নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহা - ২৩

২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩১



বাসায় সাবলেটে একটা ফ্যামিলি উঠবে, তার উপর আমাকে না জানিয়েই রেজার এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়া - সব মিলিয়ে রাগে আমার শরীরের উত্তাপ বেড়ে যাচ্ছে এমন লাগছে। যতই একজন মহিলাকে ভাড়া দেয়া হোক না কেন তার সাথে যে আরো উটকো ঝামেলা এসে জুটবে না তারই বা নিশ্চয়তা কি ! কিন্তু রেজার সাথে কথা বলার মতো মুড নেই বলেই ইচ্ছে করছে না ওকে জিজ্ঞেস করতে ও কেন হঠাৎ করে বাইরের মানুষ বাড়িতে এনে তুললো। আজ ওকে খেতে ডাক না দিয়েই আনি নিজে খেতে বসলাম। ইচ্ছে হলে খেতে আসবে না হলে নাই, ওকে ডাকার প্রয়োজন মনে করি না। ইশশ নুহা, ভারী তো ফাঁপর মারছো। খাচ্ছো তো ওর টাকাতেই, ভরণপোষণ চলছে তোমার তাও রেজার খরচেই, আর খেতে বসেছ একা ! যাও ওকে ডেকে নিয়ে আসো।

- তোমার মন চাইলে তুমি ডাকো। আমি পারবো না নুহাকে জানাই।

- বদমায়েশ মেয়ে তুমি একটা ।



আমি একা একাই হেসে উঠি। হুম আমি বদমায়েশ হবো। অন্তত হয়েই দেখি না কেমন লাগে !

রেজা আমার ডাকের অপেক্ষা না করে কিছুক্ষণ পরই সে রান্নাঘরে উঁকি দেয়। চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলে, কী হলো একলাই যে বসে পড়েছ খেতে, ডাকলে না যে !



ওর মুখে শুদ্ধ ভাষা শুনতে কেন যেন বিরক্ত লাগছিলো। শুধু শুদ্ধ ভাষাই না , ওর গলার আওয়াজ, ওর চেহারা মোটকথা ওর উপস্থিতি আমার অসহ্য লাগছিলো। কেউ যদি কথা উত্তর না দেয়, খুব অপমানিত লাগার কথা, অন্তত আমি অপমানিত হই। রেজার এই বোধ নেই, ও মনে হয় বুঝতেই পারছে না যে আমি ওর সাথে কথা বলতে চাচ্ছি না। সরাসরি বললামও যে আমি কথা বলতে আগ্রহী না। তাই মনে মনে বলি - তোকে ডাক দিয়ে খেতে আনতে হবে নাকি, নিজেরটা এখন থেকে নিজে নিয়ে নিয়ে খাবি। শুধু যে নিজের খাবার নিজে বেড়ে খাবি তাও না, নিজে রেঁধে খাবি।

- ছিঃ নুহা, নিজের স্বামীর সাথে তুই তোকারি করছ ! এত অধঃপতন তোমার !

- চুপ থাক

- ওরে বাবা, আমাকেও দেখি তুই করে বলছো ! আমি আবার কী করলাম !

আমি রেজার কথার উত্তর মনে মনে দিয়ে বেশ তৃপ্তি পাই। এখন থেকে ওর সব বাজে কাজের জন্য ওকে ঠিক করেছি মনে মনে বকা দিবো। আমার খাওয়া প্রায় শেষের দিকে। ও মুরগীর তরকারি দিয়ে ভাত মাখাতে মাখাতে বলে –



- আজ কী ক্ষেপে আছো নাকি ? তরকারী মুখে দিয়েই বোঝা যাচ্ছে ! এত ঝাল দিছো ! উহহ ! এর পর থেকে মেজাজ খারাপ থাকলে তুমি আর রান্নাবান্না করবা না !

একা একা একটা মানুষ কতক্ষণ কথা বলতে পারে ! দেখি রেজা কতক্ষণ কথা বলতে পারে। আমি চুলায় চায়ের জন্য দুধ চাপিয়ে চুলার আঁচ একটু কমিয়ে রান্নাঘর থেকে বের হই। মাথা পুরো ঝিমঝিম করছে আর কপালের দুপাশের রগ মনে হয় লাফাচ্ছে জোরেশোরে। মাথা ব্যথা কমাবার জন্য হলেও ওষুধ খাওয়া দরকার। বমি বমিও পাচ্ছে। আমি ওষুধ খেয়ে ফ্রেশরুমের দিকে যাই, ব্রাশ করতে হবে শোবার আগে। রাত প্রায় এগারোটা বাজে। আমার জন্য খুব বেশি রাত না হলেও সোনিয়ার জন্য অনেক রাতই হবে হয়তো। ভাবলাম সকালেই ওকে ফোন দেবো জবের ব্যাপারে। রীতিমত নিজের অস্তিত্ব রক্ষার একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাপারটা। রেজা যে চায় না আমি জব করি সেটার প্রমান তো আজ দিলোই এই ভাবে যে আমার সময় কাটাবার জন্য ও বাসায় সাবলেটে ভাড়া দিলো। আজব চিড়িয়া ! আমি ব্রাশ শেষ করে হাত মুখ ধুয়ে রান্না ঘরে এলাম চা বানাতে। এতক্ষণে দুধ নিশ্চয়ই একটু ঘন হয়ে এসেছে। রেজার গলা পাচ্ছি - চা কি একাই খাইবা নাকি ? আমাকেও এক কাপ দিও।

