নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেডিজ ক্লাব

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

কৃষ্ণনগরের মতো একটা মফঃস্বলে কেউ হয়তো কখনো একটি লেডিজ ক্লাবের কথা আমার আগে ভাবেইনি। শুধু এখানে কেন, এখান থেকে পনেরো- বিশ কিলোমিটারের দূরত্বে আমাদের যে জেলা শহর যশোর তার আশেপাশের এলাকা কাজীপারা,ঘোপ, চৌরাস্তা, পুরাতন কসবা, ওখানকার কেউই মনে হয় কখনো ভাবেনি আমাদের জন্যও একটা ক্লাবের দরকার আছে। ওখানে তো শিল্প-সাহিত্যের চর্চা আর কম হয় না, খেলাধূলা, শিক্ষাদীক্ষায়ও সেখানকার মানুষ পিছিয়ে নেই।তাহলে আমাদের মেয়েদের নিয়ে সুস্থ আলোচনা, খেলাধূলার বিকাশ, কুটিরশিল্প, রান্না ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে কেউ যে কেন ভাবেনি কে জানে ! না হলে স্থানীয় যারা প্রভাবশালী আছেন কিংবা নিজেদের উদারমনা বলে পরিচয় দেন, তারাইবা কেন ভাবলন না আমাদের কথা। এমনিতে নিজেদের স্বার্থে তারা বক্তৃতা দেয়ার সময় তো আর খাটো বক্তৃতা দেন না। আমার এমনিতে সমস্যা নেই কসবা যুবসংঘে গিয়ে আড্ডা দিতে কিন্তু কোনও মেয়ের উপস্থিতি সেই ক্লাবের সদস্যরা হজম করতে পারবে কিনা সেটাও কথা। আমি বেশ কয়েক বছর ধরেই ভাবছি, আমাদের জন্যও একটা আড্ডা দেয়ার জায়গা দরকার, একেবারে স্থায়ী জায়গা, যেখানে সময় কাটিয়ে মন ভালো করা যাবে, দেশের সাম্প্রতিক ব্যাপারে আমাদের যে একটা মতামত আছে, ভাবনা আছে, তা প্রকাশের জন্য একটা খোলা জায়গা চাই। না, ওরকম কোনও চিন্তাই আমার নেই যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদে আমার জায়গা নিতে হবে, নির্বাচনে অংশ নিতে হবে বা মহীয়সী কোনও নারীতেও পরিণত হবো। বলা যায় এটা স্রেফ একটা নিঃশ্বাস নেয়ার জায়গা হতে পারে একঘেয়েমি কাটাবার জন্য।





এই পরিকল্পনাকে গত তিন বছর আগেও যেমন আমার বাস্তবে রূপ দেবার ইচ্ছে ছিল, এখনো আছে। কিন্তু তখন কলেজের প্রথম বর্ষে পড়াশুনা নিয়ে খাবি খাবার কারণে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামতে পারিনি। না হলে এতদিনে আমাদের ক্লাবের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপিত হতো এবং সভাপতি, উদ্যোক্তা, কর্মী যাই বলি না কেন, নিশ্চিত আমার নামটা থাকতো প্রথম সারিতে। কিন্তু দিনরাত মায়ের এক ঘ্যানঘ্যানানি -



" মানুষের জীবনে পড়ালেখার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো ম্যাট্রিক আর ইন্টারমিডিয়েট। আল্লাহ আল্লাহ করে ম্যাট্রিক পার করেছ, এখন বাকীটাও শেষ করে , কোন চুলায় যাবে যাও।"



কেন যে মায়েরা সারাক্ষণ এতো বিরক্ত হয়ে সন্তানের সাথে কথা বলে কে জানে! একটা কথাও যদি মা আমার সাথে ভালো করে বলতো! এই কারণেই তো লেডিজ ক্লাবের চিন্তা মাথায় এসেছিলো। না হলে ঘর ছেড়ে কে চায় এতো আড্ডা দিতে, বাইরে টো টো করে ঘুরতে। মানুষ যদিও স্কুল-কলেজে যায়, বিভিন্ন পরীক্ষা পাশের সনদও অর্জন করে, কিন্তু মানসিক ভাবে সত্যিকারই উদার হতে পারে কয়জন! আমাদের কলেজের একেক জন স্যার ম্যাডামদের কথাই বলি না কেন, তারা সবাই কতো ডিগ্রিধারী, অমুক তমুক কিন্তু যখন তখনই শাকিলা ম্যাডাম বলেন -



" আচ্ছা কলেজ ছুটির পর তোমরা এতো হাসাহাসি করতে করতে গেট দিয়ে বের হও কেন? বাড়ি যাবার পথে এতো গল্প গুজব কিসের তোমাদের শুনি। আজেবাজে ছেলেরা কলেজের বাইরে আড্ডা দেয়, দেখো না? মাথায় ঘোমটা দিয়ে চলবে এবং মাথা নিচু করে হাঁটবে। সারাক্ষণ তোমাদের এতো কীসের আড্ডা? "



তাজ্জব হয়ে যাই তার কথা শুনলে। যেখানে ম্যাডামই এভাবে চিন্তা করেন সে তুলনায় আমার মায়ের প্যানপ্যানানি খুব একটা অপরাধের পর্যায়ে মনে হয় পড়ে না। তবে ম্যাডামকে তো আর মায়ের মতো ঝারি মারা যায় না। মাথায় ঘোমটা দেবার কথা নিয়ে অনায়াসেই অনেক তর্ক আমি জুড়ে দিতে পারতাম কিন্তু সব জায়গায় তো আর মুখ খুলে আলোচনা করা যায় না। জন্মেছি তো বঙ্গদেশে, তাও আবার মফঃস্বলে। হাহ্‌ । তবে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে এখনডিগ্রীতে পড়ছি, এবার তো নিশ্চয়ই হাবিজাবি, উরাধুরা ব্যাপারে ভাবা যাবে নাকি, মা ?



আমার কথার উত্তর দিতে মা আগ্রহী না হলেও আমি আমার পুরনো ডায়েরিটা নিয়ে বসি যেখানে ক্লাব গঠনের কিছু নিয়মকানুন লিখে রেখেছিলাম। ইদানীং সেসব চিন্তাভাবনার বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিতে চাই লেডিজ ক্লাব নিয়ে। যে ক্লাবটা দুনিয়াতেই এলো না এখনো, তাকে আলোর মুখ দেখানো আমার জন্য বলা যায় রীতিমত ফরজ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।





" ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলাম -

১। সভাপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে এবং বিনা বাক্য ব্যয়ে সেটা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে সকল সদস্যকে



২। বিভাগ অনুযায়ী যাকে যা দায়িত্ব দেয়া হবে সেটা সুচারুভাবে সম্পন্ন করার মানসিকতা থাকতে হবে এবং কেউ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে আগেই নোটিশ লিখে বোর্ডে টানিয়ে দিতে হবে



৩।প্রতি তিন মাস পর পর সদস্যদের দায়িত্ব সাইকেলিং হবে একে অন্যের সাথে বদলে নেয়ার মাধ্যমে। এতে সবাই সব দায়িত্ব পালনে সমানভাবে দক্ষ হবার সুযোগ পাবে



কিছু জিনিস কেনাও জরুরী। যেমন- হোয়াইট বোর্ড, মার্কার, ডাস্টার, একটা নোটিশ বোর্ড, পিন, হাজিরা খাতা, চেয়ার টেবিল। আর কি কি জানি ধুর ছাই মনে পড়ছে না এখন। পরে মনে হলে লিখে রাখবো নে।"




বিগত ক'বছরে ডায়েরিতে আমার আর হাতই পরেনি। হয়তো এ কারণেই আমাদের ক্লাবটা এতদিনেও দাঁড়াতে পারেনি। প্ল্যান করে না আগালে কী কোনও কিছু হয়? আমার ছোট ভাইটা অনীক সবসময় বলে - আপা তুমি বেশি বেশি প্ল্যান করবে না তো। একেবারে ধর তক্তা মার পেরেক হয়ে যাও।



- হুম আমার তো আর খেয়ে কাজ নেই। প্ল্যান ছাড়া কাজে নামি আর সব ভণ্ডুল হয়ে যাক আর কি। তুই চুপ থাক তো ভাই !



ক্লাব করতে গেলে কোনও প্রশাসনিক নিয়ম আছে কিনা কে জানে। পরে কেউ যদি এসে বলে -এহ ভারী তো এসেছে ক্লাব বানাতে। যাও ভাগো এখান থেকে। কিন্তু ভাগতে বললেই কী আর ভাগা যায়! আর ক্লাব বানানো কী এতোই সোজা? আমাদের এই কলোনিতে তে তো একটাও পারিবারিক মিলনায়তন নেই। কোনও বাড়ির নিচ তলার পুরোটা যদি পেয়ে যেতাম কতো ভালোই না হতো কিংবা নিদেন পক্ষে একটা রুম। আমার বান্ধবী সাদিয়ার বাবা জেলা প্রশাসক। কোনও কলোনিতে কিংবা কলোনির বাইরে এভাবে ক্লাব বানাতে গেলে কোনও নিয়মনীতির প্রয়োজন আছে কিনা নিশ্চয়ই উনি এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্যকরতে পারবেন। মা'কে যদি বলি মা একটা ঘর আমাদের জন্য ছেড়ে দাও, উনি তেড়ে আসবেন নির্ঘাত। কলোনির তরু আপাকে বলেছিলাম কয়েকদিন আগে-



- আপা, আসেন আমরা মেয়েরা মেয়েরা মিলে একটা ক্লাব বানাই।

উনি তো আমার কথা শুনে চোখ কপালে তুলে ফেললেন। কী যে বলো না নীতু! তোমার ভাই আমাকে ধরে আছাড় মারবে।



- এখন কী মারুফ ভাই আপনাকে আছাড় মারছে না?এই যে সারাদিন বাসায় একা একা থাকেন, বের হন না বাইরে, আপনার কি দম বন্ধ লাগে না? সময় কাটান কী করে আপনি?



