নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনিকা ইজ টাইপিং...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪২

১.

গত দুই তিন সপ্তাহে আমি সবচেয়ে বেশি যে কথাটা বলছি সেইটা হইলো, " ধুর ভাল্লাগে না"। ভুল বললাম, ভাল্লাগে না বলছি কিন্তু ভদ্র ভাষায় বলি নাই। বিশেষ করে মনিকার লগে দুই তিন মিনিট কথা কওনের পর যখন দেখি কথা খুঁইজা পাই না কেউই তহনই বলছি " ধুর বাল ভাল্লাগে না।" প্রথম প্রথম মনিকা এই বিশেষ শব্দচয়নে কোনো বিরক্তি বা মজার কোনো প্রতিক্রয়াই দেখায় নাই। তবে ইদানিং সে বলতাছে খুব -

" কী ব্যাপার শিহাব ভাই, বাজে কথা বলেন কেন!"

তখন অপ্রস্তুত হইয়া আমি নাম না জানা কোনো গানের সুরে টান দেই হু হু লা লা কইরা। ভেতরটা তহন খচ খচ করে। আসলেই আমার ভাল্লাগে না। তবে এই ভালো না লাগাটা মনের লগে সম্পর্কিত না, দেহগত। এই যে আবারো ভুল কইলাম। মনের লগে দেহগত ব্যাপারের সামঞ্জস্য না হলে চলে নাকি! ফোনের অপর প্রান্তে মনিকা আর এই প্রান্তে আমি। কোনো কথা খুঁইজা পাই না। আগে মনিকা এত কথা কইত আমি কথা কওনের সুযোগই পাইতাম না। এর লিগা যে আমার খারাপ লাগতো তা না। আমি কথা শুনতেও ভালবাসি যেমন কইরা বলতেও ভালবাসি। একটা অস্বস্তিদায়ক অনুভূতি হইতে থাকে। তাই নীরবতা ভাইঙ্গা কইলাম -

এটা খারাপ শব্দ কে বলল? ভালো না লাগার তীব্রতা বোঝাতে একটা অতিরিক্ত শব্দ যোগ করে বললাম! এই আর কী!

- হুম

মনিকার এই হুম, ওহ, আচ্ছা এই শব্দগুলো শুনলেও আমার ইদানীং মেজাজ খারাপ হয়। এই মাইয়াটা বুঝেই না শরীরের ভাষা। নিজেরে সন্যাসী টাইপের কিছু ভাবে কি না কে জানে। চুল দাড়ি সব পাকায় ফালায়লাম আর আমি জানি বুঝি না মনিকা কীসের উপর দিয়া চলে। কিন্তু পরক্ষণেই চিন্তা আসে, এত ভাবে এত ইংগিতে মনিকারে ইশারা দিছি, তাও কেন এই মাইয়া আমার দিকে ঝুঁকে না।

গত কয়েক মাস ধইরাই মনিকারে টার্গেট করছিলাম। এমনিতে সামনাসামনি পরিচয়ের সুযোগ এখন আর কয়জনের লগে হয়। একটা গ্রুপে পরিচয়। রাইত একটা দুইটার সময়েও দেখি ম্যাসেঞ্জারে সবুজ বাত্তি জ্বলে, এর তার স্ট্যাটাসে লাইক কমেন্ট দেয়। একদিন আমার এক কবিতা পইড়া মুগ্ধ হইয়া ইনবক্সে মেসেজ দিছিল -

" অনেক সুন্দর লিখেন আপনি। কিন্তু এত বানান ভুল, চোখে লাগে। বানানের যত্ন নেবেন। আপনার কবিতায় কেমন এক সমাজবাদের ছোঁয়া পাই, ভালো লাগে পড়তে।"

মনিকা মেসেজটা দিছিল সন্ধ্যায়। আমি সীন করলেও উত্তর দিছি রাত একটার পরে। সৌভাগ্য কমু কিনা জানি না, সে আমার রিপ্লাই পাইয়া একটা হাসি মুখের ইমো দেয়াতে আমার মনে হইল আমার কলিজাটা দশ হাত লম্বা হইয়া গেলো। আমি তারে কইলাম-

- ধুর ভাই, আমার এত চ্যাট কইরা পোষায় না। এখন কি পোলাপান আছি! আপনার ফোন নাম্বার দেন। গ্যাজামু নে

- নাম্বার পেলে আবার ল্যুলামি করবেন না তো!

আমিও তার বিশ্বাস অর্জন করতে তারে বলি-

- খোদার কসম ভাই, কোনো মেয়েরে আমি এত রাতে নক করি না। সারাদিন ব্যস্ত থাকায় রিপ্লাই দিতে পারি নাই। এখন ভয়ে ভয়ে রিপ্লাই দিছি

- ভয় কেন?

- যদি লুইস ভাবেন

- হুমমম

ঐদিনের চ্যাটবক্সের হুমমম শুইন্যা গায়ে কাঁটা দিছিল সত্যিই। একটা টিনেজ টিনেজ ভাব কাজ করতাছিল। কত্তোদিন পর কোনো মেয়ের লাইগা এমন একটা ফিলিংস আইলো কী আর কমু। আমি অধীর আগ্রহে তাকাই রইছি। ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট বক্সে শো করতাছে মনিকা ইজ টাইপিং...

- ধুর মিয়া কী এত টাইপান! নাম্বার দেন। সকালে কামলা দিতে ছুটন লাগব

আমি অবশেষে মনিকার নাম্বার পাই। প্রতিউত্তরে মনিকারে লিখি -

- অপেক্ষান। কাইল বিকালে ফোন দিব। ল্যুলামি হবে

- হা হা। তাই নাকি? লেটস সী

মনিকার উত্তর কেন জানি আমার কাছে আহবানের মত লাগে! আমার মত মনিকাও একা। আমি একলা থাকি জীবিকার প্রয়োজনে, বউ, বাচ্চা থাইকা দূরে। কিন্তু তহনও জানতাম না মনিকার একাকিত্ব কেমন।

২.

