নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চন্দ্রমোহিয়ান।

মিথী_মারজান

মুক্ত আমি,রুদ্ধ দ্বারে..বন্দী করে কে আমারে!!!

মিথী_মারজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাঁঝবেলাতে স্মৃতির ফানুশ

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৪



পালা করে হাতছানিতে শৈশব আমায় আজও ডাকে।
সবুজ শাড়ির নীল আঁচলে তখন আমি ক্লান্তির ঘাম মুছি।
দু'চোখে কাপড় বেঁধে শৈশব তখন ফিরে আসে কানামাছির ছলে।
একঝাঁক বন্ধু আমাকে ঘিরে আলতো ছুঁয়ে কোরাস করে -
'কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ'।
মনের ভুলে পেছন ফিরে হাতড়ে হাতড়ে আমিও তাদের খুঁজি।
চোখ থেকে আঁচল সরে গেলে,বুকে বাজে এক অস্ফুট আর্তনাদ -
কোথায় আছিস তোরা? আয় না!
সবাই মিলে একসাথে আবার ছুঁয়ে দেখি শৈশবটা!

ঘুমভাঙা দিনের শুরুতে
দুই ফিতার স্যান্ডেল পায়ে জড়ানোর সময়
ঝকঝকে টাইলসে মনের ভুলে আজো খুঁজি
নয়ঘরা ছয়ঘরার এক্কা দোক্কা খেলার মসৃন ইটচারা।
তবলার সুরে নৃত্যরত মৌমাছি সেদিন সারাটাক্ষণ জুড়ে
'কুতকুত', 'কুতকুত', বোল তোলে আমার শূন্য মনের দেয়ালে।

দুপুরবেলার ঘুমপালানো চোখটি বুজে
দস্যিমনে আজও হারাই -
চড়ুইভাতি, পুতুল বিয়ে, রান্নাবাটির ঘরকন্যার খেলায়।
কোথায় সেসব কুড়িয়ে আনা রঙিন লেইসের শাড়ি?
ভাঙা গয়না, জুতার বাক্সে সাজানো স্বপ্নবাড়ি!
এলোকেশী, শাড়ি পড়া সেই হাতে বানানো কাপড়ের পুতুলটাকে
প্রিয় বন্ধুর পুতুল বরের সাথে বিয়ে দেবার ব্যথাটা
ঠিক তেমনভাবেই দুমড়ে ওঠে আজও।

বিকেল বেলার জানলার কাঁচ গলে
দৃষ্টি যেন থমকে দাঁড়ায় পাশের বাড়ির উঠোনে।
নিজেকে আবার ফিরে পাই লাল জামা,
সাদা ফিতার দূরন্ত কলাবেনীর দোলে।
'ইচিং বিচিং চিচিং চা, প্রজাপতি উড়ে যা'!
হাতের কাপে ছলকে ওঠা গরম কফির উষ্ণতায়
সম্বিৎ ফিরে পেয়ে আনমনে হাসি।
শুনতে পাই গীর্জার প্রার্থনা সঙ্গীতের সুরে
সমবেত স্বরের আরেকটি সুমধুর সুর-
'ওপেনটি বায়োস্কোপ, নাইন টেন টেইস্কোপ...।'

শেষ বিকেলে ছাদের নির্জনকোণে
গোধূলীর আলো বিধৌত বিমর্ষ আমাকে,
দু'চোখ আলতো চেপে মায়াবী সুরে শৈশব ডাকে
ফুলটোকা খেলার জমাট আসরে।
'আয়রে আমার গো - লা- প'।
দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে নিরবে দু'চোখ রাখি দিগন্তরেখায়।
গহীনে ব্যথার ফুলটোকা?
নাকি সময়ের নূ্্যজতা; আমি জানি না!
শূন্যতায় দৃষ্টি মেলে রঙিন স্মৃতির ফানুশ উড়াই সাঁঝবেলার ওই মায়ায়।


ছবি কৃতজ্ঞতা : ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৪

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: প্রীশু।

লাইক দিলুম

কবিতায় শৈশব খুঁজে পাওয়া।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

মিথী_মারজান বলেছেন: লাইক ও মন্তব্যে ধন্যবাদ স্রাঞ্জি সে।
প্রীতি শুভেচ্ছাতেও আপ্লুত হলাম।
আপনার জন্যও প্রীশু।:)

