নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগর ব্লগর -৫ এবং আমার ক্রিকেট ভাবনা

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৬



আমাদের দেশের জাতীয় খেলা কোনটি? বইতে পড়েছি এবং এখনো শিক্ষার্থীরা পড়ছে - জাতীয় খেলা হাডুডু। কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপটে জাতীয় খেলা বলতে হয়ত আমরা ক্রিকেট খেলাকেই বুঝবো। কারণটা সবাইই অনুধাবন করবেন আসলে তাই কারণ ব্যাখ্যার কিছু নেই। আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন থেকেই দেখতাম ভাইয়া ক্রিকেট খেলতো। এ মহল্লার বা ও মহল্লার গ্রুপ মিলে টুর্নামেন্ট খেলতো। মিনি ট্রাক ভাড়া করে হৈহৈ করতে করতে, গানবাজনা বাজিয়ে তারা যেতো ক্রিকেট খেলতে। যাবার আগে ফুপু, ফুপুর ফ্রেন্ড, মা, আপা অন্যান্যদের দোয়া চাইতে চাইতে যেতো। আপা বা ফুপু ফাজলামি করে বলতো -

তোরা যে খেলোয়াড় জানা আছে। হাইরা আসবি।

ঝড়ে বক মরে আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে টাইপ ব্যাপার। হেরে এসে ইচ্ছামতো ওদের গালাগালি করতো। মা হয়ত একটু সান্ত্বনা দিতো। ভাইয়াকে পছন্দ করতাম বেশি তাই বুঝে না বুঝে তার জন্যই মন খারাপ হতো। ভাইয়ার বন্ধুদের সাথে দেখা হলে তারাও বলতো - বুঝলা, আমরা হাইরা গেছি। দুই নাম্বারি কইরা আম্পায়ার আমাদের হারাইছে।
কেউ বলতো -
ঐ লম্বু রনির জন্যই হারছি। শরীরে জোর নাই। এমন স্বাস্থ্য নিয়া খেলতে গেছে। ওরে দলে নেওনটা ভুল আছিলো।
কেউ বলতো -
ওগো মহল্লায় আর খেলতে যামু না। মহল্লার পোলাপাইন ভালো না। জুরাইন মাঠেই খেলুম।

ক্রিকেটের প্রতি ভাইয়া আর তার বন্ধুদের ভালোবাসা আর আবেগ এর প্রকাশ সেই স্কুল লাইফ থেকেই দেখে আসছি যা এখনো কমেনি। এখনো সুযোগ পেলে সে খেলে, সাথে তার ছেলেকে নিয়ে যায় মাঠে, আমার ছেলেকে। ফতুল্লা মাঠে, ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মাঝে মাঝেই আতাহার আলী, সুজন, দুর্জয়, আকরাম উনারা আসেন, প্রীতি ম্যাচ খেলা হয়।

পুরান ঢাকায় থাকতাম। আমাদের স্কুলের বিপরীতেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ( সাবেক ক্রিকেটার) বাড়ি ছিল। উনার বোন ছিলেন আমাদের ক্লাসের টিচার। ভাগ্নি মারিয়া ছিল আমার ক্লাসমেট। আমাদের মর্নিং শিফট শুরু হতো সকাল ৭ টায়। সেই বুলবুল মামা সকাল সকাল উঠতেন ঘুম থেকে আর উনাদের বাড়ির গলির কাছে দাঁড়িয়ে দাঁত ব্রাশ করতেন। ব্যাপারটা অদ্ভুত লাগতো। পরে বুঝেছি স্কুলে তো বড় আপুরাও পড়তেন। সুতরাং ব্যাপারটা অদ্ভুতের কিছু রইলো না পরবর্তীতে। মারিয়া তখন ক্লাসের সবার কাছেই গল্প করতো মামার জন্য বউ খুঁজছি ফর্সা গায়ের রঙের।আমাদের কাউকে কাউকে নিজের মামী বানাবার প্রস্তাবও দিতো। কেউ কেউ তো বলেই দিতো তোর কাইল্যা মামারে কে বিয়া করবো। কিন্তু কালো হোক বা ফর্সা হোক ১৯৯৭ সালের পর বুলবুলসহ খালেদ মাসুদ সুজন, নাইমুর রহমান দুর্জয়, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, রফিক উনারাই তো আমাদের হিরো হয়ে গেলেন। সেই দিনটা ভুলবার নয় আইসিসিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে পড়ি তখন। সেদিন কলেজ গেট থেকে বের হয়ে দেখেছি রঙের নাকানি চোবানি খায়নি এমন মানুষ কমই ছিলো যারা যারা বাইরে বের হয়েছিলো। সেদিনের আনন্দটা ছিলো অভাবনীয়। সেই সাথে মনে করছি মেহরাব হোসেন অপি, বিদ্যুৎ, শাহরিয়ার নাফিস, আব্দুর রাজ্জাকদের কথা।


সেদিনও প্রমাণ হয়েছে ক্রিকেটের সাথে আমাদের বাংলাদেশিদের কতখানি আবেগ জড়িয়ে আছে।

তারপর গত হয়েছে অনেকগুলো বছর। এখন ২০১৬। বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় চেহারা অন্যরকম, একটি পরিচিত নাম অন্যান্য দেশগুলিতে। কিন্তু এখনো এতে আবেগ জড়িয়ে। বলছি না আবেগকে বাদ দিতে কিন্তু এখন মনে হয় সময়টা আর আবেগ দিয়ে মূল্যায়িত করার না। প্রফেশনাল হয়ে খেলার সময়, যৌক্তিক চিন্তার সময়। গতপরশুর অস্ট্রেলিয়া আর বাংলাদেশের ম্যাচের জন্যই আমার আজকের এই ব্লগর ব্লগরের প্রসঙ্গ।