- হুহ তোরে চা দিতে আমার বয়েই গেছে ! পারবো না চা দিতে। নিজে বানিয়ে খা। ল্যান্ড ফোন বাজছে। মনে হয় শবনম ফোন করেছে। এই সময়ে শবনম ছাড়া আর কেইই বা হবে। আমি ফোন রিসিভ করতে করতে লাইনটা কেটে গেলো। যাক, ভালোই হয়েছে এখন কারো সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে না । আমি আমার চা বানিয়ে শোবার রুমে গেলাম। ছোট ছোট করে চায়ের কাপে চুমুক দিতে থাকি। আমার এত ঘন ঘন চা খাবার অভ্যাস ছিলো না। এই শবনমটাই আমাকে চায়ের নেশা ধরিয়েছিলো ইতালি আসার পর। প্রথম প্রথম শবনমদের বাসায় গেলে কিংবা শবনম আমার এখানে এলে ওকে চা বানিয়ে দিতে হতো কয়েক দফায়। যখন ওকে বলতাম - ইশশ ভাবী, আপনি এতো চা খান ! ঘুমাতে পারেন রাতে ?



- আর বলবেন না নুহা, চা না খেলে আমার মাথায় যন্ত্রণা হয় প্রচণ্ড ! দাঁড়ান আপনাকেও চা খাওয়া শিখিয়ে নেই, বুঝবেন চায়ের কী নেশা ! বলে সেদিন ও খুব হেসেছিলো।



এই নেশাটা আমাকেও ধরেছে। চা না পেলে মনে হয় আজকের দিনটাই বুঝি বৃথা গেলো। চা'য়ে চুমুক দিলে আমার সাথে সাথে মনে হয় আমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। এই যেমন এই মুহূর্তে আমি বেশ সুখী শুখি অনুভব করছি। চোখ বন্ধ করে করে আমি প্রতিটা চুমুক উপভোগ করছি। ধরাম করে দরজা খোলার আওয়াজ হয়ে একটু চা ছলকে উথে পিরিচে পড়ে, আমার বুকটাও হঠাৎ করে দরজা খুলে যাবার শব্দে কেঁপে ওঠে। দেখি রেজা এসেছে। অসহ্য একটা মানুষ !

- কি হইলো কতো বার বললাম এক কাপ চা দিতে, কানে যায় না ? তোমার সমস্যা কোন জায়গায় ? ঘরে আসার পর থেকে দেখতাছি কোন কথা উত্তর দিতাছো না ! বেশি বাড়াবাড়ি হইয়া যাইতাছে কিন্তু ! বলে ও ধপ করে বিছানায় এসে বসলো । আইরিন কে বাসা ভাড়া দিছি এইটা কি তোমার পছন্দ হয় নাই ? না হইলে বলো ওকে মানা কইরা দেই !



- এখন মানা করে দিবি মানে ? ঐ মহিলার কাছ থেকে এডভান্স টাকা নিছিস, আর আমার মতের যদি এতোই গুরত্ব থাকতো তাহলে তো আমাকে জানাইয়েই কাজটা করতি ! ফাজিল কোথাকার ! আরেকটা কথা বললে চড় লাগাবো তোকে ! মুখে এসব কথা বলতে না পারলেও মনের মাঝে বুদবুদ উঠতে থাকে ওকে এসব বলার জন্য। আসলে রাগের একটা প্রকাশ থাকা তো চাই ! তাই চা শেষ করে শব্দ করেই আমি খাটের পাশের সাইড টেবিলে কাপটা নামিয়ে রাখি। এরই মাঝে শুনি ও বলছে, লাইট টা নিভাইয়া তাড়াতাড়ি শুইতে আসো।



- তোর ঘুম তুই ঘুমা, আমাকে ডাকিস কেন ? ঘুমা চুপচাপ ! ইশশ এই কথা গুল যদি ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে পারতাম ! আমি চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে রুমের লাইট অফ করে রুম থেকে বের হয়ে যাই। আমি তো বুঝতে পেরেছি কেন ও লাইট অফ করে তাড়াতাড়ি শুতে বলছে। থিক করেছি এখন থেকে আমিও বধির হয়ে যাবো ওর সুবিধাজনক সময়ে । রান্নাঘরে গিয়ে কাপটা ধুয়ে ফেলি। আজকের মতো সব কাজ শেষ। আমি রান্নাঘরের লাইটটা নিভিয়ে লাইব্রেরী রুমে চলে আসি। আজকে ইজি চেয়ারে শুয়েই রাত কাটিয়ে দিবো। শোবার ঘরে রাতে আর যাবো না ঠিক করেছি।

হাহহাহা নুহা, কয়দিন ? কয়দিন তুমি ফ্লোরে আর চেয়ারে শুয়ে রাত কাটাবে শুনি ?