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

হ্যালো সাঁঝবেলাতে স্মৃতির ফানুশ, কবিতা বেশ স্মৃতিকাতর হয়েছে৷ কবিতার পরতে পরতে পুরানো শিশি-বোতল খোলা আতরের ঘ্রাণ ---


সুনীলের দুইটা লাইনও মনে আসছে, পাহাড় চূড়ায়' থেকে--

' আমি সেই দ্বীপে আর যেতে পারি না।
সে জানতো। সবাই জানে।
শৈশবে আর ফেরা যায় না।'

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

মিথী_মারজান বলেছেন: আমিও জানি শৈশবে আর ফেরা যায়না।
তারপরও খুব মন টানে ভাইয়া।
লাইফের বেস্ট পার্টে কে না ফিরে যেতে চায় বলুন!!!:)

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে আর সুনীলের কবিতায়।:)

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম আপু!
কেমন আছো বাপু????


'কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ'। চড়ুইভাতি, পুতুল বিয়ে, রান্নাবাটির ঘরকন্যা খেলা।
তুমি কি দিন দিন বাচ্চা হয়ে যাচ্ছো??:P

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪২

মিথী_মারজান বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া।
ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্।
বড় হয়ে গিয়েছি বলেইতো ছোটবেলাকে মিস্ করি।
বাতের ব্যথা, হাড়ের ব্যথায় খেলার আর এনার্জি নাই জন্যই তো স্মৃতি নিয়ে খেলা করি।
হা হা হা।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

বলেছেন:
শৈশব স্মৃতিচারন---চমত্কার

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ল।
স্মৃতিচারণ আমার খুব প্রিয় একটা খেলা।
শুভ কামনা আপনার জন্য।:)

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধার ! অপূর্ব নস্টালজিক লেখা !!!!
প্রতি’টা লাইনের পরতে পরতে জমা আছে টলটলে শৈশব সুখ। স্বচ্ছ কোমল আনন্দে টুইটুম্বুর!
চমৎকার ভাবে বাস্তবতার ইটকাঠ টাইলস আর নিত্যদিনের চা’য়ে কফিতে সুঘ্রান এনেছে।

ভালোবাসা মিথীমনি চমৎকার টাইম মেশিনের জন্য ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৪

মিথী_মারজান বলেছেন: ওহ্! আপু!!!
আপনি যে কি সুন্দর করে কথা বলেন সবসময়!
আপনার টলটলে শব্দটার আমি খুব বড় একটা ভক্ত।
শব্দ নিয়ে খেলতে জানেন আপনি।
তবে অভিযোগ আছে, আসলে অভিযোগ না, আব্দার বলতে পারেন।
নতুন লেখা তাড়াতাড়ি দিন আপু।
ক-ত-দিন হয়ে গেল নতুন লেখা দিচ্ছেন না।

এমন করে অনুপ্রাণিত করার জন্য অ-নে-ক ধন্যবাদ।
সবসময়ের ভালোবাসা আমার প্রিয় মন আপুটার জন্য।:)

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: কবিতাটা পড়ার পর কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকলাম। নস্টালজিয়া। শৈশব মনে হয় জীবনের সবচাইতে সুন্দর সময়, শৈশবের স্মৃতি আজীবন ফিরে ফিরে আসে। শৈশব আর ফিরে আসে না।

অনেক ভালো লাগা কবিতায়।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৫

মিথী_মারজান বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন করুণাধারা।
শৈশব আসলেও জীবনের সবচাইতে সুন্দর সময়।
সেখানে ফেরার পথ বন্ধ থাকলেও স্মৃতির দেয়াল টপকে আমরা ঠিক ঠিক সেখানটায় আজও খেলা করি।
এই সামান্য লেখা আপনার ভালোলেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
আন্তরিক শুভেচ্ছা।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
আমি যেন শৈশবের আগের মত শুনতে পাই রাখালের সেই মধুমাখা বাঁশের বাঁশির সুর, মাঝির দরদি কণ্ঠের ভাটিয়ালি গান। আমি শৈশবের জীবনকে যতই পথের বাঁকে পিছনে ফেলে আসছি, বর্তমানে গ্রামের জীবনের সাথে খাপ মিলাতে চাই, ততই ফিরে যাই আমার শৈশবের শিকরে। আমার ফেলে আসা শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো আমাকে তাড়িত করে মৌলিক জীবনের পথে। আমি ভুলে যাই মেঠো পথ, সতেজ বাতাস, পাখির গান, ফুলে ফুলে প্রজাপতির নাচ।