বিভিন্ন জনের ফেসবুক স্ট্যাটাস, ক্রিকেট রিলেটেড পেজ থেকে বিভিন্ন দর্শকের মতামত, যুক্তি,আবেগ সব দেখছিলাম খুব বেশি মাত্রায় বিশেষ করে যখন তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করে শাস্তি হিসেবে খেলা থেকে ছিটকে বের করে দেয়া হলো। অবশ্যই মনে করি সেদিন তামিম ইকবাল সুস্থ থাকলে আর আরাফাত সানি এবং তাসকিন থাকলে আমাদের সেদিনের স্কোর অন্যরকম হতো। আমাদের পয়েন্ট টেবিলেও দুইটা নাম্বার যোগ হতো। এই যদির চক্করে অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তামিমের রিপ্লেসমেন্ট কিংবা মিথুনকে নিয়ে যে কথা প্রায়শই শোনা যাচ্ছে তার নিশ্চয়ই কিছু যৌক্তিক ব্যাখ্যা আছে।

আমি কোনোকালেই কোনো ক্রিকেট বোদ্ধা ছিলাম না। বুঝিও না তেমন। বাংলাদেশের প্লেয়ারদের ছাড়া অন্য দেশের প্লেয়ার কমই চিনি। এটা খুব ফিল করি আমাদের ওপেনারে সমস্যা আছে। সৌম্য ফর্মে নাই কিন্তু এমন না সে ভালো খেলেনি। সৌম্যকে নিয়ে ট্রল দেখলাম একজনের নিউজফিডে। দেখে সত্যি কথা ভালো লাগেনি। ওপেনিং এ সৌম্যর বদলে আর কাউকে খেলানো যায় কিনা ভাবা যেতে পারে। বিজয়কে কেন নেয়া হচ্ছে না জানেন কেউ ?



মুশফিকও অফ ফর্মে কিন্তু মুশফিক আমাদের অতীতে কী দিয়েছে সেটা কি ভুলে যাবার মতো? দর্শকদের মাত্রাতিরিক্ত আবেগ কখনো কারো জন্য সুফল বয়ে আনবে না মনে হয়।

“ ওরে বদলাইয়া অন্য কীপার নাও, ওরে ব্যাটিং করতে দিও না “ এই জাতীয় ফাউল কথা শুনতেও ভালো লাগে না।

সাকিবের ফর্ম এগেইন কাম ব্যাক। কিন্তু সাকিব হেটারদের কথা ভুলি কী করে! সবাই কি সবদিন ভালো খেলতে পারে? সাকিব বিদেশ গেলে খেলা উজাড় করে খেলে আর বাংলাদেশে ফালতু খেলে। আর ব্যাস শুরু হয়ে যায় সাকিবের বউ,বাচ্চা গুষ্ঠি উদ্ধারের অভিযান।



নাসির আমার একজন প্রিয় খেলোয়াড়। স্পেশালি তার অনবদ্য ফিল্ডিং, ক্যাচ এসবের জন্য। কিন্তু নাম উল্লেখ না করে বলি আমার এক পরিচিত সেদিন বলছিল –

কি দেইখ্যা ওরে আপনার ভাল্লাগে? টায়ফয়েড রোগী। ওর বডি দেখছেন, খেলোয়াড়সুলভ ফিটনেস আছে, কব্জিতে জোর আছে? খালি একটা দুইটা ক্যাচ ধরলেই হইব!

আমি স্পীকার হয়ে গেছিলাম। নাসিরকে কেন বসিয়ে রাখা হয় এটা আমার একটা আফসোস। দলীয় পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে ওকে মনে করি খেলানো দরকার। খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রিয়ভাজন বলে ( শোনা কথা ) শুভাগত হোমকে খেলানোর চেয়ে নাসির বেস্ট। জার্নির ধকল, প্র্যাকটিস না করে ওয়ার্ল্ড কাপে খেলতে দেয়ার চেয়ে সেদিন শুভাগতের চেয়ে নাসির ছিল এপ্রোপ্রিয়েট অপশন। যেহেতু আমি আমজনতা তাই আমি কম বুঝি তাই বিসিবি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর যা ভালো বুঝেছেন তাই আমরা খেলার মাঠে দেখেছি স্কোয়াড হিসেবে।

বর্তমানের ফর্ম বিবেচনায় তামিমের সাথে সাব্বিরকে ওপেনিং এ আর ওয়ান ডাউনে মাহমুদুল্লাহকে নামানো কতটা যৌক্তিক বা ভালো হবে আমার এই প্রশ্নে আমার কাজিন বলছিল –

আপনে বিসিবিতে যোগ দেন। বিসিবির হর্তাকর্তাদের পছন্দের লোকরা কই খেলবে? মহল্লায়?

