নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোহেমিয়ান মেঘ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

অনেকদিন পর আবার নিজের মুখোমুখি!

ভুল বললাম হয়তোবা।নিজের মুখোশটা তো ঘরে ফিরে রোজ নতুন করে বদলাচ্ছি, চেহারায় এঁটেও নিচ্ছি। এটাই কি লেখকদের ধর্ম?এভাবে " লেখকদের" বলে জেনারালাইজড করাটাও ঠিক হচ্ছে না হয়তোবা। যেসব আমরা সামনাসামনি কাউকে বলতে চাই না বা লোকসমাজের সামনে স্বীকার করতে চাই না সেগুলোই " হয়তোবা" শব্দের বেড়াজালে আটকে দিয়ে সম্ভাবনা পথকে উন্মুক্ত রাখতে চাই। তা না হলে আমি সুপর্ণাকে কেন চারুলতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই না? লেখক চারুলতা কিংবা ব্যক্তি সুপর্ণা বা নিখিল একই দেহধারী হলেও ক্যানো লেখক সমাজে বা জনসম্মুখে ভিন্ন ভিন্ন ইমেজ তৈরি করেছি?

যাকে ভুলতে পারি না, যার বুকের ওপর দিয়ে নিঃশব্দে বয়ে চলে বিষণ্ণ সন্ধ্যার আলেয়া কিংবা নিঃসঙ্গ অরণ্যের ভেজা ঘাসফুল, তার কথা সুপর্ণা ক্যানো লিখে নেয় বর্ণচোরা রঙে !

বিকেলগুলো এখন অন্যরকম, চেনা রাস্তায় ঘোরা নরম রোদের ডিগবাজির মত। চোখে চোখেই কথা শেষ হয়ে যায় ছুঁয়ে দেখার তৃষ্ণা ফুরোবার আগেই।

চারুলতা, নিখিল বা সুপর্ণা হয়তো মিশে থাকে কোনো অনন্ত ছায়ায়। কারো কবিতার বইয়ের রিভিউতে হয়তো সে বা তারা লিখে দেয় -

" এক কবির কবিতার বই বেরিয়েছে বিগত ছয় বছরের মত এবারো। আমি প্রতিটা পাতাই ওল্টাই প্রেম, কাম বা নারীর গন্ডি ছেড়ে ভিন্ন কোনো কবিতা পড়বার খোঁজে। ক্যানো কোনো কোনো কবির এত সরাসরি সবকিছুর প্রতিই ইংগিত!

কবিতা মানে শুধুই কবিতা নয়, কবিতা একেবারেই ভিন্ন কিছুকে বোঝায় যার আবেদন থেকে যাবে বহু বহুদিন অথবা আমৃত্যু! প্রেম শ্বাশত ; প্রেম সুন্দর। প্রেম দহনের। কিন্তু প্রতি লাইনে লাইনে সেই কবির কবিতার ঝংকারে আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি।

আমি এর বাইরের কিছু পড়তে চেয়েছিলাম, অদৃশ্যকে ছুঁতে চেয়েছিলাম। দৃশ্যমান নারীর যোনি আর স্তনের চেয়েও আরো কোনো সৌন্দর্যের বন্দনাকে প্রিয় সংগীতের মত শুনতে চেয়ে আমি অস্থির হয়ে উঠি। নগ্নতায় আমি সৌন্দর্য খুঁজে পাই না। এসব নগ্নতার বর্ননা, বুকের ভাঁজ আর গিরিখাত না যেন উপত্যকারর জটিল বর্ণনা পড়ে আমার ভীষণ খারাপ লাগতে থাকে।

রাত্রির রং, বর্ষার গন্ধ, বসন্তের সুরভীকে ছাড়িয়ে আরো অতৃপ্ত কোনো সৌন্দর্যের খোঁজে প্রিয় শুন্যতাকে নিয়ে চেনা, না-চেনা সৌরভের যুগলঘরে ভেজা পাঁপড়ির জল রঙ এ মেঘমল্লার ক্যানভাস হতে ইচ্ছে করে। তাই আমি আমার চোখজোড়া কবিতার বই থেকে খুলে রাখি। চোখবিহীন আমার চোখের কোটরকে পাথর মনে হয়। পাথরের অনুভব গাঢ় ঠান্ডা। হাওয়ায় হাত ডুবিয়ে ডুবিয়ে আমি অন্ধের মত পথ চলি প্রিয় শুন্যতার পথে।

শুন্যতার রঙও কালোই হয় গভীরতার পরিমাপে।"


সমাপ্ত



নোট - এই লেখাটি এবারের বইমেলায় নির্ঝর নৈঃশব্দ্যের " মুক্তগদ্য" এর ৬ষ্ঠ সংখ্যায় প্রকাশিত। লিটলম্যাগ কর্ণারের প্রকাশ, কবিতা বাংলা আর কবিতার রাজপথের টেবিলে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রচ্ছদ - বিধান সাহা
অলঙ্করণ ও অঙ্গসাজ - সম্পাদক
মূল্য - ৩০ টাকা