- সময় কাটে কিন্তু সবসময় ভালো ভাবে কাটে না। এই যেমন ধরো, ঘরের কাজকর্ম শেষ হলে সেলাই নিয়ে বসি। তখন সময়টা তো কেটে যায়।



- আচ্ছা খুব ভালো কথা। মনে করেন আপনার এই সূচি কর্মটা দিয়েই যদি আপনি কিছু টাকা আয় করতে পারেন সেটা ভালো হয় না?মনে করেন আমরা কোনও কুটিরশিল্প মেলার আয়োজন করলাম, সেখানে আপনার এই সেলাই ফোঁড়াইও থাকলো, আরও নতুন অর্ডার পেলেন এই এমন আর কি।



- আসলে কী করতে চাও তুমি ?



- তরু আপা, ভুল বললেন। আমি কি করতে চাই এটা ঠিক না। বলেন " আমরা কি করতে চাই"। এই মনে করেন আমি, আপনি, এই কলোনির আরও অনেকেই আছেন আমার, আপনার বয়সী বা তার চেয়েও বয়সে বড় কেউ আছেন। এই ক্লাবে শুধু যে কলোনি কেন্দ্রিকই সদস্য হবে সেটা নয়, কলেজে আমাদের বন্ধু-বান্ধবী আছে না? ওরাও আসবে। এজন্য আমাদের একটা স্থায়ী ঠিকানা বানাতে হবে। তাই ভাবছিলাম আমরা কয়েকজন মিলে যদি একটা ক্লাব বানাতে পারতাম, ভালো হতো। কাজও হতো, বিশ্রাম আর আড্ডা সবই হতো।



আমার কথা শুনে তরু আপা আশান্বিত হতে হতেও কেমন দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যান। বলেন - আচ্ছা দেখি তোমার ভাইকে জিজ্ঞেস করে। সারাদিন ঘরে থাকতে কিন্তু আমারও ভালো লাগে না, নীতু।



আমি বললাম - ভাবেন। তরু আপা ভাবতে থাকুক, স্বপ্ন দেখতে থাকুক। আর আমার কাজ হচ্ছে স্বপ্নের বীজ একটু একটু করে বুনে দেয়া, তার যত্নআত্তি করা। একটা ক্লাব বানাতে কী বড় কারো সাহায্য নেবো, বুদ্ধি পরামর্শ? ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। কিন্তু আমিও কী বড় হইনি? বয়স আমার ইতিমধ্যে আঠারো পেরিয়ে উনিশে। আর কতো বড় হবো !



আমি আমার ভাবনা একে একে আমাদের কলোনির বীথি, সেলিনা,মনি, ছন্দা আপা, পারুল আপা, কাকলী, পূজা আপা, সুপ্তি, মিমি সবার সাথেই শেয়ার করি। এর মাঝে পারুল আপা মেজাজ খারাপ করা কথা শোনালেন।



- নীতু, তুমি এইসব বলতে আইসো না। ঐদিন তুমি যা যা বলছো, আমার শাশুড়ি পাশের ঘর থেকে সব শুইনা ফালাইছে।



- তো সমস্যা কী। খালাম্মাও আমাদের ক্লাবে যাবেন। উনি তো বিকেলে এমনিতেও বাসার সামনে হাঁটাহাঁটি করেন মানিক ভাইয়ের আম্মার সাথে।



- তুমি বিয়া শাদী করো নাই।সংসারের ঝুট ঝামেলা বুঝনের বয়স তোমার হয় নাই। শাশুড়ি লইয়া যখন খাইতে হইবো তখন বুঝবা। আমারে কইছে এইসব কেলাবে কুলাবে গেলে ফরিদপুরে বাপের বাড়ি পাঠাইয়া দিবো।



- এজন্যই তো বলি ঘর থেকে একটু বের হতে শিখেন, আলো বাতাসে হাঁটেন। ভয় পান কেন?আপনি আপনার শাশুড়িকে বুঝিয়ে বলেন, উনাকেও নিয়ে আসেন। উনি এসে দেখুক, আমরা তো কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে ক্লাব খুলতে চাইনি।



- থাউক ভাই, আমারে তোমরা বাদ দেও।



- উফফ পারুল আপা ! আপনি না ! কাঁদবেন না তো ! আপনি না এসএসসি পাশ করেছেন, নিরক্ষর তো না।



উনি নাক টেনে ফোত ফোত শব্দ করে কাঁদেন। আমার বাপ মায় আমার জীবনডা জ্বালাইয়া দিলো এইখানে বিয়া দিয়া। তোমার ভাইও কি কম নাকি? এই দোষ হেই দোষ! আল্লাহ আমারে উঠাইয়া নেও তুমি। আমি বিরক্ত হয়ে চলে আসি পারুল আপাদের বাসা থেকে। সংসার আর মরণ - এর বাইরে কি মেয়েরা বিয়ে হবার পর ভাবতে পারে না? তবে হাল ছেড়ে দেই না এতো সহজেই। জানি পারুল আপাও একদিন আমাদের সাথে ক্লাবে যোগ দেবেন। আমার ভাই অনীকটারও পেট পাতলা। ওর বন্ধু রবিনকে বলে দিয়েছে আমার পরিকল্পনার কথা। বিকেলগুলোতে নিচে ক্রিকেট খেলতে নামে ওদের বয়সী ছেলেগুলো।রবিনটা বেশি ফিচেল, গতকাল দেখা হতেই জিজ্ঞেস করলো –



নীতু আপা, ক্লাবের মেম্বার যোগাড় করতে পারলেন ? না পারলে বলবেন কিন্তু আমরাই মেম্বার হয়ে যাবো। পাশ থেকে জনি উত্তর দেয় -



আরে নাহ্‌। ক্লাবের নাম লেডিজ ক্লাব, জেন্টস আর নট এলাউড! তাই না নীতু আপা?



আমি কটমটিয়ে অনীকের দিকে তাকাই।বুঝিয়ে দেই বাসায় আয় তারপর তোকে বানাবো। আমি জানি গত কিছুদিনে পুরো কলোনিতে আমার এই ক্লাব বানাবার পরিকল্পনা কোনও না কোনও ভাবে চাউর হয়েছে। সেটা সমস্যা না, লুকিয়ে চুরিয়ে তো আর কিছু করার ইচ্ছে ছিলোও না আমার। মেজাজটা খারাপ লাগে তখনই যখন কেউ টিটকারি মেরে কথা বলে, ভাবে ছেলেখেলা খেলতে নেমেছি। সবাই যে একেবারে হতাশাজনক কথা বলে তাও না। কাকলী যেমন খুব এক্সাইটেড হয়েছিলো শুনে, বলেছিলো দোস্তো, আমি তোর সাথে আছি। কেউ আসলে আসুক না আসলে নাই। মা'কে বললে মা একটা রুম দিতে রাজি হবে। ঐ যে বৈঠকখানা যেটা, ওইটা।



- তোর ভাই পারমিশন না দিলে তখন?আমি চিন্তিত হয়েই বলি অনেকটা।



- আরে মানিক ভাই কোনও সমস্যা না। ভাইয়াকে আমি বলেছি।



- তোর ভাই তো এখন ক্লাব করার পারমিশন দিবেই। খালু মারা যাবার পর তো তুই খালাম্মার সাথেই এক রুমে থাকিস। ড্রয়িং রুমটা তোদের খালিই পড়ে থাকে। মানিক ভাই কয়দিন পর বিয়েশাদী করলে তো আমাদের এখান থেকে ভাগিয়ে দিবে। তখন ?



আমার মুখে মানিক ভাইয়ের বিয়ের কথা শুনে কাকলী মিটমিটিয়ে হাসলো শুধু। আচ্ছা তুই শুধু শুধু এতো টেনশন করিসনা তো। কে কে সদস্য হতে রাজি আছে, লিস্ট করে ফেল। ভাইয়া বলেছে অফিস থেকে কম্পিউটারে ফর্ম আকারে কাগজ প্রিন্ট করে দিবে। কিন্তু মনিকে আমার পছন্দ না।



আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি, সে কী, কেন ?