আমার ভালো না লাগার রোগ দিন দিন বাড়তাছে। এইটা কী রোগ না সমস্যা? রোগ বা সমস্যা যেইটাই হোক, ভালো যে লাগতাছে না, আমি ভালো নাই এইটা তো সত্যি। আমি নিজেও আসলে বুঝতাছি না আমি এত অস্থির স্বভাবের ক্যান! এই অস্থিরতা অবশ্য ইদানীং হইছে তা না। আরো আট বছর আগে যহন আমি ফ্লোরার লগে সম্পর্কে জড়াই তহনো এক অস্থিরতা থেইকাই সম্পর্কের শুরু। আসলে ফ্লোরার লগেও আমার সম্পর্ক হওনের কথা আছিলো না। কিন্তু ঐ যে কইলাম আমি অনেক অস্থির স্বভাবের।

হুট কইরাই ঢাকার অফিস আমারে বদলী কইরা পাঠায় দিলো ঢাকার বাইরে। আমার মত ছটফটা স্বভাবের মানুষ একলা একা নতুন পরিবেশ, নতুন বাসায় আইসা কেমন হাঁপাইতে লাগলাম। নিজেরে শেকল বান্ধা পশুর মত লাগতাছিলো। অফিস থেইকাই থাকনের ব্যবস্থা কইরা দিছিলো। বাংলো টাইপ বাসার মধ্যে আমি সহ আরো পনের ষোলো জনের জন্য আলাদা আলাদা রুম। মেইন শহর থাইকা আমাগো থাকনের জায়গাটা একটু দূরেই আছিলো, কোলাহল মুক্ত। অফিসের পথ বাসা থেইকা আধাঘন্টার দূরত্ব। কিন্তু এই কোলাহল মুক্ত জায়গাই আমারে আরো অস্থির বানাইয়া তুললো। অনেকটা গলা টিপ্যা ধইরা শ্বাসরোধ করনের চেষ্টা করলে যেমন লাগে ঐরকম আর কী!

প্রথম প্রথম কয়দিন তো চরম খারাপ লাগতো রেবেকার লাইগা, বাচ্চা দুইটার লাইগা। রেবেকা আমার বউ। ওর লগে কবে প্রেমের শুরু দিন তারিখ মনে নাই। কলেজ লাইফ থাইকাই। তিন চার বছর চুটাইয়া প্রেম করনের পর ভাইগা যাইয়া বিয়াও করলাম। কিন্তু এক লগে তহনো সংসার করা হয় নাই। আমার পুলিশ অফিসার বাপের ডরে বিয়ার খবর গোপনই রাখন লাগছিল। কিন্তু যৌবন কী কোনো কিছুর বাঁধা মানে! অনার্স পাস কইরা রেবেকারে লইয়া এক সন্ধ্যায় হাজির হইয়া গেলাম আমার বাপের বাড়ি। একটু ঝক্কিঝামেলা হইলেও বাপ ঠান্ডা হইয়া গেলো, আমিও ঠান্ডা। নিজের দায়িত্ব রেবেকারে দিয়া দিলাম।


আসলে রেবেকার ব্যাপারটা আগেও যেমন অন্তরে সবার উপরে আছিলো অহনো থাকবো এক্কেবারে মরনের দিন পর্যন্ত এইটা আমি শিউর। কিন্তু কোন চিপা দিয়া কেমনে ফ্লোরাও ঢুকছিলো বুইঝা উঠতে পারছি সেইদিন, যেইদিন আমি আর ফ্লোরা সেন্টমার্টিন গিয়া দুইজন একে অপরের লগে বিলীন হইয়া গেছিলাম। আমি তো মনে করি ফ্লোরার লগে সম্পর্ক হওনের পিছনে আমার অফিস দায়ী। বদলী না করলে তো আমি রেবেকার লগেই থাকতে পারতাম। আশেপাশে কোনো নারী ভিড়তেই পারতো না। এই একাকিত্বই আমারে পরনারীতে ধাবিত করছে। কিন্তু আজব ব্যাপার হইলো ফ্লোরা থাকতো ঢাকায়। এমন না যে আমি যে শহরে বদলী হইয়া আসছি, পরিচয় ওর লগে ঐহানেই হইছিলো। কোনো শান্ত মফস্বল মফস্বল ধরণের বিষয়ই এইহানে জড়িত না। কোনো নরম বিকাল, নদীর পাড়, গোধূলির আলোতে ফ্লোরারে দেইখা চিত কাইত হইয়া গেছিলাম তাও না। থাকি এক বালের জায়গায়! না আছে নদী না আছে ঘাট। থাকার মধ্যে আছে এক ক্লাব যেইহানে ক্যারাম, টেনিস, কার্ড, ব্যাডমিন্টন এইসব খেলন যায়। আর ড্রিংক করতে হইলে নিজের ঘরে বইয়াই করন লাগে। অফিসে নিজের রেপুটেশনের কথা ভাইবা হুইস্কি, ভদকা এইসব ঢাকা থেইকাই লইয়া আহি আর নিজের রুমের চিপাই বইয়া গলায় ঢালি। এত পদে পদে বাঁধা আমারে আসলে পুরা ফ্রাস্ট্রেটেড কইরা দিতাছে।


যাই হোক ফ্লোরার লগে আমার পরিচয় টিএসসির ঐদিকে হইছিলো। ভার্সিটির বন্ধুবান্ধবের গ্রুপের লগে বহু বছর পর আড্ডাইতে গেছিলাম। ঐ আড্ডায় আরেক বান্ধবীর কাজিন হইলো ফ্লোরা, পরিচয়টা ঐখান থেইকাই। আমার নীরস সময়ের বাঁইচা থাকার রসদ হিসাবে ফ্লোরারে আস্তে আস্তে জীবনে জড়ায় ফালাইলাম। সে এক কঠিনতম গোপন সুখ; ছাড়নও যায় না আর ছাড়নের কথা ভাবনও যায় না। ফ্লোরার লগে বয়সের গ্যাপ কমপক্ষে সাত আট বছরের তো হইবই। সজীব সতেজ ধরণের এক মাইয়া। ঐ বয়সের গ্যাপ অবশ্য কোনো বিষয় আছিলো না।


