নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবনীতার ডায়েরি- ৫

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

নবনীতার ডায়েরি - ৪

কিন্তু সহজে আমার ঘুম আসে না। নানান উদ্ভট উদ্ভট চিন্তা মাথায় আসে। ঠিক উদ্ভট না, যা ভাবার দরকার নাই তাই আসে চিন্তায়। ঘুরে ফিরে আসে। একটু কনফিউজড লাগে। বুঝে উঠতে পারি না জীবনের মানে কি। সে কি পুলক মারা গেছে বলে আমি এমন বিষণ্ণ টাইপের চিন্তা শুরু করলাম শ্রাবণের পাশে শুয়ে। শ্রাবণ মাঝে মাঝে একটু উদাসীন বটে কিন্তু আমার আর শ্রাবণের চলার পথটা তো এতো মসৃণ ছিল না একে অপরকে পাওয়ার জন্য। অনেক কষ্ট সহ্য করে দুজনে দুজনকে পেয়েছি। তাহলে এখন পুলকের কথা ভেবে মন খারাপ হচ্ছে কেন? পুলক যখন বেঁচে ছিলো তখন তো ওর কথা মনেও ছিল না। তাহলে এখন মারা যাওয়াতেই কি এমন লাগছে! কি জানি হবে হয়তো বা! রাতে একা একা জেগে থাকাটা আসলেই খারাপ। ভূতে ঢিল ছোঁড়ে মনে হয়।


ঐ তো আমার পাশে শ্রাবণ শুয়ে আছে, নিশ্চিন্তে হাল্কা হাল্কা নাকও ডেকে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম কাল অফিস ফাঁকি দিবো কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আবেগে পড়ে এই কথা ভেবেছিলাম। অফিস আমি ফাঁকি দিলেও শ্রাবণ দেখা যাবে এই ক্লায়েন্ট সেই ক্লায়েন্ট, মেইল চেকিং অমুক তমুক রাজ্যের কাজের কথা বলে এক পর্যায়ে বলবে ও অফিস যাবে। আমার সারাটাদিন তারপর খারাপ যাবে। তারচেয়ে এক কাজ করি শ্রাবণ মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলো, এলার্মটা বন্ধ করে দেই। তাহলে ও আর সকালে উঠতে পারবে না। ঘুম ভেঙে হয়তো একটু রাগের ভাব দেখাবে, সেটা পাত্তা না দিলেও চলবে। তারপর ওকে দেরি করে নাস্তা খেতে দিবো না হলে ওকে দিয়ে সকালের নাস্তা বানাবো। অবশ্য ওকে নাস্তা বানাতে বললে আমারই শিখিয়ে দেয়া লাগবে। আর সেটা করতে করতে দুপুরের খাবার টাইম হয়ে যাবে। ক্ষতি কি! ব্যাপারটা ভাবতেই আনন্দ লাগছে। খুব সিম্পল কিছু ওকে দিয়ে করাতে হবে। ডিম পোচ তো জীবনেও পারবে না। কুসুম ভেঙে টেঙে একাকার করবে, পাউরুটি সেঁকতে বললে সেটাও পারবে না। আমি ঠিক করেছি আমার ছেলে মেয়ে যাইই হোক ওদেরকে মিনিমাম নিজের খাবার যাতে নিজে বানাতে পারে অমন করে বড় করতে হবে। এটা ভেবেও হাসি পায়। তবে সন্তানের কথা ভেবে তীব্র এক হাহাকার কাজ করে । আমি তো কলেজে উঠেও মায়ের হাতে খেয়েছি। একবার ক্লাস সেভেনে থাকতে হোম ইকোনমিকস ক্লাশে প্র্যাক্টিক্যাল ছিলো পোলাও রান্না। বইয়ের উপকরণ আর রেসিপি পড়ে পড়ে সব যোগাড় করে রান্নার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পানি দেয়ার সময় মনে হয় উল্টা পাল্টা করেছিলাম। তবুও অনেকদিন অনেকের কাছে গর্ব করে বলেছি সে সময় আমি পোলাও রান্না করতে পারি।