- আর বলিস না। হিংসুটি মেয়ে একটা। আইডিয়া দিলি তুই আর কলেজে সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে এই ক্লাবের সভাপতি সে হবে। এসব শুনে ইচ্ছে করছিলো ওকে একটা চড় লাগাই। ওর বাপ বড় পোস্টে চাকরী করে বলে ওকে কি মাথায় উঠিয়ে রাখতে হবে নাকি।ফাজিল একটা

আমারও শুনে রাগ হয়ে যায় মনির উপরে, কারণ এই লেডিজ ক্লাবের আইডিয়া নাকি ওর! বলে কী ! কিন্তু তাই বলে তো আর ওকে সদস্য করা থেকে বিরত রাখতে পারি না। তবে আমাদের পাশের বিল্ডিং এর ছন্দা আপা খুব স্পোর্টিভ , সাথে উনার বর মাহিন ভাইও। রাতে খেতে বসে ভেবেছিলাম আমার আব্বার কাছেও কয়টা কথা শুনতে হবে ক্লাব নিয়ে কারণ মা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আব্বার কান ভারী করেছে এসব বলে বলে! মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে। ওর বিয়ের ব্যবস্থা করো। আরও কতো কি ! প্রায়ই এসব বলে। এখন শুনে শুনে আমারও মুখস্থ হয়ে গেছে।



আব্বার প্লেটে ভাত তুলে দিতে গিয়ে মা জানায় - শুনেছ, তোমার মেয়ে তো কৃষ্ণনগরের নারীদের নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। কি জানি ক্লাব খুলবে। সময় থাকতে মেয়েকে বোঝাও।



- সমস্যা কী?খুলুক না। তুমিও গিয়ে যোগ দাও। আমার সংসারের ঘানি টানতে টানতে না তুমি বুড়ি হয়ে যাচ্ছ? তুমিও একটা লুডু কিনে ক্লাবে গিফট করো। তারপর মানিকের মা, তরুর শাশুড়ি উনাদের সাথে গিয়ে দু একদান লুডু খেলে এসো। সময় ভালো কাটবে। হাহহাহা। আব্বার কাছে মা পাত্তা না পেয়ে অকারণেই অনীককে ধমকে বলে -



- সবজির বাটিটা দূরে সরালি কেন?তিন বেলা খালি রোজ রোজ মাংস খেতেই ভালো লাগে না? বলতে বলতে মা দুই চামচ সবজি ভাজি অনীকের প্লেটে তুলে দেয়। মায়ের অবস্থা দেখে আমি মুখ টিপে টিপে হাসি বলে রেগে গজগজ করতে করতে মা বলে- বেশি বাড়িস না। কপালে তো শান্তি নাই তোর বুঝাই যায়

-আহ নীতুর মা, খেতে বসে এসব কী শুরু করলা। খাও তো। তোমার ভালো না লাগলে তুমি যেও না ওদের ক্লাবে। লুডু যাও তোমার গিফট করা লাগবে না। আব্বার খোঁচায় মা আরও জ্বলে ওঠে, বলে –হুম আমার কথা ভালো লাগে না কারোই। যার যেভাবে খুশী সে মতো চলো গে যাও।



রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ ক্লাব নিয়ে অনেক কিছু ভাবতে ভালোই লাগে আমার । রান্না, বুটিক, খেলাধুলা, ফ্যাশন ইত্যাদি নানান বিভাগ করে অল্প পরিসরে আমরা চাইলে আগাতে পারি।বিভিন্ন উপলক্ষ্য ধরে মেলার আয়োজন করতে পারি। ভাবছি কাকলীকে সহ-সভাপতি বানাবো ক্লাবের। কিন্তু নিজে তো রান্নার কিছুই জানি না। মা তো এই কারণেই উঠতে বসতে বলে - শ্বশুর বাড়ি গেলে কপালে আমার দুঃখ আছে। আহা রান্নাবান্না শেখা আর পারার মাঝেই বুঝি খুব সুখ গচ্ছিত আছে! মায়ের যত অদ্ভুত অদ্ভুত সব কথা। আমি রান্না না হয় নাই ই পারলাম কিন্তু রান্নার একজিবিশন হলে শুধু যে পিঠা পুলির আয়োজনই আমরা করবো সেরকম ভাবার কোনও কারণ নেই। দেশীয় খাবার বিশেষ করে আমাদের এখানে বিভিন্ন জেলার মানুষ থাকে, তারা যদি তাদের এলাকার স্পেশাল খাবার গুলো রান্না করে কতো ভালোই না হবে। আসলে আমাদের অন্তঃপুরে থাকা মা, বোন, খালা, চাচীদের অনেক গুনই আছে কিন্তু সুযোগ, ভাবতে শেখা, সাহস আর সংঘবদ্ধতার অভাবে তাদের ইচ্ছেটাই মরে যায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে। চর্চার অভাবে অনেক গুনই হারিয়ে যায়। তাদেরকে একত্র করতে পারলেই আমাদের এ মিশনে আমরা একধাপ এগিয়ে যাবো। জানি শুরুটা করা কষ্ট হবে, তাদের ভেতরের আড় এতো সহজেই ভাঙবে না, অনেকেই টিপ্পনী কাটবে।আর কাটলেই কি, পরে তারাও ঠিক আসবে, জানি আমি।ক্লাব নিয়ে নানান রঙিন ভাবনায় বুঁদ হয়ে থাকার কারণে বিছানায় শোবার অনেক সময় পরেও আমার চোখে ঘুম আসে না। নারীবাদ বলে যে কথাটা প্রায়শই শোনা যায় সেরকম ব্যাপার মোটেও আমার মাঝে কাজ করে না। আর যদি কাজই করতো তাহলে নিশ্চয়ই কাকলীর মানিক ভাইয়ের সহযোগিতা নিতে রাজি হতাম না। মানিক ভাই মানুষটা একটু গম্ভীর। উনার সামনে কথা বলতে গেলে কেমন যেন একটু নার্ভাস হয়ে যাই। উনি যখন জিজ্ঞেস করলেন –



তোমাদের ক্লাবের জন্য একটা রেজিস্ট্রেশন ফর্ম বানানো দরকার, যেখান থেকে পরে আরও অনেক কপি প্রিন্ট হবে। ক্লাবের নাম ঠিক করেছ?



আমি উত্তর দেয়ার আগেই কাকলী বলেছিলো - ভাইয়া এটা আবার তোর জিজ্ঞেস করতে হবে? কেন তোকে আগে বলেছিলাম না আমাদের ক্লাবের নাম " লেডিজ ক্লাব"? মানিক ভাই কাকলীর চেয়ে বয়সে আট বছরের বড় হলেও কাকলী তুই তুই করেই উনাকে সম্বোধন করে। ছোটবেলায় নাকি খালুর কাছে পিটুনি খেয়েও কাকলীর এই স্বভাব যায়নি।



- হুম বলেছিলি কিন্তু পরে তো তোদের সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারে। যা বলার তাড়াতাড়ি বল, সকালে অফিসে গিয়ে তোদের কাজটা করে ফেলবো। কাল একটু কাজের চাপ কম আছে।



মানিক ভাই তার বাবার সুবাদেই চাকরীটা পেয়ে গেছেন খালু মারা যাবার পর।ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর পরই বিআইডিসিতে উনার চাকরীটা হয়ে যায়, যে কারণে উনার বয়স কম হলেও মুখে একটা গাম্ভীর্য লেগে থাকে সবসময় নাকি ইচ্ছে করে গম্ভীর হবার ভাব নেয় কে জানে।

কই নীতু, বলো ক্লাবের নাম এটাই রাখবে শেষ পর্যন্ত?



- কেন ভাইয়া এই নামে সমস্যা ?



- ঠিক সমস্যা না। বয়েজ ক্লাব হতে পারলে লেডিজ ক্লাব কেন হতে পারবে না? কিন্তু নামটা শুনলে কেমন লুতুপুতু ধরণের একটা ভাব আসে। তোমার ক্লাবের নামটা কেন " স্বপ্ন" দিচ্ছো না ?



- ভাইয়া স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে তো ক্লাবই দিচ্ছি। আর নারীদের নিয়ে এমনিতেই মানুষ দুর্বল ধরণের ভাবনা ভাবে।কিন্তু নারীরা সব দিক দিয়ে দুর্বল না এটা মাঝে মাঝে প্রকাশের প্রয়োজন আছে।যে যা খুশী ভাবুক, আমাদের ক্লাবের নাম আমরা এটাই দিবো।



আমার কথা শুনে মানিক ভাই মিটিমিটি হেসে মাথা নাড়ান। বলেন - আচ্ছা, তাই হবে। আমি একটা খসড়া করে কাকলীকে দিয়ে দিবো। তোমরা বসে ঠিক করে নিও কী করবে কিংবা আরও কোনও কিছু যোগ করবে কিনা রেজিস্ট্রেশন ফর্মে দেখে জানিও।



ক্লাব নিয়ে আরও অনেক কথাই এলোমেলো ভাবে ভাবি। ভাবতে ভাবতে কোনও এক সময় ঘুমিয়ে পড়ি। মনের মাঝে একটা ভালো লাগার আবেশ কাজ করতে থাকে। এর মাঝেই একদিন কাকলী এসে হাতে এক গাদাপ্রিন্ট করা কাগজ ধরিয়ে দেয়। কী এগুলো?



