নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।
এবার ফাইনাল পরীক্ষার আগে ক্লাস পার্টিতে গিয়ে একটু মন খারাপই হয়েছিলো আমার। আবির, ফুয়াদ, রুপম, অভিজিত সবাই পার্টিতে ব্লেজার পরে এসেছিলো। একমাত্র আমি বাদে। এমন না যে আমার ব্লেজার নেই। সুন্দর একটা ব্লেজার কদিন আগেই আম্মু আমাকে কিনে দিয়েছে। ব্ল্যাক কালার, তবে সেটা জ্যাকেটের সিস্টেমে। কিন্তু ক্লাস পার্টিতে পরে আসবো ঐ চিন্তা করে কিনি সেটা। পার্টির ছবিগুলো দেখলাম আমাদের অফিস রুমের নোটিশ বোর্ডে লাগানো হয়েছে। আমার ছবি গুলো খুব একটা হাসি খুশী আসেনি। আমি অফ হোয়াইট এর সাথে স্কাই স্ট্রাইপ শার্ট আর জিন্স পরে গিয়েছিলাম। ঐদিন ক্লাসের স্যার আর মিসেরাও আমাদের সাথে অনেক আনন্দ করেছিলো। খাওয়া দাওয়া, নাচ, কৌতুক বলা, ফাইনাল পরীক্ষা শেষে কে কোথায় বেড়াতে যাবো এসব প্ল্যান নিয়ে বেশ মজাই করেছিলাম আমরা। অভিজিতটা বারবার বলছিলো ," ফাইয়াজ তুই ব্লেজারটা পরে আসলেই পারতিস দোস্তো!" বারবার এক কথা শুনতে আমার মেজাজটা খারাপ লাগছিলো। কিন্তু ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছিলো না ওকে বলেছিলাম- বাদ দে তো ! আমার যেদিন পরীক্ষা শেষ হবে তার দুদিন পর বাবা আসবে ওন্টারিও থেকে। ঐ ব্লেজারটা আমি এয়ারপোর্টে পরে যাবো, এটা আর আমার ফ্রেন্ডদের বলিনি। বাবা ওখানে থাকলেও অনেকেই ওন্টারিও নামটা শুনলে চেনে না দেশটা কোথায়। তাই আমার বাবা কানাডা থাকে বলতে হয়।
আমি এবার ক্লাস ফোর থেকে ফাইভে উঠবো। বাবা জিজ্ঞেস করেছিলো আসার সময় কী নিয়ে আসবে নতুন ক্লাসে ওঠা উপলক্ষ্যে। কী কী চাইবো বলে যা ভেবে রেখেছিলাম,তার কিছুই আমি বাবাকে বলতে পারিনি। আমি প্রাণপণে মনে করার চেষ্টা করছিলাম আর আমতা আমতা করছিলাম। বাবা আমার অবস্থা দেখে ফোনের ওপাশে হাসছিলো। এরপর আমি ভেবেছি আমি এসব লিখে রাখবো কাগজে না হয় মোবাইলে এস এম এস করে দেবো। কিন্তু আমি জানি আমি না চাইলেও বাবা আমার পছন্দের জিনিসগুলো নিয়ে আসবে। সবচেয়ে ভালো হতো আমি ওখানে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখে শুনে কিনলে। বাবা বলেছে এবার দেশে আসলে আমাদের জন্য নাকি একটা সারপ্রাইজ আছে। কী সারপ্রাইজ ভাবতে গেলে আমার চিন্তাভাবনা এলোমেলো হয়ে যায়। আম্মুকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করতে গিয়ে বকা খেয়েছি যদিও। বলেছে - তোমার বাবাকেই জিজ্ঞেস করো না গিয়ে! সারপ্রাইজ যদি জেনেই যাই তাহলে এটা কী আর সারপ্রাইজ থাকলো, বাবা এমনটা বলেছে। আমার ধারণা এবার আমরা অনেক জায়গায় ঘুরতে যাবো। গত বছর আমরা মালয়শিয়া ঘুরতে গিয়েছিলাম। এবারো এমন হবে হয়তো কিংবা আমি বাবাকে বলেছিলাম সোনার গাঁ জাদুঘর, পানাম নগরীতে ঘুরতে যাবো, গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পিকনিক করবো, সেসবও হয়তো আমার জন্য সারপ্রাইজ হতে