নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখকদ্বয়

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

১।

সাব্বির বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরেই চেস্টা করছে সামনের ভিউ থেকে থিমেটিক কিছু খুঁজে বের করতে। এজন্য বারান্দার এমাথা ওমাথায়ও কয়েকবার চক্কর দিয়েছে।কিন্তু কুয়াশা ঘেরা একটা সকালের বাইরে আর কিছুই এর মাঝে খুঁজে পেলো না। শহরের হাইরাইজ বিল্ডিং এর ফাঁকে ফাঁকে আদৌ কোনো সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে কিনা তাও ভাববার মত বিষয়। আজ অনেকদিন পর সাব্বিরের একটু লেখার মুড এসেছিলো মানে গতকাল রাতে। রাতে ঘুম ভাঙার পর থেকেই ভেতরটা ছটফট করছিল কিছু লেখার জন্য। একাকী কামরার নির্জনতা নিয়ে এর আগেও দুইটা লেখা ও লিখেছিল।একটা গল্প আরেকটা মুক্তগদ্যের ঢঙে। এটা মনে পড়াতে ও তাই ভাবছিলো এখন যেহেতু শীতকাল তাহলে শীত বা কুয়াশাচ্ছন্ন থীম নিয়ে কোনো কিছু লিখবে। সূর্য উঁকি দিচ্ছে, জানালার কাঁচে কুয়াশার উপর সূর্যের আলোর চিকচিক করে ওঠা দেখে কোনো ব্যক্তির মাঝে নতুন করে বাঁচার ইচ্ছে জেগে উঠেছে এইরকম টাইপ কিছুর চিন্তা এসেছিলো। যদিও পাবলিক এতো ম্যারম্যারে লেখা খাবে না কিন্তু কিছু একটা লিখে হাতের আড় ভাঙাটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওর জন্য। লিখবে কোত্থেকে শালার সূর্যই তো উঠে নাই।ধুর আর এদিকে রাতটাও নির্ঘুম গেলো। ফাহিম যদিও বলে -

বন্ধু তুমি লেখক হয়ে এমন ধরণের গালাগালি কর,সেটা কি ঠিক ?

ক্যানরে ভাই আমি লেখক দেইখা কি মানুষ না? আর শালা কোনো গালির পর্যায়ে পড়ে কে বলছে তোমারে ?

পাবলিক কোন লেখা খায় আর কোন লেখা খায় না এসব নিয়ে বিস্তর তর্ক করেছিলো একবার ফাহিমের সাথে। ফাহিম ওর লেখক বন্ধু। পরিচয়টা ব্লগ থেকে ফেসবুক হয়ে ব্যক্তিজীবন পর্যন্তই গড়িয়েছে। সাব্বিরের লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়ে হলেও এখন ও ট্র্যাক বদলেছে। গল্প না কবিতা না প্রবন্ধ কোনটায় লেখক পরিচিতি বাড়ে এ নিয়েও ওদের দুজনের মাঝে প্রায়ই তর্ক হয়। সেবার তো সাব্বিরের কথা শুনে ফাহিম কয়েকদিন কথাও বলেনি ওর সাথে। সাব্বির যখন বলেছিলো -

আরে মিয়া বাংলাদেশে কি কবির অভাব আছে? ঘাটে ঘাটে কবিদের আনাগোনা। ব্লগগুলা ঘুইরা দেখছ ? মিনিটে মিনিটে কবিতা প্রসব করতাছে। দুই লাইন ফুল, লতা আর নারী নিয়া লেখলেই কবি হওন যায় ? সাব্বিরের কথা শুনে ফাহিমের চেহারাটা কেমন গম্ভীর হয়ে যাচ্ছিলো।

তোমার কি মনে হয় কবিতা লেখা খুব সহজ ব্যাপার? তুমিও তো লিখছ কবিতা কিন্তু তুমি কি তৃপ্ত হচ্ছো? ফাহিমের কথা শুনলে গা জ্বলে যায়। ব্যাটা বেশি আঁতেল আর জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব ধরে কথা বলে। কিন্তু এ কথাও ঠিক কবিতা লেখা সহজ কাজ না। কিন্তু সে কথা স্বীকার করলে তো আর মানসম্মান থাকে না। তাই অনেকটা তাচ্ছিল্য করেই সাব্বির উত্তর দিয়েছিলো -

ধুর ধুর আমি চাইলেই পারি অমন অনেক কবিতা লিখতে। কিন্তু আমার আসলে কবি হবার ইচ্ছাই নাই। আর বাংলাদেশে অনেক অ-কবি ,কবির ছড়াছড়ি। ভাবতেছি গল্পকার হইয়া যাবো। কি বলো তুমি ?

সে তোমার যা ইচ্ছা হও কিন্তু এটা মনে রেখো কবিরা কিন্তু চাইলে ভালো গল্পকারও হতে পারে। তুমি চ্যালেঞ্জ করলে তোমাকে গল্প লিখেও দেখাতে পারি।

না চ্যালেঞ্জ করতেছি না কিন্তু দরকার কি গণহারে কবিদের স্রোতে গা ভাসানের? তুমিও গল্পকার হইয়া যাও। লাইনে আসো। ফাহিমকে যখন এ কথাটা ও বলেছিলো তখন সরল মনেই বলেছিলো কিন্তু সত্যি সত্যি যখন ফাহিম গল্প লেখা শুরু করলো, সাব্বিরের মনে খুব সূক্ষ্মভাবে একটা ঈর্ষার ব্যাপার কাজ করতে শুরু করে। শুধু তাই না ফাহিমের সাথে ও আগে প্রায়ই বিভিন্ন গল্পের প্লট নিয়েও আলোচনা করতো কিন্তু সেসব নিয়ে যখন ফাহিম লেখা শুরু করলো রীতিমতো সাব্বিরের মাথা রাগে দপদপিয়ে ওঠে। আকার ইঙ্গিতে ফাহিমকে কয়েকবার অন্যদের রেফারেন্সে বলেছেও থীম চুরি নিয়ে ফেসবুকে বা ব্লগে বিভিন্ন গ্রুপের দলাদলি বা সিন্ডিকেটের ঘটনা। কিন্তু ব্যাটা বহুত পিছলা। সাব্বিরের কথা শুনে উত্তর দিয়েছে -

একই থীম নিয়ে তুমি চারজনকে লিখতে দাও। দেখবে চার ধরণের লেখা প্রোডাক্ট করেছে তারা। সে হিসাবে তুমি কাউকেই পুরোপুরি থীম চুরির দায়ে অভিযুক্ত করতে পারো না বন্ধু।

তাই বলে ফাহিম সাব্বিরের বলা গল্পের প্লটগুলো নিয়ে এভাবে গল্প সাজিয়ে লিখে ফেলবে এটা ও মেনে নিতে পারে না। অবশ্য গল্প গুলো অনেকদিন আলোর মুখ দেখেনি, দেখার সম্ভাবনাও ছিলো না। কিন্তু তাই বলে ও সেগুলো কেন লিখবে এ অভিযোগও ফাহিমকে করতে পারে না বলে ওর ভেতরটা চোরা দহনে ওকে দগ্ধ করতে থাকে। তাই ফাহিমের লেখা ভালো হলেও সাব্বির যেন অনেকটা ইচ্ছে করেই বলে -