আমার মনে কোনো অপরাধবোধ কাজ করতো না। একবারও মনে হইতো না আমি আমার বউরে ঠকাইতাছি। আর মনে হইবই বা কেন, উইকএন্ডে ঢাকায় বাড়ি ফিরলে আমার এক মিনিটের অবসর হইতো না। রেবেকা আমারে পুরাই দৌড়ের উপরে রাখতো। ওর ভাষায় টাঙাইল থাইকা থাইকা, ঘরের বাইরে থাইকা থাইকা আমি পুরা জংলী হইয়া গেছি। এই লিগা ঢাকায় ফিরলে ও আমারে সাফসুতরো করার কাজে লাইগা যাইতো। ঢাকা যাওনের সময় আমার এক দুই সপ্তাহের ময়লা কাপড় ব্যাগে ভইরা লইতা যাইতাম। সেইগুলি ও ক্লিন করাইয়া আমি টাঙাইল ফেরার সময় দিয়া দিতো। প্রফেশনের কারণে চুল, দাঁড়ি বড় করনের আসলে স্কোপ আছিলো না তাও রেবেকার মনে হইতো আমার নখ কাটা হয় নাই, বইসা বইসা ছুটির দুপুরে কাইটা দিতো। কোনো সন্ধ্যায় জেন্টস পার্লারে পাঠাইতো বডি ম্যাসাজ, ফেসিয়াল করাইতে। সিনেমা, শপিং, সামাজিক দাওয়াত পানি সব কইরা কইরা উইকএন্ড গুলিতেও মনে হইতো কাজের দিনগুলির চেয়ে বেশি ব্যস্ততা। আর এত ব্যস্ততায় ফ্লোরারে মিস করনের সুযোগ আছিলো না। এইটা নিয়া ফ্লোরার অভিযোগ অনুযোগ কিছুই আছিলো না। আমাগো চুক্তিটাই আছিলো এমন, কারো জন্য যাতে সংসারে ভ্যাজাল না লাগে। অবশ্য দেখতে দেখতে উইকএন্ডের দুইটা দিন কাইটা যাইতো। কোনো কোনো বার ছুটিতে ঢাকায় গেলে ফ্লোরার লগেও দেখা করতাম। সন্ধ্যার পর। কিন্তু সবসময় দেখা না করতে পারার আক্ষেপ, সুযোগ করতে না পারার অপারগতা আমরা মিটায় নিতাম বড় কোনো ছুটি ম্যানেজ কইরা। এক ধাক্কায় সিংগাপুর, নেপাল কিংবা মালয়েশয়া। সেই সময় অবশ্য রেবেকারে কইতে হইতো অফিস ট্যুরে দেশের বাইরে যাইতে হইতাছে। ইচ্ছা আছিলো ফ্লোরারে লইয়া সুইজারল্যান্ড যামু ঘুরতে। তা আর হইলো কই! কিন্তু যে কয়বছর সম্পর্ক আছিলো বড় মধুর সময় গেছিলো আমার আর ফ্লোরার। আট বছর পার করার পর ফ্লোরার লগে আমার জার্নিটা থামাইতে হইছিলো। ও বিয়া কইরা ফালাইলো। স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কে ভাটা পড়লো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছিলো ও বিয়ার পরেও আমার লগে সম্পর্ক মেন্টেইন করবো কিন্তু আমি ভুল আছিলাম। আমি আমার আট বছরের সম্পর্ক গোপন রাখতে পারছিলাম রেবেকার কাছে কোনো রকম সন্দেহের সৃষ্টি না কইরাই। কিন্তু শেষতক আইসা মনিকার কাছে ফ্লোরার কথাগুলি কইয়া দিলাম। না মনিকা কারো কাছে কইবো না জানি। জিগাইছিলাম -

- আমার এক্স গার্ল ফ্রেন্ডের ছবি দেখবেন?

- নাহ! ওটা তো আপনার গোপন সম্পর্ক। যে মানুষটাকে আট বছর গোপন রাখলেন, তাকে সেভাবেই রাখেন। ছবি দেখতে চাই না

একটা দীর্ঘশ্বাস ছাইড়া কইছিলাম -

- হুমমমম। মাইয়াটারে মিস করি জানেন! ও আমার কাছে টাকা পাইবো। একবার সিংগাপুর ট্রিপে গেছিলাম। সব খরচ ও ওর ক্রেডিট কার্ড দিয়া পে করছিলো। ওরে যে টাকাটা দেয়াইই হয় নাই মাত্র মনে পড়লো। ধুরর...
এইবার ঢাকা গিয়া ওরে ফোন দিছিলাম ওর বিয়ার ছয় মাস পর। ও লাইনটাই কাইটা দিলো! খুব অবাক হইছি, হার্টও হইছি। খুব উদাস লাগে। কী করি কন তো, মনিকা? আমার এই একলা থাকা আর সহ্য হইতাছে না।

- একা কীভাবে! ভাবী তো আছেই

- ধুর আপনি কিছুই বোঝেন না। বউ আর গার্ল ফ্রেন্ড এক নাকি?

মনিকার লগে ঐ মূহুর্তে আর কথা কইতে মন চাইতাছিলো না। এত নিষ্ঠুর মানুষ কেমনে হয়, বুঝি না আমি!

৩.

