নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন বিষয়ক বিভ্রম

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কী কারণে আমাকে হাসপাতাল যেতে হয়েছিলো কিন্তু আমাকে হাসপাতাল যেতে হয়েছিলো শুধু এটুকু বুঝতে পেরেই আমার ভেতরটা বরফ শীতল হয়ে গিয়েছিলো। কী রকম ধরণের ভয় এটা আমার পক্ষে লিখে বোঝানো সম্ভব না, দুই একটা উদাহরণ দেই। আমি একমাত্র আমার বাবাকে ছাড়া আর কোনো মৃত মানুষ ছুঁয়ে দেখিনি। বাবাকে শেষবারের মতো যখন কাফনে মুড়িয়ে খাটিয়ায় শোয়ানো হয়েছিলো, দেখেছিলাম তার শরীরে কর্পূর ছড়িয়ে আছে। কৃষ্ণ বর্ণের মানুষটার চেহারা সাদা সাদা হয়ে ছিল জায়গায় জায়গায় কর্পূর ছিটিয়ে থাকার কারণে। আমি ঘোলা চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, মাথার দিকে কাফনের মোড়ানো মুখটা খুলে বাবার গালে আমার দু'হাত ছুঁইয়ে রেখেছিলাম আর কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম। শরীরটা তখন ঠাণ্ডার জমানো একটা ভাব নিয়ে শীতল নিথর হয়ে পড়েছিলো! আমি আজ হাসপাতালে গিয়ে প্রথমে ঐ ধরণের একটা কাঁপুনি অনুভব করি। শীতল, নিথর ধরণের অনুভবের কাঁপুনি।



এরপর আমার চোখে ভেসে ওঠে পত্রিকায় দেখা এক মৃত নারীর অল্প হা করা মুখের ছবি। হাঁটু মুড়ে মেয়েটাকে শুয়ে রাখা হয়েছিলো কিন্তু ঘাড়টা কাত করে ঘোরানো থাকায় হঠাৎ দেখলে মনে হবে কেউ বুঝি ফট্‌ শব্দ করে ঘাড় মটকে দিয়ে গেছে। মেয়েটার ঠোঁটের কোণ বেয়ে রক্তের একটা ক্ষীণ ধারা শুকিয়ে চিবুকের কাছটায় এসে কালচে হয়ে গেছে। মৃত্যুর দুইদিন পর উদ্ধার হওয়া লাশটির এমন একটা ছবিই পত্রিকায় দেখেছিলাম। হাসপাতালে গিয়ে এরপরে নীল বা কালচে হয়ে যাওয়া মৃতদেহের ঐ মেয়েটির মুখ মনে পড়াতে আমার মাঝে ভয়ের চোরা একটা আতংক কাজ করছিলো।



একটা পর্যায়ে মনে হলো এটা কি আদৌ হাসপাতাল? একতলা বিল্ডিং এর পুরোটা ফ্লোর ঘুরে ঘুরে দেখে আমার মনে হলো এটা কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার যেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় রোগীদের। একটা ঘরের সামনে গিয়ে কীসের এক আতংক যেন আমার পা জোড়াকে প্রাণপণে থামাতে চাইছিল জানি না! হঠাৎ ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে একটা লোহার গেট খুলে একটা বিবর্ণ দেখতে অসুস্থ একজন অল্পবয়সী নারী তার পেট ধরে বের হয়ে আসতে আসতে আমার দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো। বললো -



" ঐ রুমে ঢুকতে হলে ইউরিন ক্লিয়ার করে ঢুকতে হবে। অনেক কষ্ট..." আঙুল তুলে নারীটা আমাকে দেখালো। সে এতোটাই অসুস্থ তার যে নিঃশ্বাস নিতে, একেকটা শব্দ উচ্চারণ করতে কষ্ট হচ্ছিলো আমি বুঝতে পারছিলাম। নারীটা যখন আঙুল তুলে একটা দরজার দিকে আমাকে ইঙ্গিত দিচ্ছিলো দেখলাম তার হাতটা কেমন ক্ষতবিক্ষত আর একটা ক্যানোলা লাগানো। সে চলে যেতে যেতে দেয়াল ধরে কিছুক্ষণ হাঁপায়, বলে -