সেদিন অস্ট্রেলিয়া আর বাংলাদেশের ম্যাচের খেলায় অনেক অনেক মতামত পেয়েছি ক্রিকেটের ফেসবুক পেইজে। কেন মাশরাফি শুরুর ওভার করে বসে পড়লো। যেখানে সাকলাইন সজীবের বিশ্বকাপের মতো আসরের চাপ নেয়ার অভ্যাস নাই, এত রান দিয়েছে সেখানে কেন ম্যাশ বোলিং করলো না! আপনাদের মতামত কি? সেদিন সজীবের রনি খেললে কি ভালো হতো? আসলেই কি রুবেলের ইঞ্জুরি চলছে নাকি বিসিবির খেয়ালের শিকার? আর মাশরাফি ক্যাপ্টেন হিসেবে কেমন সেটা আমরা সবাইই জানি। তাই সুনীল গাভাস্কার কি বললো বা কে কি বললো সেটা মনে হয় আমাদের ক্যাপ্টেন এর ভাবার দরকার নাই।



মুস্তাফিজের যোগ্য সম্মান মুস্তাফিজ পেয়েছে। তাকে অভিনন্দন। খারাপ দেখে দেখে ভয় লাগে মুস্তাফিজও না আইসিসির শিকার হয়ে যায়।




আরেক প্রিয় খেলোয়াড় আল-আমিনের কথা না বললেই না। অন্যদের তুলনায় সে ফোকাসড কম হয় কিন্তু যোগ্য খেলোয়াড়ের পেছনে শ্রম আর যত্ন দিলে সেও ঠিক হীরক খন্ড হয়েই থাকবে।

আরো অনেক অনেক কথা হয়ত চলে আসবে এভাবে লিখতে গেলে। এগুলো আমার একান্তই ভাবনা। আপনাদের ভাবনা, বাংলাদেশের ক্রিকেটের পরবর্তী পদক্ষেপ কেমন হলে ভালো হবে আপনাদের মতামতও শুনতে চাই।



আরেকটা কথা কোনো দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে ট্রল দেখতে সত্যিই ভালো লাগে না। আমাদের দর্শক, ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে যে সুনাম সেটা যেন ধরে রাখতে পারি এটা আমারও চাওয়া। এক দুই ম্যাচ ভালো খেললে তাকে আকাশে তুলে দেয়া প্রশংসা করে করে আবার সেই খেলোয়াড়ই যদি তিন চারটা ম্যাচে খারাপ খেলে তাকে বকাবকি, অমুক ,তমুক বলে লাশ বানিয়ে ফেলতেও দ্বিধা করি না। এই মানসিকতা বদলাতে হবে।

জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় দেখি অনেকেই অনেক রকম ভঙ্গীতে জাতীয় সঙ্গীত গায়। কেউ দুলে দুলে, কেউ বুকে হাত রেখে! অদ্ভুত লাগে। জাতীয় সঙ্গীত কি কেউ এভাবে গায়? ছোট থেকেই তো পড়ে আসছি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গাইতে হয়। ক্যামেরা সামনে আসলে লাফিয়ে ওঠা, ফ্লাইং কিস দেয়া ইত্যাদি আরো কিছু। জাতীয় সঙ্গীত শুনলে আমার নিজের গায়েই কাঁটা দিয়ে ওঠে। আমাদের সবার উচিত এই সময়টায় যথাযথ ভাবে সম্মান জানানো। জানি ক্রিকেটের সাথে আবেগ জড়িয়ে কিন্তু এই আবেগের সাথে লাফালাফি, নাচানাচিটা ঠিক যায় না আর কি!

আজকের খেলায় আমাদের জন্য পিচ, টস কতটা সহায়ক হবে জানা নেই। আশা দেখি ভারতের বিপক্ষে খেলে জয়ের জন্য। আমরা যত বড় দলের বিপক্ষেই খেলি না কেন শুরুতেই যেন মনোবল না হারিয়ে ফেলি, বডি ল্যাংগুয়েজটাও যেন স্ট্রং থাকে। খেলে হারার আগে যেন আমরা শুরুতেই হেরে বসে না থাকি।

আমাদের টাইগার্সদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

(সেদিন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের ম্যাচের খেলার প্রথম অংশ দেখতে পারিনি। যারা ফেসবুকে আপডেট করে আমাকে জানিয়েছিলেন তাদের ধন্যবাদ। সাড়ে তিন বছর পার হবার পরেও একের অধিক ছবি কীভাবে পোস্ট করতে হয় জানতাম না বা ভুলে গেছি। একজন শিখিয়ে দিলো। তাকে ধন্যবাদ।)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

বিজন রয় বলেছেন: আামদের ক্রিকেট এখন কৃত্রিম বিপদের সম্মুখীন।

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার ঘরের একজন সদস্যকে বাইরের কেউ মাইর দেয় বা বিপদে ফেলে, ঘরের আরেক সদস্য বা অভিভাবক হিসেবে আমার দায়িত্ব কি হওয়া উচিত? আক্রান্ত সদস্যকে ছায়া দেয়া উচিত এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত , বুঝানো উচিত আমি আমার "ঘরের সদস্যকে" নিয়ে কন্সার্ন।

আইসিসি মহীরুহের আসনে বসে আছে। ঝাঁকি দেয়া খুব সহজ হবে না শুরুতে। কিন্তু আমাদের যে বিপদে আচমকা পড়তে হলো সেরকম ভাবে এর আগেও অতীতে অন্য দেশের প্লেয়ারদের আক্রান্ত হতে হয়েছিলো। আইসিসি থেকে বেড়িয়ে অন্য বিকল্প কিছু ভাবা বা দল গঠন করা, আর যাতে ক্রিকেট নিয়ে বাণিজ্য না করা যায় সেরকম পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা যায় কিনা কে জানে! শুরুটা করতেই সাহস দরকার। একবার শুরু হলে হয়ত আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। ক্রিকেট বাণিজ্যে " রাষ্ট্র ভিত্তিক" ষড়যন্ত্র আছে কিনা আমি ক্লিয়ার না।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: আজ বাংলাদেশের হারাবার কিছু নেই, আর তাদের কোন ভয়ও নেই। দূর্বল দল নিয়েও তাই তারা আজ খেলে যাবে উরন্ত সূচনার দূর্দান্ত গতিতে।
আজকে যদি ইন্ডিয়াকে হারাতে পারে তাহলে আমি মতিঝিল সেনা কল্যান ভবনের ছাদে উঠে রঙের কামান দিয়ে পুরো ঢাকা বাসীকে রঙে রঙে রাঙিয়ে তুলব। :P !:#P
আজকে যদি বাংলাদেশ জয় লাভ করে তাহলে তা হবে এই শতাব্দির সর্ব শ্র্রেষ্ঠ প্রতিশোধ জুলুমের প্রতিশোধ। B-|
ওহে টাইগারেরা গর্জে উঠো আরেকবার। view this link

