নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।
নবনীতার ডায়েরি - ৩
হঠাৎ করেই খেয়াল করলাম আজকাল আমি আর শ্রাবণ একে অপরের সাথে খুব কম কথা বলছি। সেই সকালে দুজনেই একসাথে বের হই অফিসের উদ্দেশ্যে, তারপর বাসায় ফেরা, রান্না খাওয়া আর টিভি দেখতে দেখতে ঘুমের প্রস্তুতি। তারপর ? আমি সেই তারপরের অবস্থাটা ভাবছি। কেন দুজনে চুপচাপ হয়ে গেছি বা যাচ্ছি? কাজ থেকে ফিরে ক্লান্তি ভর করে বলে? নাকি বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে আমাদের জীবনে না আমাদের বয়স একটু একটু করে বাড়ছে বলে! আমার মনে হয় শ্রাবণের সাথে এটা নিয়ে কথা বলা দরকার। ওর অভ্যাসই হলো বিছানায় শোবার কিছুক্ষণের মাঝে ঘুমিয়ে পড়া। আগে ভীষণ মেজাজ খারাপ হতো আমাকে রেখে ঘুমিয়ে যেতো বলে। মনও খারাপ লাগতো। এখনও খারাপ লাগে তবে ওকে কিছু বলি না। ও আমাকে আরো রাগাবার জন্য বলে -
শোনো আমি হলাম আল্লাহর নিরীহ বান্দা। শুলেই ঘুম চলে আসে। তুমি মাইন্ড সেট আপ করেই নিছ তোমার ঘুম আসবে না। তুমি ইনসমনিয়াক এটা ভুলতে পারলেই দেখবা তোমারও ঘুম আসছে। আর আমার সাথে থাকার পরেও তোমার ঘুম না আসলে আমি এখন কি করব বলো!
- কি আবার করবা ,আমার সাথে সাথে জেগে থাকো!
ও রাত বারোটার নিউজ দেখার জন্য বসে আছে। এদিক ওদিক চ্যানেল বারবার ঘোরাচ্ছে। আমার দিকে চোখে চোখ পড়তেই বললাম -
চা খাবা?
খাওয়ালে খাবো। নিমকি আছে ? থাকলে একটু নিয়ে এসো তো!
চা খেলে তোমার আবার ঘুম হাওয়া হয়ে যাবে না তো, দেইখো
আরে তোমাদের মত আমার এত নকশা নাই। চা আর ঘুম দুইটা আলাদা আলাদা ব্যাপার। চা খেলে ঘুমানো যায় না কে বলছে!
আর কিছু খাইলে বলো একবারে নিয়ে আসি। টিভি দেখতে দেখতে খাই তারপর একটা মুভি দেখি। চলো এক কাজ করি, আজকে সারা রাত জাগি।
কাল অফিস যাবে না?
নাহ্ , কাল অফিস বাদ। যাবো না। আমি আর কাল থেকে চাকরি বাকরি করবো না।সব বাদ! বলে আমি ওর কোলের উপর মাথা রেখে কিছুক্ষণ পড়ে থাকি। ও আমার চুলে হাত বুলায়। জিজ্ঞেস করে -
তুমি ঠিক আছো তো?
আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। বলি - আমি ঠিক নাই। দাঁড়াও চা নিয়ে আসি। খেতে খেতে কথা বলি।
আমি চা বানাবার জন্য রান্নাঘরে যাই ঠিকই কিন্তু রান্নাঘরে ঢোকার পরে মনে হয় আরেক পশলা ক্লান্তি চেপে ধরে। মনে হয় শ্রাবণকেই ডেকে বলি চা বানাতে। ডাকলে মানা করবে না কিন্তু সব শিখিয়ে দিতে হবে। ও বলেছিল একদিন নাকি আমাকে ডিম ভাজা আর ডাল ভুনা খাওয়াবে সাথে মাছের ফ্রাই। কবে ঐ দিন আসবে অপেক্ষায় আছি।
চা নিয়ে শোবার ঘরে গিয়ে দেখি ডিসকভারির কোনো প্রোগ্রামে মশগুল হয়ে আছে। ওর পাশে গিয়ে বসতেই জিজ্ঞেস করলো -
এইবার বলো কি নিয়ে তোমার মন খারাপ।
শ্রাবণ, তোমার কি মনে হয় না আজকাল আমরা একে অপরের সাথে কম কথা বলছি, রুটিন ওয়ার্ক করছি ?