পারে। বাবা শীতের সময়টায়ই বাংলাদেশে বেড়াতে আসে কারণ ওদেশে নাকি খুব ঠাণ্ডা থাকে ডিসেম্বর মাসে। তাপমাত্রা মাইনাসে চলে যায়। এতো ঠাণ্ডা আর তুষারপাত নাকি হয় যা আমরা বাংলাদেশে থেকে কল্পনাই করতে পারবো না। নাহ্, আমি এতো কিছু ভাবতে পারছি না। ভাবতে গেলেই একটার উপর একটা ভাবনা চলে আসে, এলোমেলো লাগে সব। এমনিতেই কদিন ধরে রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না। আর একটা পরীক্ষা বাকি আছে আমার। ১৫ তারিখ পরীক্ষা শেষ হবে আর বাবা আসবে ১৭ তারিখ রাত নয়টার ফ্লাইটে। আমি, আম্মু আর ফুপি যাবো এয়ারপোর্টে বাবাকে আনতে।
ইদানীং ফুপি একটু বেশিই ক্ষেপাচ্ছে এই বলে যে, তোর বাবা আসবে বলে তুই যে পার্ট নিচ্ছিস, সেটা ছবি তুলে বাঁধিয়ে রাখার মতো জানিস? আর কারো বাবা যেন দেশে বেড়াতে আসে না। হুহ্! মিলি ফুপি এসব বলে আর আম্মুর সাথে মিটিমিটি হাসে। আমি এখন পোশাকআশাকে টিপটপ থাকি, বেশি বেশি পড়ি, ইংরেজিতে আমি এমনিতেই ভালো তবুও এটা ভালমতো প্র্যাকটিস করি, কথা কম বলি, দুষ্টুমিও কম করি -- এসবই নাকি পার্ট নেয়া। কী অদ্ভুত কথা যে এই ফুপিটা বলতে পারে! গতকাল খাবার টেবিলে আম্মুর সামনেই বললো -
" কি রে তোর মা'কে দেখাইছিস সাদিয়া তোকে কী গিফট দিলো জন্মদিনে! "
আম্মুকে বাসায় ফেরার পর বলার সুযোগ পাইনি যে সাদিয়া আমাকে একটা বার্থ ডে মগ আর এক প্যাকেট ক্যান্ডি দিয়েছে। আম্মু শুনে বললো - তাই নাকি? কই দেখি তো! কিন্তু ফুপিটা এতো জ্বালাতন শুরু করলো যে আমি লজ্জায় আর কথাই বলতে পারছিলাম না।
বুঝলে ভাবী, ছেলে তোমার বড় হচ্ছে, আজকাল বান্ধবীরাও তাকে গিফট করে আবার ছেলে সেটা গোপনও রাখে তোমার কাছে। এবার ভাইয়া দেশে এলে ছেলেকে বিয়ে করিয়ে বৌ ঘরে এনো। বলে আবার হিহিহি করে মিলি ফুপি হাসতে থাকে। এই ফুপিটা না যাচ্ছে তাই। আমি যদি গোপনই করতাম তাহলে কী ফুপিকে বলতাম। সাদিয়া আর অভিজিত আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু আম্মুর কাছে সাদিয়ার কথা আমি ওরকম ভাবে বলিনি কখনো। আর আম্মুও জানি কেমন, মিলি ফুপির সাথে তাল মিলিয়ে মিলিয়ে হাসছে। বাবা আসলে এটা নিয়েও আমাকে ক্ষেপাবে কিনা কে জানে! বাবা আমার জন্য এত্তো এত্তো চকলেট নিয়ে প্রতিবার, আমার বন্ধুদের দিয়েও খেয়ে আমি শেষ করতে পারি না। ইশ আমারও যদি অভিজিতের মতো ছোট আরেকটা ভাই থাকতো কিংবা সাদিয়ার মতো আমারও যদি ছোট আরেকটা বোন থাকতো, দুজনে মিলে মজা করে চকলেট খাওয়া যেতো আর গেমস খেলা যেতো। গতবার বাবা একটা পিএইচপি এনেছিলো। ওটার মাঝে অনেকগুলো গেমস আছে। সবগুলো গেমস আমার খেলা শেষ। ফুপি বলেছে আগের গেমস ডিলিট করে নতুন গেমস মেমোরি কার্ডে ভরে দিবে।
আমি আর ফুপি এক রুমেই থাকি। কিন্তু আলাদা আলাদা বিছানা। আমি শুয়ে খালি এপাশ ওপাশ করছিলাম। ফুপি বললো - কিরে, তোর বাবা তো আসবে আগামীকাল রাতে আর আজকেই তোর ঘুম চলে গেলো!
