নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহা - ১৩

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

নুহা - ১২



ঘরের সাজসজ্জার ব্যাপারে তেমন একটা গুরুত্ব দেইনি আমি কারণ এ দেশে সেটেল হবার ইচ্ছে নেই। তবে রেজার ইচ্ছে ভিন্ন, দেশে যাওয়ার ব্যাপারে একেবারেই ভাবে না ও। দেশে ওর বাবা, ভাই- বোন কারো সাথে যোগাযোগের তেমন আগ্রহও দেখি না। আজব মানুষ! দিনের পর দিন ও ওর পরিবারের মানুষদের সাথে কথা না বলে কী করে থাকে এটা আমার কাছে বিস্ময় হলেও ওর কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার, বলে-

- আরে ধুর ধুর, বাদ দাও। দেশে ফোন করলেই খালি এইটা দ্যাও ,ওইটা দ্যাও। আমি কী ভাই টাকার মেশিন যে তারা বললো আর টাকা বানাইলাম।



আর এই লিভিং রুমের পাশের রুমটা সেটাতে একটা মাত্র আলমারি ছাড়া আর কোনো আসবাব নেই। তাও এটা রেজার পুরনো বাসা থেকে এনে রাখা। আর এ রুমটা বাকী দুইটা রুমের চেয়ে তুলনামূলক বড়। কিন্তু এ রুমটার সমস্যা হলো এ রুমটায় একেবারেই আলো-বাতাস ঢোকে না আর শীতের দিনে খুব ঠাণ্ডা হয়ে থাকে রুমটা। রুমের হিটারটাও নষ্ট। এ রুমে আসা বা থাকা কোনটাই হয় না বলে হিটারটাও ঠিক করা হয় না। এ রুমের একটা ব্যাপারই সুন্দর, মেঝেটা কাঠের ফিটিংসে করা, মসৃণ। একবার রেজার সাথে রাগ করে শীতের এক রাতে শোবার ঘর থেকে এসে এ রুমের ফ্লোরে শুয়েছিলাম। সাথে অবশ্য একটা কম্বল নিয়ে এসেছিলাম আর বালিশ। ফ্লোর এতো ঠাণ্ডা ছিলো, তার উপর হিটার নষ্ট। দু'বার রেজা ডাকতে এলেও যাই নি ওর সাথে। বরং উঠে গিয়ে দরজা লক করে এসে শুয়েছিলাম। রাতের বেলা কীসের যেন একটানা কতক্ষণ ঠকঠক শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো। কিছুক্ষণ পর হাঁটাহাঁটির শব্দ আর একটা শনশন বাতাসের আওয়াজ হচ্ছিলো জানালা বন্ধ করার পরেও। ভূতে বিশ্বাস নেই আমার কিন্তু সারাক্ষণই সে ভয়ে অস্থির ছিলাম ঐ রাতে। নিজেকে সাহস দিতে ভাবছিলাম যেহেতু ফ্লোরে শুয়েছি, কিয়ারাদের রুম থেকে কী কোনো আওয়াজ হচ্ছে? কারণ আমার ফ্ল্যাটের উপরে আর কোনো ফ্ল্যাট নেই, আর আরেক পাশে চিলেকোঠার মতো একটা ফ্ল্যাট। এতো রাতে কি আর সে ফ্ল্যাটের কেউ হাঁটবে এই শীতের রাতে। কেন যেন সে রাতে ভীষণ ভয় পাচ্ছিলাম, মনে হচ্ছিলো আমার আশেপাশে দিয়ে একদল অশরীরী কিছু নেচে যাচ্ছে অবরত। একবার ভাবছিলাম এ রুম থেকে চলে যাই, কিন্তু রেজার কাছে গেলে ও আবার হাসবে, খোঁচা দিবে সেই আশংকায় ভয়, তন্দ্রা, আবার খানিকটা স্বপ্ন সব মিলিয়ে একটা ভূতুড়ে রাত পার করে দিয়েছিলাম।



