নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বনজ্যোৎস্না

২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩



“ বুকের মাঝে গোপন কোনো ঢেউ, মেঘমালার রুপোলি চাদর গায়ে দিয়ে অজস্র জোনাকির উষ্ণতায় অন্ধকারে পথ ভেঙ্গে চলা। চোখে একরাশ তৃষ্ণা কিংবা নিজেকেই প্রবোধ দেয়া – ঐ তো আর বেশী দূরে নয়, আরেকটু পথ পেরোলেই পেয়ে যাব অদেখা কোনো নদী, স্বর্গীয় সৌরভ আর সেই অলীক মানুষের দেখা – যে গভীর রাতে তার দু’হাতের ভাঁজে ঢেকে রাখবে আমার বুক ছেঁড়া দীর্ঘশ্বাস ! আমি যার জন্য এখনো আমার নিজেকে জ্বালিয়ে রেখেছি পিদিমের মতো ।



তাই জাগো অলীক মানুষ , জাগো ! দেখো, অনুভব করো তোমাকে ঘিরে আমার চিন্তা আর ইচ্ছের স্রোত, দেখো কী করে আমার নাভী থেকে আর্তনাদের শব্দ ছিটকে বের হয়ে আসছে তোমার অপেক্ষায় থেকে থেকে ! আশা আর নিরাশায় কী করে কাঁপছি আমি । কাঁপছি ভয়ে, আকাঙ্ক্ষায়, নিরাপত্তাহীনতায়। শুনতে পাচ্ছো কি আমার স্নায়ু ও রক্তের কথা বলে ওঠা ?



এই তো তুমি জাগছ ! হ্যাঁ প্রিয়তম , ধীরে ধীরে এভাবেই জেগে ওঠো। আমার ভবিষ্যৎ শিল্পের ভাষা তুমি। কথা বলো। দেখো আমার চোখ কীভাবে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিলো তোমার নীরবতায়। দেখছ আমি কত দীর্ঘ, দীর্ঘ দিন ধরে শুন্য হয়ে ছিলাম তোমাকে না পেয়ে পেয়ে ! আমি মরিয়া হয়ে উঠবার আগেই প্লিজ তুমি কথা বলো।



আমি সেই কবে থেকে তোমার অসহ্য প্রেমে পড়ে আছি অলীক মানুষ !

তোমার প্রণয়ে আমার চোখ পুড়ে পুড়ে যেতো। তাই রোজ ঘুম ভেঙেই দেখতাম একটা মেঘ আমার দু’চোখের পাতায় ছায়া দিতে বসে থাকতো !”




উপরের কথাগুলো যদিও আমার নয় । ঠিক এইরকম হচ্ছে আমাদের রুনু আপা। আমাদের মহল্লার রুনু আপা কিংবা আমাদের ব্যথিত রুনু আপা। ধূসর শহরের রুনু আপা, যার যাত্রাধ্বনি, আকুলতা কিছুই সেই অলীক মানুষটার কাছে পৌঁছাত না ।



অগাধ নিঃসঙ্গতায় মুখ গুঁজে থাকতো আমাদের রুনু আপা। কে যেন একবার দুষ্টুমির ছলে রুনু আপাকে বলেছিল জানালা খুললেই সকালের প্রথম টিয়ে পাখির ঝাঁকটা দেখতে পেলেই তোর মনের ইচ্ছে পূরণ হবে। তখন কত আর তার বয়স হবে পনের কিংবা ষোল।



কিন্তু জানালা খুলে রুনু আপা দেখেছিল শিমুলের শেষ পাতাটাও ঝরে গেছে। পাখি পাতাহীন শিমুল গাছে তাই আর বসেনি। কিন্তু বোকা রুনু আপাটার সে কী কান্না। সে তখন দৌড়ে ছাদে গিয়েছিল যদিবা আকাশে অন্তত একটা টিয়েও দেখা যায় ! কিন্তু সেদিন আকাশে ছিল হতাশাব্যঞ্জক, ভীতিকর কিছু শব্দ !



রুনু আপা সম্পর্কে বলতে গেলে আমাকে আরও আগে থেকে শুরু করতে হবে তার কথা। তার পুরো নাম যদিও আমার মনে নেই। তবে তার দাদাজান নাকি তাকে ‘ রুনঝুন ’ নামে ডাকতো। সেখান থেকে সংক্ষিপ্ত হয়ে হয়ে এখন শুধু ‘ রুনু ’ নামটাই আছে। তার দাদাজানও এখন আর বেঁচে নাই তাই রুনঝুন নামটাও চাপা পড়ে গিয়েছে ।



রুনু আপা কোনো একসময়ে বোধহয় হাসিখুশি স্বভাবের মেয়ে ছিল , যদিও আমার তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারা দেখার সৌভাগ্য বেশীদিন হয়নি। সৌভাগ্য না বলে মনে হয় এখানে সুযোগ শব্দটাই মানানসই হবে। যখন থেকে সে তার শারীরিক সৌন্দর্য হারাতে শুরু করাটা বুঝতে পেরেছিল সম্ভবত তখন থেকেই তার স্বতঃস্ফূর্ততা মিইয়ে যাচ্ছিলো।



কীভাবে কীভাবে যেন রুনু আপা মোটা হয়ে যাচ্ছিলো। একে তো তার গায়ের রঙ শ্যামলা তার উপর এভাবে মোটা হয়ে যাবার কারণে কলেজে প্রথম বর্ষে পড়লেও তাকে মনে হতো গৃহিণীদের মতো যারা ইতিমধ্যেই দুই/তিন বাচ্চার মা হয়েছেন এবং গায়ের মজুদকৃত চর্বির কারণে সুখেই আছেন।



রুনু আপা যখন নবম কি দশম শ্রেণীতে পড়তো তখন শুনতাম তাদের বাসা থেকে অঞ্জন দত্তের খুব জনপ্রিয় এক গান বারবার বাজতো ‘ রঞ্জনা আমি আর আসবো না !’ পরে জেনেছিলাম রুনু আপাই নাকি এ গান শুনত। অঞ্জন দত্তের ‘রঞ্জনা’কে শুনতে শুনতেই সে তখন কাল্পনিক রঞ্জনার মতোই হতে চাইতো। রঞ্জনা হয়ত খুব সুন্দরী ছিল যে কারণে রঞ্জনার মেজ দাদা পাড়ার ছেলেদের ঠ্যাং খোঁড়া করে দিবে বলে হুমকি দিয়েছিল কিংবা যে কারণে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে বারান্দায় এসে দাঁড়াতেও নিষেধ করত। তাই আমি নিশ্চিত হয়েছিলাম যে রুনু আপা নিজেকে সেই রঞ্জনা ভাবতো বলেই সেই গান বারবার শুনত। সেও চাইতো আমাদের মহল্লার সুদর্শন ছেলেদের আড্ডার বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে। হয়তবা এটাও আশা করতো তার নামেও কোনো নীল খামের চিঠি আসুক যা রাতে ঘুমোবার আগে পড়ে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখবে কিংবা বান্ধবীদের কাছে গর্ব করে বলবে তার নামেও কোনো চিঠি আসে।



তবে রুনু আপা আমাদের মহল্লায় আলোচনার একটা বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছিল বটে। তবে শফিক ভাই, সজল ভাইদের মতো সুদর্শন ছেলেদের আড্ডায় না। আর এটা যখন রুনু আপা বুঝতে পেরেছিল তার ছোট ভাই রেজার কাছে –

‘ ধুর, তোমারে তো সজল ভাইরা মুটকী বইলা ডাকে। তুমি তাদের কথা জানতে চাইও না তো আর !’