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কীসের লিঙ্ক দিলেন? ফেসবুকের? অফিস থেকে ফেসবুক ইউজানি বন্ধ।

বাংলাদেশের হারাবার কিছু নাই সত্যি। অরিজিনাল সত্যিটা সবাই দেখছে কি হয়েছে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের সাথে। সে হিসাবে ভারত আজ হারলে আমাদের চেয়ে খুশি কেউ হবে না কিন্তু এটাও সত্যি ওদের দেশ, ওদের মাঠ, ওদের বোর্ড এবং ওদের ব্যাটিং লাইন অনেক স্ট্রং। একলা ধোনি বা রায়না বা যে কোনো ব্যাটসম্যান সেট হয়ে গেলে সে একাই ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।

অনেক অনেক আশা আজকে বাংলাদেশ ভালো ফিল্ডিং দেবে মাঠে। সেদিনের সাকিবের বলে দুইটা ক্যাচ মিস, মুস্তাফিজের বলের ক্যাচ মিস, মুশফিকের রান আউট মিস না হলে ম্যাচের রেজাল্ট অন্য রকম হতেও পারতো। আজকে মুস্তাফিজ খেলবে?

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: নাসিরকে কেন বসিয়ে রাখা হয় এটা আমার একটা আফসোস। -এইআফসোস আমারো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পলিটিক্স এভরিহোয়ার!
একটা দিক যদি অন্তত দুর্নীতিমুক্ত থাকতো! ক্রিকেট নিয়ে বিসিবির আভ্যন্তরীণ দুর্নীতিমুক্ত সুসময় দেখতে চাই

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

মহা সমন্বয় বলেছেন: আর আমি দল নির্বাচন নিয়ে কোন দিনও কথা বলি না। তবে ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে টুক টাক কথা বলি।
আজকে যদি মুস্তাফিজকেও না খেলায় আমি অবাক হব না এই জন্য যে, নিঃশ্চই এর পেছেনে কোন যৌক্তিক কারণ রয়েছে তা ভেবে।
আসলে বাইরে থেকে অনেক কিছু মনে হয়, যা খুশি তাই মন্তব্য করা যায় কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। :)

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম আমার দুই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ কাজিন আছে। বাংলাদেশের খেলা হলে ওরা সহ আমরা খেলা দেখতে বসি। ওরাও ওদের ছোটবেলা থেকে এই এখনো পর্যন্ত ক্রিকেট খেলে সেটা পাড়া ভিত্তিক হোক বা ইউনিভারসিটির টুর্নামেন্ট। ওরাই বলে টিভি সেটের সামনে বসে অনেক কিছুই বলা সম্ভব, কমেন্ট করা সম্ভব , এইটা এমনে হইলো না ক্যান অমনে হইলো না ক্যান! মাঠে গিয়া খেললে বুঝতেন রিয়েলিটি কি আর টিভির সামনে বইসা খেলা দেখার মানে কি!
মুস্তাফিজ তো খেলেছে আর ও ওর যতটা সম্ভব দিয়েছে।

আজকে আমার আরেক ক্রিকেট অর্গানাইজার মামার ফেসবুক মেসেজে মেসেজে শুনলাম আরেক কথা। উনার বিশ্বাস গতকালের খেলায় ম্যাচ ফিক্সড হয়েছে। বুকিদের কাছে নাকি সম্ভব, বাজিকররা প্রতিটা বলের খবর রাখে অথবা ফিক্স করে। তাই হাসিনা বা মোদি গড়াপেটা ক্রিকেটে গুঁটি মাত্র। তাদের রাজনীতি আর খেলা সবই চলে চাণক্য নীতিতে।

এসব বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। বাংলাদেশের খেলা তাহলে এতটাই হাই লেভেলে চলে গেছে যে ফিক্সিং করাতে হয়, বাজি ধরাতে হয়! ক্রিকেটারদের ডেভোশন দেখে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় তারা মেপে মেপে বল আর রানের মাঝে এই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি না অন্তত।

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: তারপর গত হয়েছে অনেকগুলো বছর। এখন ২০১৬। বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় চেহারা অন্যরকম, একটি পরিচিত নাম অন্যান্য দেশগুলিতে। কিন্তু এখনো এতে আবেগ জড়িয়ে। বলছি না আবেগকে বাদ দিতে কিন্তু এখন মনে হয় সময়টা আর আবেগ দিয়ে মূল্যায়িত করার না। প্রফেশনাল হয়ে খেলার সময়, যৌক্তিক চিন্তার সময়। গতপরশুর অস্ট্রেলিয়া আর বাংলাদেশের ম্যাচের জন্যই আমার আজকের এই ব্লগর ব্লগরের প্রসঙ্গ। এই লেখাটা দুইবার এসেছে।

আমিও খুব বুঝে শুনে খেলা দেখতে বসিনা। আবেগ নিয়ে বসি। বডি লেংগুয়েজের কথাটা একদম ঠিক বলেছেন। সিনা টান করে খেলা দেখতে চাই। আমরা দ্যা রয়েল বেংগল টাইগার দেশের মানুষ। হার জিতের চেয়েও বড় কথা কনফিডেন্সের সাথে খেলা।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাল আমি পুরো পোস্টই এলোমেলো করে ফেলেছিলাম। শুরুর অংশ ছাড়াই পোস্ট করেছিলাম। একই লেখা দুইবার কিছু জায়গায় চলে আসছিল। ঠিক করে নিয়েছি। ধন্যবাদ।