- পড়েই দেখ। কাকলীর হাসি হাসি মুখ দেখে আমিও হাতে নিয়ে কাগজে চোখ বুলাই।আমার হাসিতে, চোখে মুখে একরাশ আলোর আভা কাজ করে যায়।



- আমাদের ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ! আমি খুশীতে কাকলীকে জড়িয়ে ধরি।



এর পরের কাজগুলো খুব যে দ্রুতগতিতে হয়েছিলো সে রকম নয় যদিও। তবুও কলেজ আর কলোনি মিলিয়ে ক্লাবের জন্য মোট সাতাশ জন সদস্য আমাদের হয়ে যায়। অবশেষে তরু আপাও সদস্য হন কিন্তু উনার শর্ত ছিলো এটাই যে উনি ক্লাবে আসবেন না, বাসায় থেকেই যতটা একাত্ম হওয়া যায় তাই থাকবেন। তবে আমার সংসারী মা ফাঁকে ফাঁকে আমাকে মনে করিয়ে দিতে ভুলতো না সামনে আমার কলেজের ইয়ার ফাইনাল, রেজাল্ট খারাপ হলে বিয়ে দিয়ে দিবে। মায়ের কথাকে বেশি পাত্তা দেবার কিছু নেই ভেবে আমি আর কাকলী আমাদের ক্লাব রুমের সাজ সজ্জার দিকে মনোযোগী হই।





সামনের মাসের এক তারিখে আমাদের ক্লাবের উদ্বোধন, হাতে আছে আর মাত্র দুই সপ্তাহ। জানালা আর দরজায় ঝোলাবার জন্য পর্দার কাপড় কিনতে হবে। সদস্যদের বসার জন্য গোটা কয়েক চেয়ার, একটা টেবিল, ফুলদানী আর হালকা নাস্তার আয়োজন সব মিলিয়ে কতো টাকা খরচ হবে এ বিষয় নিয়ে দুজনে ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে ভাবি। তবে উদ্বোধনিতে খাবারের ব্যাপার নিয়ে ছন্দা আপা জানালেন দুশ্চিন্তার কিছু নেই, খাবারের দায়িত্ব উনি নেবেন।সেলিনার বাবা চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেবেন আর আমার বাবা বলেছে টেবিল আমাদের ক্লাবের জন্য উনি উপহারস্বরূপ দিবেন। আমাদের কলোনির পূজা আপা হাতের কাজ খুব সুন্দর জানেন, উনি বলেছেন টেবিল ক্লথে নকশা তুলে দিবেন। আমার আর কাকলীর জমানো টাকা দিয়ে একদিন বিকেলে শহরে গিয়ে আমরা পর্দা, দরজা আর টেবিল ক্লথের কাপড় কিনে আনলাম। আমার রাগী রাগী,সংসার নিয়ে বিচক্ষণ ভাবনার মা’ও একদিন সেই পর্দা, টেবিল ক্লথ সেলাই করে হাসি হাসি মুখে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো - এই নাও। দেখবো তো ক্লাবে তোমরা কোন মহৎ কাজটা করো।

মায়ের এই আদর করে করে রাগের ভঙ্গীতে কথা বলাটা আমার ভীষণ প্রিয়। ছোট ভাই পাশ থেকে বলে - এই আপু, তোমাদের ক্লাবের উদ্বোধনের দিনে কি আমাদের ছোট ছোট ছেলেদের দাওয়াত দিবানা ? আমরা তো তোমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী?



- হুম কচু। যখন আমাদের ক্লাব নিয়ে ভেঙাস তখন তো এসব মনে থাকে না, না ?যা এখান থেকে। ভাগ





কিছুটা হাসি-আনন্দ-কিছুটা শংকা আসন্ন উদ্বোধন নিয়ে -- এভাবেই সময় গুলো পার হচ্ছিলো। হাতে আর মাত্র দুদিন আছে। আমি আর কাকলী ভীষণ মাত্রায় উত্তেজিত এসব নিয়ে। কলোনির পুকুর পাড় ঘেঁষে কিছু ইট সুরকি রাখা, সেখানেই বিকেলে আমরা দুজন বসে ছিলাম। জেলা অফিস থেকে নাকি নির্দেশ এসেছে পুকুরের চারপাশে ইটের বাউন্ডারি দেয়া হবে যাতে আসছে বর্ষাকালে মাছেরা পুকুরের পানি উপচে ভেসে না যায়। সেই কতদিন ধরে ইট, সুরকী-বালি এভাবে পড়ে আছে। কবে কাজ ধরবে কে জানে!আরে বাদ দে এসব, শেষ পর্যন্ত আমাদের ক্লাবটা শুরুই হয়ে গেলো, কী বলিস কাকলী?



- হুম। হয়েই গেলো। দেখ তো নীতু, ঐছেলে গুলোকে চিনিস নাকি?ঐ যে দেখ কেমন বিশ্রী করে তাকাতে তাকাতে যাচ্ছে।কাকলীর কথা শুনে আমি ওর চোখের দৃষ্টি অনুসরণ করে আমাদের বাঁ পাশ ঘেঁষে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাওয়া ছেলেগুলোর দিকে তাকাই। এ কলোনিতে নতুন আসা রুমি আর রুবেলদের বাসার দিকে এগিয়ে যেতে দেখি। রুমি আর রুবেলদের বাসার পাশ ঘেঁষে আরেকটা বিকল্প রাস্তা আছে কলোনি থেকে বের হবার। আমাদের কলোনির শেষ মাথার দিকে ছোট একটা রাস্তা আছে, যার ওপাশে আরও গ্রাম আর কয়েকঘর ছিন্নমূল মানুষের বসবাস।ছেলেগুলোকে দেখে মোটেও ভালো ঘরের সন্তান মনে হয় না ওদের পোশাকআশাক আর সিগারেট ফোঁকার ধরণ দেখে।



- আরে বাদ দে। ইদানীং এসব ফালতু ছেলেদের আনাগোনা কলোনিতে বেড়ে গেছে। পেছন দিকের রাস্তাটা বন্ধ করলে এদের যাতায়াত এখান দিয়ে বন্ধ হয়ে যেতো। আমাদের কলোনিতে তো বড় ভাই গোছের কতজনেই আছে, উনাদের চোখে কী এসব পড়ে না? আশ্চর্য! বাইরের আজেবাজে ছেলেরা এসে কলোনির পরিবেশ কেমন নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যাই হোক কাকলী আজকে সন্ধ্যায় পূজা আপাদের বাসায় যেতে হবে বুঝলি? টেবিল ক্লথটা রেডি হলো কিনা খোঁজ নেয়া দরকার। আর পরশুদিন সকালেই গিয়ে " অর্কিড" থেকে ফুল কিনে আনতে হবে কিন্তু মনে রাখিস। পরশুদিন কলেজে যাবো ঠিকই কিন্তু ক্লাস করবো না – কাকলীকে বলি আমি । নানা গল্পে বিভোর হয়ে ছিলাম আমি আর ও। হঠাৎ সম্মিলিত হাসির শব্দে আমাদের আলোচনায় সাময়িক ছন্দপতন ঘটে। কানে আসে –



ঐ যে লিডাররা বইসা আছে দেখ। লেডিজ কেলাবের লিডার। মাইয়া মানুষ হইয়া কেলাব চালাইবো !



তাকিয়ে দেখি সেই ছেলেগুলো যারা একটু আগে এ পথ দিয়েই হেঁটে গিয়েছিলো। ওদের কথা শুনে গায়ে কেন যেন আগুন ধরে গেলো। পাশের ইট-সুরকীর স্তূপ থেকে আধা ভাঙা একটা ইট তুলে ওদের দিকে ছুড়ে মারি। কাকলীও মুহূর্তে আমার কাজে হতভম্ব হয়ে যায়। আরে আরে করিস কী! বলে কাকলী আমাকে নিবৃত্ত করতে চায়। ছেলেগুলোও ভীষণ অবাক হয়ে গেছে যেন। আহ্‌ নীতু থাম না। দেখ তো কতো বাজে ছেলে এরা, যদি কিছু করে।

- ওদের কিছু করার সাহস আছে নাকি, মেরে হাড় ভেঙে দিবো। ক্লাব নিয়ে খারাপ কথা বলে, কত্ত বড় সাহস !



- তাই বলে ওদের তুই মারবি?



- না মারলে শিক্ষা হবে নাকি?মেয়েদের নিয়ে টিজ করে ! আমার রাগে শরীর কাঁপছে এক সময় খেয়াল করি। ঐ বাজে ছেলে গুলো তো একটা উদাহরণ মাত্র। ওদের মতো মানুষেরাই আমাদের স্বপ্নের মাঝে এক তাল কালি ছড়াতেই আশেপাশে ঘুরঘুর করে আর যারা এরকম অদৃশ্য কালি অহরহ ছিটিয়ে বেড়াচ্ছে, আমাদেরই পরিচিত কোনও আত্মীয়- ভাই বা বন্ধু প্রয়োজনে তাদেরও আমি এভাবেই মারবো প্রয়োজন হলে।



বেলা পড়ে আসছে। আমার কিছুক্ষণআগের সেই বুনো রাগটাও চলে গেছে। একটা ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে। পরম যত্নে আমি আমাদের স্বপ্নের ক্লাবের উপর ঢালা কালিগুলো মুছে দিতে থাকি যা একদল হায়েনা কলুষিত করতে চেয়েছিলো।





সমাপ্ত



উৎসর্গ - স্বপ্ন দেখা মানুষদের জন্য



কৃতজ্ঞতা -- ৎঁৎঁৎঁ কে এই গল্পটা লেখার সময় খুব জ্বালিয়েছিলাম, যশোরের কয়েকটা জায়গার নাম এবং কিছু ব্যাপারে তথ্য নিতে। তাকে ধন্যবাদ