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার অনুভবের ক্ষমতা প্রসারিত হচ্ছে।

"আমি এর বাইরের কিছু পড়তে চেয়েছিলাম, অদৃশ্যকে ছুঁতে চেয়েছিলাম। দৃশ্যমান নারীর যোনি আর স্তনের চেয়েও আরো কোনো সৌন্দর্যের বন্দনাকে প্রিয় সংগীতের মত শুনতে চেয়ে আমি অস্থির হয়ে উঠি। "

-বেশীরভাগ প্রেমের কবিতা, গদ্য নারীকে তার আসল মাহাত্য দিয়ে সাজাতে ব্যর্থ হচ্ছে; তাই, বই বিক্রয় হচ্ছে না; ক্রীত বই পড়া হচ্ছে না।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার অনুভবের ক্ষমতা সংকুচিত হচ্ছে। প্রসারিত হবার দিন শেষ এখন।
কবিতা আর প্রেম এর মেলবন্ধনটা স্বাভাবিক তবে কবির লেখার দক্ষতায় সেটা অসাধারণ হয়। সেরকম অসাধারণ বা মুগ্ধ হবার মত কবিতা এখন কম চোখে পড়ে তবে লেখা যে হচ্ছে না তা না। কোনোভাবে হয়তো আমারই চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে!

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

তার আর পর নেই… বলেছেন: কয়েকটা অংশ অসম্ভব রকমের ভালো। + ++


আবার প্রথম অংশটাতে ব্যাক্তির কথা ঢুকে গিয়ে ডায়েরি মনে হয়েছে।
মাঝখানে অপর্ণার মতো মনে হয়নি, মনে হচ্ছিল কোন পুরুষ তার কথা বলছে।

একটু কি রাগও প্রকাশ পেলো!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার অনেক লেখাই পুরুষের জবানিতে লেখা যা আপনার পড়া হয়নি।
কবিতা বিষয়ক ব্যাপারে স্পেশালি ফেসবুকে কিছু নব্য কবিদের কবিতার পীড়নে পীড়িত হয়ে লেখাটা লিখেছিলাম আর কিছুটা ব্যক্তিগত অনুভব তো সাথে ছিলই!

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: শুন্যতার রঙও কালোই হয় গভীরতার পরিমাপে।" এ কথাটাই কত গভীর।

অনেক ভাল লিখেছেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুবুল আজাদ ভাই

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

সুমন কর বলেছেন: মুক্তগদ্য কঠিন লাগে...! পড়ে গেলাম। বেশি বুঝিনি....

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার কাছেও কঠিন লাগে। বইমেলায় এই মুক্তগদ্য দেয়ার পর আর কোনো মুক্তগদ্য লিখতে পারি নাই

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপনি আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসতে পারেন।অনুরোধ,কমপক্ষে আমার পাঁচটি কবিতা পড়বেন।নিজের ঢোল নিজে বাজাবো না।কেমন লেগেছে সেটা আপনিই বলবেন।তবে অনুভূতিটা প্রকাশ করবেন নিজের প্রতি সৎ থেকে। মোটেও আমাকে খুশি করার জন্য নয়।কবিতা গুলো পড়ার পর একদম মনে যেটা আসে সেটাই বলবেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জ্বি ভাই পড়বো। আপনি কি আমার এই লেখাটা পড়ছেন ?

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

পুলহ বলেছেন: ব্লগে আমার বেশি ভালো লাগে ভ্রমণ পোস্ট পড়তে, কবিতা দেখলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করি। কিন্তু সত্যি বলতে এখানে এমন কিছু কবি আছেন- যাদের লেখা চাইলেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না বলেই আমার কাছে মনে হয়! "সেরকম অসাধারণ বা মুগ্ধ হবার মত কবিতা এখন কম চোখে পড়ে তবে লেখা যে হচ্ছে না তা না। কোনোভাবে হয়তো আমারই চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে!"- এর প্রেক্ষাপটেই ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করলাম :)
"রাত্রির রং, বর্ষার গন্ধ, বসন্তের সুরভীকে ছাড়িয়ে আরো অতৃপ্ত কোনো সৌন্দর্যের খোঁজে প্রিয় শুন্যতাকে নিয়ে চেনা, না-চেনা সৌরভের যুগলঘরে ভেজা পাঁপড়ির জল রঙ এ মেঘমল্লার ক্যানভাস হতে ইচ্ছে করে। "-- অংশটুকু পড়ার পর থেকে কেনো জানি মাথায় শুধু ঘুরতে লাগলো-
'জানি – তবু জানি
নারীর হৃদয় – প্রেম – শিশু – গৃহ – নয় সবখানি;
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয় –
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে....'
শুভকামনা আপনার জন্য :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভ্রমণ পোস্ট পড়লে, সেসব ছবি দেখলে সত্যি বলতে কি আমারও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু উপায় নাই!
ব্লগের কিছু কিছু কবির লেখা কবিতা ভালো লাগে। এমনিতে অনেকের লেখা পড়ে " ভালো লেগেছে " বলে যাই কিন্তু একেবারে কবিতায় ডুবে যাওয়ার মত করে কবিতা কয়জন লিখতে পারে! এক সময় আমিও চেষ্টা করেছিলাম লিখতে কিন্তু পারিনি সেভাবে।
আপনার লেখাটাও সুন্দর লাগলো --

আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে....'

আপনার জন্যও শুভকামনা পুলহ

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

তার আর পর নেই… বলেছেন: সরি, বুঝতে পারিনি। লিটলম্যাগ কর্ণার, আর একটু নির্দিষ্ট করে বললে ভাল হয়। আমি নিজে যাইনা তো …

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বইমেলা গতবছর থেকেই বাংলা একাডেমীর মূল অংশ আর সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে হচ্ছে। লিটল ম্যাগ কর্ণার মূল অংশে অবস্থিত। ম্যাগ চত্বরও বলে সে জায়গাটাকে।

৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার লিখা । ভাল লেগেছে । বহুরূপীর উদাহরণ দেয়া হলে লেখকরাই মনে হয় সবার উপরে থাকবে । তারা কখনো নারী, কখনো পুরুষ, কখনো পশু পাখি, পাপিষ্ঠ, নিষ্পাপ, জল, তরঙ্গ, সমুদ্র, ছায়া, আঁধার, কালো, নীল, রঙিন, শৈশব, কৈশর, যুবক, যুবতী, ছুরি, গুলি, বুলেট, চোর, ডাকাত, কুখ্যাত, বিখ্যাত, অভিশপ্ত, বন্ধু, শত্রু, পাগল, উদ্ভাস্তু, গরীর, বড়লোক, এতিম, বৌ, জামাই, সংসার, বৃদ্ধা, অন্ধ, ধোঁকাবাজ, সুন্দর, নীরব, বিদ্রোহী.... সকল অবস্থানে একজন লেখককে বিচরণ করতে হয়। আপনার লেখায় চারুলতা, নিখিল, সুপর্ণা চরিত্রগুলোও সৃষ্টি করা, তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরী করা, তাদের অবস্থান নির্ধারণ করে দেয়া- এসব চতুর্মুখী সৃষ্টি একজন লেখক দ্বারাই সম্ভব ।

প্রেম, কাম, নারী এসব বিষয়বস্তু দিয়ে সহজে কবি হওয়া যায় বোধয়, তাই তো কবি জন্ম নিচ্ছে রাতারাতি ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জ্বি ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। ভালো থাকুন

৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

নেক্সাস বলেছেন: কোন স্তবকের কথা ছেড়ে কোন স্তবকের কথা বলি। ওয়ান্ডারফুল। এর নাম মুক্তগদ্য। হৃদয়ের জমে থাকা সমুদ্রে হঠাৎ সুনামীর মত শব্দের উর্মী মালা ছড়িয়ে দেওয়া লিখা। শত হলে আমাদের পাফো রাইটার,লিখায় আলাদা একটা মাধুর্যতো থাকতেই হবে।
অন্তরবাদ্যি জুড়ে ভাল লাগা থাকলো।

আমি এর বাইরের কিছু পড়তে চেয়েছিলাম, অদৃশ্যকে ছুঁতে চেয়েছিলাম। দৃশ্যমান নারীর যোনি আর স্তনের চেয়েও আরো কোনো সৌন্দর্যের বন্দনাকে প্রিয় সংগীতের মত শুনতে চেয়ে আমি অস্থির হয়ে উঠি। নগ্নতায় আমি সৌন্দর্য খুঁজে পাই না। এসব নগ্নতার বর্ননা, বুকের ভাঁজ আর গিরিখাত না যেন উপত্যকারর জটিল বর্ণনা পড়ে আমার ভীষণ খারাপ লাগতে থাকে।

এই অংশটুকু তুলনাহীন। আধুনিক কবি সাহিত্যকেরা যে নারীর শিল্পমূল্য কেবল যৌনতায় স্থীর করে ফেলেছে তার যতার্থ অনুধাবন এবং নরম অথচ তীক্ষ্ম প্রতিবাদ। বাহ্যিকতার বিপরীতে নারীর ভিতরের যে বিস্তৃত শিল্প সম্ভার সেটা তুলে আনার গরজ সাহিত্যে খুব কম দেখা যায়।