আজকে আমার ছোট বেলার অনেক কিছু মনে পড়ছে। আমার ইচ্ছে করে শ্রাবণকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। ওর নাক ডাকার ভলিউম বাড়লে দুই একবার গায়ে ধাক্কা দিয়েছি। কিন্তু ওর ঘুম তো ভাঙে না। আমার মায়ের কথা, বাবার কথা, আপা-ভাইয়ার সবার কথা মনে পড়ছে খুব। ইচ্ছে করছে আবার আমি আমাদের বাসায় যাই, ওদের দেখে আসি। কিন্তু আমার তো ঐ বাসায় যাওয়া বারণ। শ্রাবণ অনেকদিন বলেছে -

আরে তুমি সবার অমতে আমাকে বিয়ে করছ,আব্বা- আম্মা তো একটু রাগ করবেই। যাও গিয়ে দেখা করে আসো। আগে বকাটা তুমি খেয়ে আসো। আমি না হয় পরে খাবো নে।

কিন্তু শ্রাবণ যেতে বললেই কি আর যাওয়া যায়! আমি ওখানে গেলে মা আমার সাথে কথাই বলবে না। আব্বাও সেইম। কয়দিন আগেই আপার সাথে গুলশানের বাটার দোকানে দেখা হলো। আমাকে দেখে যেনো আঁতকে উঠলো। অন্তত আমার এমন মনে হয়েছে। আপা একটু কৃপন স্বভাবের কিন্তু তাকে আমি এখনো খুব পছন্দ করি। শ্রাবণকে বিয়ে করা নিয়ে ও তেমন একটা ভেটো দেয়নি আবার সাপোর্টও দেয়নি। সুবিধাবাদী পার্টি আর কি! তবুও তাকে আমি ভালবাসি কারণ উপরে উপরে ও যথেষ্ট চালাক ভাব দেখালেও ওর জন্য প্রবল এক মায়াবোধ কাজ করে। ও স্টুডেন্ট লাইফেই পড়াশুনার প্রতি ছিল ফাঁকিবাজ টাইপের। তাই হয়তো মুরুব্বীদের কথা মতো অল্প বয়সেই বিয়ে করে ফেলেছিল। বিয়ের পর পর যখন জামাই নিয়ে গদগদ অবস্থার ভেতর যাচ্ছিলো তখন আমাকে বলেছিলো ,

বিরাট বাঁচা বাঁচছিরে। ম্যাথ যে কঠিন ,পরীক্ষায় তো ফেল করতাম। তখন আমি জামাই পাইতাম কোথায়! বলে সে কি খিক খিক হাসি দুলাভাইয়ের গা ঘেঁসে ঘেঁসে। ফেল করা মেয়েকে কেউ বিয়ে করে নাকি!

পড়াশুনা না করতে পেরে কেউ যে এতো খুশি হতে পেরে আমার আপাকে না দেখলে বুঝতাম না।

দুলাভাই এই ব্যাপারটা নিয়ে খুব বিব্রত হতো। আরও পরে বলেছিলো

তোমার বোনকে উপরে উপরে যতই চালাক মনে করো না ক্যান নিবেদিতা আস্তো বোকার হদ্দ।

অবশ্য দুলাভাইয়ের এই ধারণা পরবর্তীতে বদলে গিয়েছিলো। আসলে একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হয়েছিলো আমাদের ফ্যামিলিতে বোকা কেউ থাকলে সে হলাম আমি। আপা আর ভাইয়া দুজনেই যথেষ্ট বুদ্ধিমান আর আমি হলাম ইমোশনাল ফুল। বুদ্ধিমান হওয়াটা ওদের অপরাধ না অবশ্য। শ্রাবণের মতে আমার এ টু জেড হার্ট, ব্রেইন নাকি নাই।

আমার বড় আপা খুব সংসারি টাইপের মেয়ে। ওর স্বপ্ন ও অনেক টাকা জমাবে আর তার দুই ছেলের জন্য সব খরচ করবে। ওর জামাই ব্যাংকার। ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। দুলাভাই ওকে ওর জন্য পর্যাপ্ত হাত খরচ দেয় ছেলেদের পড়াশোনার খরচ ছাড়াও । ও সে টাকা নিজের জন্য কোনো দিন খরচ করে না। জমায়। ওর ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল সংসারি হবে, বিয়ে করবে। ওর যাবতীয় চিন্তা টাকা জমানো আর ছেলেদের ক্যারিয়ার নিয়ে। সুন্দর কোনো শাড়ি, ড্রেস বা জুয়েলারি দেখলে বলে, ইশ যদি কিনতে পারতাম! আমি বলি, কিনেন।