রেজা আর আমি দুজনে ধরাধরি করে টিভিটা লিভিং রুমে রেখে ঝটপট তৈরি হয়ে নিয়ে বাইরের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাই। ঘরের কাঁচাবাজার করতে যাওয়ার নাম তাহলে বেড়াতে যাওয়া কী বলো? রেজার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলি আমি। ও গাড়িতে উঠলে আমার সাথে তেমন একটা কথা বলে না, মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে ড্রাইভিং এ তাই। আমারে না খোঁচাইয়া আগে সীট বেল্ট বাঁধো, নাইলে তোমার মামু আইসা টিকিট কইরা দিবো। বলে রেজা ইশারায় দেখায় আমি এখনো সিট বেল্ট বাঁধিনি। এখানের লোকজন মানে বাঙালিরা পুলিশকে মামু বলে কেন কে জানে। রেজাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বলে, আমিও জানি না। এখানে আইসা আমিও তো শুরু থেকেই একই কথা শুইনা আসতাছি, মনে হয় এইখানের পুলিশেরা জেলেও ভালো খাতির যত্ন করে, এই কারণে। ঘড়িতে সকাল প্রায় সাড়ে এগারোটা। ভিক্টোরিয়া পৌঁছাতে হয়তো মিনিট চল্লিশ লাগবে। তাড়াহুড়ায় লিস্ট করিনি ঘরের জন্য কী কী জিনিস কেনা লাগবে। সেই বাজার কিনে বাসায় এসে সেগুলো গুছিয়ে রাখা আর টাটকা মাছ, মাংস রান্না করে খেতে খেতে কয়টা বাজবে কে জানে। ব্যাগ থেকে ছোট ফোন বুকটা বের করে একটা কাগজে কিছু জিনিস লিখে রাখি যাতে দোকানে গিয়ে মনে মনে হাতড়াতে না হয় কী কিনতে হবে। বাংলাদেশে ফোন করার জন্য কার্ড, সরিষা,প্লেট ধোয়ার লিকুইড ক্লিনার, মুড়ি, চালের গুঁড়া, ইলিশ মাছ, সরিষার তেল, কাঁচা আম - যে কয়টা জিনিসের নাম মনে ছিলো, আমি লিখে ফেলি। রেজা রেডিওটা অন করতে করতে আড়চোখে হয়তো দেখার চেষ্টা করে লিস্ট কত বড় হলো।টেরমিনি চলে এসেছি প্রায়। এখান থেকে বাঙালি বাজারে পৌঁছাতে মিনিট পাঁচেক লাগবে হয়তো। সমস্যা একটাই পার্কিং এর জায়গা সুবিধামত পাওয়া যায় না। রেজা জিজ্ঞেস করে, কী মাছ কিনবা ঠিক করছো ?



- নাহ, আগে তো যাই, দেখি বাজারের কী অবস্থা



- মাগুর মাছ খাইবা নাকি?



- ওয়াক ওয়াক, না। আফ্রিকান মাগুর গুলো দেখলে কেমন ঘেন্না লাগে। পাঙাশ, আইড় ছাড়া আর তাজা মাছ কী আছে ! চিংড়ি কিনবা নাকি। আইচ্ছা আগে যাই। শালার ব্যাটারা তো তোমারে দেখলে ভাবী ভাবী কইয়া গইল্যা পড়ে, কিন্তু দাম কমানের বেলায় তো মুখে তালা মাইরা রাখে।



- ধ্যাত রেজা, মুখ খারাপ করবে না তো। তারা ব্যবসা করতে বসছে, কম দামে তারা কেন বিক্রি করবে কেন! আর বাঙালি দেখলে ভাবী ভাবী বলবেই, তোমাকেও তো ভাই এটা নেন, ওইটা নেন বলে। সমস্যা কোথায়!



- আরে রাগ করো কেন? আমি তো এমনেই বললাম। রেজার মুখ দেখি হাসি হাসি। ওর চোখ অনুসরণ করলে হাসির কারণ বুঝি, মাত্রই একজন তার গাড়ি সরিয়েছে বলে রেজা পার্কিং এর জায়গা পেলো, না হলে আবার টাকা দিয়ে পার্কিং লটে গাড়ি পার্ক করতে হতো। এখানে রাস্তার দুই পাশেই সুবিধামত মানুষজন তাদের গাড়ি পার্ক করে রাখে। কারণ গ্যারাজে গাড়ি রাখাটাও ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। রেজার সাথে সাথে বাজারে ঢুকি , দেখি ওর গন্তব্য ইকবাল ভাইয়ের দোকানের দিকে। দেখা হতেই উনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসেন, কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। অনেকদিন পর আসলেন ভাবী।