গতকাল কনফিডেন্সের সাথেই তো খেলেছিলাম। ইন্ডিয়াকে দেখছিলাম শেষের দিকে প্রতি ওভারের শেষে ডিসকাশন করে ফিল্ডার সেট করতে (যদিও সময় মনে হয় বেশি লাগাচ্ছিল)। শেষের ওভারে আমরাও যদি একটু মাথাটা ঠাণ্ডা করে খেলতাম, রানের সমতা রাখতে সিঙ্গেল নিতাম, সহযোদ্ধার সাথে আলোচনা করে নিতাম রেজাল্ট অন্যরকম হতো। তবুও সান্ত্বনা আমরা খুব দ্রুতই টি টুয়েন্টির জন্য আরো কোয়ালিফায়েড হয়ে উঠবো যেমনটা আছে ওয়ান ডে তেও।

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে আপনার ভাবনা গুলো অনেক চমৎকার। সেই সাথে প্রথমাংশে স্মৃতিচারণটাও ভাল লাগলো!

এক সময় আমিও ক্রিকেটকে পাগলের মত ভাল বাসতাম। স্কুল ফাঁকি দিয়ে কত জায়গায় যে ক্রিকেট খেলতে গেছি তার হিসাব মেলা ভার। এ নিয়ে পরিবারের কাছে কম বকুনি শুনিনি। আজও ক্রিকেটকে অনেক অনেক বেশি ভালবাসি, তবে ব্যস্ততার কারণে সেই আগের মত আর মাঠে গিয়ে হৈ হুল্লা করে ক্রিকেট খেলা হয় না! অনেক মিস করি সেই দিন গুলোকে...... :(

এবার আসি সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়েঃ-
বাংলাদেশের উইকেট রক্ষক কাম ব্যাটসম্যান মুশফিক বরাবরই আমার একজন প্রিয় খেলোয়াড়। মাঠে ভাল কিংবা খারাপ সে যাই খেলুক না কেন, অন্যদের বেলায় হয়তো মুখ ফসকে একটা গালি বেরিয়ে গেছে, কিন্তু মাশফিক, মাশরাফি এবং মাহমুদুল্লার বেলায় তেমনটা কোন দিনই হয়নি। সুতরাং এই তিনজনের ক্ষেত্রে আমি কখনোই ভাল/খারাপ কোন মন্তব্য করবো না!

যে কোন কারণেই হোক কেন জানি না প্রথম থেকেই সাকিবকে আমার কোন দিনই ভাল লাগে না। তবে আমি ওর খেলার ভক্ত এটা অস্বিকার করা যায় না। কিন্তু সাকিবের বেলায় একটা জিনিস মনে রাখা জরুরি সেটা হলো, একজন প্লেয়ারের খারাপ ফর্ম হইতেই পারে। তার মানে এই নয় যে তার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে হবে। দেখেন কম/বেশি আমরা সবাই জানি যে, মেসি বার্সেলোনার জার্সি গায়ে যতটা সরব, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে কিন্তু ততটা নিজেকে মেলে ধরতে পারেন না। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে, সে খারাপ খেলে। সুতরাং কাওকে নিয়ে সমালোচনা করতে গেলে আগে তার বিস্তারিতটা জেনে তারপর সমালোচনা করতে হয়!

নাসির সব দিক থেকেই অনেক ভাল একজন ক্রিকেটার। কিন্তু বিসিবি কেন তাকে মাঠের বাইরে রাখে জানি না। আমার মনে হয় দলে নাসিরের মত একজন চৌকস প্লেয়ার থাকাটা অনেক জরুরি। তবে টিম সিলেকশনের ক্ষেত্রে বিসিবিকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে।

যেমন গত ম্যাচে সাকলাইন সজিব, শুভাগত হোম এবং সর্বপরি বারবার মিঠুনকে কেন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বুঝতে পারছি না। যেখানে খেলাটা জীবন মরণ বাজিতে এসে ঠেকে সেখানে এমন তিনজন অনভিজ্ঞ এবং দূর্বল ফর্মের খেলানোটা বিসিবির নির্বুদ্ধিতা বৈ অন্য কিছু নয়!

চমৎকার পোস্টে অনেক অনেক ভাল লাগা আপু! শুভ কামনা জানবেন!

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সাকিবকে দেখতে পারেন না ক্যান? অনেকের কাছেই নাকি ওরে বেয়াদ্দপ, অহংকারী, অ্যারোগ্যান্ট টাইপ মনে হয়। আপনার রিজন কি? কৌতূহল তাই জিজ্ঞেস করলাম। আমার দুই কাজিন ওকে তেমন লাইক করে না। রিজন হিসেবে বলে ওকে নাকি ভালো লাগে না, ওর খেলার স্টাইল ভালো না। আমার প্রশ্ন ছিল তাইলে সাকিব অলরাউন্ডার তো চেহারা দেখাইয়া হয় নাই আর এই খেতাব তো ও নিজে নিজেরে দেয় নাই। তাদের রিজনটাও আপনার মতো ' ভাল্লাগে না"

কি আর বলবো হোপ ফর দ্য বেস্ট ছাড়া !

