নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহা- ২৫

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

বাসায় ঢুকে দেখবো রেজা রাগত কিংবা অস্থির হয়ে আমার বাসায় ফেরার অপেক্ষায় পায়চারি করছে ফ্ল্যাটের এ মাথা ও মাথা জুড়ে,এমনটা আমার কল্পনায় ছিলো না। তবে অন্যান্য সময় বাইরে থেকে বাসায় ফিরে আসলে আমার মাঝে যে প্রশান্তির ভাব কাজ করতো,দ্রুত ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার জন্য উন্মুখ একটা ভাব কাজ করতো,আজকে সে ভাবটা আমি পাচ্ছিলাম না। গতকালের একটা মিসম্যানেজমেন্টের জন্যই হয়তো এতোদিনকার জমা ক্রোধ গুলো বেশ নির্লজ্জ ভাবেই চোখের সামনে চলে এসেছে। আজকে এই ঘরটাও অচেনা লাগছে। ইতালি আসার পর গত বছর আগে মাত্র একবারই বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে এই ঘরটাকে আমার ভীষণ অচেনা মনে হয়েছিলো,আর এখন আমি সেই অনুভূতিটাই পাচ্ছি,একটা অচেনা অনুভব আমাকে অস্বস্তি দিচ্ছিলো। মনে হচ্ছে অপরিচিত কারো বাসায় রেস্ট নিতে থেমেছি। শোবার ঘরে ঢুকে বারান্দার দরজাসহ খুলে দিলাম। বিছানার উপরে এলোমেলো হয়ে রেজার কম্বল,গত রাতের কাপড়চোপড় পড়ে আছে। ঐ বিছানাটায় শুতেও গা কেমন রি রি করছে।



আমি আলমারি থেকে চাদর আর বালিশের কাভার বের করে বদলে নিলাম। রেজার বাসি কাপড় বাস্কেটে রেখে দিলাম,মনে চাইলে সেগুলো ওয়াশ করিয়ে আনবে হোটেল থেকে। ইসশ কতদিন হয়েছে আমি ঘর মুছি না! নাহ্‌ এখন আর ঘর মুছবো না,রান্নাঘরের দরজার পেছনে ঝাড়ু রাখা আছে,ঝাড়ু দিলেই চলবে শুধু। আমি মোবাইলটা ব্যাগ থেকে বের করে রিঙ্গার অন করে চার্জে দেই,ব্যাটারিতে চার্জ শেষ হবার পথে। রেজা এর মাঝে আরও কয়েকবার ফোন দিয়েছে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে মা আর ভাইয়ার ফোনও এসেছে। হাহহাহা নিশ্চয়ই রেজা গতকাল বা আজকে সকালে আমার মা বা ভাইকে কিছু জানিয়েছে আমার ব্যাপারে, দায়িত্ববান স্বামীর পরিচয় দিয়েছে! যা খুশী করুক গে,হু কেয়ারস। আমার মাঝে গুনগুনিয়ে গানের কোনও সুর বোধ হয় খেলা করছে। আমি গুনগুন করতে থাকি।



- বাহ্‌ নুহা খুব ফুরফুরে মুডে আছো নাকি ?



- ওহ তুমি এসে গেছো ? ভালো তো ! খারাপ কেন থাকবো তাই বলো !



- নাহ্‌ কী আর বলবো ! সারারাত বাইরে কাটালে তোমার দোষ হয় না আর তোমার স্বামী লিয়ানার সাথে শুয়ে এলেই দোষ হয় কীভাবে সেটাই ভাবছি। ভাবনা শেষে জানাবো।



- ভাবতে থাকো। কিছু যায় আসে না। তবে যদি ভেবে থাকো আমি নিনোর কিংবা নিনো আমার প্রেমে পড়েছে, সেটা ভুল ভাবনা হবে। এখন ভাগো তো এখান থেকে।



- প্রেমে পড়লেই বা দোষ কী? তুমি তো শরীরের চেয়ে মনের উপর বেশি জোর দাও,স্বামী থাকতেও যে নারী সন্যাস ভাবনায় ডুবে থাকে,শরীর যার সাড়া দেয় না,সে দশ বিশ জনের সাথে বাইরে ঘুরে বেড়ালেই কী !এর চেয়ে নিনোর সাথে প্রেম করো, ভালো হবে।



- হেই মাইন্ড ইওর ল্যাংগুয়েজ। গেট লস্ট !