- এইতো ভাই, আপনার ভাই সময় পায় না কাজ করে। রেজার সাথেও উনি হাত মিলায়। গরুর মাংস কিনতে হলে এ দোকানেই আসা হয়। আরও কয়েকটা বাঙালি দোকান ছাড়াও আরবীদের দোকানও আছে যেখানে বড় বড় করে লেখা ' হালাল মুরগি ও গরুর মাংস পাওয়া যায়'। এমনিতে তো সুপারশপ থেকে ফ্রান্স থেকে আসা মুরগী কিনেই খাই। রেজা ইকবাল ভাইকে পাঁচ কেজি গরুর মাংস রেডি করতে বলেন। শোনেন ভাই, সিনা থেইকা দেইখ্যা ভালো মতো পিস কইরেন। আর পিসের সাইজ কেমন হইবো আপনের ভাবীরে জিজ্ঞেস কইরা নেন। ইকবাল ভাই আমাকে মাংসের পিস দেখিয়ে নিয়ে উনার কর্মচারীকে সে অনুযায়ীই মাংস কাটতে বলেন। উনি জিজ্ঞেস করেন, আর কিছু নিবেন নি ভাই? ফ্রেশ মগজ আছিলো, উটের মাংসও আছে।

- হ, দুইটা গরুর মগজ দেন। আইচ্ছা সত্যি কইরা কন ইকবাল ভাই, গরু কী আসলেই আপনারা মসজিদের ইমাম দিয়া জবাই করান না শহরের বাইরে নিয়া গরু গুল্লি কইরা মাইরা তারপর মাংস বেচেন।



ইকবাল ভাইকে এ প্রশ্ন শুনে অপ্রস্তুত হতে দেখি না। হয়তো এরকম প্রশ্ন আরও মানুষের কাছে তাকে রোজ শুনতে হয়। মাংস প্যাকেট করতে করতে বলেন-



- আপনেও কিন্তু ভাই জানেন, ইতালিয়ান সরকার এরকম পশুপাখির রক্তপাত ঘটাইয়া শহরের মাঝে গরু, উট, ভেড়া জবাই করতে দিবো না। খুব কম সময়েই হালাল উপায়ে জবাই করা মাংসও পাইবেন। যেই দেশে যেমন নিয়ম। তয় এইটা গ্যারান্টি দিয়া কইতে পারি, শুয়োর কাঁটা ছুরি দিয়া আমরা মাংস কাটিও না, বেচি না, কিংবা অন্য কারো কাছ থেইকা কিন্যাও আনি না। এইটা মানেন তো ? এতদিন ধইরা মাংসও নিতাছেন, শুনছেন এই রকম বদনাম? যাই হোক, ভাবী দুইটা মুরগী দিয়া দিমু নি ? দেশি মুরগী আছিলো। লোকটার মুখে ' দেশি মুরগী' শুনে আমি হাসি। বলে কী এই লোক, এইখানে আবার দেশি মুরগী ! কিছু নব্য ব্যবসায়ী আছে বাংলাদেশের, তারা নিজেরা ফার্ম ভাড়া নিয়ে ভিলা বাড়িতে মুরগী পালন করে। সাইজে একটু বড় এবং মাংসও খেতেও ফ্রেশ। পাকিস্তানি মুরগীর মতো দেখতে হলেও মাংসের স্বাদটা বাংলাদেশি মুরগীর মতোই। আর এটাকেই এখানে সবাই ( প্রবাসি বাঙালিরা ) দেশি মুরগী বলে। আমি উত্তর দেয়ার আগেই রেজা বলে, হ কাটেন চাইরটা মুরগী। পিস বড় বড় করবেন। আজকে হলো কী রেজার, এতো খোলা হাত ওর !



ঘুরে ঘুরে লিস্টে লিখে রাখা জিনিস কেনা ছাড়াও সবজি, লেবু, করলা এসবও কেনা হলো। করলা আমার খেতে ভালো লাগে না। কিন্তু যে দোকান থেকে করলা কেনা হয়েছে সে লোকটা বললো -