শৈশবের প্রতিটি মুহূর্ত যেখানে একেকটা মহামূল্যবান শো পিস, সেখানে কোনটাই চেড়ে দেওয়া যায় না বারবারই চলে আসে স্মৃতির পাতায়। কোনটাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করি, কোনটাকে নিয়ে স্বপ্নের তুলি দিয়ে ছবি আঁকি। শৈশবের প্রতিটি দিন যেখানে মধুভরা, আনন্দময় ছিলো সেখানে কোন দিনটা বিশেষ ভাবে স্মরণ করি।

শৈশবের প্রতিটি মুহূর্ত সুন্দরী লাস্যময়ী নারীর ভুবন জয় করা হাসির মত, ফুরিয়ে গেলেও হৃদয়ে থেকে যায়। রমণী হারিয়ে গেলেও যেমন হাসির রেশটা থেকে যায় মনের গভীরে ঠিক তেমনি ছোট বেলার দিন গুলি ফেলে এলেও দখল করে নেয় হৃদয়ের সমস্ত জমিনটা।

শৈশব-কৈশোরের দুরন্তপনা আর ডানপিটে জীবন যাপন আমার মত প্রতিটি মানুষের ফ্ল্যাশ ব্যাক জীবন। আমরা যারা শরীর থেকে সেই ছোট গ্রামের কাঁদা আর ধূলা মাটির সোঁদা গন্ধ মুছে দিতে বিদেশী পারফিউম ব্যবহার করে আধুনিক হবার জন্য ব্যস্ত থাকি, তাঁরা কেউ বলতে পারবো ছোট বেলা খড়কুটো দিয়ে বল বানিয়ে বাড়ির উঠানে সাথীদের নিয়ে ফুটবল খেলেনি? আমরা কী বলতে পারবো ঘরের কোণায় পরে থাকা কাঠের টুকরো দিয়ে ব্যাট বানিয়ে টেনিস বল দিয়ে বাড়ির উঠানের ছোট জায়গাটায় মাঠ বানিয়ে খেলিনি?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্, ভাইয়া,
কি দারুণ রঙে শৈশবকে এঁকেছেন।
খুব মূল্যবান কিছু অনুভূতি রয়েছে এখানে।
শৈশব নিয়ে দিয়ে দিন একটা দুর্দান্ত পোস্ট।
দারুণণ নস্টালজিক! :)

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই না হলে আমার নদীতো আত্মীয় !
আত্মায় মিশে থাকা শীতলক্ষ্যার পাড়ে ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি একেবারে শীতল পাটির মতো মসৃণ করে বুনে দিয়েছে কবিতায় I হ্যা, নদীতো আত্মীয় সত্যি আমার স্মৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা 'কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ' -র মতো করে খোঁজা দিনগুলো ফিরে পেলাম কবিতার প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে I টিভিতে MSNBC-চ্যানেলে Rachel Maddow-র লেট্ নাইট রিরান রাচেল মেডো শো-তে আজ দিনে ঘটে যাওয়া ট্রাম্পের কান্ড কীর্তির রাজনৈতিক ভাষ্য শুনছি ঘুমাতে যাবার আগে I কিন্তু প্রিয় টিভি নিউজ হোষ্টের কথার চেয়েও বেশি জোরে মনের ভেতর গুন্ গুনিয়ে উঠছে সেই করে সমস্বরে বন্ধুদের সাতে খেলার খেলায় গাওয়া 'ওপেনটি বায়োস্কোপ, নাইন টেন টেইস্কোপ...' আহা আজ এই এতো গভীর রাতে কি অপার্থিব লাগছে সেই সুর মনের ভেতর গুনগুনিয়ে উঠতেই I এই কবিতার ছন্দের চেয়ে আর সুন্দর করে কি ভাবে সেটা বলি ! বিউটিফুল, সিম্পলি বিউটিফুল I নদীতো আত্মীয়, আজকে আরো একটা কারণে আমার নদীতো আত্মীয়কে নিয়ে আমি খুব গর্বিত হলাম আর আমার শ্রদ্ধা বাড়লো আপনার ওপর I পরে কখনো বলবো সে কথা I কবিতায় মুগ্ধ ভালোলাগা I অনেক ভালো থাকবেন I