২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।
আপনি তো ৩১ ডিসেম্বরের পর আর কোনো লেখা দেননি। আপনিও লিখে ফেলুন মুক্তগদ্য।

বাহ্যিকতার বিপরীতে নারীর ভিতরের যে বিস্তৃত শিল্প সম্ভার সেটা তুলে আনার গরজ সাহিত্যে খুব কম দেখা যায়।

--- ব্লগের ক্ষেত্রে বলবো এরকম লেখার চেয়ে হাল্কা মেজাজের অনেক লেখার দিকেই পাঠকের আগ্রহ থাকে। আর অনেকের হয়তো ঐরকম সময়ও থাকে না পড়বার বা কমেন্ট করবার।
ওভারঅল সাহিত্য নিয়ে বললে বলবো, লেখালেখি বা নারীকে পুঞ্জীভূত করে যেসব লেখা সেসবও হচ্ছে। বইমেলায় কয়েকজনের লেখা এসেছে, সেসব বই গুলো কালেক্ট করতে পারলে পড়ে মতামত জানাতে আরো সুবিধা হতো।

১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ব্যাঞ্জনা, হাহাকার, কটাক্ষ, ব্যাকুলতার মিশ্রণে মনের দহনের এক কাব্যিক প্রকাশ। বোঝাই যাচ্ছে অনুভূতি কতটা সুতীব্র।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই

১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: চমৎকার! বিশেষ করে একজন নারীর দৃষ্টিকোনটি তুলে ধরার জন্য।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার নামটা আনকমন। বিশেষ কোনো অর্থ আছে কি ?

১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

উল্টা দূরবীন বলেছেন: জাস্ট অসাধারণ লেখা। কিছু অংশতো দুর্দান্ত। পড়ে বেশ উপভোগ করলাম। লেখাটার গাঢ়ত্ব আছে, বোধের গভীরতা আছে। অনেক ধন্যবাদ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার ভালো লাগা জানতে পেরে আমারও ভালো লাগলো।

১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন:
কবিতা মানে শুধুই কবিতা নয়, কবিতা একেবারেই ভিন্ন কিছুকে বোঝায় যার আবেদন থেকে যাবে বহু বহুদিন অথবা আমৃত্যু! প্রেম শ্বাশত ; প্রেম সুন্দর। প্রেম দহনের[
খুব সুন্দর। অসাধারণ। বাক্যগুলো পুরো লেখাটায় জড়িয়ে রেখেছিল একপ্রকার

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কবিতা নিয়ে আমারও এভাবে ভাবতে ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আরণ্যক।

১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:

একটা অসাধারণ লেখা পড়লাম। মুক্তগদ্য। নামের যথার্থতা।
আপনার কিছু লাইন পড়ে আমার পুরনো একটা কথা মনে পড়লো।
আমি তখন ক্লাস এইটে। আমার ইংলিশ টিচার আমায় খুব পছন্দ করতেন। অনেক কিছু শেয়ার করতেন। বোঝানোর চেষ্টা করতেন। তার বেশিকিছুই বুঝতাম না। তার একটা কথা ছিল
নগ্নতায় পাপ নেই। যদি দেখার মানুষ তুই হোস।
আজো কিছুটা দুরূহ কথাটা। উনি কি বিশ্লেষণ করেছিল আমার মনে নেই।
আপনি হয়তো পারবেন।
তবে আমি দেখার ভঙ্গির নিরিখে নগ্নতা বিচার করি।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার পুরনো কথার রেফারেন্সে আমিও একটা ঘটনা বলি। তখন আমি মাস্টার্সে পড়ি, স্কুলে জব করি। বাইরে যে সময়টায় থাকতাম ম্যাডামের ব্যাচ আর স্কুলের টাইমটা খুব ভালো কাটতো। বাসায় ফেরার সময় ভিডিও শপ থেকে সিডি নিয়ে আসতাম। রাতে সব কাজ শেষ করে বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে মুভি দেখতাম হিন্দী, ইংলিশ। ফুরফুরা একটা সময় যাচ্ছিলো। একদিন দুপুর বেলা আমার এক কাজিন ( বোন) আসলো বাসায়। ওদের ফ্যামিলির কেউ আমার বিয়ের পর পড়াশুনা করাকে পছন্দের চোখে দেখত না প্লাস এটাই হাইলাইট করতো ছোট ৬ মাসের বাচ্চাকেও সময় দেই না নিজের ক্যারিয়ারের জন্য। জামাইও কোনো ব্যাপারে বাঁধা দেয় না কখনই হোক কাছে থাকা অবস্থায় বা দূরে ( সে সময় সে দেশের বাইরে থাকতো)। তো সেই কাজিন দুপুরে খাবে আর এক সাথে মুভি দেখবে এই উদ্দেশ্যেই এসেছিল। ও তখন ৮/৯ এ পড়তো মে বি। সেদিন আমি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির zia এই ছবিটা এনেছিলাম। তখনো জানতাম না ছবিটায় ন্যুডিটি আছে কিনা অর সামথিং এলস! আমার সেই বিচ্ছু কাজিন পুরো ছবিই আমার সাথে দেখল এবং এক কান দুই কান করে জানালো অনেককে -- সে ( আমি) তো আজেবাজে ছবি দেখে অবসরে বাসায় বসে/ রাত জেগে!
আমার কাছে কখনো মনে হয় নাই সেসব আজেবাজে কিছু। আমার করা স্বাভাবিক অনেক কিছুই আমাদের আত্মীয় মহলে অস্বাভাবিক লাগতো।
আপনার "নগ্নতায় পাপ নেই। যদি দেখার মানুষ তুই হোস। " এই কথার জের ধরে অনেক লম্বা ইতিহাস বলে ফেললাম!

