নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চন্দ্রমোহিয়ান।

মিথী_মারজান

মুক্ত আমি,রুদ্ধ দ্বারে..বন্দী করে কে আমারে!!!

মিথী_মারজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক টুকরো শৈশব স্মৃতি আর ভালবাসার অটুট বাঁধন

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭



২০০১ইং সাল।আমার এস.এস.সি. পরীক্ষা।তখনো মোবাইল ফোনের প্রচলন এমনভাবে শুরু হয়নি।সকালে রেডি হয়ে অপেক্ষা করছি কখন আব্বু ফোন করবে তারপর বাসা থেকে বের হব।প্রায় পৌনে নয়টায় ল্যান্ড ফোনে আব্বু ফোন করল।আমাকে অনেক আদর দিয়ে সাহস দিয়ে কথা বলল।এবার বাসা থেকে বের হবার পালা।কথা ছিল আমি আর আম্মু যাব।কিন্তু দেখলাম আমার ছোট ফুফু তার ছোট ছেলেকে নিয়ে রেডি হয়ে আছে আমাদের সাথে যাবে।বাসা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র কিছুটা দূরের পথ।আম্মু ফুফুকে বলল এত ছোট বাচ্চা নিয়ে তোমার আর যাওয়ার দরকার নাই।আমার ফুফুর এক কথা - কি বলেন ভাবী!আমার ভাইয়ার মেয়ের পরীক্ষা আর আমি যাব না! দাদীমার কাছেও এটা স্বাভাবিক।যাক না!ঘরে তো টেনশনে অস্হির থাকবে তারচেয়ে বরং সাথেই যাক।বড় সবাইকে সালাম করে কিছুক্ষণ দাদীমার বুকে মুখ গুঁজে রাখলাম।সাহস,শক্তি,দোয়া আর ভালবাসা প্রাণ ভরে নিয়ে রওনা হলাম।

বাসার গলি থেকে বের হতেই দেখি মসজিদের সামনে আমার ছোট চাচা। চাচাকে জড়িয়ে ধরলাম।আহ্লাদ কিনা জানিনা আমরা ছোটবেলা থেকে এভাবেই শিখেছি।বড়দের দেখলেই হয় সালাম করা,না হয় সালাম দেওয়া আর মামা,চাচা,ফুফুদের মত আপনজনদের দেখামাত্র সালামের পাশাপাশি জড়িয়ে ধরেছি।ছোটচাচাও নাকি আমার সাথে যাবে জন্য দাঁড়িয়ে আছে।রিক্সায় উঠতে হবে বড় চাচার বাসার সামনে থেকে।
সেখানেও দেখলাম গেইটের সামনে বড় কাকী আর বড় আপা (চাচাতো বোন) দাঁড়ানো।এক দৌড়ে গিয়ে বড় কাকীকে সালাম করলাম।বুকে টেনে নিয়ে কাকী আদর করে দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে দিল।কিভাবে পরীক্ষা দেব,কোন দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে এইসব একগাদা উপদেশ দিয়ে বড় আপাও ঘোষণা করল সেও নাকি আমার সাথে যাবে।
আমি আর আম্মু এক রিক্সায়,ছোট ফুফু - বড় আপা এক রিক্সায় আর ছোট চাচা আরেক রিক্সায় এভাবে আনন্দ শোভাযাত্রায় শুরু হল আমার পরীক্ষা যাত্রা।মজার ব্যাপার হল মাঝ রাস্তায় আমার চাচার রিক্সা থামিয়ে আমার সেজ ফুফা উঠল হাতে কোকাকোলা আর চিপ্সের প্যাকেট নিয়ে কারণ এগুলো আমার খুব প্রিয়।আর কেন্দ্রে গিয়ে দেখলাম আমার ইরা আম্মু (মেজ ফুফু) ছোট্ট ইভানকে কোলে নিয়ে আগে থেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।আমাকে দেখামাত্রই ইরা আম্মু জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করল - 'মিথী রে.. তুই কবে এত বড় হইলি আমার মা... ইস্ রে কত আদরের বাচ্চা আর বাপটা আজকে দেশে নাই! '

ইতিমধ্যেই চারপাশের লোকজন আমাদের দিকে ফিরে ফিরে দেখছে।আমার কিছু বান্ধবী তো অবস্হা দেখে দুষ্টুমিভরা চোখে আমাকে দেখছে আর মিটমিট করে হাসছে। এদিকে লজ্জায় যে আমার কি অবস্হা,কি বলব!আমার সাথে এত মানুষ আর তাদের অস্হিরতা দেখে আমার এক ফ্রেন্ড হাসতে হাসতে বলেই ফেললো - অবস্হা যা বানাইসোস, মানুষ তো ভাববো বংশে তুই প্রথম এস.এস.সি পরীক্ষার্থী।
আমিও বেশ মজা পেলাম এমন কথায়।আমার চাচা আর ফুফা রোল নাম্বার মিলিয়ে সিট প্ল্যান দেখে এসে আমাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ভেতরে পাঠালো।