- না। এমনি। দুপুরে ঘুমিয়েছি না! এজন্য ঘুম আসছে না
- হুম হয়েছে। আর মিথ্যে বলতে হবে না। আমি বেশ জানি তুই তোর বাবা আসবে এই উত্তেজনায় ঘুমাতে পারছিস না। বলে ফুপু হাসতে থাকে।
বড়রা যে কীভাবে বুঝে ফেলে সবকিছু! আসলেই সত্যি। আমি বাবার জন্য অপেক্ষা করছি। বাবা প্রতিবছরই দেশে আসে বেড়াতে। কী নাকি এক প্রজেক্ট নিয়ে বাবাকে অফিস থেকে ওন্টারিওতে পাঠানো হয়েছে। আমার সব ফ্রেন্ডদের বাবা-মা বাংলাদেশে থাকে। খালি আমার বাবাটাই এখানে থাকে না।আমার ভীষণ খারাপ লাগে। গতবার বাবা এসেছিলো অনেক রাতে, আমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম বাবার জন্য অপেক্ষা করতে করতে। সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আমার বিছানায় বাবাও শুয়ে আছে। আমার ঘুম ভেঙেছে এটা টের পেতেই বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার পেটে কাতুকুতু দিতে শুরু করলো। আমার এমনিতেই অনেক সুড়সুড়ি। কিন্তু সুড়সুড়ি লাগার পরেও আমার অনেক ভালো লাগছিলো। বাবার গায়ের গন্ধটা কতদিন পরে পেলাম! আমার কেমন কান্না পেয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু মুখে এসব বলতে আমার খুব লজ্জা লাগে। এসব ভেবে ভেবে কখন যে রাতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম মনে পড়ছে না।
সকালে ঘুম ভাঙার পর দেখি বাসায় কেমন ফুর্তি ফুর্তি একটা ভাব। আমার বড় মামা এসেছে, সাথে মামাতো ভাই বোন গুলোও, দাদী এসেছে মেজো চাচার সাথে। আমার বাবাই তার সব ভাই বোনের মাঝে বড়। মিলি ফুপিই শুধু আমাদের সাথে থাকে, অনার্সে পড়ে সিটি কলেজে। রাতে ভালো ঘুম হয়নি বলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়েছে। আম্মুকে অনেক খুশী খুশী দেখে আমার খুব ভালো লাগছিলো। আম্মু ইদানীং অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে। ঠিকমতো খেতে পারে না, খালি নাকি তার মাথা ঘোরায়। অফিস থেকে ছয় মাসের ছুটি নিয়েছে। আচ্ছা এতদিন অফিস থেকে ছুটি নিলে কী কারো চাকরী থাকে ! এটা আম্মুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আম্মু শুধু হাসে আর ফুপি বলেছে -
বড় হয়ে নে। তখন বুঝবি চাকরী থাকে কি থাকে না। বলেই সে কী হাসি। এই ফুপিটা শুধু শুধু হাসে। এর মাঝে হাসির কী আছে কে জানে! আচ্ছা এই বয়সে কী মানুষ শুধু শুধুই হাসে? তাকে মাঝে মাঝে শুনি কার সাথে যেন ফোনে নিচু স্বরে কথা বলে। কথা বলতে বলতেই আবার আমাকে ধমক দেয় - এই পাকা ছেলে, আমার কথায় কান পাতলে কিন্তু চকলেট দিবো না আর। বলেই আবার ফোনে কার সাথে যেন হাসতে থাকে। ভারী আমার বয়েই গেছে তার চকলেট খেতে। আমার বাবাই এতো এতো চকলেট আনে। তোমার ইচ্ছে হলে তুমিই খেও, ফুপিকে বলি আমি।
বাসায় আজ অনেক অনেক মজার খাবার রান্না হয়েছে। পোলাও, রোস্ট, কাবাব আমার খুব পছন্দের। বাবা মাছ খেতে পছন্দ করে। মা অন্যদিন রান্না ঘরে এতো সময় থাকে না কিন্তু আজকের ব্যাপারটা অন্য রকম। মিলি ফুপিকে কখনো দেখিনি রান্না করতে শুধু চা বানানো ছাড়া। কিন্তু ফুপি কোত্থেকে যেন জর্দা বানাবার রেসিপি শিখে এসেছে। আজ ফুপি জর্দা রান্না করবে। গতকালই জর্দায় দেয়ার ছোট ছোট মিষ্টি কিনে এনেছিলো। কিনে আমাকে বলেছিলো - এই মিষ্টি ধরবি না কিন্তু খবরদার। তুই তো পেটুক, চুরি করে খাস না যেন! উফফ এই ফুপি খালি খালি আমাকে ক্ষেপায় আর কি যে মজা পায় কে জানে। বাবা এলে বলতে হবে তাকে শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দিতে। তখন আর আমাকে ক্ষেপাতে পারবে না। আজকে আমার কাজিনদের সাথেও আমার খেলতে ইচ্ছে করছিলো না। বারবার ঘড়ি দেখছিলাম। রাস্তায় কতো জ্যাম পড়ে, সন্ধ্যে সাতটা বাজতে চললো কিন্তু কেউ এয়ারপোর্ট যাবার নাম করছে না। একটু আগেও আমি ঘ্যান ঘ্যান করছিলাম বড় মামার কাছে কখন যাবো আমরা বাবাকে আনতে। ফুপি সবকিছুতেই কথা বলে। আমাদের বাসা থেকে এয়ারপোর্ট যেতে তো এক ঘণ্টাও লাগবে না, তুই জ্বালাচ্ছিস কেন এতো ?