এক কেজি নিয়া যান ভাবী। এক্কেবারে ফ্রেশ, কালকার বিমানেই দুই কার্টন আনাইলাম। রেজাও দেখলাম বেশি দামাদামি না করে নিয়ে নিলো হাফ কিলো করলা। তারপর মাছের দোকান থেকে গিয়ে শিং মাছ, স্যামন মাছের বড় চার পিস টুকরা, এক কিলো লাল কুচো চিংড়ি। চিংড়ি মাছের ভর্তা আবার ওর খুব প্রিয়। সব কেনাকাটা শেষ করতে করতে ঘড়ির কাঁটা দেড়টা পেরিয়েছে। বাংলাদেশে ফোন করার কলিং কার্ড আর কেনা হয় না। বাসায় ফেরার পথে দুজনেই এতো ক্লান্ত ছিলাম যে গাড়িতে খুব একটা কথা হয় না আমাদের। বরং ঘরে ফিরে রান্নাবান্নার যে একটা চাপে পড়তে হবে এই চিন্তাতেই আমি ডুবে থাকি। ফেরার পথে তেমন একটা ট্র্যাফিকে পড়তে হয় না বলে বিশ কি পঁচিশ মিনিটেই বাসায় পৌঁছে যাই। রেজা বাজারগুলো গুছিয়ে রাখতে সাহায্য করলো বলে ঝটপট ভাত, ধনে পাতা দিয়ে ডাল ভুনা আর কয়েক টুকরা ইলিশ মাছ ভেজে আমরা দুপুরের খাবারটা সেরে নেই। এখানে ধনে পাতা আর টমেটো সারা বছর পাওয়া যায়। খাওয়া শেষ করতে করতে রেজা জানায় গরুর মগজ আর শিং মাছটা ডিপ ফ্রিজে না রেখে ও আলাদা বক্সে করে বাইরেই রেখেছে। আজকের রাতের রান্নাটা ও করবে। ওকে রান্না করতে দিলে সমস্যা একটাই, পুরো রান্না ঘর ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ করে। পরে আমাকেই আবার সেসব গোছাতে হয়। তাই ওকে বললাম -



- আমাকে তুমি পেয়াজটা কেটে দিও আর মাছটা পরিষ্কার করে দিও লবণ দিয়ে কয়েকবার হালকা করে কচলে। আমিই রান্না করবো।



- কেন আমার রান্না মজা লাগে না তোমার ? যেন খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো। আমি হাসতে হাসতে বলি -



- পারলে তোমাকে দিয়েই রোজ রাঁধাতাম। নিজের রান্না খেতে ভালো লাগে না আমার। তুমি যে মাঝে মাঝে রাঁধো , আমার তো ভালোই লাগে। টেস্ট চেঞ্জ হয়। দেখো না ঐদিন বেশি বেশি খাই ! আমার কথা শুনে ও খুশী হয়।



খাওয়াদাওয়ার পর আমার শরীরে একটা ঘুমের আবেশ চলে আসে আবার। ফ্রেশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে রান্নাঘরের সাথে লাগোয়া বারান্দাটাতে গিয়ে একবার দাঁড়াই। আমার এই বারান্দাটা দিয়ে যতদূর চোখ যায় সে পর্যন্ত মনে হয় পাহাড়ই বেশি।আকাশটা ঐ পাশটায় কেমন মেঘলা দেখাচ্ছে। হয়তো বৃষ্টি হবে। সূর্যাস্তের সময় এই বারান্দায় দাঁড়ালে মনটাই ভালো হয়ে যায়। টবের গাছগুলোর দিকে এক মুহূর্তের জন্য চোখ পড়লে ভাবি রাতে একবার পানি দিবো। মাঝে একবার বৃষ্টি হলো বলে পানি দেয়া হয়নি। রান্নাঘরের দরজাটা আটকে শোবার ঘরে চলে আসি। এর মাঝেই দেখি রেজা ঘরের লাইট অফ করে, বারান্দার দরজাটা খুলে শাটার আটকে দিয়েছে। দিনের বেলা ঘুমের সময়ে এরকম অন্ধকার অন্ধকার ভাবটা খুব ভালো লাগে। বিছানায় শোয়ার পরেই রেজা আমার কাছে একটু ঘেঁষে এসে শুলো। ওর রকম-সকম ভালো ঠেকছে না। কানের কাছে ও মুখ এনে বললো -

- এখন বৃষ্টি হলে ভালো হতো তাই না?



- বৃষ্টি হলেই কী আর না হলেই কী, বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমাতে পারলেই না ভালো হতো। মাত্র খেয়ে আসছি, পেটের উপর থেকে হাত সরাও। দম বন্ধ লাগে। ওর হাতটা সরিয়ে দিলেও ও একটু পড়েই আবার হাতটা পেটে রাখে। আমি আর কিছু বলি না। জানি এখন ও আমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটাবে। কিন্তু খেয়ে এসেই শোয়ার সাথে সাথে এসব ঘনিষ্ঠতা ভালো লাগে না আমার। ও আমাকে টেনে ওর দিকে মুখ করে শোয়ায়। বলে -



- কালকে থেকে আমারে তুমি অনেক কষ্ট দিছো, দূরে দূরে থাকছো। কাছে আসো এখন । ও আরও একটু ঘনিষ্ঠ হয় আমার। বুকের কাছটায় মুখ রেখে বলে, কাপড় খোলো।



উফ্‌ কী ধরণের ভাষা এগুলো। রোমান্সের ভাষা এমন হয় কখনো ! ফিলিংস চলে যায় এসব শুনলে। এতই যদি বোঝো রোমান্সের ভাষা তাহলে দাও না নিজের স্বামীকে শিখিয়ে, গজগজ করে কেউ একজন বলে ওঠে আমাকে। কী বললে রেজা, আমি তোমাকে কাল কষ্ট দিয়েছি?