আহারে... কি মধুময়,কত মায়াভরা সেসব স্মৃতি!দাদীমা এখন আর বেঁচে নেই।বড় কাকীও অসুস্হ।সেজ ফুফারতো শারীরিক অবস্হা আরো খারাপ!উনাদের কিছু হয়ে গেলে (আল্লাহ্ না করুক) কোথায় পাব এত এত ভালবাসা!
ছোট ছোট পরিবারের ভিড়ে যৌথ পরিবার এখন প্রায় বিলীন।আপনজনের ভালবাসার অভাবে অনেকক্ষত্রেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাচ্চাদের রঙিন শৈশব,কৈশর।কোথায় পাবে আমাদের সন্তানেরা এত ভালবাসা!!!

(বি.দ্র.: লেখাটি এর আগে ফেইসবুকের একটি গ্রুপে প্রকাশিত হয়েছিল।)

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বেশ আদুরে ছিলেন মনে হচ্ছে

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

মিথী_মারজান বলেছেন: সত্যিই অনেক আদরের ছিলাম। তবে শুধু আমি নই, আমাদের পরিবারের প্রতিটি সন্তানই এমন আদরে বড় হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আবু তালেব শেখ। :)

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

চানাচুর বলেছেন: অনেক মজা লাগলো আপনার পুরানো স্মৃতি পড়ে 8-|

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিবারের সবাই আপনাকে ভালোবাসতো সন্দেহ নেই; তবে, আপনি নিজে কি আলালের ঘরের দুলাল মুলাল, বা এই ধরণের কিছু?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

মিথী_মারজান বলেছেন: আলালের ঘরে দুলাল এর সঠিক গল্পটা জানি না ভাইয়া। তবে আজম খানের আলাল ও দুলাল গানটা শুনেছি।
তাই সঠিক উত্তর দিতে পারলাম না।
আর আমি একা নই, আমার অন্যান্য কাজিনরাও এমন ভালবাসাতেই বেড়ে উঠেছে।
ধন্যবাদ চাঁদগাজী সাহেব। :)

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব ভাল লাগল। আমরাও ছোটবেলায় এমন আদর পেয়ে বড় হয়েছি। এখন সেসব দিনের জন্য সত্যি আফসোস লাগে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

মিথী_মারজান বলেছেন: আমারো খুব আফসোস হয় ভাইয়া।
আমাদের জন্য না এখনকার একা একা বেড়ে ওঠা বাচ্চাগুলোর জন্য।
আমরা সৌভাগ্যবান।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভেচ্ছা জানবেন। :)

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

মিথী_মারজান বলেছেন: ধন্যবাদ চানাচুর।
শুভ কামনা। :)

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: পুরো এক টিম নিয়ে পরীক্ষার হলে গিয়েছিলেন দেখি। পারিবারিক, আনন্দঘন পরিবেশে পরীক্ষা যাত্রা।
মজা পেলাম পড়ে। :)

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সাহস, শক্তি, দোয়া আর ভালবাসা প্রাণভরে নিয়ে রওনা হ'লাম" - এটুকু পড়ে চোখের সামনে যে চিত্রটি ভেসে উঠলো, তা বড়ই সুখের, বড়ই সৌন্দর্যের!
"এভাবে আনন্দ শোভাযাত্রায় শুরু হলো আমার পরীক্ষা যাত্রা" - :D
বিরাট লটবহর নিয়ে পরীক্ষা যাত্রা করেছিলেন। আপনি ভাগ্যবতী, যে এ যুগেও আপনি এতটা পারিবারিক সম্প্রীতি, সৌহার্দ আর উষ্ণতার মাঝে দিনযাপন করছেন।
পোস্টে ভাল লাগা + +

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
এটা সেই ২০০১ সালের ঘটনা। তবে এটা ঠিক যে আমাদের পারিবারিক বন্ধন এখনো অন্যান্য পরিবারের চেয়ে যথেষ্ট মজবুত আছে। আর এগুলোর মেইন ক্রেডিট ছিল আমার দাদীর। কিভাবে যে সবাইকে একসাথে বেঁধে রাখতেন ভাবতেও অবাক লাগে।
সেই যাদুময়ী মানুষটি এখন আর নেই। তবে যতদিন তার শিক্ষা প্রাণে ধারণ করব ততদিনই চেষ্টা করব ভালবাসাগুলো জিইয়ে রাখার।
কৃতজ্ঞতা। :)