- কেন একটু আগে আগে গেলে কী হয়? পরে জ্যামে আটকে গেলে যদি আমাদের যেতে দেরী হয় আর বাবা এসে দাঁড়িয়ে থাকে! এই কথাগুলো আমাদের বাসার কেউ মনে হয় আজকে বুঝতেই পারছে না। আম্মুও কেমন শুয়ে আছে বিছানায়। জিজ্ঞেস করলাম আম্মু, যাবে না তুমি? রেডি হচ্ছো না কেন। দাদী বললো - তোমার মা যাবে কীভাবে, দেখো না শরীর খারাপ। সারাদিন কতো রান্না করেছে! কই আম্মুর তো জ্বরও আসে নি তাহলে কীসের শরীর খারাপ আবার? কী জানি আজকে কী আমাদের যাওয়া হবে না? কখন যাবো, কে কে যাবে বাবাকে এয়ারপোর্ট থেকে আনতে এসব চিন্তায় আমার ভালো লাগছিলো না। আমি সেই কখন আমার নতুন ব্লেজার টা পরে রেডি হয়ে আছি। নতুন কেডসটাও পড়েছি। বাবাকে যে কখন দেখাবো এসব! সময়টা পার করতে যে আমার কতো কষ্ট হচ্ছে কেউ বুঝতে পারছে না। সবাই জানি কেমন করছে আমার সাথে। আমার কান্না পাচ্ছে।
অবশেষে আমরা বাসা থেকে বের হলাম। আমরা মানে আমি , বড় মামা, মেজো চাচা। গাড়িতে জায়গা ছিলো কিন্তু বাবা যাতে আরাম করে আসতে পারে তাই মিলি ফুপি আর আমার মামাতো ভাই বোন গুলোকে আমরা আনিনি। আম্মুর মাথা ঘোরাচ্ছিল তাই আম্মুও আসেনি। ক্যান্টনমেন্ট এর রাস্তায় আমরা যখন জ্যামে পড়লাম, দশ মিনিটের বেশি হয়ে গেলেও জ্যাম ছুটছিল না আমার ভীষণ ভয় করছিলো। যদি জ্যামটা আরও বাড়ে, আমরা যদি আধা ঘণ্টা, চল্লিশ মিনিট আটকে থাকি, তখন কী হবে! আমি মনে মনে আল্লাহকে বারবার বলছিলাম আল্লাহ জ্যামটা সরিয়ে দাও, আমার বাবা আসবে। আমরা যেন তাড়াতাড়ি এয়ারপোর্ট যেতে পারি। বড় মামা আর চাচার গল্প গুজব শুনতেও রাগ লাগছিলো, বড়রা কেন যে এতো বেশি কথা বলে! খালি দেশের মারামারি আর দল নিয়ে কথাবার্তা বলে। উফফ! এয়ারপোর্টে পৌঁছাবার পর ঘড়ি ধরে পুরো এক ঘণ্টা বারো মিনিট পর বাবা ফোন দিলো চাচার মোবাইলে। লাগেজ পেতে নাকি দেরী হয়েছিলো। আমি বড় মামা আর চাচার সাথে দৌড়ে দৌড়ে ওয়েটিং লাউঞ্জের সামনে যাই। ঐ তো বাবাকে দেখা যাচ্ছে, আমার দৌড়ে গিয়ে বাবার কোলে উঠতে ইচ্ছে করছে। উফফ মামা আমার হাত ছাড়ো তো, বলে আমি বাবার দিকে যেতে থাকি। লজ্জা লাগছে আমার কিন্তু তারপরেও আমি বাবাকে দুই হাত দিয়ে তার কোমরে জড়িয়ে ধরি। আমার গা কাঁপছে কেমন করে যেন আর খালি কান্না পাচ্ছে। বাবাও আমাকে জড়িয়ে ধরে মাথায় চুমু খায়, কোলে তুলে নেয়।
আরে আমার বাবাটা দেখি কতো লম্বা হয়ে গেছে! দেখি ফাইয়াজ মুখ তুলে তাকাও দেখি!
আমার চোখে পানি। বাবার দিকে তাকাতে অনেক লজ্জা লাগছিলো। তাই আমি বাবার গলা ধরে আমার মুখ গুঁজে থাকি সেখানে।
আর বলো না মোস্তাক, তোমার ছেলের জন্য কী আর ঘরে বসে থাকার জো আছে আমাদের। সেই দুপুর থেকে বলছে এয়ারপোর্ট চলো, এয়ারপোর্ট চলো। বাবাকে আনতে যাবো। বড় মামা বলতে বলতে হাসে। বাবা আমাকে কোলে নিয়েই হাঁটতে থাকে যেখানে আমাদের গাড়িটা পার্কিং লটে রাখা।
ভাইয়া এবার কী তুই ভাবি আর ফাইয়াজকে নিয়ে একবারেই যাবি কানাডা, মেজো চাচা বাবাকে জিজ্ঞেস করে।
শুনি আমি তড়াক করে লাফিয়ে উঠি। বাবাকে বলি - এবার আমরাও তোমার সাথে যাবো? সত্যি বাবা!
বাবা হাসে। বলে - হ্যা, তোমাকে বলেছিলাম না সারপ্রাইজ দিবো? এটাই সেই সারপ্রাইজ! হ্যা রে শিমুল, ভাবছি শম্পাকে আর ফাইয়াজকে নিয়ে যাবো। পেপারস সব তো রেডিই হয়ে গেছে। আর তোর ভাবীর জন্যই এবার তাড়াতাড়ি এলাম। পরের বেবি টা ওখানেই হোক।
বাবা কীসের বেবি? বাবা আমার কথার উত্তর দেয় না, শুধু হাসে। মামা বলে - এটাও তোমার জন্য সারপ্রাইজ। হাহহাহা
আমার কেন যেন খুব আনন্দ লাগতে থাকে এক অজানা কারণে। সবাই কেমন রহস্য করছে আমার সাথে। একবার মনে হয় আমি বুঝতে পারছি আবার মনে হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না অনেক কিছু। বুঝে কিংবা না বুঝে হলেও আমার অনেক আনন্দ লাগতে থাকে। বাবা তার হ্যান্ড ব্যাগ টা খুলে আমাকে একটা প্যাকেট দেয় হাতে। একটা ছোট ট্যাব, গেমস খেলার জন্য। বললো - বাসায় গিয়ে খুলো, কেমন?