ঠিক তারপর থেকেই অঞ্জন দত্তের ‘ রঞ্জনা’কে রুনু আপা ঈর্ষা করতে শুরু করেছিল। শুধু রঞ্জনাই না আশেপাশের যাবতীয় সুন্দরী, তন্বী মেয়েদের প্রতিই তার একটা বুনো রাগ জন্মাচ্ছিলো। এ কারণে প্রায়ই কোনো সিনেমা বা পথেঘাটে সিনেমার পোস্টার কিংবা নাটক দেখতে বসলে দেখা যেতো সে মাঝপথ থেকেই উঠে চলে গেছে সেটা দেখা সম্পূর্ণ না করে , বিশেষত নায়িকার আগমন ঘটলেই।



রুনু আপা নিজে মোটা হবার হবার কারণে সেই সব সুন্দরী মেয়েদের কারণে তার যে নিয়ত অন্তর্দহন সেটা কাউকে মুখ ফুটে বলাও তার পক্ষে সম্ভব ছিল না । তাই তাদের বাসার তেমন কেউ শুরুতে তার অস্বাভাবিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল করেনি তার ছোট ভাই রেজা ছাড়া। কারণ রেজা যখন মহল্লার বখাটে বুইট্টা শাহীন গ্রুপের ছেলেদের আলোচনা বাইরে থেকে শুধু রুনু আপাই না, ঘরের জিনিসপত্রও ভাংচুরের অক্ষম চেষ্টায় ফোঁস ফোঁস করতো কিংবা তার চুল টান দিয়ে দৌড় দিত, তখন রুনু আপাও রেগে যেতো, বিগত দিনে রেজাকে কত টাকা টিফিন খেতে দিয়েছিল কিংবা কবে তার ভাগের মিষ্টিটা , শখের ডাকটিকিটের এ্যালবাম সহ পুরনো যা যা কিছু তার ভাইকে দিয়েছিল সব দাবী করতো । এভাবে দুই ভাইবোনের ঝগড়া হাতাহাতিতে পৌঁছালে একপর্যায়ে রেজাকে বলতে শোনা যেতো –



- ‘ তুমি কম খাইতে পারো না ? দিন দিন ধুমসী হইতাছ । মহল্লার মানুষ কি তোমারে নিয়া ভালো কথা বলে নাকি ?’



- কি বলে মানুষ ? রুনু আপার সে সময়ের আর্ত জিজ্ঞাসা শুনলে যে কেউ বুঝবে নিজের সম্ভাব্য অন্ধকার দিনগুলোর আগমনে যেন ডানাভাঙা পাখির মতো তলিয়ে যেতে যেতে বেঁচে থাকার আশায় খড়কুটো আঁকড়ে ধরে রাখা এক অসহায় মানুষ ।



- কি বলে সেইগুলি শুইন্যা তুমি কি করবা আজাইরা



রুনু আপা বেদনার্ত হয়। রেজা তার ঘর থেকে বের হবার আগে বিছানায় পাতা চাদরটাও উল্টে দিয়ে যায়; হয়তবা তার বোনের জন্য রাগে, কষ্টে কিংবা অভিমানে। রেজা কি আর বলতে পারে বদমাইশ শাহীন , জনি, সাগররা সেদিন বলছিল –



“ রেজার বইনটারে দেখছস ? শালীর শইল ভরা মাংস। ধইরা মজা পাওন যাইব ! আর দেখ অর ….”



উফ রেজা আর ভাবতেও পারে না ।



আসলে নিজের বেঢপ স্বাস্থ্য নিয়ে রুনু আপার কান্না, রেজার কষ্ট পাওয়া ,এভাবে পথেঘাটে অপমানিত হওয়া কিছুই যেন তার বেয়ারা স্বাস্থ্যের গতিকে দমিয়ে রাখতে পারে না। খাবার টেবিলে ক্রমাগত তার অনুপস্থিতি তার মাকে ভাবিয়ে তুললে তার মায়ের চোখেও মনে হতে থাকে একপর্যায়ে –



- আসলেই তো তোর শরীরটা কেমন ভারী হইয়া গেছে । এত বেলা কইরা বিছানা ছাড়লে তো এমন হইবই বলতে গিয়ে তার মা তাকে পরামর্শ দিতে ভোলেন না তার সমবয়সী পলি, গলির মুখের বাসার আফরোজা আর তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রেবেকাদের অনুসরণ করতে। যাদের প্রত্যেকেরই বেশ কয়েকটা ভালো বিয়ের প্রস্তাব এসেছে ইতিমধ্যে এবং বিয়ের বাজারে তারা নিজেদের মূল্যবান প্রমাণ করে দেখাতে সমর্থও হয়েছে তাদের একহারা গড়নের জন্য ।



একটা ভালো বিয়া না হইলে কি মাইয়া মানুষের এই জীবনের দাম আছে ? শরীর-স্বাস্থ্য দেখনের মতো না হইলে কি আর ঘরের ব্যাটা মানুষ ধইরা রাখন যাইব ? – এ কথা বলতেও তার মা দ্বিধা করেন না ।



এ কথা যদি শুধুমাত্র রুনু আপার মা একাই বলতো তাহলেও না হয় কথা ছিল । কিন্তু কে না শোনায় তাকে এ নিয়ে কথা !

অবশ্য রুনু আপার এসব একান্ত কষ্টের কথাগুলো আমি জেনেছি তার মুখেই তবে আরও পরে। যখন সে তার বেয়ারা স্বাস্থ্যের লাগাম টেনে ধরতে দিনরাতের বেশীরভাগ সময়টায় ব্যস্ত থাকতে চেষ্টা করতো খাবার দাবার নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে। রুনু আপা বরাবরই মেধাবী ছাত্রী ছিল। সে অনার্সে পড়ার শুরু থেকেই টিউশনি করতো।

সে আমাকে সপ্তাহে চারদিন পড়ালেও শুক্রবারে শুধু দুপুরে আসতো তিনটার একটু আগে । আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখতাম গ্রীষ্মের তীব্র রোদের মাঝে ছাতা মাথায় ধীর পায়ে তার এগিয়ে আসা। ঘরে ঢুকে প্রায় মিনিট দশেক ফ্যানের নীচে বসে একটু ঠাণ্ডা হয়ে তবেই শুরু হতো তার কাছে আমার পড়াশুনা । তখন আমি দশম শ্রেণীর ছাত্র।



মাঝে মাঝে রুনু আপা হঠাৎ করেই একটা , দুইটা সাবজেক্ট পড়িয়ে বলতো আজ আর পড়াবে না কিংবা ভূ-গোল পড়াবার মাঝপথেই পড়া বন্ধ করে দিয়ে বলতো –

- আজ আর পড়তে হবে না । আয় গল্প করি!



আর এটাই রুনু আপার কাছে আমার প্রাইভেট পড়ার সবচেয়ে বড় আগ্রহের কারণ ছিল। শুধু তাই নয় তার অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরাও তাকে এই কারণে খুব পছন্দ করতো । অবশ্য পড়তে হবে না এ কথা শুনে আমার জিজ্ঞাসু চোখ দেখে সে বলতো –



- আরে টেনশন করিস না । তোর মা বকবে না । রোজ রোজ কি পড়তে হয় নাকি ? এটা জানিস তো ঘণ্টার পড় ঘণ্টা ধরে পড়াশুনা করলে ছেলেমেয়েরা গাধা হয়ে যায়। ব্রেইনেরও রিফ্রেশমেন্ট দরকার আছে বুঝলি ?



কোনো শিক্ষক যে এভাবে পড়ায়, বলতে পারে ভাবতেই অবাক হতাম আমি ! কিন্তু স্কুলের গোঁসাই স্যার বিজ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর না পারলে কিংবা ফখরুল স্যার বোর্ডে অংক করতে দিলে না পারলে প্রায়ই বলে –



- তোর বাপটাতো ভালো মানুষই। তুই এমন অমানুষ হইছিস কেমনে ? বাসায় কি বাপ- মা পড়াশুনার খোঁজ খবর রাখে না ?



তখন রুনু আপার কথাগুলো তাদের শোনাতে ইচ্ছা করলেও চুপ করে মাথা নিচু করে রাখা ছাড়া কিছু করার থাকে না । স্কুলের স্যারদের চেয়ে সে হিসেবে রুনু আপাতো অতুলনীয়। হয়তবা এ কারণেই তার প্রতি আমি মমতা অনুভব করতে থাকি। তীব্র গরমে ঘামে ভিজে যাওয়া তাকে এক গ্লাস শরবত খাওয়াতে আমি আমার মা’কে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলি ।



একবার রুনু আপা আমার কাছে জানতে চেয়েছিল –

- কি রে কমল , তুই প্রেম – ট্রেম করিস না ? কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখিস না ?



