নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

লৌকিক অলৌকিকতা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

পান্নুকে দেখেই ধক্‌ করে আমার বুকটা কেঁপে ওঠে। অতটুকু ছেলেকে দেখে ভয় পাবার কিছু নেই তবুও আমার বুক কাঁপতে থাকে অশুভ কোনো আশংকায়। অবশ্য পান্নুকে যে অতটুকু ছেলে বললাম তা বলাটাও যৌক্তিক না। নিতান্তই কিশোর। বয়স পনেরো বা ষোল হবে বড়জোর। দুপুরের খাবার খেতে অফিসের গেট দিয়ে বের হতেই শুনি রাস্তার অপর পার থেকে হাত উঁচিয়ে পান্নু আমাকেই ইশারা করছে

- আন্টি দাঁড়ান, দাঁড়ান।

ওকে দেখে আমার ভ্রু কুঁচকে ওঠে। রাস্তায় জেব্রা ক্রসিং বা স্পীড ব্রেকার থাকলেও সাঁই সাঁই করে গাড়ি ছুটে চলেছে ব্যস্ত রাস্তার দুই ধারে। এরই মাঝে হাত তুলে গাড়ির গতি স্লো করিয়ে সে আমার সামনে এসে দাঁড়ায় হাসি মুখে।

আন্টি কেমন আছেন?

আমি কোনো উত্তর দেয়ার আগেই বলে ওঠে- আপনার কাছেই আসছিলাম। জরুরী কাজ আছে। বাবা বলছে কাজটা করে তবেই যেন বাড়ি ফিরি। না হলে আমার পড়াশুনা করা বন্ধ করিয়ে দিবে। আন্টি আমার কাজটা করে দেন প্লিজ।

পান্নুর কথা শুনে রাশেদের উপর ঘৃণায় আরেক দফায় আমার মুখটা কেমন তেতো তেতো লাগতে থাকে। নিজের সন্তানকে কোনো বাবা এসব বলতে পারে আমার বিশ্বাস হতে চায় না। অবশ্য বিশ্বাস না হয়ে উপায় কি, রাশেদের সাথে আমার অতীত অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর না। আরেকটু হলেই অসাবধানতায় রাশেদের সাথে জড়িয়ে জীবনটাকে ভীষণ অনিশ্চয়তায় ফেলে দিচ্ছিলাম আর কি।

এখন তো লাঞ্চ টাইম। আমি খেতেই বের হচ্ছিলাম। চলো খেতে খেতে শুনি তোমার কাজের কথা।

চলেন।

আমার একে তো খিদে লেগেছে তার উপর পান্নুর আগমন আর তার বাবার ফালতু ঝামেলা পাকাবার দুশ্চিন্তার সাথে যোগ হয়েছে খাবারের দোকান খুঁজে পাচ্ছি না। আমার অফিসের আশেপাশের জায়গাটা ভীষণ অদ্ভুত। এই দেখি রাস্তার ধার ঘেঁষে এতো এতো খাবারের দোকান, টং দোকান আবার মুহূর্তেই সব উধাউ হয়ে যায়। পুলিশের লোকজন এসে কি ধুপধাপ দোকান ভেঙেচুরে দিয়ে যায় কিনা কে জানে! আজকাল কারো উপরেই ভরসা রাখা যায় না।

আন্টি কই আপনার খাবারের দোকান। আমার খুব খিদা লাগসে। সেই সকাল বেলা বাসে উঠছি। দুইবার টেম্পো বদলাইছি। বাবা খুব হিসাব করে টাকা দিছে। দশ টাকায় একটা বনরুটিও খাওয়া যায় না। রিকশাতে না আইসা হাঁইটা হাঁইটা আপনার অফিসে আসছি। আন্টি বিরানি খাওয়ান।

পান্নুর কথার যন্ত্রণায় আমার মাথা ধরে যাচ্ছে। লাঞ্চের জন্য এক ঘণ্টা সময় দেয় মাত্র । অফিসের সামনে এরকম লেক কখন বানালো কে জানে। ভাসমান রেস্তোরাঁর মত কি যেন দোল খাচ্ছে লেকে। বাঁশের সাঁকো কাঁপা কাঁপা পায়ে কোনোমতে পার হয়ে রেস্তোরাঁয় ঢোকার আগেই দেখি পান্নু তরতরিয়ে দক্ষ পায়ে ভেতরে একটা টেবিল দখল করে দাঁড়িয়ে আছে।

তাড়াতাড়ি বসেন আন্টি। নাইলে জায়গা দখল হইয়া যাইব। দখল হইলে কারো কাছ থেইকা জায়গা নেওন অনেক দিগদারীর বিষয়। মাইরা জায়গার দখল নেওন যাইব কিন্তু আন্টি আমার এহন মারামারি করতেও ভালো লাগে না। তবে আমি একজনরে মারমু ঠিক করছি। কিন্তু শালার ব্যাটাগো হোটেলে ভালো কোনো খাওন নাই। হুদা ডাইল পুরি আর চা। ভাবছিলাম খামু বিরানি আর কপালে জুটলো ডাইল পুরি।

ছেলেটা এবার এস এস সি পাশ করার পরেও মুখের ভাষার কি ছিরি, ভাবি আমি। আবার বলে মারামারিও নাকি করে। আমি অদ্ভুত এক আতংক নিয়ে তাকিয়ে থাকি ওর দিকে। আমার খিদেটা মরে গেছে ততক্ষণে। কিন্তু পান্নু গপগপিয়ে পুরি খাচ্ছে, চা'য়ে ডুবিয়ে ডুবিয়ে। ঐ মিয়ারা সস্‌ দিতারো না। পয়সা নিবা কিন্তু সস্‌ খাওয়াইবা না। ফাইজলামি পাইসো? নাক নকশা ফাটাইয়া হালামু কিন্তু।

খামু না খামু না কইরাও বিশটা পুরি খাইয়া ফালাইলাম, বলে পান্নু ঢেঁকুর তোলে। বিরানিটা পাইলে ভালো হইত, আন্টি। ঐ মিয়া দুধ চা দিবা,চিনি দুই চামচ। লগে একটা এলাচ ভাইঙ্গা দিও তো!