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বন্ধু নীল দর্পন বলেছেন "পুরো এক টিম নিয়ে পরীক্ষার হলে গিয়েছিলেন দেখি...|" এস এস সি প্রতিযোগিতায় আশাকরি চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন | তার বিলিটেড শুভেচ্ছা নিন | পরীক্ষাটা কোন স্কুলে হলো ? মর্গ্যান হাই -এ ?স্মৃতি জাগানিয়া মজার লেখার জন্য ধন্যবাদ নেবেন |

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৬

মিথী_মারজান বলেছেন: আরে!!! আমার নদীতো আত্মীয় যে! :)
রেজাল্ট খারাপ ছিল না, শুভেচ্ছার প্রতি উত্তরে ভাললাগা রইল। হা হা।
আমার কেন্দ্র ছিল বিবি মরিয়ম স্কুল।
কখনো গিয়েছেন সেদিকে?
খুব সুন্দর পরিবেশ। স্কুলের পেছনেই বিবি মরিয়মের সমাধী। কিছুটা কেল্লা টাইপের ডিজাইন। লাল ইট দিয়ে করা সুন্দর প্রাচীন নিদর্শন।
আমি মর্গ্যান এর ছাত্রী ছিলাম।
(কি ব্যাপার!!!! সব বাদ দিয়ে ঐ স্কুলের কথা প্রথমে মনে পড়ল কেন!!! হুমমম!!!B-)) (স্যরি)

অনেক ভালবাসা জানবেন প্রিয় আত্মীয় আমার। :)

৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

মিথী_মারজান বলেছেন: ধন্যবাদ নীল-দর্পণ আপু।
সবসময় পারিবারিক আনন্দঘন পরিবেশে থেকেছি।
খুব আনন্দময় স্মৃতি এটা আমার জন্য।
ভাল থাকবেন আপু। :)

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

টুকরো শৈশব গল্প ভালো লাগলো।
চমৎকার।

একটু লক্ষণীয়,
মন্তব্যের উত্তরগুলো আলাদা মন্তব্য না করে প্রতিমন্তব্যের ঘরে দিলে যে মন্তব্য করেছে তারকাছে একটা নোটিফিকেশন যায়, এতে উত্তরটা দেখতে সুবিধা হয়।

ধন্যবাদ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২

মিথী_মারজান বলেছেন: সেলফোন থেকে লগ ইন করলে এমন কিছু ঝামেলা হয় বোধ হয়।
চেষ্টা করেও সঠিকভাবে রিপ্লাই দিতে পারছিলাম না ভাইয়া।
আবার নতুন করে লগ ইন করে দেখলাম ঠিকমত হচ্ছে।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভেচ্ছা জানবেন। :)

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

শামচুল হক বলেছেন: যৌথ পরিবারের আদর সোহাগ ভালোবাসা নিয়ে পরীক্ষার হলে যাবার ঘটনা পড়ে আনন্দই লাগল। এখন যৌথ পরিবার দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এমন ভালোবাসাময় পরিবেশ আর হয়তো ফিরে আসবে না।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

মিথী_মারজান বলেছেন: এমনটা ভাবতেও কষ্ট হয়!
এখনকার বাচ্চাগুলোর জন্য খুব ফিল করি।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন। :)

১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

প্রামানিক বলেছেন: ঘটনা পড়ে মহুর্তেই শৈশবে হারয়ে গিয়েছিলাম। চমৎকার স্মৃতিচারণ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

মিথী_মারজান বলেছেন: এখনকার বাচ্চাদের তো শৈশব কাটে ভালবাসাহীন।
খুব মায়া লাগে।
আমরাই সোভাগ্যবান যাদের একটা সুন্দর শৈশব ছিল।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাল থাকবেন। :)

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

ওমেরা বলেছেন: আমাদের একক পরিবার ছিল, আব্বু,আম্ম্ , ভাই,বোনদের আদরের কমতি ছিল না। আপনার শৈশবস্মৃতি বেশ ভাল লাগল ধন্যবাদ আপু।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

মিথী_মারজান বলেছেন: বাবা-মা, ভাই-বোনের আদর অবশ্যই অতুলনীয়। তবে আমি এক বিশাল যৌথ পরিবারে বেড়ে উঠেছি। বাবা, মা, চাচা-চাচী, ফুফু, চেনা অচেনা সারা বছর জুড়ে কত রকম গ্রামের আত্মীয়, আমার দাদীর দুইজন পালিত কণ্যা (আমাদের আপন ফুফুর চেয়ে কোন অংশে কম না), আরও কত যে মানুষ! সারাক্ষণ গমগম করত আমাদের বাসাটা। এত মানুষ মিলে কত যে আনন্দ আর ভালবাসা তা কল্পনা করা সম্ভব না। ভাব, ভালবাসা, মান অভিমান হালকা পাতলা সব ছিল তবে মায়া মমতা আর বন্ধন যে এত মজবুত হতে পারে সেটা আমি এখনো খুব মিস্ করি আপু।