- আচ্ছা তোমরা মানুষরা রেগে গেলে ইংরেজি বলো কেন ? হাহাহহাহাহা



আমি কাপড়চোপড় বের করে শাওয়ার নিতে ঢুকি। জ্বরটা ছেড়ে যাওয়াতে আর হেঁটে হেঁটে বাসায় ফেরা, ঘর ঝাড়ু দেয়ার কারণে একটু গরম লাগছিলো এখন। গা কেমন ঘামছে। তাই সময় নিয়ে গোসল সারি। গোসল করতে করতেই খিদে খিদে ভাব উঁকি দিচ্ছে পেটের ভেতর। এখন রান্না করে খাবার মতো ইচ্ছে নেই। রুটি, দুধ যাইই আছে, খেয়ে ঘুম দিবো। শ্যাম্পুর বোতলে দেখি শ্যাম্পুও প্রায় শেষ। কিনতে হবে, কিন্তু হাতে তো টাকাও ফুরিয়েছে। টাকার জন্য রেজার কাছে হাত পাতবো ! ওহ মনে পড়েছে, আইরিন তো বাসা ভাড়া বাবদ পাঁচশো ইউরো দিয়েছিলো যা রেজা আমার কাছেই রাখতে বলেছে। গ্যাস বিল দিতে বলেছিলো পোস্ট অফিসে গিয়ে। হাতে টাকা পয়সা না থাকলে মেজাজটাই বিগড়ে যায়। ইশশ ভাতটা চুলায় বসিয়ে এলেই পারতাম! কী আশ্চর্য আমার মাথা থেকে খাবার চিন্তা যেন নামছেই না। শাওয়ার সেরে নিয়ে বারান্দায় আসি টাওয়েল মেলে দিতে কাপড় ছড়াবার হ্যাঙ্গারে। দুপুরের এই সময়টা কেমন ঝিম ধরা। চারদিক শুনশান হয়ে যায়। তিন তলার বারান্দায় কিয়ারা খেলছে মনে হয়। ওর হাসির আওয়াজ পাচ্ছি। আমি আমার বারান্দা থেকে ঝুঁকে কিয়ারাদের বারান্দার দিকে তাকাতে চেষ্টা করি। কিয়ারা, কিয়ারা বলে দুই একবার ডাকি। কিয়ারা আমাকে সালুতে বলে সম্ভাষণ করে। ওকে জিজ্ঞেস করি কী খেলছ? ও উত্তর দেয় -



- জকাতলি ( giocattoli - খেলনা ) দিয়ে খেলছি । বাবা বারবির জন্য একটা বাড়ি কিনে দিয়েছে। পিঙ্ক কালার।



- ওকে। ভালো থেকো পরী মেয়ে। চাও



ছোটবেলায় আমিও পুতুল দিয়ে খেলতাম। আপার পুতুলগুলো সব আমি নিয়েছিলাম,হাঁড়িপাতিলও। স্কুলের কিছু মেয়েদের সাথে খেলতাম ওর বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাসায় ফিরলে। আপা বলতো,ওরা তোর বন্ধু না। বন্ধু হলে কী হাঁড়িপাতিল চুরি করে নিয়ে যেতো নাকি? একটা সময় আপার হাঁড়িপাতিলের খেলনা গুলো না দিলেও পুতুলগুলো দিয়ে দিয়েছিলো। মনে আছে আমার শিক্ষক কমল আপা আমাকে একটা পুতুল বানিয়ে দিয়েছিলন কাপড়ের সুতার কাজ করা চোখ,ভ্রু,চুল আর ঠোঁটটা ছিল লাল সুতার। কী সুন্দর সেই পুতুল। আমরা জুতোর বাক্সে পুতুলের ঘরবাড়ি বানাতাম। ভাবতেই নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছি। তখন হয়তো ক্লাস থ্রী ফোরে পড়তাম। আর এখনকার বাচ্চারা কতো আধুনিক বাড়ি ঘরের মতো ডামি দিয়ে খেলে। সময়ের বিবর্তনে আধুনিকতা! বারান্দায় এসে দুই তলায় নিনোদের বারান্দার দিকে চোখ গেলো,এমনিতেই,যদিও এখন নিনোর থাকার কথা না। থাকলে কী করতা ?



- উফফ নুহা যাও তো ! কী আবার করতাম, কিছুই করতাম না



- তাহলে নিনোর কথা ভাবো কেন?