মন্তব্য ৮৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

টংকেশ্বরী বলেছেন: অপর্ণা , কাকতালীয় ভাবেই তোমার লেখাটাতে চোখ পড়লো। তোমার মতো করে ও আমি ও ভাবছি বেশ ক'দিন ধরে। একটাই পার্থক্য যে, আমি কেবল গৃহবধূদের নিয়েই ভাবছিলাম। কিন্তু, আমি ঠিক লিডার টাইপ নই, আর আমার কোন বন্ধুও নেই আমার সাথে এখন নানা কারনে। কিন্তু তুমি করো। কেউ তো করুক। কত যে জরুরী একটা উদ্যোগ এটা, কেন যে লোক বোঝে না। তুমি চট্টগ্রামে অথবা আমি তোমার ওখানে থাকলে খুব ভালো হতো। একসাথে কাজ করা যেত। শুভ কামনা ছোট্ট পরী।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা খুব ভালো লাগলো পড়ে। বিশেষ করে আপনার নিক টা। এর কোনও মানে আছে কি ? থাকলে জানাবেন।

আমি যদি ছোট্ট পরী হতাম কী মজাই না হতো! কিংবা নীতুর মতো উনিশে পড়া কেউ! আমিও লিডার টাইপের কেউ নই তবে লিডারশীপ দেয়ার কিংবা কোনও সংগঠন করার মানসিকতাটা ছিল। এই ইচ্ছে গুলো বাস্তবায়িত করার মতো সাহস ছোট বেলায় ছিল না যদিও।

খুব খুব ভালো থাকবেন। শুভকামনা আপনার জন্য

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: বাহ , নতুন আইডিয়া । এমন ক্লাব কিন্তু প্রতি পাড়া মহল্লায় হতে পারে ।

গল্প ভালো লেগেছে অপর্ণা আপু । জীবনের ছায়া ছিল

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আইডিয়া নতুন না যদিও। এরকম ভাবে অনেকেই অনেকবার ক্লাব করার কথা ভেবেছে। পশ্চিম বঙ্গে বোধ হয় এরকম ক্লাব আছেও, রেফারেন্স দিতে পারছি না অবশ্য।

ভালো থেকো সিফাত

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

বৃতি বলেছেন: আমার কাছে গল্প মনে হয়নি, মনে হল বাস্তব কোন চিত্র । বেশ ভাল লেগেছে । স্বপ্ন দেখা অব্যাহত থাকুক ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্বপ্ন নিয়েই পথ চলা। যা পারিনি সেটা স্বপ্নেই হয়তো এই কারণে আমরা সম্ভব করতে চাই

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

তেপান্তরের আমি বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: পরম যত্নে আমি আমাদের স্বপ্নের ক্লাবের উপর ঢালা কালিগুলো মুছে দিতে থাকি যা একদল হায়েনা কলুষিত করতে চেয়েছিলো।


গল্প ভালো লেগেছে । গল্পের পাশাপাশি স্বপ্নটাও অবাস্তব মনে হয়নি । পাড়ায়-মহল্লায় সত্যি এরকম ক্লাব করা যেতেই পারে । সেখানে মহিলারা আড্ডা দিবে, স্পোর্টস-রিক্রিয়েশন এর ব্যবস্থা থাকবে । নিজেদের সমস্যা-উন্নয়ন নিয়ে ভাববে ।

গল্পে ভালোলাগা ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এরকম ভাবা যেতে পারে তবে স্বপ্ন তো স্বপ্নই! কতটুকুই বা পূরণ হয় !

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ লাগলো।।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মুন

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

ঝিনুক ওয়াজিহা বলেছেন: কি সুন্দর আইডিয়া, কি সুন্দর গল্প। আমারও নীতুর মত করে কিছু করতে ইচ্ছে করে কিন্তু ভয় করে। আমি আসলেই একটা ভীতুর ডিম।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার একটা পোস্ট পড়েছি। খুব চিন্তা ভাবনা করেন আর টেনশন করেন। আশা করি এখন আর ততটা ভীতুর ডিম নেই আপনি। আপনিও পারবেন নীতুর মতো একটা সাহসী পদক্ষেপ নিতে । শুভকামনা ঝিনুক

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভিন্ন প্লট।
ভালো লাগলো পোস্ট।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

গোর্কি বলেছেন:
বৈরী পরিবেশে সাহসী উদ্যোগ কে স্যালুট। জীবনের এক যুগ বা পুরো ছেলেবেলাটাই কেটেছে যশোর শহরে। তাই যশোরের কথা পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম। শুভকামনা এবং ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: উদ্যোগ সাহসী নিঃসন্দেহে। তবে কাজে লাগানো টা কঠিন। যশোর আমি কখনো যাইনি তবে যাবার ইচ্ছে আছে।

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

কয়েস সামী বলেছেন: যদি এটা নিজেদের ক্লাব বানাবার কথা হয়ে থাকে তাহলে ঠিক আছে। গল্প হলে পাশ মার্ক দিতে পারছি না।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পতে খুব উচ্চাশা আমার নিজের ও ছিল না। তবে স্বপ্ন দেখানোটাই আমার কাছে মুখ্য ছিল।

১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক দিন ফাঁকিবাজি করার পর তোমার লেখা পড়লাম আপা। অনেক সহজ, সাবলীল আর স্বছন্দে এগিয়ে যাওয়া একটা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে দেখলাম যেন। পুরো ব্যাপারটা এতোটাই অনুভব করেছি যে নিজেকে মনে হচ্ছিল অনীক গোছের কেউ। কলোনির প্রতিটা চরিত্র যেন বাস্তবের প্রতিচ্ছবি কেউ উৎসাহ দেয়, কেউ সেই উৎসাহে জল ঢেলে দেয় আবার কেউ সেই জল মুছিয়ে দেয় পরম মমতায়। অনেক চমৎকার এই গল্পে অনেক গুলো প্লাস দিলাম। না পেলে সকল দ্বায় দায়িত্ব সামুর। ভালো থেকো আপা। অনেক শুভ কামনা রইল।


"মানুষের জীবনে পড়ালেখার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো ম্যাট্রিক আর ইন্টারমিডিয়েট। আল্লাহ আল্লাহ করে ম্যাট্রিক পার করেছ, এখন বাকীটাও শেষ করে , কোন চুলায় যাবে যাও।" আল্লাহর দুনিয়ায় কিছু ডাহা মিছা কথার মধ্যে এইডা একটা। এর মত ঠাডা পড়া মিছা কথা আমি আমার জীবনে শুনি নাই। প্রথমে এই দুইটার কথা কইব !! তারপর কইব একটা ভালো ইউনিতে ভর্তি না হইলে তো লাইফের পুরা পরিশ্রম বৃথা। তারপর ভার্সিটিতে ভালো রেজাল্ট না করলে তো .......... একটা ভালো চাকরি না করলে....... তারপর....... X( X( X( X( X( X(( X(( X(( X(( X((

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমিও ফাঁকিবাজি কমেন্ট করলাম।

জীবনে পড়াশুনা শেষ করে ভালো চাকরী বাকরির খোঁজ কর। স্বপ্ন দেখতে শিখ।

১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

ভাল লাগল আপু। দারুণ আইডিয়া।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন

১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪২

নস্টালজিক বলেছেন: ভাবনা, গল্প আর দৃশ্যকল্প-সব মিলে ভালো লাগলো!


শুভেচ্ছা, অপর্ণা!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১২

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অন্য মাত্রার একটা পোস্ট।

স্বপ্ন দেখা মানুষদের স্বপ্ন পূরণ হোক।

শুভেচ্ছা জানবেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্য

১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

স্বপনচারিণী বলেছেন: সবাই সাথে থাকলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে কতক্ষণ!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সেটাই - দশের লাঠি একের বোঝা

১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: প্রথমে ভাবলাম বাস্তব কিছু। পরে বুঝলাম গল্প। ভালো লাগল।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হলেও হতে পারতো ধরণের বাস্তব কিছু এটা

১৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: " মানুষের জীবনে পড়ালেখার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো ম্যাট্রিক আর ইন্টারমিডিয়েট। দারুণ সত্যি কথা।দুঃখের ব্যাপার দুটো পরীক্ষাই দিয়েছি সিক বেডে। তাই আর কোন চুলোয় যাবো।ঢাবির চুলোতে ঠাই হলো। :)
বরাবরের মতই দারুণ বর্ণনায় সাবলীল পাঠ্য । ভাল লাগলো। :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

১৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা খুব যে ভালো লাগলো তা বলা যাবে না। নারী জাগরণ, প্রতিবন্ধকতা, ঘুরে দাঁড়ানো- এসবের প্রকাশে গল্পের সৌকর্যের বদলে ডকুমেন্টারি স্টাইলের একরৈখিকতা প্রকাশ পেয়েছে বেশি। মোটামুটি লেগেছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ফেসবুকে যখন গল্পটা শেয়ার দিয়েছিলাম তখন সাথে এতাও লিখেছিলাম

" আজকাল লেখালেখি খুব একটা আসে না। তবুও ট্রাই করলাম লিখতে। গল্প নিয়ে কারো উচ্চাশা থাকলে হতাশ হতে হবে নির্ঘাত। খুব সাদামাটা একটা গল্প এই " লেডিজ ক্লাব " "

---- কি কারণে যেন মাথায় এমন একটা ভাবনা এলো। সাথে ঘোড়াশাল পলাশে যে কলোনি তে থাকতাম সেখানকার কিছু স্মৃতিও চলে এলো। সে ভাবনা থেকেই খুব দ্রুত কিছু লিখে ফেলা। লিখতে নিদারুন আলসেমি লাগে, তারচেয়েও বেশি লাগে এখন ভাবতে।

শুভেচ্ছা আপনাকে

১৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: মীনা কার্টুনের সিকুয়েল, মানে মীনা যখন বড় হল! :P (মীনা কিন্তু আমার খুব প্রিয় একটা চরিত্র!), একটা সুন্দর মেসেজ ক্যারী করছে, এই হিসেবে চমৎকার গল্প, কিন্তু নিছক গল্প হিসেবে একটু দূর্বল লেগেছে আমার! রিয়েলিটি আসে নাই, লেডিজ ক্লাব এতো সোজা না আমাদের দেশে, অইটা ঢাকা, চিটাগাং সহজে চিন্তা করা যায়, কোনো মফঃস্বলে না! লেডিজ ক্লাবের আইডিয়াটা চমৎকার! ক্যাম্পেইন হিসেবে বেশ কাজের হবে!