- যতদিন পারি ঠিক ততদিন।



- এতোই যখন জেদ, তাহলে এক কাজ করো, রেজাকে বলো শোবার রুম থেকে বেরিয়ে যেতে। ওকে ফ্লোরিং করতে বলো, তুমি কেন কষ্ট করবে? তোমার না সাইনাসের প্রবলেম !



- হুম ঠিক। তাইই করতে হবে দেখা যাচ্ছে। আমি চেয়ারটা নিয়ে দোল খেতে থাকি ধীরে ধীরে। জ্বর মনে হয় বাড়ছে। গলা ব্যথা ব্যথা হয়ে আছে, শীত করছে হালকা হালকা। শোবার ঘর থেকে একটা পাতলা কম্বল আনতে পারলে ভালো হতো। থাক, লাগবে না। এমনিই থাকি। বেশি শীত লাগলে, গায়ে কাঁপুনি আসলে রুমের হিটারটা না হয় ছেড়ে নেবো। আবারো সেই ধরাম করে দরজা খোলার আওয়াজ। যথারীতি রেজা।





সোফায় বসতে বসতে বললো -

কালকে যেহেতু আইরিন ওর মালপত্র নিয়ে আমাদের এখানে উঠবে, ঐ রুমটা একটু পরিষ্কার করে রেখো। আর যে আলমারিটা আছে ঐ রুমে সেখানে কিছু জিনিসপত্র আছে, দরকারি না হইলে ফালাইয়া দিও।



আমি ওর কথার উত্তর দেই না। চোখ বন্ধ করে দোল খেতে থাকি চেয়ারে।



ও ওর একটা পা দিয়ে আমার ইজি চেয়ারটা আটকে ধরে দুলুনি থামালো। কি হইলো, আমার কথার উত্তর দিতাছো না কেন ? হ্যাঁ না কিছু বলবা তো , নাকি ? সে আমার একটা হাত ধরে, বলে - নুহা, আমার অপরাধ কি ?



আমি এক ঝটকায় আমার হাতটা ছাড়িয়ে নেই। চোখটা খুলে ওর দিকে তাকিয়ে বলি, লিয়ানার সাথে গিয়ে এই ধরণের অধিকার বোধ দেখিও। তোমার কি ন্যুনতম লজ্জাবোধও নেই ? আর তোমার সাথে কথা বলার রুচি নেই আমার । আমাকে জিজ্ঞেস করে কি বাসা ভাড়া দিয়েছো নাকি যে আমি রুম পরিষ্কার করবো, আলমারি ক্লিন করবো ! আমি কিছু করতে পারবো না ! বলে আবার চোখ বন্ধ করে চেয়ারে মাথা হেলিয়ে রাখি। টের পাই ও উঠে দাঁড়িয়েছে। সোফায় জোরে একটা লাথি কসালো। মনে মনে আমি হাসলাম, বাপের ব্যাটা হলে দেয়ালেই লাথি কসাতে, পা টা ভাঙলে খুশী হতাম।

- যাও বাল ফালাও গা - বলে ও আবারো ধরাম করে দরজাটা আটকে দিয়ে চলে যায়।



আহারে দরজার উপর দিয়ে যত সব অত্যাচার যাচ্ছে। কিন্তু ও আমাকে বললোটা কী ! আমার রাগ লাগছে না মোটেও। হাসি পাচ্ছে। আমি কয়েকবার ওর সেই গালিটা মনে মনে আওড়ালাম। বেশ শান্তি শান্তি লাগছে, ওকে মুখের উপরে কথাগুলো বলতে পেরে। কিছু করার নেই বলে টিভিটা অন করলাম। বাংলাদেশী কয়েকটা চ্যানেল এখানে দেখতে পাই অবশ্য, আর লন্ডন থেকে সম্প্রচারিত হয় চ্যানেল এস। এমনিতেই কয়েকবার এ চ্যানেল ও চ্যানেলে ঘোরাঘুরি করি। রাত এগারোটার পর বেশ কয়েকটা চ্যানেলে এডাল্ট বিজ্ঞাপনীমূলক প্রোগ্রাম শুরু হয়। প্রথম এখানে এসে কৌতূহলবশত কয়েকদিন চোখ বুলিয়েছি। কিন্তু নগ্নতা টানা দেখার বা উপভোগের ব্যাপার না বলেই খুব দ্রুতই আমি আগ্রহ হারাই। তাছাড়া ভীষণ অস্থিরও লাগে টিভিতে এসব মডেলদের নানারকম অঙ্গভঙ্গী দেখলে ! ভালো লাগে না টিভি দেখতে, তাই বন্ধ করে দেই। মাথার ব্যথা খুব বেড়েছে। আমি উঠে লাইট টা অফ করে দেই। গায়ের ওড়নাটা খুলে ভালোমতো গায়ে জড়িয়ে নেই। তবুও শীত লাগতে থাকি। চোখটা মনে হয়ে লেগে এসেছিলো। কিন্তু চোখে আলো এসে পড়তেই আমি ধরমড়িয়ে উঠি। আমার কোলের উপর একটা কাগজ ফেলে রেজা চলে যায় শব্দ করে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে। কাগজটা দেখে বুঝতে পারি আমার আজকেই কিনে আনা খাতার পৃষ্ঠাটা ছিঁড়ে রেজা আমাকে চিঠি লিখেছে।