- আরেহ্‌ না আমি এইটা বলতে চাই নাই, মানে তোমারে কাল অনেক মিস করছি। অহন আসো তো কাছে বলে সে আমাকে অধিকার করে নিতে চায়, হামলে পড়ে গলায়, ঘাড়ে চুমু খেতে খেতে আমাকে আরও কাছে টানতে চায়। গাঢ় স্বরে বলে, তুমি খালি দূরে দূরে থাকতে চাও। বাইরে থেইকা ঘুরাইয়া আনলাম, নাস্তা বানাইয়া খাওয়াইলাম আর তুমি তোমারে ধরতে দিতে চাও না, একটা চুমা দিতে চাও না। রেজার কথা শুনে আমার চোখে পানি চলে আসতে চায়। ঘরটা অন্ধকার বলে আমার ভেজা চোখটা ও দেখতে পায় না। সেক্সের বিনিময় মূল্য চোখে আঙুল দিয়ে ও তাহলে দেখিয়ে দিলো ! ও কী নির্বোধ না সেয়ানা মানুষ আমি দ্বিধান্বিত হই।ওর এই ধরণের আচরণগুলো আমাকে সময়ে সময়ে অসাড় করে রেখেছে, ও কী কখনোই বুঝবে না। তুমি তো জানোই তোমার স্বামীটা মোটা দাগের মানুষ, সুক্ষ্ম আবেগের ধারাটা সে বোঝে না বা বুঝলেও সে ধরেই নিয়েছে এ ধরণের আবেগের স্থান সিনেমা, বইয়ের পাতায়। মেনে নাও নাহলে তাকে নিজের মতো করে গড়ে নাও। তিনটা বছর তো অভিমান করে করেই পার করে দিলে। কবে যে আমার নিজের সাথে নিজের কথোপকথন শেষ হবে ! বাবা-মায়ের উপরে অভিমান ঘনিয়ে আসে।তাদের ঘাড়ে চেপে ছিলাম কী যে এভাবে গ্র্যাজুয়েট একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলো, একমাত্র যোগ্যতা মনে হয় এই যে, রেজার অনেক টাকা আছে। জীবনে কী টাকাই সব ?



চলবে

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মায়াবী ছায়া বলেছেন: সুন্দর, ভাল লাগলো আপু ।
ভাল থাকুন ।।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মায়াবী ছায়া

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আজকের পর্বটা প্রাণবন্ত লেগেছে ~

মানসিক দূরত্বের জন্য সঙ্গীর সাথে ব্যাক্তিত্বের ফারাকটা একটা বড় ফ্যাক্ট !
নুহা পড়তে গেলেই এমন মনে হয় !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানসিক দূরত্ব কাটিয়ে ওঠাটা প্রত্যেকটা সুস্থ সম্পর্কের জন্য জরুরী।
ভালো থেকো অভি

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

শ্যামল জাহির বলেছেন: ক্ষেত্রবিশেষে টাকার প্রয়োজন যদিও; প্রেম-সততাই মুখ্য। তাছাড়া দাম্পত্য জীবন বলে কথা!
রেজা নির্বোধ না সেয়ানা সম্পূর্ণ স্পষ্ট হতে নুহা'র সাথেই আছি।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহা'র সাথে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জাহির ভাই।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'টেরমিনি' কি, মধ্যকার কোন জায়গার নাম?

নুহার অপরাধবোধ অন্য একটা মাত্রা এনে দিচ্ছে। একেবারে নিখুঁত বেটার হাফের মত কাজ- স্বামীর দোষ ধরার আগে নিজের দোষ ধরছে!

