নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরেধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরে ধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

মিঠুন চাকমা

মিঠুন চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিখে রেখো সাজেক একফোঁটা দিলেম শিশির!

২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯


রাঙামাটির সাজেক বা গঙ্গারাম এলাকা থেকে চলে এসেছি তিন মাসের অধিক হয়ে গেল।
সেখানে থাকার সময় যে কাজটি করে সবচেয়ে বেশি মানসিক শান্তি পেয়েছি তা হলো, গঙ্গারাম-কাজালঙ নদীতে ১২ হাজারের মতো বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছেড়ে দেয়ার কাজটি করে। ইউপিডিএফ সাজেক ইউনিটের পক্ষ থেকে মাছের পোনা ছেড়ে দেয়ার কাজটি করা হয়। দেখুন cht24.com লিঙ্ক
মাছের ছোট্টো ছোট্টো পোনাগুলো যখন মুক্তি পেয়ে হঠাৎ ছোট্টো নদীর স্রোতের মধ্যে উধাও হয়ে হারিয়ে গিয়েছিল, তখন মনের যে স্বস্তি ও শান্তি লাভ করেছিলাম তা আজও আমাকে তৃপ্ত করে, স্বস্তি দেয়, আমি আনন্দলাভ করি, পুলকবোধ করি!

না, কোনো রকমের ধর্মীয় বোধ থেকে এইপুলকলাভ, শান্তি বা স্বস্তি নয়, বরং নিতান্তই বাস্তবিক চিন্তাবোধ থেকে এই মানসিক স্বস্তি ও শান্তিলাভ করা, আনন্দ পাওয়া।

সাজেককে আমি দেখেছি নিজের অপরূপ রূপ হারিয়ে ম্রিয়মান হয়ে গিয়ে ক্ষয়মান অবস্থায়।সাজেক একসময় ছিলো গহীন এক বনাঞ্চল। নানা নানা প্রজাতির নাম না জানা পশুপ্রাণী, পাখপাখালী অবাধে বিচরণ করতো সেখানে। কিন্তু যে সময় আমি সেখানে গেলাম তখন তার সেই গহীনত্ব নেই! ঝাড়-জঙল-গাছ-বাঁশ-লতা-পাতা নানা বনজ সম্পদ শেষের পথে!
তারপরও সাজেক তখনো হাতছানি দেয় তার আগের রূপের ঝলক দেখাতে! হয়তো ঝলক সে দেখাতে পারে না, কারণ সেই আগের রূপ যে তার আর নেই! শুধু আছে তার ঠাটবাট।

সাজেকে যে সকল লোকজন আশ্রয় নিয়েছিল বা যারা বসবাস করতো তারা নির্ভর করতো জুমের উপর, বাঁশ গাছ কেটে তারা জীবিকা নির্বাহ করতো। পুঁজির অবাধ লোভনীয় ফাঁদের প্রলোভনে সবাই প্রকৃতিকে ধ্বংস করতো, নিজের স্বার্থের কথা ভাবতো, আর বছর বছর সাজেকের রূপে ‘ধর্ষণযজ্ঞ’ চালাতো সকলে মিলে! দিনে দিনে সাজেক ক্ষয়ে যেতে যেতে এখন সে শুধু পেটে আর ভাতে দিন কাটানো এক দীনহীন মাত্র!