উফ কি ভীষণ লজ্জার কথা । এ কথা যদি আমার চাচাতো ভাই আরিফ কিংবা বন্ধু সজীব, মামুন, বাবু ওরা জিজ্ঞেস করতো মনে হয় আমার কাছে ঘুসি খেতো , নাকই ভেঙে দিতাম ওদের। আমি তো কোনো মেয়ের দিকেই তাকাই না তারউপর প্রেম তো অনেক পরের ব্যাপার ! কিন্তু এ কথা শুনে রুনু আপাকে ঘুসি মারতে ইচ্ছে করেনি , তার নাক ভাঙতেও ইচ্ছে হয়নি। কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছিল। বললাম –



- ধ্যাত কি যে বলো না তুমি ! আমি মেয়েদের সাথে তো কথাই বলি না



- ঠিক আছে বুঝলাম । কিন্তু প্রতিটা মানুষেরই তার নিজের বলে কাছের কেউ একজন থাকতে হয় যাতে সময়ে অসময়ে একা একা না লাগে । তাই সময় থাকতেই একটা প্রেম করে ফেল। আমাকে দেখে বুঝিস না ! বলে রুনু আপা কেমন উদাস হয়ে যায় ।





- তুমি কি সব উল্টাপাল্টা কথা বলো খালি । প্রেম করা ভালো না । বলে আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকি। রুনু আপার দিকে কেন যেন লজ্জায় আমি তাকাতেই পারছিলাম না তখন ।



সেদিন এসব বলে রুনু আপা হাসতে হাসতে চলে যায়। পরে বুঝেছিলাম এটা নিয়ে তার আক্ষেপ ছিলো বলেই সে কান্নাকে হাসিতে রুপান্তরিত করে নিয়েছিলো।



আরেকদিন সে আমার হাতে একটা চিঠির খাম ধরিয়ে দিয়ে বলল –

- এটা পোস্ট করে দিস তো ! দেখিস আবার কেউ যেন না দেখে !



খামের উপরে দেখি তার নিজের নাম আর তাদের বাড়ির ঠিকানা লেখা। অবাক হয়ে তার দিকে তাকাতেই বললো



- আমি তো আর নাটক-সিনেমার নায়িকাদের মতো এত সুন্দরী না , তন্বীও না , তাই আমার নামে কোনো প্রেম পত্রও আসে না । তাই নিজেই নিজেকে পাঠাই। তোর পোস্ট করে দিতে আপত্তি থাকলে দে আমারটা আমিই করে নিবো বলে রুনু আপা আমার কাছ থেকে চিঠিটা ফেরত নেবার জন্য আবার হাত বাড়ায় মন খারাপ করে ।



তার আক্ষেপে কতটা যন্ত্রণা মিশে ছিল সেটা ঐ কৈশোরে আমি তার মতো করে ততটা অনুভব করতে না পারলেও বিশালদেহী শ্যামলারঙা রুনু আপার জন্য সে মুহূর্তে ভীষণ মায়া হচ্ছিলো। আসলে সে ছিল নিঃসঙ্গ এক মেয়ে ! তাই তার জন্যও আমার একটু একটু মন খারাপ হতে থাকে।



কে বলে সে সুন্দরী না ? এই যে তার কি সুন্দর দুটো চোখ , দেখলেই মনে হয় কাজল টানা । এরকম চোখকেই কি কাজলকালো চোখ বলে ? একরাশ চুল কত মসৃণ ভাবেই না তার পিঠ বেয়ে নেমে গেছে। তার চোখের স্বচ্ছ মনি দিয়ে হয়ত বানানো সম্ভব গলায় পড়ার কোনো স্যুররিয়াল মালা !



আমি সান্ত্বনা দেয়ার জন্য হলেও কি এসব কথা আর তাকে বলতে পারি ? যদি ভাবে আমিই তার প্রেমে পড়ে গেছি ?



আমার সেই বয়সের অগাধ কৌতূহল থেকে ভীষণ ইচ্ছে হতো খুলে দেখি সেই খামের মাঝে কোন সোনালি-মায়ার চিঠি লেখা হয়েছে যা নিজেই নিজেকে রুনু আপা লিখে পাঠায়। কেন যে তার একটা ভালো বিয়ের প্রস্তাব আসছে না কিংবা নিদেনপক্ষে একটা প্রেম !



ক্রমাগত রুনু আপার নিজের লেখা চিঠি তার বাসার ঠিকানায় পোস্ট করতে করতে একদিন সেই রহস্যের দ্বার আমি খুলে ফেলি জানতে তার অন্তর্গত দহন, সেই অচেনা অলীক মানুষের জন্য তার আক্ষেপ , অপেক্ষা, তাদের সংসারের খুঁটিনাটি সব খুনসুটির কথা !



“ আমার বহমান আত্মায়, অস্থি-মজ্জায় জেগে ওঠা তুমি বেদনাময় এক ইন্দ্রজাল, বিবিধ বৃক্ষের পাতার ফাঁকে জোছনা রঙ। আমার চুড়ি হয়ে যাওয়া কৈশোর আর যৌবনের ব্যক্তিগত ঢেউয়ের উচ্ছ্বাস , কখনোবা জটিল সঙ্গীত।



তুমি কবে আসবে অলীক পুরুষ ! আমি মানুষের ক্রমাগত বাঁকা কথা শুনতে শুনতে সত্যিই খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি এখন। আর পারি না ! তোমার আহ্বায়িত স্বপ্নের সমাপ্তি কোথায় বলতেই হবে আমাকে।



যে শহরে তুমি নেই , আমিও আর সে শহরে থাকব না। শুধু একবার বলো তুমি আসছ তো আমার কাছে ? আজ তোমার একটি বাক্যেই নিষ্পন্ন হবে আমার সমস্ত সিদ্ধান্তহীনতা। ঠিক দু'সপ্তাহের মাঝে আমাকে তুমি না নিতে আসলে আমি সত্যিই এবার হারিয়ে যাব। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে ধুয়ে অরণ্যের মাঝেই মিশে যাব শেষাবধি।



আমার দু'চোখের নীল আজ ধারণ করব ভিক্ষার জল

যাবার পথটা যে আমাকেই খুঁজে নিতে হবে !

এখন যে আমার স্পষ্টতই আড়াল, বনবাস ।



-- তোমার বনজ্যোৎস্না ”




রুনু আপার অলীক মানুষের জন্য অপেক্ষা যে কতটা অলীক ছিল তা যদি তাকে বোঝানো যেতো ! সমাজ সংসারে থেকেও একটা মানুষ সবার কাছে শুধুমাত্র শারীরিক সৌন্দর্য হারিয়ে অন্যান্য গুণাবলী থাকার পরেও কি করে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করতে পারে বন্ধুবান্ধবহীন হয়ে তার উদাহরণ হচ্ছে সে। দিনের পর দিন তার স্বপ্নগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছিল। মানুষ যেমন মারা যাবার আগের মুহূর্তেও ভাবে বেঁচে থাকার উপায়টা খুঁজে বের করতে তেমনি রুনু আপাও সেই অলীক মানুষকে ঘিরে তার মাঝে তৈরি করেছিল একটা নিজস্ব জগত যা ছিল তার বেঁচে থাকার একটা প্রেরণা । সে নিজেই জানত ঐ চিঠির কোনও উত্তর আসবে না কখনো অথচ নিজেই অপেক্ষা করতো অলৌকিক ভাবে হয়ত কেউ আসবে তার সেই চিঠি পেয়ে কিংবা কেউ তাকেও লিখবে ! বিয়ের বয়স তার পার হয়ে যাচ্ছিলো আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছিল তার পরিশ্রমের বোঝা ।



আমার মাথায় দিনরাত ঘুরতে থাকে রুনু আপার লেখা চিঠিটার কথা যেখানে লেখা ছিল তার অলীক পুরুষটাকে মাত্র দু’সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে তাকে এসে নিয়ে যাবার জন্য। মনের মাঝে একটা চোরা অস্বস্তি ফুটে থাকে আমার মাঝে বৃষ্টির পানিতে না আবার সে অরণ্যের মাঝে হারিয়ে যায় ! ভয়ে ভয়ে থাকি কখন না আবার আকাশেরও কান্না শুরু হয়ে যায় আর বোকা রুনু আপাটাকে হারিয়ে ফেলি !





এক নিদারুন ভয়ে বা কিসের নেশায় আমি আমার বর্তমান ভুলে যেতে চাই। গল্পের মতো বলে যাওয়া কথোপকথনে আমারও ইচ্ছে করে লিপিবদ্ধ করে রাখি মুহূর্তের চৌকাঠে তার জন্য কিছু আশ্বাসবাণী। আরও ইচ্ছে করে রুনু আপার ঘুমন্ত ঠোঁটের ঠিক কাছাকাছি এসে স্বপ্ন হয়ে ঝুলে থাকি কিংবা তার ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিয়ে অলীক পুরুষ হয়ে তার দৃষ্টির মুগ্ধতা উপভোগ করি । তাকেও লিখতে ইচ্ছে করে –



“ হাওয়ায় যে পাতাটি উড়ে চলেছে তার চাওয়ার সীমানাটা কতটা সীমাহীন কখনো কি জানতে পারবে তুমি ? আমাদের ইচ্ছেগুলো যেমন অনিচ্ছার জালে আটকে পড়ে রোজ রোজ মার খাচ্ছে - অনেকটা সে রকম। তুমি উড়তে জানো না বলেই জানালা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকো মাথাটা ঠেকিয়ে, নিষ্পলক চোখে ! কখনো বা কাঁদো। দূর থেকে দাঁড়িয়ে আমি দেখি তোমার কান্না, সংশয়। আমি চেঁচিয়ে তোমায় বলতে পারি না - আর কেঁদো না, মমতায় তোমার চোখের কোল মুছিয়ে দিতে পারি না। কিন্তু পৃথিবীর আলো-বাতাসের মতোই মিশে আছি তোমাতে। তুমি হয়ত টের পাচ্ছ না। জানো না বুঝি , একেবারে কাছের মানুষটি কাছে না থাকলেও বুকে কখনো শূন্যতাকে বসতে দিতে নেই। বরং সম্পর্ক কখনো ফুরোবার নয় জেনেই সম্পর্কের গাঢ়ত্বকে ছুঁইয়ে রাখতে হয় সেই মানুষটির অনুপস্থিতেও !