ভালো থাকবেন রাজপুত্র।

১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪১

আরজু পনি বলেছেন: আপাতত বইমেলার পোস্টে কমেন্ট আকারে রাখলাম আপডেট করার জন্যে ।

আপনার লেখার ভেতরের পুরুষ সত্ত্বাটা বেশ শক্তিশালী...
আমি আগেও পড়েছি...অন্য লেখায়।

আমি আপনার লেখাটা আরো বেশকিছুক্ষণ আগেই নীরবে পড়ে গিয়েছিলাম। কোথায়ও মন্তব্য করতে ইচ্ছে করছে না...
বাজে ব্যস্ততায় বিপন্ন আমি...

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার হাসব্যান্ড তো প্রায়ই বলে আমি নাকি ভুলে মেয়ে হয়ে জন্মাইছি। কারণ রাস্তায় বের হয়ে উল্টাপাল্টা কিছু আমার সামনে বা বিশেষ করে আমার সাথে কেউ করলে তারে প্যাদানি দেয়ার জন্য বেশ কঠিন হতেও আমার বাঁধে না। কে জানে আমি নারী রূপে পুরুষ মাল্টিও হতে পারি! হাহাহহা।
তবে এটা ঠিক আমি পুরুষ জবানীতে লিখে বেশ মজা পাই।
আশা করছি ব্যস্ততা আপনার কমবে। সাথে ক্লান্তি লাগাটাও।

১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: অবশ্যই,আমি আপনার পুরো লেখাটি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। তাইতো উপরের মন্তব্যটি করেছিলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শামীম। আমি আপনার লেখা পড়ে জানাবো।

১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি এর বাইরের কিছু পড়তে চেয়েছিলাম, অদৃশ্যকে ছুঁতে চেয়েছিলাম। দৃশ্যমান নারীর যোনি আর স্তনের চেয়েও আরো কোনো সৌন্দর্যের বন্দনাকে প্রিয় সংগীতের মত শুনতে চেয়ে আমি অস্থির হয়ে উঠি। নগ্নতায় আমি সৌন্দর্য খুঁজে পাই না। এসব নগ্নতার বর্ননা, বুকের ভাঁজ আর গিরিখাত না যেন উপত্যকারর জটিল বর্ণনা পড়ে আমার ভীষণ খারাপ লাগতে থাকে। - অসাধারন। ভালোলাগা জানবেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি। শুভকামনা জানবেন

১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

শুন্যতার রঙও কালোই হয় গভীরতার পরিমাপে। এই বাক্যে কি বিজ্ঞান আছে নাকি?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুন্যতার রঙও কালোই হয় গভীরতার পরিমাপে।
শুন্যতার রঙও কালোই হয় ( অনুভবের) গভীরতার পরিমাপে। বিজ্ঞান নাই। অনুভব। এই শব্দটা জুড়ে দিলে বাক্যটা বেমানান লাগতো

১৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ২৫ তারিখে যাচ্ছি আবার। জোগাড় করব। মুক্তগদ্য ভালো লিখছেন এরকম কয়েকজন সাজেস্ট কৈরেন পারলে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ২৬ তারিখ বিকেলে প্ল্যান ছিল যাবার সুখী মানুষকে নিয়ে। কিন্তু সুখী মানুষের শিড্যিউল পাই না যে!
এই মুক্তগদ্যের বইতেই অনেক ভালো ভালো লেখকের লেখা পাবেন। আজিজে অনেকগুলো দোকানে খোঁজ করছিলাম স্পেশালি মুক্তগদ্য বলতে যা বুঝায় ঐরকম আলাদা করে মুক্তগদ্যের উপর কোনো ম্যাগাজিন বা বই নাই। আপনি ম্যাগ চত্বরে গিয়েই খুঁজতে পারেন আরো লেখার কালেকশন পেয়ে যেতে পারেন। পেলে আমারে জানাইয়েন কিন্তু