না, আমার এমন মনে হয় না। সবই তো স্বাভাবিক লাগছে। টিভির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বলে।
আমি টেনে ওর মুখটা আমার দিকে ঘোরাই। এট লিস্ট এখন আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলো প্লিজ, ওকে বলি।
কি ব্যাপার, তুমি এমন সিরিয়াস হয়ে আছো কেন নবনীতা? তুমি আসলে বেশি বেশি ভাবো তাই এমন লাগে। যে কোনো জিনিসের বেশি ডিপে তুমি ঢুকে যাও। আর তোমার কি এসব নিয়ে মন খারাপ ?
নাহ্। আজকে কেন যেন মনে হলো আমরা বাসায় ফেরার পর কেমন শব্দহীনতায় ভুগি। আমাদের বাসায় শব্দের অভাব। আচ্ছা, তোমার কি পুলকের কথা মনে আছে?
কোন পুলক? তোমার ফার্স্ট লাভ? বাহ্ বাহ্ রোম্যান্টিক নস্টালজিয়ায় ভুগছো নাকি আজকে?
আমি চুপ করে থাকি। চামচ দিয়ে অকারণেই চায়ের কাপে নাড়াতে থাকি। বলি - আজকে সন্ধ্যায় শুনলাম ও আজ বিকেলে মারা গেছে। বউ, বাচ্চাসহ গ্রামের বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরছিলো তারপর ত্রিশালে এসে বাসের সাথে ওদের প্রাইভেট কারের ধাক্কা লেগে পুলক, ওর মেয়েটা স্পট ডেড আর ওর বউ মারাত্মক ইঞ্জিউরড।
হায় হায় বলো কি! শ্রাবণ আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে রাখে।
আমার ভেতরের কি রকম একটা ফাঁকা অনুভূতি ফুলে ফেঁপে বড় হতে থাকে। আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে। শ্রাবণ আমার চুলে হাত বুলাতে থাকে। বলে, তোমার কি পুলকের কথা আরো বলতে ইচ্ছে করছে? তাহলে বলো ওর কথা, শুনি।
ও আমাকে ঝিনুক নামে ডাকতো। চিঠিতেও লিখত এই নামে।
সামনাসামনি দেখা হলে চিঠি দিতে নাকি পোস্ট করতে? ধরা পরো নাই চিঠি নিয়ে কখনো ?
সামনাসামনিও চিঠি দিতাম, পোস্টেও। আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি আমার এক আত্মীয়র সাথে ও আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলো। সময়টা দুপুর। আমি অংক করছিলাম। ও আমার খাতাটা টেনে নিয়ে বলেছিল -
দেখি তো কি অংক করছ! একটু পরে বললো - অংকের রেজাল্ট মিলেছে কিন্তু মাঝখানে তো গোঁজামিল দিয়েছ। আসো তোমাকে অংক শিখিয়ে দেই। ও তখন মেডিক্যাল ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট। ওর কথা শুনে তো আমার মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গেলো। আমি বললাম -
আপনি আমার সাথে আর কথা বলবেন না। আমি এখন টিচারের কাছে পড়তে যাবো। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে যেন দেখি আপনি চলে গেছেন।
আমার কথা শুনে পুলক খুব হাসছিলো। আর আমি আরো রেগে যাচ্ছিলাম। এরপর তার কথা আর মনেই নাই। বাসার কাছাকাছি এসে সন্ধ্যায় মনে পড়লো তার কথা। এসে দেখি সে আর বাসায় নাই। কিছুক্ষণ পর আমার চাচীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখি ওখানে আমার আত্মীয়ের সাথে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আমাকে দেখেই জিজ্ঞেস করলো -
হোমওয়ার্ক এর গোঁজামিল অংক দেখে তোমার টিচার প্যাঁদানি দেয়নি ? বলেই সেই গা জ্বালানো হাসি হাসতে লাগলো ।
আমি তার কথা শুনে আচমকা কেঁদে ফেলে রেগেমেগে ওখান থেকে চলে আসি। আমি সেদিন সত্যিই টিচারের কাছে মার খেয়েছিলাম ভুল অংকের জন্য কিন্তু সেটা তো তাকে বলতে পারি না।
এরপর ?