লেডিজ ক্লাব তার নাম নিয়েও বিপদে পড়বে, সাধারন মানুষের ধারনা লেডিস ক্লাবে বড়লোকের বউরা গিয়ে তাস পাশা শাড়ী গহনা খেলে! তার থেকে কোনো বাংলা নাম বেশী সুন্দর ছিল না?!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মীনা আমার ধারণা সবারই প্রিয় কার্টুন ! সবসময়ের জন্য প্রিয় ।

নিছক গল্প হিসাবে তো দুর্বল হবেই যেহেতু সিধা টাইপের ভাবনা আর চিন্তার ফসল এবং নীতুর বয়সটাও তাই। ঢাকা, চিটাগং এ করা সহজ কিনা জানি না তবে মফঃস্বলে বসেও এই চিন্তা করতে পারাটা সহজ ব্যাপার নয়। আর স্বপ্ন তো স্বপ্নই। স্বপ্নের বাস্তবায়ন না ঘটিয়ে শুধুমাত্র কল্পনায় ব্যাপারটাকে বিস্তৃত করা যেতো হয়তো বা কিন্তু লেখকের ভাবনা বলেও তো কথা। একদিন একটা ক্লাব বানিয়ে ফেললে মন্দ হয় না যদিও।

ক্লাবের নাম যাই ই হোক মানুষ ঐভাবেই বলবে " ঐ যে লেডিজদের ক্লাব ", কাব্যিক নামগুলো মাঠেই মারা যাবে।

সত্যি সত্যি ক্লাব দিলে তোমার থেকে নাম নিয়ে যাবো :P

২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

নেক্সাস বলেছেন: পরম যত্নে আমি আমাদের স্বপ্নের ক্লাবের উপর ঢালা কালিগুলো মুছে দিতে থাকি যা একদল হায়েনা কলুষিত করতে চেয়েছিলো

উপসংহার টা সুন্দর লেগেছে।

গল্পের কিছু বিষয় কেস ষ্টাডির মত মনে হয়েছে।

ৎৎৎ সাথে একমত নানা ঐতিহাসিক কারনে লেডিজ ক্লাব বিষ্যটার প্রতি মানুষের এলার্জী আছে।

লেডিজ ক্লাব না দিয়ে মনোরমা সংহতি/সংঘ/সভা দিতে পারেন

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নেক্সাস

২১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখার যে একটা সাবলীলতা আছে, সেটা সত্যি উপভোগ্য আপু। বিশেষ করে আমার কাছে সব সময় মনে হয়, ব্লগে আমরা সচারচর যে প্যাটার্নের ছোট গল্পগুলো পড়ি আপনার গল্পের ধারাটা তার থেকে বেশ খানিকটা আলাদা।

আমার কাছে লেডিস ক্লাব নামটা শুনে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। মনে হচ্ছিল কোন রহস্য গল্প পড়ব। পরে তো দেখা গেল এটা একটা সাধারন ইচ্ছের গল্প।

ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা রইল।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইচ্ছে টা সাধারন হলেও নীতুর স্বপ্নটা অনেক বিশাল ওর কাছে।

আমিও ভেবেছিলাম ইন্টারেস্টিং কিছু লিখবো কিন্তু লিখতে গিয়ে খুঁজে পেলাম না কি লেখা যায়! তাই একটা স্বপ্ন বুনে দিলাম।

তুমিও ভালো থেকো ভাইয়া

২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “তুমি বিয়া শাদী করো নাই।সংসারের ঝুট ঝামেলা বুঝনের বয়স তোমার হয় নাই। শাশুড়ি লইয়া যখন খাইতে হইবো তখন বুঝবা। আমারে কইছে এইসব কেলাবে কুলাবে গেলে ফরিদপুরে বাপের বাড়ি পাঠাইয়া দিবো।” -হাহাহা


দারুন! লেডিস কেলাবের আইডিয়াটি চমৎকার। তবে ঠিক মতো ঠিল ছুড়তে হবে....ওদের দিকে ;)

কিন্তু, আমাদের মায়েরা আর শাকিলা ম্যাডামেরাই প্রতিপক্ষ হিসেবে যথেষ্ট ;)

লেখাটি অনেকের জন্য প্রেরণা হতে পারে...

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমরা আমাদের চেনা গণ্ডির বাইরে তেমন একটা পা রাখতে চাই না আর শাকিলা ম্যাডাম, ঘরের মানুষ এর মতো অনেকেই আশেপাশে অহরহ ঘুরছে।

লেখাটা প্রেরণাদায়ক হলেও আইডিয়া টা নতুন নয়। পুরনোই বলা চলে :)

ভালো থাকবেন ভাইয়া

২৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

আসল নাবিল বলেছেন: লেডিস ক্লাব নিয়ে আইডিয়া দারুন, ভালো লাগলো দিদি :) (Y)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ নাবিল। ব্লগে তোমার আইডি আছে জানা ছিল না। দেখে ভালো লাগলো

২৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: স্বপ্ন দেখা চলতে থাকুক !

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম চলুক

২৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
অনেক ভালো লাগল,

শুভকামনা রইল!!!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও ভাইয়া শুভকামনা

২৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: আইডিয়া সুন্দর। ভাল লাগল।


শুভকামনা রইল লেখালেখিতে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

খাটাস বলেছেন: সামাজিক জাল ভাঙার এক অদম্য ইচ্ছার গল্প, অন্য রকম অনুপ্রেরনা ছিল গল্পে ।। নিজের মা বোনের কথা মনে হচ্ছিল, মা তো পরিবার দেখছেই অনেক দিন থেকে, ছোট বোন টার সকুল আর কোচিং ছাড়া বের হউয়ার তেমন জায়গা নেই। স্বপ্ন কে মেরে ফেলার এক অদৃশ্য সাধনা।অনেক নিতুর দরকার এদেশে। তবে আমি নারী অধিকারে বিশশাসি নই। অধিকারের কোন ভাগ নেই।
অনেক ভাল লাগা আপু।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নারী অধিকার কথা গুলো না পাওয়া থেকেই আসে হয়তো। তবে কাউকে জেন্ডারে ফেলার আগে মানুষ হিসেবে তার অধিকার ভাবতে শেখা উচিত।

আমাদের যেরকম বন্ধুবান্ধব আছে, ঘরে মা বা মায়ের বয়সী যারা তাদের ফেলে আসা বন্ধুদের কথা অনেকেই মনে করতে পারেন না। পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হয়ে যান সময়ের প্রয়োজনে। তাই নিঃশ্বাস নেয়াটা জরুরী।

ভালো থেকো

২৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,

লেখার ধরনটা বেশ সাদামাটা হলেও বেশকিছু সত্যের দেখা মিললো ।

....মানুষ যদিও স্কুল-কলেজে যায়, বিভিন্ন পরীক্ষা পাশের সনদও অর্জন করে, কিন্তু মানসিক ভাবে সত্যিকারই উদার হতে পারে কয়জন! আসলেই তাই । কাগজের কিছু ছাপ লেখা মানসিক প্রাচুর্য্যের আভাস দেয়না মোটেও ।

একটি স্বপ্নের কথা বলেছেন । নারী-জাগানীয়া । এটুকু অনেকেরই ভালো লাগবে । তবে ডায়েরীর প্রথম কথাটিতে অন্য গন্ধ । দেশটা না হয় মেয়েরাই চালাচ্ছে , জ্বালাচ্ছে ও ভীষন । আপনিও তার বাইরে যেতে পারলেন না ।
লিখেছেন - ...সভাপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে এবং বিনা বাক্য ব্যয়ে সেটা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে সকল সদস্যকে

এই যদি হয় ইচ্ছে তবে হা... আর খা... কি দোষ করেছে ? গনতন্ত্রকে কবর দিয়ে দিলেন ? :P

শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহহাহাহা ভাইয়া আমি কিন্তু খুব শান্তি প্রিয় মানুষ, কাউকে মোটেও জ্বালাতে পছন্দ করি না। ;) ভালো মতো দেখুন নীতু যে বয়সে ডায়েরি লিখেছে তার বয়স তখন কতো ছিল? মাধ্যমিক এর পর তার উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশুনা! তখন ভাবনার গভীরতা আর কেমনই বা হবে !