গাড়িতে আমি বাবার কোল ঘেঁষেই বসি। বাবার গা থেকে এক অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ আসছে পারফিউমেরে গন্ধ ছাপিয়েও। এই গন্ধ আমি আর কারো গা থেকেই পাই না কখনো। আমার মায়ের গায়েও সুন্দর একটা গন্ধ আছে। আচ্ছা পৃথিবীর সব বাবা-মায়ের গায়েই কী এমন সুন্দর গন্ধ থাকে! আমি বাবাকে আস্তে আস্তে বলি - আজ আমি কিন্তু তোমার সাথেই ঘুমোবো। তোমার আর আম্মুর মাঝখানে আমি শোবো, আমাকে অনেক গল্প শোনাবে। ঐ যে ওন্টারিওর সেই বোট হাউজের গল্পটা। বাবা আমার চুল বিলি কেটে দিতে থাকে। বাবার গায়ের গন্ধ আর বাইরের ঝিরিঝিরি বাতাসে আমার কেমন ঘুম পেতে থাকে।
সমাপ্ত
উৎসর্গ -আজ বাবুইয়ের জন্মদিন। এই গল্পটা আমার বাবুই_পাখিকে এবং ওর বয়সী সব শিশুদের।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার বাবার সাথে আমাদের ভাই বোনের সম্পর্কটা খুব কাছেরই ছিল। বাবাই খুঁজে খুঁজে আমাদের ডেকে নিত এমন। তবে ছেলে সন্তানের সাথে বাবার সত্যিকারের দূরত্ব দেখাটা বেদনার।
নুহা লিখতে আলসেমী লাগছে আসলে। আলসেমী ঝেড়ে ফেলে ভাবছি আবারো নুহা সিরিজ লেখা শুরু করবো। ভালো থেকো
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১
মামুন রশিদ বলেছেন: ছেলের মুখে বাবার ফিরে আসার গল্প, বাবার প্রতি আবেগ ভালোবাসার গল্প পড়ে অদ্ভুত অনুভূতিতে ছুঁয়ে গেছে মন বর্ণনার সরলতা আর ভাষার সহজবোধ্যতা শিশুতোষ গল্পের জন্য ভালো হয়েছে ।
ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল । আমার বাবা ছিলেন প্রবাসী । বাবা যখন দেশে ফিরে আসতেন, ঠিক এরকম অনুভূতিই হতো ।
সুন্দর গল্পে ভালোলাগা ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার বাবাও প্রবাসী ছিলেন কয়েক বছরের জন্য কিন্তু সেসব টের পাইনি, পৃথিবীতেই আসিনি তখনো। হাহাহা
প্রতিটা সন্তানের জন্য বাবা-মা'কে পাশে রেখে একটা ফ্রেম বন্দী ছবি আঁকা হয়ে যায় তাদের মনে। এই পরিচিত খুশির আবহটা ঘিরে থাক প্রতিটা সন্তানকে।
ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০
বোকামন বলেছেন:
বেশ ভালো লাগলো সন্তানের নির্মল আবেগে, বাবা এবং বাবার প্রতিচ্ছায়ার এই গল্প-কথন । মিঠা সুরে লেখা গল্পটির দু-একটি শব্দ জ্বালাতন করছিলো । পরক্ষণেই ভাবলুম এতো গল্পকারের দোষ নয় কথ্যভাষার আধুনিকতা মাত্র ....
পোস্টে প্লাস এবং উৎসর্গে শুভেচ্ছা । (জন্মদিনের শুভকামনাও রইলো)
ভালো থাকুন লেখক ।
সালাম ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই গল্পে বেশ কিছু ইংরেজি শব্দ চলে এসেছে অনিচ্ছেয়। এক বসাতে লিখে ফেলেছিলাম গতকাল, এটা রিরাইট করবো আশা রাখি।
ট্যাব, মেমোরি কার্ড, ব্লেজার, বোট হাউজ, বার্থ ডে মগ, ক্যান্ডি, প্রজেক্ট, পার্কিং লটে ইত্যাদি বেশ কিছু শব্দ এসেছে!
ভালো থাকুন আপনিও।
সালাম
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
মশিকুর বলেছেন:
বাবা ছেলের হৃদয় ছোঁয়ানো এক গল্প পড়লাম। অনুভূতি গুলো এত বাস্তব ছিল! বলার মত না। শুধু প্রথম দিকের কিছু অংশে ফাইয়াজের চিন্তা গুলো সেভেন/এইটের বাচ্চাদের মত একটু বেশী গুছানো লেগেছে। ব্যাপার না এখনকার দিনের বাচ্চারা একটু বেশীই স্মার্ট
বাবুই পাখিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের ফাইয়াজ ক্লাস ফোর থেকে ফাইভে উঠবে। এই বয়সী বা আরেকটু কম বেশি আজকালকের বাচ্চারা আরও ম্যাচিউরড কথাও বলে যা শুনে বুঝতে সমস্যা হয় আসলেই কি ওরা এসব বলছে নাকি আরোপিত!