যখন ক্লাস নাইনে উঠি তখন সে আমাকে প্রপোজ করে।
তারপর ?
তারপর আর কি! কিছু না। বাদ দাও।
তারপর?
ধুর এর পরের সব তো তুমি জানোই! মোট কথা আমাদের রিলেশনটা ক্লিক করে নাই। আমিও ছোট ছিলাম ও নিজেও স্টুডেন্ট, বাড়ি বিক্রি করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাওয়া ইত্যাদি অনেক অনেক কারণের সাথে যারা আমাদের এই রিলেশনে হেল্প করতো তারাই পিঞ্চিং করে করে আরো দূরে সরাইয়া দিছিলো আমাদের। আমাকে ও চাইলে যেমন খুঁজে বের করতে পারতো আর আমার কাছে তো ওর নাম্বার ছিলই।
তাহলে যোগাযোগটা রাখলা না কেন!
কি জানি হয়ে ওঠে নাই। তবে অনেক বছর পর বেইলি রোডে একবার দেখা হইছিল,কয়েকদিন ফোনে যোগাযোগও ছিল। বলেছিল বিয়ের জন্য ওর বাসা থেকে মেয়ে দেখতেছে। আর এসব তো তোমাকে সব বলছিই আমি। কিন্তু খুব অপরাধী লাগতেছে নিজেকে, বুঝলা?
কেন? তুমি কেন অপরাধী হবা! শ্রাবণ টিভির সুইচ অফ করে এবার আমার দিকে পুরোপুরি মনোযোগ দেয়।
প্রায় বারো বছরেরও বেশি সময় ওর সাথে আমার যোগাযোগ নেই। আমাদের রিলেশন খারাপভাবে শেষও হয় নাই। আনুষ্ঠানিক বিদায়, মনোমালিন্য কিছুই হয় নাই জাস্ট সময়ের কাছ থেকে ছিটকে গেছিলাম। কিন্তু ও তো আমার আশেপাশেই ছিল। আমার অনেক পরিচিত মানুষদের সাথেও ওর ওঠাবসা ছিল, আমার কাছে ওর নাম্বার ছিল, আমার ফ্রেন্ডদের কলিগ ছিল অথচ আমি যোগাযোগ করি নাই। ফেসবুকে আইডি সার্চ দিলেই ওকে পেতাম!
একবার ভাবো তো নবনীতা, আমি যদি আমার প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ করি তোমার ভাল লাগবে? আমি তো চাইলেই ওদের বাসায় যেতে পারি। কিন্তু এইরকম হরদম বা মাঝে মাঝেও যদি যোগাযোগ করতাম তোমার কি ভালো লাগতো? নিশ্চয়ই লাগতো না। আমি বুঝতে পারছি তোমার কেন খারাপ লাগছে। আসলে মৃত্যু এমন একটা ব্যাপার যে একজন মানুষের গুরুত্ব, হিসাবনিকাশ সবকিছু সাথে সাথে বদলে যায়।
হুম এটাও ঠিক। আসলে আমি তোমাকে নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম আর আমাদের দুজনের লাইফের এতো ঘটনাবহুল পরিস্থিতি পার করে করে আজকের এই অবস্থায় আসছি আমার আসলে পুলকের ব্যাপারটা মাথা থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু যে একটা সময় আমার আত্মার অংশ ছিল সে মানুষটা এখন মাটির নিচে শুয়ে আছে যেখান থেকে ফিরে আসার চান্স নেই!
খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। তুমি চাইলে আমরা ওর গ্রামের বাড়ি গিয়ে ওর কবর যিয়ারত করে আসতে পারি।
শ্রাবণের কথা শুনে আমার একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। বলি -
নাহ্ থাক। দরকার নাই।
লাইট অফ করে আমরা পাশাপাশি শুয়ে থাকি। আমার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে কিছুক্ষণের মাঝেই শ্রাবণ ঘুমিয়ে পড়ে। বুকের ভেতরে একটা ফাঁকা অনুভূতি নিয়ে আমিও ঘুমের কোলে ঢলে পড়ার অপেক্ষায় থাকি।
চলবে
২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ পনি
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় ,
আরে তোমাদের মত আমার এত নকশা নাই। চা আর ঘুম দুইটা আলাদা আলাদা ব্যাপার। চা খেলে ঘুমানো যায় না কে বলছে!
আমারও এরকমের কোনও নকশা নেই । আমিতো ঘুমুতে যাবার আগে কাঁত হয়ে শুয়ে শুয়ে এককাপ চা না খেলে চোখ বুজতেই পারিনে ।
আর "পুলক" এর ব্যাপারটিতে "শ্রাবণ" এর আন্তরিকতাটুকু মধুর লাগলো ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চা খাওয়া নিয়ে আমারও তেমন নকশা নেই। তবে অনেকের শুনেছি প্রব্লেম হয়।
প্রাক্তন সম্পর্ক প্রেজেন্ট টাইমে এসে জ্বালাতন না করলে আন্তরিকতা বা সহনশীলতা দেখানো যেতেই পারে।
ধন্যবাদ
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সাবলীল লেখা, পড়তেও ভালোলাগছে। তবে এটাকে আপনি গল্প নাম দিচ্ছেন নাকি কাল্পনিক ডায়রী সেটাও একটা ব্যাপার। আমি মনে করি গদ্য লেখার একটা উদ্দেশ্য থাকা দরকার, একটা কিংবা বেশকিছু বিকল্প সমাপ্তিও ভেবে নেয়া দরকার শুরু করবার সাথে সাথে। প্রতিটা পর্বই সুচনার মত লাগছে। আরো কয়টা পর্ব এভাবে গেলে আর পড়তে ইচ্ছা করবেনা। কারন তখন মনে হবে এটা পড়ে আসলে কোন লাভ নাই কারন, গল্প কিংবা লেখার পরিনতি নাই পাঠক সেটাই ধরে নেবে।
শুভকামনা রইলো।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুট করেই একদিন বাসে যেতে যেতে ডায়েরীর এক নাম্বার পার্ট টা লিখে ফেলি। কোনো বিশেষ পরিকল্পনা ছিল না কোন চরিত্রকে কোথায় নিয়ে যাবো । এখন পর্যন্ত যেটুকু লিখেছি তাতে প্রথম পর্বের তুলিকে আবার এনেচি। এরকম আলাদা মনে হলেও চেষ্টা করছি সূচনা পর্বের সাথে একটা লিঙ্কড আপ করার। লেটস সী!