দেখা যাক, সামনে কি আসে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: 'টেরমিনি' রোম শহরের একটা জায়গার নাম। ওখানে মানুষ ট এর উচ্চারন ত এর মতো করে। তাই 'টেরমিনি' বানান লেখা হলেও তারা উচ্চারন করে তারমিনি।

অন্যের দোষ ধরার আগে বা সাথেসাথে নিজের কমতির দিকে আমাদেরও উচিত খেয়াল করা।

ধন্যবাদ শঙ্কু সময় দেয়ার জন্য।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

বোকামানুষ বলেছেন: একটু একটু করে নুহা আর রেজার সম্পর্কের জট খুলতে শুরু করেছে ভাল লাগলো পড়তে

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ বোকামানুষ পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: বৈদেশে ঘর-গেরস্থালি আর বাজার পর্ব :-B


রোমান্সের ভাষা! রোমা'র লোকেরা এই ভাষা জানে না :| :-*


খ্যাক খ্যাক :P

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাইসেন না রোমান্সের ভাষা শুইন্যা ! B-) ইডা রেজার বহুত স্মার্ট ভাষা ! :P

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

নীল কথন বলেছেন: চুল ছিঁড়তেছি, তুমিও আসতে পার সাহায্য করতে। নেট বুড়ো মানুষে অনুসরন করায় আমি আগেও পড়তে এসে পড়তে পারিনি। আজ যখন নেট দেখি সতেজ, সাথে সাথে সব ওয়ার্ডে নিয়ে সন্ধ্যা থেকেই পড়া শুরু করলাম (মাঝে খাওয়ার বিরতি ছিল) । আসলে কয়েকমাস পর উপন্যাস পড়া শুরু করলাম, এমন একটা ফিলিংস কাজ করছিল। মূলত সাবলীল লেখাই টেনে নিয়েছে আমায়। কিন্তু একি!!!! অতৃপ্ত আমি। আমার পুরো লেখা চাই। মনের ভিতর উস্কোখুস্কো বিরাজ করছে :(

==
অফটফিক:
আশা করনি আমার মন্তব্যখানি। যদিও আমার মন্তব্য ঝাঁঝালো না, চুলচেরা বিশ্লেষণের ধারে কাছেও যায় না। শক্তিশালী পাঠক আমি নই। তবে তোমার প্রতিটা লেখা যা প্রকাশিত এবং আমি জানা, সব পড়া এবং পড়া হয়। হয়ত একটু আগে বা পরে কিংবা চুপিসারে।
সতত ভালো থেকো, আমার জন্য অফুরন্ত দোয়া করো।

-শাওন

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অজপাড়া গাঁ টে যে তুই নেট চালাতে পারতাছিস এটাই তো বড় কথা। তোর মাথার যে ক'গাছি চুল আছে সেটা না হয় থাকুক, তোর নাতিপুতিরা ছিঁড়বে সে আশায় রেখে দিলাম।

তুই তো এ ব্লগে বেশি আসিস না, যাও আসিস আমার লেখা পড়তে সে আমি জানি। তোর সহজ সরল মন্তব্যও আমাকে অনেক আনন্দই দিয়েছে। ভেবে ভালো লাগছে তুই ওয়ার্ডে কপি করে নুহা টা পড়েছিস জেনে।

তুইও ভালো থাকিস। দোয়া থাকবে তোর জন্য।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

নীল কথন বলেছেন: লেখাটাতে তোমার একেবারের গহীনে জমে থাকা একটা চরিত্র খুঁজে পেয়েছি। হয়ত এই চরিত্রটা জানার অপেক্ষায় ছিলাম। :) কখনো জিজ্ঞাসা করা হয়নি বা সাহস হয়নি।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখা আর লেখককে মিলালে প্রায়শই আমাদের হতাশ হতে হয়, এটা আশা করি বুঝবি। আমাদের গল্প , কবিতায় সত্য অংশের চেয়ে কল্পনা জায়গা করে আছে অনেকাংশে। সেখানে দুঃখের পাশাপাশি আনন্দময় জীবনে অবগাহনের ইচ্ছেটাই ধরা দেয় তীব্রতায়। কিছু ফ্যামিলির সাথে মিশে ছিলাম সেখানে খুব ক্লোজ ভাবে, যা এখন কাজে দিচ্ছে খুব।

গহীন ভাবনার প্রতিফলিত রূপ দেখে যে তোর প্রতিক্রিয়া সেটা জেনে ভালো লাগছে খুব।

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: নুহা কি রেজাকে ভালবাসতে পেরেছে? রেজার কথা জিজ্ঞেস করলাম না, ওর মধ্যে এই বোধটা আছে কিনা এইটা প্রশ্ন হইতে পারে।