পান্নু, তুমি তো আগে এভাবে কথা বলতে না। তোমার মুখের ভাষা এতো বাজে হয়েছে কীভাবে! সত্যি ওর অবস্থা দেখে আমার খারাপ লাগতে থাকে। ওকে সে কথা বলার আগে ও আমাকে থামিয়ে দেয়।

শোনেন আন্টি, এইবার কাজের কথা কই। ওর ইন করা শার্টের ভেতর থেকে ও একটা সাদা খাম বের করে। শার্ট আর গেঞ্জির ঘামে খামটা কেমন ভিজে ভিজে মনে হচ্ছে দেখে। ইসশ গরমে ভিজ্যা গেছে। একটু কড়া রইদে শুকাইলে নাইলে চুলার নিচে রাখলে কাগজটা আবার ফকফকা হইয়া যাইতো মনে হয়। থাউক সমস্যা নাই। নিজেই হড়বড়িয়ে ও এতো গুলো কথা বলে। এই নেন আন্টি কাগজটা ফিলাপ করেন, বলে আমার দিকে এগিয়ে দেয়।

ঘামে ভেজা কাগজটা হাতে নিতে আমার কেমন কেমন লাগে। তবুও খাম খোলার আগে জানতে চাই কি আছে এর ভেতর।

আমি আসলে পুরাপুরি কিছু জানি না। বাবায় দিয়া কইলো তোমার সিমিন আন্টিরে এইটা দিয়া বলবা ফিলাপ কইরা দিতে। আমি তো পইড়া দেখি নাই কিন্তু মনে হয় আপনার লগে কোনো ছাড়াছাড়ির কাগজ।

পান্নুর কথা শুনে আমার রাগে জা জ্বলতে থাকে। ইচ্ছে করে জোরে ধমক লাগাই বা চড় মেরে বসি। এবার আমিই আর আমার বিরক্তি গোপন করতে পারি না।

কি সব বাজে কথা বলছ? কীসের আবার ছাড়াছাড়ি! তোমার বাবাকে আমি বিয়ে করলাম কবে! অল্প বয়সে বেশি পেকে গিয়েছ তুমি, পান্নু।

আমি তো আগেই বলছি আন্টি আমি জানি না পুরাপুরি। কিন্তু বাবার লগে তো আপনার বিয়া হবার কথা আছিলো। কিন্তু আমার চাচা আর চাচি পুরা বিষয়টা জানে। আপনে চাইলে তাগো সাথেও কথা কইতে পারেন। বাবায় অবশ্য আমারে বইলা দিসে আপনারে বুঝাইয়া কইতে না পারলে জানি আমি নিজে আপনারে চাচার বাসায় লইয়া যাই। তারপর এই কাগজ সই কইরা দিবেন।

পান্নু, তুমি কি একটু সুন্দর করে কথা বলতে পার?আমার খুব মেজাজ খারাপ হচ্ছে সবকিছু শুনে। তুমি একটু সুন্দর ভাষায় কথা বলো। আর এইসব ফালতু পেপার টেপার সই করা দূরের কথা, আমার খুলে দেখার ইচ্ছাও নাই।

আন্টি আমি আগে সুন্দর কইরাই কথা বলতাম। আপনি তো জানেনও আমার পাইলট হবার শখ ছিল। কিন্তু বাবার কথামত চলি নাই বইলা আমার ডানা দুইটা কাইটা দিছে, দেখেন। বলে ও ওর শার্ট কাঁধের কাছে এনে আমাকে দেখায়। দেখলাম হাতের জয়েন্টের জায়গায় সূক্ষ্ম করে কাঁটা এবং রিপু করার মত ডিজাইন। আমার অবাক চাহনি দেখে ও হাসতে হাসতে বলে,

ভয় পাইয়েন না। হাত দুইটা দেখতে আসলের মত লাগলেও বাবায় নকল হাত কিন্যা দিছে। গাড়ি চালাইতেও এখন আর সমস্যা হয় না।

গাড়ি মানে ? তুমি কি ড্রাইভারের পেশা বেছে নিয়েছ?

আন্টি কথা বাড়াইয়েন না, তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠেন। নাসিম চাচার বাড়িত যাওন লাগব সন্ধ্যার আগে আগে। সন্ধ্যার পরে গেলে বিপদ। আপনে আপনের অফিসে ফোন কইরা কইয়া দেন আইজকা আপনে আর ফিরবেন না। কোনোদিনই ফিরবেন না।

বাঁশের সাঁকোটা পার হতে হতেই কোত্থেকে এক গাড়ি এসে হাজির হয়। আমি অবাকের পর অবাক হচ্ছি। নিউ মডেলের অডি গাড়ি। ড্রাইভিং সিটের ড্রাইভারকে ঝাড়ি মেরে ও গাড়ি থেকে নামিয়ে বলে -

মিয়া গাঞ্জা খাইসো নি ? কতক্ষণ ধইরা আন্টি খাড়াইয়া আছে কানে বাতাস ঢুকে না যে ফোন করতাছি। নামো গাড়ি ত্থিকা।

পান্নু , তোমাকে না বলেছি সুন্দর করে কথা বলতে?

গ্রামে থাইকা আন্টি টাউট,বাটপার হইয়া গেছি। ভালো কইরা কথা বলতে ভুইলা গেছি। বাবায়ও বাটপার হইয়া গেছে। বাবায়ও এমনে কথা বলে। কিন্তু আন্টি আপনের মাথায় কিন্তু অনেক বুদ্ধি। বাবার লগে না জড়াইয়া আপনে ভালো কাম করছেন।

পান্নুর কথা শুনে আমার দুশ্চিন্তায় গলা শুকিয়ে আসে। কার সাথে যেন পান্নু ফোনে কথা বলছে - হ, হ পাইসি হেরে। আমার লগে লইয়া আসতাছি।

শোনেন আন্টি, আপনে ভয় পাইয়েন না। চাচা-চাচির লগে কথা কইবেন। কাগজে একটা সই দিবেন। ব্যাস আপনের কাজ শেষ। তখন আবার দিয়া যামু নে।

দাঁড়াও আমি আমার সাথে আরেকজনকে নিয়ে যাবো। বাসায় ফিরতে রাত হলে অন্ধকারে আমি ভয় পেতে পারি। সামনেই মুনের বাসা পড়ে, ওকে ঝটপট তুলে নেই। মুনের আবার আরেক সমস্যা। পান্নুর মতোই বেশি কথা বলে আর বেশি অস্থির হয়। তাই ওকে গাড়িতে তুলেই বলে নেই আজকে যাতে কথা বলে আমাকে বেশি বিরক্ত না করে। মুন আমার সম্পর্কে ভাইএর শ্যালিকা হলেও ওকে বোনের মতোই ভাবি, বন্ধুও।

গাড়ি যতই সামনে আগায় কেমন শহরের কোলাহল কমে আসতে থাকে। শুধু হুশহাস করে গাড়ি চলে যাবার শব্দ পাই। আর ঠাণ্ডা, নির্মল বাতাসের ঝলকে ভেতরটা কেমন জুড়িয়ে আসতে চায়। এতো সুন্দর জায়গাটা! রাস্তায় নেমপ্লেটের দিকে চোখ পড়তেই মনে হতে থাকে খুব চেনা কোনো জায়গা কিংবা এর এখানে আমার আসার কথা ছিল এমন মনে হয়।

পান্নু তোমরা এই এলাকায় কবে আসলে?

