নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট বালুঘাট গ্রামের ৬০ বছরের বৃদ্ধ মন কুমার চাকমা। তার স্ত্রীর নাম কী প্রশ্ন করলে তিনি অনেক্ষণ চিন্তা করার পরেও নাম মনে করতে পারেননি। পরে বললেন, ঘরে বা গ্রামে তার স্ত্রীকে ‘বাঙোদি’ বলে ডাকা হয়। তোর স্ত্রী হয়তো লেখাপড়াই করেননি! তাই, ’ডাকনাম’ই তার আসল নাম।
পোশাকি নাম তো তাদেরই প্রয়োজন যাদের ‘আলখেল্লা’ পরতে হয়! যারা বিবিধ ‘বিদ্যায়’ পারদর্শি বা যাদের ‘বিদ্যায়’ পারদর্শি হতে হয় তাদেরই তো দরকার ’পোশাকি’ ‘ভদ্রগোছের’ নাম!
(খ)
মন কুমার চাকমার শনের ছাউনি দেয়া দোকান। তার দোকানে চা-পান-সিগারেট ও বিস্কুট পাওয়া যায়।
সাথে কয়েক প্যাকেট বিস্কুট, চানাচুর কয়েক প্যাকেট আর কেউ বাড়ির পাকা, আধপাকা ফল বা সবজি-শাক বিক্রি করতে চাইলে কেউ কেউ তা তার দোকানের পাশে বেঞ্চে রেখে দিয়ে যায়। তিনি তা বিক্রি করে যা পান তা-ই দিয়ে দেন।
তার দোকানের বিশেষত্ব হলো, অন্য দোকানে যেখানে চা ও পানের এক খিলির দাম ৫ টাকার কমে পাওয়া যায়না সেখানে তিনি এক কাপ চা বিক্রি করেন ২ টাকায়। পান ১ খিলি ২ টাকা।
বিস্কুট ও সিগারেটে তেমন লাভ তিনি রাখেন না।
তার দোকানের কাস্টমারও বা খরিদ্দাররাও যেন নির্দিষ্ট করা। তার সমবয়সীরাই সেখানে চা পান সিগারেট খেতে যায়। তাকে প্রশ্ন করলাম দিনে কত টাকার বিক্রিবাট্টা হয়? তিনি বললেন শত টাকার মত।
(গ)
কিন্তু তারপর ও তার সংসার চলে। সংসারে এখন তিনি ও তার স্ত্রী মাত্র। তার এক ছেলে রয়েছে। বিয়ে করার পরে সে শ্বশুর বাড়িতেই থাকে বলে তিনি জানান।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মন কুমার চাকমার জন্য মন খারাপ হয়ে গেল। এত স্বল্প আয়ে বেচারী চলেন কীভাবে?