নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।
আগের লিঙ্ক
৩।
গত কয়েকদিন ধরেই রিপা ফোন দিচ্ছিলো। ফোন রিসিভ করা হয়ে উঠছিল না। রিপা আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড। স্কুল লাইফের এই একজনের সাথেই আমার এখনও পর্যন্ত বন্ধুত্ব টিকে আছে। ওর আর আমার চলা-ফেরা, পছন্দ-অপছন্দে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিল নেই। ইনফ্যাক্ট স্কুলে ওর সাথে আমার পরিচয় ক্লাস সেভেনে এসে। ও ছিল বি সেকশনের ক্লাস ক্যাপ্টেন। বেশি ফ্যাশন আর গল্প গুজব নিয়ে থাকতো বলে ঠিক করেছিলাম আর যেই হোক অন্তত ওর সাথে কখনো বন্ধুত্ব করবো না কিন্তু কীভাবে যেন ওর সাথেই প্রথম বন্ধুত্ব হয়ে গেলো! আজকে ওকে ফোন দিয়েছিলাম লাঞ্চের ফাঁকে। জিজ্ঞেস করলাম -
কি রে কি খবর?
আমার তো অলয়েজ খবর ভালো, তোরে উল্টা খবর দিমু দেইখ্যা খুঁজতাছি কয়দিন ধইরা। তোর তো পাত্তাই নাই! ভাইবারে প্রোফাইল পিকচার দিছি নতুন, দেখছস?
হুমম, দেখছি।
সুন্দর হইছে না?
হুম সুন্দর হইছে। আমি ওকে বলি, তুই কি এইটা জানাইতেই আমারে খুঁজতাছিলি?
আরে শুধু কি এইটা? নতুন অরনামেন্ট আর শাড়ি পইড়া ছবি তুলছি হেইডি তোর চোখে পড়লো না।
ওর অবাক হয়ে করা প্রশ্ন শুনে আমি হেসে ফেললাম। বললাম - হুম অইগুলাও দেখছি। শাড়িটা সুন্দর। কালোর মাঝে গোল্ডেন পাড়। তোকে মানাইছে।
এইটারে জুট কাতান বলে। সতেরো হাজার টাকা দাম। আইচ্ছা শোন না, আমার ফেইস দেইখ্যা তোর কি মনে হয় নাই আমার স্কিনটা আগের চেয়ে অনেক স্মুদ আর সুন্দর হইছে?
রিপার চোখ আর চুলের ফ্যান ছিলাম আমি স্কুল লাইফ থেকেই। আমি ওকে দেখলে ওর চোখ আর চুলই দেখি। ওর অন্য প্রসাধনির দিকে আমার তেমন নজর পড়ে না। আমি খেয়াল করার চেষ্টা করি ওর স্কিনটা কেমন দেখাচ্ছিল ছবিতে। শুধু মনে আছে ঠোঁটে কড়া করে লাগানো ওর লাল লিপস্টিকের কথা। আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে ও মনে হয় অধৈর্য হয়ে যায়। ফোনের ওপাশে বিরক্ত হয়ে বলে ওঠে -
ঐ ভুটকি কথা কস না ক্যান?
আমিও মিছেমিছি ওকে বলি -
হুম তোর স্কিনটা সুন্দর লাগতেছিল।
হাসি হাসি কণ্ঠে ও বলে - লাগবো না আবার! আমি ম্যাক এর কস্মেটিক্স ইউজ করি। বেইজ মেকাপটার দামই সাড়ে চার হাজার টাকা। আমি কম দামীটাই কিনছি। লিপস্টিকের দামটাও অনেক। দাম দিয়া হইলেও ভালো জিনিস ইউজ করন দরকার, কি বলস ?
হুম
কানের ঝুমকাটা কেমন লাগলো? যদিও একটু ভারি টাইপের কিন্তু দেখতে অনেক গর্জিয়াস না?
হুম
ধুর কি খালি হুম হুম করস ? মুখে কথা নাই? লাঞ্চের সময় পেট ভইরা খাস নাই?
আইচ্ছা রিপা, তুই কি শাড়ি, গয়না, জুতা, কস্মেটিক্সের বাইরে আর কোনো কথা বলতে পারস না ? সারাক্ষণ চাঁদনী চক, গাউসিয়া, বসুন্ধরা, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ডের গল্প। অন্য কথা বলতে পারস না?
কি গল্প করমু, বল? আমার তো জামাই নাই, শ্বশুর বাড়ি নাই, ননদ,ননাস-দেবর কেউ নাই যে তাগো প্যাঁচাল পারুম। আমার যা কইরা সময় কাটে সেইগুলিই তো কমু, নাকি বানাইয়া প্যাঁচাল পারুম?