তোমার কান্না ভেজা চোখের পাশে যে ক্ষীণ অভিমান মিশে আছে, মুছে ফেলো। মনে রেখো দূরত্বই কোনো সম্পর্কের শেষ পরিমাপ নয়।



আকাশ জুড়ে মেঘ করলে তুমি উদাস হও। বৃষ্টি ঝরলে তুমিও শ্রাবণের আকাশ হয়ে যাও। অথচ ইচ্ছে করলেই আমি বলতে পারি - ও বৃষ্টি তুমি আজ থেমো না। ঝরে যাও সারাদিন, অহোরাত্র। পথ হারানো হরিণীর চোখ যেভাবে কেঁপে কেঁপে ওঠে, ঠিক ওরকম করে তুমিও কেঁপে ওঠো। এদিক সেদিক তাকিয়ে আমাকেই খোঁজো শুধু। ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠো।



আমি বৃষ্টিকে আরও বলতে পারতাম , বৃষ্টি তুমি অবিরাম ঝরো। আজ যেন কেউ বৈষয়িক কাজে ব্যস্ত হতে বাইরে বের না হয়। খিল এঁটে রাখুক শক্ত করে তাদের দরোজায়। আজ শুধু আমাদের মুখোমুখি হবার দিন। উন্মাদ পিয়ানোর মতো তোমার আজ বেজে উঠবার দিন।



কিন্তু এ সমস্ত কথার কিছুই তোমাকে বলা হয়নি আজও যা তোমার নিত্য কষ্ট পাওয়া দেখে সাজিয়ে তুলেছিলাম আমার মাঝে তোমার কষ্ট লাঘব করতে। আমি এখনো বুঝতে পারি না আমায় তুমি কতটা খুঁজে ফেরো !

আমার যত ব্যঞ্জনা-ধ্বনি , ফিসফাস তা মূলত তোমাকে ছুঁয়ে দেবার জন্যই ছিল, এখনো তাই আছে।



তাই বলব , ভালোবাসায় বাঁচো, শুদ্ধতায় বেঁচে থাকো।



হারিয়ে যেও না বনজ্যোৎস্না !!! ”



নিজেকে খুব ব্যর্থ মনে হতে থাকে আমার, বড্ড অপরাগতার ভারে নুয়ে থাকি আমি ! একটা মুমূর্ষু মানবীকে বাঁচিয়ে রাখতে ইচ্ছে হয় খুব। বিগত তিন/চার দিন ধরেই এই চিঠিটা লিখে পকেটে নিয়ে ঘুরছি। কতদিন লালরঙের এই চেনা ডাকবাক্সে রুনু আপার চিঠি পোস্ট করে দিয়েছি। কিন্তু আজ কেমন ভয় ভয় লাগছে আমার ! মনে হচ্ছে ভয়ংকর কোনো হিংস্র জন্তু হাঁ করে বসে আছে একটা সতেজ স্বপ্নকে গিলে নেবার আশায় ।



আমি জানি অলীক মানুষের চিঠিটা হাতে পেলে রুনু আপা আনন্দে হয়ত কেঁদেই দেবেন কিংবা শুনতে পাচ্ছিলাম যেন তার উচ্ছ্বসিত জিজ্ঞাসা –

- এতদিন কোথায় ছিলে তুমি ?



আমার বোবা চোখজোড়া থেকে একটা স্বপ্ন গড়িয়ে যেতে চায় দূরে … … …

কর্ণযুগল উন্মুখ হয়ে থাকে শুনতে –

এতদিন কোথায় ছিলে তুমি !

এতদিন কোথায় ছিলে তুমি !



তাই তো এতদিন কোথায় ছিলাম আমি বনজ্যোৎস্না ?



সমাপ্ত

















মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার আপু। ভালো লাগল পড়ে।

"ভালোবাসায় বাঁচো, শুদ্ধতায় বেঁচে থাকো"- কথাটি অনেক ভালো লাগল।

২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা ।

২| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ভালো লাগলো আপু :)

রুনু আপুকেও বাস্তবের কেউ ভেবে নিলাম।

২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার নিকটা জানা হলো।
ভালো থেকো ।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সাধারণ একটা মেয়ের গল্প। তার হীনমন্যতার গল্প। গল্পে একমুখী বর্ণনা থাকলেও হত, কিন্তু রুনু আপার কাহিনি বলে যায় দশম শ্রেণীর ছেলেটা, সেই সাথে নিজের প্রতিটি নির্দোষ ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে। এই ধরণটি সুন্দর।

একটা সময়ে গল্প ও কাব্য দুই নৌকার মাঝি ছিল। এখন হয়তো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন কবিতা-গল্প মিলে একাকার হয়। অনেকখানি গল্পের মাঝে একটু কবিতা বা অনেকখানি কবিতার মাঝে একটু গল্প ঢুকে যায়। সমসাময়িক অনেক লেখায় সেই সময়ের জোরাল পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।

পোস্টের শিরোনাম কাব্যিক, গল্পটা ভালো। পড়তে চমৎকার লাগল।

ভালো থাকুন। শুভকামনা।

২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প বা কবিতার ফরম্যাট নিয়ে নিরীক্ষা আসলে নতুন না তবে চর্চা এ সময়ে একটু বেশীই হচ্ছে বোধ হয় । আমি একটু কাব্যিক করেই লিখতে চেয়েছিলাম তবে অনেকে ভাবেন গল্প কাব্য নির্ভর হলে নাকি সেটা দুর্বলতা ! সে যাই হোক অনেক সময় মুডের কারনেও লেখার ধরণ বদলে যায় ।

বনজ্যোৎস্না একটা পাহাড়ি লতানো টাইপের ফুল। রুনু আপাকে আমি নিজেও খুব ফিল করছিলাম লেখার সময়ে ।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য । শুভকামনা আপনার জন্য

৪| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চমৎকার ,,,,,,,,,,,অসম্ভব সুন্দর
আমার বোবা চোখজোড়া থেকে একটা স্বপ্ন গড়িয়ে যেতে চায় দূরে … … ’’…
বনজোৎস্না !!!!!!!!!!!!

২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লায়লা ।
ভালো থাকবেন

৫| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

সায়েম মুন বলেছেন: আপনি চমৎকার লিখেন। লেখার বিষয়বস্ত ভাল লাগলো। একটা মেয়ের একাকীত্ব/ নি:সঙ্গতা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। এরকম অনেক রুনু আপা আমাদের সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রুনু আআদের মত মেয়েদের হয়ত অনেক কষ্ট নিয়েই দিন পার করতে হয় ।
ধন্যবাদ আপনাকে সায়েম

৬| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পড়তে পড়তে মনে হলো রুনু আপার কষ্টগুলো যেন আমাকে পেয়ে বসেছে !
খুব সুন্দর লিখেছেন !

২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ অভি

শুভ সন্ধ্যা

৭| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আচ্ছা কষ্ট গুলো এমন কেন হয় ?

২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কেমন হয় কষ্টেরা ? সুখের মত অসুখ !