আজীবন সুখে থাকুন আপনারা।
দোয়া রইল। :)

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: গোপন কথা বলে দিচ্ছি (আর কাউকে বলবেন না যেন) আমার আপা পড়তেন ওই স্কুলে | আরো একটা গোপন কথা, মরগ্যান ছাড়া আর কোনো গার্লসস্কুলের নাম আমার এখন মনে নেই নারায়ণগঞ্জের (এটা একবার পরেই ভুলে যাবেন | এতদিন পর নারায়ণগঞ্জের অনেক কিছু দেখি ভুলে গেছি কি লজ্বা !) তাই ওই নামটা বলা, ক্লিয়ার ? প্রিয় ব্লগার শুভেচ্ছা নিন |

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫

মিথী_মারজান বলেছেন: হা হা।
বুঝলাম কিন্তু! :P (মজা করার জন্য আগেই কিন্তু স্যরি বলেছি)
আপনার আপার জন্যও আমার ভালবাসা।(আমরা একই স্কুলের ছাত্রী তাই) :)

ভুলে যাওয়ার দোষটা সময় আর ব্যস্ততার।
আপনাকে দোষ দেবনা।
তবে আর কি মনে করতে চান আমাকে শুধু আদেশ করেন জনাব, বান্দা হাজির আপনার সেবায়।
নদীটাকে মনে করলেই স্ট্রেস কমবে অনেকখানি।অনেক কিছু আবার মনে পড়ে যাবে। :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

মিথী_মারজান বলেছেন: প্রিয় নদীতো আত্মীয়,
আপনার একটা কমেন্টে আমার নাম দেখে আমি সত্যিই মানে কি বলব! (সম্মানিত, লজ্জিত এবং একইসাথে আপ্লুত)
বিনয়ের সাথে বলছি, এতটা সম্মানের যোগ্য আমি নই।(আচ্ছা! স্বজনপ্রীতি না তো! মাথা চুলকানোর ইমো হবে, হা হা)
আপনি আমার লেখা পড়েন, আন্তরিকতা নিয়ে কমেন্ট করেন আমার মত নগন্য ব্লগারের কাছে এটাই পরম সম্মানের।
এখন তো লজ্জায় আমি সেখানে কমেন্টই করতে পারছিনা।
তবে এজন্য আফসোস নেই কারণ আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্লগারের নাম সেখানে অলরেডি টপ ফেভারিটে আছে।
আর একদম তিন সত্যি, আপনি আমার নাম উল্লেখ করেছেন এটাই আমার জন্য চরম সৌভাগ্যের।
(এতটা অবাক আর আপ্লুত বহুদিন হইনি।)
ধন্যবাদ সেইসাথে অসীম কৃতজ্ঞতা।

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


নকল করেছেন, ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

মিথী_মারজান বলেছেন: স্টুডেন্ট মন্দ ছিলাম না।
নকল করার প্রয়োজন বা সাহস কোনটারই প্রয়োজন হয়নি।
একটু ভীতু ও ছিলাম। কারো খাতা দেখে লেখার সাহস পর্যন্ত আমার ছিলনা।
আমরা সৌভাগ্যবান ছিলাম সত্যিকার অর্থেই। আমাদের আত্মীয় স্বজনেরা পরীক্ষারর সময় আমাদের মতই এমন কি খানিকটা বেশি উদ্বিগ্ন থাকত একদম রেজাল্ট পর্যন্ত। তারা প্রশ্নপত্র এ্যাডভান্স কালেক্ট করে মিথ্যা ভালবাসার চেয়ে সুযোগমত যখন তখন বিভিন্ন গ্রামার আর অংকের সূত্র জিজ্ঞেস করে আমাদের আতংকিত করে তুলতে ভালবাসতেন।
আসলে আধুনিক এবং এখনকার কম্পিটিটিভ মেকি গার্ডিয়ানদের মত উনারা এতটা লিবারেল (!) ছিলেন না, তাই ভাবতেই পারতেন না ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র পেয়ে আমাদের রেজাল্ট তথা উজ্জল ভবিষ্যতের কথা।
ধন্যবাদ।

১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৮

এফ.কে আশিক বলেছেন: দারুন স্মৃতিচারণ। খুব আদুরে ছিলেন তখন, এখনো আছেন নিশ্চই...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

মিথী_মারজান বলেছেন: এখন তো অনেক বড় হয়ে গিয়েছি ভাইয়া।
তবে এটা ঠিক, আদরটা তেমনকরেই অনুভব করি।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাল থাকবেন। :)

১৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৮

অর্ক বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ। অনেকেই সহজে একাত্ম হতে পারবে এর সাথে। জীবন বহত নদীর মতো। চলতে চলতে একে একে কতো প্রিয় মুখ লীন হয়ে যায় কালের গহ্বরে।
আপনার প্রয়াত দাদিমা'ও একদিন কিশোরী ছিল। তারও এরকম বা অনেকটাই কাছাকাছি একটি গল্প ছিল। আমি আপনি আমরা সবাই রয়েছি এর মাঝে।

শুভকামনা।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২

মিথী_মারজান বলেছেন: এত সুন্দর কমেন্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ অর্ক।
ভাল থাকবেন। :)

১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩২

উম্মে সায়মা বলেছেন: ইশ কী সুন্দর ভালোবাসার স্মৃতি আপু! এত আদর কিন্তু সবার কপালে জোটে না। আপনি ভাগ্যবতী :)
খুব ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ....

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

মিথী_মারজান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
এজন্য ত্যিই নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি আমি।

সবার পারিবারিক বন্ধন এমন দৃঢ় হোক এই কামনা করি।
শুভেচ্ছা আপু। :)

১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বড় পরিবার আর কাছাকাছি থাকলেই এমনটা হয়।। আমার পরিবারেও এমনটা দেখা যায়।। একান্ন না হলেও সেই স্নেহ-ভালবাসা বহিঃপ্রকাশে।।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

মিথী_মারজান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
সব সময় ভাল থাকুন পরিবার পরিজনদের ঘিরে।
ধন্যবাদ আর শুভ কামনা। :)

২০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মিথি _মারজান : দুটো কথা | প্রথম, আমিতো আমার কথা বলেছি আমার কমেন্টসে |আপনার কথাতো নয়|ওটা প্রসঙ্গক্রমে এসেছে | অন্য কিছু বলা যেত না তাই যেটা বলবার সেটাই বলতে হলো |আপনিতো আপনার নিজের ঢোল নিজে পিটান নি |লজ্জ্বা লাগবে কেন? আমি যা লিখেছি তা না লিখলে মিথ্যা কথা বলতে হতো, সেটা করতে চাইনি | দুই, অপ্সরার লেখায় কমেন্টস করতে চাইলে করুন | যাদের লেখা আপনার ভালো লাগে আপনি সেটা ওই কমেন্টসে জানালে সেই ব্লগাররাও জানবে | এতো কষ্ট করে তারা ব্লগে লিখে, লেখার ফিডব্যাক পাওয়া তাদের একটা অধিকার আমার কাছে মনে হয় | তাদের লেখা যে আপনার ভালো লাগে সেটা জানাতে কোনো লজ্জ্বা করবেন না | ভালো থাকুন অনেক অনেক |

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ইদানিং ব্লগে আমার একটু পড়াটা কম হচ্ছে।
মানে প্রথম পাতা ছাড়া খুঁজে বের করে পড়া হচ্ছেনা আরকি!
তারপরেও অনেককে ভাল লেগেছে।
তাছাড়া একটা গ্যাপ থাকায় পুরোণোদের অনেক ভাল লেখাও মিস্ করেছি।
এতটুকু পড়াশোনায় কিভাবে মন্তব্য করব সেটাও ভাবছি।
আপনিও ভাল থাকবেন আত্মীয় আমার। :)

২১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: যৌথ পরিবার গুলো কি মজার । এতো ভালোবাসা সত্যিই মনে রাখার মতো । অনেক ভালো লাগল আপনার কাহিনী টা ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

মিথী_মারজান বলেছেন: হুম, আপু।
সম্পর্কগুলো খুব আপন আর সময়গুলো খুব মজার হয়।
অনেক ধন্যবাূ আপুনি। :)

২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভালোই আদরেসোহাগে বড় হয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। ভালো লাগলো।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

মিথী_মারজান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্।
শুভেচ্ছা জানবেন ভাইয়া। :)

২৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

আরজু পনি বলেছেন: মিথি!!!
আপনি সম্প্রতি ব্লগে নিয়মিত হয়েছেন!
দেখে খুব ভালো লাগছে।
ভালো থাকুন অনেক।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

মিথী_মারজান বলেছেন: আপু!!!
আপনাকে পেয়ে আমার অন্যরকম ভাল লাগল।
দেখি, ফারজুল আরেফিনকেও অনুরোধ করব আবার নিয়মিত হতে।

অনেক অনেক ভালবাসা জানবেন আপুনি।
সুন্দর হোক আপনার প্রতিটি সময়। :)

২৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ২০০১ সাল অবধি পরীক্ষার্থীর সাথে পরিবারের একাধিক লোকজন পরীক্ষার হলে যাওয়া একটা রীতি ছিল তারপর আস্তে আস্তে তা উঠে যায়/হারিয়ে যায়। সত্যি সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে থাকবে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

মিথী_মারজান বলেছেন: কিছুটা কমেছে কিন্তু পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি ভাইয়া।
এই তো সেদিন আমার কাজিনের জে.এস.সি. পরীক্ষা শুরু হল।
আমরা অনেকেই গিয়েছিলাম ওর সাথে।
যদিও এখন সবাই যার যার মত আলাদা বাসায় থাকি।
তবে আমাদের একটা সুবিধা হচ্ছে একই এলাকায় আব্বুূ আর চাচাদের তিন ভাইয়ের বাসা।
তাই যোগাযোগ রক্ষা করাটা আমাদের জন্য কিছুটা সহজ।
সবচেয়ে বড় কথা হল সম্পর্ক রক্ষায় আন্তরিকতা থাকতে হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

২৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভালবাসার মানুষ গুলো একে একে একদিন সবাই নেই হয়ে যাবে ভাবলেই কেমন মন খারাপ হয়ে যায়।
ভাল লাগল আপনার স্মৃতিচারন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

মিথী_মারজান বলেছেন: ওহ্! ভাইরে কি মনে করিয়ে দিলেন!
এগুলো বাস্তব কথা কিন্তু খুব খারাপ লাগে ভাবতে।
একদিন সবাই হারিয়ে যাবে এমনকি আমিও।
তখন এই ভালবাসার স্মৃতিগুলোই সবাইকে বাঁচিয়ে রাখবে।
আল্লাহ্ আমাদের প্রত্যেকটি আপনজনকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুক, আমিন।

ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখনকার বাচ্ছাদের মা বাবাই আদর করার সময় পাচ্ছেনা।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেকাংশে ব্যাপারটি সত্যি এবং সেই সাথে উদ্বেগজনক।
আমার সত্যি খুব মায়া হয় এখনকার বাচ্চাদের জন্য।
প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত বাচ্চাদের একটি সুন্দর শৈশব গঠনে সাহায্য করা।
ভালবাসা না পেলে কিভাবে তারা অন্যকে ভালবাসতে শিখবে!

প্রতিটি বাচ্চার জীবন হোক নিরাপদ, সুন্দর আর আপনজনের স্নেহের চাদরে মোড়ানো।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ !! এই তো
এক্ষুনী আবার সেই মোরাগ মুসাল্লাম ভাইয়া কে ধার করতে হচ্ছে কি যেন ছিল মন্তব্য টা ??

অসম্ভব মন ছোঁয়া লেখা মিথী
একদম
তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে আমদের ছোট গাঁয়

গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;

মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি

মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,



আচ্ছা !!! তাই তো বলি এতটা পাললিক আর কাদের মন !!!
আমার বিশ্ব বিদ্যালয় জীবনের কয়েক বছর আনন্দ বাস ' এ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে চলে আসার বেশ স্মৃতি আছে এই শীতলক্ষ্যার তীড় এর । তাছাড়া আমার শহরে ঢোকার জন্য তো আপনাদের কে কর দিতে হয় ।


ভালোবাসা মিথী !

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

মিথী_মারজান বলেছেন: তাই!!!
মানে কি আপু!! আপনিও কি শীতলক্ষ্যা তীরের?
আনন্দ বাসে এদিকে আসতেন! উফ, আপু! তখন কেন আপনাকে চিনতাম না! (মন খারাপের ইমো হবে)
কর দেবার ধাঁধাঁ তে কি নদীর ওপারের বন্দর এলাকা বোঝালেন?
তবে কোথায় যেন দেখেছিলাম বিক্রমপুরের কথা তাই একটু কনফিউজড হয়ে গেলাম।
জলদি জানাবেন আপি,আমি এক্সাইটেড হয়ে আছি।

জানিনা কেন আপু, তবে আপনাকে একটু বেশি ভালবাসি।(জড়িয়ে ধরার ইমো হবে)
অনেক কৃতজ্ঞতা এতটা ভালবাসার জন্য। :)

২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



কত স্মৃতি কতভাবে ওঠে জেগে হৃদয়ের গুলবাগে,
প্রেম প্রনয়ের পবিত্র বাঁধন কত মজবুত ছিল আগে!
সোহাগ-শাসন দু'য়ের মিলনে, আমরা উঠেছি বেড়ে,
হায় কি জমানা, ডিজিটাল বুঝি মনুষত্ব নিল কেড়ে!
মমতার সেই হাত আর নেই, মায়ার বাঁধনও নেই,
বিশ্বাসগুলো হারিয়ে গেছে, আমরা হারিয়েছি খেই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