মনিকার লগে আমার সম্পর্কের উন্নতি হইছে নাকি একই জায়গায় থাইম্যা আছে আমি এইটা নিয়া সুপার ডুপার কনফিউজড। যহন আমি আমার পরিবারের লগে সময় কাটাইতে উইকএন্ডে বাড়ি যাই ঐ সময় অফিসের নাম্বারের ফোন রিসিভ করা ছাড়া পারসোনাল নাম্বার সব বন্ধ রাখি। অবশ্য খোলা রাখলেও যে সমস্যা হইবো তাও না। কারণ আমার বউ আমার প্রাইভেসিরে যথেষ্ট সম্মান দেয়। সে নিজেও চাকুরীজীবী নারী। আমি যেমন সপ্তাহের দুইটা দিনের ছুটির লিগ্যা মুখাইয়া থাকি, রেবেকাও থাকে উদগ্রীব হইয়া আর পোলাপান দুইটাও। যত সমস্যা শুরু হইয়া যায় টাঙাইল ফিরলে। সকাল সাতটায় নিয়ম কইরা উঠন লাগে। এরপর বালের বোরিং অফিস, প্ল্যানিং, এসাইনমেন্ট, বিশেষ অফিশিয়াল ট্যুর এইসব। যাই থাকুক পাঁচটার মইধ্যে আমি অফিস থেইকা বাইর হইয়া যায়। অফিস গ্রাউন্ডেই ফুটবল, ভলিবল খেলি পুরা আড়াই ঘন্টা। নিজের শরীররে পুরাই ক্লান্ত বানায় ফেলি। অফিস ছুটির পর আমার কিছু করার থাকে না। আর অফিসের কলিগরা আর যাই হোক বন্ধু হইতে পারে না। ক্লান্ত বানাই যাতে তাড়াতাড়ি ডিনার সাইরা ঘুমাইতে পারি। কিন্তু বিছানায় যাইয়া রিলাক্স করতে গেলে ঘুম টুম কই পালায় কে জানে! আমার রুমে বড় বড় দুইটা জানালা আছে; একটা বিছানার সাথে মাথা বরাবর আরেকটা বারান্দার পাশ দিয়া। বারান্দাটাও বিশাল সাইজের। যেদিন যেদিন মদ খাইয়া টাল হইয়া থাকি, বারান্দাতেই রাইতটা কাইটা যায়। একদিন টাল অবস্থাতে মনিকারে ফোন দিছিলাম, রাইত তখন বারোটার কাছাকাছি। আমি তো আপাতত মনিকার লগে গল্পই করতে চাই, ওর সুখ-অসুখের গল্প শুনতে চাই। আর আমার সুখে না থাকার বর্তমান গল্পতো মনিকা জানেই। ঢাকা থেইকা ফিরলে ট্রেনে ফিরি আর বাসে ফিরি, মনিকারেই আগে মেসেজ দেই যে আমি ফিরতাছি। ফেরার সময়টা টুকটাক মেসেজ চালাচালি কইরা ভালোই কাইটা যায়। সমস্যা আবার চাগাড় দিয়া ওঠে ঘরে ফিরলে।

তো টাল অবস্থায় ফোন করলে আমি নানান কথার ফাঁকে মনিকারে জানাইতে চাই ওরে আমি মিস করছি উইকএন্ডের দুই দিন।

- হুমম পার্ট নেয়া লাগবে না। ফ্যামিলির সাথে থাকলে দ্বীন দুনিয়া আপনি ভুলে যান আমি সেটা ভালোই জানি। মোবাইল সুইচ স্টপ করে রাখেন।

- যে নাম্বার খোলা থাকে ঐটাতে ফোন দিলেই পারেন

- আপনি ভালোই জানেন আমি ফোন দিবো না আপনি আপনার নিজের বাড়িতে থাকা অবস্থায়।

- আরে চেতেন ক্যান

আমি বুঝি না আসলে মনিকা কী এইগুলি অভিমান কইরা বলে নাকি ভদ্রতা মেন্টেইন করে। যেইটাই কউক ঐ সময় ওইটাই ভাবতে ভাল্লাগে মনিকা আমারে মিস কইরা অভিমান কইরা বলতাছে এইসব। কথা আগায় নিতে আমি মনিকারে কই -

- আপনেরে নিয়া স্বপ্ন দেখছি মনিকা
- কী দেখলেন?
- আপনের লগে ইন্টিমেসি করতাছি।

মনিকার লগে সম্পর্কটা আগাইতে গেলে এইটা কওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। কথাডা পুরাপুরি মিথ্যাও না। একদিন দেখছিলাম মনিকার লগে আমি খুব ঘনিষ্ঠ অবস্থায়। কিন্তু ঘুমটা ভাইঙ্গা গেছিলো। হালার স্বপ্নও বিট্রে করে আমার লগে। ফোনের ঐ প্রান্তে মনিকা চুপ হইয়া থাকে। নেশার ঘোরে আমি বুঝি না লাইনটা কাইটা গেলো কিনা। নিজেরে তখন অনেক একলা একলা লাগে। নির্জন রাইতটা আরো শব্দহীন হইয়া আমারে অস্থির কইরা তোলে। পুরাপুরি মনে নাই নিজেরে সামলাইতে না পাইরা আমি মনে হয় বারান্দায় শুইয়াই রাইত কাটায় দিছিলাম। কোন ফাঁকে ঘুমাইছি জানিও না। এইটুক মনে আছে ফকফকা চান্দের আলোতে আমি আরো বেশি পুড়তাছিলাম একাকিত্বের দহনে। কাব্যিক শোনাইলেও এইটাই সত্যি।

৪.

মনিকার লগে সর্ব সাকুল্যে আমার দেখাই হইছে দুইবার। প্রতিবারই একগাদা মানুষের ভীড়ে, আড্ডাবাজিতে। তাই আলাদা কইরা একান্ত কোনো আলাপ পারনের সুযোগ হয় নাই। এর মাঝে কয়েকবার হালকা পাতলা ইংগিত দিছি ঢাকা আইলে এইবার ডিইউতে যামু। দেহি মনিকা তেমন কিছু কয় নাই। শেষমেষ আমিই কইলাম -

- সামনের সপ্তাহে আসেন দেখা করি। ডিইউ ক্যাম্পাসে চলেন একটু হাঁটাহাঁটি করি। তারপর সন্ধ্যায় রিকশায় কইরা আশেপাশে চক্কর মাইরা পাঠক সমাবেশে যাওয়া যাইবো।

- হুম পাঠক সমাবেশের নতুন আউটলেটটা সুন্দরই। কিন্তু সেলসের যারা তারা একটু আনস্মার্ট। কোনো বই আছে কিনা কিংবা কোন বই কোন সাইডে রাখা কোনো ইনফরমেশনই দিতে পারে না!

- এত বড় স্পেস। সময় নিয়া দেখবেন, নিজেই খুঁইজা নেন। কাউরে জিগানের দরকার কী। আর আমি তো সাথে থাকবোইই, দিবো নে খুঁইজা

- হুমম

- কীসের হুমম? তাইলে সামনের সপ্তাহে দেখা হইতেছে, ফাইনাল তো? শাড়ি পইরা আইসেন

- কেন?

- এমনেই! দেখতাম আপনারে কেমন লাগে!