আমার কথা শুনে পান্নু ঘাড় ঘুরিয়ে ড্রাইভিং সিট থেকে আমার দিকে তাকায় অবাক হয়ে। কি বলেন আন্টি, আমরা তো এখন এদিকেই থাকি চাচার বাসায়। বাবায়ও কয়দিন ধরে চাচার বাসায় আইসা উঠছে।

রাশেদও এখানে থাকছে তাহলে?

বাবায় যারে বিয়া করবো, সেও সাথে আসছে। বিয়া হয় নাই এখনো, কিন্তু এইখানে বিয়া ছাড়াও থাকনের নিয়ম আছে। কিন্তু আলাদা বাসা এখনো নিতে পারে নাই। আলাদা বাসা নিতে গেলে আপনার সই কইরা ঐ কাগজটা বাবার দরকার। আর ওইটা আপনের কাছ থেইকা আদায় করতে না পারলে আমার বাবার আমার পা'ও কাইট্যা ফেলবো বলছে। তাই যেমনেই হোক আপনেরে আমার দরকার আছিলো।

ওর কথা শুনে আমার ভেতরটা কেমন ঠাণ্ডা হয়ে আসে অজানা আতংকে। মনে হয় অপারেশন থিয়েটারের বেডে নীল আলো জ্বালিয়ে কেউ আমার পা দুটোই যেন কেটে দিচ্ছে। ঐ সময় মুনের মোবাইল এতো ঝংকার নিয়ে বেজে ওঠে ,আমি ভীষণভাবে চমকে উঠি।

সিমিন আপু, তালুই ফোন দিচ্ছে। তালুই যদি শোনে আমরা রাশেদ ভাইদের বাসায় যাচ্ছি, খুব রাগ করবে কিন্তু। কি উত্তর দিবো উনাকে বলেন, তারপর ফোন ধরব।

ধ্যাত, সবসময় ফান করবে না তো মুন। আব্বা কোত্থেকে ফোন দিবে, আব্বা তো সেই কবেই মারা গেছে।

মারা যাক আর যাইই হোক, আপনাকে তো বলেছিল রাশেদ ভাইএর সাথে যোগাযোগ না রাখতে। আমি এখন উনারে মিথ্যা কথা বলবো, আমরা পার্কে যাই?

যা খুশী বলো গিয়া।

আপু, বিশ্বাস না হলে দেখেন তালুই কিন্তু ভিডিও কল দিচ্ছে।

হঠাৎ করেই পান্নু মুনের হাত থেকে খপ করে মোবাইলটা নিয়ে বললো - নানাজান এতো অস্থির হইতাসেন ক্যান ? আপনের মাইয়ার ওটিতে অপারেশন হইতাসে তার। পা মেশিন দিয়া কাঁটা শেষ, এখন আঠা লাগাইতে হইব। ঐ যে কস্মেটিক্স সার্জারি কয় না ওইটা? রাইতে বাসায় আইসা পড়বো, ফোন দিয়া আর জ্বালাইয়েন না তো। বলেই ফোনর লাইন কেটে দেয়।

আন্টি নামেন ,নামেন। চইলা আসছি।

তাকিয়ে দেখি রাস্তার বাঁ দিক ঘেঁষে সরু একটা পাথুরে সিঁড়ি ঢাল বেয়ে নিচের দিকে নেমে গেছে। বাংলো ধরণের বাড়ি। রাস্তার ওপর থেকে গলা উঁচিয়ে পান্নু বলে, আন্টি বেলে চাপ দিয়েন না। শক্‌ খাইবেন। আমার চাচায় কিপটা, বেল ঠিক করায় নাই। দরজায় জোরে জোরে ঘুষা মারেন। চাচী হইলো বয়রা, জোরে শব্দ না হইলে সে আবার কানে শোনে না।

আপু, পান্নু ছেলেটাকে কিন্তু আমার ভালো মনে হচ্ছে না। খেয়াল করেছেন ও কি রকম অসম্মান দিয়ে বড়দের সম্পর্কে কথা বলে? তখনো আমি তালুই এর সাথে কথা শেষ করতে পারলাম না, আমার হাত থেকে ফোনটা কীভাবে কেড়ে নিলো! বেয়াদব ছেলে একটা।

এদিকে আমি চিন্তা করছি জোরে জোরে ঘুষি মেরে দরজা ধাক্কালে ব্যথা পাবো। বাড়ির বাইরে ইন্টারকমে চাপলেই তো ভেতর থেকে কারো ফোন রিসিভ করার কথা। ততক্ষণে পান্নুর নাসিম চাচা গেট খুলে দিয়ে আমাদের ভেতরে এসে বসতে বলেন -

আসেন ভাবী আসেন। আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।

আমার খুব অস্বস্তি লাগে নাসিম ভাইয়ের মুখ থেকে ভাবী ডাক শুনতে। তাই আমাকে সিমিন নামেই ডাকতে বললাম।

কি যে বলেন না ভাবী, রাশেইদ্যার সাথে আপনার বিয়ে হয়নি তো কি হয়েছে,আপনাকে ভাবী বলেই মনে জায়গা দিয়েছি। আমাদের এই এলাকাটায় আবার তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা নামে। আপনাকে আর দেরী না করাই। কষ্ট করে যদি কাগজটা সাইন করে দিতেন খুব ভালো হতো। বলে উনি আমাকে কাগজ আর কলম ধরিয়ে দেন। পান্নুর দেয়া খামের মতোই দেখতে এই খামটাও। আমি কাগজটা হাতে নিয়ে দেখি অপরিচিত ভাষায় লেখা চার -পাঁচ পৃষ্ঠার কাগজ বিভিন্ন শর্তাবলীর ফর্দ কিংবা দাবী উঠিয়ে নেবার ফর্দ হতে পারে। এক ঝলক দেখে আসলে তেমন বুঝেও উঠতে পারি না। কাগজের উপর থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে নাসিম ভাইয়ের কাছে জানতে চাই -

আসলে আপনারা কি চাচ্ছেন বুঝতে পারছি না। পান্নু কি সব হেঁয়ালি কথাবার্তা বলে আমাকে অফিসের সামনে থেকে নিয়ে এলো। বললো আপনি নাকি ভালো জানেন। বলেন তো পুরো ব্যাপারটা কি!