ওর কথা শুনে আমার বড় করে একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ে।
আমি কিছু বলার আগেই রিপা বলে, আজাইরা দীর্ঘশ্বাস ফালাইস না। আর জ্ঞান দেওন শুরু করিস না। মাস্টারনি কোনহানকার!
জামাই, শ্বশুর বাড়ি এইসব ছাড়াও তো আরো কিছু যা নিয়া তুই সময় কাটাইতে পারস! তুই মাস্টার্স কমপ্লিট করছস, তোর নিজের টাকার অভাব নাই। তুই কি পড়াশুনা কন্টিনিউ করতে পারতি না? তোর কি ইচ্ছা করে না জব করতে কিংবা কোনো বিজনেস স্টার্ট করতে? কিংবা কনস্ট্রাকটিভ কিছু নিয়া সময় কাটাইতে?
না, আমার পড়াশুনা করার ইচ্ছা নাই আর। আমার জীবনটাই মাটি হইয়া গেছে নবনীতা। আট বছর সংসার কইরা আমি কিছু পাই নাই। একটা বাচ্চাও পাই নাই। শ্বশুর বাড়ি আমার জীবন ধংস কইরা দিছে, যে ব্যাটারে বিয়া করছিলাম ফ্যামিলির পছন্দে আমি তার বউ হইছিলাম ঠিকই কিন্তু সেই মানুষটা আট বছরে আমার লগে আঠারো দিনও সেক্স করে নাই। আরও শুনবি ?
তোর ডিভোর্সের আজাইরা প্যানপ্যানানি বহুত শুনছি। বাদ দেস না এইবার। এইসব বাদ দিয়া তুই সামনে আগাইয়া আয় না! এই জন্যইতো বলি কাজ নিয়া থাক, বই পড়ার প্র্যাকটিস কর। প্রয়োজনে রান্না শিখ, কোনো রেস্টুরেন্ট ওপেন কর কিংবা আরো কত কিছুই তো আছে।
দ্যাখ তুই আমার কষ্ট বুঝবি না। একাকীত্বের কষ্ট তোর মতো ফ্যামিলি মেনটেইন করা পাব্লিকরা বুঝব না। আমারে আমার মতন থাকতে দে। আমার শাড়ি, কাপড় , গয়না, জুতাই ভালো। আসলে তোরা আমারে ভুলতেই দিতে চাস না আমি ডিভোর্সি। আমি যারে ডিভোর্স দিছি হেই ব্যাটারে কেউ কিছু কয় না খালি আমি একটা মাইয়া দেইখ্যাই আমার কথা শুনন লাগে। সমাজ আমারে ভুলতে দিতে চায় না আমি ডিভোর্সি!
ওর মুখেও সমাজের কথা শুনে আমি এবার সত্যিই হেসে ফেলি। হেসে হেসেই ওকে বলি, তোকে কবে আমি আবার এসব বললাম রে! তুই নিজেও যাতে ভুলে যাস তাই তোকে মোটিভেট করি কিন্তু তোর আগ্রহ নাই নিজের জীবনটাকে বদলাবার। মানুষ তো চাইবেই তোকে এটা সেটা বইলা তোরে কষ্ট দিতে, কন্সেন্ট্রেশন নষ্ট কইরা দিতে। কিন্তু তুই ভাইঙ্গা পড়বি ক্যান?
আমার কিছু ভাল্লাগে না রে নবনীতা। ওর গলার আওয়াজটা খুব বিষণ্ণ শোনায় এবার। জানস, আব্বা-আম্মা খুব চাইতাছে আমার আবার বিয়া দিতে। আপা, দুলাভাই, ভাইয়া, আত্মীয়স্বজনরা সবাই কেউ না কেউ প্রায়ই প্রপোজাল নিয়া আসে। অনেক আনম্যারেড পোলাও আসে বিয়ার প্রস্তাব নিয়া কিন্তু সবাই কোনো না কোনো উদ্দেশ্য নিয়া ঘুরে। আমার বাপের অনেক টেকা, আমাগো সম্পত্তি ভাগ হইয়া যার যার নামে আইসা পড়ছে, আব্বা অসুস্থ দেইখা সবাইরেই আমাগো ভাই বইনগো নামে সম্পত্তি লেইখ্যা দিছে, আমাগো বিজনেস ইত্যাদি সব মিলাইয়া লোভে পইড়া ব্যাটা গুলি আমারে বিয়া করতে চায়। কেউ কেউ দুইটা বিয়া কইরা লুকাইয়াও রাখে, কয় আগের বউ ভালো না তাই দ্বিতীয় বউ খুঁজতাছি। আমরা খোঁজ খবর নিয়া জানতে পারি এইসব! বিয়া মানে কি খাওন দাওন আর জামাই লইয়া শুইয়া থাকন্তি? বিয়ার কি আর মানে নাই ? ও কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে।
আমি বলি, তিন বছর তো হয়ে গেল, একা আছিস। তোর যদি কাউকে ভালো লাগে, বাসায় বলতে না পারলে আমাকে বলিস। খালাম্মার সাথে কথা বলবো আমি।
আমার কাউরে ভাল্লাগে না রে ! ব্যাটাগুলি অনেক খারাপ। খালি জামাইগিরি ফলায়। সবাই তো তোর মতো জামাই পায় না। আমার কথা বাদ দে। শ্রাবণ ভাইয়ের কি খবর? ঐ ব্যাটা কেমন আছে, একটা ফোনও তো দেয় না! তুই তারে লইয়া আইতে পারস না বাসায়?