মিথী_মারজান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন ভাইয়া।
এখন বেঁচে আছি তবে আগেই বোধহয় ভাল ছিলাম।

অনেক ধন্যবাদ। :)

২৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

আমি মাধবীলতা বলেছেন: আমার সাথে অনেকটাই মিলে গেলো আপু ! এসএসসি বা যেকোনো বোর্ড এক্সামের আগের রাতে সব আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে সালাম করে দোয়া নিয়ে আসাটা আমাদের বাসায় রীতিই ছিল । দারুণ লাগতো সে সময় ! নিজেকে মনে হতো ইস! কতো বড় হয়ে গেছি! :D
লেখাটা খুব ভালো লাগলো আপু...

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

মিথী_মারজান বলেছেন: সালামের সাথে সালামীটাও পেতাম আপু।
এটা লেখার সময় মিস্ হয়ে গেছে।
আপনিও পেতেন নিশ্চয়ই!
কি মজার ছিল দিনগুলো, তাই না!

আপনাকেও শুভেচ্ছা আপু।
ভাল থাকবেন। :)

৩০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তাই!!!
মানে কি আপু!! আপনিও কি শীতলক্ষ্যা তীরের?

আমি শীতলক্ষ্যার অপর পাড়ের ,ধলেশ্বরীর পাড়ের । মানে মুনশিগঞ্জ এর ।

আনন্দ বাসে এদিকে আসতেন! উফ, আপু! তখন কেন আপনাকে চিনতাম না! (মন খারাপের ইমো হবে)
হুম আনন্দ বাস ' এ ২নং গেট এ নেমে লঞ্চে করে মুনশিগঞ্জ যেতাম ।তখন আমাকে কেমন করে চিনবে আমার সে পার্ট ১৯৯৯ তে শেষ হয়েছে ।
কর দেবার ধাঁধাঁ তে কি নদীর ওপারের বন্দর এলাকা বোঝালেন?
হাহাহা পঞ্চবটী বুঝিয়েছি রে ময়না ,ওখানেই তো আলাদা হবার রাস্তা ।

তবে কোথায় যেন দেখেছিলাম বিক্রমপুরের কথা তাই একটু কনফিউজড হয়ে গেলাম।
জলদি জানাবেন আপি,আমি এক্সাইটেড হয়ে আছি।

আরেয়ে বিক্রমপুর ই তো মুনশিগঞ্জ শুধু গজারিয়া বাদে । সরি ফিরতে সময় নিলাম !

জানিনা কেন আপু, তবে আপনাকে একটু বেশি ভালবাসি।(জড়িয়ে ধরার ইমো হবে)
অনেক কৃতজ্ঞতা এতটা ভালবাসার জন্য। :)

বিগ হাগ মিথী মনি ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

মিথী_মারজান বলেছেন: ওহ হো!!!
ব্যাপার না আপুনি।
আপু তো আপুই, যেখানেই থাকুক না কেন।

আজকে আমি অন্যরকম খুশি।
আমার মিষ্টি আপুটাকে খুঁজে পেয়ে। !:#P !:#P

ভালবাসা ইনফিনিটি..... :)
থ্যাংক্স ফর ইওর কর্ডিয়াল হাগ।:)

৩১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: পড়ে তো মনে হচ্ছে সোনায় মোড়ানো আদুরে ছিল আপানার ছোটবেলাটা। এত এত ভালোবাসা চারিদিকে!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

মিথী_মারজান বলেছেন: সত্যিই ভাইয়া।
অনেক অনেক ভালবাসার চাদরে মোড়ানো একটা পরিবারে বড় হয়েছি আমি। আলহামদুলিল্লাহ্।
স্মৃতিগুলো এখনো যেন অমলিন।

ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনজনদের নিয়ে সবসময় সুন্দর হোক আপনার জীবন।
শুভ কামনা। :)

৩২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা

যদিও আদরে ভালোবাসায় জড়ানো লেখা এবং স্মৃতি তবুও পোস্ট পড়ে না হেসে পারলাম না কারণ এক্কেবারে চোখের সামনেই দেখতে পেলাম মিথিমনি আর তার পুরা পরীক্ষা মিছিলবৃন্দ!!!!!!! সত্যিই দেখতে পেলাম।
আর চাঁদগাজী ভাইয়ার কমেন্ট আলাল আর দুলালের গান শুনে আরও আরও হাসলাম আপুনি!!!!!! চাঁদগাজী ভাইয়ার আশেপাশের মানুষগুলো যে ভাইয়াকে কি করে আল্লাহ জানে ভাইয়া নিজেই মনে হয় গুহাতে লুকিয়ে থাকে তাদের মাইরের ভয়ে! :P