ব্যাপারটা তেমন কিছু না। রাশেইদ্যা বিয়া করবো তো, তাই আপনার কাছে ডিভোর্স পেপার চায়।

আমি কিছু বলার আগেই মুন কেমন হই হই করে ওঠে। ঐ মিয়া আপনিও কি আপনার ভাতিজার মত পাগল হয়ে গেছেন নাকি ? আপনাদের রাশেইদ্যার সাথে কবে সিমিন আপুর বিয়ে হইছে? যত্তোসব ফাউল টক !

মুনের কথা শুনে নাসিম ভাই একটুও না রেগে হেসে হেসেই বললেন -

ডিভোর্স পেপার না আসলে দায়মুক্তির কাগজ চায়। স্লিপ অব টাং। কিছু মনে করবেন না। আসলে ব্যাপারটা নিয়ে আপনাদের অবাক হবারই কথা। মনে করেন আমরা এখন যা চিন্তা করি, যা ভাবি বা যেটা মুখ ফুটে উচ্চারন করি কিংবা কারো কাছে কিছু নিয়ে শপথ করেছি, সবই যে আমাদের ক্ষমতাময় সার্ভারে সেইভ হয়ে গেছি তাতো আমরা কেউ জানতাম না। আবার মনে করেন জায়গায় জায়গায় আগুন লেগেছে কিংবা সুন্দর কোনো শিল্পকর্ম মানে ভাস্কর্য ভেঙে পড়লো, রাস্তায় বা দেয়ালে ফাটল ধরলো! আমাদের এলাকার আশেপাশে এসব বেশি হচ্ছে ইদানিং। অন্যদের খবর জানি না, আমি আমার ঘরকে পাপমুক্ত রাখতে আপনার সাহায্য চাই ভাবী, হাত জোর করে নাসিম ভাই আমার কাছে কাকুতি করেন।

মুন আবারো চিৎকার করে ওঠে, আপনি আসলে কি বলতে চান? এইগুলি আমার সিমিন আপু করছে? ঐ আপু ওঠো তো, এরা চাচা-ভাতিজা মিল্যা আমাদের পাগল বানানের বুদ্ধি করছে।

নাসিম ভাই মুনের কথায় পাত্তা না দিয়ে বলতে থাকেন, তো ভাবী আমি যা বলতে চাচ্ছিলাম, আমরা আমাদের পরিণত বয়সে এসে যা যা সব চিন্তা করি, কাজ করি বা শপথ করি আর সেগুলো যদি রক্ষা না করি তাহলে আমাদের সার্ভারের কন্ট্রোল প্যানেলে ইনফো গুলো থেকে যায়। আর পাপের সংখ্যা বা পাপের চিন্তার পরিমাণও যদি বেড়ে যায় কিংবা অন্য এলাকা থেকে কোনো অপরাধী এসে আমাদের এই এলাকায় বসবাস শুরু করে , সেখানেও এসবের প্রতিক্রিয়া পড়তে থাকে কিংবা অপরাধীকে যারা তাদের বাসায় জায়গা দিবে,তাদেরকেও অপরাধী হিসেবে গন্য করা হবে অপরাধীকে আশ্রয় দেবার ঠিক দুই মাস পর থেকে। এই দুই মাসের মধ্যে তার সমস্ত অপরাধের সংখ্যা মুছে ফেলতে হলে তার মেজর পাপগুলো আগে সর্ট আউট করতে হবে। এর মাঝে প্রধান হলো শপথ ভঙ্গ করা, স্বপ্ন দেখানো, মিথ্যা বলা এবং বাটপারি।

কখন যে নাসিম ভাইয়ের স্ত্রী কফি নিয়ে ঘরে ঢুকেছে টের পাইনি। এটাও তো বললা না , নিজেরে অহংকারী আর সমস্ত চিন্তায় নিজেই সঠিক, শুদ্ধ মনে করা আর মনের মাঝে প্রবল কাম ভাব নিয়ে ঘোরা নিজের ফিয়ন্সে বা স্ত্রী থাকার পরেও, সেটাও মেজরিটি পাপের অংশ। নেন ভাবী, কফিটা খান বলে আমার দিকে কাপ বাড়িয়ে দেয়।

মুন যে একটু ছটফটে আর অস্থির স্বভাবের আগেই বলেছি। ও নায়লা ভাবীকে শুনিয়েই বললো, পান্নু আমাদের বলেছে আপনি নাকি কানে শোনেন না, এটা সত্যি?

নায়লা ভাবী বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলে ওঠেন, কথা সত্য। কিন্তু যাদের পাপের পরিমাণ বেশি আর যারা সদ্য মিথ্যে বলা শিখছে,শুধুমাত্র তাদের কথাই কানে শুনি না। আর বাকি সবকিছু আমার স্বাভাবিকই আছে।

নাসিম ভাই, আমি কাগজে লেখা এই অপরিচিত ভাষাটা আসলে বুঝতে পারছি না। আমি ফর্মে কীভাবে সিগনেচার করবো আর সার্ভারে আমার মতামত ইনপুট করবো, বলেন? আপনার ভাইকে নিয়ে আমার কোনো কমপ্লেইন নেই আসলে। কোনো ভয়েস রেকর্ডের সিস্টেম থাকলে বলেন, আমি না হয় সেভাবেই বলে দিচ্ছি।

সিমিন ভাবী, বাংলা,ইংরেজি পড়তে জানলে এই অপরিচিত ভাষাও পারবেন। রাশেইদ্যা আপনারে এই পর্যন্ত কয়টা স্বপ্ন দেখিয়েছে সেটা বলেন তারপর আঙুল দিয়ে ফর্মের একটা কলাম দেখিয়ে বলে,এখানে সংখ্যা লিখেন। কতবার ধমক দিয়েছিল, কতবার রাগ করে সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল, কতবার আপনাকে সন্দেহ করেছিলো এসব একে এক লিখেন আর আপনিও ওকে মাফ করে দিয়েছেন এই মর্মে তারপর সিগনেচার করে দিয়েন ।

নাসিম ভাই, আমিও তার সাথে অনেক রিয়েকশন দেখিয়েছিলাম। এখন এসব নিয়ে দেনাপাওনা চুকে গেছে,বাদ দেন না। তাহলে তো আমারও কনফেস করতে হবে।

নায়লা ভাবী বলেন, আরে সিমিন আপনি এখনো ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারেন নি। আপনার এলাকার স্বাভাবিক অবস্থা কি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সন্ধ্যার আগেই কি শহরে সন্ধ্যা নেমে আসে, পাথর বৃষ্টি হয়? কত অস্বাভাবিক অবস্থা আমাদের শহরের আপনাকে বোঝানো সম্ভব না। এসবই হচ্ছে আমাদের শহরে অপরাধীদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বলে!