* রোমান্সের ভাষা শট পড়লে মামুন ভাইয়ের কাছ থেকে নিতে পার, উতল হাওয়ায় উনি চল্লিশে যা দিসেন, তিরিশের মানুষজন অবাক!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ১৩ পর্ব পর্যন্ত পড়ে কী বুঝতে পেরেছ নুহার ভালোবাসার ধরণ সম্পর্কে ? শেষ পর্যন্ত গেল এহয়ত তোমার প্রশ্নের উত্তর মিলবে।

রোমান্সের ভাষা যে কী জটিল হতে পারে মামুন ভাইয়ের উতল হাওয়া পড়লেই বোঝা যায় ! হাহহাহা

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: লেখা পড়ার সময় প্রতিটি পর্বেই আমার মনে হয়েছে উপন্যাসের লেখিকা নিজেই "নুহা" চরিত্রে অভিনয় করছেন। অথবা অন্যভাবে বলা যাই, নুহাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি।
"কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ" উপন্যাসে লেখিকা সুস্মিতা নিজের জীবন থেকে তুলে এনেছেন একজন কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ চরিত্র। এখন আপাতত এই বইটি ও "নুহা" ছাড়া অন্যকিছু পড়া হচ্ছেনা। এমনকি "মিনতি লতা" ধারাবাহিক লেখার কাজে দিয়েছি সাময়িক বিরতি। কেননা এই বইটির ওপর একটি রিভিউ সামুতে দেয়ার ইচ্ছেটাও রয়েছে।

অপর্ণা,
আপনি পাঠককে নিয়ে যেতে পেরেছেন নুহা ও রেজার সামনে। আপনার লেখা পড়ার মধ্য দিয়ে যেন দেখতে পারছি ইউরোপিয়ান লাইফে "নুহা" র দাম্পত্য জীবনের খুটিনাটি, সেখানকার পরিবেশ, ইত্যাদি ইত্যাদি।

এগিয়ে চলুক "নুহা।"

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যে কোনও চরিত্র নিয়ে লম্বা সময় ধরে কাজ করলে কিংবা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের সাথে মিশে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। আমি নুহার চরিত্র টা সত্যিকার অর্থে উপভোগ করছি।

কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ -- আমার পড়া হয়নি। আসলে উপন্যাস পড়ার ধৈর্য টা আগের চেয়ে অনেকাংশেই কমে গেছে আমার, যা দুঃখজনক নিজের জন্য।

ধারাবাহিক গল্প লেখায় বিরতি দিলে পাঠের আর লেখার দুটো ফ্লো ই কমে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই বলবো আপনার ধারাবাহিক সিরিজ আপনি লিখে চলুন শামীম ভাই। আমি সময় করে বাকী পর্ব গুলো পড়ে ফেলব।

আপনার মন্তব্যে সত্যিই খুশী হলাম। ভালো থাকবেন।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

গল্পের মাঝে ফিরে এলাম মনে হল চলুক

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক আছে চলতে থাকুক

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

মামুন রশিদ বলেছেন: আহা হা হা, সবাই অন্য রকম বুঝে নিচ্ছে কেন :-*


আমি বুঝাতে চেয়েছি, 'রোমা' র লোকেদের ভাষার নাম বুঝি 'রোমান্স' ভাষা ;) :P



** রোমা > রোম> ইতালি

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হেহহেহেহে মামুন ভাই , আমি বা ইফতি ঠিকটাই বুঝে নিছি। আপনার উতল হাওয়ার প্রশংসাই করছি, বেশি ভালো লাগছে মধ্য বয়সের প্রেম আর রোমান্স। B-)

রোমার প্রেমও ভাই মহান, শুধু রেজার ভাষাটাই, আর এপ্রোচ টা সুললিত না :P

১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

বোকামন বলেছেন:

গল্পটা খুব উপভোগ করছি
সাধারণত সিরিজ আকারে গল্প(খন্ড খন্ড অংশ) এভাবে খুব একটা পড়া হয়নি ব্লগে। “নুহা” গল্পটি পড়ছি ... দৈনন্দিন জীবনের হালকা তবে অনেক ভালোলাগার কিছু অনুভূতি এবং পরিপক্ক আবেগ -আপনার লেখনীতে দারুণভাবেই ফুটে উঠছে ...

শুভকামনা রইলো প্রিয় লেখক :-)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রিয় লেখক বিশেষণ টা ভালো লাগা দিলো অনেক।

ভালো থাকবেন ভাইয়া

১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

অদৃশ্য বলেছেন:





এই পর্বের শুরুর দিকটা খুবই ইন্টারেষ্টিং ছিলো... আমিও ওদের সাথে সাথে বাজার করতে থাকলাম আর মজার মজার আলাপ করতে থাকলাম... মাঝখান থেকে ক্ষুধা পেয়ে গেলো আমার আর আমিও আপনার লিখাটি পাঠের পরই লাঞ্চ সেরে এসেছি...