ধুর মিয়া কি লিখছো এইটা ? আমার থীম নিয়া লেখছো একবার আমারে জিগাইয়া নিবানা আমি এইটার ফিনিশিং নিয়া কি ভাবছিলাম? ভালো মতো ভাইব্যা লেখো। এমনে লেখলে পাবলিক কিন্তু তোমার লেখা খাইবো না আগেই কইলাম।

তোমার আর আমার ফিনিশিং যে একরকম হবে না এটা তো বোঝাই যায়। আমি পাবলিককে খাওয়াবার জন্য লিখি না আগেও বলেছি। আমি আমার নিজের আনন্দের জন্য লিখি। আমি সস্তা বাজারি লেখক হতে চাই না, অনেকদিন পাঠকের মনের মধ্যে থাকতে চাই।

ফাহিমের কথা শুনলে সাব্বিরের ইচ্ছ করে শালার ঘাড়ে দুইটা ঘা লাগাতে। শালা একটা বাটপার। ওর ইচ্ছে করে বলতে - তোর যদি বাজারি লেখক হইতে মনে নাইই চায় তাইলে তুই পত্রিকা, লিটল ম্যাগগুলিতে লেখা পাঠাস ক্যান? ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে অইগুলিরে পাবলিক কইরা রাখস ক্যান? অনলি মী দিয়া রাখ। শালার মুখে একটা আর কামে প্রকাশ করে আরেকটা। বাটপার কোনহাঙ্কার। কিন্তু সেসব আর ওর বলা হয়ে ওঠে না।

শোনো বন্ধু, তোমার লেখা গল্প পড়লে ক্যান জানি মনে হয় তুমি কবিতাই লিখতাছ। পুরা গল্প জুইরা ভালোবাসার প্যানপ্যানানি। এর চেয়ে ভালো তুমি কবিতাই লেখো। তোমার অরিজিন ওইটাই।

ভালোবাসার গল্প বা কবিতা আমি তেমন লিখিনি সাব্বির।

ওই হইলো আর কি। লেখা জুইড়া যদি দুঃখ কষ্ট আর অভিমানের ছড়াছড়ি থাকে ওই লেখা তো পোতাইয়া গেলো, বুঝলা না? মানুষের জীবনে এমনেই অনেক ঝুটঝামেলা লাইগ্যা থাকে। মানুষ চায় অ্যাকশন, একটু অন্যরকম লেখা।

ওর কথা শুনে ফাহিম হাসে। ওর হাসিতে তাচ্ছিল্য লেগে আছে এমন মনে হয় সাব্বিরের। ও বলে -
অ্যাকশন আর অন্যরকমের জন্য বুঝি গালাগালি করে লেখা লিখতে হবে, সাইকোপ্যাথিক লেখা লিখতে হবে আর অশ্লীলতা ঢুকাতে হবে, এমনটাই বলতে চাও? এসব আমিও পারি লিখতে। ইচ্ছে হয় না বলে লিখি না। নিজস্ব একটা ট্র্যান্ড আনতে চাই লেখায়। বরং এক কাজ করো। তুমি জাস্ট চার লাইন একটা কবিতা লিখে দেখাও আমাকে।

কি ভালোবাসার কবিতা? অনেকটা ঠেস মেরেই সাব্বির জিজ্ঞেস করে।

ভালোবাসা, যুদ্ধ, সেক্স যা ইচ্ছা লেখো। তোমার জন্য ওপেন ফিল্ড দিলাম।

হাহ্‌ কবিতা লেখা ব্যাপার না। ওকে লিখা দেখাবো নে তোমারে। বিশ পঞ্চাশটা কবিতা পড়লে চার/পাঁচটা কবিতা লেখা ব্যাপার নাকি! মনে মনে এসব ভাবলেও সাব্বির কবিতা লিখতে বেশি সময় নেয়নি। বিছানায় যাওয়ার আগে কয়েকটা বই নিয়ে চোখ বুলালে তো এমনিতেই কবিতা লেখার ভাব আসে। একবার ভেবেছিলো অনেকদিন কোনো কবিতার বই কেনা হয় না, আজিজ মার্কেটে গিয়ে ঢুঁ মারার চিন্তাও করেছিলো। কিন্তু ফাহিমের চ্যালেঞ্জের জন্য রিকশা ভাড়া আর টাকা খরচ করে বই কেনার চিন্তা উড়িয়ে দিয়ে অনলাইনের বিভিন্ন কবিতার পেইজ থেকে কিছু আনকমন কবিতা বেছে প্রিন্ট করে দুই একবার চোখ বুলিয়েছিলো। আজকাল কি সব যে কবিতা পোলাপান লেখে! পড়লে ওর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। অনেক ভেবেচিন্তে ও কয়েক লাইন কবিতা লিখেও ফেলে -


স্তব্ধ রজনী জানে নিদ্রাবিহীন রাতের নিদারুণ আর্তি,
তামসে জোনাকির আক্ষেপ!
তাই কোনো সান্ত্বনা নয়, সান্ত্বনা নয় - বরং
তোমার–আমার প্রার্থনায় বাজুক অজস্র সুরের বাজনা।


কিন্তু বাজনা শব্দটা ওকে ঠিক স্বস্তি দেয় না। উল্টো মাথায় ক্রমাগত ঢাক ঢোলের আওয়াজ তুলে ওকে অস্থির অবস্থায় ফেলে দেয়। এর বিকল্প কিছু ওর ভাবনায় আসে না বলে ও ঠিক করে ফাহিমকেও এমন এক টপিক দিবে যাতে ও সেটা লিখতে না পারে।

২।

আজকাল ফাহিমের মেজাজটা খুব খিচড়ে থাকে। সাব্বিরের সাথে পরিচয় হবার পর থেকে এমন লাগাটা বেড়েছে। যে অফিসে কাজ করে সেখানে নিজের পারফর্মেন্সের কারণে টুপটাপ কয়টা প্রোমোশন পেয়ে নিজের এখন আলাদা একটা রুম থাকায় লেখালেখি নিয়ে চিন্তাভাবনার সময়ও খানিকটা পায়। এটা নিয়ে ওর বৌ সামিরা অবশ্য অবাকই হয়। আইটি সেক্টরের লোক হয়ে এতো সাহিত্যপ্রীতি কীভাবে সম্ভব তারউপর অফিসে বসে সাহিত্যচর্চা! যখন সাব্বিরের সাথে পরিচয় হয়েছিলো তখন বুঝতে পারেনি ছেলেটা ভেতরে ভেতরে এতো রাফ আর গোয়ার ধরণের। কিছু একটা আকর্ষণ সাব্বিরের চরিত্রে ঠিকই আছে যে কারণে এখনো ফাহিম সম্পর্কটা ওর সাথে ধরে রেখেছে কিন্তু মাঝে মাঝে ওই ছেলে এতো এক্সট্রিম লেভেলের মুখ খারাপ করে ইচ্ছে করে থাপড়িয়ে ওর নাক-নকশা বদলে দেয়। এক নাম্বারের গবেট একটা। ফাহিমের যে কোনো লেখা পড়লে অকারণেই সেসব নিয়ে তর্ক করা তো আছেই, কোনোদিন প্রশংসাও করতে চায় না। অবশ্য ফাহিম জোর করে যখন গল্প লেখিয়ের কাতারে নাম লেখালো তখন থেকেই সাব্বিরের এসব বদমায়েশির শুরু। ফাহিমও কম ঘাগু, আগে যেসব টপিক নিয়ে সাব্বির গল্প লিখতে গিয়ে আটকে যেতো কিংবা পরামর্শ করতো কোন টপিক নিয়ে লিখলে ভালো হয়, সাব্বিরকে শাস্তি দেয়ার জন্য ও নিজেই সেসব থীম নিয়ে অসামাপ্ত লেখাগুলোকে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করলো। ফাহিম ঠিকই টের পায় সাব্বির ঈর্ষা করে এসব নিয়ে কিন্তু ভদ্রতার কারণে বলতে পারে না। ওর মনের না-বলা ভাব দেখে ফাহিম ভেতরে ভেতরে খুব আনন্দ বোধ করে।