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

মিথী_মারজান বলেছেন: প্রিয় নদীতো আত্মীয়, আপনার কমেন্টটি ভুল করে মুছে ফেলে কি যে মন খারাপ হচ্ছিলো!এখন কমেন্ট মডারেশন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এলাম।:)
সামুতে যে এমন সুবিধা আছে এতদিন পর সেটা জানলাম!
অনেক খুশি লাগছে।:)

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল রাতে আপনার এই পোষ্টে একটা মন্তব্য করেছিলাম, আজ দেখছি মন্তব্যটা নেই। ঘটনা টা কি?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২১

মিথী_মারজান বলেছেন: রাজীব নূর ভাইয়া,
আমার ব্লগে একটু সমস্যা থাকায় ঠিকমত রিপ্লাই দিতে অসুবিধা হচ্ছিল।
আজ কমেন্ট মডারেশন অপশনটি ব্যবহার করে মলাসইলমুইনা ভাইয়ার কমেন্টটি ফিরে পেলাম, তারমানে সেটা ভুলে আমিই ডিলিট করেছিলাম। কিন্তু ভাইয়া আপনার কোন কমেন্ট সেখানে পেলাম না।
আচ্ছা, এমন নয়তো! নেটওয়ার্ক প্রব্লেমের কারণে বা অন্য কোন কারণে কমেন্ট পোস্ট হয়নি আপনারটা।
যাইহোক, আমি ইচ্ছা করে ডিলিট করেছি এমন ভুল ধারণা মনে রাখবেন না, প্লিজ।:)

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

মিথী_মারজান বলেছেন: @মলাসইলমুইনা,প্রিয় নদীতো আত্মীয়,
অনেক অনেক স্যরি।:(
রিপ্লাই দেবার জন্য মন্তব্যের ঘরে ক্লিক করতে গিয়ে ভুল করে দেখি আপনার কমেন্টটাই মুছে ফেলেছি আমি!!!
অনেক অনেক মনখারাপ সহ আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
কি যে অমূল্য একটা মন্তব্য হারালাম!
এতদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে যতটা খুশি হয়েছিলাম এখন এমন অপ্রত্যাশিত ভুলের জন্য তারচেয়েও বেশি মন খারাপ হচ্ছে।:(
এই সামান্য লেখায় আপনার শৈশবকে খুঁজে পেয়েছেন জন্য অনেক ভালো লেগেছে।
আমি একটু সুযোগ পেলেই শীতলক্ষ্যার কাছে যাই।
কিছুদিন আগেও গিয়েছিলাম এবং আপনাকে ভেবে নদীটাকে ছুঁয়েও দিয়েছি আমি।
আর আজকে আমার কোন ব্যপারটা আপনার এত ভালোলেগেছে সেটা কিন্তু বুঝিনি।
জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে রইলাম।
আসলে আমাদের দুজনের আত্মীয়তার সূত্র একই জায়গায় গাঁথা তো, তাই মনেহয় ভালোলাগাতেও অনেক মিল।:)
সবসময় ভালো থাকুন প্রিয় আত্মীয় আমার।
খুব খুশি হবো আগের মত রেগুলার আপনাকে সামুতে পেলে।:)

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

ওমেরা বলেছেন: পুতুল খেলতে আমার অনেক মজা লাগে , আমার অনেকগুলো পুতুল আছে আপু । কতশত খেলার বলেছেন আপু অবশ্য দুই একটা আমিও খেলেছি । খুব ভাল লাগল ধন্যবাদ আপু।

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ওমেরা, আপনার শৈশব আনন্দ শেয়ার করার জন্য।
খুব বেশি খেলার কথা এখানে বলিনি, আরো কত যে মজার মজার খেলা খেলতাম আমরা!
সব লিখতে গেলে লেখাটা আরো বড় হয়ে যেতো তাই সেভাবে লিখিনি।
ভাল থাকবেন ওমেরা।
শুভেচ্ছা।:)

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: সবাই মিলে একসাথে আবার ছুঁয়ে দেখি শৈশবটা! -- মাঝে মাঝে আমিও ভাবি কী দিনগুলিই না ছিল?