আমি যে সময় সেখানে যাই সেই সময় দেখি, গঙ্গারাম-মাজালঙ-কাজালঙ নদীতে মাছ ধরে আরো শত জন তাদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। মানুষজন শুধু মাছ ধরতো বা নদীর সম্পদ লুট করতো। তাকে পরিচর্যা করার কথা তারা ভাবতো না।
সাজেকের নদীও তাই দীনহীন শীর্ণ হতে শুরু করছে।
১২ হাজার মাছের পোনা হয়তো, সেই জীবন্ত সদা চলমান বেঁকে চলে যাওয়া ছোটো নদীর জন্য কিছুই নয় তারপরও ‘লিখে রেখো একফোঁটা দিলেম শিশির’ বলার স্পর্ধা কেন যে পেলাম তা জানি না!
একেই বেল বোধহয় নার্সিসিজম বা আত্মপ্রেম আত্মশ্লাঘা বোধ!সাজেক বা গঙ্গারাম এলাকা থেকে চলে এসেছি তিন মাসের অধিক হয়ে গেল।
সেখানে থাকার সময় যে কাজটি করে সবচেয়ে বেশি মানসিক শান্তি পেয়েছি তা হলো, গঙ্গারাম-কাজালঙ নদীতে ১২ হাজারের মতো বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছেড়ে দেয়ার কাজটি করে। ইউপিডিএফ সাজেক ইউনিটের পক্ষ থেকে মাছের পোনা ছেড়ে দেয়ার কাজটি করা হয়। দেখুন cht24.com লিঙ্ক
মাছের ছোট্টো ছোট্টো পোনাগুলো যখন মুক্তি পেয়ে হঠাৎ ছোট্টো নদীর স্রোতের মধ্যে উধাও হয়ে হারিয়ে গিয়েছিল, তখন মনের যে স্বস্তি ও শান্তি লাভ করেছিলাম তা আজও আমাকে তৃপ্ত করে, স্বস্তি দেয়, আমি আনন্দলাভ করি, পুলকবোধ করি!

না, কোনো রকমের ধর্মীয় বোধ থেকে এইপুলকলাভ, শান্তি বা স্বস্তি নয়, বরং নিতান্তই বাস্তবিক চিন্তাবোধ থেকে এই মানসিক স্বস্তি ও শান্তিলাভ করা, আনন্দ পাওয়া।

সাজেককে আমি দেখেছি নিজের অপরূপ রূপ হারিয়ে ম্রিয়মান হয়ে গিয়ে ক্ষয়মান অবস্থায়।সাজেক একসময় ছিলো গহীন এক বনাঞ্চল। নানা নানা প্রজাতির নাম না জানা পশুপ্রাণী, পাখপাখালী অবাধে বিচরণ করতো সেখানে। কিন্তু যে সময় আমি সেখানে গেলাম তখন তার সেই গহীনত্ব নেই! ঝাড়-জঙল-গাছ-বাঁশ-লতা-পাতা নানা বনজ সম্পদ শেষের পথে!
তারপরও সাজেক তখনো হাতছানি দেয় তার আগের রূপের ঝলক দেখাতে! হয়তো ঝলক সে দেখাতে পারে না, কারণ সেই আগের রূপ যে তার আর নেই! শুধু আছে তার ঠাটবাট।

সাজেকে যে সকল লোকজন আশ্রয় নিয়েছিল বা যারা বসবাস করতো তারা নির্ভর করতো জুমের উপর, বাঁশ গাছ কেটে তারা জীবিকা নির্বাহ করতো। পুঁজির অবাধ লোভনীয় ফাঁদের প্রলোভনে সবাই প্রকৃতিকে ধ্বংস করতো, নিজের স্বার্থের কথা ভাবতো, আর বছর বছর সাজেকের রূপে ‘ধর্ষণযজ্ঞ’ চালাতো সকলে মিলে! দিনে দিনে সাজেক ক্ষয়ে যেতে যেতে এখন সে শুধু পেটে আর ভাতে দিন কাটানো এক দীনহীন মাত্র!

আমি যে সময় সেখানে যাই সেই সময় দেখি, গঙ্গারাম-মাজালঙ-কাজালঙ নদীতে মাছ ধরে আরো শত জন তাদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। মানুষজন শুধু মাছ ধরতো বা নদীর সম্পদ লুট করতো। তাকে পরিচর্যা করার কথা তারা ভাবতো না।
সাজেকের নদীও তাই দীনহীন শীর্ণ হতে শুরু করছে।
১২ হাজার মাছের পোনা হয়তো, সেই জীবন্ত সদা চলমান বেঁকে চলে যাওয়া ছোটো নদীর জন্য কিছুই নয় তারপরও ‘লিখে রেখো একফোঁটা দিলেম শিশির’ বলার স্পর্ধা কেন যে পেলাম তা জানি না!
একেই বেল বোধহয় নার্সিসিজম বা আত্মপ্রেম আত্মশ্লাঘা বোধ!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.