নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরেধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরে ধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

মিঠুন চাকমা

মিঠুন চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য নিয়ে শোরগোল, হল্লা হৈ হুল্লোড়

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫০

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও
তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী নিউ
ইয়র্কে গিয়ে জ্যাকসন হাইটসের এক
হোটেলে টাঙ্গাইলবাসীদের সাথে মতবিনিময়
সভায় কিছু নিজস্ব মতামত বা বক্তব্য
প্রদান করেছেন। তিনি যে সকল বক্তব্য
রেখেছেন তার মধ্য থেকে হজ্ব নিয়ে ও শেখ
হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ
জয়কে নিয়ে নিজস্ব মত পেশ করেছেন। এবং এই
বক্তব্য বা মতামত এখন দেশের হট কমেন্ট
বা টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। গত
২৮ সেপ্টেম্বর তিনি তার কথা বলেন।
তিনি যা বলেছেন তার মর্মার্থ হলো,
তিনি হজ্বকে ’ধর্মীয় কল্যাণ-শান্তি-
সোয়াব-মুক্তির দৃষ্টিকোণ
থেকে না দেখে তিনি তার অর্থনৈতিক
উপযোগিতার দিক বিবেচনা করে বক্তব্য
দিয়েছেন। তিনি সজীব ওয়াজেদ
জয়কে সরকারের কেউ নয় বলে বক্তব্য
দিয়েছেন।
তিনি যা বলেছেন তা নিয়ে এত শোরগোল,
হল্লা, হৈ হুল্লোড় কেন তার কারণ
হলো তিনি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমানুষের
ধমীংয় অনুর্ভূতিতে আঘাত করেছেন।
এছাড়া তিনি আওয়ামী সরকারের একজন
অলক্ষিতে থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তির
প্রতিকূলে কথা বলেছেন।
তিনি বা লতিফ সিদ্দিকী কেমন মানুষ
তা আমার ব্যক্তিগতভাবে জানা নেই।
তিনি মন্ত্রী হয়েছেন এই বিষেয়ের দিকে খেয়াল
করলে, এবং দেশের শাসকশ্রেনীর
চরিত্র্যবৈশিষ্ট্য
বিষয়ে ধারণা রাখলে বোঝা যায় তিনি হয়
প্রতিষ্ঠিত এক অর্থবিত্ত ধন সম্পদের মালিক
অথবা তিনি লুটপাট
করে ক্ষমতা বিত্তবৈভবের
অধিকারী অথবা তিনি এমন
কৌশলী যে তিনি ক্ষমতাশালী প্রভাবশালীকে বা প্রভাবশালীদের
মন জুগিয়ে চলার ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্তও
হতে পারেন।
এবং তিনি বিবিসিতে যে সাক্ষাতকার
দিয়েছেন তাতে বোঝা যায় যে তার
বিষয়ে শেষের অনুসিদ্ধান্তই হয়তো সঠিক
হওয়া অসম্ভব নয়। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, “
একমাত্র…এখানে একটা কথা আছে,
আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার
নেতা যদি আমাকে আদেশ করেন যে-
আপনি এটা প্রত্যাহার করেন। তাঁর
সম্মানে আমি এটা প্রত্যাহার করতে পারি।
তা ছাড়া কোনো কিছুতেই আমি প্রত্যাহার
করব না “। (তথসূত্র: প্রিয়ডটকম )
কিন্তু তার বক্তব্য নিয়ে কেন এত শোরগোল ঠিক
বুঝে উঠতে পারেলেও কেন এত হল্লা,
হৈ হুল্লোড় বাদ বিসম্বাদ
তা নিয়ে কিছুটা ধন্দে রয়েছি বৈ কী!
প্রথমত, বলা দরকার তিনি যা বলেছেন
তা তার একান্তই ব্যক্তিগত মত
বা বক্তব্য। এবং তিনি নিজে যা বিশ্বাস
করেন তাই তিনি বলেছেন।
বলতে গেলে তিনি যা বলেছেন বা যে বক্তব্য
দিয়েছেন তার যৌক্তিকতা বা যৌক্তিক
ভিত্তি যে নেই তা তো নয়।
হজ্বের ধর্মীয় কল্যাণ-মঙ্গল বা আত্মার
শান্তি এতে যে আসে তা নিশ্চয়
যারা হজ্বে যান তারা বুঝতে পারেন।
কিন্তু এই আধ্যাত্মিক মঙ্গল বা আপাত
শান্তি কল্যাণ শান্তির বিষয়কে বাদ
দিয়ে অর্থনৈতিক দিক
থেকে বিবেচনা করলে তো লতিফ সিদ্দিকীর
কথাই ঠিক বলে প্রতীয়মান হয়। সুতরাং,
এই বিষয় নিয়ে ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তার
বক্তব্যের সমালোচনা করা সংগত হলেও
হতে পারে। কিন্তু তাই
বলে তাকে তুলোধুনো করা বা তার
বক্তব্যকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার
কোনো মানে তো হয় না।
এভাবে লালসালু উপন্যাসের ’এই
বেটা তোমার তুপি কোই’ বলে যৌক্তিক ও
প্রাসঙ্গিক বিষয়কে তুড়ি মারার
মানে কী তা বুঝলাম না।
তিনি যথার্থই বলেছেন যে সজীব ওয়াজেদ
জয় ‘সরকারের কেউ নন’।
তিনি তো বলেননি যে সজীব জয়
আ্ওয়ামীলীগের কেউ নয়। সরকারের
দায়িত্বে থাকা এক কথা আর
আওয়ামীলীগের দায়িত্বে থাকা আরেক
কথা। তিনি আওয়ামীলীগের তথ্য
প্রযুক্তি বিষয়ক
উপদেষ্টা হলে যে তিনি সরকারের তথ্য
প্রযুক্তি উপদেষ্টা তা তো নয়।
সুতরাং, লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে কেন এত
শোরগোল হল্লা হুল্লোড় তার কারণ
এখনো বোঝা আমার দ্বারা সম্ভব হলো না।
নাকি সরকার
শাসকশ্রেনী বা প্রগতিরোধীদের একটি ভিন্ন
ইস্যু দরকার যা দিয়ে অন্তত
কিছুটা পরিমাণে হলেও জনগণের চোখ
চেতনাকে বুদ করে রাখা যেতে পারে।
তা না হলে তো এই বিষয় নিয়ে এত ঝঞ্ঝাট
হবার কোনো কিছু দেখি না।
মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা,
যৌক্তিকতাকে তথ্য তত্ত্ব দিয়ে প্রকাশ
বা সিদ্ধ করার স্বাধীনতা যদি না-ই
থাকে তবে মুখে-চোখে-মনে ‘কুলুপ’
এটে থাকাই তো সঙ্গত!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.