" তুমিও আসছো ?" বলে হাসির ভঙ্গী করে। দেখে আমার মাঝে কেমন একটা অশরীরী অনুভবের ঢেউ খেলা করে।

এরপর কী করে যে আমি সেই নারীটার দেখানো ঐ রুমটায় চলে আসলাম জানি না। হাল্কা আকাশি নীল এপ্রোন পরা অল্পবয়সী নার্স আমাকে বললো -



" তোমার এই টেস্ট করা জরুরী। ইউরিন ক্লিয়ার করে আসছ? টেস্ট করতে গেলে ইউরিন দিয়ে কাপড় নষ্ট করবে না তো ? "



বলে সেই নার্সটি একটি ইনজেকশন হাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে কোমরের কোথায় যেন পুশ করে দেয়। আমার মাঝে গভীর একটা দুঃখ এসে ভর করে। নার্সটিকে আমার একমাত্র পরমজন বলে মনে হয়। ওকে জড়িয়ে ধরে আমি কাঁদতে থাকি। কেমন যেন একবার মনে হয় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি আবার মাঝ সমুদ্র থেকে মাথা ভাসিয়ে বেঁচে থাকতে চাইছি, ফুসফুস ভরে নিঃশ্বাস নিতে চাচ্ছি। আমি কাঁদতে কাঁদতে জড়ানো গলায় ওকে বলি -



কেন আমাকে এভাবে ইনজেকশন দিয়ে আমার সবুজ চারাটি নষ্ট করে দিচ্ছো। আমাকে যেতে দাও। আমি আমার স্বামীকে একটা ফোন করবো। আমার ব্যাগটা এনে দাও, মোবাইলটা ওখানে রাখা। নার্সটি খুব আদুরে গলায় আমাকে বলতে থাকে -



"এই টেস্ট না করালে তোমার শরীরের অসুখ শেষ হবে না, হরমোনের ব্যালেন্স আসবে না। তোমার সুন্দর বাবুটার মুখ দেখবে না। ইনজেকশন দিয়েছি যাতে ব্যথা না পাও, মেয়ে ঘুমিয়ে পড় তুমি! "



আমার খুব আতংকিত লাগতে থাকে। অচেতন হতে হতে আমি জেগে উঠি আবার তীব্র ব্যথায়। আমাদের তো সন্তান আছে। তবে কেন নার্সটি বাচ্চার কথা বলছে! কোন বাচ্চার কথা বলছে! আমার ভেতর কি আরো কেউ ঘুমিয়ে আছে! আমি কিছুই ভাবতে পারছি না, সব বিচ্ছিন্ন লাগতে থাকে। মনে হচ্ছে ধারালো চাকু দিয়ে আমাকে চিরে ফেলা হচ্ছে। চাকুর ফলা আমার মাংসের ভাঁজে ভাঁজে গেঁথে যেতে থাকে। আমি নার্সটিকে জড়ানো গলায় বলি -



অনেক ব্যথা... আমাকে ব্যথা দিও না। আমি ওকে একটা ফোন করবো। ও আমাদের বাচ্চাদের স্কুল থেকে আনতে গেছে... আমার গলা শুকিয়ে আসে এটুকু কথা বলতে গিয়েই। আমার মোবাইলটা এনে দাও। নার্সটি আমার হাতে মোবাইল দিয়ে বলে -

নাও ফোন করো কিন্তু এখন সব শেষ! লাভ নেই আর।



নার্সটির প্রেতের মতো হিহিহি হাসির আওয়াজ ছাপিয়ে শুনতে পাই ওদিকে ফোনের অপরপ্রান্তে ফাইয়াজ আকুল হয়ে বলছে -

আমি আসছি...ভয় পেও না । তুমি জ্ঞান হারিও না। আর একটু সময়ের জন্য জেগে থাকো। আরিয়ান,রাবি আর রাইয়ানকে স্কুল থেকে নিচ্ছি। আর একটু সময় জেগে থাকো অর্পা!