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই তো খোঁজখবর রাখেন ক্রিকেটের। ওপেনিং নিয়া ভালো মুসিবতে আছি। তামিম অসুস্থ, সৌম্যের ফর্ম নাই। ফর্ম না থাকার চেয়েও বড় কথা সে খুব বাজেভাবে আউট হৈতাছে। লাস্ট ম্যাচের কথাই ভাবেন! পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে সব দল যখন সার্কেলের বাইরে কম ফিল্ডার থাকার সুবিধা নিয়ে ৬০-৭০ করে তখন আমাদের স্কোর হয় ৩৫ রানে এক উইকেট। এখানেই তো বিশাল একটা গ্যাপ তৈরি হয়! নাসিরকে কেন নেয়া হয় না সেটা এক রহস্য। সে নপারফেক্ট টি টুয়েন্টি ক্রিকেটার। ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং সবই পারে।
আজ মাশরাফির একটা ইন্টারভিউ পড়লাম। সাম্প্রতিক সময়ে দলের হতাশাজনক বডি ল্যাঙগুয়েজ, টিম ম্যানেজমেন্ট আর লাস্ট ম্যাচের ক্যাপ্টেনসি নিয়া বলছে।
পড়ে দেখতে পারেন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়লাম বিডি নিউজের ফিচারটা। নাসির ক্যান নাই এর উত্তর ঐ ইন্টার্ভিউয়ের মাঝেই লুকাইয়া আছে। খেলার মাঝ পথেও মাঠের বাইরে থেকে ডিসিশন আসে!!! আর সে ডিসিশন মেকাররাই ঠিক করে কে খেলবে আর কে খেলবে না! কালকে অশ্বিন যেভাবে বল মারছে হিটার ব্যাটসম্যান হইয়াও সেই ফিডব্যাক রিয়াদ পায় নাই! বল আর রানের গ্যাপ ৭ থেকে ৫ এ এসে কমে গেলেও সেই ১ এর ব্যবধান রয়েই গেলো শেষ পর্যন্ত!! :(

৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: প্রথমেই বলবো, মাশরাফির টস ভাগ্য ছাড়া বাকি সবই ঠিক আছে। যদিও মাঠে মাঝে মাঝে খেলার চাপে কিছু সিদ্ধান্ত নেন যেটা আমাদের কাছে অযৌক্তিক মনে হয়। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস সব সফল অসফল সিদ্ধান্ত মাশরাফির পরিকল্পনারই অংশ। তার উপর আমাদের ষোল কোটি বাঙ্গালীর আস্থা আছে এবং থাকবে।

ওপেনিং এ সমস্যা আমাদের চিরকালের। এ ভালো খেলে তো ও ভালো খেলেনা। তামিম ছাড়া এই পজিশনে আজো কোন সাহসী প্লেয়ার দেখি নাই। তামিম ফর্মে থাকুক বা না থাকুন, ওপেনিং এর জন্য সেই শের। সৌম্যের ব্যপারে আলোচনা করা যেতে পারে কিন্তু সমালোচনা নয়। সৌম্যের মাঝে কিছুটা তামিমীয় ঝাঁজ আছে এবং ওর শটগুলো একটু নিত্যনতুন ধাঁচের। হাতে স্ট্রোকও আছে। বিগত বছর পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা সিরিজে ভালো খেলেছে। কিন্তু ইদানিং একেবারেই ফর্মে নেই আর ও যেভাবে আউট হয় সেটা দেখে বারবারই হতাশ হই। এই টি-টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপের শুরু থেকেই ওকে দেখে মনে হচ্ছিলো কনফিডেন্সের খুব অভাব। কেমন যেন ভীত।

মিঠুন আমার বিরক্তি সীমার শীর্ষে আছে। ওকে ঠিক কোন ভুমিকায় দলে নেওয়া হয় সেটা আমার একটুও বোধগম্য হয় না। ব্যাটিংয়ে কোন জৌলুশ নেই। স্টাইলিশ ক্রিকেট আর ক্রিকেটের আদর্শলিপির একেবারেই বাইরে ও। তামিক, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহর মত কোন ট্রেডমার্ক শট নেই। ফিল্ডিং ও ভালো না।

নাসিরকে কেন খেলানো হচ্ছে না সেটাও একটা প্রশ্ন। ফিল্ডে তিন ডিপার্টমেন্টেই ওর প্রভাব আমরা জানি। তারপরও ওকে বসিয়ে রেখে শুভাগত হোমের মত নতুন মুখ কেন বিশ্বকাপের মত বড় আসরে নামিয়ে দেওয়া হয় সেটা একটা প্রশ্ন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নাসিরকে না খেলানোর পিছনে ইতোমধ্যেই নিশ্চয়ই অনলাইনে জেনে গেছেন পাপন মিয়া নাকি বলছে তার ১২ টা মোবাইল আর ৮০ জন গার্লফ্রেন্ড!!! যদি এটা সত্যিই হয় তাহলে খেলার মাঠে কেউ কি তারে ১২ ফোন নিয়া কথা বলছে দেখছে নাকি ৮০ জন গার্লফ্রেন্ড এর কারণে খেলায় পারফরমেন্স খারাপ হইছে!! আর যদি মিথ্যা হয় -- তাহলে বলতেই হবে পুলাপাইন বিনোদনের আরেক ট্রল বানাইছে!

মিথুন হইলো টেস্ট প্লেয়ার টাইপ খেলা খেলে। টি টুয়েন্টির মতো ম্যাচে টুক টুক করে ১৫ বল খেলে ১১ করার মানে নাই! ইন্ডিয়ার সাথে হারার পর নিউজিল্যান্ডের সাথেও হারবে এটা ভাবি নাই!

