষ তখন ঠিক সাড়ে চারটা-পাঁচটায় খূলে দেয়া হলো নেট। নেট আসার আনন্দে আমরা ভুলে গেলাম কোথায় কী হলো তার খবর নিতে! একের পর এক কেন্দ্রের রেজাল্ট আসতে দেরি হলো। প্রত্যন্ত এলাকা লক্ষীছড়ি উপজেলারও ভোটের রেজাল্ট আসলো। কিন্তু রেজাল্ট আসতে দেরি হলো মাটিরাঙা-রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলার।



এই তিন উপজলো বাদ দিয়ে বাকি ক’টি উপজেলায় ইউপিডিএফ প্রার্থী হাতি মার্কা নৌকার চেয়ে এগিয়ে ছিলো। কিন্তু যখন উপরের তিন উপজেলার রেজাল্ট আসলো অনেক পরে তখন হঠাৎ পাল্টে গেলো ভোটের রেজাল্ট।



প্রথম থাকা হাতি মার্কা হয়ে গেল দ্বিতীয়! জিতে গেল নৌকা! এবং কোনো দেরী না করেই সত্বর ঘোষনা করে দেয়া হলো রেজাল্ট! নৌকা জিতে গেল!



এই সরকার মাঠ ফাঁকা পাবার পরেও মাঠ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, আইন নিজের পক্ষে বানিয়ে ছিনিয়ে নিলো বিজয়ের রেজাল্ট!







তিবাতিবি গুরি বিজয় অর্জন







কিন্তু, সরকার তথা আওয়ামীলীগ সরকার রাঙামাটি আসনের ফল কেড়ে নিতে পারলো না! পাহাড়ি জনগণ চাঙমা কধা “টিবাতিবি গুরি” একজোট হয়ে জেএসএস(সন্তু লারমা)-এর সমর্থিত প্রার্থী উষাতন তালুকদারের হাতি মার্কায় ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিলো হাতিকে। অবহিত ছিলাম সবাই, সেখানেও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হতে পারে। কিন্তু সেখানে তারা ব্যর্থ হলো। জিতে গেল ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হাতি মার্কা।



কিন্তু রাঙামাটির ফলাফল এখনো ফলাও করে ঘোষনা করতে যেন সরকার বা প্রশাসন লজ্বা পাচ্ছে! কান পেতে চোখ খূলে দেখতে-শুনতে লাগলাম টিভি চ্যানেল! অনেকজনের বা অনেক জেলা বা কেন্দ্রের রেজাল্ট দেয়া হচ্ছে- কিন্তু রাঙামাটির ফলাফল যেন প্রকাশ করতে দ্বিধা!



এ কোন ধরণের আচরণ!







প্রশ্ন জাগে, এ কোন ধরণের “বৈষম্য” এবং “নিপীড়ন”! এ কোন রঙ্গ?! !?







পাতানো নির্বাচন নিয়েও এতো ভয় এই পার্বত্যবাসীকে?! তবে যদি “খাঁটি” নির্বাচন হয় তবে তো আরো ‘বড় ভয়’ এসে যাবে সরকারের! ?! !?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

বঙ্গমিত্র সিএইচটি বলেছেন: যারা সরকারকে অস্ত্রের ভয় দেখায় তাদের সাথে এর চেয়ে ভাল আচরণ আর কি হতে পারে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.