আমি তো পারিই আসতে। তার চেয়ে বরং তুই আয়। তোর একটা আউটিং হইব, ভাল্লাগবো তোর।
নাহ, তোগো ছুটির দিনে তোগো জ্বালামু না!
রিপা, এখন ফোন রাখা লাগবো। কিন্তু তুই তো আমার মন খারাপ কইরা দিলি। প্লীজ তুই কোনো ভালো কাজে নিজেরে এঙ্গেজ কর। তুই অনেক ভালো থাকতে পারবি দোস্তো।
ফোন রাখার পর আমার রিপার জন্য খুব খারাপ লাগে। ওর জন্য কি আসলেই শাড়ি, গয়না, শপিং করা লাইফটাই ভালো তাহলে ? মাঝরাতে ঘুম ভেঙে ওর যে একাকীত্ব সেটা ওর মতো মানুষরা ছাড়া আর কেউ কি আদৌ বুঝবে! হায়রে সমাজ!
চলবে ...
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এইবারের ধারাবাহিক লেখাটা আলাদা আলাদা গল্পের মতো করেই লিখেছি। আশেপাশে রিপাদের মতো অনেকেই আছে যাদের কষ্ট আমরা খুব কম জনেই বুঝি !
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সাবলিল উপস্থাপন ভাল লাগলো ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: আগের পর্ব সহ পড়ে এলাম। আমি প্রথমে বুঝিনি যে গল্প। খুব সত্যি মনে হচ্ছিল। ভাল থাকবেন
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই পর্বও ভালো হইছে। রিপাদের ভুরিভুরি দেখা যায়। আমি একটা সময় সেভাবে বুঝতাম না। আমার এক বান্ধবী আমার সাথে শেয়ার করে কিছু কথা। ও নিজেও ডিভোর্সী। তখন জানতে পারি আমার খুব কাছের একজন বন্ধুও ওর অসহায়ত্বের সুযোগ নিতে চেষ্টা করছিলো, ভাবতেও খারাপ লাগে এসব।
কিছু বানান খেয়াল করে একটূ দ্বিধায় আছি, যেমন প্রসাধনি কিংবা ভারি। এগুলোতে কি দীর্ঘ্য ই হবে না? আবার থাকন্তি মানে কি বুঝতে পারছিনা।
গল্পে ভালোলাগা রুইলো।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রসাধনী, ভারী এমনই হয়তো হবে। আপনার কথা শুনে কনফিউজড লাগছে। মোবাইলে লিখেছিলাম লেখাটা।
বিয়া মানে কি খাওন দাওন আর জামাই লইয়া শুইয়া থাকন্তি? <<< জামাই নিয়া শুইয়া থাকা নাকি ? কথ্য রূপে লিখেছি এভেইলেবল ডায়ালোগ হিসেবে থাকন্তি
ধন্যবাদ
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ফলোয়িং দ্যা সিরিজ, টু ডিপলি অব্জারভ ডিফারেন্ট এক্সপেরিয়েন্সেস
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: থ্যাংকস আপনাকে
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
কিরমানী লিটন বলেছেন: গত পর্বের মতো,এটিও অনেক ভালো লেগেছে,অনবদ্য লিখনির নান্দনুক রচনা- শুভকামনা জানবেন ...
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলতেছে চলুক.... আমি সাথে আছি।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: থাকেন সাথে।
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
থাকুম সাথে ঠিক আছে। তয় মাঝে মাঝে চা কফি কিছু খাইতে দিয়েন।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জি অয় ,খাওয়ামু
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
তন্ময় দেবনাথ 007 বলেছেন: ভালো হচ্ছে আপু ...
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ তন্ময়
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আশেপাশে রিপাদের মতো অনেকেই আছে যাদের কষ্ট আমরা খুব কম জনেই বুঝি !
