নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যানভাস

১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

পঞ্চম বারের মত চেষ্টা করেও কেন জানি ক্যানভাসে প্রাণ দিতে পারছে না অপু। কৃষ্ণচূড়ার ছায়া শীতল চোখে ক্যানভাসের দিকে তাকিয়ে থাকতে-থাকতে মেয়েটার চোখ যেন একটা সময় শ্রাবণের আকাশ হয়ে যায়। এক হাতে রঙের তুলি অন্য হাতে প্যালেট নিয়ে একটু পর পর পা’য়ের ভর পরিবর্তন করছে, বিরক্ত হলে পর একটু বসে বা মন খারাপ করা উদাস দৃষ্টিতে বাইরের দিকে দৃস্টি প্রসারিত করে দেয়।



“অপু, শোনো---” বলে ডাকতেই ও আমার ঠোঁটে একটা আঙুল ছুঁইয়ে আকুতি মাখা কণ্ঠে ফিসফিসিয়ে বলল, “ধ্রুব, আর একটু প্লিজ; আর একটু অপেক্ষা করো। আমার ভাবনাগুলোকে জমাট বাঁধতে আর একটু সময় দাও।”



আমি অপুর ভাবনাগুলোকে তন্দুর আঁচে ছেড়ে দিয়ে নিকোটিনের গন্ধ ওড়াতে লাগোয়া বারান্দায় চলে এসে আমার ভাবনার রশিকে টেনে ধরলাম। সকাল ১১ টা থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে অপুর সাথে একটা রুমে কাটিয়ে দিলাম। খুব জানতে ইচ্ছে করছে কিসের এক অব্যক্ত যন্ত্রণায় ও ছটফট করছে আর ক্যানভাসে কেন এক বিষণ্ণ তরুণীর অভিমান ধরে রাখতে চাইছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর জানা হয় না কিংবা আমি জিজ্ঞেস করতে গিয়েও ফিরে আসি।



এই চার দেয়ালের মাঝে দীর্ঘসময় থাকার সুবাদেই হয়ত আমি অপুর এলোমেলো কুঁচকে থাকা পোশাক, অযত্নে ফেলে রাখা একরাশ চুল আর ওর স্মিত স্নিগ্ধ হাসির সুবাস পেতে একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থেকে ওকে মনে মনে আমার ভিতর ডাকতে থাকি। ও চকিতে আমার অন্তরাত্মার তীব্র আহ্বানে বোধহয় আমার দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্ক ভাবে জানতে চাইলো – “আমায় কিছু বলছ ধ্রুব?”



---- " না, তুমি তোমার ভাবনাগুলোকে জমতে দাও। আমি আছি তোমার অপেক্ষায়। কাজ করো তুমি।"



অপু আবার ব্যস্ত হয়ে গেলো ক্যানভাসে অভিমানী তরুণীর বিষণ্ণ ভাব ফুটিয়ে তুলতে যার চোখের কোণে অশ্রু টলমল করছে ভোরের শিশির বিন্দুর মত সজীবতায় যা বিগত ৫ ঘণ্টা ধরে ফুটিয়ে তোলার জন্য চেষ্টা করছিল ও।



চোখটা জ্বালা করে উঠতেই দু’কাপ চা করে অপুর সামনে একটা কাপ রেখে অন্যটা নিয়ে আবারো বারান্দাতে এসে দাঁড়াই সিগারেট ঠোঁটে। বেশ কয়েকটা কষে টান দেই ভেতরে জমে থাকা বদ্ধ গুমোট অব্যক্ত কষ্টের ভাবটাকে ছাই-ভস্ম করে উড়িয়ে দিতে, ধোঁয়াগুলোকে উড়িয়ে দেই গ্লানি কমাতে শরৎ এর নীলাকাশে বলাকা আহাজারির মাঝে।



বারান্দা থেকে বাইরের এপার্টমেন্টে কিশোরদের চার-ছক্কা হাঁকানো, গাড়ির একঘেয়ে ক্লান্তিকর প্যাঁ পোঁ আওয়াজ, ফেরিওয়ালার হাঁক-ডাক শুনতে শুনতে আমি ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে উঠতে থাকি দিনশেষের গোধূলিমায়াতে। হঠাৎ করেই চোখ পড়ে পাশের এপার্টমেন্টের তিনতলার কার্নিশে আমার মতই একলা একা একটা পাখি স্থির চিত্তে , নিঃসঙ্গতার ছদ্মবেশে আমাকে নিয়েই কবিতা লিখছে। আমার দিকে পাখিটার চোখ পড়তেই পাখিটা আমাকে স্তব্ধতায় বসিয়ে রেখে আমার দেহের ভিতর থেকে মনটা নিয়ে উড়ে পালালো। আর আমি চেয়ে থাকলাম অবাক-নির্নিমেষ। পাখি হতে তো পারব না তাই ধ্রুব হয়েই কান খাড়া করে রাখি অপুর ঘুঙুরের প্রতীক্ষায় সারা দুপুরের খাঁ খাঁ তৃষ্ণা মেটাতে।