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে বাংলাদেশের হাডুডুর ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। আগে এ খেলাটা আনসার, বিডিবি (বর্তমান বিজিপি), পুলিশ, আর্মির লোকজন টুর্নামেন্ট করে খেলতো। স্বাধীনতার কয়েক বছর পর বাংলাদেশে অলিম্পিকে এই খেলা শুরু করে এবং ৯০ দশকের গোড়ার দিকেওঅলিম্পিক থেকে মেডেল এনেছিলো আমাদের জোয়ানরা। যদিও আমরা কখনো গোল্ড মেডেল পাইনি। বরাবরই তা ভারতে পেতো। তবে দ্বিতীয় অবস্থানটা আমরাই পেতাম।

পরে একসময় দ্বিতীয় অবস্থানটা পাকিস্থানের কাছে ছেড়ে দিতে হলে। পরে নেপাল নিয়ে নিলো তৃতীয় অবস্থান। এখনকার খবর জানি না। বাংলাদেশের জোয়ানরা এখন এই খেলায় খুব একটা মনোযোগ দেয় না। তাদের এখন একটাই চিন্তা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন নতুবা সরকারী কোনো বড় পদ।

তবে ক্রিকেটে আমরা অনেক এগিয়েছি। হয়তো আরো আগাবো। কিন্তু যখন আমাদের স্বর্নালী অতীতের হাডুডু, ফুটবলের রাজকীয় সময়টা দেখি তখন খারাপ লাগে। মাঝে হকিতেও একটু ভালো করেছিলাম বৈকি, কিন্তু সরকারী ব্যাবস্থাপনায় সবই খারাপ হয়ে যায়!

তারপরও ক্রিকেটে বিশ্ব আমাদের চিনুক, তাই বা কম কিসের!

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সমৃদ্ধ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
আশা সবসময়ই করবো ক্রিকেটটা আরো অনেক দূর এগিয়ে যাক। রাজনীতি মুক্ত ( আভ্যন্তরীণ আর আন্তর্জাতিক) সেক্টর বেঁচে থাকতে দেখবো কিনা জানা নাই! এটা আকাশ কুসুম স্বপ্ন মনে হয়!

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: গত কাল ইন্ডিয়া বাংলাদেশের খেলায় উত্তেজনায় পোষ্ট দেখেও পড়ি নাই।
প্রিয় ব্লগারের পোষ্ট।রিলাক্স মোডেই পড়তে যামু।
গতকাল বাংলাদেশের লাস্ট ৩ বল পারফর্ম দেখার মন ডা এখনো আশাহত।
আপনি উচ্চমানের একজন ক্রিকেটপ্রেমী।
বোঝতে পারলাম।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রিলাক্স মুডে পড়ছেন এজন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: মন্তব্য উল্টা পাল্টা হয়ে গেছে :)
বাংলাদেশের হার আমার উপর ভালই প্রভাব ফেলছে।
লিখতে গেলে লেখা এলোমেলো হয়ে যায় :)

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্যাপার্না

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

আরজু পনি বলেছেন: :|

আজ হাঁটতে বেরিয়েছিলাম...
আজ হাঁটা পথে অনেকের অনেক কথাই শুনলাম।
সুযোগ মতো শেয়ার করে যাব আশা করি ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কি শুঞ্ছিলেন? ব্যস্ততায় ছিলাম, উত্তর দিতে দেরি হইলো।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: এসব বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। বাংলাদেশের খেলা তাহলে এতটাই হাই লেভেলে চলে গেছে যে ফিক্সিং করাতে হয়!!

ফিক্সিংয়ের জন্য দায়ী জুয়ারীরা, রাজনিতীবিদরা না, তাই এখানে হাসিনা, মোদিদের জড়িত থাকার কথা পুরোটাই গুজব।
আর টি২০ আসলে ক্রিকেটই না এটা জুয়া খেলা আর জুয়ারীরাই মুলত টি২০ এর প্রচলন করছে।মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের জুয়ার বানিজ্য হয় এই টি ২০ সহ বিশ্বের জনপ্রিয় সব খেলাতেই। জুয়ারীরা খেলার মধ্যে প্রভাব বিস্তার অতীতেও করেছে ভবিষ্যতেও করবে এটাই হচ্ছে বাস্তবতা এটা দূর করা কোনদিন সম্ভব হয় নাই আর হবেও না। এদের হাত অনেক শক্তিশালি ভিতর থেকে এরা অনেক কিছুর কলকাঁঠি নাড়ে। আর এটা সম্পুর্ণ ভিন্ন একটা জগৎ।
এই খেলা নিয়ে আমাদের বাংলাদেশেও ইদানিং জুয়া খেলার প্রচলন শুরু হইছে।
খেলা নিয়ে বাজি ধরার বিশ্বের সবচেয়েে বিখ্যাত ওয়েব সাইট।
ভাবছি ১০০ ডলার দিয়ে আমিও শুরু করুম :-P

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: টেস্ট খেলায় টেম্পারমেন্ট বাড়াবার উদ্দেশ্যে যদি খেলা হয় তাহলে ২০ ওভার খেলে দ্রুত সময়ে বেশি রান করাবার পারদর্শীতা বাড়ে এটাও আমার কাছে খারাপ মনে হয় না। কিন্তু অনেকে ভাবে এতে খেলোয়াড়দের মানসিক চাপে পড়ে খেলা, কনফিডেন্স নষ্ট হয়।
বাজি শুরু করলে জানাইয়েন

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি আপনার কাজিনদের সাথে সহমত! সাকিবকে দেখতে না পারার কারণ আপনি মন্তব্যেই উল্লেখ করে দিয়েছেন, সুতরাং এ ব্যাপারে বাড়তি কিছু বলার নেই। আসলে একজন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডারের ব্যবহারটা যেমন হওয়া উচিত, সাকিবের মধ্যে তার বিন্দু মাত্র নেই বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। আমার কাছে সাকিবের কিছু কিছু ব্যবহার এতটাই বাজে লাগে যে, তা আসলে প্রকাশ করার মত না। তবে আমি আসলে চেহারা দেখে কারো ভাল/মন্দ বিচার করি না! চেহারাটা সম্পূর্ন সৃষ্টিকর্তার দান, এ ব্যাপারে মানুষের কোন হাত নেই!