৮| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: বনজ্যোৎস্নার গল্প । জ্যোৎস্নায় উতলা হয় মানব হৃদয়, একাকিত্বের বাষ্পরুদ্ধ অসহনীয় বিরুপ সময় যেন । বনজ্যোৎস্নার নিঃসঙ্গতা যোগ করে আরো প্রলম্বিত খেদ । ব্যর্থ জ্যোৎস্না প্লাবিত করে এক কৈশোর উত্তীর্ন বালকের অকর্ষিত মনোভূমি । আর তাই দশম শ্রেনী পড়ুয়া ছেলেটির কাছ থেকে রুনু'পা গাঁথা শুনতে মন্দ লাগেনা । কিংবা মুমূর্ষু জ্যোৎস্নাহত রুনু আপাকে বাঁচিয়ে তুলতে ছেলেটির পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে যাই আমরাও, অকপটে ।

নিঃসন্দেহে অনেক সাহসী প্রচেষ্টা । তবে কবিতার স্লটগুলো অনেকটুকুন মসৃন করে দিয়েছে গল্পের পথ চলা ।++


২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই আপনার মতব্যের জন্য ।
বনজ্যোৎস্নার নিঃসঙ্গতা চেয়েছিলাম তুলে ধরতে কিছুটা কাব্যিক ভাবে।
শুভকামনা আপনার জন্য

৯| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বয়সে বড় মেয়ের প্রতি অকথিত ভালো লাগা নিয়ে এর আগেও একটা গল্প লিখসিলেন। আরেকটা লিখে ট্রিলজি পূর্ন করে ফেলেন।

একটা সংলাপে একটু সমস্যা লাগতাসে, খুব ক্ষুদ্র ব্যাপার যদিও তারপরেও গল্পটি সর্বাঙ্গসুন্দর হোক এই প্রত্যাশায় বলছি, কমল ক্লাশে পড়া না পারাতে তাকে অমানুষ বলে আখ্যায়িত করাটা মানানসই লাগে নাই। সামান্য পড়া না পারার কারণে এমন সম্বোধন বাস্তবানুগ না।

রুনু আপা কমলকে দিয়ে বাসায় চিঠি পোস্ট করাইতো কেন? সে চাইতো যে কমল জানুক চিঠিতে কি লেখা এবং জেনে দুর্বল হয়ে পড়ুক? চিঠির মধ্যে তার অন্তর্গত সৌন্দর্য এবং প্রেমাকাঙ্খা খুঁজে পাক?

চিঠিতো সে অলীক মানুষের কাছে লিখতো, তাহলে নিজের কাছে পোস্ট করার কি দরকার? সে অলীক মানুষরে দিয়া নিজেরে চিঠি লেখাইলে ব্যাপারটা ভালো দাঁড়াইতো। হীনমন্যতায় ভোগা প্রেমবুভুক্ষা নারীর অলীক সান্ত্বনার জগৎ হিসেবে দেখতে পারতাম।

প্লটহোলে ভরা একটা সুলিখিত গল্প।

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বয়সে বড় মেয়েকে নিয়ে যে অকথিত প্রেমের গল্পটা ছিল " মিথিলা এবং ছায়াচ্ছন্ন সৌরভ " সেটা আর এটাতে পার্থক্য তো আছেই।এখানে কল্পনার সাথে বাস্তবতা আছেও।

স্কুলের টিচারদের যে ল্যাঙ্গুয়েজ সেটা কারেকশন করা যাবে । তবে এর চেয়েও জঘন্য ভাষা ইউস করেও অনেকে কথা বলেন ছাত্রছাত্রীদের সাথে। তবে ওটা আরও সুন্দর করে প্রেজেন্ট করার সুযোগ ছিল আমার।

রুনু আপা কেন কমলকে দিয়ে চিঠি পোষ্ট করাইত বা নিজেই অলীক মানুষকে চিঠি লিখে নিজে পোষ্ট করত এর দুইটা সম্ভাব্য ব্যাপার আছে যা গল্পে একটু হিন্টস দেয়া হইছে -

" .....হয়তবা এটাও আশা করতো তার নামেও কোনো নীল খামের চিঠি আসুক যা রাতে ঘুমোবার আগে পড়ে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখবে কিংবা বান্ধবীদের কাছে গর্ব করে বলবে তার নামেও কোনো চিঠি আসে। "

এই লাইনে । আবার রুনু আপা নিজেও কমলকে বলেছিল -

" তোর পোস্ট করে দিতে আপত্তি থাকলে দে আমারটা আমিই করে নিবো বলে রুনু আপা আমার কাছ থেকে চিঠিটা ফেরত নেবার জন্য আবার হাত বাড়ায় মন খারাপ করে ।"

রুনু আপার বর্ণনা তো দেয়া হয়েছেই। কিন্তু মানুষের যখন সব আশা আকাঙ্ক্ষার রাস্তাটা ফিকে হয়ে যায় তখন সে অনেক কিছুই ভাবতে পারে । কমল যদি জানেও কি লেখা চিঠিতে এটা সে ইচ্ছে করেও করতে পারে ।

আর সে নিজেও জানে অলীক মানুষ বলে কেউ নাই জাস্ট তার নিজেকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য নিজেই গড়ে তোলা একটা চরিত্র এইখানে সে আর কাকে দিয়ে লেখাবে চিঠি !

হুম অনেকগুলো হোল পেলেন লেখায় দেখতে পেলাম। তবে হোল রিকভার করার জন্যই লেখা আমরা ব্লগে দেই যাতে এর ত্রুটি দূর করতে পারি , এটাই ব্লগে লেখা দেবার সুবিধা ।

শুভকামনা আপনার জন্য :)

১০| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

দুঃখিত বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++ -_-

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকগুলো প্লাস দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

১১| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,

বেশ একটু চমক আছে গাথুনীতে । এক অসূর্য্যস্পর্শা মেয়ের অন্তর্গত শূন্যতা আর তা ভরে দিতে নিজেকেই নিজে লেখা, বেশ টানলো ।

আর এক অপরিনত কিশোরের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সে শূন্যতাকে ছুঁইয়ে দেয়ার ইচ্ছে প্রকট করে ফুঁটিয়ে তুলেছেন এই লাইনটিতে - "আমার যত ব্যঞ্জনা-ধ্বনি , ফিসফাস তা মূলত তোমাকে ছুঁয়ে দেবার জন্যই ছিল, এখনো তাই আছে।"

আসলে মানুষ তো মানুষকেই ছুঁইয়ে দিতে চায় বারবার .....

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার কমেন্টে মুগ্ধতা । শুন্যতাকে ছুঁয়ে দেবার ইচ্ছেটা আমাদের চিরদিনেরই।

ভালো থাকবেন ভাইয়া ।
শুভকামনা রইলো

১২| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪১

সোহাগ সকাল বলেছেন: হা। খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন। অনেক ভালোলাগলো। পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সোহাগ সকাল ।
ভালো থাকুন ।

১৩| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: পড়লাম ।
বুঝলাম , বাংলার অলিতে গলিতে রুনু আপার সংখ্যা নেহায়েত কম নয় । ভোগের লালসা,শারিরিক আকর্ষণ যেখানে মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে সেখানে বিধাতাকে ব্লেইম করা ছাড়া রুনু আপাদের আর কিছুই করার নাই ।

তারপরেও কিছু মানুষ এখনও আছেন,কিছুটা দরিদ্র,বয়স হয়তো একটু বেশী ,একটু কালো কিংবা বেটে ।তবে তারা আছেন বলেই রুনু আপারা এখনও বেঁচে আছেন,জন্ম দিচ্ছেন আরো কয়েকটি রুনু আপার ।

লেখনি নিয়ে মন্তব্য করবো না । সেটা এমনিতেই অনেক চমৎকার ।

২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মন্ত্রী সাহেব ।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১৪| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: এই গল্পের কাহিনী কি? একটা মোটা মেয়ের দুঃখকষ্টকথন, কথক তার ছাত্র। কাহিনী এক জায়গায়ই পড়ে আছে, নো আপ, নো ডাউন।

কিন্তু গল্প ভাল লাগল কেন? অনুভূতিগুলোর অতি সুন্দর বর্ণনা ও গদ্য পদ্যের সংমিশ্রণ প্রতিনিয়ত নিজের অক্ষমতার কথা মনে করিয়ে দেয় বলেই হয়তো এই ভাবে লেখা গল্পগুলো ভাল লাগে।

আমি পারসোনালি কাহিনীর মারপ্যাচ অলা গল্প পছন্দ করি। তবে আপনার জেনার খারাপ না। চালিয়ে যান।

২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই গল্পের কাহিনী অতি সাধারন বলেই অনুভূতিগুলো একটু কাব্যিক বর্ণনার মাঝে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
আপ - ডাউনের কথা যা বললেন আসলেই কি তাই ? ওরকম একটা আপ সিচুয়েশন হলেও হতে পারে এমন একটা অবস্থার আবহ কি মনে হয়নি ?
আমি আপনার লেখা গল্প পড়েছি, খুব সাসপেন্স আর কাহিনী খুব দ্রুত ঘটে যায় ।
ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকবেন :)

১৫| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপে আমি আমি থাকায় সে আমিটা মেয়ে মনে করে পড়ছিলাম। শেষে দিকে সেই আমি বনজ্যোৎস্না :)বনজ্যোৎস্না নামটার মাঝেও কিন্তু মেয়েলি ভাব আছে।

পড়তে মাঝখানে একটু একগুয়েমি চলে আসছিল, মনে হচ্ছিল কিছুটা আননেসেসারি দৃশ্য ঢুকে যাচ্ছে। পল্পের শুরুটা যেমন কাব্যিক তেমনি পড়তেও দারুণ লাগছে।

এনি হাউ এটা আপনার একটা ভাল গপ, আমার পড়ার মধ্যে সো ফার বেস্ট ওয়ান।

২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের আমি আমি যে চরিত্রটা সেটা একটা ছেলের চরিত্র , গল্পের কথক - কমল নাম তার । আর বনজ্যোৎস্না তো একটা মেয়েই ,রুনু আপার আরেক সত্ত্বার নাম ।

বেস্ট ওয়ান জেনে ভালো লাগলো ।
ভালো থাকবেন মাসুম ভাই

১৬| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

অদৃশ্য বলেছেন:




লিখাটি সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে আমার... দৃশ্যগুলো সুন্দরভাবে তৈরী করা গেলো...