“কি ভাবছ ?” শুনেই চমকে উঠি। কাঁধে স্পর্শ পাই অপুর। আসলে অপু নয়; ক্যানভাস থেকে উঠে আসা সেই বিষণ্ণ তরুণীর। ধীরে ধীরে রক্তশূন্য হতে থাকে আমার মুখ, কম্পন ওঠে সারা দেহ জুড়ে। একরাশ ভালবাসার মৌনতা নিয়ে তাকিয়ে থাকি আমার অপু চরিত্রের সেই বিষণ্ণ তরুণীর দিকে। একটা সময় অনুভব করি সেই তরুণীর শৈল্পিক আঙুল আমার চোখের পাতা, নাক, ছয় দিনের জমানো গালের খোঁচা খোঁচা দাড়ি, আমার এলোমেলো চুল গুলোর মাঝে ঘূর্ণি তুলে দিচ্ছে। এই হঠাৎ প্রাপ্তিতে কষ্টের দলায় রোধ হয়ে আসে কণ্ঠ। মুখ ফুটে আর বলা হয় না “ ভালবাসি তোমায় অপু ”। মেয়েটি আলতো আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে ব্যালকনি থেকে রুমের দিকে আমায় নিয়ে আসে। চেয়ে দেখি অপু ক্যানভাসে ওর আঁকা শেষ করে আজকের তারিখসহ স্বাক্ষর দিচ্ছে । পায়ে পায়ে অপু ওর আঁকা সেই বিষণ্ণ তরুণীকে ফ্রেমে বন্দী করে কণে দেখা আলোয় উদ্ভাসিত মুখে আমার সামনে এসে দাঁড়ায় আমার প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে।



সন্ধ্যার আকাশটা নীল রঙ ছড়াতে শুরু করলে আমরা দু’জন দু’জনার মৌনতায় সবটুকু লীনতা শুষে নিতে থাকি একে অপরের আঙুলের ফাঁকে আঙুল গলিয়ে।



সমাপ্ত

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগেই পড়সিলাম। ছোট্ট সুন্দর গল্প।

১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এটা আগে চতুরে দিয়েছিলাম। প্রায় বছরখানেক আগের লেখা। গল্প লেখার হাতে খড়ি হচ্ছিলো তখন।

ধন্যবাদ আপনাকে ।

২| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ছবির ক্যানভাস আর জীবন তখনই এক বিন্দুতে এসে দাঁড়ায় একে অপরের আঙুলের ফাঁকে আঙুল গলিয়ে ;)


১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাহ ! সুন্দর করে বললেন তো !

৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন।
এমনতর গল্পের দৈর্ঘ্য ভালো লাগে বেশি :)

১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম গল্পের আকার ছোট হলে পড়তে সুবিধা তো !

৪| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনুসরণ করছি। আপনার লেখা অসাধারন রকম। পড়ে মুগ্ধ হতে হয়।

১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্লগে এসে এখন আমারও ভালো লাগছে। এঁকে অন্যের সাথে লেখার মাধ্যমে পরিচিত হতে পারছি বলে।

শুভেচ্ছা আপনার জন্য

৫| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন: ছোট্ট পরিসরে সুন্দর প্রকাশ। গতিময় একটা গল্প। কোথা কোথাও কাব্যিকতার ছোঁয়ায় লেখাটা আরও প্রাণবন্ত হয়েছে।

১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম

৬| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ! সুন্দর! জীবনটাই তো বড় ক্যানভাস।

১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম , জীবনটাই ক্যানভাস একটা !!!

৭| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

স্বপনবাজ বলেছেন: ক্যানভাস আর জীবনের গল্পে ভালো লাগা!

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ স্বপনবাজ

৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

রাইসুল সাগর বলেছেন: সুন্দর একটা গল্প। +

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে

৯| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১২

জুন বলেছেন: প্রথম পড়লাম আপনার গল্প আর মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে গেলাম :)
+

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, জুন

১০| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৫

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর... :)

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শুকনোপাতা

১১| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনুসারিত আছেন,

পড়লাম,

একটু অন্যরকম লাগল। +

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্কু :)

১২| ২০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২২

অদৃশ্য বলেছেন:




চমৎকার লিখেছেন... খুব ভালো লেগেছে আমার...