না থাক। তুই তো তোর বেতনের পয়সা এইটা সেইটা কিনা উড়াইয়া দেস। টাকা জমাইস।বিপদে পড়লে কেউ টাকা দিবে না কিন্তু।

আমার এক বন্ধু আমাকে একবার বলেছিল, কারো কে ভাল মত চিনতে হলে তার কাছে টাকা ধার চাও। হোক সে বন্ধু বা ঘরের লোক। মাঝে মাঝে ফান করে আপার কাছে টাকা লোন চাইতাম কিন্তু তার সাধের জমানো টাকা থেকে চাইলে দেখা যেতো চেহারা শুকিয়ে আমসী হয়ে গেছে। একবার মা হজ্জ্বে গিয়ে আমাদের দু'বোনের জন্য গোল্ডের এয়ার রিং এনেছিল। গ্রামের বাড়িতে এক বর্ষায় বেড়াতে গিয়ে ,নতুন বর্ষার পানিতে দাপাদাপি করে যখন আপার খেয়াল হলো ওর এক কানের জিনিস হারিয়ে গেছে, সেদিন হয়েছিলো দেখার মতো সীন। কান্নাকাটি শেষ হবার পর শুরু হলো কন্টিনিউয়াস প্যানপ্যানানি। শুধুমাত্র ওর জন্য আমাদের ট্রিপটা সেবার নষ্ট হয়েছিলো।

ওর যাবতীয় আলোচনার বিষয় দুই ছেলে, কোন সব্জির দাম কত, তেলের দাম বাড়লো না কমলো, মাছের দাম, রিকশা ভাড়া বেড়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাকে যদি বলি, এসসব ছাড়াও তো কথা বলার বিষয় আছে। টিভির নিউজ দেখসেন, পেপার পড়সেন? এক কাজ করেন, উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দেন। এইচ এস সি টা পাশ করেন। আপনি তো সেলাইএর কাজ ভাল জানেন। বুটিকের বিজনেস করেন। অনেক পরিচিত মহিলা আছে আপনার। নিজের আইডেন্টি বানান।

বলে, থাক ভাই, বিজনেসে অনেক রিস্ক। ঘরের রান্ধন কে রানবো! অন্য কথা ক। দেশ বিদেশ নিয়া আমি ভাইব্যা কি করুম! সরকার ক্যান কোনো দলই ভালো না। সেনাবাহিনী নামাইয়া সবগুলিরে জেলে ঢুকাইলে ভাল হইব।

সেনাবাহিনি কার লোক জানেন?

আমার জাইন্যা কাজ নাই। তুই প্যাঁচাল কম পার।

আমি হাসতে হাসতে বলি, ফোন তো আমিই করসি।

তোর বিল উঠতাসে।পয়সা খরচ করন লাগব না।

আই লাভ মাই আপা। খুব সাধারণ চিন্তার মানুষ। তাই বিছানায় শুলেই ঘুমাতে পারে। এসব আমার পালিয়ে বিয়ে করার আগের কথা সব। তবুও মনে হয় কতটা জীবন্ত। আপা সেদিন আমাকে সামনাসামনি দেখে এমন ভয় পাবার মতো ব্যবহার করলো বলে কষ্ট পেয়েছিলাম। পরে ভেবে নিলাম ও তো এমনই। বাসায় ফিরে শ্রাবণকে বলেছিলাম আপার সাথে দেখা হবার কথা। ও সব শুনে বললো 'মন খারাপ করো না। নিবেদিতা আপা তো এমনই। সহজ সরল।'

আমি কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি আপা কেমন করে মায়ের সাথে আমার ব্যাপার নিয়ে গল্প করছিলো। ওর হাত আর মাথা নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস।