আমি যে রুমটায় আছি বুঝতে পারি না সেখানে সময়টা দিন না রাত। আমার কাছে থমকে থাকা মুহূর্ত যা অন্তহীনভাবে একই রকম আছে, থেকে থেকেই মনে হচ্ছে রাতের লুকোচুরির মাঝে অপারেশন থিয়েটার টেবিলের আলো যা ঘোলাটে হলুদের মতো দেখাচ্ছে আরেকবার মনে হতে থাকে ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের আলোর মতো। কান্নার জলে ঝাপসা হয়ে যাওয়া চোখে দেখি নার্স মেয়েটির শরীর শিশিরবিন্দুর মতোই অদৃশ্য হয়ে কোথাও যেন মিশে গেলো দরজার ওপাশে। চোখের উপর অপারেশন থিয়েটারের আলোকে এবার মনে হয় পূর্ণ চাঁদের মতো। আমার সাথে সাথে চাঁদও যেন কাঁদছে অসময়ের সঙ্গী হয়ে। নিরাকার, শব্দহীন কান্নার মতো কিছু একটা নিজের ভেতরে আটকে আমি জেগে থাকার চেষ্টায় রত থাকি। যতক্ষণ জ্ঞান থাকে আমাকে জেগে থাকতে হবে...



সমাপ্ত

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনুভূতির লেখায় অসাধারণ আবেশ । পড়তে গিয়ে মনে হলো যেন ছবি ভাসছে চোখের সামনে !

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছোটোখাটো একটা হরর শর্টফিল্ম বানানো যাইতে পারে আপনার গল্পটা নিয়া। গল্পে অজ্ঞাত পরিচয়ের মেয়েটির অজ্ঞাত অসুখ সম্পর্কে পাঠক কৌতুহলী হবে নিঃসন্দেহে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা হুবুহু স্বপ্ন ছিলো !

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার হয়েছে। দারুণ কিছু দৃশ্যপট আছে, মনে হচ্ছিল নিজের চোখে দেখছি। এই জায়গাটা অনুভব করেছি ভীষণ ভাবে ".......... কেমন যেন একবার মনে হয় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি আবার মাঝ সমুদ্র থেকে মাথা ভাসিয়ে বেঁচে থাকতে চাইছি, ফুসফুস ভরে নিঃশ্বাস নিতে চাচ্ছি......"


অনেকদিন পর লিখলে আপা।


ভালো থেকো। শুভেচ্ছা রইল :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ।

খুব দৌড়ের উপর সময় যাচ্ছে। তোর লাস্ট লেখা সহ আরো অনেকের লেখা পড়ার সময় করেই উঠতে পারছি না! লাঞ্চ টাইমেও কাজ নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে ইদানিং!

তুইও ভালো থাকিস।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: অসুখ জানতে ইচ্ছে করছে।



সুন্দর।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ তোমাকে

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
মনে হচ্ছিল অন্য কোন জগতে চলে গেছি,
চেতন আর আধো চেতনের মাঝ দ্বীপে !


ম্যালা দিন পর আপনার লেখা পেলাম।
খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে বুঝি আপুটার!

অনেক ভালোলাগা জানবেন, ধন্যবাদ। ++

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। ভয়াবহ ব্যস্ততা যাচ্ছে। আশা করি আবার ফ্রী হয়ে যাবো নেক্সট অক্টোবর ডিসেম্বরের মাঝে। শুভকামনা রইলো

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভালো লাগছে

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম ভাই

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভয়ানক দুঃস্বপ্ন। কিংবা বাস্তবের ঘোলাটে প্রতিচ্ছবি।

দুটোই বাজে। ভয়ঙ্কর।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুবুহু দুঃস্বপ্ন যা কাল্পনিক ভূতের স্বপ্ন দেখার চেয়েও ভয়ংকর! ইনসমনিয়াক ইফেক্ট !