বর্ষার মেঘের নিনাদে পুকুরে জান (সরু নালা করে শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে পানি প্রবেশ করিয়ে ডিমওয়ালা দেশি মাছ শিকার) ছেড়ে দিয়ে মাছ ধরা কিংবা লাঙলের পিছে পিছে চাষের জমিতে ছুটে ছুটে পুঁটি-টাকি ধরা।
খড়ে গাঁদায় ডেওয়া ফল লুকিয়ে রেখে পরে পাকলে খাওয়া কিংবা ঢেকুর ফল (একধরণের লাল বুনো ফল; চেরির মতো) মাটিতে পুঁতে রেখে দিয়ে পাকার অপেক্ষা করা; ভাদ্র মাসে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাল কুড়ানো। কত শত ঘটনা; কত শত স্মৃতি;

অনেকে অানন্দ পেলুম আপনার এই শৈশবকে টেনে সামনে এনে দেওয়ার জন্য।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

মিথী_মারজান বলেছেন: ওয়াও! আখেনাটেন!
অন্য এক ভুবনে কিছুক্ষণের জন্য নিয়ে গেলেন আপনি।
গাছ থেকে লুকিয়ে কাঁচা আতা পেরে আমরাও চালের ড্রামে লুকিয়ে রেখে পাকা করে খেয়েছি।
কাঠবাদামের ওপরটা খাওয়ার পর দরজার চিপায় চাপ দিয়ে শক্ত আবরণ ভেঙে বাদামগুলো খেতাম।
একবার তো পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে মাছ এমন ভাবে বড়শিতে টান দিলো, মাছ আর উপরে আসবে কি! আমি নিজেই পুকুরে পড়ে গেলাম!
কত স্মৃতি! কত নির্মল সেসব দিন!

এখনকার বাচ্চাদের জন্য আমার খুব মায়া হয়।
শৈশবের নির্মলতার স্বাদ না নিয়েই কঠিণ জীবনে ঢুকে পড়ে ওরা।
এজন্য অবশ্য আমরা বড়রাই সবচেয়ে দায়ী।

অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য।
শুভেচ্ছা আর ভালোলাগা।:)

১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, মোবাইল বাদ দিয়ে আমার মতো ট্যাব থেকে প্রতি মন্তব্য করেন; আর ঝামেলা হবে না!! মোবাইলে সামু ব্যবহারে অনেক ঝামেলা!!!

১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

মিথী_মারজান বলেছেন:
@কাওসার চৌধুরী,
সেলফোনটা সবসময় হাতের কাছে থাকেতো তাই এটা এটাতেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি ভাইয়া।
চলতে ফিরতে ব্যস্ততার ফাঁকে সহজেই সেলফোন ইউজ করা যায়
আর ট্যাব আমার হাতে দেখলে আমার মেয়ের অস্হির হয়ে যায় ওটা নেবার জন্য। তাই ট্যাব আমার ইউজ করা হয়না।
তবে সেলফোনে ব্লগিংয়ের ঝামেলাটা ইদানিং হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

আন্তরিক মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাইয়া।:)

১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান ,



আপনার মেয়ে বেলার গল্প শুনিয়ে আমার ( মনে হয় সবারই ) ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন । সেই সব সোনাঝরা দিনগুলিতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করেনা কার !!!!!!!
আমারও করে , যেমন ফিরে গেছি ওখানে ----মাঝে মাঝে ........