আমার মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয় নিজের পরিবারের সাথে বিচ্ছেদ। তখন শ্রাবণকে সব বলে বলে হাল্কা হই। কিন্তু আমার মতো শ্রাবণও তো ওর ফ্যামিলি থেকে দূরে সে কথাটা আমি যে কী করে প্রায়ই ভুলে যাই! ওর ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে খুব মায়া লাগে ওর জন্য। আমি ওর চুলটা আমার হাত দিয়ে একটু নেড়ে দেই। ও ঘুমের ঘোরেই আমাকে ওর একটু কাছে টেনে নেয়। বলে " ঘুমাও না ক্যানো " । মুহূর্তেই ও আবার ঘুমিয়ে পরে। আর আমি একলা জেগে রই। ওকে ইচ্ছে করে জোরে জোরে কিলিয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেই। আমি ঘুমাতে পারছি না আর ও কেন এমন নির্বিকার হয়ে ঘুমাবে! আমার মাঝে একই সাথে রাগ ,অভিমান,মায়া কাজ করে ওর জন্য। মনে হতে থাকে ও খুব সুখী!

চলবে

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যদি কিছু মনে না করেন তাইলে একটা কথা কইতাম।
কথাডা হইলো গিয়া এই সিরিজটার নামটা ঠিক লাগতেছেনা।
যদি পারেন চেঞ্জ কইরা নিয়েন।
আবার কিছু মনে নিয়েন না কিন্তু।

শুভকামনা রইলো।
কইছিলাম সাথে আছি। দেখছেন ঠিকই সাথে আছি সিরিজের।
মাঝে মইধ্যে চা পানি কিছু খাইতে দিয়েন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কিছু মনে করার কি আছে ? ঠিক মনে হইতেছে না ক্যানো সেটা ক্লিয়ার কইরা বলেন।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


উপন্যাসটার সাথে ঠিক মানাচ্ছেনা তাই বললাম।

আচ্ছা দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নবনীতার ডায়েরি মানে যে সব নবনীতার কথাই লিখতে হবে এমন মনে করি না আমি। নবনীতার সাথে যাদের চলাফেরা, ওর বা ওর স্বামীর একটু কনভার্সেশন, ওর চিন্তা বা ওর মনে ঘটে যাওয়া সব কিছুর রিফ্লেক্ট বা ওর হয়তবা ডায়েরি লেখার হ্যাবিট আছে যা হয়তবা পরে কোথাও দেখানো হবে, সব মিলিয়েই তো নবনীতার ডায়েরি।

নাম হিসেবে বিকল্প কিছু আপনি ভেবে থাকলে জানাইয়েন। নাম খুঁজতে গেলে হয়রান হই।

নেন কাল্পনিক চা খান। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো বরাবরের মতো :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিনুল।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

শায়মা বলেছেন: আপু এই ডায়েরী কি রোজ রোজ লেখো!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: না আপুনি, রোজ রোজ এই ডায়েরি আমি লিখি না। যখন লেখার ফ্লো আসে তখন একসাথে অনেকটা লিখে ফেলি। আর সময় পাবার ব্যাপারও থাকে।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

শায়মা বলেছেন: বলতে ভুলে গেছি অনেক অনেক ভালো লাগা!:)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগা জানাবার জন্য ধন্যবাদ শায়মা আপুনি

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো ছিলো। গল্পের সাথে বাস্তবের কারো সম্পর্ক নাই তো? আমি যারই গল্প পড়ি না কেন, আমার সবকিছুই পড়বার সময় সত্যি মনে হয়। এই মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি দরকার

শুভকামনা রইলো। :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: "আমি" বা " প্রথম পুরুষে" লিখলে লেখাগুলো হয়তো জীবন্ত হয় কিছুটা যে কারণে মনে হচ্ছে সত্যি ঘটনা না তো ! তাও তো আপনি সুন্দর করেই বললেন অনেকে আমি আমি দিয়ে লেখা পড়ে বা নাম পুরুষে লিখলেও লেখকের সাথে ব্যক্তি লেখকের মিল খুঁজে বেড়ায়।
এটা অস্বীকার করার উপায় নাই ইন্ডিভিজুয়াল গল্প বা ধারাবাহিক গল্প , উপন্যাস আমরা সচরাচর নিজের বা আশেপাশের পরিচিত মানুষের বা কখনো অন্যের মুখে শোনা অভিজ্ঞতা আর সাথে কল্পনার মিশেল, ডার্ক থীম বা মনের গোপন ইচ্ছেটা, ক্রোধ, ভালো লাগা এসব দিয়েই একটা লেখা দাঁড় করাই। না হলে এতো এতো ঘটনা কল্পনা থেকে রোজ প্রসব হবার কথা না।

আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: লেখা কিন্তু ভালো হইছে :)

বই আসবে নাকি এই গল্পের ।

অনেক কোমল , প্রাঞ্জল ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নাহ্‌ এই গল্পের বই আসবে না। বই আসলে সেখানে নতুন কিছু থাকবে হয়তো।
ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লাগলো।





ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইটা শুরু করতে হবে সেই গোড়া থেকেই। এখনও একটাও পড়া হয়নি।
এইটা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। সবগুলো পড়ে জানাচ্ছি। :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক আছে

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

মাহমুদ মাহাদী বলেছেন: এতো অল্প অল্প লেখেন কেন? আরো বেশি করে লিখতে পারেন না? জলদি plz

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অল্প অল্প লিখি বলেই দুই একদিন পর পর পোস্ট দেই

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

রাজু আহমেদ শিশির বলেছেন: জীবনরে প্রতিচ্ছব।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক বলেছেন

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়



যেভাবে গল্পের দড়ি ছেড়ে চলেছেন , ভয় হয় গুটিয়ে তুলতে কতোদিন লেগে যাবে !
একটি সংসারের দিনমানের এমন গল্পের সাথে আছি , চলুক .............

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভয়ের কিছু নাই আহমেদ ভাই, খুব তাড়াতাড়িই শেষ করে ফেলবো। নুহার মতো দীর্ঘায়িত করবো না।

১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মাঝে একই সাথে রাগ ,অভিমান,মায়া কাজ করে ওর জন্য। মনে হতে থাকে ও খুব সুখী!
এই অনুভূতিটা আপনার মত, মানে নবনীতার মত আরো অনেক মহিলার হয়ে থাকে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম কিছু কিছু ব্যাপারে নারীকূলের জেনেরালাইজেশন একই রকমের হয়।

১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

আরজু পনি বলেছেন:
কী বলবো বুঝতে পারছিনা। তবে পড়তে জীবন্ত লাগছে...

আমার এক বন্ধু বেঁচে থাকতে নিয়মিত ঝগড়া করতাম, আর যখন মরে গেল তখন কাঁদতে কাঁদতে নাকের নিচের ছাল উঠে গেছিল, এতো কেঁদেছিলাম যে সর্দির চোটে নাকের নিচের ছাল অবশিষ্ট ছিল না ।
বোনার চরিত্রটাও মজারু...কেউ কেউ সত্যি এমন হয়, মারাত্মক রকমের বোরিং...হাহাহাহা তবুও সত্যিই তারা অনেক ভালো ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার ভালো লাগছে জেনে আপনার কাছে আমার লেখা জীবন্ত লাগছে। আসলে আমাদের পরিচিত আশেপাশের মানুষদের গল্পইতো!

১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা| অনেক বাঁক আছে| যেমন আমি এর আগের পর্বের সাথে এটার তুলনা করতে পারি| আগের গুলোর ঝাঝ বেশি ছিল| এটায় নেই খুব একটা| তবে বেশ মায়াবী কোমল ভাষা, যা এটার জন্য দরকার

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি শুরু করেছি একেক জনের সাথে নবনীতার একেক রকম কনভার্সেশন দিয়ে। তাই একেকটা পর্ব একেক রকম অনুভব দিচ্ছে যা আপনার ভাষ্যমতে ঝাঁঝ!
ধন্যবাদ

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটা বিষয় খেয়াল করলাম, তিন নং পর্বটা লিখেছেন আঞ্চলিক ভাষায়, আর এটা লিখেছেন প্রমিত বাংলায়, কেন? সিরিজ হিসেবে লিখছেন যেহেতু, ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিৎ|

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার ভাষা নিয়ে অব্জারভেশন ভালো লাগলো।
এবার আবার পারলে খেয়াল করেন নবনীতার সাথে ওর বন্ধুরা যেভাবে কথা বলে নবনীতাও সেভাবে কথা বলে। আঞ্চলিক টোন তবে প্রেজেন্ট টাইমের কথাবার্তার এক্সেন্ট ফলো করে। আর শ্রাবণের সাথে নবনীতার ভাষাটা সবসময় আঞ্চলিক না হলেও প্রমিত ভাষায় রাখার চেষ্টা করেছি।
কিন্তু নবনীতা যখন নিজে কিছু ভাবে, নিজের মনে কিছুর উদয় হয় তখন তো সেটা আঞ্চলিক দেয়া সম্ভব না। এটা তার নিজস্ব ফ্লো। নবনীতার নিজস্ব যে ভাষাটা সেটা তো পাঠকের সাথে হচ্ছে। আশা করি এবার ক্লিয়ার হয়েছে ব্যাপারটা আপনার কাছে।