আমি আর কথা না বাড়িয়ে একে একে তাদের অনুরোধ অনুযায়ী ফর্ম ফিলাপ করি। তখন মৃদু স্বরে নাসিম ভাই বলেন, আপনার গলার আর বুকের মাঝ বরাবর অনেকগুলো কষ্ট জমে ছিল,সব এখনই ঝরে পড়বে। আপনি শান্ত হয়ে বসেন, চোখ বন্ধ করে অনুভব করেন আপনি সব দাবী উঠিয়ে নিয়েছেন।

আমি চোখ বন্ধ রাখলেও ঠিকই শুনতে পাই নায়লা ভাবী আর মুনের কুটকুট করে কথার আওয়াজ।

আমাদের শহরে তো বিয়ে না করলে এক সাথে থাকা সম্ভব না। রাশেইদ্যা যাকে বিয়ে করবে সেই মেয়েটাকে নিয়ে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এখানে ঢুকেছে বুঝলা? নিজের দেবর তো, ফেলতেও পারি না। আর যে মেয়েটাকে বিয়ে করবে ঠিক করেছে সেই মেয়েটাও ওর মত অপরাধী। মনের মাঝে আজেবাজে যত সব কুচিন্তা। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি ঠিকই কিন্তু তাকে গালি দিয়ে কথা বলি।

মুন জানতে চায়, কি গালি ?

ঐ যে শুনলে না, রাশেইদ্যা বলি! কারো নামকে বিকৃত করে ডাকাটাও অপরাধের শামিল কিন্তু ও নিজেই যেহেতু অপরাধী, তাই আমাদের অপরাধ এখন কাউন্টেবল না।

মুন হাসতে হাসতে বলে, বাহ্‌ আপনাদের দারুণ সিস্টেম তো! কিন্তু এতো তাড়াহুড়া করে বিয়ে করতে চাচ্ছে কেন আপনার দেবর? কোনো সমস্যা ?

সমস্যা মানে মহা সমস্যা। দেবরের বয়স এখন ঊনপঞ্চাশ চলছে। পঞ্চাশ হয়ে গেলে ওর যৌন ক্ষমতা থাকলেও ওর বউ আর বাচ্চা কন্সিভ করতে পারবে না আর যদি কন্সিভ করেও সে সব বাচ্চাগুলো ওর মতোই অপরাধী হয়ে বেড়ে উঠবে। আমরা চাই না আর কোনো বাজে কাজ আমাদের শহরে বা পৃথিবীর কোথাও ঘটুক।

হুম তা বেশ বলেছেন ভাবী।

হঠাৎ করেই আমার কেমন নির্ভার লাগতে থাকে। মনে হয় নীলচে রঙের কিছু আমার ভেতর থেকে শব্দ করে বেরিয়ে গেলো। নাসিম ভাই, আপনাদের বাসায় ঢোকার আগে মনে হলো বাড়ির পেছনেও কোনো গার্ডেন আছে। আমার খুব অক্সিজেনের সমস্যা হচ্ছে। আমি একটু খোলা হাওয়ায় ঘুরে আসতে চাই।

শিওর ভাবী শিওর। কিন্তু সাবধানে যেয়েন। তাড়াতাড়ি ফিরবেন। আপনাদের আবার সন্ধ্যার আগেই এখান থেকে ফিরে যেতে হবে। নায়লা ভাবী কেমন আমতা আমতা করেন। আমার হাত ধরে থেকে বলেন যাবেননননন... খুব সাবধান। আশেপাশে খারাপ কিছু ঘুরঘুর প্রতিনিয়ত। আপনার পাশেই।

আমি ক্লান্ত পায়ে বাড়ির পেছনের দিকে যেতে থাকি। প্রথম দেখায় যা গার্ডেন বলে মনে হয় ,আসলে ভালো মত খেয়াল করে দেখলাম জংলা একটা জায়গা। ঝাঁঝালো বুনো ফুল-ঘাস-লতা-পাতার মাদকময় গন্ধে ভরপুর। পুরনো ভাঙা বাড়ির মত ছোট একটা ঘরের মতোও চোখে পড়লো। ঘরের চারপাশে কাঠের দেয়ালে ঘেরা হলেও দরজাটা আধা স্বচ্ছ কাঁচের। কেন যেন দরজাটা আমাকে পায়ে পায়ে কাছে ডাকতে থাকে। আমার মনের আরেকটা অংশ আমাকে সাবধান করতে থাকে -

সিমিন যেও না, সিমিন যেও না।

দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ হলেও বোঝা যায় আবছা ছায়ামত ভারী শরীরের কেউ ধীরে ধীরে দরজার কাছে এগিয়ে আসছে আমাকে স্বাগত জানাতে। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করি সেখান থেকে পালাতে কিন্তু অশরীরী কেউ যেন দরজার কাঁচ ভেঙে আমাকে ধরতে হাত বাড়িয়ে দিতে থাকে।

সমাপ্ত



মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

তার আর পর নেই… বলেছেন: এমন ধরণের কিছু সত্যি থাকলে ভালোই হতো। আবার মনে মনে কে কি খারাপ ভাবলো সেটাও যদি বের করা, ক্ষমা করা ……
ভাল লাগলো। শেষে এসে আবার একটু রহস্য রয়ে গেল।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দায়মুক্তি একটা বড় বোঝা থেকে অব্যাহতির নাম!
ধন্যবাদ আপনাকে

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

জেন রসি বলেছেন: গল্পে কেমন যেন একটা স্যুরিয়েল ক্লাইমেক্স ছিল। বর্ণনার ধরনটা ভালো লেগেছে। একটা নির্লিপ্ত ভাব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই ছিল।