তবে যেটা বলতে চাই... এখানে রুনু আপার স্থুলকায় চেহারা ও গায়ের রং এর ব্যপারটা ভালো লাগেনি... আমার সবসময়ই মনে হয় লিখালিখিতে এইসব ব্যপারগুলো কোন কোন পাঠককে আঘাত করবে, এই আঘাত করাটাকে আমি মেনে নিতে পারিনা... এটা আমি ফিল করি তাই ভালো লাগেনা

যদিও বাস্তবতার সাথে মিল রেখে একটি সুন্দর গল্প তৈরী করতে গেলে কিছু সত্য ও দৃশ্য উঠে আসবে, যা জীবনেরই অংশ ও তা সহ্য করবার ক্ষমতা থাকাটাও জরুরী... তবুও যতটুকু সম্ভব এই ব্যপারগুলো এড়িয়ে যাওয়াটাকেই আমার ভালো মনে হয়... একজন লেখক চাইলেই তাকে অন্যভাবে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন...


শুভকামনা...

২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রুনু আপার শারীরিক ত্রুটিকে সে অর্থে আমি কদর্য ভাবে তুলে ধরিনি। বরং কথকের চোখে তাকে সুন্দর বলেই বুঝিয়েছি এই লাইনের মাঝে -

" কে বলে সে সুন্দরী না ? এই যে তার কি সুন্দর দুটো চোখ , দেখলেই মনে হয় কাজল টানা । এরকম চোখকেই কি কাজলকালো চোখ বলে ? একরাশ চুল কত মসৃণ ভাবেই না তার পিঠ বেয়ে নেমে গেছে। তার চোখের স্বচ্ছ মনি দিয়ে হয়ত বানানো সম্ভব গলায় পড়ার কোনো স্যুররিয়াল মালা ! "

লেখালেখিতে অনেক ভাবেই অনেক বিষয় উঠে আসতে পারে তাই এর সীমানা থাকে না সম্ভবত ।
ভালো থাকুন । শুভকামনা আপনার জন্য।

১৭| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: আমার দু'চোখের নীল আজ ধারণ করব ভিক্ষার জল
যাবার পথটা যে আমাকেই খুঁজে নিতে হবে !
এখন যে আমার স্পষ্টতই আড়াল, বনবাস ।

-- তোমার বনজ্যোৎস্না

ভালোবাসায় বাঁচো, শুদ্ধতায় বেঁচে থাকো

চমৎকার লিখেছেন আপু। মন ছুয়ে গেছে। রুনু আপার কষ্টটা খুব ফিল করলাম। আমি গতকাল একটা কবিতা লিখেছি তার নামটাও ঠিক করে রেখেছি যে অদৃশ্য মানব দিব ।আপনার গল্প পড়ে অনেকটা মিল খুঁজে পেলাম আমার কবিতার। সেই কবিতার মূল বিষয়টা রুনু আপার কষ্টের সাথে একদম মিলে গেছে।

এমন কষ্টের অবসান হোক ।

২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লিখে ফেলুন অদৃশ্য মানবকে নিয়ে কবিতা। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা লাবনীকে

১৮| ২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: চিঠি দুটো গল্পের চেয়েও বেশি সুন্দর।

২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জি অয় , ধন্যবাদ

১৯| ২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০১

আদনান প্রীতম বলেছেন: গল্প পইড়া শরম পাইছে!

নুবেল পাওয়ার যোগ্যতা রাখে B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) :-B :-B :-B :-B :-B :-B :-B :-B :-B !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P

২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দুই লাইনের কমেন্ট লেইখা তিন লাইনের ইমো দিতে আসছে ! ফাঁকিবাজ পাঠক !
নুবেল তুই দিয়া যাইস

২০| ২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনেক বেশি সুন্দর, চিঠিগুলো।

''যে শহরে তুমি নেই , আমিও আর সে শহরে থাকব না। শুধু একবার বলো তুমি আসছ তো আমার কাছে ? আজ তোমার একটি বাক্যেই নিষ্পন্ন হবে আমার সমস্ত সিদ্ধান্তহীনতা। ঠিক দু'সপ্তাহের মাঝে আমাকে তুমি না নিতে আসলে আমি সত্যিই এবার হারিয়ে যাব। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে ধুয়ে অরণ্যের মাঝেই মিশে যাব শেষাবধি।''

দারুন।

২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চিঠিগুলো লিখতে আমারও ভালো লেগেছিল।
ভালো থেকো দূর্জয়

২১| ২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

অদৃশ্য বলেছেন:




আমার সবসময়ই মনে হয়েছে এইসব ব্যপারগুলোর পজিটিভ চিত্র থাকাটা জরুরী... আর সেই দায়িত্ব লেখকদেরই আগে নিতে হবে... সুন্দর মন তৈরীতে লেখকদের ভুমিকা কি তা আমরা সবাই জানি...

এজন্যই ওভাবে বলা... ঠিক সিমানা টানা নয় বিষয়গুলোকে কিছুটা অন্যভাবে বা পজিটিভলি উপস্থাপন করা আরকি...

তাদের শারিরিক বা চেহারার বর্ণনায় সৌন্দর্য্য খুঁজে বের করা আরকি... নেগেটিভগুলো সামনেই না আনা, এমন...

শুভকামনা...

২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার পজিটিভ মন্তব্যের জন্য । পরবর্তীতে চেষ্টা করব ।
আপনিও ভালো থাকুন

২২| ২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

শশী হিমু বলেছেন: অনুসরণে রেখে গেলাম। পড়বো ....

২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ হিমু

২৩| ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৩

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: কথা গুলো কি নিজের নাকি শুধু লেখার জন্য লেখা :(

২৮ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নিজের জন্য হোক আর পাঠকের জন্য , অনুভব থেকেই এই লেখা গুলো আসে। অপূর্ণতা থেকেই এর গাঢ়ত্ব বাড়ে ।
শুভকামনা ঘুড্ডির পাইলট

২৪| ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৬

এরিস বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছিলাম। ন্যারেটরকে চেনা চেহারার মনে হচ্ছে। ২বার পড়েছি, তবে এক্ষুনি মন্তব্যে আসছিনা। ১ দিন পর আসবো। দেখা হবে।

২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা। সময় নিয়ে পরে আসলেই হবে এরিস ।
শুভেচ্ছা

২৫| ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩৩

শশী হিমু বলেছেন:
গল্পের স্টার্টিং টা ছিল ফ্ললেস। দুর্দান্ত মনে হয়েছে। কাব্যিক সূচনা ছিলো, এই ব্যাপারটা খুব আকর্ষণী ছিল। এতো গভীর একটা প্রারম্ভ থেকে হঠাত গল্প কথকের সাধারন কথায় নেমে একটু ধাক্কা টাইপ খেতে হলো। বলছিনা খারাপ হয়েছে, তবে শুরুর ডিপনেসটা কেমন জানি নাই হয়ে গেল হুট করে। এর পর গল্প কথকের বর্ণনা ভাল লেগেছে। তবে চিঠি দুটোতে আবারো সেই ডিপনেস ফীল করলাম। শুরুতে এক্সপেক্ট করেছিলাম কাব্যিক বর্ণনা আরো বেশিপাবো। কাব্যিক বা কাব্য নির্ভর গল্প বরাবরই ভালো লাগে। এবং এই টাইপের গল্প লিখা কঠিন বটে! লিখেছিলাম ও একটা বেশ কিছু আগে। এই ভালো লাগা হেকেই বোধহয় আমার এক্সপেকটেশনটা বেশী ছিল।

গল্পের প্লট ভালো ছিলো। রুনু আপাদের মতো অনেকেই আছে। যাদের কথা অনেকে ভাবে কিন্তু কিছু লেখে না। কেউ হয়ত ভাবেই না। আপনি ভেবেছেন ও লিখেছেন। গুড জব!