গণতন্ত্র কে আমরা জনগন বাঁচিয়েই রাখতে চাই কিন্তু ..

সুপ্রভাত ভাইয়া

২৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সভাপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে এবং বিনা বাক্য ব্যয়ে সেটা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে সকল সদস্যকে ।

-সরকার যদি এমন কথা বলেন, তাইলে তারে বলা হয় স্বৈরাচার। :(

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যে কোনও সংগঠনে একজন সভাপতি থাকা এবং সেটা চালাবার জন্য একটা নিয়ম থাকা জরুরী।

নীতুর ডায়েরি লেখা তো শেষ হয় নাই বা ছেড়ে দিয়েছিলো। তবে সংবিধান যেখানে সংশোধনযোগ্য হতে পারে সেখানে এ ক্লাবের নিয়মও তো তার ব্যতিক্রম নয়।

স্বৈরাচারী হওয়া ভালো না হোক সেটা ঘরে বা বাইরে :P

৩০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: বেশ ভালো লাগল... অনেক কিছুই নতুন করে শিখলাম। ধন্যবাদ :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শুকনোপাতা

৩১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: সকালেই পড়েছিলাম । চরিত্রের সাহস বেশ !! ফেমিনিজম জাইজ্ঞা উঠলো। এই প্রতিকুলতগুলোই আমগো মারলো। তবে সাহস সবার হয় না অবস্থাও থাকে না। নিতুকে সালাম জানিয়ে ভালা লাগা জানাই।
ইভস গার্ডেন নামে একটা লেখা শুরু করছিলাম। যদিও ফোকাস ভিন্ন। ক্লাব না নারী এবং কিছু মেন্টাল ডিস ওর্ডার। আবার ছায়াপথের রিপিটেশান হবে ভেবে ভাবনা টা জাক দিয়ে রেখে দিছি। এটা পড়ে লিখতে ইচ্ছে হলো।
ভালো থেকো লেখিকা

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইভস গার্ডেন টা আবার লেখা শুরু কর। এখন আরও মডিফাই হবে লিখতে গেলে। পড়ার অপেক্ষায় আছি। তোর নতুন লেখাটা মেইলে এখনো পাইনি কিন্তু

৩২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

টংকেশ্বরী বলেছেন: এটা কি গল্প??? আমি যে ভাবলাম সত্যি সত্যি!!!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জি আপু এটা গল্প ছিল। তবে নীতুর স্বপ্নটা কিন্তু সত্য যা আমারও স্বপ্ন ছিল

৩৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বাংলাদেশে ক্লাবগুলোতে যেভাবে ক্যারাম আর তাস খেলা চলে আপনার লেডিজ ক্লাবেও কি ওইগুলার বৈধতা দিবেন ? মাঝে মাঝে ক্লাবে আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে চা আর সিগারেট নিশ্চয় চলবে ?

আমাদের মাঝে মাঝে দাওয়াত দিয়েন :P


০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার লেডিজ ক্লাব কই পাইলেন ? :P
আর ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেটা ধূমপায়ীরাও জানে আর আপনি আসছেন ফাউ কথা বলতে X(

ক্লাব হলে দাওয়াত পাবেন, চেয়ার টেবিল দিয়ে যাইয়েন

৩৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমি তো প্রথমে সত্যিই ভেবেছিলাম, পরে গল্প দেখে কিছুটা হলেও দুঃখ পেলাম । চমৎকার লেগেছে আইডিয়াটা । শুভেচ্ছে জানবেন । :) :)

(উৎসর্গ গ্রহণ করা হলো)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে এলেন। তবে আইডিয়া টা পুরনো। শুভেচ্ছা বুঝে পেলাম

৩৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আইডিয়া হিসেবে গল্পটা দারূন, সাবলীল এবং ইন্সপাইরিং...।

মিনি সাইজের উপন্যাস হয়ে গেছে ।

স্বপ্নবাজ অভির অক্টোবরের কবিতা সংকলনে আপনার কমেন্টের
লিংকে আমার লেখাটিকে আপনার বেশি ভাল লেগেছে দেখে
শত টেনশান/দুঃখের মাঝেও আমার মনে এক পশলা বৃষ্টি আর
বৃষ্টিস্নাত আদ্র আকাশে সপ্তবর্ণ রংধনু সুখের আবেশ ছড়িয়েছিলো..!!

কিন্তু আমার লেখার আগ্রহে ভাটির টান এখন, কারন আমার
ওয়ার্ক প্লেস থেকে সামুতে ঢুকতেই পারছি না, এমনকি
আমি এর কারনটাও ঠিক ধরতে পারছি না..

মডারেশন প্যানেলে জানিয়েও উত্তর পেলাম না !
আপনার হাতে কিছু অবসর থকলে এর সম্ভ্যাব্য
কারন ও প্রতিকার মেইলে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো...।

[email protected]

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এটা মিনি সাইজের উপন্যাস!!! বলেন কী!!! B:-) আমার ব্লগ ঘুরে দেখলে এর চেয়েও বড় গল্প পাবেন।

লেখালেখি ভালবাসলে ভাটির টান আসার কথা নয়। কেননা লেখা যখন আপনার ভেতরে মাথা চাড়া দেবে না লিখে পারবেন না। সুতরাং টেনশনের কিছু নাই। ওয়ার্ক প্লেসে সবাই কি আমাদের মতো ব্লগিং এর আনন্দ পায়, সাথে ফাঁকিবাজিও ? :P

আপনার সমস্যাটার সমাধান আসলে আমি নিজেও জানি না। টেকি বিদ্যা আমার একটু কম। আর মাঝে ব্লগে সার্ভারের খুব প্রব্লেম গিয়েছে, সে কারণে বা সে সময়েই আপনার ব্লগে ঢুকতে প্রব্লেম হয়েছিলো কিনা বুঝতে পারছি না।

শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

৩৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৭

ভিয়েনাস বলেছেন: পড়ার সময় গল্প মনে হয়নি।ভেবেছিলাম বাস্তব ঘটনা। একটি লেডিস ক্লাব গড়ে তুলতে হলে আমাদের সমাজে নানা কাঠখড় পোড়াতে হবে।খুব সহজ ব্যাপার না।কিন্ত লেডিস ক্লাব আসলেই মেয়েদের জন্য বিনোদনের একটা বড় প্ল্যাটফর্ম হতে পারে :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই ধরণের ক্লাব হয়তো অহরহ চোখে পড়বে না। কিন্তু আমার একটা সময় ঘোড়াশাল কেটেছে। এরকম ক্লাব না হলেও পারিবারিক মিলনায়তন ছিল, যেখানে মহিলারা সময় কাটাত। তাও সেটা আরও সাতাশ আটাশ বছর আগের কথা বলছি। তবে সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা অতটা সরল নেই আর যদিও।

ভালো থেকো ভিয়েনাস

৩৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

অরুন চঞবওী বলেছেন: এ দেশের প্রেক্ষাপটে এটা খুবই কঠিন কাজ।জানেন তো মেয়েরা যেখানে,বদমায়েশ গুলি সেখানেই ভীর করে।মাকে নিয়ে খরাপ কথা বলতে নেই।মাকে জানতে হলে নিজেকে ভাল করে জানুন উওরটা পেয়ে যাবেন।আপনার ধারনাটা ভাল।তবে আমাদের সমাজটা তত ভাল নয়।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এ দেশের প্রেক্ষাপটের চেয়ে বলতে পারেন মফঃস্বলে এ ধরণের ক্লাব তৈরি সহজ নয়। মা'কে নিয়ে বলা খারাপ কথা কোথায় পেলেন বুঝলাম না! একটা গল্পে কতো ধরণের চরিত্রই থাকতে পারে।সুতরাং গভীরে অনুসন্ধান করে মতামত জানালেই ভালো হবে।

আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আমার কাছে কিন্তু অনেক ভাল লেগেছে আপনার এই গল্পটা। ইনফেক্ট আপনার বেস্টগুলোর মধ্যে একটা মনে হয়েছে।

কলোনির পারিবারিক জীবনকে খুব সাবলীল ও বাস্তব সম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সেই সাথে মায়ের সাথে, ভাই এর সাথে হিউমার গুলোও দূর্দান্ত ছিল। আর, মানিক ভাই এর সাথে একটা রহস্যময় অদৃশ্য সম্পর্কটাও বেশ উপভোগ করছিলাম, সেটা অসমাপ্তই থেকে গেল, কোন পরিনতিতে গড়ায়নি, এটাই ভাল হয়েছে; পাঠক অনেক কিছু কল্পনা করার সুযোগ পেল।

আপনার অন্য লেখার মত এই লেখাটা গম্ভীর অ রাশভারী ছিল না, বরং বেশ ঝরঝরে ও সাবলীল ছিল। তাই পড়া বেশ তড়তড়িয়ে এগিয়েছ।

শেষে এসে তো ভয় খাইলাম। গল্পের নায়িকারা এমন ঢীসুম ঢাসুম করলে ভই তো পাওয়ারই কথা ! :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গম্ভীর আর রাশভারী লেখা এখন চাইলেও আর বোধ হয় লিখতে পারবো না ভাইয়া। তবে কলোনির ব্যাপার লিখতে গিয়ে আমিও নস্টালজিক হয়েছিলাম। মিস করি মাঝে মাঝে সেসব দিন গুলো। আমার স্মৃতিতে আছে এক বছর সেখানে ছিলাম, ঘোড়াশাল। কিন্তু মা বলে তিন বছর ছিলাম। কলোনিতে সত্যিই একটা মানিক ভাই ছিল, অনেক হ্যান্ডসাম তবে উনি ছিলেন আমার আপাদের দিকে নজর দেয়ার বয়সী আর আমরা ছিলাম ক্লাস টু তে পড়ুয়া পুলাপাইন !!