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩১

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: কি জীবন্ত লাগলো!! দৃশ্যগুলো চোখে ভাসছে!!

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভকামনা তোমার জন্য!

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসাধারণ প্রকাশভঙ্গী। শব্দ বাক্য যেন ঘুরিয়ে আনলো হাসপাতালের স্যাঁতসেঁতে মৃত্যুপুরী থেকে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা রইলো

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫১

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
প্রারম্ভে চিরন্তন মৃত্যুর হিমশীতল ঘোর অনুভূতি ৷ সমাপ্তিতে সমাজের চরম কিছু সত্যকথন আদতে নারীকে একাই সমরে যেতে হয় আর অপেক্ষা হয়ত নিত্য সঙ্গী ৷

অসমাপ্তই কখনও কখনও নিজেকে বিবেকের প্রশ্নে বিদ্ধ করে ৷ আরষ্ট করে নিত্য ৷ হৃদবেদনার অনুভূতি ৷

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব সুন্দর করে বললেন । শুভকামনা রইলো

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

বৃতি বলেছেন: ভয়াবহ দৃশ্যকল্প।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম সেরকমই। রোজ রোজ এত স্বপ্ন দেখা হয় আর প্রতিটা স্বপ্নেই বৈচিত্র্যতা তবে ভয়াবহ ।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

নক্ষত্রচারী বলেছেন: স্বপ্নে ছোটখাট বিষয়গুলোও অনেক আতঙ্কের । আর আপনারটা তো রীতিমত ঘুম হারাম করার মত ।

শুভকামনা ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্যাপারটা আমার জন্য যথেষ্ট ভয়ের ছিল।

দুঃখিত অনেক দেরিতে উত্তর দিলাম। পাসওয়ার্ড মনে ছিল না। তাই

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

পুলহ বলেছেন: "you are not wrong, who deem
That my days have been a dream..."

আপনার পোস্ট শেষ করে প্রথমে এটাই মাথায় এলো! লেখা সাবলীল, কন্টিনিউয়াস এবং অবশ্যই টাচি। তবে সে স্পর্শ বরফের মত হিমশীতল :)
ভালো থাকবেন এবং শুভকামনা জানবেন।

All that we see or seem
Is but a dream within a dream...

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার ভয়াবহ এই দুঃস্বপ্নটা দুর্ভাগ্যক্রমে সত্যি হয়েছিল যা ভোলার মত না।
পুরনো লেখা খুঁজে পড়লেন, ধন্যবাদ আপনাকে

১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

অনুপম হাসান বলেছেন: প্রথম পুরুষের বর্ণনা
কাহিনী বেশ ভয়াবহ, তবে প্রচলিত বা গতানুগতি নয়।
যেহেতু ব্যক্তি নিজেরই তার কথা বলছে, সেহেতু রোগের ব্যাপারটা
......ক্লিয়ার না করলে বাচ্চা হবে না
অথচ পরক্ষণেই জানা গেল রুগিনীর তিনটি বাচ্চা আছে স্বামীর কথায়
বিষয় সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হচ্ছে না।
তবে বিষয়টিকে নিছক একটি দুঃস্বপ্ন হিসেবে ব্যাখ্যা করা হলে, বাচ্চা থাকা না থাকার ব্যাপারটি হয়তো গৌণ হয়ে যায়, কিন্তু সেক্ষেত্রে রোগ বিষয়ে অজানা ব্যাপারটিও পরিস্কার হওয়া দরকার।
সব মিলিয়ে, গল্পের শেষ অংশের আত্মকথন ভালো লাগল। তবে শুরুটা যেখানে হয়েছিল, সেখানে কিন্তু ফিরে যাওয়া হয় নি।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধরে নিন এটা রোগিনি অথবা অর্পার ভ্রম বা দুঃস্বপ্ন যে কারণে তার অসুখটা উহ্য রয়ে গেছে।
আপনার মন্তব্যে ভালো লাগা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.