ভালো থাকুন।

১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন ! লাইক নাম্বার ৯ ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই

১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

শুভ্রা হক বলেছেন: আমি একজন নতুন সদস্য এই ব্লগে। ইন্টারনেট সার্ফিং করছিলাম। এই ব্লগে ঢুকে অপর্ণা আপনার" নবনীতার ডায়েরি" পড়লাম। খুব প্রাঞ্জল ভাষা। খুব ভালো লেগেছে। এই ভালো লাগাটা জানানোর জন্যই এই ব্লগের সদস্য হয়ে গেলাম।
আপনি প্রতিদিন লিখুন, ভালো লাগছে আপনার লেখা পড়তে।
আমরা সম্ভবত একজন শক্তিশালী লেখকের আবির্ভাব এর ঘটনা প্রত্যক্ষ করছি।
ভালো থাকবেন। আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায়........।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নতুন সদস্য হিসেবে আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//শ্রাবণের মতে আমার এ টু জেড হার্ট, ব্রেইন নাকি নাই।// :P



নবনীতার বোন কিন্তু খুব ভালো মানুষ...
তবে সমসাময়িক সমাজে তাদের সংখ্যা কমতির দিকে।
আমাদের মা-চাচা দাদি-নানিদের মধ্যে এদের সংখ্যা বেশি।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সবার কি ব্রেইনের পাশাপাশি হার্ট থাকে, বলেন!!!
ভালো মানুষ সবখানেই থাকুক এই কামনা করি

২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

জুন বলেছেন: ডায়েরী লিখতে আর পড়তে দুটোই ভালোলাগে অপর্না মম্ময়। আমার লেখালেখির সুচনা সেই পিচ্চি কালে আব্বার ফেলে দেয়া আগের বছরের ডায়েরীতে। এখনো সেই স্ট্যান্ডার্ডেই লিখছি। বিন্দুমাত্র তার মানের উত্তরন ঘটেনি।
আপনার লেখাটি খুব ভালোলাগছে। চারিপাশের সবার জীবন থেকে নেয়া খুটিনাটি ঘটনার প্রকাশ। সাথে আছি।
+

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ডায়েরি লেখার অভ্যাসটা ভালোই বিশেষ করে অভ্যাস ধরে রাখাটা। আমি ফাঁকিবাজ টাইপ। কিছুদিন ডায়েরিতে লিখি কিছুদিন পিসিতে ওয়ার্ড ফাইলে লিখি আর দিনের পর দিন লিখিই না!
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ আপা

২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লেখা পড়লুম, চলুক।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ। ঘোর লাগানো লেখনী, মুগ্ধ পাঠ। বর্ণনা এতো সাবলিল ও গতিময় ছিল যে, মনে হচ্ছিল প্রতিটি দৃশ্য আমি দেখতে পাচ্ছি। আপনার লেখনীকে কুর্নিশ।

পরের পর্বের অপেক্ষায়...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রশংসা বেশি বেশি কইরা ফেলছেন ভাই !
ধন্যবাদ। পরের পর্ব দিবো এর মাঝেই

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। সামনে আরো ভাল রোমান্টিক গল্পো চাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রোম্যান্টিক গল্প লিখতে পারি না :(

২৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: এত সুন্দর করে কিভাবে লিখেন , পাঁচ পর্বই পড়লাম খুব ভাল লাগল , পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বরাবরের মত ভাল লেগেছে । লেখার চিত্রগুলো যেন সামনে ভেসে উঠেছে !!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

২৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এটা ভাল হচ্ছে। ফোকাস হচ্ছে ফ্যামিলির ওপরে, আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নিয়ে; সম্পূর্ণ জগতে একাকি দুজন মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে।

আর দুই বোনের নাম দারুণ রাবিন্দ্রিক, নবনীতা-নিবেদিতা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মোটিভেটিভ কমেন্টের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.