- নাহ শিহাব ভাই, ব্যস্ত থাকবো। অন্য কোনো দিন শিওর।

আমারে অবশ্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় না। মনিকার কোনো এক মন খারাপের দিনে আমারে কথা দেয় আমার লগে একটা দিন সময় দিব সকাল থেইকা সন্ধ্যা পর্যন্ত। মনিকার দৃঢ় আচরণ, সময়ে সময়ে প্রাণখোলা হাসি দেইখাই মানে শুইনাই আমি অভ্যস্ত আছিলাম। সেইদিন ওর মন খারাপের সময়ে এই প্রথম ওর আর্দ্র গলার আওয়াজ পাইলাম। আমারো ওর লিগা মন খারাপ হইছিলো। কিন্তু ও কী কোনোদিন বুঝবো বিষয়টা! না মনে হয়। আর বুঝলেও ভান ধরবো বুঝে নাই।

মনিকার লিগ্যা আমি একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করি নির্ধারিত দিনে। চাঁদপুর যাওনের কথা কইতেই মনিকা রাজী হইয়া গেলো। মন খারাপ বা মানসিকভাবে বাজে অবস্থায় না পড়লে ও আমার লগে যাইতো না আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট কনফার্ম আর এহন এইসব ভাইবা লাভ নাই। আমি দারুণ উত্তেজিত আছিলাম আমরা এক লগে ঘুরতে যামু এই চিন্তা কইরাই। অনেক খুশী আছিলাম। আমার নিজেরেই মাঝে মাঝে আজব লাগে। এই যে আমি পোলাপানগো মত এত খুশী খুশী হইয়া আছি, এইটা আমার বয়সের লগে যায় না কিন্তু। বয়স প্রায় পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু টিনেজ বয়সী উত্তেজনায় আমি কাঁপতাছি। দুই দিন আগে থেইকা আমার ঘুম হারাম হইয়া গেছে।

সকাল সাড়ে সাতটায় সদরঘাট থাইকা লঞ্চ ছাড়বো। মনিকারে সব বলা আছে আমি কই অপেক্ষা করুম। লঞ্চের নাম ধাম সব বইলা রাখছি। একটা কেবিন পর্যন্ত বুকড কইরা রাখছি। ও টেনশন করতাছিলো, শীতের দিন ছোট। সন্ধ্যার মধ্যে চাঁদপুর থেইকা ঢাকা ফিরতে পারবো কিনা। আর আমার মাথায় ঘুরতাছে সন্ধ্যা পার কইরা জানি লঞ্চ আইসা সদরঘাট ভীড়ে। সন্ধ্যার আগে দিয়া নদীর বুকের যে কুয়াশা, মনিকারে লইয়া এক লগে দেখুম। কুয়াশার গন্ধ নিশ্বাসের সাথে সাথে আমার শরীরে জড়ামু। এইরকম একটা ভালো দিন অনেক লম্বা সময় পর আমি পাইতে যাইতাছি।

বার বার ঘড়ির দিকে তাকাইতাছি। লঞ্চ ছাড়তে বেশি সময় বাকি নাই। লঞ্চের দুই তলার বারান্দায় পায়চারি করতে করতে আমার অস্থির লাগতাছে। লঞ্চে হুইসেল বাজাইতাছে আর বুকের ভিতরটায় ধুকপুকানি বাড়তাছে। মনিকারে ফোন দিতাছি কিন্তু ধরতাছে না কেন! কোনো বিপদ হইলো কিনা কে জানে! একবারের লিগ্যা হইলেও আমার মনে এই কথাডা জায়গা দিতে মন চাইতাছে না যে মনিকা আজকার প্রোগ্রামটা ক্যান্সেল করছে, ও আইবো না।

দেখতে দেখতে নির্ধারিত সময়ের পনেরো বিশ মিনিট পরেই লঞ্চ ছাইড়া দিলো। আমার আর লঞ্চ থেইকা নাম হইলো না। নিজেরে কেমন জানি স্বর্বশান্ত মনে হইতাছে। বারান্দার সাইডে একটা চেয়ারে গিয়া বইসা থাকি। এহন আর এইটা ছাড়া কিছু করার নাই। সামনে অগাধ জলরাশি। আমি চাইয়া চাইয়া দেখি। সিগারেট ঠোঁটে নিয়া কোনো অজানায় মনে হয় আমি তাকায় থাকি। হালার কিচ্ছু ভাল্লাগতাছে না। যতই মনিকা কথা দিয়া থাকুক না কেন ওর কোনো সিদ্ধান্ত বা কোনো বিষয়ে তো আমার লগে ও প্রতিশ্রুতবদ্ধ না। ওর তো জিগাইতে পারি না, আপনে কথা দিয়া রাখলেন না ক্যান!


আমার ভেতরটা কেমন খাঁ খাঁ করতাছে। এই কয়দিনের উত্তেজনায় এই ভাবটা ঘাপটি মাইরা আছিলো, এহন উঁকিঝুঁকি মারতাছে। লঞ্চ ভরা এতডি মানুষ তাও কত একলা আমি! আমি আমার বউ রেবেকারে ভালোবাসি এতে কোনো ভুল নাই। ইনফ্যাক্ট কোনো কিছুর বিনিময়েই রেবেকারে ছাড়তে পারুম না। আবার ফ্লোরার লগে মাদকময় আটটা বছর কাটাইছি এইটাও মিথ্যা না। কিন্তু ফ্লোরার অবর্তমানে আমার ভিতরের যে যন্ত্রণাটা হইতাছে, যে হোলটা হইছে এইটা পূরণ করন দরকার। জীবনের সব কয়টা জায়গায় যহন যারে ভালোবাসছি কোনোটাই মিথ্যা না। এত অদ্ভুদ এই মানুষের মন! পলানের পথ তো পাই না! সময় গড়ায় আর আমি তাকাইয়া তাকাইয়া দেখি।

হুট কইরা মোবাইলে ম্যাসেঞ্জারের নোটিফিকেশন পাই। দেখি মনিকার মেসেজ -

- হ্যালো শিহাব ভাই

আমার উত্তর দিতে মনে চায় না। তাও স্ক্রিনের দিকে তাকাইয়া থাকি। অনেকক্ষণ ধইরা তাকাইয়াই আছি মনিকার ইনবক্সের দিকে। ও কী অনন্তকাল ধইরা আমারে লেইখাই যাইবো! এহনো শো করতাছে -

মনিকা ইজ টাইপিং...