কিছু বলার নেই/ বিষণ্ণ লাগছে । স্বার্থের খেলায় ব্যক্তি নিয়ে চিন্তা কে করে ?
ভাল থাকবেন আপা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই আমাদেরই ব্যক্তি চিন্তা করতে হবে রিপাদের জন্য অন্তত কোথাও গিয়ে যাতে তারা শ্বাস ফেলতে পারে!
তুমিও ভালো থেকো
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩
আলোরিকা বলেছেন: অনেক ভাল লাগা আপু । রিপাদের কষ্টগুলোকে অনেক প্রাণবন্ত করে ফুটিয়ে তুলেছেন । আমার এরকম একজন বন্ধু আছে । সে অবশ্য চাকরি করে , একটা ছোট ছেলেকে নিয়ে একা থাকে । শুধু বাসা আর অফিসের মধ্যেই তার জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। আত্মীয় -স্বজন , বন্ধু বান্ধব কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই । সেদিন দেখা হল খুব বিষণ্ণ লাগছিল , বোঝালাম সবার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বললাম । কিন্তু এত বিষণ্ণ ভাবে বলল , তার সমস্যাটা বুঝব না - খুব মন খারাপ হল । আসলে খুব কাছ থেকে না দেখলে এ বিষয়গুলো ভাল ভাবে বোঝা যায় না । এদের জন্য দরকার সহানুভূতিশীল সমাজ ও মন - যার বড়ই অভাব আমাদের
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঐ যে রিপা বললো না, আমরাই তাদের ভুলতে দিতে চাই না তারা ডিভোর্সী! যা কারণে তারা আত্মীয় , সামাজিক প্রোগ্রাম গুলো এড়িয়ে চলে বা চলতে চায়। তাদের সিচুয়েশনে না পড়লে আসলেও আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব না তারা কতটা অমানবিক অবস্থা ফিল করে। ইভেন তারা স্বাবলম্বী হলেও মানুষ ধরেই নেয় তারা তাদের পরিবার বা অন্যদের জন্য বোঝাস্বরূপ!
১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দুঃখ লিপিবদ্ধ । মন খারাপ করে দিলো । লেখায় খুব সুন্দর ফুটে উঠেছে জীবনের অযাচিত কষ্ট ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
জেন রসি বলেছেন: পড়ছি। চলুক।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ১ম পর্বে যা পাইসিলাম এই পর্বে তার বিপরীত।
চলুক। .....
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি চাচ্ছিলাম প্রতিটা পর্ব যেন আলাদা এক জনের কাহিনী হয়। তাই হয়তো ওভাবে মিল পাবেন না।
১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাঝরাতে ঘুম ভেঙে ওর যে একাকীত্ব সেটা ওর মতো মানুষরা ছাড়া আর কেউ কি আদৌ বুঝবে! -- চমৎকার বলেছেন এ কথাটা। গল্প ভালো লেগেছে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: এক একটা ডায়েরির পাতা মানে এক একটা নতুন গল্প! নতুন মানুষের সাথে পরিচয়! পড়তে বেশ মজা লাগছে! তাছাড়া আপনার ঝরঝরে বর্ননায় লেখা গুলো আরো প্রানোবন্ত হয়ে উঠছে! চলতে থাকুক ডায়েরী কথন, সঙ্গেই আছি!
শুভ কামনা!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ
১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৪
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ডায়েরি খন্ড খন্ড জীবন আর বাস্তবতার কথ্ বলে।এই পর্ব একটি বিষাদগাঁথা মনে হলো।চলতে থাকুক+++
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
আরজু পনি বলেছেন:
খালি জামাইগিরি ফলায়...
ব্যাটারা স্বামীগিরি ফলায়...
সব ব্যাটারাই স্বামী (প্রভু) মানসিকতার ।
এই মানসিকতার বাইরে সম্ভবত আমরাও অভ্যস্থ না !
ডায়েরির লেখা গুলো খোলা জানালার মতো লাগছে ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্যাটারা স্বামীগিরি ফলায়... এই ব্যাপারটা মনে হয় মজাগত তাদের।
ধন্যবাদ নবনীতার ডায়েরি পড়ার জন্য।
১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দুইটা পর্বে কমন জিনিস, নবনীতার দুই বান্ধবি পঞ্চমুখে শ্রাবণের প্রশংসায় গদগদ। কারণ কি? বাস্তব, না নবনীতার কাল্পনিক অতিকথন? দেখি....
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আরে প্রোফেসর সাব, কল্পনা না বাস্তব, বাস্তব! হাহাহা
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পর্বগুলো তো একেকটি আলাদা গল্প হচ্ছে। ভালো।
রিপার কষ্টের মধ্যে অনেক মেয়ের কষ্ট তুলে ধরেছেন।