আসলে আমাদের যাপিত জীবনে যেমন ধারাবাহিক বৈচিত্র্য নাই আবার অনেক ঘটনাই ঘটে কারণ ছাড়া। পড়তে ইচ্ছা না করলেও আমি এখনো এভাবে প্রতিটা পর্ব নতুন করে লেখার মতো যে লেখনী সেটা লিখতে আমার ভালো লাগছে।
শুভকামনা রইলো ।
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: আমার কিন্তু লেখাটা ভালো লেগেছে! ডায়েরি জিনিসটা চোখে দেখলেই মনোযোগ বাইড়া যায়!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ডায়েরি লিখতে আর পড়তে ,দুইটাই ভালো লাগে।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯
জুন বলেছেন: আপনার ডায়েরী পড়ে বৈচিত্রের সন্ধান পাচ্ছি বলতে পারেন অপর্না মম্ময়। আগেরগুলো পড়েছি আজ বসে বসে। ৩ নংটা অনেক ভালোলেগেছে। বান্ধবীটি হয়তো শাড়ি গয়না, থাইল্যন্ড আর ইন্ডিয়ার গল্প করছে কিন্ত মনটা হয়তো শুন্যতায় ভরা। লিখতে থাকুন সাথে আছি সব সময়
+
২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমাদের সবারই কিছু না কিছু না পাওয়া তো জীবনে আছেই, সেসব মেনে নিয়ে,মানিয়ের নিয়েই প্রতিদিনকার জীবন।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ও বলেছিল একদিন নাকি আমাকে ডিম ভাজা আর ডাল ভুনা খাওয়াবে সাথে মাছের ফ্রাই। কবে ঐ দিন আসবে অপেক্ষায় আছি। এরকম অনেকেই অপেক্ষায় থাকে কিন্তু কাজ হয় না , হহাহ ।
এই অংশটা অনেক গভীর হয়েছে । ভাল লাগলো ।
বলার চাইতেও না বলা কথা বেশী ।
ভাল থাকবেন আপা।
শুভকামনা রইল ।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নিজের হাতের রান্নার চেয়ে অন্যের হাতের রান্নায় একটা বৈচিত্র্য থাকে কিন্তু। যেমন - আমার বাবা খুব ভালো খিচুড়ি রান্না করতে পারতো আর ডিমের ঝোল। খুব ঝাল ঝাল করে। আমার ভাইয়া যেমন মাংস ভালো রান্না করতে পারে। আব্বা,ভাইয়া কিন্তু রান্না করে যার যার স্ত্রীকে খাইয়েছে। সবার অবশ্য এই সুযোগ হয় না।
তোমার জন্যও শুভকামনা।
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জানি না ওকে নিয়ে পরবর্তিতে আপনি কী ষড়যন্ত্র করেন... কিন্তু শ্রাবণকে আমার ভালো লেগেছে... আই লাইকস হিম
আসল কথা বলে যাই, চা/কফি আমার ঘুমের কিছু করতে পারে না। ওটা বরং ঘুমের জন্য দরকারি
২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শ্রাবণ চরিত্রটা আমিও লাইক করি। ওকে নিয়ে খারাপ কোনো পরিকল্পনা নেই।
চা/ কফি তে আমার কিছু যায় আসে না। ঘুম স্বল্পতা। আমি যেভাবে ঘুমাতে চাই রুম ডার্ক করে আর সাউন্ডলেস পরিবেশে,ওটা মনে হয় পসিবল না আমাদের এনভয়রমেন্টে।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
আবু শাকিল বলেছেন: আগের দুইটা মিছড হয়ে গেছে।
পড়তে ভাল আরামবোধ করছি
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ও বলেছিল একদিন নাকি আমাকে ডিম ভাজা আর ডাল ভুনা খাওয়াবে সাথে মাছের ফ্রাই -- চমৎকার আইডিয়া! লেখার এ অংশটুকু পড়ে আমার মনেও ইচ্ছে জাগলো, গিন্নীকে একটা কিছু করে খাওয়ানোর। ডাল ভুনা আর মাছের ফ্রাই হয়তো করতে পারবোনা, তবে ডিমভাজাটাতো অবশ্যই পারবো। দেখা যাক, কবে সেটা সম্ভব হয়!