২০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

রয়েল বেঙ্গল ছাগল বলেছেন: চমৎকার লিখা । ভাল লেগেছে ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ রয়েল বেঙ্গল ছাগল।

২১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার লেখার শব্দশৈলী আমার ভীষণ পছন্দের।মুক্তগদ্যে যা দিয়েছেন পুরোটাই শিল্প। ইচ্ছা ছিল কিছু কথা কোট করে আলাপ করব।কোনটা ছেড়ে কোনটা নিব বোঝতে পারছি না।পুরোলেখাতেই মুগ্ধতা। শব্দ চয়নে আপনার অসাধারণ দক্ষতা আছে।দারুন দারুন শব্দ ভান্ডার খেলা করে।
মুক্তগদ্য সবটুকু বোঝেছি তা জোরগলায় বলছি না।তবে লেখকদের দ্বৈত চরিত্রটা ধরতে পেরেছি।
যে কথাটি না বললেই নয়-আপনি অনেক সা্হসী :) :)

"শুন্যতার রঙও কালোই হয় গভীরতার পরিমাপে।"

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যগুলো ভালো লাগলো শাকিল ভাই।
ভালো থাকবেন।

২২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

জেন রসি বলেছেন: বেশ কয়েকবার পড়লাম। মুখোশ মানুষ নিজের ইচ্ছাতেই বদলায়। একজন লেখক যখন বদলায় তখন বিভিন্ন কারনেই বদলাতে পারে। আপনার লেখায় সেটি একটি নেগেটিভ ধারনা হিসাবে এসেছে। অর্থাৎ ধরে নিচ্ছি এখানে নিজের থেকে নিজেই পালিয়ে বেড়ানোর কথা বলেছেন। অর্থাৎ পাপবোধ এখানে চেতনা হয়ে কাজ করেছে। তাই নিজের এক স্বত্বা থেকে অন্য স্বত্বার পলায়ন।

এক কবির কবিতা অংশে একটা নির্দিষ্ট টাইপ কবিতার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশিত হয়েছে। প্রেম, নারী, কাম এসব নিয়েই আসলে হাজার হাজার কবিতা লেখা হয়। সেসবের মধ্য দিয়েই যেমন অনেকে বেঁচে থাকাকে স্পর্শ করতে চায়, তেমনি আবার অনেকে সেসবের মধ্যেই ঘুরপাক খেতে থাকে। আপনি হয়তো দ্বিতীয় অংশকেই বোঝাতে চেয়েছেন।

মুক্তগদ্য ভালো লেগেছে।

শুভকামনা। :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রেম, নারী, কাম এসব নিয়েই আসলে হাজার হাজার কবিতা লেখা হয়। সেসবের মধ্য দিয়েই যেমন অনেকে বেঁচে থাকাকে স্পর্শ করতে চায়, তেমনি আবার অনেকে সেসবের মধ্যেই ঘুরপাক খেতে থাকে।

--- এই ঘুরপাকের ব্যাপারটাই পীড়া দিচ্ছিল প্রবলভাবে। এটাই সত্যি।

ধন্যবাদ জেন রসি।

২৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

দেলু বলেছেন: এটা কি কোন গল্প? এটা গল্পের ক্রমে কেন ঢুকল? আমারতো মনে হয় এটা কবিতা! ভুল বললাম নাকি?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: না, এটা গল্প না

২৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৬

এনামুল রেজা বলেছেন: মেলাদিন পর তোমার মুক্তগদ্য পড়া হইল আপা। ভালা পাইলাম।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমিও এইটা মেলাদিন পর লিখছিলাম!

২৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০১

কল্লোল পথিক বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি এর বাইরের কিছু পড়তে চেয়েছিলাম, অদৃশ্যকে ছুঁতে চেয়েছিলাম। দৃশ্যমান নারীর যোনি আর স্তনের চেয়েও আরো কোনো সৌন্দর্যের বন্দনাকে প্রিয় সংগীতের মত শুনতে চেয়ে আমি অস্থির হয়ে উঠি। নগ্নতায় আমি সৌন্দর্য খুঁজে পাই না। এসব নগ্নতার বর্ননা, বুকের ভাঁজ আর গিরিখাত না যেন উপত্যকারর জটিল বর্ণনা পড়ে আমার ভীষণ খারাপ লাগতে থাকে।

এটা একান্তই পাঠকের চাহিদা/মনের কথাই হয়তোবা। পাঠক-শ্রেণিভেদ করলে হয়তোবা এক শ্রেণির পাঠক পাওয়াই যাবে যারা এগুলোতে কেবল যৌনতার সৌন্দর্য খুঁজে। এমন শ্রেণিও অসম্ভব নয় যারা ঘৃণাভরে লেখকের এই প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।
আবার এমনও আছে যারা, রুপকের অন্তরালে কোনও অর্থ খুঁজে নেয়।
তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি লেখকের স্বাধিনতায় আঘাত করে কোন লেখা আশা করি না। লেখকসত্ত্বাকে বিকানোর পথে আসতে হতে পারে, যদি পাঠকদের দিকে নজর রাখতে হয়।

