নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরেধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

ভবিষ্যতের আবরণ উন্মোচিত হয় ধীরে ধীরে, অথচ মানুষকে কাজ করে যেতে হয় দিন থেকে দিনে

মিঠুন চাকমা

মিঠুন চাকমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংঘের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে, সংহতি সাধিত হয় কায়, মন, বাক্যের সংহতির দ্বারা

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

একদা একসময় সিদ্ধার্থ গৌতম কোশাম্বির ঘোশিতারাম বিহারে অবস্থান করছিলেন। তিনি জানতে পারলেন সেখানে অবস্থানরত ভিক্ষুগণ নিজেদের মধ্যে বিবাদ করছেন, পরস্পরের ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন। একে অপরকে নানা কটুবাক্যের দ্বারা আঘাত করছেন। কলহ বিবাদ যেন বিহারকে নিরানন্দ করে দিলো!
সিদ্ধার্থ গৌতম ভিক্ষু শ্রামনদের মধ্যে এই বিবাদের কথা জানতে পারলেন।
তিনি সবাইকে ডাকলেন।
তিনি তাদের বললেন, তোমরা যে বিবাদ করছো, ঝগড়া করছো তাতে কি তোমাদের কোনো লাভ হচ্ছে?
কেন তোমরা বিবাদ করছো?
তোমাদের বলছি-
১। তোমরা যদি কায়, মন, বাক্যে তোমার সতীর্থ বন্ধু, সহসাথীর সাথে মিত্রতার আচরণ করো, তাদের কল্যান কামনা করো তবে কি এই ঝগড়া বিবাদ হতো?
২। তোমরা যদি প্রকাশ্যে অথবা গোপনে(চাঙমা কথায় ‘আবিদ্দনে’), অথবা মনে মনে সকলের অগোচরে তোমার বন্ধু, সতীর্থ, সহসাথী, সহপথিকের মঙ্গল কামনা কর, তাদের নিয়ে প্রীতিকর কথা বল, তাদের সুখ বা প্রীতি বা শান্তি আনন্দ সমৃদ্ধি কামনা করো তবে কি তোমরা ঝগড়া বিবাদে জড়াতে পারতে?
৩। তোমরা যদি তোমাদের বন্ধু, সতীর্থ, শুভার্থী, সহসাথী, সহপথিকের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে, সমদুঃখে দুঃখী হতে, সকলকিছু একত্রে ভাগাভাগি করে নিতে তবে কি তোমরা বিবাদ করতে পারতে?
৪। তোমরা যদি সংঘের নীতি ধর্ম তথা শীল পালন করতে তবে কি রাগ দ্বেষযুক্ত হয়ে তোমাদের সহপথিক, সহসাথী, বন্ধুর সাথে বিবাদে জড়াতে পারতে?
৫। তোমরা যদি সংঘের মংগল কামনা করতে তবে বিবাদে জড়াতে?
তারপর তিনি বললেন, ভিক্ষু শ্রামনগন যদি ক্রুদ্ধ হন, দ্ব্বেষযুক্ত হন, যদি লোভ লোভযুক্ত হন যদি মোহ, আলস্য, ঔদ্ধত্য, সন্দেহ, জড়তা ইত্যাদি তাকে বা ভিক্ষু শ্রামন বা সহসাথী সহপথিকদের মধ্যে পেয়ে বসে তবে সে/তিনি বা তারা অকুশল অমংগল দ্বারা পরাভূত হবেন।
এবং এই অকুশল অমংগল থেকে মুক্তির উপায় হলো-
সত্যনিষ্ঠ হওয়া
শান্ত সমাহিত হওয়া, শান্তভাবে সকল কিছু সমাধানের উদ্যোগ নেয়া।
অকপট থাকা,
কল্যানকামী হওয়া,
কিরূপে একজন শক্তিমান হন? সিদ্ধার্থ গৌতম বললেন, কুশলসম্পন্ন ভিক্ষু কলহ-বিবাদ মুক্ত থাকেন। তিনি সম্যক দৃষ্টি বা সঠিক তথ্য উপাত্ত গ্রহনের দ্বারা কুশল শান্ত দ্বেষমুক্ত নিরাগচিত্ত দ্বারা সমস্যা বিবাদ কলহ সমাধানের উদ্যোগ নেন বলে তিনি সংহতি সাধন করতে সমর্থ হন।
তিনি বিজয়ী হন, আনন্দ লাভ করেন।
সিদ্ধার্থ গৌতম যা বললেন তা মেনে চললে সতীর্থগন নিশ্চয় নিশ্চিতভাবেই বিবাদ বিসংবাদ থেকে মুক্ত থাকবেন।সংঘের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি তখনই ঘটতে থাকবে। কেউ কি সেই উত্থান রোধ করার সাহস রাখবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.