ভালো থাকবেন ।

৩৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

বেঈমান আমি. বলেছেন: ইমাজিন...।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইমাজিন করা ভালোই!

৪০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

এরিস বলেছেন: লেডিজ ক্লাবের শানে নুযূল ভাল লেগেছে।
মেয়েদের ক্লাব করাটা কিছুটা কঠিন। ঝামেলাটা যতটা না সামাজিক, তার চেয়েও বেশি লেগে যায় নিজেদের মধ্যে। মণি মেয়েটার কথাই ভাবুন না, কেমন স্বার্থপরের মত আইডিয়া নিজের বলে বেড়াচ্ছে। নিতুর মতো মেয়ে না হলে মণিকে ক্লাবের সদস্যপদ দেয়ার আগেই ছাড়পত্র দিয়ে দিত।
ছেলেদের মতো তাস পেটা বা সিগার ক্যারম নিয়ে পড়ে থাকার চেয়ে ( সবক্ষেত্রে না!) লেডিজ ক্লাবের পরিকল্পনার ব্যাপারগুলো অনুপ্রেরনাদায়ক। শেষের দিকে বাজে ছেলেগুলোর মন্তব্যের জবাব এভাবে দেয়ায় খুব মজা পেয়েছি। অবশ্য ইট ছোঁড়ার চেয়েও বড় জবাব ছিল ক্লাবটা দাঁড় করানো।

ফিচেল শব্দটার মানে কি? আজই প্রথম শুনলাম।

আরেকটা প্রশ্নঃ মানিক ভাইয়ের সামনে গেলে নার্ভাস কেন? ঘটনা কি হে নিতু? ;)

সব কথার শেষ কথাঃ
যা করার বাইরে থেকে করবো। আমি কিন্তু ভাই ক্লাবে যেতে পারবো না!

প্লাস দিয়ে গেলাম।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকদিন পর তোমার পদচারনা!!! ইতিবাচক আর নেতিবাচক দুই ভাবেই বললাম কারণ তোমার উপর রেগে আছি।

যাই হোক, ইট ছুড়ে মারলেও ক্লাব গঠনের ব্যাপারটা, উদ্বোধন সব কিছুর তারিখ তো কনফার্মই হয়েছে। স্বার্থপর মানুষ আশেপাশে না থাকলে ভালো মানুষের সঙ্গ যে কতোটা স্বস্তির সেটা টের পাওয়া যায় না আসলে !!!

ফিচেল শব্দের মানে হচ্ছে -- দুষ্টু। এখানে এই অর্থেই বলা হয়েছে।

মানিক ভাইয়ের সামনে আসলে কেন যে নীতু নার্ভাস হয়ে যায় সেটাও একটা ভাবনার বিষয় :P

আচ্ছা ক্লাবের জন্য একজন মেম্বার পাওয়া গেলো , সে বাইরে থেকে থাকলেও খুশী হবারই কথা।

ভালো থেকো এরিস। অনেক অনেক শুভকামনা

৪১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আমাদের দেশে এটা কতটুকু অগ্রসর জানি না। তবে পশ্চিমবঙ্গে লেডিজ ক্লাব কিন্তু অনেক আগে থেকেই আছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুধু পশ্চিম বঙ্গে না , আমাদের দেশেও এ ধরণের ক্লাব আছে। এটা কিন্তু শুধু স্বপ্ন না, এসবের বাস্তবায়ন আমার মা, আমার খালা, বান্ধবীর মা উনারাও দেখেছেন এবং যুক্তও ছিলেন।

ধন্যবাদ ভাইয়া

৪২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অপর্ণা আপু, গল্পটা গল্প হিসেবে না পড়ে যদি নাটক হিসেবে টিভিতে দেখতাম তাহলে হয়ত বেশি ভাল লাগত। সত্যি কথা বলতে কি আসলে কাহিনীটা একই বৃত্তে আটকে থাকার কারনে পড়তে একটু বোরিং লেগেছে। গল্পের পরিসর কিছুটা সংক্ষিপ্ত হলে হয়ত এমনটা লাগত না। এটা অবশ্য আমার নিজস্ব মত। ভাল থাকুন আপু। :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার নিজস্ব মতামত খারাপ দাও নাই। তাহলে বোধ হয় আমি লিখতে পারতাছি না। তোমার মতো রেস্ট নেয়ার চিন্তায় যাওয়া দরকার নাজিম :(

তুমিও ভালো থাকো ভাইয়া

৪৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মেয়েদের জন্য ক্লাবের আসলেই খুব দরকার, কিন্তু আমাদের দেশে যেখানে ছেলেদের জন্যও সুস্থ বিনোদনের একান্তই অভাব, সেখানে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কথা বলাই বাহুল্য। পর্দাপ্রথা উত্তম-ধর্র্মীয় অনুশাসন, কিন্তু ধর্ম ও সমাজের নামে মেয়েদের মনকে বন্দী করে সংকুচিত করে রাখা মোটেই ইসলাম সমর্থন করে না। মেয়েদেরও নিজস্ব জীবন আছে, স্বপ্ন আছে, কেবল ভারবাহী প্রাণীর মত সংসারের ঘানি টেনে চলার নাম জীবন নয়। লেডিস ক্লাব- একটি সুন্দর স্বপ্নের নাম, সব মেয়েরা এই স্বপ্নের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠুক, নিজেদের ছোট ছোট আকাঙ্খার ডানা ছেটে না দিয়ে উড়তে শিখুক।

ভালো থাকবেন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তনিমা, অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে।

আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি ঠিকই বা স্বপ্ন দেখতেও অনেক সময় ভয় পাই নিজেই নিজের ভেতরে! সেই স্বপ্ন কে জাগিয়ে তোলাটাই আসল কথা।

ভালো থাকবেন।

৪৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

ইমতিয়াজ নিঠু বলেছেন: নুহা সিরিজের জন্য বারংবার এই ব্লগে ঢু মারি। অন্য লেখাগুলো তেমন পড়া হয়নি। আজ লেডিস ক্লাব নাম দেখে বড়ই আগ্রহ হল লেডিস ক্লাব সম্পর্কে জানার। গল্পটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল চোখের সামনে এক দুরন্ত কিশোরিকে দেখতে পাচ্ছিলাম কিভাবে সে তা্র লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করছিল, আসলে আমাদের সমাজে নারীদের অবসর কাটে টিভি সেটের সামনে। এমন ক্লাব যদি সত্যি থাকত তাহলে নারীরা তাদের জ্ঞান সমাজের কাজে আরও বেশি করে ব্যবহার করতে পারত। আমি একটি আবাসিক এলাকায় বড় হয়েছি যেখানে আমাদের ছেলেদের জন্য ক্লাব ছিল। যার ভিতর যেমন খেলার সরঞ্জাম থাকত তেমনি ছোট্ট পরিসরে পাঠাগার ছিল। তবে কোন মেয়েকে এই ক্লাবে কখনো আসতে দেখিনি। হয়ত অঘসিত নিষেধ ছিল। আমাদের এখানে কিছু রাশিয়ান থাকত ওরা ওদের মেয়েদের জন্য একটা ক্লাব বানিয়েছি যার বাহিরে ইংলিশে বড় করে লেখাছিল লেডিস ক্লাব, তবে তা শুধু ওদের জন্য আমাদের বাঙ্গালী মেয়েদের জন্য নয়। আসলে দেশের বিভিন্ন স্থানে মেয়েদের জন্য এমন ক্লাব হলে খুবি ভাল হয়। অহেতুক কথা বাড়ালাম আপনার লেখার জন্য শুভকামনা রইল। (আমার আবাসিক এলাকার নাম সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজ) আপনি যেহেতু নারায়ঙ্গঞ্জের হয়ত চেন্তে পারেন)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইমতিয়াজ, আপনার মতামত শুনে খুব ভালো লাগলো।

জ্বি আমি সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজ এর ঐ দিকটা চিনি । আগে লক্ষ্মী নারায়ণ মিলের ওদিকে বেশ খোলা মেলা জায়গা ছিল কলোনিতে, এখন কী অবস্থা জানি না। এরকম খোলা মেলা জায়গা নেই এখন। সব কমার্শিয়াল হয়ে গেছে। তাই ক্লাবের পরিসর আর সীমিত গণ্ডিতে নেই, ঢুকেছে নানাবিধ জটিলতা।

আপনাদের ক্লাব এখনো আছে? চলছে ? একদিন ঢু মেরে দেখে আসতে হবে মনে হচ্ছে। হাহহাহা

আমার নুহা সিরিজ দুই দিন পর পর দিতাম এবং মনে হতো অনেকেই বিরক্ত হতো রোজ রোজ এই নুহা দেখে। তাই আপাতত বন্ধ করে দিয়েছি। আপনি পড়েছেন, পড়তেন জেনে ভালো লাগলো।

শুভকামনা রইলো

৪৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

এক্স রে বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপু :-) :-) :-)

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.