- আমি ভাবলে তোমার কী? অসহ্য। আমি রান্নাঘরে আসি।



ভাত রান্না করতে হবে। দুই পট চালের পরিমানে ভাত বসিয়ে দেই একেবারে রাতের জন্য সহ। ফ্রীজ থেকে এক পিস ইলিশ মাছ বের করে পানিতে ভিজিয়ে রাখবো চিন্তা করে যখন ফ্রীজ খুলতে নিলাম, আমার জন্য দেখি আরেক বিস্ময় রেজা ফ্রীজের গায়ে ঝুলিয়ে রেখে গেছে। এটা তো সে শোবার রুমে রাখলেও পারতো। স্কচ টেপ দিয়ে আঁটা একটা কাগজ ফ্রীজের গায়ে লাগানো। আহারে আমার কেনা নতুন খাতাটার একি পরিনতি ! হাহাহাহা। মাছের টুকরোটা পানিতে ভিজিয়ে আমি চেয়ারে বসি ভাতের চুলার আঁচটা কমিয়ে দিয়ে। হাতটা মুছে রেজার চিঠিটা খুলি। চিঠির গায়ে উপরে লেখা ছিলো -

" তোমার জন্য "। ঢং কতো !

" নুহা,



তুমিই আমার আপন হইতে পারলা না,সবচেয়ে দূরের মানুষ হইয়া যাইতাছো। আমার অপরাধ কী?আমি তোমার মতো শিক্ষিত না,সুন্দর কইরা কথা বলতে পারি না এই তো ?এখন নিশ্চই কইবা আমি মিথ্যা কথা বলি,বান্ধবী নিয়া ঘুরি ! বান্ধবী নিয়া ঘুরি আর যাইই করি,অন্য পুরুষদের মতো তো দুই তিনটা বিয়া করি নাই। আর লিয়ানার সাথে আমার সম্পর্ক তো আজ নতুন না, বারো বছরের সম্পর্ক,সে আমার বন্ধু,চাইলেই তাকে ছাড়তে পারি না। তাই বলি,মাইনা নাও যেভাবে যা চলতাছে। আর আমিও চেষ্টা করতাছি ওর কাছ থেকে মুক্ত হতে কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব নিয়া তুমি কিছু বলতে পারবা না।



অনেক রাত হইছে। জানি না তুমি কই যাইয়া ঘুরতাছো এতো রাতে। একদিন তুমি আমারে বলছিলা,তোমার মাথায় রাগ উঠে গেলে আমি যাতে কখনোই তোমারে না আটকাই,রাগ কমলে তুমি এমনেই ফেরত আসবা। সেই কারণেই আমি তোমাকে আটকাই নাই যখন তুমি আমার চোখের সামনে দিয়াই বের হইয়া গেলা। নাইলে আমি কী পুলিশরে ভয় পাই নাকি? তোমার মতো এমন একটা হাঁটুর বয়সী মেয়েকে এক চিপা দিয়া ধরলে হাত পা নাড়াইবার ক্ষমতা থাকবো না আর তুমি আমার সাথে দেখাও জিদ।



বাসায় আইসা জানি দেখি তুমি স্বাভাবিক আচরণ করতাছো। অনেকদিন তোমারে ধইরা ঘুমাই না।



ইতি

রেজা "




চিঠিটা পড়ে আমার রাগে গা জ্বলছে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই এক কথা " মেনে নাও "। মানবোটা আমি কী? ওর লিয়ানার অবৈধ সম্পর্ক? ওর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো যে ও আমাকে খাওয়াচ্ছে,পরাচ্ছে,বিশ্বের একটা উন্নত দেশে এনেছে এই কারণে শুধু মাত্র? এখানে আর কিছুর দরকার নাই? ভাতের মাড় চুলায় পড়ে ছ্যাত ছ্যাত আওয়াজ হওয়াতে চুলায় চাপানো ভাতের কথা মনে পড়ে। ভাতের মাড়টা ঝরাতে দিয়ে আমি ইলিশ মাছে হালকা হলুদ আর মরিচ মাখিয়ে ভাজতে দেই ফ্রাইপ্যানে,আর একটা পেয়াজ কুঁচিয়ে নেই সাথে ধনেপাতা। খেতে বসে টের পাই কতটা ক্ষুধার্ত ছিলাম আমি। নাহ্‌ খেতে বসে অন্য কিছুই ভাববো না। এতো ভাবনা চিন্তা করতে করতে আমার ছোট মাথাটা আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না ইদানীং।



খাওয়া শেষে প্লেট ধুয়ে আমি শোবার ঘরে ঢুকি। খাটে বসে মাথাটা হেলান দিয়ে রাখি একটা বালিশে আধা শোয়া হয়ে। খেয়েই সাথে সাথে বিছানায় যাওয়া ঠিক না তবুও ভালো লাগছিলো না ঘরে পায়চারি করতে। কর্ডলেসটা টেনে নেই শবনমকে ফোন করতে। ওপাশে রিসিভ হতেই বলি -



- কি রে কেমন আছিস ?