" প্রিয় নুহা ,

আমি বুঝি না তুমি এতো কথায় কথায় রাগ করো ক্যান ? কি এক লিয়ানা নিয়া এখনো পড়ে আছো ? লিয়ানার সাথে সম্পর্ক আস্তে আস্তে কমিয়ে দিবো, যাও কথা দিলাম ! আর বান্ধবী থাকা কি খারাপ নাকি ? দুই একটা ভালো বান্ধবী তো থাকতে পারে আমার ! তুমি আজ দুই দিন ধরে আমার সাথে ঘুমাও না, আমার অনেক একলা একলা লাগে। আমি অপেক্ষা করতাছি, তুমি আসো।

ইতি

রেজা "



ওর চিঠি পড়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। লিয়ানার সাথে এখন সম্পর্ক সে রাখলেই কি আর না রাখলেই কি ! বাইরে একজনের সাথে শুয়ে এসে ঘরে বৌয়ের সাথেও শোবে, এর চেয়ে ভন্ডামি আর কী হতে পারে। আমার কিনে আনা নতুন খাতার পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ও চিঠি লিখছে ! উফফ্‌ ! আমি উঠে দাঁড়াই। শোবার রুম থেকে আমার খাতা- কলম আর কম্বল আনা দরকার। শীত লাগা বাড়ছে ক্রমশ। শোবার রুমের দরজাটা খুলতেই রেজা গদগদ স্বরে বলে উঠলো -

আমি জানতাম তুমি আমার চিঠি পড়লে না আইসা পারবা না। আসো ,আসো বলে ও বিছানায় উঠে বসে।



আমি আলমারিটা খুলে ক্রিম কালারের পাতলা কম্বলটা বের করি। পানির বোতল, খাতা কলম আর কম্বল নিয়ে আমি শোবার রুম থেকে বের হয়ে যাই। ওদিকে রেজা আমাকে ডাকতে থাকে, নুহা, শুনতাছো ? শোনো !! ধুর !

আমি লাইব্রেরী রুমে ঢুকে দরজাটা ভেতর থেকে লক করে দেই, যাতে রেজা আর আসতে না পারে। ভালো লাগছে না কিছু। মোবাইলটা সাথে নিয়ে আসলে ভালো হতো। ফোন করা যেতো কাউকে। বাংলাদেশে তো এখন অনেক রাত। আমার তেমন ফোন করে গল্প করার মতো মানুষ নেই শবনম ছাড়া। অবশ্য আমেরিকাতে লাবনীকেও ফোন দেয়া যেতো ! সে যাক গে ! হাতের কাছে ঘড়ি বা মোবাইল না থাকলে তখন বোধ হয় বারবার সময় জানতে ইচ্ছে করে। টিভিটা অন করে সময়টা একবার দেখে নেই। রাত প্রায় পৌনে একটা।



কিন্তু দরজা লক করে মনে হয় মিনিট পাঁচেকও হয়নি, আবার ধুমধাম করে দরজায় রেজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করেছে। এই লোকটা কী আমাকে একটু শান্তি দিবে না ! শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। দরজার ওপাশ থেকে ও তারস্বরে চেঁচাচ্ছে - নুহা, দরজা খোলো, দরজা খোলো। ওর সুরে আদেশের আভাস স্পষ্ট। আমি উঠে দরজা খুললে বলে - এতো তেজ দেখাও কি নিয়া? হ্যা, কিসের এতো তেজ তোমার ? বলে হিড়হিড় করে আমাকে টেনে শোবার ঘরে নিয়ে যায়। বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে বলে - আমার টাকায় খাইয়া, পইড়া আমার লগেই চোখ পল্টি লও ? আজকা দুই দিন ধইরা তুমি আমারে ফাঁকি দিতাছো, পাইছো কি ? ও আমাকে এতোটাই হতভম্ব করে দিয়েছে যে আমার মুখে কথা আসে না কোনো । ও টানাহেঁচড়া করতে থাকে আমার গায়ের কাপড় খুলতে। আজ খুব নির্লজ্জের মতো রেপড হতে যাচ্ছি রেজার কাছে, এটা বোঝার পর আমার মাঝে কোনো ধরণের প্রতিরোধ করার ইচ্ছে আসে না ওকে। আমি হাত পা এলিয়ে বিছানায় পড়ে থাকি। শুষ্ক চোখে এক ধরণের নির্লিপ্ততা। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে ওর কিছু সময়ের আস্ফালন আমার উপরে। আমার ঠোঁট, গলা, শরীরের নিম্নভাগ ভীষণ জ্বালা করলেও কোনও ধরণের যন্ত্রণাকাতর শব্দও আমার ঠোঁট গলে বের হয় না। আমি ওয়ার্ডরোব থেকে পান্তালুন আর কামিজ বের করে শাওয়ার নিতে ফ্রেশরুমের দিকে যাই। যেতে যেতে শুনি রেজা বলছে - লাইটটা নিভাইয়া দিয়া যাইও।