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পরের মন্তব্য দেখেন মইনুল ভাই কি বলছেন সাকিবরে নিয়া।
আলামিনের চেহারা তো ভালো না কিন্তু ওরে ক্যান পছন্দ করি, মিথুন তো দেখতে ভালো ওরে ক্যান পছন্দ করি না এই প্রশ্নও শুনছি।

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বিশাল বড় গবেষণা :)

সাকিবরে নিয়া কিচ্ছু কওন যাইতো না। সম্প্রতি আমার ছোটভাই, পাড়ার ক্রিকেটে সাবেক ইস্টার এবং অস্ট্রেলিয়ার অন্ধ সমর্থক। যা হোক, ভীষণ বিরক্ত আমার ওপর। কেন আমি সাকিবরে দিয়ে বোলিং করতে মানা করলাম! (পরে 'চরি' বলতে হলো আমাকে!) অবশ্য... পরে দেখা গেলো যে (বিশেষত, ভারতের ম্যাচে) সাকিব ভালোই করছে। আর যাই বলেন, সাকিব কিন্তু বহির্বিশ্বে বেশ সম্মানীত। তার উপস্থিতিই প্রতিপক্ষকে নরম করে দেয়।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রতিদিন তো একটা প্লেয়ার ভালো খেলতে পারে না, এটা ক্রিকেটপ্রেমীরা ঠিকই বুঝে। কিন্তু প্রতিপক্ষ যদি ভারত হয় বা পাকিস্তান তাহলে প্রত্যাশার মাত্রা বেড়ে যায় অনেকগুন তাই খেলোয়াড়দের গুষ্ঠি উদ্ধার হয় !

১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা পড়ে মনে হলো যে ক্রিকেট সম্পর্কে, অন্ততঃ স্বদেশী দল সম্পর্কে আপনার ক্রিকেটীয় জ্ঞান ও বোধ বেশ সমৃদ্ধ।
চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন। আপনার বেশীরভাগ কথার সাথেই আমি একমত পোষণ করি।
আজ ফেইসবুকে দেখলাম নাসির সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি পাপন সাহেবের মন্তব্য। তার নাকি ১২টা মোবাইল ফোন আছে আর আছে ৮০ জনেরও বেশী মহিলা বান্ধবী। বুঝলাম না, এটা যদি সত্যও হয়, তবে এতে তার কেন এমন গা জ্বালা হবে, যদি নাসির এতদসত্তেও মাঠে পারফর্ম করে দেখাতে পারে? এ থেকেই পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, নাসির রাজার রোষানলে পড়েছেন। রাজার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আর তার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে না।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সেটা আমারও কথা সে তার ব্যক্তিগত লাইফে ৮০ টা ক্যান ১৮০ টা বান্ধবী মেন্টেইন করুক কিন্তু তার ক্রিকেটে আউটপুট দেখে তার মূল্যায়ন করা হোক। ব্যাপারটা কি হাস্যকর না ১২ টা মোবাইল আর ৮০ জন বান্ধবী!!!

১৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

জুন বলেছেন: ভালোলাগলো আপনার ক্রিকেট নিয়ে ব্লগর ব্লগর অপর্না মম্ময় । এক সময়ে নিয়মিত স্টেডিয়ামে গিয়ে ক্রিকেট খেলার দর্শক ছিলাম । জীবনের ব্যস্ততায় অনেকদিন তা হারিয়ে গিয়েছিল । এখন টিভির দর্শকে পরিনত । বাংলাদেশের খেলা ভালোবাসি ।
+

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি বহু আগে স্টেডিয়ামে গিয়ে একটা ম্যাচ দেখছিলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর বাংলাদেশের। ভালো লাগে নাই স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে। টিভিতে দেখাই আরামদায়ক মনে হয়।
ভালো থাকবেন আপু

১৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

কালনী নদী বলেছেন: আমাদের দেশের জাতীয় খেলা কোনটি? বইতে পড়েছি এবং এখনো শিক্ষার্থীরা পড়ছে - জাতীয় খেলা হাডুডু।
শুরুটা জটিল হইছে!

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: B-) ভালো থাকবেন

১৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

কালীদাস বলেছেন: ৯৭এ ক্লাস এইটে পড়তাম, মডেলে ;) মনে আছে এখনও দিনটা, ডে-শিফটে ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে দিল, কয় জায়গায় রং খেয়ে যে স্কুলে ঢুকেছিলাম হিসাব নেই। যেয়ে দেখেছিলাম আমার ক্লাসমেটদের অবস্হা আরও খারাপও ছিল কারও কারও, কোন কোন এলাকায় রং শেষ হেয় যাওয়াতে আরও ভাল জিনিষ স্প্রে করেছিল :P

বাইদ্যাওয়ে, হাডুডুর একটা গর্জিয়াস ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল, ক্রিকেটের মত এতটা ফোকাস কখনও পায়নি। তারপর ধরেন, ফুটবলের স্বার্থে দেশের জাতীয় স্টেডিয়াম চিরতরে দিয়ে দেয়া হল। হে হে, সত্যি বলতে কি এরপর ফুটবলের অধঃপতনের রেট আরও বেড়ে গেছে :D

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দেশের ভালো ব্যাপার গুলো নিয়েও যখন রাজনীতি চলে, অবহেলা চলে তখন মনে হয় অভিভাবকহীন দেশে চলতেছি!
৯৭ এর সেই সময়টা সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.