২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

মিথী_মারজান বলেছেন: খুব খুব মিস্ করি শৈশবটাকে।
ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় জন্যই মনেহয় শৈশবের আবেদন অসীম।
কৃতজ্ঞতা, এই সামান্য ভাবনায় আপনার ছেলেবেলাকে স্মরণ করার জন্য।
আমিও এখনি বেড়াতে যাচ্ছি আপনার শৈশব স্মৃতিতে।
অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা।:)

১৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: টাইম মেশিন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

মিথী_মারজান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ।
ইদানিং আমি সময়ই বের করতে পারছিনা তাই আপনার সোভিয়েত শৈশবটা মন দিয়ে পুরোটা পড়া হচ্ছেনা।
খুব মনোযোগ আর মজা করে পড়বো জন্য ঐটা আমি পয়েন্ট করে রেখেছি।
পুরোটা পড়া হয়নি জন্য কমেন্টও করিনি।
পড়ে অবশ্যই আপনাকে জানাবো, যদিও আমি জানি সেটা ভালো লাগবে না এমন হতেই পারেনা।

ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।:)

১৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান ,



প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

একটি গান আছে ---
ছেলেবেলার গল্প শোনার দিনগুলো আজ
এখন কতো দূরে
আজ আসেনা রাজার কুমার
পঙ্খীরাজে উড়ে.. ।


শৈশবের সেই গল্পের আঙিনায় কখনও আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়, মানলুম । তবুও জটিল জীবনযাত্রার মাঝে কখনও কখনও
যে ওপেনটি বাইস্কোপ পঙ্খীরাজে চড়ে উড়ে উড়ে আসে !!!!!!!

ঈদের আগাম শুভেচ্ছা আপনাকেও ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

মিথী_মারজান বলেছেন: মনেহয় ফিরে পাওয়া সম্ভব না জন্যই শৈশব স্মৃতিকে এতটা সযতনে আমরা ধারণ করে রাখি মনে।
শৈশব হল কিছুটা বকুল ফুলের মত।
পুরোনো হয়ে শুকিয়ে গেলেও আজীবন অমললিন সুঘ্রাণ ছড়ায়।
গানটা শোনা হয়নি আমার।
এই পঙ্খীরাজ নিয়েও যে একসময় কত ফ্যান্টাসী ছিলো!
আহারে আমার শৈশব!!!

খুব সুন্দর ঈদ কাটিয়েছি এবার।
শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আশাকরছি আপনার ঈদ ও আনন্দে পরিপূর্ণ ছিলো।
শৈশব নিয়ে আপনার কবিতাটি দুর্দান্ত ছিল!
লিংক দিয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন জন্য স্পেশাল থ্যাংক্স আপনি অবশ্যই পাওনা।।:)

১৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর একটা অনুভূতির রেশ রেখে গেলো আপনার কবিতাটা। + +
এখানে আপনি যেসব খেলার কথা বলেছেন, খুব ছোটবেলায় এক পুতুল খেলা বাদে আমি ছেলে হয়েও ওসব খেলা খেলেছি। আর সেই সব ছড়াগুলোও এখনো মুখস্ত আছে। আমাদের নাতনিটা যখন আমাদের সাথে ছিল, তখন ওসব গেয়ে গেয়ে ওকে ঘুম পারাতাম। কয়েকটা হয়তো ওরও মুখস্থ হয়ে গেছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
কেমন আছে আনায়া মামনিটা? (আপনার আদরের নাতনী সোনামনিটার নামটা ভুল করলাম না তো!)
ওর জন্য আমার অনেক অনেক আদর রইলো।

শৈশব আসলে এত নির্মল একটা সময়, যেখানে খেলার সময় ছেলে বা মেয়ে ব্যাপারটাই মাথায় থাকেনা।
ছোটবেলায় আমারও বেশিরভাগ খেলার সঙ্গীই ছেলে ছিল।
বন্ধুদের সাথেই এসব খেলা বেশি খেলেছি আমি।
এমনকি পুতুলও খেলেছি ছেলে বন্ধুদের সাথে।
ওরা মনেহয় সেসব মনে করলে এখন লজ্জা পাবে, অথচ আমার কাছে এগুলো কত অমূল্য স্মৃতি!