নদীর বুকে সন্ধ্যা নাইমা আইছে ততক্ষণে। সবকিছু কেমন অর্থহীন লাগে। জীবনে চার্মলেস হওনের আগেই সমস্ত শক্তি দিয়া হাতের মোবাইলটা নদীর অতলে ছুইড়া মারি!

সমাপ্ত

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৩৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:



মনিকা, রেবেকা, ফ্লোরা অল আর টাইপিং।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হ্যা টাইপিংটা একটা মিস্ট্রিই বটে

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার মাথায় হয়তো এ ধরণের প্লট কখনো আসতো না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হ্যা আমরা তো আলাদা আলাদা মানুষ

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বিউটিফুল !!
(এর বেশি কিছু বলে লেখাটা নিয়ে আমার ভালো লাগাটা বোঝানো যাবে না )

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এগুলো ফাঁকিবাজি কমেন্ট আমি ভালোই বুঝি, হুহ

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসাধারণ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তাইই?

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এত অদ্ভুদ এই মানুষের মন! হুমম, এক্কেরে হাচা কতাই কইছেন!!!
দারুন লেখা নিঃসন্দেহে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মন আর মানুষ অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ বলেই লাইফটা বোরিং না

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: শেষ হল কেন? মাইনাস :p

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জ্বি অয়, পিলাস নিলাম

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ব্লগের এভারেজ গল্পের থেকে আপনার গল্পটা সাইজে একটু বেশিই বড়!


তবে পড়তে মন্দ লাগেনি!:)

+

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার লেখা গল্প তো আগে পড়েননি, তাই বড় মনে হচ্ছে আকারে। এটা তত বেশি বড় হয়নি। আপনাদের মত আমি সংক্ষেপে গুছিয়ে বলতে পারি না। অতীতের অভ্যাস আর কী!

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: মনস্তাত্বিক দ্বন্ধ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একাকিত্বের কড়চা

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

নিয়াজ সুমন বলেছেন: সাইজে একটু বড়, এরপরও পড়তে বেশ লেগেছে ভালো। শুভ কামনা।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্যও

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

ফয়সাল রকি বলেছেন: স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকা উচিত। তাতে উভয়ের চরিত্র ভাল থাকে ...... হে হে হে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর জন্য একসাথে থাকা জরুরী তো অবশ্যই

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

যারীন তাসনীম আরিশা বলেছেন: আপনি অনেক ভালো লেখেন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আরিশা

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: যেকোনো লেখার পাঠ প্রতিক্রিয়ায় প্রথমেই ইতিবাচক দিকটা বলা উচিত বলে মনে হয় তাতে লেখকের পাঠকের মন্তব্য গ্রহণ করার একটা স্বাভাবিক ছন্দ চলে অাসে। সেই নীতিতে চলি বলে প্রথম ইতিবাচক কথাটা হলো, ভাল লাগছে যে দীর্ঘবছর পর তুমি গল্পে ফিরেছো। দ্বিতীয়ত, এমন একটা সাহসী বিষয় নিয়ে লিখেছো যে তোমাকে তারিফ করতে হয়। মেসেঞ্জারে সবুজ বাতি জ্বলার সুযোগে যারা ছিপ ফেলতে চায় বা নিজেদের জগতে চরমভাবে অতৃপ্ত বা অসুখী মানুষের মনস্তত্ত্ব বা অযথাই ছোক ছোক প্রবণতা ভালো ফুটিয়েছো। পুরুষের জবানীতে হওয়ায় ভিন্ন অামেজ ছিল গল্পে।

এখন নেতিবাচক দিকটা বলি। অাসলে এই ভাষারীতিতে অনেকেই লেখে অাজকাল। কেউ কেউ এক্সপেরিমেন্টাল লেখে। কিন্তু অামার কেন যেন মনে হয়েছে ভাষার এমন রূপে না লিখি যদি তুমি শুদ্ধ ভাষায় লিখতে বা ডায়লগে এই ভাষায় লিখতে তবে গল্পটা অারো পরিশীলিত হতো। সিঙ্গাপুরে প্রমোদ ভ্রমণে যাওয়া মানুষের সাথে ভাষাটা কেমন যেন যাচ্ছে না। তবু লেখকের ইচ্ছের ওপর সব নির্ভর করে। তবে গল্পের এই থিমে অামারো কিছু একটা লিখতে লোভ হচ্ছে।

অারেকটা বিষয়, গল্পের সমাপ্তি অার নামকরণ দুটোতেই টুইস্ট ছিল।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরূষের জবানিতে লিখতে বরাবরই ভালো লাগে ইউ নো। আর ম্যাসেঞ্জারের সবুজ বাতি নিয়ে ফেসবুকেই বহু স্ট্যাটাস দেখি। সবুজ বাতি জ্বালাবার দখল বিশেষ কারো একক আধিপত্য, পড়ার পর তো এমনই লাগে। হা হা। এত রাতে জেগে আছেন কেন, ভাই কী করে, ঘুমায় নাকি, লেখেন না কারো সাথে চ্যাট করেন, রাত জেগে ফেসবুকিং করেন, নেট চালান ভাই কিছু বলে না? এইসব প্রশ্ন অনেক মেয়েকেই শুনতে হয়। এর উত্তর আমার কাছে একটাই - প্যাক প্যাক!

ভাষার এই " র" রূপ যে খুব অপরিচিত তা না! সিংগাপুর, সুইজারল্যান্ড বেড়ালে যে এই রূপে সুধীজনেরা কথা বলে না তাও না। তবে লেখা শেষ হবার পর মনে হয়েছে শুদ্ধ রূপে ডায়ালগ গুলি দেয়া যেতো! দেখি ট্রাই করবো আবার রিরাইট করতে।

আলোচনা আর সমালোচনা দুইই ভালো লেগেছে। আন্তরিকতা নিয়ে পড়েছ বোঝা যায়। আবার কবে আরেকটা গল্প লেখা হবে বুঝতে পারছি না।

গল্পের নাম নিয়ে বরাবরইই ঝামেলায় পড়ি জানো তো! মনিকা যে মেইন ক্যারেকটার না অবশ্য নাম দেখে বোঝা যায়নি! হা হা

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

ক্লে ডল বলেছেন: সমাপ্তিটা সেইই হইছে!!

ভাষার ব্যাপারে সুলতানা সাদিয়ার সাথে একমত।

আগে আপনার কোন গল্প পড়েছি বলে মনে পড়ছে না। গল্পের বুননে নিপুণতার ছাপ!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার ব্লগের বয়স আর আমার অনুপস্থিতির সময়সীমা কাছাকাছি। আর এজন্যই আমরা একে অপরের লেখা পড়ে দেখার সুযোগ পাইনি।
থ্যাংকস গল্পটা পড়ার জন্য।

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

শাহেদ খান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!

ভাষা আর বয়ানে মনে হচ্ছিল গল্পটা পড়ছি না, শুনছি! জমাট বাক্যে সোজা-সাপ্টা লেখা। তাই সাইজে একটু বড় হলেও না থেমে একটানা পড়ে গেলাম সমান আগ্রহে।

এত অসংখ্য প্রকারের মানুষের মন - রকম-সকম বোঝাই দায়! আপনি দারুণভাবে ঘটনা-পরম্পরার পাশাপাশি চরিত্রগুলোর মানসিকতাটাও তুলে ধরেছেন!

কিপ টাইপিং... লেখায় অনেক শুভকামনা!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি নিজে লেখাটা লেখার সময় উপভোগ করেছি। যদিও কিছু কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে আরো কিছু ঘষামাজা দরকার লেখাটায়।
লেখার চেয়ে আপাতত পড়ার প্রতি মন দেয়ার চেষ্টা করছি, হার্ড কপি তো পড়াই হচ্ছে না!

১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

নিমচাঁদ বলেছেন: প্রেমের ভুল বিয়া
আর
বিয়ার ফুল পরকীয়া ;-)

সাব্বাস চালাইয়া যান --ইন্সপায়ারিং গল্প তবে সাদিয়া র সাথে একমত -- নারায়ণ গঞ্জী ভা্ষা কানে ঠেকছে। পোলাপাইন রে কইলাম মেলা কিছু শিখাইয়া দিলেন যেমন
ঢাকা টু চাদপুর লঞ্চ জার্ণি ( রিটার্ণ) ;-)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আজকালের বাচ্চালোক এখন স্কুলে থাকতেই পরিচিত লঞ্চ জার্নি, লিটনের ফ্ল্যাট আরো অনেক কিছু নিয়াই। তাদের শেখাতে হয় না, শিখে যায়!

১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

রাতু০১ বলেছেন: ভালো লেখা। শুভকামনা।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: থ্যাংকস

১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

সামিয়া বলেছেন: বর্তমান বিবাহিত এবং পরিবার থেকে দূরে থাকা পুরুষদের চরিত্রগত অবক্ষয় এর পাশাপাশি রেবেকার মতন মেয়েদের সহজলভ্যতা আর মনিকার মতন মেয়েদের সহজলভ্য ভাবা পুরুষগুলোর মনের অসুস্থ ভাবনাগুলোর সাবলীল বর্ননাময় দারুন গল্প ।। +++++++

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চমৎকার ব্যবচ্ছেদ করেছেন। অনেক থ্যাংকস সামিয়া

১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: একেকবার একেকজনের সাথে সম্পর্কে জড়ানোর ফল এমনই হয়।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা যাদের নাই তাদের পরিণতি অই শিহাবদের মতই হয়।
গল্প পড়ে তাই মনে হল আমার।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একাকিত্বের জন্যই কী মানুষ বাইরের ব্যক্তিতে ধাবিত হয়! পছন্দ করে বিয়ে করেও কেন একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারে না কিংবা কেন হাহাকার থেকেই যায়, জটিল বিষয়। মন খুব রহস্যময়

১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাষা আমার ভালো লেগেছে আপু ।
আপনি তো সব সময় ই অনেক ভালো লিখেন ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: থ্যাংকস মনিরা আপা

২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: বেশ ধারালো লেখনী! ভালো লেগেছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পাঠে ভাল লাগল।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: থ্যাংকস সুজন

২২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনি ভালো লিখলে আমার আর কত বলার থাকে? সাদিয়া সুলতানার কমেন্টটা আমি দেখলাম।ভাষা নিয়ে তার আরগুমেন্টটা খুবই লজিকাল।কিন্তু আমি যখন পড়লাম লেখাটা তখন লেখকের স্বাধীনতাটার কথাই ভেবেছিলাম -পাত্র,পাত্রী নির্বাচনের তাদের মুখের ভাষা ব্যবহারের সব স্বাধীনতাতো লেখকের থাকাই উচিত তাই না? আর আমাদের বর্তমান যে সামাজিক অবস্থা তাতে সিঙ্গাপুর, ব্যাঙ্কক কেউ গেলেই সে শুদ্ধ বাংলা বলবে তা নিশ্চয় নয়? যাক এইসব কিন্তু আপনার লেখা পড়ার সময় মনে হয় নি।তখন গল্পের কাহিনীটার দিকেই মনোযোগটা ছিল।এগুলো মনে হলো আপনার প্রতিমন্তব্যের পর আর আপনার বন্ধুর মন্তব্য পড়ে । আবার বলি আপনার লেখাটা বিউটিফুল !

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এতক্ষণ এ কিঞ্চিৎ মন খোলা মন্তব্য দিলেন। এরকম মন্তব্যই চাই যা ভালো মন্দ দুই দিকই প্রকাশ করবে

২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বতামান সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ে চমৎকার একটি উদাহরণ। বিবাহিত এবং পরিবার থেকে দূরে থাকা পুরুষ এবং মহিলা উভয় নৈতিক অবক্ষয়ের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে যেখানে রেবেকার মতন মেয়েদের সহজলভ্যতা আর মনিকার মতন মেয়েদের সহজলভ্য ভাবা পুরুষে অভাব নেই। অসাধারণ সাবলীল বর্ননা।




ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য

২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১২

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়লাম। পড়তে গিয়ে একবারও মনেহয়নি অনর্থক টেনে বড় করেছেন। আপনার অনেক গল্প পড়তে গিয়ে আমার তাই মনে হত।
নারী পুরুষ উভয়ের নৈতিক অবক্ষয়ই ভালভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন। কারো প্রতি ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও মানুষ কেন পরকীয়ায় জড়ায়? সম্ভবত বৈচিত্রের লোভে।
পরকীয়া শুধু মানুষের সমাজেই নয়, অন্য প্রাণীদের মাঝেও আছে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একেক জন তো একেক রিজনে মনে হয় বাইরের দিকে ধাবিত হয়। বৈচিত্র্য বা একাকিত্ব এসব তো অনেক রিজনের মধ্যে একটা বড় রিজন বটেই।
যাই হোক গল্প ঝুলে যায়নি শুনে স্বস্তি পেলাম।

২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

মেহেদী হাসান তামিম বলেছেন: everyday everybody eventually is typing

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সবার টাইপিং এর কাহিনী আলাদা আলাদা এবং শুনতে আমি আগ্রহী

২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩০

কালীদাস বলেছেন: একটা মিডিয়াম সাইজড উপন্যাসের পয়লা অর্ধেকের কোন একটা চাপ্টার পড়লাম মনে হল। কিন্তু আদর্শ ছোট গল্পের ক্রাইটেরিয়াও যে খুব দেখেছি তা না।
যাক, এক্সপেরিমেন্ট চালানো ভালু :P

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছোট করে লিখতে পারি না। পুরানা অভ্যাস। ছোট গল্পের ক্রাইটেরিয়া কী?
এন্সার দিতে দেরি হলো, সর‍্যি। শরীরটা খারাপ

২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৫

নীহার দত্ত বলেছেন:

বিশাল বড় গল্প। শেষ করা হল অনেক কষ্টে।

প্রেম খারাপ না। সব প্রেমই শুদ্ধ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সব প্রেম শুদ্ধ কিনা জানি না আসলে! হয়ত " ক্ষণিকের" জন্য কারো কারো মনে হতে পারে প্রেম শুদ্ধ!

২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ইতি সামিয়া বলেছেন: বর্তমান বিবাহিত এবং পরিবার থেকে দূরে থাকা পুরুষদের চরিত্রগত অবক্ষয় এর পাশাপাশি রেবেকার মতন মেয়েদের সহজলভ্যতা আর মনিকার মতন মেয়েদের সহজলভ্য ভাবা পুরুষগুলোর মনের অসুস্থ ভাবনাগুলোর সাবলীল বর্ননাময় দারুন গল্প ।। +++++++ কথাগুলিকে আমার কথা বলেই মনে হল!!!

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা

২৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সংযমের দিক দিয়ে আপনার অন্যতম সেরা গল্প । শেষটা ভালো। আপনার অনেক গল্পে অস্থিরতা আর তাড়াহুড়ো দেখা যেত , এ গল্পে নেই। সুস্থির থাকতে পেরেছেন। চলতি ভাষা ব্যবহার টাও প্রশংসনীয় ।
শুভেচ্ছা ।,

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এক বছর পার হইয়া গেলো তোমার কমেন্টের উত্তর দিতে!
আবার একটা গল্প লেখার ইচ্ছা আছে কিন্তু সমস্যা হলো লেখালুখা ভুলে গেছি

৩০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

জেন রসি বলেছেন: খেলারাম খেলে যা উপন্যাসের বাবর আলীর কথা মনে পরছিল গল্পটা পড়ার সময়। যদিও গল্পটা পুরুষের মুখেই বলা তবুও একজন নারীর চোখ দিয়ে পুরুষের একাকীত্বকে বুঝার বা দেখার একটা ছাপ আছে গল্পে। চরিত্রের একাকিত্ব একটা শূন্যস্থান যেখানে যৌনতা আশ্রয় নেয় একটা ডিলেমার মত। থিমটা গতানুগতিক। যদিও তা বাস্তবতার ইঙ্গিত দেয়। বাস্তবতা ব্যাপারটাই অবশ্য গতানুগতিক।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ বাস্তবও আছে যার গল্প আমার জানা নাই। আসলে ম্যাক্সিমাম গল্পই কেউ না কেউ কোনো না কোনো ভাবে লিখে ফেলছেন। এখন শুধুই ভাষার বৈচিত্র্য লাগবে!
অনেক লেট হলো উত্তর দিতে। দাঁড়ান আপনার ব্লগ বাড়িটা ঘুরে আসি।

৩১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


নতুন কিছু লিখুন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাথায় লেখা নাই, ভাষা নাই। অফিসে কাজের চাপে চ্যাপ্টা হবার যোগাড় হয়। আর যখন অল্প একটু সময় পাই মাথা ফাঁকা থাকে।
আপনি আছেন কেমন ?

৩২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

কালীদাস বলেছেন: মনিকা তো টাইপ করতে করতে টাইপ রাইটার ভাইঙা ফালাইল প্রায়। নতুন কিছু একটা দেন ভাঙতে :P

তর্জমা: অনেকদিন তো গেল। তা, নতুন একটা লেখা কালকের মধ্যে পাইলে পৈড়া যাইতে পারতাম হয়ত :D

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এহ নিজে বহুকাল অনুপস্থিত আবার লেখেন না কিছু, আসছে আমারে কইতে! আজকে বহুত ফ্রি টাইম গেলো। তা ব্লগে বেড়াইবেন আর কয়দিন? থীম পাইলে লেখুম আর কি মানে লেখা নিয়া ভাবুম আর কি ! বুক রিভিউ লেখা বাকি দুই তিন জনের জন্য, সেইটা পর্যন্ত লেখার সময় পাই নাই

৩৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পড়া শুরু করলে আর থামবার স্কুপ নেই। দারুণ! অসাধারণ!... এমন গতানুগতিক শব্দে ভালো লাগা ব্যক্ত করতে চাচ্ছি না।

সামুতে আপনি নিয়মিত লিখুন প্লীজ....

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুনায়েদ।
সময় পেলেই আসার চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.