কিন্তু ওই শালাটা পুরোই একটা খচ্চর মনে মনে ভাবে ফাহিম। গল্প লেখার শুরুর দিকে আগে প্রায়ই ফাহিমকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে এমন এমন সব টপিক দিত লেখার জন্য যে ওর পুরো মাথাই ফাঁকা হয়ে যেতো সেসব প্লট সাজাতে গিয়ে। এতো ফুটানি করে যেহেতু ও সাব্বিরকে বলেছিলো গল্প লেখা কোনো বিষয় না, তাই ওর চ্যালেঞ্জ রাখতে না পারলে একটা মানসম্মানের ব্যাপার। সারাক্ষণই ওর মাথায় অক্ষরেরা নাচানাচি করে। হারামজাদাটা কয়দিন আগে একটা থীম দিয়েছিলো -

মনে করো একটা গ্রামের গল্প এটা। একদিন সকালে উঠে গ্রামবাসী দেখলো যে ওই গ্রামে আর একটা গাছও নেই। গ্রামবাসীদের মনের বিস্ময় ভাবটা যেমন ফুটাইয়া তুলবা সেই সাথে কারা কারা এইসব কাজের সাথে যুক্ত এইসব নিয়া একটা গল্প লেখবা। খালি লেখার উদ্দেশ্যেই লেখবা বা বর্ণনা করতাছো ব্যাপারটা এমন জানি না হয়। প্রতিটা লাইনের সাথে সাথে পাঠক জানি সেইসব ভিজুয়ালাইজ করে অমন কইরা লেখবা, বুঝছো দোস্তো ?

এহ্‌ আমারে বুঝাইতে আসছে ভিজুয়ালাইজ নিয়া। ওর কাছে আমার শিখতে হবে এখন ভিজুয়ালাইজ কীভাবে করে! মনে মনে ফাহিম যতই তর্জন গর্জন করুকনা কেন ওর মাথায় কিন্তু সেই থীম ঘুরতেই থাকে একটা গ্রামের সব গাছ কেটে উজার করে ফেলা হয়েছে এবং ঘুরে ঘুরে সেই থীম ওর মাথায় উঁকি মেরে যায়। ও শহরে বড় হওয়া মানুষ, এই ধরণের থীম নিয়ে লেখা কি সহজ কাজ! ইচ্ছে করেই হারামিটা এমন থীম দিয়েছে যাতে ও লিখতে গিয়ে হিমশিম খায়। কিন্তু এতো সহজে ফাহিম হাল ছেড়ে দেয়ার মানুষ না। ওর শ্বশুর বাড়ির দিকের এক আত্মীয়র বাড়িতে এই কারণে ঘুরতেও গিয়েছিলো। জায়গাটা ঢাকা ছাড়িয়ে খুব বেশি দূরে না; নরসিংদীর মনোহরদীতে। এর আগে একবার বেড়াতে গিয়ে ভালোই গাছগাছালি চোখে পড়েছিলো সেখানে। শ্যালক সম্পর্কের একজনকে নিয়ে বিকেলে বাজারের দিকে ঘুরতেও বের হয়েছিলো। উদ্দেশ্য এখানের মানুষের জনের চিন্তাভাবনা কেমন সেসব জানা বা গল্পোছলে নিজের কাজটা সেরে নেয়া। একটা চায়ের দোকানে গিয়ে বেশ আরাম করে চায়ের কাপে যেই না চুমুক দিয়েছে অমন সময় আরেকজন হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে এসে ওর শ্যালককে জানালো -

জামিল ভাই, গন্ডগোল লাগছে। তাড়াতাড়ি বাড়িত যান। চরখিরাঠির মাইনসেরা দাও আর বল্লম নিয়া এনই আইতাছে।সাহেব বাড়ির বাগান দাও দিয়া কোবাইয়া কিছু রাখছে না চাই!

ঘটনা যেটুকু বোঝা গেলো দুই এলাকার মানুষজন ব্যক্তিগত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে বাড়ি ঘর, বাগান, গাছপালা কুপিয়েছে, দুই একটা লাশও ফেলেছে। যে এলাকার মানুষ গাছপালা নিজেরাই কেটে সাফ করে দিতে পারে সেখানে ওর গল্পের প্লটে গ্রামবাসীদের বিস্ময় যে ফুটে উঠবে না সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। পরে একটা মারমুখী গ্রাম্য অ্যাকশনের গল্প ও লিখেছিল এদিক সেদিক করে। চোরাকারবারিদের এক্টিভিটিস কেমন হতে পারে ব্লগে, পত্রিকায় সার্চ করে পড়ে নিয়ে তারপর একটা গল্প দাঁড় করাতে পেরেছিলো। কিন্তু চোখে দেখে লেখা এক জিনিষ আর না দেখে কল্পনা মিশিয়ে লিখা আরেক ব্যাপার। এই কথা শুনে জ্ঞানী মদনা সাব্বির বলেছিলো -

আরে মিয়া যেইটা কোনোদিন দেখো নাই সেইটা নিয়া লেখাটাই তো তোমার লেখক হিসাবে ক্রেডিট বইলা গণ্য হইবো। সব কিছু এতো দেইখা লেখতে চাও ক্যান? গল্প লেখন যে সোজা না বুঝতাছো এইবার?

হারামজাদাটার পাকামি কথা শুনলে থাপড়াতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ফাহিম উত্তর দিয়েছিলো -

যে ব্যাপারটা নিয়ে অভিজ্ঞতা আছে সেটা নিয়ে লিখলে লেখায় অনুভব গাঢ় হয়।

হ, এতো গাঢ় অনুভূতির দরকার নাই। পরে আঠা ছুটানো যাইবো না। বলে খ্যাক খ্যাক করে অশ্লীল ইঙ্গিত দেয়। মাঝে মাঝে এই ছেলেটা এতো বিশ্রী ভঙ্গীতে কথা বলে খুব বিরক্ত লাগে। কিন্তু শুরু থেকে এই পর্যন্ত ফাহিম সাব্বিরসহ লেখালেখির জগতে একটা ভদ্রতা বজায় রেখেই চলেছে। সাব্বিরের মন ভরা এতো হিংসার ব্যাপারটা টের ও আগেই পেয়েছিলো কিন্তু কনফার্ম হবার জন্য ও মাঝে মাঝে ওর লেখার খসরা ওকে দিয়ে বলেছে -

পড়ে দেখো তো দোস্তো। ভুল বা অসঙ্গতি চোখে পড়লে জানিও। ফাহিম জেনে বুঝেই মাঝে মাঝে ভুল লেখা দিয়েছে। কিন্তু সাব্বির ভুল ধরিয়ে দেয়া দূরের কথা ভালো মন্দ কিছুই বলেনি। সামনে বইমেলা আসছে। খুব মন দিয়ে লেখালেখি করতে হবে আর নতুন নতুন কিছু গল্প নামাতে হবে। মিনিমাম একটা ছয় বা আট ফর্মার বই বের এবার না করলেই না মনে মনে ভাবে ফাহিম। মোটামুটি কয়েকটা প্রকাশনিতে কথা বলে খোঁজ নিয়েছে কেমন খরচ পড়তে পারে। এর মাঝে " হলুদ ফুল লাল ফুল" প্রকাশনি থেকেই বই প্রকাশ করবে বলে ভেবেছে। ঝকঝকে প্রচ্ছদ না ম্যাট করাবে একবার ভেবেছিলো সাব্বিরের সাথে আলোচনা করবে কিন্তু বইমেলার প্রসঙ্গ আসাতে সাব্বির বলেছিলো -

এই যে সারি সারি লেখক,অ-লেখক দিয়া সাহিত্যের জগতটা ভইরা গেছে, টেকা হইলেই বই বাইর কইরা ফালায়। নিজের বাপ-দাদার নাম থুইয়া ছদ্ম নামে বই প্রকাশ করে। সবাই কি আর বনফুল, নীললোহিত হইতে পারে! হেহ্‌...

ফাহিমের মনে হয় কথাটা ওকে উদ্দেশ্য করেই সাব্বির যেন বললো। ফাহিম " তীরন্দাজ " এই ছদ্মনামে লেখে আর সে নাম নিয়ে বহুদিন সাব্বির ওকে শুনিয়েছে ওর নাম শুনলে কারো বোঝার উপায় নেই ও পুরুষ না মহিলা। লেখকের আবার পুরুষ মহিলা কি এটা বলাতেও সাব্বিরের যুক্তির অভাব নেই। বলে -

আরে মিয়া পুরুষ হইয়া তুমি যে লেখা লিখতে পারবা, নারী হইয়া কি পারবা অমন কইরা লিখতে? আমাগো দেশেই তো দেখো না নারীদের লেখা নিয়া কতো বদনাম, ফতোয়া আরো কতো কি!

নারীদের লেখার সীমাবদ্ধতা, স্বাধীনতা হরণ ইত্যাদি নিয়ে ফাহিমের ইচ্ছে হয়েছিলো সাব্বিরকে কিছু বলতে কিন্তু ওর এই সবজান্তা ভাবটার জন্য ও ইচ্ছে করেই এবারের বইমেলায় ওর বই প্রকাশের খবরটা সাব্বিরের কাছে চেপে যায়। ওর গল্পের বইয়ের নাম নিয়ে সাব্বিরের সাথে একটু আলোচনা করতে পারলে ভালো হতো মনে হলেও নানা ভাবনায় আর সেটা হয়ে ওঠে না।

৩।

অনেকদিন পর দেখা হইলো দোস্তো, না ? বলো কেমন আছো ?

সাব্বিরের উষ্ণ সম্বোধনটা ফাহিমও উপভোগ করে। জিন্স আর ফতুয়ার উপর সাব্বির একটা কালো আর ধূসর রঙের চাদর জড়িয়েছে। জিন্সের পকেটে হাত ঢুকিয়ে রাখাতে ঠোঁটে ও সিগারেট চেপে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারছে না। এর মাঝে কয়েকবার সাব্বিরের গায়ের চাদরের দিকে চোখ পড়েছে। বুঝতে পারছে না একই চাদরে এক জায়গায় কালো আবার আরেক পিঠে ধূসর কেন। জিজ্ঞেস করলেই তো লেকচার ঝাড়বে। এর চেয়ে চারুকলার পাশ ঘেঁসে চুপচাপ হাঁটতেই ফাহিমের ভালো লাগছে। আর কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যে নামবে। ঐ মুহূর্তটা বেশ লাগে ওর। ততক্ষণে সাব্বির বললো -

এইটারে বলে টুইন শাল। আজিজে পাইবা। কালা হইলো রঙের রাজা, এইটা কখনো ভাবছো ?

হুম

অনেক গভীর বোধের ব্যাপার আছে এই কালা রঙের মাঝে। তুমি তো আগে কবিতা কুবিতা লেখতা, তুমি ভালো বুঝবা। ওইখানে ঝাঁপ দিলে তোমার মইধ্যে আরো রঙের উদয় হইবো কিন্তু সেসব রঙে গভীরতা পাইবা না। মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানো দোস্তো? আমি নিজেই একটা কালা রঙের আধার। আমার ভিত্রে অনেক কথা, অনেক বিশাল এই ব্যপ্তি কিন্তু কতটুকুই আর প্রকাশ করতে পারি কও! পকেট থেকে হাত বের করে সিগারেটে লম্বা এক টানে শেষ করে রাস্তার ধারে ফেলে দেয়। চলো ছবির হাটের ঐহানে যাই। হাট না থাকুক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তো আর হারায় যায় নাই। চা খাই আর কথা কই ,চলো । সল্লু মামার দোকানের চা বহুতদিন খাই না। বলতে বলতে ওরা ভেতরে ঢুকে কিছুদূর সামনে এগিয়ে একটা ফাঁকা জায়গা দেখে বসে পড়ে।

তা দোস্তো, এহন তুমি সময় কাটাইতাছো কেমনে? আজকাল তোমারে ব্লগে বা ফেসবুকে ল্যাদাইতে দেখি না যে!

ল্যাদানো শব্দটাই যথেষ্ট এই সুন্দর সময়টাকে নষ্ট করার জন্য। আমাকে কি তুমি ইয়ে ভাবো ? লেখালেখি আর ল্যাদানো দুইটা কি এক ব্যাপার ?

ফাহিমের কথা সাব্বির তেমন গায়ে লাগায় না। বলে -

আমিও আজকাল কম ল্যাদাই। ভাল্লাগে না লেখালেখি করতে। মনে হয় রাইটার্স ব্লকে ধরছে।

এবার বইমেলায় কোনো বই বের করবে না ? ফাহিমের খুব ইচ্ছে করে সাব্বিরকে ওর বইয়ের কথা বলতে। একবার ভাবে ওর " অন্ধকারের গান " বইয়ের নামটা ওকে বলতে, প্রচ্ছদের ডিজাইনটাও দেখাতে ইচ্ছে করছিলো। আমারো লেখালেখি এখন ভালো লাগে না বুঝলে? লিখতে বসলেই মনে হয় কী হবে লিখে, এর মানে কি এসব। তোমারও কি এমন লাগে সাব্বির? যদিও খুব নিরাসক্ত গলায় এসব ফাহিম বলে যায় কিন্তু ভেতরে ভেতরে কুটকুট করে ও হাসে। গত আড়াই মাসে ও মোট পনেরোটা গল্প লিখেছে। কেটেছেঁটে শেষ পর্যন্ত আটটা গল্প দিয়ে বই বের করবে এবারের মেলায়। গায়ের দামটা কমিশন বাদ দেয়ার পরে একটু বেশি মনে হলেও পাঠককে আনকোরা গল্প উপহার দিতে পারবে ভাবলেই ওর ভেতরটা ঝলমল করে ওঠে।

ঠিকই বলছো দোস্তো। আমার ভিত্রেও একই ভাবনা কাজ করে। যা করি সবই অর্থহীন লাগে মানে এই লেখালেখির কথা কইতাছি। আর চাকরি লইয়া একটা অনিশ্চিত অবস্থার মইধ্যে দিয়া যাইতাছি ইদানিং জানোই তো! আমার মন টিকে না কোনো অফিসে বেশিদিন। মনে করো একটা লেখার ফিলিংস আইলেই দেহি কাজকাম আইসা হাজির হয়। অফিসের বসেরা যদি জানতো একজন উদীয়মান লেখকের একটা লেখা প্রসবের আগেই তারে গলাটিপ্যা মাইরা ফালায় এইভাবে কাজের হুকুম দিয়া তহন আর কি মন মেজাজ ঠিক থাকে কও! এই লিগ্যা দিছি চাকরি ছাইড়া। সাব্বির খুব ভাব নিয়া কথা বললেও ও ভাবে ' কি দরকার অফিসে নিজের ফায়ার হওনের খবর আঁতেলটারে জানানের!'

ওদিকে ফাহিমও ভাবে ' এহ্‌ অফিস জানি লেখালেখির স্কুল। কাম থুইয়া ব্যাটা লেখস, তোরে তো ফায়ার করন দরকার!' কিন্তু ফাহিম শুধু ছোট করে বলে - হুম!

হঠাৎ করে ওদের মাঝে নিস্তব্ধতা বিরাজ করে। সাব্বির ওর পায়ের চটি জোরাতে ঘ্যাসঘ্যাস করে শব্দ তুলে ঝুরোঝুরো মাটি জড়ো করার মতো ছেলেমানুষি খেলায় মেতে ওঠে। সাব্বিরের ইচ্ছে করে ওর মোবাইলে এবারের বইমেলায় বের হতে যাওয়া প্রচ্ছদটা ওকে দেখাতে। গত কয়েকমাসে ও নিজেও বেশ কিছু গল্প লিখেছে। এর মাঝে সাইকোলজিক্যাল কিছু মার মার কাট কাট টাইপ গল্প। কিন্তু ইচ্ছে করেই ফেসবুক আর ব্লগে নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন ও যেমন দেয়নি তেমনি ফাহিমকেও কিছু জানায়নি। বরং নিরুৎসাহিতই করেছে বেশি এই বলে যে -

হুদাই বই বাইর করনের দরকার কি। মাইনসের আর খাইয়া কাম নাই প্রতিষ্ঠিত লেখকগো বই থুইয়া আমাগো বই ক্যান পাবলিক কিনবো! ফাহিম মদনাটাও বলেছে - হুম ঠিকই বলেছো! কিন্তু ওর ভেতরটা খুব হাঁসফাঁস লাগে নিজের বইয়ের খবরটা জানাতে না পেরে তাই স্থির হয়ে এক জায়গায় বসে থাকতে না পেরে ফাহিমকে বলে -

চলো দোস্তো, এইবার উঠি। মশা কামড়াইতাছে। সাব্বিরের বাসা হাতিরপুল। তাই ভাবে বাসায় যাবার আগে একবার আজিজে প্রকাশকের দোকানে ঢুঁ মেরে খোঁজখবর নিয়ে যাবে। আর বেশিদিন বাকি নেই বইমেলার, নিজের বইটা হাতে পাবার জন্য যেন ওর তর সইছে না। বই বিক্রি করে ধারদেনা করে না হয় বন্ধুবান্ধবের টাকা শোধ করা যাবে এই ভাবনায় ডুবে থাকে বলে খুব বেশি দুশ্চিন্তাও যেন কাজ করে না ওর মাঝে! কিন্তু তার আগে এই মদনটাকে কাটানো দরকার। বলা তো যায় না আবার শাহবাগে প্রকাশকের মুখোমুখি না হয়ে যায়! তাই ঠিক করে ফাহিমকে কায়দা করে সরিয়ে দিয়ে হলুদ ফুল লাল ফুল প্রকাশনীর দোকানে ও নিজেই যাবে।

ওদিকে ফাহিমও ভাবে সাব্বিরকে কীভাবে এড়িয়ে প্রকাশকের ওখানে যাবে ও বুঝতে পারে না। এখন যদি সাব্বিরও বলে চলো দোস্তো একসাথে হাঁটি কিংবা পাঠক সমাবেশ, প্রথমায় চলো ঢুঁ মেরে আসি, তখন ওকে না করবে কি করে ও ভেবে পায় না।

তবুও একসাথে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আজিজ মার্কেটের কাছে চলে আসলে ওরা আরো ধীরগতিতে এগোতে থাকে। দুজনের বুকের ভেতরেই মনে হয় ঢিপ ঢিপ করতে থাকে। হয়তো দুজনেই ভাবে বইমেলার আগে যদি প্রকাশ পেয়েই যায় ওদের বই বের হচ্ছে না হয় বলবে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্যই কেউ কাউকে বলেনি। তবুও অস্বস্তি যেন ওদের পিছু ছাড়ে না। হঠাৎ করে কে যেন রাস্তার ওপাশ থেকে জোরেশোরেই ডাক দেয় 'সাব্বির ভাই... আরে ভাই দাঁড়ান...' ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখে হলুদ ফুল লাল ফুল প্রকাশনীর শামস ভাই রাস্তা পার হয়ে ওদের দিকেই আসছেন।

যাক দুজনকে একসাথেই পেয়ে গেলাম! কি রে ভাই দুই দিন ধরে ফোন দিচ্ছি, ফোনটা ধরেন না ব্যাকও করেন না! খুব ব্যাড হ্যাবিট এটা। মোটামুটি বিরক্তির সুরেই শামস ভাই সাব্বিরকে বলেন। আপনার বই তো প্রেসে চলে গেছে। বাকি চার হাজার টাকাটা তো দিলেন না ভাই! আর ফাহিম ভাই আপনি তো আপনার প্রচ্ছদের ইলাস্ট্রেটর কপিটা এখনো মেইল করলেন না! সময় কমরে ভাই, সময় কম! যা দেওয়ার তাড়াতাড়ি দেন!

কেন যেন ফাহিম আর সাব্বিরের মনে হতে থাকে সময়টা এক জায়গায় এসে স্থির হয়ে গিয়েছে। ওদের দেখলে মনে হবে হঠাৎ করেই ওদের মাথার ওপর দিয়ে একটা বোমারু বিমান প্রচণ্ড শব্দ তুলে ঐ জায়গাটা কোনো অতলস্পর্শী নিস্তব্ধতায় ডুবিয়ে দিয়ে গেছে। একই সাথে ওরা যেন দৃষ্টিভ্রম অথবা শ্রুতিভ্রমে পড়ে যায় কিংবা প্রাণ থেকেও তারা একে অপরের দিকে নিষ্প্রাণ নিদ্রার মতো তাকিয়ে রয়।

সমাপ্ত



মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


লেখক হিসেবে আপনার নিজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ?
আসলে একজন লেখকের সার্থকতা নির্ভর করে কোন মানদণ্ডে ? তার নিজের আত্মতুষ্টি নাকি জনপ্রিয়তায় ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখক হিসেবে আমি স্বাধীন থাকতে চাই। সার্থকতা নির্ভর করে অবশ্যই আমার চিন্তাভাবনা অন্যের মাঝে লেখার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে সেখানে আমার চিন্তার সাথে সহমত প্রকাশ করলে ধরে নিবো আমার চিন্তা যুক্তিতে ভুল নেই।
লেখার সাথে আত্মতুষ্টির ব্যাপার অবশ্যই আছে। লিখেই গেলাম স্যাটিসফ্যাকশন এলো না সেরকম হলে লেখার ইচ্ছেটাই চলে যাবে। আর মানুষমাত্রই জনপ্রিয়তা চাইবে। তবে ব্লগই একমাত্র জনপ্রিয়তার মাধ্যম না। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে প্রিন্ট মিডিয়ার সাথেও নিজেকে ইনভল্ভ করতে হবে। তবে তেলবাজি করে লেখালেখির পক্ষে না আমি।

অনেক কঠিন প্রশ্ন করে ফেলছেন ভাই

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

মাকড়সাঁ বলেছেন: EKEE PROSNO ROILO
লেখক হিসেবে আপনার নিজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ?
আসলে একজন লেখকের সার্থকতা নির্ভর করে কোন মানদণ্ডে ? তার নিজের আত্মতুষ্টি নাকি জনপ্রিয়তায় ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: উত্তর দিয়েছি

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটা আগে পড়েছিলাম না? তখন কী বলেছিলাম মনে পড়ছে না। ফিনিশিংটা আমার কাছে স্পষ্ট হলো না। তারা বই প্রকাশ করছে এই তথ্য প্রকাশিত হবার ফলে কী এমন ক্ষতি হলো যে তারা একদম স্তব্ধ হয়ে গেলো? আর ফাহিমতো মনে মনে চাইছিলোই ব্যাপারটা সাব্বিরকে জানাতে। প্রকাশক কর্তৃক এই তথ্য প্রচারে তো তার মনের ভেতর যে দ্বন্দ্ব ছিলো তার একটা মিমাংসা হবারই তো কথা! তবে সাব্বিরের ক্ষেত্রে অপ্রস্তুত হয়ে যাবার কারণ আছে অবশ্য।

এমনিতে ভালো লেগেছে। লেখকদের সুকুমার বৃত্তির পাশে হিংসা, প্রতিযোগিতা, হামবড়া ভাব ফুটিয়ে তুলেছেন দক্ষতার সাথে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আগে লেখাটা পড়ে কিছু বলেন নাই মনে হয় ।
সাব্বির বা ফাহিমের দুজনের মনের মাঝেই তো হিংসা কাজ করে তাই কেউ কাউকে লেখার মানে বই প্রকাশের ব্যাপারে জানাতে চায় না। বরং নিরুৎসাহিত করে কি দরকার বই প্রকাশ করার এসব বলে।
লেখকদের মাঝে সত্যিই হিংসা কাজ করে কিন্তু। আমি টের পাই । কিন্তু আমি ভালো মানুষ তাই লেখালেখিই কমাইয়া দিছি

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: লেখা খাওয়া খায়ি ব্যপারটা লেখকে ভাবতেই হয় ,কি বলো????:D:D:D:D:D:D:D:D:D:D:D:D:D:D

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার মন্তব্যের মানে বুঝি নাই। আপনি কি এই ভঙ্গীতেই সবাইকে মন্তব্য দেন ? তুমি তুমি করে বলে ?

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: আসলে কবিতা এবং গল্প কোনটাই সহজ নয়। কবি এবং গল্পকার দুজনই সমান প্রশংসার দাবিদার। গল্প ভালো লাগলো-- :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলেই তাই। কোনো লেখার লেখককে ছোট করে দেখা ঠিক না। গল্পের মতো কবিতা লেখা আমার কাছে বিশাল জটিল কাজ মনে হয়, তাই পড়তে হবে অন্য ভালো লেখকদের লেখনী

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এতো প্যাচও কাজ করে নাকি? অবশ্য সাহিত্যের অনেক রথী মহারথীর মধ্যে খোঁচাখুঁচির অনেক গল্প শোনা যায়। আবার একটা কথাও প্রচলিত আছে যে একজন অবির কবিতার প্রধান পাঠক এবং সমালচক আরেকজন কবি। গল্প উপন্যাসের বেলায় হয়তো অতোটা না। আবার বিজ্ঞানীদের মধ্যেও এসব দেখা যায়। মানুষের চরিত্রটাই হয়তো এমন। যদিও এই ব্যাপারগুলা ওইভাবে বুঝি না। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি সাহিত্যের যেকোন শাখায় যে কারো মধ্যে আলোচনা চলতে পারে, সমালোচনা একটা অভদ্র শব্দ কবি সাহিত্যিকদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্য।

শুভ কামনা রইলো। :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্যাঁচ অবশ্যই কাজ করে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই এই লেখাটা লেখা। তবুও তোমার কথাটা ঠিক, একজন আরেকজনের লেখার আলোচনা করলে, ভুল গুলো ধরিয়ে দিলে অন্যের লেখাটা আরো সুন্দর হতে পারে। অকারণ প্রশংসা বা তেলবাজি আমার খুব অপছন্দের কাজ।

তোমার জন্যও শুভকামনা শতদ্রু

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
যে সাহিত্য সময়ের কথা অকপটে বলে দিতে পারে। কালনির্ণয়ের ক্রমবিকাশে তার বরিষ্ঠ ভূমিকা অনস্বীকার্য; গল্পে তাই ভালোলাগা জানাচ্ছি। লেখকদ্বয়ের মনন-চক্র ও তাদের অধুনা-অঙ্গনের বস্তুগ্রাহ্য আক্ষরিকতার বৈচিত্র্য দেখে দীর্ণ হলেম বটে। অবাক হই নি, কারণ আশপাশটায় তেমনই অস্থিরতা বিরাজমান। ওরা দৃষ্টিভ্রম অথবা শ্রুতিভ্রমে পড়লো। আর আমার মতো সাধারণ পাঠক পড়েছে লজ্জায়; এসব হচ্ছেটা কি ?

অতি চোখা-সমালোচনাময় গল্পটির জন্য।। আপনাকে ধন্যবাদ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখায় প্রচুর কমেন্ট, বুঝে না বুঝে বেহুদা প্রশংসার বন্যা, হিংসা ইত্যাদি অনেক কিছুই আজকাল চোখে পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: সত্য তিতা হলেও তা সত্য। তবে অনেকের অনেক রকম মতামত থাকবে। ধন্যবাদ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

আবু শাকিল বলেছেন: লেখায় নব্য লেখকদের ব্যাক্তি আলোচনা অংশ উঠে এসেছে ।
উপরে গুণী ব্লগার ভাইয়ারা অনেক কিছু লিখেছেন-আপনি কি মন্তব্য দেন-দেখার জন্য আবার আসব।
ধন্যবাদ ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো থাকুন

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নব্য লেখকদের চারিত্রিক দীনতা প্রকাশ পেয়েছে লেখায় । মিনিটে মিনিটে কবিতা প্রসব করা হয়, কবির অভাব নেই এই কথাগুলো বিদ্রূপাত্মক । কবিতা লেখা এত সহজ কাজ নয় । একটা সনেট কিংবা মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত, স্বরবৃত্ত ছন্দে কবিতা লেখা কত কঠিন বর্তমানের তথাকথিত অাধুনিক কবিরা, যারা স্তরে স্তরে অগোছালো শব্দ বসায়, কী করে বুঝবে?

১, ২, ৩ যেহেতু দিয়েছেন, মুখোমুখি দুজনে লেখার দরকার ছিলো না অথবা তৃতীয়টার মত প্রথম দুটোতেও শিরোনাম দিতে পারতেন । সেক্ষেত্রে ১, ২ না দিলেও হতো ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অকবিদের কথাই এখানে এসেছে। কবিতা লেখা কঠিন আজ আমিও জানি।

আপনার পরামর্শ মতো ১,২,৩ এভাবেই দিলাম। ধন্যবাদ

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সুলতানা রহমান বলেছেন: ছোট্টবেলায় যখন পরীক্ষা দিতাম তখন বন্ধুদের কত পাইছি সেটা বলতাম না। বললে যদি ও আরো বেশি করে পড়াশোনা করে।
রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষা করতাম।
ভালই লাগলো এ অবস্থা টা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার কাজিন আমার সাথে এমন করত। নিজেও ধুমাইয়া পড়ে কিন্তু আমাকে বলে সে নাকি পড়ে না তার খালি ঘুম পায়। পরের দিকে আমিও তাই বলতাম আমিও পড়ি না। আসলে দুইজনেই পড়াশুনা করতাম কিন্তু কেউ কাউকে জানাতাম না।
ধন্যবাদ

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কবিদের উপর আমিও বিরক্ত. এত কবিতা লেখে! ফেবুর টাইমলাইন আর ব্লগের হোমপেজ দুইটারই ৫০ পার্সেন্ট কবিতা!
গল্পটা ভাল লেগছে

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো

১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

জুন বলেছেন: সমসাময়িক প্রসংগ নিয়ে লেখা গল্পে অনেক ভালোলাগা ।
আসলেই মনে হয় এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা চলে লেখকদের মাঝে তা সে যেমন ছাই পাশই লিখুক না কেন আর পত্রিকায়ই লিখুক আর অন লাইনেই লিখুক ।
কেন জানি আমরা অন্যের লেখার পাঠক প্রিয়তা দেখলে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ি অকারনে । কি ক্ষুদ্র মন আমাদের, কি অসম্ভব দৈন্যতা তা আপনার লেখার লাইনে লাইনে ফুটিয়ে তুলেছেন । সত্যি অসাধারন একটি গল্প অপর্না মম্ময়।
+

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রোডাক্টিভ কিছু বের হলে কথা ছিল!
ধন্যবাদ আপু

১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: Click This Link

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকে ব্লক করা উচিত এইসব ফাত্রামির জন্য

১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখকের একনম্বর সরতু নাকি লেখকই! কবির শত্রু কবি।

আপনার লেখায় সেটি প্রতিবিম্বিত হয়েছে।

লেখকদের মননশীলতারর বিষয়টি কিছুটা উপেক্ষিত থেকেছে অবশ্য।

সবমিলিয়ে লেখকদেরকে চিন্তিত করার মতো একটি লেখা :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কে যে কার শত্রু বোঝা মুশকিল মইনুল ভাই।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে

১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক!!

ভালো লাগা থাকছে।

অামার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন

১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


সামুর নোটিফিকেশন ব্যবস্থা মোটেও সুবিধা জনক হচ্ছেনা। এইটা একটা পেইন। উত্তর দিয়েছেন অথচ পাইনি। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর উত্তর দেয়ার জন্য। তবে প্রশ্ন সিলেবাসের বাইরে থেকে করায় আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থী। কিন্তু আপনি পাশ করেছেন।
আপনার সব কথার সাথে একমত। শুধু এক জায়গায় সমস্যা। আমি যা লিখি কিংবা আমার মতের সাথে অন্যের মতের অমিল থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে নিজের লেখার প্রতি আগ্রহ হারানো উচিত নয়। লেখকের উচিত তার মতো করে লিখে যাওয়া। সব কিছু সবাই গ্রহণ করতে পারেনা।

যেমনঃ মহান পরিচালক হিচকক যাকে এখন অনেকেই সিনেমা জগতের পীর মানে; এই হিচকক মশাই জীবিত থাকা অবস্থায় হিট ছিলেন না। তার ছবি অনেকেই নিতে পারে নাই। শেষ বয়সে এসে তিনি যখন সাইকো মুভীটা বানালেন সেটা নিয়েও অনেক তর্ক ছিলো । অথচ আজকের যুগ তাকে তার প্রাপ্য সন্মান দিচ্ছে। আজকের মানুষ বুঝতে পারছে তিনি তার ছবিতে আসলে কি রেখে গেছেন। তিনি যদি সেই সময় দেউলিয়া হওয়ার পরে হাল ছেড়ে দিতেন তাহলে আমরা ভাল কিছু মুভী থেকে বঞ্চিত হোতাম। অথচ তিনি তার মতো করেই এগিয়ে গেছেন।

যাই হোক শুভকামনা আপা আপনার জন্য।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভকামনা খুশী হলাম কান্ডারি ভাই।
মন মেজাজ খারাপ বা দুর্বল থাকলে লেখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। যেমন - এখন হারিয়েছি নবনীতার ডায়েরি লিখতে গিয়ে। কনসেন্ট্রেশন চলে গেছে।

১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

আরজু পনি বলেছেন:

হিংসা করা ভালো যদি তাতে ভালো কিছু সৃষ্টি হয় ।

মাথা ব্যথা নিয়ে পড়লাম...একটা গালি বার বার চোখে ধাক্কা দিচ্ছিল, মনে হচ্ছিল রিপিট হচ্ছে বেশি ।

শেষে মজা পেলাম, অন্যকে অবাক করতে গিয়ে নিজেই অবাক...

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ পনি

১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
বেশ ৷

পাঠকের বোধহয় এতটা দায় বা দোষও নেই ৷ মহাকালের বিবেচনায় সেই সম্ভবত একক সত্য ৷ নন্দিত বা নিন্দিত মহাকালের ক্ষুদ্র ক্ষণে আপেক্ষিক ৷ রাগমিশ্রিত ভঙ্গিমাটুকু আত্মকথন বা আক্ষেপের রোজনামচা ৷ভাল থাকুন ৷

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর ভাই

২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

নেক্সাস বলেছেন: হুম দারুন একটা দিক তুলে ধরেছেন। লিখকদের সৃষ্টি বিশালত্ব কে ধারণ করলেও ইদানিং লেখকদের হৃদয় বিশালত্ব কে ধারণ করছেনা। লেখকদের মাঝেও যেন অসুস্থ প্রতিযোগিতা। মুই কি হনুরে হামবড়া ভাব ইদানিং লেখকদের মধ্যে বিরাজমান। আমি এটাকে সুকুমার বৃত্তির পাশে বেমানানই বলবো।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অসুস্থ প্রতিযোগিতা তো দেখছিই। কোনো এক বইমেলার ঘটনা। এক লেখক আমাকে হুট করে ফেবুতে নক করলো যিনি জীবনে আমার ব্লগে কমেন্ট করেন নাই, ফেবুতেও নক করেন নাই। আমি উনার মুক্তগদ্যের আবার ভক্ত। তো সেই লেখকের বই আসবে মেলায়,আমাকে নকাইয়া বলল আমি যেন মেলায় গেলে তার সাথে দেখা করি স্টলে, অটোগ্রাফসহ বই দিতে চায়। আমি যেন তার বই কিনি। এনিওয়ে আমি তার বই কিনেছি, অটোগ্রাফ নেইনি। সে জানে আমারও সেবার বই এসেছিলো সংকলিত ভাবে কিন্তু ভুলেও কিছু জিজ্ঞেস করেন নাই। উনি আবার কলকাতার লেখকদের সাথে সেলফি, ছবি, কবিতা পাঠের আসর সব কিছুই করে বলে নিজেকে অনেক মহান ভাবে ইত্যাদি!