যাইহোক মোরগ মুসাল্লামভাইয়ার কথায় জানলাম তুনি নারায়গঞ্জের মেয়ে। ভাইয়াও সেখানকার আর সেখানে মর্গ্যান নামে এক বালিকা বিদ্যালয় আছে। আর মনিরা আপু নাকি আবার মুনশিগঞ্জের!!!!!!! এত এট গঞ্জো ইতিহাস!!!!!!! বাপরে!!!!!!!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১২

মিথী_মারজান বলেছেন: হা হা হা।
মুসাল্লাম ভাইয়া, মনিরা আপু আর আমি;আমাদের ঐক্যজোটই প্রমাণ করে আপু গঞ্জের মানুষেরা শুধু ব্যবসা নয় সম্পর্কগুলোকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসতেও জানে। আর গঞ্জো ইতিহাস আসলেই এক সুন্দর ভালবাসা যা মসলিন আর জামদানির মত মনের মাধুরী মিলিয়ে সযতনে বোনা হয় হৃদয়মাঝে।

চাঁদগাজী ভাইয়ার কমেন্টগুলোও ঠিক গঞ্জের মতই কঠোরতা আর হাস্য রসাত্বকের এক অপূর্ব মিশেল। উনি ব্যস্ত জীবনের চলন্ত মানুষকে এক ঝটকায় থমকে দিতে পারেন। হা হা। আর আমার তো উনাকে সবচেয়ে বেশি রসিক মনে হয়। মনে হয় যে কোন কঠিণ কমেন্ট করার পর সেটা পড়ে উনি নিজেই প্রথম হাসিটা হাসেন।
কেন যেন আরেকটা অনুমান করি তা হল চাঁদগাজী ভাই বাস্তব জীবনে এত কাঠখোট্টা না। আবার হতে পারে ব্লগটাই উনার পালাবার গুহা।:P (ভাইয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, উনাকে নিয়ে এত কথা বললাম জন্য)

এবার আমার কথা বলি। সত্যিই অনেক মজা আপু এমন আনন্দময় মিছিল যাত্রায়। নিজেকে অনেক স্পেশাল আর সৌভাগ্যবতী মনে হয় চারপাশে এত এত আপনজনের ভীড়ে।

৩৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

শায়মা বলেছেন: হইসে। চাঁদগাজী ভাইয়া হলো শক্তের ভক্ত মানে যখন এইসব নিজের হাসার জন্য কথা বলে অন্যের রোষের শিকার হন তখন তার আক্কেল হয় যে সামলে বলতে হবে । কিছুদিন চুপ থাকে আবারো শুরু হয়। ভাইয়াকে আমার চেনা হয়ে গেছে। এখন তার শুরু হওয়া পালা চলছে। বেশি বাড়লে আবার ব্যান খেয়ে ঠিক হবে। ডোন্ট ওয়ারী এট অল! :)


তবে সবকিছুর পরে চাঁদগাজী ভাইয়া যে সবার কত প্রিয় তা অপ্সরার জরীপ পোস্টেই বুঝা গেছে।

ভাইয়া অধম মানে উল্টাপাল্টা যাচ্ছেতাই বললে কি হবে অন্যরা উত্তম মানে ভালোবাসার মানুষগুলি তাকে ঠিকই ভালোবাসে।

আর সবচেয়ে বড় কথা-

কি এক যাদু আছে ভাইয়ার মনোমাঝে

উনি যাচ্ছে্তাই যাই বলুক.....

উনি নিঃ হিংস, অহিংস কারো প্রতিই বিদ্বেষহীন নির্লিপ্ত মানুষ! গৌতম বুদ্ধ হয়ে যায় নাকি শেষমেষ এটাই চিন্তার বিষয়! :P

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

মিথী_মারজান বলেছেন: হা হা..
তাই নাকি!
যাদু তো অবশ্যই আছে ভাইয়ার মধ্যে।
ভেরি স্ট্রং পারসোনালিটি।
আর গৌতম বুদ্ধ!!!
না থাক, সেটা না হোক।
নিজস্ব নিকেই বৃদ্ধি হোক উনার ভালবাসা প্রাপ্তি ভান্ডার।

ভালবাসা জানবেন আপুনি। :)

৩৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

মিথী_মারজান বলেছেন: ধন্যবাদ বাদশা ভাই।
এত কুঁড়েমির মধ্যেও লেখাটি পড়ার জন্য শুভেচ্ছা। :)

৩৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বাসায় সবার ছোট নাকি আপনি? এত আদর সাধারণত ছোটরাই পায়।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১

মিথী_মারজান বলেছেন: আমি আমার বাবা-মায়ের বড় সন্তান। B-)

ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.