গল্প ভালো লিখেছেন সন্দেহ নেই।

২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইচ্ছেই ছিল কাব্যিক ভাবে লিখব । কিন্তু গল্পের আদল আনতে গিয়ে ডায়ালগ আনতে হয়েছে। আর চিঠি গুলো লিখতে নিজের কাছেই আমার ভালো লেগেছিল ।
অনেক ধন্যবাদ হিমু

২৬| ২৮ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অনেক অনেক জোশ।+++।

২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা থাকলো

২৭| ২৮ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

রোজেল০০৭ বলেছেন: অনেক পরে হলেও পড়লাম।

ভালো লাগলো গল্প আর কাব্যের মিশ্রন।


২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পরে হলেও পড়লেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ রোজেল

২৮| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

আরমিন বলেছেন: ভাল লিখেছেন, মেয়েটার জন্য মায়া লাগছে! এরকম কিন্তু বাস্তবেও অনেক আছে !

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আরমিন। অনেক অপূর্ণতা নিয়েই মানুষকে বেঁচে থাকতে হয় !

২৯| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ''আমার যত ব্যঞ্জনা-ধ্বনি , ফিসফাস তা মূলত তোমাকে ছুঁয়ে দেবার জন্যই ছিল, এখনো তাই আছে ।

এখানেই চলে এসেছে সব অনুভূতির আলোড়ন ।

চিকনি চামেলি যুগে রুনুদের ঠাই কই ? এদের কথা কোথাও থাকে না ।
আপনি গল্প খারাপ লিখলেও শুধু এই বিষয়টার কারণে আপনাকে ধন্যবাদ দিতাম । ভাল লাগলো লিখায় এমন বিষয় তুলে এনেছেন ।

ভাল লেগেছে গল্প । ++++++তাই যাবার আগে ভাললাগার বাটন টা চেপে যেতে ভুললাম না ।
ভাল থাকুন আপনি ।

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক্কক্কক্কগুলো প্লাস পেয়ে অনেক্কক্কক্ক খুশি হয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে

৩০| ৩০ শে মে, ২০১৩ ভোর ৪:০১

নস্টালজিক বলেছেন: মনোযোগী লেখা!


শুরুর কাব্য সুন্দর হইসে! এ রকম সুররিয়াল শব্দচয়নে দৃশ্যকল্প দেখতে পেলে সেটা হয় দারুণ!


শুভেচ্ছা, অপর্ণা!



ভালো থাকো নিরন্তর!

৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৩১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

ইনকগনিটো বলেছেন: পোস্ট পড়তে যেয়ে মনে হইছে কবিতার পোস্ট। পড়ে বুঝছি, আসলে ঢুকছি গল্পে। সেই হিসেবে এন্ট্রিটা চমৎকার। গল্পের মাঝে কাব্যিক অংশ থাকলে হয়তো অতোটা ভাল্লাগতো না যতোটা লাগছে শুরুতে থেকে।

আর মনের এরকম টানাপোড়েন আমাদের আশেপাশে সব সময়ই চলে। গল্পটা এই কারনে অনেক সহজ হয়েও অনেক গভীর।

আর শেষে আইসা খালি মনে হইছে- মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকে শুধু একজনের জন্য।

গল্পে প্লাস।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানুষের বেঁচে থাকা, হিংসা, ক্রোধ, ভালো লাগা বা ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত ঘুরে ফিরে কি পেলাম , কাকে পেলাম, কি হারালাম আর আক্ষেপ নিয়েই আবর্তিত হয় !

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ । ভালো থাকো

৩২| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আস্তে আস্তে এক প্যারা এক প্যারা করে পুরো গল্প শেষ করলাম। পড়া শেষে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। এক সময় এধরনের বেশ কিছু গল্প লিখেছিলাম, তবে আপনার মত এত ভাবের গভীরতা আনতে পারিনি। তাই ত এখন একটু ভিন্ন ধারায় গল্প লেখার চেষ্টা করছি।

মনে হচ্ছিল যেন গল্পটা আরও কিছুদুর এগিয়ে নেওয়া যেত! গল্প কথক হয়ত আসলেই চিঠিটা পোস্ট করত তারপর কিছু দ্বিধা দন্দের টানাপোড়ন থাকতে পারত। তবে থামিয়েছেন খুব সুন্দর যায়গায়। এই খানেই আপনার বিশেষত্ব।

আপনি সম্ভবত আলো ব্লগে শুধু অপর্ণা নামের একটা নিকে ব্লগিং করতেন। তাই তো আমি প্রথমে আপনাকে চিনতে পারিনি।

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আলো তে অপর্ণা নিকেই ব্লগিং করেছি । এখন যাওয়া হয় না আর সেদিকে।

গল্পটা বাড়ালে গল্পের মোড় অন্যদিকে চলে যেত । বাস্তবতা আর শ্রদ্ধা মিশে যেত লোভে।
গল্প লেখার ধরণ বাড়ে বারেই চেঞ্জ হয় বা চেঞ্জ হওয়া উচিত। নাহলে লেখক একই লেখার ধরণে আটকা পড়লে সেখান থেকে বের হওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে ।

শুভেচ্ছা নাজিমের জন্য

৩৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০১

এরিস বলেছেন: রুনু আপা পড়ার মাঝে হঠাৎ সব বন্ধ করে বলতেনঃ আয় গল্প কই। এখানে কমলের ভালোলাগা শিশুসুলভ। আবার পকেটে চিঠি নিয়ে ঘোরার ব্যাপারটা পরিণত। আসলেই কি কমলের মনে পরিণত ভালোবাসা ছিল? নাকি সহজ সরল অন্তর্মুখী রুনু আপার অসহায়ত্বকে বিষাদভরা চোখে দেখতো শুধু????

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কমল দ্বিধা দ্বন্দে ভুগতো বলেই চিঠি লিখেও পকেটে নিয়ে নিয়ে ঘুরত । রুনু আপার জন্য তার বিশেষ সহানুভূতি ছিল বলেই সে ব্যথিত হতো । ভালোবাসাটা পরিনত হলে চিঠিটা সে পোষ্ট করেই ফেলত হয়ত !

ভালো থেকো

৩৪| ০১ লা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হায় !! হায় !! করেছি কি ?? আরো আগে আপনাকে অনুসরণ করা উচিৎ ছিল। এই প্রথম আপনার গল্প পড়লাম আর তাতেই ভক্ত হয়ে গেছি। শুরুটা এত্ত ভালো লেগেছে যে আমি হেড়ে গলায় আবৃত্তি করতে চেয়েছিলাম। আর চিঠি দুটো ছিল চমৎকার, ভিতরে একটা কম্পন, একটা ঝংকার, একটা দ্যোতনা জেগেছে। মুগ্ধ হয়ে এই তিনটা জায়গা বার বার পড়লাম। আর গল্পটাও অনন্য হয়েছে। সব্যসাচীর মত লিখতে থাকুন আর সামু মুখরিত হোক আপনার কীবোর্ড চালনায়। অনেক শুভকামনা রইল :)


অ.ট.- আপু রঞ্জনা-২ শুনেছেন ?? এখন আর রঞ্জনার বারান্দায় আসার সময় নেই, সে সারাদিন চ্যাটে ব্যস্ত থাকে :(

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার মত একজন ভক্ত পাইয়া আমিও অনেক খুশী হইলাম। হুম চিঠির কথা কয়েকজন বলল তাদের নাকি ভালো লাগছে। কিন্তু চিঠির মত বেশী লেখা লিখলে লুতুপুতু ভাব আসতে পারে তাই ভয়ে আর লিখি না ।

রঞ্জনা-২ মানে ? কে গাইছে ? আমি শুনি নাই । যুগ বদলাইছে , রঞ্জনারাও বাহির থিক্যা ঘরমুখী হইছে ( ভার্চুয়াল জগত )।

অনেক ভালো থাকবেন ভাইয়া

৩৫| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১১:২২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কে আর গাইবে অঞ্জন ছাড়া ?? টিনেজারদের অন্য কেউ বুঝেছে ওর চেয়ে ভালো ?? হ্যাঁ !! এক বুঝেছিলেন সত্যজিৎ রায়।


রঞ্জনা-২ এর ডাউনলোড লিঙ্কটা দিলাম, শুনে দেখতে পারেন :)

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে , লোড করে নিচ্ছি । ধন্যবাদ