- তার আগে বল তুই কেমন আছস? মোবাইলে এতবার ফোন দিলাম ধরস না কেন?



- ভালো ছিলাম না রে। শরীরটা ভালো নেই। খুব জ্বর আর মাথা ঘুরায়। তোর কি অবস্থা? এখন শরীরটা একটু ভালো?



- আছি ভালোই মরার অসুখ নিয়া। কাল তোরে নিয়ে খুব খারাপ স্বপ্ন দেখছি রাত্রে। টেনশন হইতাছিলো তাই তোরে অনেকবার ফোন দিছি। তার উপর তোর জামাই ফোন দিছে, আমি তো আরও ভয় পাইছি। তারে তো আর জিগাইতে পারি না সে ফোন দিছে কেন।



- হহাহহা তাই নাকি? কী বলে ফোন করে?



- এমনেই কয়,ঐদিন শুনলাম আপনার হাসপাতালে যাইতে হইছে তাই খোঁজ খবর নিলাম এখন কেমন আছেন। আর কইলো বাসায় আইসা বেড়াইয়া যাইতে। কিন্তু এরে কেমন জানি বিমনা বিমনা লাগলো। তোর জামাই কি বাসায় নাকি ?



- আরে নাহ্‌,কাজে গেছে।



শবনের সাথে আজ আমার কথা অন্যান্য দিনের মতো জমে ওঠে না বলেই ও বারবার জানতে চায় - কি রে নুহা,সত্যি করে বল তো তোর কি হইছে? তোকে এমন লাগে কেন ?



আমি শুধু হাসি। ও আমার হাসিতে আরও বিভ্রান্ত হয়। এক সময় বলি - এখন রাখি রে শবনম,ঘুম পাচ্ছে,ঘুমাবো।



শবনমের ফোন রেখে দেয়ার পর মনে পড়ে সন্ধ্যায় তো আইরিনের এ বাসায় ওঠার কথা। এখন ঘুমিয়ে গেলে রাত আটটা নয়টার আগে ঘুম ভাঙবে না। যেহেতু তার কাছ থেকে বাসা ভাড়ার জন্য অগ্রীম টাকা নিয়েছি অন্তত তার রুমটা ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে একবার হলেও মুছে দেয়া দরকার আর আলমারির ভেতর থেকে পুরনো জঞ্জালও পরিষ্কার করতে হবে। বিছানায় আধা শোয়া হয়ে থাকতে আরাম লাগলেও উঠে বসি। কোণার দিকের ঐ দরজাটা খুলতেই একটা গুমোট ভাব টের পাই। জানালা খুলে দিয়ে আমি রান্নাঘর থেকে ঝাড়ু নিয়ে আসি আর বালতিতে পানির সাথে ঘর ক্লিনের মেডিসিন মিশিয়ে নেই। ঘর ঝাড়ু বা মোছার আগে আলমারিটা পরিষ্কার করা দরকার ভেবে আমি আলমারিটাই আগে খুলি। পুরনো একটা কম্বল, রেজার ব্যবহৃত কিছু কাপড় বের করে একটা কাপড়ের টুকরো দিয়ে আলমারির তাকগুলো মুছে নেই। ড্রয়ার খুলে দেখি কিছু পুরনো বিলের কপি, কিছু অন্যান্য এডভারটাইজমেন্টের কাগজ আর একটা এনভেলাপ। অনেক ধুলো পড়ে আছে এনভেলাপটায়। ধুলো ঝেড়ে প্যাকেটটা খুলতেই দেখি কিছু ছবি। রেজার ছবি। যে সময়টায় এই ছবি তোলা রেজা তখন মিলানে বেড়াতে গিয়েছিলো। তীব্র শীত পড়েছিলো বলে আমি সে সময়টায় বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম, ওর কাজের চাপ আছে ও যেতে চায়নি। ছবিতে তারিখটা দেখে হিসেব করলাম। একটার পর একটা ছবি দেখতে দেখতে এমন কিছু ছবি মাঝে এসে পড়ে যার জন্য প্রস্তুতি ছিলো না অবশ্য। রেজা আর লিয়ানার ছবি। আমাকে সে সময় ও বাংলাদেশেও ফোন করতো। অবশ্য ফোনে তো আর দেখা সম্ভব না ও কাজ শেষ করে বেরিয়ে ফোন করলো নাকি লিয়ানার কোমর জড়িয়ে গল্প করতে করতে ফোন দিতো।কিন্তু আমার সাথে এতো নাটক, লুকোচুরির মানে কি? একেকটা ছবিতে কী পোজ মেরে মেরে তুলেছে ! আমি যে ওর বৌ তাও তো কখনো ওর সাথে এভাবে ছবি তুলিনি!