ঝর্না ছেড়ে অনেক সময় নিয়ে আমি শাওয়ার নেই। শারীরিক অনুভূতি এই মুহূর্তে নেই আমার মাঝে। গলার কাছটায় কিছু যেন গলা পাকিয়ে আছে। ব্যথা ব্যথা করছে। এই ব্যথার ভাবটা কমাতে হবে। আমি সিদ্ধান্ত নেই কী করবো। যদিও রাতটা অনেক বেশিই হয়ে গেছে এখন। কিন্তু রাত বেশি আর কম নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। চুল মুছতে মুছতে টের পাচ্ছি আমার হাড়ে হাড়ে কেমন শীতের কাঁপন লাগছে শীতের দিন ছাড়াই। টাওয়েলটা বারান্দায় ছড়িয়ে দিয়ে আমি শোবার রুমে ঢুকি। ঝটপট আলমারি থেকে জিন্সের জ্যাকেট আর স্কার্ফটা গায়ে দিয়ে ব্যাগ আর মোবাইল নিয়ে রুম থেকে বের হতে গিয়ে রেজার রেজার মুখে পড়ি। কি হইলো কই যাও এতো রাত্রে ? ও বিছানায় উঠে বসে। কি হইলো উত্তর দাও না কেন ?



- সেটা তোমার জানা জরুরী না



আমার কথা শুনে ও বিছানা থেকে নেমে আমার মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়। তোমার সাহস কতো বড় তুমি এতো রাত্রে বাসার বাইরে যাইতে চাও। ও আমার কাঁধ থেকে ব্যাগ ছাড়িয়ে নিতে চায়। আমি খুব ঠাণ্ডা গলায় ওকে বলি -



- আমার গায়ে একটা হাত দিবে তো তুমি খুব সমস্যায় পড়বে রেজা। পুলিশ ডাকবো আমি।



ও ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। আমি শোবার রুম থেকে বের হয়ে জুতোর আলনা থেকে কাপড়ের এক জোড়া জুতো পড়ে নেই। শব্দ করেই মেইন গেটটা লাগিয়ে আমি লিফটের সামনে দাঁড়াই। ব্যাগে খুব বেশি টাকা আছে কি নেই এখন এই চিন্তা করা অর্থহীন জেনেও এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারি না। ফ্ল্যাটের চাবিটা ব্যাগেই আছে তো ? এই চিন্তা হতেই ব্যাগটা চেক করে নেই। না হলে তো পরে আবার বাসায় ফিরতে পারবো না। জেদ দেখিয়ে, স্বামীকে পুলিশের হুমকি দিয়ে বের হয়ে এলে, তাও এতো রাতে ! ভাবখানা তো এমন যে আর বাসায়ই ফিরে যাবে না কোনোদিন, এখন আবার চাবি, টাকা খুঁজছ ব্যাগের মাঝে ! বাহ নুহা তোমার কাছ থেকে ভণ্ডামির মানে শিখলাম নতুন করে। বলে আরেক নুহা হাসতে থাকে হাহাহাহা করে। রাগে আমার গা জ্বলে যায়, বলি - হাসি বন্ধ করো, না হলে কষে একটা চড় লাগাবো।



- হাহহাহাহহা , পারলে লাগাও দেখি।



আমার যে কী হলো, আমি ভূতগ্রস্তের মতো নিজের গালে সজোরে একটা চড় কষালাম! চড় খেয়ে আমার মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম করে উঠলো, চোখে পানি চলে এসেছে। উফফফ ঐ নুহাটা কোন দিন যে আমাকে মেরে ফেলবে কে জানে। আচ্ছা আমি যে বের হয়ে এলাম বাসা থেকে কিন্তু এখন যাবো কোথায় ? রাস্তায় রাস্তায় হাঁটবো? লিফট থেকে নেমে আমাদের বিল্ডিং কম্পাউন্ডের ভেতরে যে হাঁটার জায়গা সেখানে হেলান দিয়ে বসে থাকি। প্রাথমিক উত্তেজনা কী থিতিয়ে আসলো আমার?



- নাহ্‌ থিতিয়ে আসেনি, তুমি বসে আছো এই ভেবে যে রেজা তোমার পিছু পিছু হয়তো আসবে এই আশায়। হাহহাহাহা। শোনো মেয়ে, রেজা তোমাকে নিতে আসবে না, আর নিতে আসার হলে সে তখনই তোমাকে আটকাতো, পুলিশের ভয়ে চুপ করে থাকতো না। হাহহাহা