মুক্তগদ্য ভাল লেগেছে। শুভকামনা রইল।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এটা তো ঠিকই পাঠক চাহিদা একেকজনের একেক রকমের হবে। আর পাঠক চাহিদার কথা মাথায় রেখে বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যখন একজন লেখক " আবজাব" লিখে যায় তাহলে একজন লেখকের " স্বকীয়তা" কোথায় থাকলো! আমি ব্যাপারটা এভাবেই দেখি।

ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৪

জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগা অপর্না মম্ময়। আপনি যেটুকু লিখেন সব সময় সেরাটুকুই লিখেন। আপনার এই ছোট ছোট লেখার কনিকাগুলো অনেক বড় লেখাকেও ম্লান করে দেয়। লিখবেন সবসময় অনুরোধ রইলো।
+

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য আপু। অনেক অনেক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

২৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় ,



মুক্তগদ্যে আপনি নির্ঝরের মতোই ঝরঝরে, কল্লোলিনী ।

অনেকদিন পর আবার এই যদি নিজের মুখোমুখি হয় তবে কামনা করি এমন মুখোমুখি হোন আপনি নিয়ত ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আবার হয়ত চেষ্টা করতে হবে মুক্তগদ্য লেখার জন্য।

২৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমার কমেন্টে আপনার মন ভরবে না। কারণ, এ লেখার জন্য যেরূপ কমেন্ট আপনি প্রাপ্য, আমি তা লিখতে অপারগ।

নিজের মুখোশটা তো ঘরে ফিরে রোজ নতুন করে বদলাচ্ছি, চেহারায় এঁটেও নিচ্ছি। এটাই কি লেখকদের ধর্ম? আপনি হয়ত-বা লেখকদের জেনারেলাইজড ধর্মটাই বিধৃত করতে চেয়েছেন।

যাকে ভুলতে পারি না, যার বুকের ওপর দিয়ে নিঃশব্দে বয়ে চলে বিষণ্ণ সন্ধ্যার আলেয়া কিংবা নিঃসঙ্গ অরণ্যের ভেজা ঘাসফুল, তার কথা সুপর্ণা ক্যানো লিখে নেয় বর্ণচোরা রঙে !


বিকেলগুলো এখন অন্যরকম, চেনা রাস্তায় ঘোরা নরম রোদের ডিগবাজির মত। চোখে চোখেই কথা শেষ হয়ে যায় ছুঁয়ে দেখার তৃষ্ণা ফুরোবার আগেই।



দৃশ্যমান নারীর যোনি আর স্তনের চেয়েও আরো কোনো সৌন্দর্যের বন্দনাকে প্রিয় সংগীতের মত শুনতে চেয়ে আমি অস্থির হয়ে উঠি। নগ্নতায় আমি সৌন্দর্য খুঁজে পাই না। এসব নগ্নতার বর্ননা, বুকের ভাঁজ আর গিরিখাত না যেন উপত্যকারর জটিল বর্ণনা পড়ে আমার ভীষণ খারাপ লাগতে থাকে।


এভাবে কোট করতে গেলে পুরো কবিতাটাই কোটেড হয়ে যাবে।

আমি শুধু আপনার বাক্যগঠনপ্রণালি খুব সূক্ষ্মভাবে খেয়াল করছিলাম। প্রতিটা স্তবক আলাদা আলাদা ভাবে আমার মগজে ঢুকে যাচ্ছে, যদিও এক স্তবকের সাথে পরের স্তবকের সেতুবন্ধন আমি করতে পারি নি।


রাত্রির রং, বর্ষার গন্ধ, বসন্তের সুরভিকে ছাড়িয়ে আরো অতৃপ্ত কোনো সৌন্দর্যের খোঁজে প্রিয় শূন্যতাকে নিয়ে চেনা, না-চেনা সৌরভের যুগলঘরে ভেজা পাঁপড়ির জলরঙে মেঘমল্লার ক্যানভাস হতে ইচ্ছে করে। তাই আমি আমার চোখজোড়া কবিতার বই থেকে খুলে রাখি।