- এজন্য বুঝি কষ্ট হচ্ছে? হাহাহহা কী দুঃখ!



- ধ্যাত বিরক্ত করবে না। যাও এখান থেকে



- যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবে নিশ্চয়ই? ভালো ভালো। যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আগে একবার নিজের দিকে তাকিও। গত রাত্রে তুমিও খুব একটা ভালো কাজ করো নি কিন্তু। অচেনা একটা ছেলের সাথে ধেই ধেই করে ঘুরতে চলে গেলে। তুমি অসুস্থ ছিলে বলে রক্ষা, আর যদি অসুস্থ না হতে তখন কী হতো?



- কী হতো? নিজের গলার আওয়াজই আমার কাছে অচেনা লাগে। কেমন কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে নুহাকে জিজ্ঞেস করি।



- স্রোতের জলে ভেসে যেতে। হহাহহাহা। ওর এমন ঘর কাঁপানো হাসি শুনে আমার ভয় লাগে। আরে নুহা তুমি নিজেও তো উপোসী। রেজার সাথে শারীরিক সম্পর্ক হচ্ছে ঠিকই কিন্তু মন থেকে তো তুমি উপভোগ করছ না। আর নিনোকে তো তোমার ভালোই লাগে। ওর সাথে ইন্টেমেসি হলে মন্দ হতো না অবশ্য



আমিও ভাবি, অন্তত ভাবতে চেষ্টা করি। কাল কি জ্বরের ঘোরেই এমন করে নিনোর সাথে বেরিয়ে গিয়েছিলাম? নাকি রেজার পৈশাচিক আচরণে একটু একটু করে আমার ভেতরটা গতকাল রাতে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলো? আমি কি রেজাকে ভালোবাসতে চেষ্টা করিনি? ও তো সেই বিয়ের আগে থেকেই লিয়ানার সাথে জড়িয়ে আছে! আর কতো আমি নিয়মনীতি মেনে চলবো? এভাবে জোড়াতালি দিয়ে আর যাই হোক, সংসার হয় না। সেটা রেজা বোঝে না আর বোঝে না বলেই ও কখনো নিজেকে বদলাতে চায়নি। ইউরোপিয়ান হাওয়া গায়ে লাগিয়েই চলেছে আজ অবধি। সে যাই হোক, লিয়ানা যতই টুপি আর মাফলার দিয়ে ওকে আবৃত করে রাখুক, ওর কাঠামো আমার চেনা আর কিছু ছবি তো হোটেলের রুমেই তোলা। কিন্তু রেজা এসব ওর কাছে রেখেছে কেন ঠিক বুঝলাম না। সরাসরি আমাকে চলে যেতে বলতে পারছে না বলে একে একে ওর জাদুর ঝাঁপি খুলছে নাকি? তাহলে আমাকে বিয়েই বা কেন করলো! আমাদের গ্রামের ছেলে, চেনা ঘর, বংশ পরিচয় দেখেই না আমাকে ওর সাথে বিয়ে দিলো আমার পরিবার। আর এখন এসব কী দেখছি? জানি মা বাবাকে এসব বলে বা জানিয়ে লাভ নেই তবুও জানানো দরকার তাদের মেয়ের আদরের জামাই সম্পর্কে। আমার বাবা খুব কষ্ট পাবে শুনলে। কিন্তু এভাবে কী করে ঘর করা সম্ভব এর সাথে। লিয়ানা যদি রেজার অতীত কাহিনী হতো আমার কিছু বলার থাকতো না। কিন্তু এ তো এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি ইচ্ছে করলেই ওকে হয়রানি করতে পারি এ দেশের আইনের সহায়তায় কিংবা আত্মীয়দের দিয়ে কিন্তু তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে কী ফাটলের দাগ মুছে যায়?