কেন জানিনা,অপুর জায়গায় ধ্রুবকে ভাবতে ইচ্ছে করছে... আর ধ্রুব এর জায়গায় অপু... তা হলে গল্পটা কেমন হতো ভাবছি...


শুভকামনা...

২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য।

আমি প্রায়ই চেষ্টা করি বিপরীত চরিত্র নিয়ে লিখতে অর্থাৎ একটা পুরুষ চরিত্রকে মূল বক্তা ধরে নিয়ে লিখতে। ভালো লাগে এভাবে। নারী চরিত্র নিয়ে কম লিখেছি কারণ সফট কর্নার যাতে সেখানে হাই লাইট না হয়ে যায় নিজে নারী বলে।

আপনার জন্যও শুভকামনা রইল

১৩| ২০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

এরিস বলেছেন: পড়লাম, বিক্ষিপ্ত মন। গল্পের ভেতর হারিয়ে যাওয়া হল না তাই। আবার আসবো পড়তে, ভেতরটায় ঘুরে এসে আবার জানিয়ে যাবো। ভালো থাকুন, শুভকামনা।

২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম খেয়াল করেছি গত দুদিন আপনাকে ব্লগে দেখিনি। বিক্ষিপ্ততাই আপনার অনুপস্থিতির কারণ বুঝতে পারলাম।

সুস্থির হোন । শুভকামনা রইল এরিসের জন্য

১৪| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

সমানুপাতিক বলেছেন: চমৎকার লাগলো !

২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১৫| ২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

এরিস বলেছেন: আপনার এই বৈশিষ্ট্যটি অনন্য। নিজেকে পুরুষের আদলে ধরে রেখে নারী পুরুষ সবার উপরে সমান তালে কলম চালিয়ে যান। প্রথম দিকে বিভ্রান্তিতে ছিলাম। টু বি অনেস্ট, আপনার সম্বন্ধে শিওর হয়েছি অ্যাডরেস বারে মিতু রাহমান দেখে। বিষণ্ণ মেয়ের অশ্রু আঁকার নিরলস প্রয়াস আর ধ্রুবর ঠোঁটে একটা আঙুল ছুঁইয়ে আকুতি মাখা কণ্ঠে ফিসফিসিয়ে বলা, “ধ্রুব, আর একটু প্লিজ; আর একটু অপেক্ষা করো। আমার ভাবনাগুলোকে জমাট বাঁধতে আর একটু সময় দাও” কথাতেই বুঝা যাচ্ছিল এই বিষণ্ণ তরুণীর উপরে সমস্ত অধিকার শুধু ধ্রুবের। চমৎকার।

২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার সুন্দর সুন্দর করে বলা কমেন্টের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি এরিস !

পোস্ট দেবার আগে একবার ভেবেছিলাম গল্পটার উপরে আরেকবার কলম চালাই। কিন্তু চালাতে গেলে অনেক ডিটেইলে চলে যেতে হবে ভেবে বিরত রইলাম।

শুভকামনা আপনার জন্য ।

১৬| ২৭ শে মে, ২০১৩ ভোর ৪:১০

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছি না। অনেক ভাল লাগলো কিন্তু কেন লাগল জানি না।

শুভকামনা।

২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা, ভালো লেগেছে এটাই বড় কথা।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৭| ২৮ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

ফারজানা শিরিন বলেছেন: শুভকামনা ধ্রুব আর অপুর স্রষ্টার জন্য ।

২৮ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ সন্ধ্যা

১৮| ৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২০

সোহাগ সকাল বলেছেন: ছোট্ট গল্পটায় বড় একটা ভালোলাগা।

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সোহাগ

১৯| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার আপা। গল্পে প্লাস থাকল।

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে প্লাস নিলাম

২০| ০২ রা মে, ২০২১ রাত ৯:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ক্যানভাসে জীবনের গল্প আঁকা হয়েছে। 'গল্প লেখার হাতে খড়ি' হবার সময়ে লেখা এ ছোটগল্প অনেক উচ্চমানের হয়েছে। একে একটা সার্থক ছোটগল্প বলা যায়।

এরিস এর ১৫ নম্বর মন্তব্যটা বেশ ভাল লেগেছে।

পোস্টে দশম ভাল লাগা + + রেখে গেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.