গল্প ভালো লেগেছে।

শুভেচ্ছা। :)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

নিমগ্ন বলেছেন: আপনারে লেখায় সাহিত্যের একটা নতুন ধারা সৃষ্টির প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছি। সাবলীল ও একটা নিরবচ্ছিন্ন ফ্লো তে লেখাটির অসাধারণ সমাপ্তি টানলেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সাহিত্যের একটা নতুন ধারা সৃষ্টির প্রচেষ্টা ? বলেন কি! এতকিছু ভেবে লিখি নাই তো!
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক দুস্বপ্ন!:(

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এটা এক ধরণের দুঃস্বপ্নই ছিল বলা যায়

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

আবু শাকিল বলেছেন: গল্পের সমাপ্ত আমার কাছে অস্পষ্ট লাগছে।তবে পাঠক কে গল্পের উপস্থাপনা,বর্ণনায় মুগ্ধতা দিয়ে ডুবিয়ে রেখেছেন।
গল্পে রাসেদ ডিভোর্স চায়,সিমিনের কাছে।কিসের ডিভোর্স!!! যার সাথে বিয়েই হয়নি তার আবার কিসের ডিভোর্স। পুরা ক্লাইমেক্স দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন-
মিথ্যে স্বপ্ন দেখানো, মিথ্যে আশ্বাস।ঠকানোর দায়মুক্তি!!
দায়মুক্তির ডিভোর্স বাংলা সাহিত্যে নতুন সংযোজন মনে হচ্ছে।
বাস্তবে এ দ্বারা চালু করা দরকার।
গল্পে সিমিন খুব লাকি।রাসেদের অনিশ্চিত জীবন থেকে সিমিন সরে এসেছে।তা নাহলে কি বিপদেই না পড়তে হত।
আচ্ছা -গল্পে পান্নু আসল কিভাবে?রাসেদের সাথে সিমিনের বিয়ে হয় নি।
গল্পের শেষে দেখলাম রাসেদ বিয়ে করতে যাচ্ছে।
তবে কি রাসেদ পান্নুর মাকে মেরে ফেলেছে???
শালা ত আস্ত বদ লোক :)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পান্নুর উপস্থিতি থেকে তো বুঝাই যাচ্ছে রাশেদের একটা অতীত ছিল। তবে পান্নুর মায়ের ভূমিকা এখানে মুখ্য নয় বলেই সে প্রসঙ্গ আসেনি।
দায়মুক্তির ব্যাপার সব সম্পর্কেই থাকে, প্রয়োজনে সামনে আসে এই আর কি !

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

এনামুল রেজা বলেছেন: গল্পটা ভাল লাগলো আপা। শেষটা চমৎকার। তবে নামকরণ নিয়ে ভাবতে পারো আবার।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কোনো লেখা লিখতে যত না সময় বা কঠিন লাগে তারচেয়েও কঠিন এই নামকরণ দেয়া নিয়ে। গল্পের নাম আমার লেখক বন্ধু সাদিয়ার থেকে নিয়েছি নিজে খুঁজে পাচ্ছিলাম না বলে।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বিবাহ ছাড়া ডিভোর্স, আহা এই সিস্টেম টা আসলেই চালু করা দরকার! আর গল্পে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিলো :) ভালো লেগেছে, অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়লাম আপু!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এটা পান্নুর চাচার স্লিপ অব টাং ছিল " ডিভোর্স" শব্দটা যেটা পরে উনি বলেছেন দায়মুক্তির কাগজ

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শেষ করে দিলেন!
পুরাই পিনিকাল গল্প! ঘোর লাগা একটা অনুভূতি হচ্ছিল|
পান্নু চরিত্রটাকে এতো বাজেভাবে নাও লিখতে পারতেন, বিরক্তি ধরিয়ে দিচ্ছিল

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের সব চরিত্রতো আর সমান্তরাল ভাবে চলবে না। ধরতে পারেন পান্নু তার বাবার রাশেদের প্রতিনিধি তাই বিরক্তির উদ্রেক করছিল

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভালৈ, উপভোগ করলাম।

মুন কিন্তু ছেলেদের নাম; কবিতায় আসে তো- আয় আয় চাঁদ মামা, টিপ দিয়ে যা! 8-|

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মুন,শাওন, দোলন, মুক্তি ইত্যাদি নাম গুলো তো ইউনিসেক্স। বুঝলেন মুন মামা !

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এক কথায় চমৎকার। ধন্যবাদ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

gazi rakibul islam (rakib) বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো :)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর। আমার তো মনে হলো বাস্তব।
আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাস্তবই তো আমাদের গল্পগুলো

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

সিপন ১ বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন।
তবে কেন যেন অসমাপ্ত একটা ভাব কাজ করছিল।
অশরীরি চরিত্রটা আসলে কি বুঝিয়েছে সেটা বুঝি নি।
After all, Alhamdulillah!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ হলেও বোঝা যায় আবছা ছায়ামত ভারী শরীরের কেউ ধীরে ধীরে দরজার কাছে এগিয়ে আসছে
--- এই অশরীরী চরিত্রটা রাশেদ। সিমিন যে বাসায় গিয়েছিল সেখানেই বাড়ির পেছন দিকের ঘরে ঘাপটি মেরে ছিল।

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

কবির ইয়াহু বলেছেন: ভাললাগা রইল।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: চরিত্রগুলো বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষত পান্নু। সমাপ্ত শব্দটা না থাকলে বুঝতে কষ্ট হতো যে শেষ হয়েছে। শেষের দিকে কি একটু তাড়াহুড়ো হয়ে গেল!! তবু ভালো লাগায় কমতি নেই। :)

+++

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তাড়াহুড়ো করে শেষ করিনি তো! তবে ভালো লেগেছে জেনে আপনাকেও ধন্যবাদ রাজপুত্র

১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এমন হলে তো ভালই হত। বিয়ে না করেও দায়মুক্তির সিস্টেম চালু হলে সব কিছুর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয়া যেত :)

পান্নুর কথাবার্তা আমার কাছে ভালই লেগেছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার কাছে প্রতিটা সম্পর্ককেই এমন লাগে না বলেও ছিল অনুক্ত দাবী তৈরি হয়, বন্ধন তৈরি হয়, তেমনি তৈরি হয়ে যায় দায়বোধ বা দায়িত্ব।
পান্নুকে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
শুভকামনা আপু

১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

জুন বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার একটি গল্প। শেষটা একটু ভয়াল সাসপেন্স বজায় রাখলেন যা ভালোলাগাকে আরো বাড়িয়ে দিল অপর্না মম্ময়।
+

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু

১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিবেকেরে অন্তর্দহন! বেশ জটিল মনস্তত্ত্ব!!!!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী

১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

উল্টা দূরবীন বলেছেন: উপভোগ্য। চমৎকার লিখেছেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লম্বা গল্প ! পড়ে হাফিয়ে উঠেছি , ভাল লেগেছে তার চেয়ে বেশি ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লম্বা গল্প ? বলেন কি ভাই! ছোটর মাঝেই তো লিখলাম তাই পড়তে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠলেন !

২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: গল্পটা ঠিক ধরতে পারিনি। রাতে পড়তে হবে। মনোসংযোগের অভাব হচ্ছে কোথাও...

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হয়ত

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩

হৃদয় মালতী বলেছেন: অনেক সুন্দর!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

২৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,



অলৌকিক একটি লেখায় লৌকিকতার ঝাঁঝালো বুনো ফুল-ঘাস-লতা-পাতার মাদকময় গন্ধ নাকে লাগলো ।
গল্পের চরিত্রগুলোর কথা বলছি । ঝাঁঝালো লৌকিকতায় ওদের এঁকেছেন ।
আর অলৌকিক হলো, দায়মুক্তির বাসনা । দায় কখনও মুক্তি পায়না । উল্টো মুক্তি দায় এর কাছে বাঁধা থাকে ।

মুখটা কেমন তেতো তেতো লাগতে থাকতে এই "থাকতে" শব্দটা " থাকে " হবে । এরর হয়েছে জানি, তবে সেটা শোধরাতে কেবল আপনিই পারবেন বলে উল্লেখ করলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এররটা শুধরে নিয়েছি। দায় আর মুক্তি নিয়ে তো হিজিবিজি লেগে যাচ্ছে! হাহাহ
আপনাকে শুভেচ্ছা

২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৬

তানজির খান বলেছেন: অনেক বড় গল্প। ভাল লেগেছে। শুভকামনা রইল, আমার লেখায় নিমন্ত্রণ রইল।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জ্বি আপনার লেখা পড়বো।

২৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: কিছু একটার অভাব লাগল আমার কাছে। পরিপূর্ণ মনে হল না।

কি জানি, পাঠের ব্যর্থতা হতে পারে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনি খুব ভালো পাঠক তানিম ভাই। ব্যর্থতা হবে কেন! কিসের অভাব সেটা বললে আমিও না হয় বুঝতে পারতাম

২৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০২

অগ্নি সারথি বলেছেন: গল্পের চরিত্রগুলোকে বেশ ভাল লাগল। শুভকামনা জানবেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সারথি

২৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: এবারও মাথার উপর দিয়ে গেলো। মুল বক্তব্য কিংবা সারাংশটা ধরতে পারিনি। রাশেদের দায়মুক্তির ঠিক কেন ধরবার বুঝলাম না। মুল চরিত্র আগে যে ভুল কিংবা নিয়তি এড়িয়ে গিয়েছিলো অমন কিছু এখন এড়াতে পারছেনা, এ টাইপ কিছু নাকি কে জানে... :-P

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রাশেদের পাপ বা রাশেদদের পাপগুলো কি কি হতে পারে ? শপথ ভঙ্গ করা, স্বপ্ন দেখানো, মিথ্যা বলা এবং বাটপারি ইত্যাদি। এর ফলে কি কি এফেক্ট হয় ? এলাকার স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়া, সন্ধ্যার আগেই শহরে সন্ধ্যা নেমে আসা, পাথর বৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি। এগুলো এক একটা সিম্বল। জাস্ট এটা বুঝাবার জন্য আমরা কেউ কারো কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থেকে সে সম্পর্ক থেকে সরে আসি বা আরেকজনের মনে ব্যথা দেই, নিজেকেই শ্রেষ্ঠ ভাবতে গিয়ে আরেকজনকে উপেক্ষা করি এসব বুঝানো। নতুন সম্পর্কে জড়াবার আগে পুরনো সম্পর্কের সব দায়ভার থেকে মুক্তি নেয়া বা সর‍্যি ফিল করাটাও উচিত। কিন্তু যারা নিজের সুবিধার জন্য মুখে লোক দেখানো সর‍্যি বলে কিন্তু খারাপ উদ্দেশ্য তাদের মনের মাঝে ওত পেতে থাকে ঠিকই যে হিসেবে দেখানো হয়েছে সিমিন যখন বাড়ির পেছন অংশে ঘুরতে গেলো পুরনো ভাঙা বাড়ির মত ছোট একটা ঘরে অশরীরী কারো আনাগোনা যা রাশেদকে প্রতিনিধিত্ব করছে যা এখনো সিমিনদের ক্ষতি করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

কোনো লেখা কারো মাথার উপর দিয়ে গেলে বুঝাইতে গেলে নিজেরে বেকুব লাগে মাঝে মাঝে। এইবার বুঝছেন ?

২৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: এবার বুঝছি। কন্সেপ্ট ভাল। কিন্তু দেরীতে বুঝবার কারনে ভাললাগার ট্রেন মিস করে গেল। কেন জানি অনেকে যেটা সহজে বুঝে আমি বুঝিনা। এমন বেকুব আমি...

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্যাপার্না

২৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে । এভাবে একে অপরকে দায়মুক্তি দিতে পারলে ত ভালই হতো । পরপার থেকে দায়মুক্তির কাগজ প্রেরণ !!!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: খুব ভাল কনসেপ্ট। মেটাফোরগুলো হালকা লাগছে। অতোটা আবেদন সৃষ্টি করতে পারেনি আমার কাছে। অনেকটা সায়েন্স ফিকশন টাইপ মনে হলো। শুরুর দিকে স্বাভাবিক কথা দিয়ে শুরু করে ভালই করেছেন। দু-একটা চমক আসছে এই কারণেই।

পান্নু'র আচরণ বেশ অস্বাভাবিক ঠেকেছে। ওর বাবাকে বারবারই আনা হচ্ছিল কিন্তু দৃশ্যপটে রাশেইদ্যা'কে পাওয়া গেল না। অবশ্যই উপভোগ্য এই ব্যাপারটাও।

আশাহত হলাম সিমিন ও মুনের কি হয়েছিল সেটা ভেবে। তা তো আর বললেন না। ওরা কি ঐ মৃত্যুকুপ থেকে বাঁচতে পেরেছিল। নাকি..!!