এ কবিতার অর্ধেকেরও বেশি অংশ হলো কোনো এক কবিতা বইয়ের রিভিউ, যা লিখেছিল সুপর্না, নিখিল বা চারুলতা। আমি প্রতিটা পাতাই ওল্টাই প্রেম, কাম বা নারীর গন্ডি ছেড়ে ভিন্ন কোনো কবিতা পড়বার খোঁজে। এখানে একটা পুরুষসত্তার অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে, যা হয়তো নিখিলের মনের কথা। একটা কথা আমি আগেও আপনাকে বলেছি, যা দেখলাম আরজুমনি আপুর কমেন্টে সুন্দরভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম আপু। শুভেচ্ছা।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মন না ভরার কিছু নাই সোনাবীজ ভাইয়া। আপনি যেভাবে মন্তব্য করেন সেটা যথেষ্টই বিশ্লেষণী হয়। সেটা লেখকের চিন্তাভাবনার সাথে মিলতেও পারে আবার পাঠকের ভাবনার প্রকাশও থাকতে পারে। ভালো মন্দ ত্রুটি এসব ধরিয়ে দেয়াই তো সহব্লগারদের কাজ আর অনুপ্রেরণার মাধ্যম।
আমি যদি নিখিল হতাম কি লিখতাম সেটাও ভাবার বিষয় বৈকি!
আপনিও ভালো থাকুন ভাইয়া, সুস্থ থাকুন আর আমাদের মাঝেই থাকুন।

৩০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমার নিজের মুখোমুখি হতে ভয় করে কারণ ঝামেলা আছে তার কোন শেষ নেই তার কোন পরও নেই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহহহা। তাহলে আপনি এস্কেপিস্ট। অবশ্য পালাবার স্বভাব আমাদের সবার মাঝে কম বেশি বিদ্যমান। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

শুভ্রা হক বলেছেন: আপু , "নবনীতার ডায়েরি - ৮" কোথায়?
পড়তে চাই, পড়তে চাই, .।.।.।.।.।.।.।.।।পড়তে চাই।
লিখুন , লিখুন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাথায় গল্পের নতুন প্লট ঘুরছে। সেটা ভাবা শেষ হলে নতুন গল্পটা লিখে শেষ করে দেখি নবনীতাকে নিয়ে ভাবতে পারি কিনা। ব্রেইন আজকাল খাটাতে ভালো লাগে না :(

৩২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: হতে পারে... আল্লাহই জানেন...
কি জানি বাবা মনে হয় আমিই হাবা ... B:-)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহহহা। আচ্ছা ঠিক আছে।

৩৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

শুভ্রা হক বলেছেন: শুনে বড়ই মন খারাপ হলো ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনি তাড়াতাড়ি মেঠো পথের কাহিনী লিখে আগাতে থাকুন কিংবা বইমেলা থেকে কেনা বইয়ের রিভিউ লিখুন। বারাক ওবামার বইয়ের রিভিউএর মত এতো ছোট না। সময় নিয়েই লিখুন পরিপূর্ণ ভাবে।

৩৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

শুভ্রা হক বলেছেন: বইমেলা থেকে কেনা বই গুলো আপাতত একবার করে পড়ছি। রিভিউ লেখার জন্য বেশ কয়েকবার পড়তে হয় আমার। কাল আবার বই মেলায় যাবো। আরও কিছু কাজ আছে।
সময় নিয়ে লিখতে গেলে হয়তো লেখাই হয়ে উঠবে না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক আছে।

৩৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

কল্লোল পথিক বলেছেন: ভাল লেগেছে।
এক রাশ ভাল লাগা রেখে গেলাম।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক

৩৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: রাত্রির রং, বর্ষার গন্ধ, বসন্তের সুরভীকে ছাড়িয়ে আরো অতৃপ্ত কোনো সৌন্দর্যের খোঁজে প্রিয় শুন্যতাকে নিয়ে চেনা, না-চেনা সৌরভের যুগলঘরে ভেজা পাঁপড়ির জল রঙ এ মেঘমল্লার ক্যানভাস হতে ইচ্ছে করে। তাই আমি আমার চোখজোড়া কবিতার বই থেকে খুলে রাখি। চোখবিহীন আমার চোখের কোটরকে পাথর মনে হয়। পাথরের অনুভব গাঢ় ঠান্ডা। হাওয়ায় হাত ডুবিয়ে ডুবিয়ে আমি অন্ধের মত পথ চলি প্রিয় শুন্যতার পথে। -

শুধু বলব, অসাধারণ লাগলো !

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।

৩৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

বৃতি বলেছেন: মনের অনুভূতিগুলো নিখুঁতভাবে এসেছে-- "বোহেমিয়ান মেঘ" বেশ ভালো লাগলো :)
অফটপিক, এবারের বইমেলা থেকে যে সমস্ত বই কিনেছ, পড়ে সময় পেলে একটা রিভিউ দিও আপু। এই সময়ের কিছু ভালো বই সংগ্রহ করতে চাই :)

০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি বইয়ের হাট, বইয়ের পোকা এসব পেজ ছাড়াও ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টের অনেকের বইয়ের কালেকশন নোট করে রাখছি। ওখান থেকে কিছু কালেক্ট করার ইচ্ছা আছে। তবে রিভিউ কবে লিখবো জানা নাই বৃতি। :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.