নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরেধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরে ধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

মিঠুন চাকমা

মিঠুন চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আংকল স্যাম কে?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩


তারিখঃ ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সহজ কথায় আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে আংকল স্যাম নামটি ব্যবহার করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাক্তিক ব্যক্তিকীকরণ হলো আংকল স্যাম।এবং আসলেই আমেরিকায় আংকল স্যাম নামে একজন পরিচিত ছিলেন।

নিউইয়রকের ট্রয় নামক স্থানে স্যামুয়েল উইলসন নামে একজন বয়স্ক ব্যক্তি থাকতেন। ১৮১২ সালে যখন আমেরিকায় যুদ্ধ চলছিল তখন তিনি সৈনিকদের জন্য রেশন সরবরাহের দায়িত্ব পান। তিনি সৈনিকরা যে রেশন পেতো সেগুলো প্যাকেটজাত করে পাঠাতেন। আর প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকত 'E.A-U.S'। E.A-এর মানে যিনি এই রেশন সরবরাহের কাজটির ঠিকাদার ছিলেন তার নামে, তার না ছিলো আলবার্ট এন্ডারসন। আর U.S-এর মানে ইউনাইটেড স্টেটস বোঝানো হলেও কেউ যখন এর মানে স্যামুয়েল উইলসনের সহকারীদের কাছ থেকে প্রশ্ন করতো তখন সবাই উৎসাহের সাথে এর মানে হিসেবে বলতো 'আংকল স্যাম'। সৈনিকরাও রেশন পেলেই আংকল স্যাম'র নামটি উচ্চারণ করতেন বা ব্যবহার করতেন।এভাবেই নামটি পরিচিত হয়ে ওঠে।
স্যামুয়েল উইলসন তার নিজ এলাকায় 'আংকল স্যাম' নামে পরিচিত ছিলেন।

তবে মূলত 'আংকল স্যাম' পরিচিত হয়ে ওঠেন এবং এই নামটির ব্যাপক ব্যবহার হতে থাকে তার মৃত্যুর পরে।
১৮৬০-৭০ সালের দিকে রাজনৈতিক ধারার কারটুন আঁকিয়ে টমাস নাস্ট ছিপছিপে গড়নের, সাদা দাড়ি ও গায়ে ডোরা দেয়া তারা চিহ্নিত কোট পরিহিত স্যাম'কে আঁকতেন পত্রিকায়।তবে তখনো আংকল স্যাম তেমন পরিচিত হতে পারেননি।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা ব্যাপক সৈন্য রিক্রুট করার ব্যবস্থা করে। কারটুনিস্ট জেমস মন্টোগোমারি ফ্ল্যাগ নতুন করে 'আংকল স্যাম'কে নিয়ে পোস্টার আঁকেন। এবার আংকল স্যাম মাথায় লম্বা টুপি, গায়ে নীল কোট পরে আঙুল উঁচিয়ে সরাসরি দর্শকের বা জনতার চোখের দিকে চেয়ে রইলেন, এবং তার মুখ দিয়ে বলে উঠলেন বা পোস্টারে লেখা রইল- “I Want You For The U.S. Army”।
১৯১৬ সালের জুলাই মাসে এই ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হলো।
ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেল। ১৯১৭-১৮ সালে এই ছবি নিয়ে প্রায় ৪০ লাখ পোস্টার প্রকাশিত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও সৈন্য রিক্রুট করার জন্য আমেরিকা এই ছবি ব্যবহার করে।হিটলারের জার্মানী'র গোয়েন্দা বাহিনী আমেরিকাকে কোডনামে 'স্যামল্যান্ড' ব্যবহার করতে থাকে।
এভাবেই 'আংকল স্যাম' আমেরিকা ছাড়িয়ে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমানে সকলের কাছে 'আংকল স্যাম' মানেই আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
তবে 'আংকল স্যাম' এখন অন্য দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাদাগিরি বা মোড়লগিরিকেও বোঝানো হয়।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, হিস্টোরি.কম, ব্রিটানিকা.কম

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

রিকি বলেছেন:

১ ম লাইক। :) :) :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মিঠুন চাকমা বলেছেন: ছবিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু দুঃখ প্রকাশ করছি 'ট্যাকনিক্যাল সীমাবদ্ধতার জন্য পোস্টে ছবিটি ব্যবহার করতে না পারার জন্য।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আংকল স্যাম বহুত জ্বালাইতেছে দুনিয়া জোড়া! আন্টিরে ডাকেনতো তারে একটু ঘুম পাড়াইতে! ;)


অনেক কিছূ জানা হল। পোষ্টে +

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মিঠুন চাকমা বলেছেন: 'খতরনাক' আংকল স্যাম নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

জুনজুন বলেছেন: স্যম মিয়া ত ড্যম কেয়ার নিয়ে চলা ফিরা করে দিখি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.