আসলেই তো ! নুহা খারাপ কিছু বলেনি আমাকে। ঠাণ্ডা ফ্লোরে বসে থেকে আমার আরো শীত লাগছিলো। ওয়ালে ঠেস দিয়ে বসার কারণে আমার পিঠের একটা সাইড কেমন অসাড় হয়ে এসেছে এমন লাগছে। আমি চোখ বন্ধ করে মাথাটা হেলিয়ে রাখি। আচ্ছা আমি কেন বের হয়ে আসলাম বাসা থেকে, যে কোনও একটা রুমে দরজা লক করে রাখলেই তো পারতাম। কিংবা রেজা দরজা নক করেছে আমি দরজা না খুললেই পারতাম ! আচ্ছা যা হবার হয়েছে। কিন্তু সকাল হলে রেজা যখন বাসা থেকে বের হবে, বের হয়ে দেখবে আমি গেটের কাছে এভাবে বসে আছি, ও দেখলে কী বাঁকা হাসি হাসবে না ? বিদেশ বিভূঁইয়ে এতো রাতে যখন তখন কারো বাড়ি যাওয়া না। কোথায় যাই আমি এখন? মালিয়ানার সেই চৌরাস্তার পার্কের দিকে আরেকটা রাস্তা আছে, একেবারেই নীরব। সেই রাস্তাটা শুধু পায়ে হাঁটার আর সাইকেল চলাচলের জন্য, মোটর গাড়ি একেবারেই নিষিদ্ধ। ওখানে গিয়ে কী বসে থাকবো ? ধুর কী সব ভাবছি। বিল্ডিং কম্পাউন্ডের গেট খুলে কারো ভেতরে আসার আওয়াজ পাচ্ছি। এতো রাতে আবার কে আসলো ! ধ্যাত আসুকগে, আমি চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়েই থাকি। আস্তে আস্তে কেউ একজন চাবি দিয়ে গেট খুলছে মনে হয় এপার্টমেন্টে ঢোকার জন্য। গেট খুললেই লিফট। আচ্ছা পায়ের শব্দটা কি আমার সামনে এসে থেমে গেলো? আমি কান পেতে থাকি শোনার জন্য। আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করে থাকি।



- চাও !



আমি গলার আওয়াজ শুনে চমকে উঠি। দুই তলার বারান্দার সেই ছেলেটা। এতো রাতে ও এখানে কী করে। হাহ্‌ নুহা , হাসালে, তুমি এতো রাতে তাহলে এখানে কী করো? ছেলেটা এখন বাইরে থেকে ফিরলো। আমি চোখ খুলে ওর দিকে তাকিয়ে একটু হাসি। আমাদের কম্পাউন্ডের ভেতরে বেশ খোলামেলা জায়গা আছে। কয়েকটা ফুলের গাছ আছে। আর মেইন গেটের কাছে দুইটা ল্যাম্প আছে, ওখানের আলোটা পড়ে এ জায়গাটাও মোটামুটি আলোকিত করে রেখেছে যেখানে বসে আছি। ছেলেটা আমার পাশে ধপ করে বসে পড়লো। সমস্যা কী তোমার ? আমার দিকে তাকিয়ে ছেলেটা জিজ্ঞেস করলো।



আমি মাথা নেড়ে বোঝাই কোনও সমস্যা নেই।



- তুমি কী বোবা? কথা বলতে পারো না? ওর প্রতিক্রিয়া শুনে আমি শব্দ করে হেসে ফেলি।র দিকে তাকিয়ে বুঝি ও ফান করছে না মোটেও। ওকে বলি –



- কথা তো বলতেই পারি। আমার গলার স্বরটা বসে গেছে ওর সাথে কথা বলার সময় টের পাই। আমার কাশি চলে আসে। ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করি মুখে চাপা দেবার জন্য। আমি আসলে কথা খুঁজে পাই না ওকে কী বলবো, আবার চলে যেতেও তো বলতে পারি না। কিছুক্ষণ পর ও আমাকে জিজ্ঞেস করে –



- তুমি কী বিষণ্ণ ? রাগ করে বাসা থেকে বের হয়েছ ?

- হুম।



- কোথায় যাবে এখন? কেউ অপেক্ষা করছে তোমার জন্য?



ছেলেটার কথা শুনে আমার ভেতরটা হু হু করে উঠলো। আসলেই তো আমার জন্য কেউ অপেক্ষা করে নেই। আচ্ছা আমিও কী কারো জন্য অপেক্ষা করে আছি, ছিলাম কখনো? জানি না । আমি ওকে সংক্ষেপে বলি - নাহ্‌, কেউ নেই। আমি উঠে দাঁড়াই। হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে আগাই। ছেলেটাও উঠে দাঁড়ায়। এতো রাতে কখনো থার্টি ফার্স্ট নাইট ছাড়া এখানে বাইরে বের হইনি। তখন তো শবনম ছাড়াও অন্যান্য পরিচিত মানুষরাও ছিলো। কিন্তু আজকের পরিস্থিতিটা ভিন্ন। কীসব অভিমান, আবেগে ভেতরটা ক্রমশ ছেয়ে যাচ্ছে। আমি বাস স্টপেজের উদ্দেশ্যে ধীরে ধীরে হাঁটতে থাকি। আমার মাঝে কী ক্ষীণ আশা কাজ করে ঐ ছেলেটাও আমার পিছু পিছু আসবে?