আমার অনুভূতি আপনাকে স্পর্শ করেছে জেনে সত্যিই আনন্দিত হলাম।
খুব ভালো থাকুন আপনি।
আর অনেক অনেক ভালো থাকুক আনায়া সহ প্রতিটি শিশু।
মন থেকে প্রার্থনা করি ওদের জন্য একটি সুন্দর শৈশবের।:)

২০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৩

রাকু হাসান বলেছেন:

আহ! আমার শৈশব যেন পেলাম এখানে 8-| । কত যে বলতাম ওপেনটি বায়োস্কোপ,ইচিং বিচিং চিচিং চা B-) ,খুব ছোট সময় কুতকুত ও বলছি মানে খেলেছি B-) =p~ । খারাপ লাগে জানেন! বর্তমান প্রজন্মটা এসব গল্প করতে পারবে না । এগুলো তাঁদের কাছে রুপকথার গল্পের মত লাগা শুরু করছে । আমরা তাদের সে শৈশব টা দেতে পারছি না । আপনার লেখা পড়ে মনটা সতেজ হলো +++,কবিতা পড়তে আসছিলাম :-B

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

মিথী_মারজান বলেছেন: আমারও খুব খারাপ লাগে ভাইয়া, এখনকার বাচ্চারা আমাদের মতকরে শৈশব পায়না জন্য।
আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত, আমরা তাদেরকে শৈশবটা দিতে পারছিনা।:(

সামান্য লেখায় মন সতেজ করে নিলেন এটা অবশ্যই আপনার নিজের গুণ।
খুব বেশি ভালো লিখিনা তাই জোর করে বলতেও পারছিনা বারবার আসার জন্য।
তারপরও আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল মনে করে ফিরে আসায়।
আপনার একটা ব্যাপারে আমি মুগ্ধ হয়েছি সেটা হল প্রতি রাতের শেষ পড়াটা একটা কবিতা দিয়ে শেষ করাটা।
দারুণ একটা ব্যাপার!:)




২১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

অপ্‌সরা বলেছেন: কত্ত রকম খেলা! :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

মিথী_মারজান বলেছেন: কত আনন্দের সেসব দিন!:)

ভালোবাসা শায়মা আপু।:)

২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৩

নীলাদ্রী হীমান বলেছেন: কেমন আছেন?চলছে কেমন দিনকাল? লিখছে দারুন,ঠিক আছে তো হালচাল। হা হা হা , , , ।

২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

মিথী_মারজান বলেছেন: নীলাদ্রী!!!
কি অবস্হা আপনার???
এতদিন পর কেনো???
আমি ভালো আছি, হালচাল ভালো আছে।
হা হা।
এত বেশি ভালো আছি যে ব্লগে আসার সময়ই বের করতে পারিনা।
বেশ কিছুদিন ব্লগে আসা হয়না।
সময় করে আপনার ব্লগবাড়িতে বেড়াতে যেতে হবে। :)



২৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩২

নীলাদ্রী হীমান বলেছেন: আমি অনেকদিন পর এলাম, কিন্তু আপনিও অনেকদিন ধরেই নেই কিন্তু। আপনার খোজ পাওয়া যে দায়। তা এত ভালো আছেন কি নিয়ে তা জানতে খুব আগ্রহ কাজ করছে যে, জানিয়ে কৌতুহলীর ক্ষুদা মেটাবেন আশা করি।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

মিথী_মারজান বলেছেন: আমার তো একটা প্রজাপতি আছে নীলাদ্রী।
সারাদিন সেই প্রজাপতিটা ফুলে ফুলে ছুটে বেড়ায়।
কি যে দুরন্ত আর বর্নিল আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না!
ওর পেছনে আমাকেও যে এভাবে ছুটতে হয়।
অন্য কোন ভাই-বোন নেই, যান্ত্রিক শহরে খেলার সাথী নেই, মাঠ নেই, গাছ নেই, তাই আমি ছাড়া আর কার সঙ্গই বা পাবে!
তারওপর এবছর থেকে হাতেখড়ি দিচ্ছি বাচ্চাটাকে, এজন্য সময়টাও আরেকটু বেশি দিতে হয়।
ব্লগিংয়ে বা নিজেকে নিয়ে যতটুকু ব্যস্ত থাকি আমি, কেন যেন মনেহয় সে সময়টায় ওকে কিছুটা হলেও বঞ্চিত করছি ওর পাওনা অধিকার থেকে।
তবুও কতটা যে ফাঁকিবাজ মা আমি, তা তো নিজ চোখেই দেখছেন।
কেমন একটা নেশার টানে চলে আসি ব্লগে।
আর তেমন মনোযোগ দিয়ে অন্যদের পোস্ট পড়তে না পারলে মন্তব্য করতে খারাপ লাগে।
তাই লগইন বা মন্তব্য করা হয়না সেভাবে।

কি! কৌতুহলী ক্ষুধা নিবারণ হলো!!!
আধা ঘন্টা পর এক গ্লাস পানি খাবেন।
খাবার খাওয়ার সাথে সাথে পানি না খাওয়াটাই ভাল।
হা হা হা।:)

২৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২

নীলাদ্রী হীমান বলেছেন: জী মিটল। আপনার প্রজাপতিটাকে সুযোগ হলে দেখতে চাই। আর এমন প্রজাপতি থাকলে যে কেমন আনন্দে সময়গুলো কেটে যায় তা আন্দাজ করে যায়। তবে শেষের দিককার কথাবার্তা শুনে মনে হলে আপনি চিকিৎসা, ব্যাবসা না সেবার সাথে জড়িত বলতে পারছি না। খাবার আগে পরের নির্দেশনা সমেত খাবার গ্রহনের বর্ণনা । হা হা হা , , , , । যাই হোক প্রজাপতি কে এক সহস্র ফুল দেবেন। ভার্চুয়ালে সংখ্যাটা যাচ্ছে তাই লেখা যায়, কিন্তু ভাবতে ভালোই লাগে। সহস্র ফুলের উড়ে বেড়ায় একটি প্রজাপতি। ভালোবাসা রইলো আপনার ছোট্ট প্রজাপতির জন্য।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

মিথী_মারজান বলেছেন: ব্লগে যে কত নোংরা মানসিকতার মানুষে ভরে আছে।
ভাবতেই মন খারাপ হয় নীলাদ্রী।
দুইদিন ব্লগে আসিনি, এসে দেখলাম কিছু নোংরা কমেন্টের পদচিহ্নে ছেয়ে আছে আমার প্রিয় ঘরে।ক:(
দুইদিন আগেও আপনার কমেন্ট দেখলে খুশি মনে মেয়ের ছবি দেখাতাম আপনাকে।
এখন ভয় লাগছে নীলাদ্রী।
মনেহয় ছবি এখানে শেয়ার না করাই ভালো।

আপনার সহস্র ফুলেল ভালোবাসা পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
সেখানকার সবচেয়ে সুন্দর কিছু ফুল দিয়ে মেয়েকে ফ্লাওয়ার ক্রাউন বানিয়ে দেব আপনার পক্ষ থেকে।:)
চিকিৎসা, ব্যবসা এসব কোন পেশাতেই আমি জড়িত নই।
কাঠখোট্টা ব্যাংকার হিসেবে একসময় দেবার মত একটা পরিচয় আমার ছিল।
তবে এখন ছোট্ট প্রজাপতিটার পিছু ছুটে বেড়ানোই আমার নেশা আর পেশা।:)

২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২

নীলাদ্রী হীমান বলেছেন: আপনার প্রজাপতি অনেক মিষ্টি একটা প্রজাপতি। না দেখেই দেখে নিলাম ধরুন। ফ্লাওয়ার ক্রাউন যে বানিয়ে দিলেন। সে কি খুশী হলো? দুরের কোন অপরিচিতের উপহারে কি হাসি ফুটলো তার। যদি হাসি ফুটে থাকে, তবে এই ফুল সার্থক। যদি হাসি না ফুটে থাকে আবার নতুন করে না হয় পাঠাব। যাক গে । দুজনের প্রতি রইলো দোয়া। ঈশ্বর যাতে দুজনকে দেখেশুনে রাখেন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

মিথী_মারজান বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন প্রিয় নীলাদ্রী।
এত সুন্দর করে যখন প্রিয়জনেরা দোয়া করে, সৃষ্টিকর্তা তখন খুশিমনে প্রার্থনা কবুল করেন বলে আমার বিশ্বাস।
আর, এমন ভালোবাসার উপহার কি কেউ হেলাফেলা করতে পারে!
ফুল, ভালোবাসা, বন্ধুত্বের সুসম্পর্ক - সবকিছু স্বার্থক।:)

আপনার জন্যও অনেক দোয়া।
কাব্যিক মানুষদেরকে দেখে শুনে যত্নে রাখাটা ইশ্বরের জন্যও ওভারটাইম করার মত সাজা।
তারপরও উনার কাছে এই অন্যায় আব্দারের প্রার্থনা থাকবে আপনার জন্য।:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.