মোটেই লম্বা মনে হয়নি। ভালই লেগেছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সিমিন ও মুনের কি হয়েছিল সেটা আপনি আপনার মত কল্পনা করে নিতে পারেন। পাঠকের তো সে সুযোগ আছে ভেবে নেবার যে কারণে সেটা সরাসরি লিখিওনি। শেষ দৃশ্যপটে তো হাল্কা ইঙ্গিত ছিল রাশেইদ্যা আশেপাশেই আছে অশরীরী হয়ে সিমিনকে ধরার জন্য!
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য

৩১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সুন্দর, একটা নতুন ভাবনার আধুনিক গল্প লিখেছেন; এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম, আবারো পড়বো।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে চাঁদগাজী ভাই

৩২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সন্তান দত্তক নিলে স্টাম্পে সই দিয়ে দায়মুক্তি নিতে হয় জানতাম । এখানে উল্লিখিত দায়মুক্তি বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হলো অামার কাছে । পান্নুর পরিচয়টা বুঝতে পারছিলাম না প্রথমে, অাবু শাকিলের প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছেন, তখন বুঝলাম । রাশেদ তাহলে উনপঞ্চাশ বছর বয়সী যুবক, শাহরুখ খানের দ্বিতীয় সংস্করণ মনে হচ্ছে । মোটের ওপর গল্পটা ভাল্লাগছে ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বলেন কি শাহরুখ খানের দ্বিতীয় সংস্করণ!!! হাহাহহা
ধন্যবাদ আপনাকে

৩৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বেশ লেগেছে। আপনার এই ধারার গল্প এই প্রথম পড়লাম।

পড়ার সময় মনেহচ্ছিল কোনো যাদুর শহরে আছি। কেমন একটা ঘোরলাগা অবস্থা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ নাইম ভাই। রেগুলার হচ্ছেন কিনা ব্লগে জানতে চাই?
শুভকামনা রইলো

৩৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চেষ্টা করছি। অনেকদিন পর একটা গল্প দিয়েছিলাম কিছুদিন আগে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি দেখেছিলাম আর পড়েছিলাম আপনার লেখাটা। কোনো জায়গায় আমার কন্সেন্ট্রেশনের অভাব হয়েছিল বোধ হয় তাই বুঝতে পারিনি কি বলতে চেয়েছিলেন। তাই আজকে ভেবেছি আবার পড়বো।

৩৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার গতানুগতিক ধারার বাইরের গল্প এটা। পরিবেশ আর সিম্বলিজম টা পছন্দ হলো। গল্পে 'সার্ভার' শব্দ টার ব্যবহার পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে হয়তো, কিন্তু ভালো লেগেছে সিমিনের মানসিক ভাঙন। আমি আসলে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না- একবার মনে হচ্ছে আরও মনোযোগ দেয়া দরকার ছিলো সিমিন রাশেদের সম্পর্কে, আবার মনে হচ্ছে না। ছোট গল্প হিসেবে যথেষ্ট আছে।

আরও লেখেন এমন গল্প।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সার্ভারের বিকল্প কোন শব্দ ব্যবহার করলে ভালো হয়? আরও গল্প লেখা সম্ভব হবে না বোধ হয়। ভাণ্ডার ফাঁকা

৩৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন । ভালো লাগলো --

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিন

৩৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৩১

বলেছেন: অশরীরী আত্মা, প্রেতাত্মা মানুষের মনমগজ থেকে নিপাত যাক। সংস্থাপিত হোক হাসি ও খুশি। সিমিনরা জীবনে বেঁচে থাকুক। পান্নুর মতো আর কেউ যেন অবহেলিত ও বিপথে পরিচালিত না হয়।
হাসি আসুক আপনার সহ সবার জীবনে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানুষের মনোজগতে ভয় নামক ব্যাপারটা ঘাপটি মেরে থেকে শৈশব থেকেই যে কারণেই অশরীরী আত্মার আনাগোনা ঘুরঘুর করে। যাকে পছন্দ করে না বা যা অপছন্দের হয়ে গেছে, যা মানুষ এড়িয়ে যেতে চায় ইত্যাদি ইত্যাদি।
ধন্যবাদ আপনাকে

৩৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
কল্প ও অশরীরীর দোঁটানায় রূপকের বিস্তারের স্বল্পতায় হয়ত পাঠে কিঞ্চিৎ অতৃপ্তি রয়ে গেল ৷বোধ প্রকাশে সাবলীল হলে কেমন হতো ভাবনায় রইল ৷সম্পর্কের বিপ্রতীপ বোধ গভীরতার প্রত্যাশা ছিল ৷
দৃষ্টি ও সৃষ্টি ভাঙ্গাগড়া অব্যাহত থাকুক ৷ শুভকামনা ৷

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো জাহাঙ্গীর ভাই

৩৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: উপস্থাপনা ও বর্ণনার রেশে ডুবে গিয়েছিলাম বলা যায়। গল্প বাস্তব মনে হলো। একরাশ ভালো লাগা জানবেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো ভালো লাগা। ধন্যবাদ

৪০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

নিয়ার বলেছেন: গল্পের কনসেপ্টটা ইউনিক। সাবলীল বর্ণনা কিন্তু গল্পে একটা অস্পষ্ট আবহ আছে। হয়তোবা সেটা আপনার ইচ্ছাতেই হয়েছে। কিংবা চরিত্রগুলোর মনস্তত্ত্ব কিছুটা অন্যরকম বলেও একটা আলদা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলে আমার কাছে মনে হয়েছে খুব চমৎকার একটা এক্সপেরিমেন্টাল গল্প।

ভালো থাকুন সবসময়। :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি এ ধরণের একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। তবে পটভূমি মানে গল্পের স্থান প্রথমে বাংলাদেশ ছিলেও হুট করে সেটা দেশের বাইরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু ঐ সিকোয়েন্সটা লেখায় ফুটাতে পারছিলাম না। চরিত্রের মাঝে কিছুটা অস্পষ্টতা ইচ্ছেকৃতই রাখা তবে গল্পের বক্তব্যে সেটা স্পষ্ট করাই আছে।
সুন্দর পর্যবেক্ষনের জন্য ধন্যবাদ নিয়ার আপনাকে

৪১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



পিলাচ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনে কই আছিলেন এতদিন? আপনারে মাইনাস

৪২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ইজি কাজে বিজি থাকতে হয় আজকাল। মাইনাস সানন্দে গৃহীত হইলো।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকে মিস করছি ব্লগে। ফ্রি হলে আশা করি নিয়মিত হবেন।

৪৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সময় করে একদিন আপনার সাথে যোগাযোগ করবো আপা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিকাছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.