আমার ভেতরের কি রকম একটা ফাঁকা অনুভূতি ফুলে ফেঁপে বড় হতে থাকে - অসাধারণ অভিব্যক্তি!
প্রাক্তন সম্পর্ক প্রেজেন্ট টাইমে এসে জ্বালাতন না করলে আন্তরিকতা বা সহনশীলতা দেখানো যেতেই পারে (২ উঃ)
-- একমত।
বেশ আগ্রহের সাথে পড়ে যাচ্ছি নবনীতার ডায়েরী। ভালো লাগছে...
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার গিন্নীকে কিছু করে খাওয়ালে জানিয়েন। শুনবো।
ধন্যবাদ শুরু থেকে নবনীতার সাথে থাকার জন্য।
১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
৫ নং লাইক। সাথে আছি কিন্তু....
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ লাইক দিয়ে কানেক্টেড থাকার জন্য
১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো খুব।জীবনের জটিল বাস্তবতা উঠে এসেছে। পরের পর্বে দেখা যাক কি হয়....?
শুভেচ্ছা।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা, তনিমা।
১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
সুলতানা রহমান বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। বিয়ের পর সম্পর্ক গুলো সত্যিই এমন হয়ে যায়। তবে যে ভালবাসা দেখিয়েছেন সেটা ও ভাল লেগেছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার ডায়েরী কথন! পড়ে ভীষনভাবে মজা পাচ্ছি......!! তাছাড়া আপনার ঝরঝরে বর্ননায় সেটা আরো বেশি সুপাঠ্য হয়ে উঠছে!
শুভ কামনা জানবেন!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই সিরিজে আগের পর্বগুলোর বিপরীতে শ্রাবণের চরিত্রের উপস্থিতি সিরিজের বাস্তবতা এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। বাস্তব জীবনে শ্রাবণের মত চরিত্রও রয়েছে শত ঋণাত্মক উদাহরণের বিপরীতে।
সিরিজ চলুক, সাথে আছি। +++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাস্তব জীবনে শ্রাবণের মত চরিত্রও রয়েছে শত শত, সেটা আমিও মানি। লেখায় নেগেটিভ ব্যাপার যেমন উঠে আসবে, পজিটিভ ব্যাপারেও চরিত্রের বিকাশ ঘটা উচিত বলে মনে করি ।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভালো লাগলো ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বর্ণনা দারুণ লেগেছে । খারাপ লাগলো পুলকের অল্পে ঝরে যাওয়া ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ
১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নাহ, শ্রাবণ তো ভালই। তবে মৃত্যুর ঘটনায় থমকে গেছি, এরকম একটা ব্যাপার আশা করি নাই।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মৃত্যু ব্যাপারটাই এমন! থমকে দেয় সবকিছু সাময়িক সময়ের জন্য
১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: কি ব্যাপার, তুমি এমন সিরিয়াস হয়ে আছো কেন নবনীতা? তুমি আসলে বেশি বেশি ভাবো তাই এমন লাগে। যে কোনো জিনিসের বেশি ডিপে তুমি ঢুকে যাও। আর তোমার কি এসব নিয়ে মন খারাপ ?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: উত্তরটা নবনীতা দিতে পারবে হয়ত।
২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: এত ঝাঁপাইয়া আসলা, নয়া লেখা কই?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি তো ভাই পাঠক। লেখক তো তুমি
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
আরজু পনি বলেছেন:
পুরানো প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে পরে দেখা হলে হয়তো সম্পর্ক স্বাভাবিকই থাকে কিন্তু বরের প্রাক্তন প্রেমিকা বা বউয়ের প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে পরবর্তীতে সম্পর্ক যতই স্বাভাবিক থাকুক এটা মেনে নেয়া কষ্টকর ।
তবে মরে গেলে সেটাতেও অপরাধবোধ এমনিতেই জাগতে পারে...
ভালো লাগলো পড়তে ।