আলমারির বাতিল কাপড়চোপড়, কম্বল এগুলো নিয়ে আমি একটা বড় পলিথিনে ভরে আমাদের ফ্ল্যাটের মেইন গেটের কাছে রাখি আর বাকি কাগজপত্র নিয়ে রান্নাঘরের ময়লার বাস্কেটে ফেলে দেই। ঐ রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরো হাঁপিয়ে গেছি। এনভেলাপে রেজা আর লিয়ানার ছবি গুলো ভরে শোবার রুমে গিয়ে খাটের পাশের সাইড টেবিলে রেখে আমি ফ্রেশরুমে যাই হাত ধুয়ে আসতে। হাত ধুতে ধুতে মনে পড়ে আমাদের এই ফ্ল্যাটের বড় সমস্যা হচ্ছে ফ্রেশরুম মাত্র একটা। এই যে মহিলা কে ভাড়া দেয়া হলো, নিশ্চয়ই এই ফ্রেশরুমে যাওয়া আসা নিয়েও একটা সমস্যা হবে। আর সমস্যা না হোক, বাইরের একটা মানুষ এ বাসাটায় হাঁটাহাঁটি করবে, যখন তখন বারান্দায় আসবে, রান্নাঘরে আসবে। ধ্যাত! ভাবলেই মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়।



- হাহহাহাহহা মেজাজ খারাপ হবেই তো! টাংকি মারা বন্ধ হয়ে যাবে যে নিনোর সাথে ! হাহাহহাহা



- ধ্যাত কী সব বাজে কথা বলছো! টাংকি কবে মেরেছি আমি ওর সাথে! আর এগুলো কী ধরণের নোংরা ভাষা !



- টাংকি মারোনি বলে যে এখন মারবে না তার নিশ্চয়তা কি !



চলবে...





মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: চালিয়ে যান।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক আছে। চালাতে চেষ্টা করছি

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

বোকামানুষ বলেছেন: নুহা ২৫ পর্বে চলে আসছে আমি তো দেখিই নাই :-/

যাই আগের ২ পর্ব পড়ে আসি

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহহাহা , ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: Khüb bhalo

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ দ্বীপ

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

বোকামানুষ বলেছেন: আমাদের দেশের অভিবাবকরা ইউরোপ-আমেরিকার পাত্র পেলেই অস্থির হয়ে যায় একবার ভেবে দেখে না ওইসব দেশে থাকলেই একজন অল্প শিক্ষিত ছেলের মানসিকতা, আচরণ পরিবর্তন হয় না আর তার সাথে এখানে ভাল পড়াশুনা করা রুচিশীল একটা মেয়ে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা |-)

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এটা ঠিক , অনেক অভিভাবক ইউরোপ আমেরিকার প্রবাসী পাত্র পেলে বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক সময় আগপিছ ভাবেন না । শিক্ষা মানুষ কে মসৃণ করে আচরণের ত্রুটি ঢাকতে, মনের প্রসারতার দিকটি আলোকপাত করতে। তবে শিক্ষিতদের মাঝেও রুচির অভাব দেখা যায় বৈকি !

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মুখোমুখি কনফ্রন্টেশন হয় নাই, হলে কি হয় দেখা যাক।

রেজার সাথে সম্পর্ক এই পর্বে এসে মনে হয় নিশ্চিত কাট্টি গেল :)

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এর পরের পর্ব টা লেখা আছে । মাঝে মাঝে আমাদের মাঝে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে কিন্তু সাহসের অবাহবে পদক্ষেপ টা নিতে একটু দেরী হয়ে যায়। নুহা কনফিউজড থাকে বলেই তার আরেক সত্ত্বার সাথে বেশীরভাগ সময় কথা বলে। এর আগের পর্বে আপনি বলেছিলেন নুহা নিনোর সাথে আবার গাড়িতে চড়ে বসলো বা শেষ বারের মতো কিনা -- আমি কেন এমনটা লিখেছি বা তাদের একে অপরের প্রতি শারীরিক আকর্ষণ টা দেখা গেলো না, এমন টা কেন ! আসলে নুহা বা নিনোর যোগাযোগ টা চার চোখের দৃষ্টি বিনিময়ের মাঝেই কিংবা একে অপরের উপস্থিতি অনুভবের মাঝেই সীমাবদ্ধ দুই বারান্দা থেকে। সরাসরি এতো সময় কাটানো বা কথা বলা হয়ে ওঠে নি বা সেদিন যে নুহার গভীর রাতে বের হয়ে যাওয়া এসবই তাৎক্ষণিক! তাই হয়তো শারীরিক সেতু টা আসেনি !