হাহহাহাহা ! তুমি কোন স্পেশাল মানুষ ঐ ছেলের কাছে যে সে তোমাকে সময় দিবে তাও এই অসময়ে !!! বোকা !



আমি নুহার কথা শুনে বিষণ্ণ হই। আমার শরীরে ক্লান্তি আরও তীব্র দীর্ঘতর হয়। কান্না পায় খুব। কিছুদূর এগিয়ে গেলে পেছন থেকে ডাক শুনতে পাই - হেই সিনোরিটা ! আমাই চলার গতি থামাই। ছেলেটা কাছে এসে বলে –



- চলো ঘুরতে যাই! যদি তোমার আপত্তি না থাকে



আমি হ্যাঁ না কিছুই ওকে বলি না, হাঁটতে থাকি।



- আমি নিনো।



- জানি তো তোমার নাম । বলে আমি একটু হাসি । ওর গাড়িটা রাস্তাতেই পার্ক করা ছিলো। গাড়িতে ওঠার পর নিনো জানতে চায় কোথায় যেতে চাই।

- জানি না।

- বাব্বেনেএএএ ( ঠিক আছে )



এই মুহূর্তে আমার মনের মাঝে অনেক ধরণের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করার কথা। এরকম করে শুধু চোখের চেনায় কোনও ছেলের সাথে গভীর রাতে অন্তত কোনও বাঙালি মেয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বেরিয়ে পড়ে না। আমি যে পরিবারে থেকে নিয়মনীতির মাঝে বড় হয়েছি , আমার জন্য এইরকম একটা কাজ অকল্পনীয় একটা ব্যাপার। এটা কী শুধু এই দেশে আসার কারণেই সম্ভব হয়েছে নাকি আমার মনের মাঝে ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক শাসন চেপে বসার কারণে আজ সব ফুঁড়ে বের হয়েছে? এই নিনোই বা আমাকে কি ভাবছে। অনেক কিছুই ভাবতে পারে।কিন্তু নিনোর সাথে আমার বের হয়ে একটুও ভয় লাগছে না। ও খুব স্পীডে গাড়ি চালাচ্ছে রাস্তায় ইন্ডিকেট করা গতিসীমা ছাড়িয়ে। ওকে বলি - পুলিশ কিন্তু রেকর্ড করবে, আস্তে চালাও প্লিজ।

ও হাহহাহা করে হাসলো, গাড়ির গ্লাসটা খুলে দিলো পুরোপুরি।



এক ঝলক ঠাণ্ডা হাওয়ায় আমার গলায় জড়ানো স্কার্ফ আর খোলা চুল এলোমেলো হয়ে গেলে নিনো জানায় সামনে দশ মিনিটের পথ ড্রাইভ করলেই Ostia তে যাওয়া যাবে। ঐ এলাকাটা বিশেষ করে সমুদ্র তীরবর্তী হোটেল আর শপিং মলগুলো রাত্রিতে ভারী সুন্দর করে সাজানো হয়। আজ ওখানে ব্যালে ড্যান্স হবে যেখানে কিছু শ্রীলঙ্কান আর্টিস্টও থাকবে। ও আমার অনুমতির তোয়াক্কা করে না। আর যেখানে উদ্দেশ্যহীন যাত্রাই যখন গন্তব্য হয় সেখানে মতামত দেয়ার তেমন কিছু নেইও। যদিও এই মুহূর্তে আমি সব শাসনের ঊর্ধ্বে ছিলাম বা বাড়ি ফিরলে কারো বকুনি খেতে হবে এমন কোনও ব্যাপার ছিলো না, তবুও আমার মাঝে একটা অস্থিরতা বাড়ি ফেরার জন্য কাজ করতে থাকে! দ্বিধাগ্রস্ততা বা সংস্কার ? হবেও হয়তো বা। সংস্কার ভাঙার দোদুল্যমানতায় আমার ভেতরটা একটু একটু করে চুপসে যাচ্ছিলো। আমার নীরবতায় তখনো নিনো আমার দিকে অদ্ভুত এক ঘোরলাগা চোখে তাকিয়েছিলো জানতে আমি সমুদ্র দেখতে যাবো কিনা। ওর স্থির দু’চোখে একজন পুরুষের দিনরাত্রির কষ্ট যেন আঁকা ছিলো। আমি মাথাটা সিটে হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করি। বলি - চলো সমুদ্রে যাই।



চলবে ..