৩৬| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

তীর্থক বলেছেন: প্রথম পড়েছি ৩১শে মে। আজ আবার মন্তব্য করার উদ্দেশ্যে পড়লাম :-)

১) "অপর্না" লিখেছে এইকথাটি ভুলে যেয়ে (না জেনে) লেখাটা পড়লে ১০ এ ৭ দেয়া যায় । কিন্তু লেখাটি অপর্না'র এটা মাথায় রেখে পড়তে গেলে মনে হচ্ছে তার লেখার স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে অনেক উপরে । আরও ভালো একটা লেখা পেতে পারতাম যেহেতু বিষয়টা খুব ভাল সিলেক্ট করা হয়েছে ।

২) রুনু আপার ভিতরের চাপা বেদনা চোখ বন্ধ করে নিজের মত করে ভাবলে যতটা আঁচ পাচ্ছি গল্পটির ভিতর দিয়ে ততটা অনুভব করিনি ।

৩) মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেনির মেয়েরা বেড়ে ওঠে বাবা -মা'য়ের বোঝা হয়ে আর দ্রুত বিয়ে করে অন্যের সংসার (বাচ্চা কাচ্চা) সামলানোর জন্যই। এটা নতুন কিছু নয় । এখানেও একই কথা ঘুরে ফিরে এসেছে । আর পাশাপাশি রুনু আপার অব্যক্ত বেদনার কথা করুনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা হয়েছে । সেই অর্থে লেখাটিতে নতুন কিছু পাইনি ।

৪) লেখাটিতে নতুন বা প্রায় নতুন যা ছিল তা হচ্ছে রুনু আপার প্রতি কমলে'র আকর্ষন । এই আকর্ষন'কে ঘিরে লেখাটির কোনও একটি পর্যায়ে একটা টুইষ্ট আশা করেছিলাম । কিন্তু তা হয়নি । লেখাটি শেষ হয়েছে খুব সাদা মাটা ভাবে । অপর্না'কে এখানে সফল বলা যায় না।

৫) লেখার বিষয়বস্তু আমার কাছে খুব সাধারন মনে হয়নি । আমি নিশ্চিত, এই জাতিয় বিষয় নিয়ে ভেবে চিন্ত আবার লিখলে অবশ্যই আমরা এর চাইতে ঢেড় ভাল একটি লেখা পাব । অপেক্ষায় রইলাম ।

এবার আসি প্যাড়া টু প্যাড়া মুল্যায়নে।

প্রথম প্যাড়া: "গভীর রাতে তার দু’হাতের ভাঁজে ঢেকে রাখবে আমার বুক ছেঁড়া দীর্ঘশ্বাস !" এখানে ছেঁড়া না হয়ে চেড়া এ্যাপ্রোপ্রিয়েট হত।

তৃতীয় প্যাড়া: "দেখছ আমি কত দীর্ঘ, দীর্ঘ দিন ধরে শুন্য হয়ে ছিলাম তোমাকে না পেয়ে পেয়ে !" দীর্ঘ শব্দটি দুইবার এসেছে। একই বাক্যে যেহেতু পেয়ে শব্দটিও দুইবার এসেছে তাই দীর্ঘ শব্দটি একবার আসলেই বেশি ভাল লাগত।

চতুর্থ প্যাড়া: "আমি সেই কবে থেকে তোমার অসহ্য প্রেমে পড়ে আছি অলীক মানুষ !
তোমার প্রণয়ে আমার চোখ পুড়ে পুড়ে যেতো। তাই রোজ ঘুম ভেঙেই দেখতাম একটা মেঘ আমার দু’চোখের পাতায় ছায়া দিতে বসে থাকতো !” এখানে একটা মেঘের বদলে এক টুকরো মেঘ মানানসই হত।

এমন ছোট খাটো কিছু অসামন্জস্য চোখে পড়েছে । এমন বিশেষ কিছু না । তবে যার লেখা পড়ে এমন সমালোচনা তাকে আরও অনেক উপরে দেখলে হিংসে হবেনা, বরং ভালই লাগবে। আর সেজন্যেই ইনিয়ে বিনিয়ে এত কথা ।

আর একটা কথা । একই বাক্যে "কারনে", "কিন্তু", "হয়ত", "এবং", "কিংবা" এই জাতিয় শব্দগুল একাধিকবার না এলে লেখায় গতি বাড়ে এবং ছন্দপতন এড়ান যায়। লক্ষ রাখবেন ।

উপরের সবই আমার একান্ত নিজস্য মতামত । অধিকারের বলে অধিকার ফলালাম :-)

ধন্যবাদ!

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার অধিকার বোধের ব্যাপারটা মাথায় আছে বলেই হাসিতে আমার চেহারা উদ্ভাসিত কিন্তু দেখানোর সুযোগ নাই ।

আপনার দেখানো ছোট খাটো অসামঞ্জস্যতা গুলো দূর করা সম্ভব আরেকটু সময় নিয়ে বসে লেখাটা এডিট করতে বসলে। এটা ঠিক আমার লেখায় "কারনে", "কিন্তু", "হয়ত", "এবং", "কিংবা" এই জাতীয় শব্দগুলো বেশী বেশী আসে ইদানীং। মাথায় থাকবে ব্যাপারটা এর পরের লেখায় ।

সাধারণ গতানুগতিক ঘটনা বলেই কিছুটা কাব্য প্রচেষ্টায় লেখার সূচনা করেছি। পরবর্তীতে আপনার কাছ থেকে প্লট নিবো ভাবছি।

"দেখছ আমি কত দীর্ঘ, দীর্ঘ দিন ধরে শুন্য হয়ে ছিলাম তোমাকে না পেয়ে পেয়ে !" দীর্ঘ শব্দটি দুইবার আসলেও আমি ইচ্ছে করেই দিয়েছি ।

-- " দীর্ঘ" শব্দটার স্থায়িত্ব কাল বোঝাতে , যা সত্যিই অনেক সুদূর প্রসারী ছিল।

তাই রোজ ঘুম ভেঙেই দেখতাম একটা মেঘ আমার দু’চোখের পাতায় ছায়া দিতে বসে থাকতো !” এখানে একটা মেঘের বদলে এক টুকরো মেঘ মানানসই হত।

-- সহমত । কারেকশন করলে বদলাইয়া দিবো ।



১) "অপর্না" লিখেছে এইকথাটি ভুলে যেয়ে (না জেনে) লেখাটা পড়লে ১০ এ ৭ দেয়া যায় । কিন্তু লেখাটি অপর্না'র এটা মাথায় রেখে পড়তে গেলে মনে হচ্ছে তার লেখার স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে অনেক উপরে । আরও ভালো একটা লেখা পেতে পারতাম যেহেতু বিষয়টা খুব ভাল সিলেক্ট করা হয়েছে ।

---- অনেক খুশী হলাম জেনে । প্রত্যাশা যেহেতু বেড়েছে সেহেতু আরও পরিশ্রম করতে হবে বুঝতে পারলাম ।

আপনার নিজস্ব মতামত শুনে আর বুঝে ভালো লাগলো তীর্থক। আপনার এমন দ্বিধাহীন মন্তব্যও , আলোচনা সবই আমার কাম্য ।

ভালো থাকবেন ।

৩৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

তীর্থক বলেছেন: মানছি দীর্ঘ শব্দটি আপনি ইচ্ছে করেই দুবার দিয়েছেন শব্দটার স্থায়িত্ব কাল বোঝাতে , যা সত্যিই অনেক সুদূর প্রসারী ছিল ।

কিন্তু আমি হলে দীর্ঘ'র পরে কমা না দিয়ে দীর্ঘ বা দী'র পরে কয়েকটা ডট দিতাম । যদিও জানি তাতে কোনও নতুনত্ব হত না । আপনার লেখায় নতুনত্ব থাকে । ভালো লাগে :-)

আমার কাছ থেকে প্লট নিতে হলে আপনার স্টক খালি করতে হবে । তেমন সম্ভাবনা আছে?

আর একটা কথা । লেখাটা কিন্তু অন্তত একটা দিক দিয়ে খুব ভাল হয়েছে; খুব সাধারন একটা গল্পকে গদ্য-পদ্যে'র মিশ্রনে ফেলে রং দেয়ার চেষ্টা । এখানে আপনি পুরো না হলেও অনেকটাই সফল ।

ধন্যবাদ!

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা , মাথায় যখন নতুন কোন লেখা থাকবে না বা মাথা ফাঁকা থাকবে তখন আসব প্লট এর আইডিয়া নিতে।

যাক অনেকটাই সফল হতে পেরেছি এটাই কম কি ! পুরোপুরি পারফেকশনিস্ট হওয়াটা সবসময় সম্ভব না । আমি খুশী হয়েছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.