কথা হলো এই মজার সময়টা যখন উপভোগ করছিলাম তখনই রেজাটা বাগড়া দিয়ে দিলো...তাই ক্ষেতে যাবার সময় বারবার মনে প্রশ্ন আশছিলো... ক্ষুধা নিয়ে!

এই পর্বটা শুরু থেকে শেষ, চমৎকার ফিনিশ...

শুভকামনা...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলেই রেজা ভালো ভালো মুহূর্ত গুলোতে বাগড়া বাঁধাচ্ছে। ওকে থামাতে হবে দেখছি। এ পর্বটা ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।

শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

আমি জুয়েল বলেছেন: বেশ ভাল লাগল, আজকে অনেকদিন পর একসাথে অনেকগুলো পর্ব পড়লাম। রেজা চরিত্রটা বেশ ভিলেনের মত, কিন্তু খুব বাস্তব। নূহা অনেক সংবেদনশীল এবং একটু বেশী লজিকাল যা হয়ত এইরকম একজন গৃহবধুর জন্য ভিন্ন মাত্রা নিয়ে এসেছে।

দেখি সামনে কি হয়..

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সংবেদনশীলতা লুকিয়ে রাখা বড্ড কঠিন ব্যাপার ! সময়ে অসময়ে সামনে এসে পীড়া দেয়।
আপনি এই সিরিজটা পড়েন, জেনে ভালো লাগলো

১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: পড়লাম। কী বলবো।

লেখক যা-ই বলুন, এবারের পর্বে নুহাকে কিন্তু অনেক পরিচিত মনে হচ্ছে।

এভাবেই অনেক পরিবার চলছে। চলবেও। এ ব্যতিক্রম সার্বজনীন না হলেও স্বাভাবিক।

অনেক শুভেচ্ছা :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি তো চেনা পরিচিত গণ্ডি নিয়েই লিখছি, যা জীবনেরই অংশ, দৈনন্দিন জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দিনলিপির মতো করে বলা যাওয়া।

আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাইয়া

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: রেজার রোমান্সের ধরনটাও খারাপ না, ধর-মার-কাট টাইপের ডাইরেক্ট একশন আর কি! :P

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধর-মার-কাট :P

১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

স্বপনচারিণী বলেছেন: টোনা-টুনির বাজার ভালই লাগলো। কিন্তু একটু পরেই যে মূল্য দিতে হল!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বিরক্ত হয়েও নুহা পড়তে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন।

১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

আমি ইহতিব বলেছেন: রেজা কি compensation এর চেষ্টায় আছে? নিজের অপরাধবোধকে ছাপিয়ে নূহাকে এভাবে ভুলাতে চাইছে কি?

স্বামী- স্ত্রীর মানিসক দূরত্বের করুণ চিত্র দারুনভাবে তুলে ধরেছেন রেজা ও নূহার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে। এই মানসিক দুরত্ব নিয়ে কত মেয়ে যে হাসিমুখে জীবন পার করে দেয়!!! এমন চিত্র আমাদের মা -খালাদের আমলে মনে হয় বেশী দেখা যেতো। আজকের যুগের নূহার মধ্যেও এমন বৈশিষ্ট্য দেখে অবাক হচ্ছি।

নূহা ১৪ চলে এসেছে দেখলাম। ঐদিকে দৌড় লাগালাম :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহাও কিন্তু এমনটাই ভেবেছে রেজা ওর মনোযোগ ঘোরাবার জন্য সকালের নাস্তা, বাজার করতে যাওয়া, ঘরের কাজে হেল্প করার মতো টুকটাক কাজ গুলো করেছে।

মানসিক দূরত্ব থাকার পরেও মা - খালারা সংসার করেছেন ব্যাপারটা সেরকম নয়, এখনো কি আমরা বা আশেপাশের অনেকেই করছি না নানাবিধ কারণে ?

ভালো থাকবেন আপু

২০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

ভিয়েনাস বলেছেন: অফলাইনে পড়ে গেছি।
সাথে আছি দি :)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভিয়েনাস

২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
হুমম, প্রথম দিকে তো রেজাকে একটু ভাল লাগছিল, কিন্তু শেষে এসে সেই ভিলেন রূপ :(

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেচার কে , কে জানে ? নুহা না রেজা !!! :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.