জন্মদিনের শুভেচ্ছা বাবুইকে পৌঁছে দিবো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপু গল্পটা বেশ ভালো লাগল। ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেল!
আর ছোট বাবুই কে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার ছোট বেলার স্মৃতি টা শেয়ার করলে ভালো লাগতো আমারও।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিবো বাবুইকে
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯
সুমন কর বলেছেন: বাবুইকে তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। লেখা পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল, ওটা সব বাবা-ছেলের কথা। খুব ভাল লাগল।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
খেয়া ঘাট বলেছেন: গাড়িতে আমি বাবার কোল ঘেঁষেই বসি। বাবার গা থেকে এক অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ আসছে পারফিউমেরে গন্ধ ছাপিয়েও। এই গন্ধ আমি আর কারো গা থেকেই পাই না কখনো। আমার মায়ের গায়েও সুন্দর একটা গন্ধ আছে। আচ্ছা পৃথিবীর সব বাবা-মায়ের গায়েই কী এমন সুন্দর গন্ধ থাকে
+++++++++++++++++++++++++++++++
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: বাবার প্রতি ছেলের আবেগের একটা অসাধারণ গল্প পড়লাম আপু।বাবার ছায়ায়,বাবার ছোয়ায় সবাই বেড়ে উঠুক!!!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাবাকে মিস করেছি এটা লিখতে লিখতে
৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম! দারুন অনুভূতি! শিহরণ লাগল
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মহিদুল
১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শিশুতোষ কিছু আজকাল পড়াই হয় না , চমৎকার লাগলো !
বাবুইকে অনেক অনেক জন্মদিনের শুভেচ্ছা !
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শিশুতোষ লেখা পড়তেও আমি খুব পছন্দ করি। চেষ্টা করো, তোমার এই ধরণের লেখাও পড়তে চাই।
ভালো থেকো অভি
১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
ক্ষয়ে যাওয়া মনের দরজা খোলা আছে বলেছেন:
সন্তানের অনুভূতিগুলোর গল্প দারুণ হয়েছে। বাবুইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। বাবুই_পাখি বড় হয়ে একজন সায়েন্টিস্ট হবে
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ।
বাবুই এখন ক্রিকেটার হতে চায়
১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অত্যন্ত ভাল লেগেছে আমার , অত্যন্ত ভাল । কেন ?
ব্যাখ্যা নেই ।
সফট হ্যান্ডের লিখা আর ফাইয়াজের বয়ানে ঠিক অর সাইকোলজি
অনুযায়ী লিখা ।
বাবুই কে তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা । সে অনেক '' বড় '' হোক ।
ভাল থাকেন আপা ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সব অনুভবের ব্যাখ্যা থাকে না, সেটা বুঝি।
বাচ্চাদের নিয়ে লিখলে ওদের ভাষা, অনুভব টা ভালমতো রপ্ত করা দরকার। আমি চেষ্টা করি ওর মতো করে ওর বিষয় গুলো ভাবতে, বুঝতে।
তুমিও ভালো থাকো। জীবনে উন্নতি করো।
১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
আরিফুর রহমান পলাশ বলেছেন: এককথায় অসাধারন। পড়ার সময় অন্য এক আকর্ষনে বাধা পড়েছিলাম। তাই অন্য দিকে নজর ফেরাবার সময়ই পাইনি। পৃথিবীর সকল সন্তান তার বাবামায়ের আদরে বড় হোক।
বাবুইকে তার জম্মদিনে অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ পলাশ ভাই আপনার শুভকামনার জন্য।
১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯
সোজা কথা বলেছেন: বাবুইকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।বাপ ছেলের গল্পটা খুব ভালো লেগেছে।আর বাবা নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই-আমার বাবাই আমার হিরো !
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যে কোনও বাবার জন্য এটা গৌরবের ব্যাপার হয় যখন উনি বোঝেন উনার সন্তান উনাকে আদর্শ মনে করেন। আপনার বাবাও নিশ্চয়ই এতে আনন্দিত।
১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: উফ! টেনশনে পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। কখন দেখা হবে বাবার সাথে?
অবশেষে ....