হুম নিজের পাবলিসিটির পাশাপাশি অন্যের লেখাকেও সম্মান দেয়া দরকার, প্রয়োজনবোধে লেখা ভালো করবার অনুপ্রেরণাও

২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

নিঃশব্দ ছায়াপথচারী বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো! ঈর্ষা ধারণ, হামবড়া ভাব পোষণ বা অন্যকে নীচ দেখানোটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। আপনার এই লেখায় তা বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন। শুভকামণা

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো

২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আগেই পড়েছি , কমেন্ট করা হয়নি কেন বুঝতেছিনা ।
লিখাটা ভাল লেগেছে জানাতে এই কমেন্ট B-)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জানাবার জন্য ধন্যবাদ ভাই

২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

তিমিরবিলাসী বলেছেন: এত শত্রুতা ও থাকে! গল্প ভাল লেগেছে

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

সৈয়দ সাইকোপ্যাথ তাহসিন বলেছেন: ভালো উদ্যোগ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কোনটা ভালো উদ্যোগ ?

২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

নিমগ্ন বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো.... শেষের দিকে মজা বেশি পাইলাম....+++

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ নিমগ্ন। আপনার নিকটা সুন্দর

২৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: কবি সাহিত্যিকরা ও হিংসুটে হয়!!!
লেখাকে ভাবে সন্তান! নিজের মতো অন্য সন্তান দেখলে গা জালা করে!!!
সবই আমার আমার!! :#)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখকরা আসলেই নিজের লেখাকে সন্তান ভাবে

২৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন:
এসব আগেও হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে/
সমসাময়িক দৃশ্যপট , ভাবনা, প্রবহমান মানসিক তরঙ্গগুলো লেখায় উপস্থিত।
লেখা ভাল্লাগছে , কিছু জায়গায় মজা পাইছি ।
ভাল থাকবেন আপা ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তুমিও ভালো থেকো

২৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আমার নিজের কথা- ভাল লেখা পড়লে ঈর্ষা হয় এটা স্বীকার করি, তবে প্রশংসা করতে বিমুখ হইনা। আর এর থেকে নিজে ভাল কিছু লেখার অনুপ্রেরণা পাই। চমৎকার লিখেছেন আপু।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: দুই গৌণ লেখকের ঈর্ষার কাহন।
আচ্ছা মহান লেখকরাও কি এমন ঈর্ষান্বিত ছিলেন?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কি করে বলি তাদের ঈর্ষার ব্যাপার! হয়তো ছিল !

৩১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

আলোরিকা বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা তার সব সৃষ্টিকেই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি করেছেন । কাক আর কোকিলের আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে শুধু শুধু অশান্তি বাড়িয়ে কি লাভ ! লেখাটি ভাল লেগেছে আপু । অনেক শুভ কামনা :)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আলোরিকা

৩২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

Seclo বলেছেন: দুঃখিত, টপিক্সের বাহিরে গিয়ে বলছি...

আপনার ফেসবুক আইডির কি নাম? [যদি বলতে, আপত্তি না থাকে]

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: aporna mommoy

৩৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: যদিও পাবলিক এতো ম্যারম্যারে লেখা খাবে না কিন্তু কিছু একটা লিখে হাতের আড় ভাঙাটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে ওর জন্য। -- চমৎকার বলেছেন এ কথাটা।
ঈর্ষকাতর দুই নব্য লেখকের অসুস্থ প্রতিযোগিতার চিত্রটা বেশ সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। 'শালা' কথাটা একটু বেশীই ব্যবহৃত হয়েছে বলে মনে হলো।
গল্প ভালো লেগেছে। 'লাইক' দিলাম।
নবনীতার ডায়েরী কি সমাপ্ত?
'

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নবনীতার ডায়েরী শেষ হয়নি। নেক্সট পর্বে শেষ করার ইচ্ছা আছে কিন্তু লেখার স্পীড আর ফিলিংসটা চলে গেছে। মে বি জোর করে লেখা যায় না আর ক্যানো যেন লেখালেখির বা যে কোনো অনুভবের গভীরে ঢুকতে পারছি না। অথচ একটা সময় অফিসের বসদের ভয়ে চুরি করে লিখতাম, ব্লগিং করতাম আর মাথায় লাইনের পর লাইন ঘুরত। দেখি নবনীতার লেখাটা শেষ করার চেষ্টা করবো।

৩৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখাটা বেশ আগেই পড়েছিলাম, আজ আবার পড়লাম।

সাব্বির-ফাহিমের লেখা-লেখির পাশাপাশি হিংসার যে চিত্রটা তুলে ধরেছেন, তার বাস্তবতা নিয়ে এই পর্যন্ত কাউকে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখলাম না-তার অর্থ বিষয়টা ৯৯% সত্য।

এই বিষয়টা অনুধাবন করার পর, আমার বত একজন নবীন লেখকের খুব মনঃপীড়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এবং স্বাভাবিক ভাবেই গঠনমূলক সমালোচনার নামে বাঁশ দেওয়ার যে প্রবণতা, তার প্রতি ঘৃণা জন্মাচ্ছে !!

ভাল থাকুন। সবসময়।



০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখকদ্বয়ের হিংসার চিত্র দেখে হতাশ হবার কিছু নাই। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এসব থেকে ঊর্ধ্বে ওঠার।
আপনিও ভালো থাকুন

৩৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখার পর সেটা মানুষকে পড়তে দেওয়া বা পাঠকের সাথে শেয়ার করার জিনিসটাই আনন্দ। এসব ইগোর যুদ্ধ এবং হামবড়া ভাব দেখে ভড়কে যাই মাঝে মধ্যে। কি হচ্ছে, কেন খেপছে আরেকজনের লেখা দেখে? মনে হয় নিজে পাণ্ডুলিপি ভরে লিখে ট্রাঙ্কে ফেলে রাখার যে প্রবণতা ছিল আগের অনেক লেখকের মাঝে- তা এমনি এমনি আসে নি।

লেখার মান ভুলে গিয়ে মৃত্যু আর উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত সঙ্গ- এই দুইটি যদি সাহিত্যে বিখ্যাত হবার প্রধান উপায় হয়ে যায়, তাহলে থাক, লিখে কি হবে!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লিখে মনের শান্তি বাড়ে সেটা গোপনেই হোকবা প্রকাশ্যে।
এতদিন পর কৈ থিকা আইলেন প্রোফেসর সাব ?

৩৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

বৃতি বলেছেন:
তোমার লেখা চরিত্রগুলোর মাথা গরম কথা-বার্তা পড়লে আমি সত্যি সত্যি হাসি :P গল্পটা ভালো লেগেছে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হেহেহ মাথা গরম কথাবার্তা! তোমার কমেন্ট পড়ে আমিও একটু হেসে নিলাম বৃতি মনি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.