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার। এই পর্বটা এযাবৎকালের বেস্ট। আপনার এই উপন্যাসে যে সমস্যাটা ছিলো তা হলো খুব স্থবিরতা, একই রকম ঘটনা আর বর্ণনা বারেবারে বারেবার... এই পর্বে তা থেকে বেরিয়ে এসে অনেকগুলো ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। সাথে নতুন একটা চরিত্র। এইবার নুহা সবেগে আগাবে আশা করি।

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ।
নুহা লেখায় এত লম্বা গ্যাপ পড়েছে যে এর ভেতরের ফিলিংস টা আন তে গেলে ঝিম মেরে থাকতে হয় অনেক ক্ষণ।
দেখি আবক্র কবে শুরু করতে পারি পরের সং্খ্যা।

২| ২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নুহা জানি কে ?
চিনি চিনি মনে হচ্ছে , ওহ মনে হইছে রেজা মিয়ার বউ :P :P

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম ঠিক বলছো

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৯

সাদরিল বলেছেন: আগের পর্বগুল পড়ি নাই তাই চরিত্রগুলো বুঝে নিতে একটু সময় লেগেছে। তবে ব্লগে উপন্যাস লেকা বিশাল ব্যাপার। এমন প্রচেষতার জন্য অভিনন্দন।

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:১১

আরজু পনি বলেছেন:

অনেক গুলো পর্ব হয়ে গেছে...
ব্লগে খুব বেশি সময় দিতে না পারার কারণে পর্বগুলো সব পড়া হয় নি ।

নুহার জন্যে সবসময়ই শুভকামনা , আপনার জন্যেও বটে।

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ পনি।
আমি নিজেও খুব অনিয়মিত। তোমার জন্য ও শুভ কামনা

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: প্রেম কারে বলে । আজকে বেশকিছু গল্পে দেখলাম ভালোবাসার সাথে ঝালের দারুণ সম্পর্ক আছে । শুভেচ্ছা লেখক

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহাহা! প্রেম!!
আপনাকেও শুভেচ্ছা

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:১০

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বাব্বাহ...!
বেশ বড় আকারের লেখা, আপাতত ভালোলাগা দিয়ে মার্ক করে গেলাম ...

সময় করে অবশ্যই পড়বো...

ব্লগে ছিলামনা বেশ কদিন, কেমন আছেন??

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালই ছিলাম, ব্যস্ততায় আছি। আশা করবো আপনিও ভাল আছেন

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

মামুন রশিদ বলেছেন: নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া আর খুনসুটি, সাথে রেজার গায়ের জোড়ে নোহাকে বশ করার বৃথা চেষ্টা । সব ছাপিয়ে নোহার গভীর রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসা । অসাধারণ একটা পর্ব পড়লাম ।

২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহা কে নোহা বানিয়ে দিলেন? নামটা কত সুন্দর দেখে বের করছি জানেন!!!

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো । মাঝে মাঝে নিষিদ্ধ কিছু দুঃসাহসিকতাকেও কি ভালো যে লাগে!
নিয়মে বাঁধা সবাই। অন্যায়গুলো ভাঙা উচিত ।যা হয়ত নিজের করা উচিত, তা অন্য কেউ করতে পারছে পড়তে খুব আনন্দ হয়।
নুহা সুখী হোক ।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহার মতো এরকম সত্যি সত্যি করতে পারলে আসলেই মনে হয় ভালো হতো !!!

ভালো থাকবেন তনিমা

৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই পর্বটাকে নুহার জন্য একটা মাইলস্টোন ধরা যেতে পারে। নতুন অনেকগুলো অসমাপ্ত সুতো, সাবপ্লট এগিয়ে নিয়েছেন, সেই সাথে নুহার ভেতরের দ্বন্দ্বটা লেখার মাঝে পূর্ণতা পাচ্ছে। নিজের সাথে নিজের কথা বলার ব্যাপারটা এত বাস্তব, এবং ক্ষেত্রবিশেষে কমিকাল লাগেনি আগে। আরেকটা নতুন ব্যাপার- লেখার মাঝে ছোট ছোট টুইস্ট পাচ্ছি, আগেই ধারণা করতে পারছি না এরপর কি ঘটবে। এই রোমাঞ্চ পাঠককে টেনে রাখবে।

পরের পর্বটা কেমন হবে আইডিয়া করে মজা পাচ্ছি।

শুভরাত্রি।

০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহার সাথে তার আরেক সত্তা নুহার কথোপকথন আমি নিজেও খুব উপভোগ করি। এবার ভাবছি কয়দিন সময় নিয়ে একটু লেখালেখি করবো আর ব্লগিং। কিছুটা ফ্রী হয়েছি এখন।

শুভ কামনা

১০| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

বোকামানুষ বলেছেন: নিনো তাহলে পূর্ণরুপে গল্পে চলে আসছে

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সেরকমই তো মনে হচ্ছে :)

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম... আমি চেয়েছিলাম নুহা একটা কিছু করুক... অন্তত করার ভাণ করুক।

বিগ টার্ন নিলেন এবার! গুরুত্বপূর্ণ পর্ব, বলতেই হবে!

আগেই কোন পর্বে বলেছি যে, নুহার আত্মকথন ভালো লাগে।

সমাজের সব নুহাদের স্বগতোক্তি যদি শুনা যেতো, তবে আকাশ ভরে ওঠতো তাদের আর্তচিৎকারে :(

চলুক......

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সব নুহাদের স্বগতোক্তি শুনতে গেলে বিপদ হবে !

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

ডরোথী সুমী বলেছেন: অনেক দিন পর আসলাম। স্বাধীনতা না প্রতিবাদ? হয়তো কোনটাই নয়! পড়ে ভাল লাগলো।ধন্যবাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও অনেকদিন পর পেলাম।
শুভকামনা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.