আহ! শান্তি!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: টেনশন বেশি দেইনি তো ! তাড়াতাড়িই ফাইয়াজকে ওর বাবার সাথে দেখা করিয়ে দিলাম। হ্যাপি এন্ডিং
১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সব সন্তান কিন্তু বাবা মানুষটাকে বুঝতে পারে না। বাবা-মায়ের প্রতি যে সন্তানের শ্রদ্ধাবোধ থাকে না তাদের আমরা অনেকেই কুলাঙ্গার বলি। কিন্তু সন্তানের কাছে বাবা-মা দুর্বোধ্য থাকলে তার দায় সন্তানের ওপর বর্তায় না। আর বিশেষ করে বাবা/আব্বা/আব্বু/বাজান/বাপু যে নামেই ডাকা হোক না কেন বাবা মানুষটাকে যে সন্তান বুঝলো না বা ভালোবাসতে পারলো না সে কিন্তু সত্যিকার অর্থেই দুর্ভাগা। একজন বাবা হিসেবে আমিও চাই আমার সব সন্তান শুধুমাত্র মাতৃভক্ত হয়েই জীবনটা পার করে দিক- আমার জন্যও এক আধটু ব্যাকুলতা থাকুক তাদের মনে।
বাবুইর জন্মদিনে অনেক আদর। দেশে থাকলে এই দিনে তার জন্ম দিনের উপহার হিসেবে ১০০গ্রাম তাজা মুড়ি কিনে দিতাম।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার বক্তব্যটা খুব গভীর জুলিয়ান দা। অনেক ভাবাবে এটা আমাকে। নিজেকে সন্তানের কাছে তুলে ধরতে না পারলে নিজেও সন্তানের কাছে দুর্বোধ্য থেকে যাবো। তাই তাকে বুঝতে হলে নিজেকে তার কাছে বোঝাতে হবে আগে।
বাবুইকে মুড়ির কথা বলেছিলাম। সে ক্ষেপে গিয়েছে এই কোথা শুনে। বলেছে - এখন কি রোজার দিন নাকি যে মুড়ি খাবো ?
ভালো থাকবেন জুলিয়ান দা। সন্তানদের নিয়ে আপনার আগামী দিনগুলো আনন্দময় হোক এটা আমার আন্তরিক চাওয়া।
১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো গল্পটা। বাবুই পাখিকে জন্মদিনের অনেক অনেক অ-নেক শুভেচ্ছা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা
১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বর্ণনা, ডায়ালগ; বর্ণনা, ডায়ালগ - এভাবে গাঁথুনি খুব সুন্দর।
লেখা মন স্পর্শ করবার মত। অনেকদিন পর পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা সতত।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার।
অনেকদিন ধরে আলসেমিতে পেয়ে বসেছিল।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
১৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: সাত মিনিট লাগলো পুরো গল্পটা পড়ে শেষ করতে।
বাবার গায়ের ঘ্রাণটা মিস করছি ভীষণ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমিও মিস করি আমার বাবার সব কিছু। ফাইয়াজরা আনন্দেই থাকুক, বাবাকে নিয়েও থাকুক, সাথে থাকুক মা'ও।
ভালো থেকো মামনি
২০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা লাগছে। শেষ প্যারাটা অনেক টাচি!
বাবুই_পাখিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম ভাই
২১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অসাধারণ লাগলো পড়তে! তোমার মধ্যে একটা শিশুর লেখনী চলে এসেছে, এইটা খুবই দারুণ একটা ব্যাপার! আমি পিচ্চিটার চোখ দিয়েই পুরো ঘটনা পড়ে যাচ্ছি, আমার ওই বয়সের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে! বাচ্চাদের জন্য একটু বেশী বেশী মনোযোগ দিয়ে লেখো, আমাদের শিশুতোষ লেখার পরিমান কম!
এরকম লেখা আরো চাই হে সম্মানিতা ঔপন্যাসিকা মহোদয়া!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার ঐ বয়সের কী কী মনে পড়ে গিয়েছিল, জানাবে।
আরও কিছু শিশুতোষ লেখা অসমাপ্ত অবস্থায় আছে, আলসেমীতে বন্দী হয়ে আছে।
লিখবো আবার !
ভালো থেকো
২২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন লিখেছেন, কয়েক জায়গায় আমার চোখ ভারী হয়ে আসছিলো, অনেক টাচি হয়েছে লেখাটা। আমিতো একসময় ভাবছিলাম গল্পটা সত্যিই মনে হয়।
আসলেই সত্য নাকি আপু?
বাবুইয়ের জন্য অনেক আদর ও শুভকামনা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ফাইয়াজের মনেরই বাস্তবের প্রতিফলন হতে পারে এ গল্পটা।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন
২৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
স্বপনচারিণী বলেছেন: অসাধারণ, মন ভাল হয়ে যাবার মতো গল্প। আপনার বাবুই এর জন্য অনেক ভালবাসা আর শুভ কামনা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের হ্যাপি এন্ডিং দিতে পেরে আমারও মন ভালো হয়ে গিয়েছিল।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প পড়লাম আপা। ছোট বেলায় এভাবেই অনেক আগ্রহ নিয়ে প্রিয় কিছুর জন্য অপেক্ষা করতাম। দিনগুলো যে কোথায় হারিয়ে গেলো!!