দেখা যাক নুহা ফাইনালি কোথায় যায়। সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: নুহার সাথে রেজার সম্পর্কের মতোই লেখাটিও মনে হয় একটা সেটলমেন্টের দিকে যাচ্ছে । আপনার লেখা মুগ্ধতা নিয়ে পড়ি । কিন্তু অনিয়মিত পোস্ট করার জন্য মাঝে মাঝে খেই হারাই, মাঝে মাঝে ঘটনা প্রবাহের ধারাবাহিকতা ভুলে যাই । পাঠক বুড়ো হলে যা হয় আর কি!

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকদিন পর কারো কাছে শুনলাম কেউ আমার লেখা " মুগ্ধতা " নিয়ে পড়ে! চেষ্টা তো করি লিখতে কিন্তু লেখায় মন বসে না এটা একটা সমস্যা । বুড়ো পাঠকরা আরও নিবিড় ভাবে পড়ে আমার কাছে তথ্য আছে মামুন ভাই ;)

৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

আমি যে ওর বৌ তাও তো কখনো ওর সাথে এভাবে ছবি তুলি নি! এটি হলো এ পর্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উক্তি আমার মতে। একজন নারীর পক্ষেই এভাবে মনের আক্ষেপ বা আকুলতা প্রকাশ করা সম্ভব।

নিজের সাথে কথোপকথনে নুহার নিজের দোষত্রুটি বেরিয়ে আসছে। টাংকি মারো নি বলে যে এখন মারবে না তার নিশ্চয়তা কী! নুহা মনে হয় রেজার সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেও ফুর্তিতে মত্ত হতে চাইছে, নিজের কাছ থেকেই তার বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে মনে হয়। আগামী পর্বে নিনোর সাথে এসব দেখা গেলে মন্দ হবে না।

অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়েছে রেজার চিঠির ভাষা। এটি মোটামুটি কথ্য ভাষায় লিখিত। কিন্তু এ পর্বের শুরুতে রেজা যে-ভাষায় কথা বললো, তা পরিশুদ্ধ। চিঠিতে জানা যায় রেজা নুহার মতো শিক্ষিত নয়। রেজার এই কম-শিক্ষিত ভাবটি বোঝানোর জন্যই কি রেজার ভাষার এই পরিবর্তন? আমার মনে পড়ে না অন্যান্য পর্বে রেজার ভাষারূপ কেমন ছিল। কিন্তু সার কথা হলো, কম শিক্ষিত হলেই যে সে কথ্য ভাষায় কথা বলবে সেটা ঠিক না। উচ্চ শিক্ষিতরাও কথ্য ভাষায় কথা বলে। এখন যেটি করা দরকার তা হলো, রেজার চিঠির ভাষা আর তার কথার ভাষার মধ্যে মিল রাখা। রেজা যদি সব সময় কথ্য ভাষায় কথা বলে, তাহলে তার চিঠির ভাষা শুদ্ধ হলে ক্ষতি নেই, লেখ্যরূপে শুদ্ধ ভাষাই সুমানান। কিন্তু কথা বলার সময় শুদ্ধ ভাষা বলে কিন্তু চিঠিতে লেখে কথ্য, এটা বড্ড বেমানান।

খুব বেশি ডিটেইলসে না গিয়ে গল্পের সংঘাত বা সাসপেন্স সৃষ্টির দিকে আরও বেশি মনোযোগী হলে গল্প উতরে যাবে মনে করি।

শুভ কামনা আপু।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলে রেজার সাথে পাল্লা দিয়ে ফুর্তি করার দিকে আলোকপাত করিনি । মাঝে মাঝে কিছু সময় আসে না যে মাথাটা ফাঁকা হয়ে যায়, তখন অতীত ভবিষ্যৎ না ভেবে " রাইট নাউ " বলে যে ব্যাপারটা থাকে আমরা সেটাই করি অনেকেই। আর দীর্ঘদিন একি অবস্থার মাঝে যেতে যেতে মানসিক সংঘাতে অনেকেই তো আমরা বিদ্রোহী হয়ে উঠি, আমি ব্যাপারটা ওইভাবে দেখি তাই হয়তো নুহার মাঝে সেটা চলে এসেছে চরিত্র ধরতে গিয়ে।

আর রেজার চিঠির ভাবনা নিয়ে আপনার ব্যাখ্যাটা ভালো লাগলো ভাইয়া। রেজা স্বল্প শিক্ষিত বলে কথ্য ভাষায় চিঠি টা চলে আসছে বা দেখানো হয়েছে সেটাও আন। রেজা খুব কমই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে বা নুহার সাথে খাতির জমাতে বা বিয়ের পর পর শুদ্ধতেই বলতো। এটা রিকল করতে গেলে আপনার হয়তো আবার পড়তে হবে শুরু থেকে। তবে পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।

আমি অল্প কথায় কেন যেন ভাবটা ফুটিয়ে তুলতে পারি না, এটা আমার একটা কমতি হতে পারে। দোয়া করবেন যাতে লেখালেখিতে একটু মনোযোগ দিতে পারি, এটা আমার নিভৃত ভালোবাসার একটা জায়গা।

ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকবেন।

৮| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: নূহার সাথে নিনোর একটা ইন্টিমেসি হলে মন্দ হয়না । রেজা যদি নূহাকে সত্যিকারের ভালোবাসে তবে সে লিয়ানার সাথে একটা সমাধানে পৌছে নূহার কাছেই ফিরতে চাইবে ।

রেজার চিঠির ভাষাটা ভালো লেগেছে । আর নূহার নিজের মনগড়া কথোপকথনগুলো ।

চলবে ...? চলুক । বেশ হবে তাহলে ।

:)

২২ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহার সাথে আরেক নুহার কথোপকথন টা আমিও উপভোগ করি। দেখা যাক নিনোর সাথে নুহার ইন্ট্যামেসি করানো যায় কিনা।

ভালো থাকবেন রিবর্ণ

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

আমিজমিদার বলেছেন: চিন্তা করছিলাম এই সিরিজ শেষ হইলে একেবারে কমেন্ট করমু :P কিন্তু কৈরা ফেললাম, ভালা লাগতাসে জানান দেওয়া দরকার।

চলুক।

২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চুপি চুপি পড়ে শেষ পর্যন্ত জানান দিলেন তাই ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ জমিদার সাহেব

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৮

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভয়ানক চিঠি! এপর্বে নুহা-টু-নুহা আলাপন ছাড়া বিশেষ কিছু নেই। রেজার যে বয়স বেশি এবং শিক্ষা কম, তা আগেই জানতাম। তবে চিঠির ভাষা ভয়ংকর! সাসপেন্স তৈরির জন্য মোক্ষম।

প্রকাশিত সব পর্ব শেষ করলাম। দেখি, আপনার ‘নিভৃত ভালোবাসার জায়গাটি’ কতটুকু আনন্দ দিতে পারে পাঠককে।

শুভেচ্ছা.... :)

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাঝে মাঝে বাস্তবতা সাস্পেন্স মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় যদিও!

শুভকামনা রইলো

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

অনুমনু বলেছেন: নুহা-২৬ এর অপেক্ষায়...

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চেষ্টা করবো আজকে দিতে।

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

বোকামানুষ বলেছেন: নুহা-২৬ কি আর পাবো না :(

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকদিন একটা গ্যাপ হয়ে গেছে নুহা না লিখে লিখে। সেই গ্যাপ কমাতে হলে আমাকে আবার লেখালেখিতে সময় দিতে হবে। তবে খুব ভালো লাগলো নুহার খোঁজ নিতে এখনো আমার ব্লগ বাড়িতে ঢুঁ মারেন। শুভকামনা আপনার জন্য

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

মোঃ আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেছেন: রাতে পড়তে পড়তে কখন ঘুমিয়ে পড়ি খেয়ালে নাই।সকালে উঠে বিছানা ছাড়ি নাই,ভাবসিলাম নুহা শেষ কইরাই নাস্তা করবো :(

কিন্তুু লেখিকা ধোঁকা দিল :((

নুহা পড়ে আশাপূর্ণা দেবীর বকুলকথা,সূবর্ণলতার স্বাদ পাচ্ছিলাম কিছুটা।

আশা করি নুহার একখানা ভালো সমাপ্তি ঘটবে

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কই আশাপূর্ণা দেবীর বকুলকথা,সূবর্ণলতা আর কই নুহা!!!! আশাপূর্ণা দেবীর এই সিরিজটা আমার প্রিয় বইগুলোর মাঝে অন্যতম।
নুহার কাহিনী লিখে এই জীবনে শেষ করে উঠতে পারবো কিনা আমার সন্দেহ আছে। লেখক বড়ই অলস!

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

মোঃ আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেছেন: পাম দিলাম :D বুঝেননা কেন

:P

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.