পোস্টে ভালো লাগা রইল।
বাবুইয়ের জন্য শুভকামনা
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হারিয়ে যাওয়া সেসব দিন নিয়ে একটা পোস্ট দিস, পড়বো।
শুভকামনা রইলো
২৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: শুভ জন্মদিন প্রিয় বা্বুই। জীবন হোক পিতা মাতায় প্রেম পুষ্ট।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রতিটা সন্তানের জন্যই সেটা কাম্য
২৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ
২৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
সোমহেপি বলেছেন: অনেক ভাললাগা। শিশুদের আবেগ দারূণ ফুটিয়ে তুলেছেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
২৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেরী হয়ে গেলো শুভেচ্ছা জানাতে। অনেক শুভকামনা বাবুই। লেখাটা খুব মিষ্টি হয়েছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দেরীর জন্য জরিমানা করা হবে আর সেটা হচ্ছে -- মিতিনকে নিয়ে বা বাবা হিসেবে আপনার অনুভব নিয়ে সেটা গল্পে ফুটিয়ে তুলবেন।
শুভকামনা রইলো।
২৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বাবুই'র জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
দেরীতে শুভেচ্ছা যদিও।
গল্প ভালো লেগেছে, আপু।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভেচ্ছা পৌঁছে যাবে
৩০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১
ইমরান নিলয় বলেছেন: সবুজ সবুজ একটা স্বাদ গল্পের।
ভাগ্নেকে শুভেচ্ছা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কই কই ডুব দিয়ে থাকো তুমি ?
ভালো থাইকো
৩১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল নিরন্তর।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জ্বি আপনাকে ধন্যবাদ
৩২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
সায়েম মুন বলেছেন: সুন্দর, সরল শিশুতোষ গল্প। খুব ভাল লাগলো।
আপনার বাবুইকে জন্মদিনের লেট শুভেচ্ছা। ওর জন্য অনেক শুভকামনা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা সায়েম ভাই
৩৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
বৃশ্চিক রাজ বলেছেন:
ঘুরে গেলাম আপু।
শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন প্রতিটা সময়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে ভাইয়া/আপু, ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকবেন
৩৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অনেক দিন পর ছোটদের একটা গল্প পড়লাম। "অনেক" বলাটা ভুল, অনেক অনেক দিন পর! খুব মিস্টি একটা গল্প, শেষে একটা সুন্দর ফিনিশিং আশা করেছিলাম এবং তাই পেলাম।
ধন্যবাদ আপু আর বাবুইয়ের জন্য শুভেচ্ছা থাকল।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকদিন তুমিও গল্প লিখছ না, নাজিম।
একটা কিশোর সাইফাই লিখে ফেলো, দারুন হবে আশা করছি। ঐ বয়সে তুমি যা করতে চাইতে, সেটাই সাইফাইয়ে ফুটিয়ে তোলো।
৩৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
বৃশ্চিক রাজ বলেছেন:
আবারও এলাম আর আপনার ভাগ্নের ব্লগেও কমেন্ট করে এসেছি। কিন্তু আমার পোষ্ট কি নির্বাচিত পাতায় যাবে ?
আর আপনি আমার ব্লগে না এলেও আমি কিন্তু আপনার ব্লগে আসব এবং রেগুলারই আসব।
অগণিত শুভেচ্ছা।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে, আমার ব্লগে আইসেন। তবে আপনার কি মনে হয় নির্বাচিত পাতায় কী কী কারণে আপনার পোস্ট আসা প্রয়োজন ?
৩৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
বৃশ্চিক রাজ বলেছেন:
জাস্ট ফর নাথিং এমনিতেই বলেছি। ভেবেছি আপনি আর অপু তানভীর মোডারেটর তাই বলেছি।
ওকে ফরগেট ইট। নো প্রব
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে
৩৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
আমি জুয়েল বলেছেন: আমার ছেলের বয়স এখন সাড়ে চার। প্রতিবার যখন বাইরে যাই ওর কথা খুব মনে হয়। ওর মায়ের কাছে শুনি আমার জন্য লিস্ট বানায় কি কি লাগবে। কিন্তু ফোনে কথা বলতে চায় না। আমি আসি ওর ঘুমের মধ্যে। ঘুম থেকে উঠে দেখে পাশে শুয়ে আছি। জীবন সত্যিই সুন্দর। এমন কিছু মুহুর্তের জন্য যেকোন কিছু ভুলে থাকা যায়।
আপনার লেখা খুব ভাল লাগল।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার বাবুটার জন্য আদর রইলো।
শুভকামনা জুয়েল ভাই
৩৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
অপ্রচলিত বলেছেন: ফাইয়াজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চমৎকার বর্ণনা। গল্প পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন সবকিছুই চোখের সামনে ঘটছে। অসাধারণ লেখনী।
আপনার জন্য শুভ কামনা আর বাবুই এর জন্য অনেক আদর
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একই কমেন্ট দুইবার এসেছে, তাই একটা কেটে দিলাম।
আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো।
৩৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: Khub valo laglo lekhata.
Apnar 'nuha' series tar porer porbo ki r ashbe na?
০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। নুহার একটা পর্ব আজ কিছুটা লিখেছিলাম, শেষ হয়নি। তাই পোস্ট দেই নি । সব কাজ গুছিয়ে একটু ফ্রী হয়ে আবার নুহাকে নিয়ে বসবো। ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: বাবাদের সাথে ছেলেদের সম্পর্কটা অনেকটা অম্ল মধুর, অনেক দূরত্ব আর ব্যাবধানের হয়ে থাকে । চাইলে হয়তো সেটা কমিয়ে আনা যায় কিন্তু কেনও যেনও হয়ে ওঠে না । মিষ্টি গল্পে ভালো লাগা । অনেকদিন নুহার খোঁজ পাই না । কেমন আছে সে ??
ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা ।