নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইমিনা

আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস,. দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ মাস।

ইমিনা

Just because I liked something at one point in time doesn’t mean I’ll always like it, or that I have to go on liking it at all points in time as an unthinking act of loyalty to who I am as a person, based solely on who I was as a person. To be loyal to myself is to allow myself to grow and change, and challenge who I am and what I think. The only thing I am for sure is unsure, and this means I’m growing, and not stagnant or shrinking ...

ইমিনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির ফ্রেমে জড়িয়ে রাখা পহেলা বৈশাখের অকৃত্রিম অনুভূতি

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১





দিনটাকে ঠিক পহেলা বৈশাখ নামে জানতাম না, জানতাম "গলিয়া" নামে। গলিয়া ছিল পহেলা বৈশাখের একটি গ্রাম্য মেলার নাম। অর্থাৎ বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনটিই ছিল বহু কাংখিত গলিয়ার দিন। এই দিনটির জন্য আমাদের সকলের প্রস্তুতি ছিল ৪/৫ মাস পূর্ব থেকেই। আমরা বলতে - আমি, আমার বড় আপু, আমার ভাই, আমার মেঝ চাচার তিন ছেলে অর্থাৎ কাশিম ভাই, হাশিম ভাই এবং জাফর ভাই। উক্ত ৬ জনের মধ্যে আমার বড় আপু ছিল সবার বড় এবং আমি ছিলাম সবার ছোট। আমাদের পরিবার, চাচার পরিবার তখন দাদার সাথেই ছিল। আমাদের ৬ জনের টাকা-পয়সা জমা করার একটা মাটির ব্যাংক ছিল। সারা বছর বড়দের কাছ থেকে যে যা টাকা-পয়সা সংগ্রহ করতে পারতাম তা মাটির ব্যাংটিতে রেখে দিতাম। ব্যাংকের মধ্যে বড় অংশের টাকা আসতো আপু এবং কাশিম ভাইয়ের মাধ্যমে। বাকীরা যখন ই যা পেতাম তা দিয়ে টুকটাক কিনে খেয়ে ফেলতাম। তারপরও কখনো সখনো আমরা ছোটরা ও কিছু পয়মা রেখে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতাম। তবে গলিয়া নিকটবর্তী হলেই নিজেদের টুকটাক খাওয়ার লোভ সংবরন করে ব্যাংকে পয়সাপাতি চালান করে দিতাম।



পহেলা বৈশাখের সকাল:

পহেলা বৈশাখের দিন খুব ভোরে ই ঘুম থেকে উঠে সবাই আমাদের মাটির ব্যাংকটি নিয়ে বসতাম। মাটির ব্যাংকটি ভেঙ্গে যতো টাকা পাওয়া যেত তা গননা করে আপুর কাছে রাখতাম। তারপর আমরা এবং প্রতিবেশী সঙ্গি-সাথীরা একসাথে নদীতে গোসল করতে যেতাম। গোসল করতে যাওয়ার পূর্বে আমরা সবাই একটা মিশন সম্পন্ন করতাম। কাপিলা গাছের বীজ সংগ্রহ করতাম এবং কিছু বীজ মুখে নিয়ে পানিতে ডুব দিয়েই নদীর কিছু পানির সাথে টুপ করে গিলে ফেলতাম। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস ছিল - এই দিনটিতে পানির নিচে গিয়ে কপিলার বীজ খেতে পারলে সারা বছর কোন রোগ-বালাই থাকবে না। তবে শর্ত থাকে যে, পানির উপরে তা খাওয়া যাবে না কারন গিলে ফেলার দৃশ্য কেউ দেখে ফেললে কপিলার বীজ তার কার্যকারিতা হারাবে।



মা, চাচী ভোর সকালে উঠেই ভালো খাবারের আয়োজন করতেন। আমরা সবাই মিলে গোসল সেরে আসতেই খাবার রেডী। তারপর তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে সুন্দর পোশাক পরে গলিয়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতাম। এরই ফাকে আমরা সবাই বাবা, চাচা আর দাদার কাছ থেকে পছন্দের জিনিস পত্তর কেনার জন্য অতি সামান্য পরিমানে টাকা পেয়ে যেতাম। যার বয়স যতো বেশি তার প্রাপ্ত টাকার পরিমান ততো বেশি। সেই হিসেবে আপুর টাকার অংক থাকতো বড়। তবে হিংসা করার কিছু ছিল না। কেননা ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত টাকা এবং মুরুব্বিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সকল টাকা এক সাথে জড়ো করে কেনাকাটার জন্য মৌখিক ভাবেই বাজেট ঘোষনা করা হতো। আপু আর কাশিম ভাই বাজেট তৈরি করতো আর আমরা ছোটরা তা সানন্দে সায় দিতাম। বাজেটের জন্য বরাদ্ধকৃত খাতগুলো ছিল - মেয়েদের সাজগোজ সামগ্রী, মেয়েদের গৃহকর্ম ও খেলনা সামগ্রী, ছেলেদের খেলনা সামগ্রী এবং টুকটাক মজাদার খাবার সামগ্রী।



মেলায় গমন:

আমাদের গ্রামের প্রতিটি ঘর থেকেই আলাদা আলাদা গ্রুপ করে ছেলেমেয়েরা গলিয়ায় যেত। কারন ছিল একটা ই - প্রতিযোগীতা। এক ঘরের মানুষেরা অন্য ঘরের সদস্যদের জানতে দিতাম না কার কত বাজেট, কি কি কেনাকাটার প্লান। সন্ধ্যায় এসে অন্য ঘরের ছেলেমেয়েদের দেখাতাম কে কি পরিমান কিনতে পেরেছি। যেহেতু আমরা সংখ্যায় অনেক ছিলাম, আমাদের মেলার সামগ্রী ও অন্য সব ঘর থেকে বেশি হতো। নৌকা করে ছোট্ট নদীটি পার হয়েই আমরা হাটা ধরতাম এবং প্রায় ২৫/৩০ মিনিট হাটার পরই গলিয়ায় পৌছে যেতাম।



মেলার কেনাকাটা:

মেলায় পৌছে ই তো চোখ ছানাবড়া। এটা সেটা দেখে দেখে মনের মধ্যে তখন শুধু লোভ আর লোভ। এটা কিনবো, ওটা কিনবো, এটা পছন্দ, ওটা পছন্দ - পছন্দের যেন কোন সীমা নেই। আপু ঠিকই মাথা ঠান্ডা রেখে বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা শুরু করতো। আমি যেহেতু সব থেকে ছোট ছিলাম তাই আপু আমার হাত ধরেই মেলার সমগ্র মাঠ ঘুরে আমার জন্য সাজগোজ সামগ্রী কেনা শুরু করতো। আমার ভাইটি তখন থেকেই বদমেজাজী, তাই সে চাইতো সবার আগে যেন তার খেলনাগুলো কিনে দেওয়া হয়। ওই বদমেজাজীকে না চটিয়ে সবার প্রথমে ওর পছন্দের খেলনা কিনে দিত। তারপর আমার জন্য কেনা হতো হরেক রকম চুড়ি, নেইল পলিশ, লিপিস্টিক, কপালের টিপ, নূপুর, মাটির টেপা পুতুল, হাড়ি-পাতিল, ঢেকি ও আরো অনেক কিছু। একটা কিছু কিনে দিলে আরো হাজারটা কিনিবার লোভ জাগতো মনের মধ্যে। তারপর একে একে বাকিদের জন্য লাঠিম, বাঁশি, ঢোল,লাঠিতে লাগানো হেলিকপ্টার, মাটির ব্যাংক, বেলুন, বিভিন্ন রকম মাটির ও প্লাস্টিকের প্রানী সামগ্রী। আপু খুব স্থিরতার সাথেই বাজেটের মধ্যে ভারসাম্য রেখে সবার ইচ্চা পূরনে ব্যস্ত থাকতেন। আপু তার শৌখিন জিনিসটি কিনেছে কি না অথবা তা কেনার স্বচ্ছলতাটুকু অবশিষ্ট আছে কি না সে ব্যাপারগুলো আমাদের কারো মাথায় ই আসতো না। সে ব্যাপারে আপুর মধ্যে মন খারাপের অভিব্যাক্তিটি ও ছিল না। এখন বুঝি, বড় আপু আসলেই বড় আপু। মায়ের মতো অসীম ভালোবাসা, সহনশীলতা আর ধৈর্য্য নিয়ে একজন ই পৃথিবীতে আসতে পারে - সে হলো ঘরের বড় মেয়েটি।

তারপর কেনাকাটা যখন প্রায় শেষ হয়ে আসতো , অল্প বিস্তর টাকা দিয়েই কিনে নিতাম বাতাশা, মুড়ির মোয়া, লাড্ডু, মুরালী ও নাম না জানা আরো কিছু। মেলার কোন এক পাশ ঘেষে বড়রা নানা ধরনের খেলার আয়োজন করতো। আমি অবশ্য নগরদোলাতে চড়তে খুব ভয় পেতাম। তাই আমার আপু তার ইচ্ছা সত্ত্বেও ওটাতে চড়তো না। ছেলেগুলো তো নগরদোলায় একাধিকবার চড়েও তৃপ্ত হতো না।

এদিকে মেলায় ঘুর ঘুর করতে করতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে যেত তা বুঝতে পারতাম না। আকাশের কালো মেঘ দেখেই আমাদের চৈতন্য ফিরতো বাড়িতে পৌছার। যে যার মতো হাতে পলি ব্যাগ নিয়ে বাড়ির জন্য প্রানপনে দৌড়াতে থাকতাম। একটা ব্যাপার আজ ও বুঝলাম না, পহেলা বৈশাখে ই কেন ঝড় হবে। অন্য দিন হলে ক্ষতি কি।

















































































সন্ধ্যার আধাঁরে উপচে পড়া আনন্দ:

গলিয়ার সব চেয়ে আনন্দের সময়টা ছিল সন্ধ্যার দিকে। দাদা-দাদী, মা, চাচীকে সামনে রেখে আমরা সবাই আমাদের ক্রয়কৃত সামগ্রী একে একে ব্যাগ থেকে বের করতাম। কাপড় ও বাশেঁর পাখা, দাদার জন্য লাঠি আর দাদীর জন্য পানের খুপরি যে আপু কখন কিনেছে তা মেলাতে বুঝতে পারতাম না। সব কিছু সামনে নিয়ে বসে থাকার মধ্যে কি যে অপার্থিব আনন্দ ছিল তা লিখে প্রকাশ করার মতো না। এখন ও যদি এই মুহুর্তগুলোর কথা মনে পড় তবে শৈশবে ফেলে আসা আনন্দটুকু ঠিকই সময়ের ব্যবধান কাটিয়ে মনের মধ্যে অদ্ভূত রকম দোলা দিয়ে যায়।



পহেলা বৈশাখের সেই গলিয়ার দিনগুলো যদি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো তবে সব কিছুর বিনিময়ে হয়তো তা ফিরে পেতে চাইতাম। শুধু আমি ই নই, মানুষ মাত্রই তার শৈশবকে জড়িয়ে ধরতে চায়। এটাই হয়তো প্রকৃতি প্রদত্ত ভালোলাগার অনুভূতি। এই অনুভূতিতে এতটুকুও খাঁদ নাই, এতটুকু ও ভনিতা নেই।।

মন্তব্য ১১৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

ইমিনা বলেছেন: আপনাকে ও নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।
অনেক বেশি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

টুম্পা মনি বলেছেন: খুব সুন্দর। অনেক অনেক শুভকামনা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

ইমিনা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি
আমার ব্লগে আপনাকে দেখে অনেক ভালো লাগছে :) :)
শুভ কামনা রইলো।।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: স্মৃতিময় বৈশাখের ফেলে আসা দিন আর ঐতিহ্যময় দারুন সব ছবি ।



শুভ নববর্ষ ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

ইমিনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
শুভ নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।
ভালো থাকবেন সব সময় ।।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল্লাগলো প​ড়তে, সুন্দর পোস্ট​।
শুভেচ্ছা ||

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

ইমিনা বলেছেন: যাক, বাাঁচলাম।
ভালোলাগাটুকু জানিয়ে যাওয়ার জন্য এক হাড়ি ধন্যবাদ পাঠিয়ে দিচ্ছি।
নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা :) :)

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: আপনার সাথে ঘটনা টা প্রায় মিলে যাচ্ছে। ছোটবেলার কথাগুলো খুব মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখার জন্য।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

ইমিনা বলেছেন: তাহলে অনুভূতির প্লাটফর্মে একজনকে পেয়ে গেলাম।
ভালোলাগাটুকু জানিয়ে যাবার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ :) :)
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা ।।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। নববর্ষের অগ্রীম শুভেচ্ছা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

ইমিনা বলেছেন: নববর্ষের অগ্রীম শুভেচ্ছা :) :)
নতুন বছর আপনার জীবনের জন্য বয়ে আনুক সফলতার এক নতুন পালক :) :)

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

জেরিফ বলেছেন: নব্ বর্ষের শুভেচ্ছা ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

ইমিনা বলেছেন: নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জেরিফ
আমার ব্লগ বাড়ীতে স্বাগতম।
দেখা করে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ :) :)

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

খেপাটে বলেছেন: শেষবার নববর্ষের গ্রাম্যমেলায় যখন গিয়েছিলাম। তখন অনেক ছোট সেই সময়টার কথা আজ আবার মনে পড়ে গেল

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

ইমিনা বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারনটুকু আমার খুব ভালো লাগলো ।
আর তা জানিয়ে যাওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ :) :)
অফটপিক: আপনার প্রোপিকটা দেখলেই আমার মন খুব খুব ভালো হয়ে যায় :)
হা হা হা ...

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

ইমিনা বলেছেন: নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা অভি ভাইয়া :) :)
অনেক অনেক ভালো থাকবেন ।।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা পহেলা বৈশাখের । ভালো লাগলো । আমি যদিও জীবনে পহেলা বৈশাখে ঘুরি নাই । শুভেচ্ছা । :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

ইমিনা বলেছেন: পহেলা বৈশাখের অনেক অনেক শুভেচ্ছো নাজমুল ভাইয়া।
আগামীকাল ঘুরে ই এই পর্যন্ত না ঘুরার রেকর্ডটা ভেঙ্গে ফেলুন।
শুভকামনা রইলো ।।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: ছোট বেলার অনুভূতি গুলো কি আশ্চর্য সরল আর সুন্দর !

আমার অবশ্য এত সুন্দর স্মৃতি নেই বৈশাখ নিয়ে , তবে ছোট বেলায় মনে পড়ে বৈশাখ মানেই ছিল মেলা । খেলনা হাড়ি পাতিল পুতুল এসব কিনতাম ।

আর এখন ,কত রকম এর ফ্যাশন ভ্যারিয়েসন আনা যায় ,পান্তা ভাত খেতে হবে এই দিন যত রকম ভর্তা আছে তা খেতে হবে, .....ইত্যাদি ইত্যাদি আর কত ইভেন্ট , এসবে যেতে হবে , নইলে বৈশাখ পালন করা হবে না ।

শুভ নববর্ষ , :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

ইমিনা বলেছেন: অদ্বিতীয়া আপু, বেশ কিছু দিন ব্লগে ছিলেন না। ব্লগ লিস্ট দেখে দেখে তাই মনটা খারাপ হয়ে যেত :(
আনন্দ বলতে সেই শৈশবের আনন্দ। মনে হয় সব আনন্দ সেই শৈশবেই করে এসেছি। এখন আর কোন কিছুতে আনন্দ পাই না।
আপনার সাথে আমি ও একমত। বর্তমানের প্রোগ্রামে ভরপুর উৎসবগুলো আমার কাছে কৃত্রিম কৃত্রিম ই লাগে। মন থেকে পছন্দ হয় না।
শুভ নববর্ষ আপুনি :) :)

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: লীলাবতীর পুতুল কোথায় ? সখের হাড়ি তো পেলাম । কদমা ,মিছরি , খই, মুড়কি এসব ছিল আমাদের ছোটবেলার মেলার দৃশ্য । মুসলিমরা হালখাতা উৎসব করত খুব কম । হিন্দুরা করত সাজিয়ে গুঁজিয়ে । তবে মুসলিমরা আবার পঞ্জিকা ছাড়া অনেক কিছুই করতে পারতনা । ভাজা পোড়ার বেশ কদর ছিল । ২০১৪ তে এসে বাঙ্গালিরা বোমার ভয়ে ভীত না হয়ে সবচে বেশী প্রাধান্য দ্যায় একটি সেকুলার অনুষ্ঠান, নববর্ষ , বাঙ্গালীর নববর্ষ । ভালো লাগলো ইমিনার লেখায় ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১০

ইমিনা বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যে আমার অনেক ভালোলাগা :) :)
কদমা, মিছরি, খই ও মুড়কি নামগুলো মনে পড়ছিলো না। আপনার কল্যানে নতুন করে জেনে নিলাম।
নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা রইলো।।

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

কান্টি টুটুল বলেছেন:

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম....


পোষ্ট পড়ে ওই লাইনটাই মাথায় ঘুরতেসে। বাংলা নতুন বছরের শুভেচছা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৩

ইমিনা বলেছেন: হু, এই গানটা ই এই পোস্টের জন্য পারফেক্ট।
মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ :) :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: জীবন সামনে আগায়, আমাদের ব্যাস্ততা বাড়ে – পেছনে ফেলে আশা দিনগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে, কিন্তু আমাদের আর সাড়া দেবার ক্ষমতা থাকে না। বন্দী হয়ে আছি নগর জীবনের ছোট ছোট খুপরির মত ডোমেইনে।

তাও ভালো, স্মৃতিগুলো হারিয়ে যায় নি।

শুভ নববর্ষ!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৬

ইমিনা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা ।।

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি মেলায় গিয়েছি মাত্র ২/৩ বার। বাংলাদেশে মেলায় যাওয়া অনেক কষ্টের। ট্রাফিক জ্যাম, গরম, পার্ভার্টদের আক্রমণ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৬

ইমিনা বলেছেন: হু, বর্তমানের অবস্থা আসলেই ভালো না।
আমি তো বৈশাখী মেলাতে লাস্ট গিয়েছিলাম সপ্তম শ্রেনীতে পড়াকালীন। সাথে ছিল আমার বড় আপু আর ছোট কাকীমা। কোন এক ছেলে নাকি আমার দিকে ফ্যা ফ্যা করে তাকিয়েছিল অনেকক্ষন ধরে আর তাতেই আমার কাকীমা আমাকে ক্ষেপাতে শুরু করে। কি যে লজ্জা পেতাম তখন এই সব কথায়। হা হা হা ...
নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা রইলো স্বর্ণা আপুনি :) :)

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১২

উদাস কিশোর বলেছেন: নববর্ষের অগাম শুভেচ্ছা !
ভাল লাগলো আপনার স্মৃতির ফ্রেমে জড়িয়ে রাখা পহেলা বৈশাখ এর অনুভূতি পড়ে

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৩৯

ইমিনা বলেছেন: ভালোলাগাটুকু জানিয়ে যাবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।।

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪১

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন ছোটবেলার স্মৃতি। ছবিগুলোও এসেছে দারুন। গলিয়া নামটা মজার লাগল। আগে কখনো শুনি নাই :)

গত কয়েক বছর দেশের বাইরে থাকার কারনে দেশজ মেলা এবং উৎসব খুব মিস করি। আজ আমরা কয়েকজন বাংলাদেশী মিলে নববর্ষ সেলিব্রেট করব :D কিন্তু সেটা পান্তা-ইলিশ-ভর্তা আর নববর্ষের রঙ্গিন ড্রেসের মধ্যে সীমাবদ্ধ :(

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৪৫

ইমিনা বলেছেন: খুব ভালো লাগছে যে লেখাটা আপনার ও পছন্দ হয়েছে। শুভকামনা থকলো যেন আপনাদের প্লান পূর্ণতা পায়। আগামীতে দেশে এসে নববর্ষ পালনের দাওয়াত থাকলো। অনেক ভালো থাকবেন ।

১৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: গ্রাম বাংরার এক অজানা মেলার কথা খুব ভাল লাগল। ছবিগুলো সুন্দর আর আপনার লেখার মধ্যে আন্তরিকতা রয়েছে, সব মিলিয়ে চমৎকার!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৪৮

ইমিনা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম। লেখটি পড়ে ভালোরাগাটুকু জানিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।।

১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমৎকার একটা পোষ্ট! বৈশাখের আগের দিন থেকেই মেলার একটা আবহ ছড়িয়ে পড়ল। ছোট বেলায় মাঝে মাঝে গ্রামে যেতাম নববর্ষ পালন করার জন্য। আমার মনে পড়ে আমাদের বিশাল পরিবারের সবাইকে ঘুম থেকে আগেই উঠতে হত। উঠে আমরা পুকুরে গিয়ে দলবেঁধে গোসল করতাম। আমাদের বাড়িতে গ্রামের কৃষকরা আসতেন। বাড়িতে নানারকম খাওয়া দাওয়ার আয়োজন থাকত। দুপুরের পর আমরা মেলায় যেতাম। ! সেই মেলা চলত কয়েকদিন। মেলাতে গিয়ে তাল মিসরি, তারপর চিনির সন্দেস, বাঁশি, পাখাসহ নানা রকম খেলনা কিনে আনতাম।

শহরে নববর্ষের একটাই মজা, আমাদের জাতিগতভাবে আনন্দের দিন কম। সবাই মিলে কষ্ট হলেও এক সাথে ঘুরাঘুরি করা যায়। এই দিন বিরক্ত প্রকাশেও আনন্দ থাকে।

আপনাক নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। :)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫১

ইমিনা বলেছেন: নববর্ষে আপনার শৈশব স্মৃতিটুকু জানার সুযোগ পেয়ে দারুন লাগছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
নববর্ষের শুভেচ্ছা :) :)

২০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৪

বৃতি বলেছেন: স্মৃতি-জাগানিয়া পোস্ট। ছবি, বর্ণনা অনেক ভাল লাগলো। নববর্ষের শুভেচ্ছা থাকলো ইমিনা আপু :)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:১২

ইমিনা বলেছেন: থ্যাঙ্কু বৃতি আপু, অনেক অনেক থ্যাঙ্কস
অামার ব্লগে আপনার আগমন আমার জন্য বিশাল আনন্দের :) :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।।

২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

নীল জোসনা বলেছেন: শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন সবসময় আনন্দের । গলিয়ার আনন্দ ঘিরে থাকুক সবসময় । নতুন বছরের শুভেচ্ছা । :)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:১৪

ইমিনা বলেছেন: অনেক ভালোলাগা জানাচ্ছি নীল আপুনি।
সেই সাথে এক আকাশ ধন্যবাদ :) :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।।

২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৭

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।

সুন্দর পোস্ট।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:১৭

ইমিনা বলেছেন: সাবির ভাই, আপনাকে বেশ কিছু দিন না দেখে অনেক টেনশনে ছিলাম।
দেখা করে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ :)
আপনার জন্যও নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা :) :)

২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নস্টালজিক পোস্ট ...।
আমার শৈশব এই ""গোলইয়া "" গ্রামে যাওয়া র আনন্দের সাথে রঙ্গিন কাচের চুড়ির রিনঝিন ।

আফুরন্ত স্বাধীনতা মাঠে , বন বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্নের হাতছানি ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:২৭

ইমিনা বলেছেন: মনিরা আপু !!!
আপনার উপস্থিতিই আমার জন্য এক হাজার ভালোলাগা ।
ওহ হা, শব্দটি তাহলে "গোলইয়া" হইবে। অনেক ধন্যবাদ অপু :) :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ।।

২৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:১১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গলিয়া নিয়ে স্মৃতিচারণ পড়ে কিছুটা নস্টালজিক হলাম। তবে কপিলা বীজের কোন অভিজ্ঞতা নাই। বাকী সব কিছু পুরোপুরি না মিললেও অনেক কিছুতেই মিল আছে। মেলার সামগ্রীগুলোর ছবি তুলে ধরে আরও বেশী মনে করিয়ে দিলেন। কিন্তু সব বলেন, গুঁড়ের জিলাপির কথার কথা কিছু বললেন না কেন? জিলাপি ছাড়া কী আমাদের দেশে মেলা হয়? অনেক ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ ইমিনা। নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ। ভালো থাকুন সতত।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৩১

ইমিনা বলেছেন: ওহ্, স্যরি, স্যরি।
গুঁড়ের জিলাপি ছাড়া তো মেলা একদম অসম্ভব।
আমার আবার খাবার দাবারের নাম মনে থাকে না। মনে করিয়ে দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো। অনেক অনেক ভালো থাকবেন ।।

২৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

না পারভীন বলেছেন: মেলা আর ভীড় আমার খুব ভয় লাগে । সত্যি কথা হল , আপনার এই লেখা পড়তে পড়তে আমি ভাবছিলাম ছোট বাচ্চাগুলি কোন ঝামেলা ছাড়া মেলা থেকে ফিরে আসতে পারবে তো ?


আপনার লেখা খুব প্রাণবন্ত বরাবরের মতোই । শুভ নববর্ষ ১৪২১ :)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

ইমিনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পারভীন আপু।
আমার নিজের ই এখন ভীড় দেখলে খুব ভয় হয়। কিন্তু তখনকার দিনগুলোতে ভয় কি তা বুঝতাম ই না।
শুভ নববর্ষ ১৪২১

২৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নতুন বছরের শুভেচ্ছা। স্মৃতিগুলো এভাবেই পথ চলার প্রেরনা হয়ে থাকুক।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

ইমিনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :) :)
স্মৃতিগুলোই বিশ্বস্ত সাথী হিসেবে জড়িয়ে আছে জীবনের প্রতিটি দ্বারে ।
শুভ নববর্ষ :) :)

২৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা!!! !:#P !:#P !:#P

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

ইমিনা বলেছেন: ধন্যবাদ :) :)
অাপনার জন্য ও নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা :) :) :)

২৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: অসম্ভব আবেগী স্মৃতিময় একটি লিখা॥
নববযর্ষের শুভেচ্ছা নিন॥

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

ইমিনা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ।।
...
আপনার প্রো পিক দেখে ভয় পাইছি B:-) B:-)

২৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

ভারসাম্য বলেছেন: আমার নিজের জীবনে বাংলা নববর্ষের স্মৃতিচারণ করতে গেলে আমাকে দুইটি অঞ্চলের স্মৃতির কথা বলতে হয়, যেখানে আমার জন্ম যে অঞ্চলে ( দক্ষিণবঙ্গে) সে অঞ্চলের স্মৃতির সাথে এই লেখার অনেক মিল আছে। তবে আমি একদম ছোটবেলা থেকেই যে অঞ্চলটিতে( উত্তরবঙ্গ) বড় হয়েছি সেখানকার স্মৃতিও কম উপভোগ্য নয়। সেখানে নববর্ষের প্রাক্কালে আশেপাশে কোন মেলার আয়োজন চোখে পড়ে নি। যেটা টের পেতাম তা হল, বাসায় 'হালখাতা' লেখা কার্ড আসত অনেক যেখানে দোকানের নাম উল্লেখ করে বৈশাখের প্রথম ৩/৪ দিনের মধ্যে নির্দ্দিষ্ট কোন একটি তারিখে সেই দোকানে হালখাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে জানিয়ে, সেখানে যাবার নিমন্ত্রণ করা হত। অনেকে মৌখিকভাবেও দাওয়াত করত। শিশুমনে হালখাতার তাৎপর্য হিসেবে প্রথম যা জেনেছিলাম তা হল, এই দিনে ব্যাবসায়ী নতুন বছরের জন্য হিসেবের খাতা চালু করে এবং পুরনো পাওনা সংগ্রহ করে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বাস্তবতা যা দেখতাম তা হল, বাকী না থাকলেও দাওয়াত করা হত। তার চেয়েও মধুর বাস্তবতা ছিল, নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়নে পরিবেশিত বাহারী রকমের মিষ্টান্নের আয়োজন। কে কয় রকমের মিষ্টি খাওয়াতে পারে তা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাবসায়ীর মধ্যে একটা প্রতিদ্বন্দিতা হত যেন রীতিমত। আর আমরা বাচ্চারা কে কত খেতে পারি তার প্রতিযোগীতা। বলাই বাহুল্য যে, এই প্রতিযোগীতা আমরা পুরোমাত্রায় উপভোগ করতাম। অবশ্য আমাদের অভিভাবকদের কপালে দাওয়াতে যাওয়া নিয়ে চিন্তার বলিরেখা দৃষ্টির অগোচর হত না।কারণ, বাকী না থাকলেও, সৌজন্য উপহার হিসেবে ভাল অংকের কিছু নগদ টাকা তাদের খরচা করতে হত। উল্লেখ্য, হালখাতায় নগদ টাকা ভিন্ন আর কোন উপহারের চল দেখি নি। সেটাও আরেকটা দেখার মত বিষয় ছিল। দোকানে দোকানে নতুন লালসালু মলাটের খাতা আর নতুন রং করা ক্যাশবাক্সে বাহারী রঙা টাকা আর টাকা। তবে আমাদের কাছে লালরঙা দশটাকা যতটা আকর্ষণীয় ঠেকত, কালচে শত টাকার নোটেও তা হত না। টাকা দেখার আকর্ষণ আসলে সামান্য, অপেক্ষা কখন পরবর্তী আকর্ষণ , অর্থাৎ মিষ্টি খাওয়া শুরু হবে! ;)

অনেক সময় নববর্ষের আগে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হত। সেখানে আবার এই হালখাতার প্রচলন চোখে পড়ে নি তেমন। সেখানে পেয়েছি চৈত্র-সংক্রান্তির মেলা, যা পয়লা বৈশাখের ৩/৪ দিন আগেই শুরু হত, শেষ হত পয়লা বৈশাখে সম্ভবতঃ। স্থানীয়ভাবে সেটাকে 'গলইয়া' বা 'গৈল্যা' ডাকা হত মনে পড়ে। এটার স্মৃতি এই লেখায় যেভাবে এসেছে সেরকমই অনেকটা। আপনি অনেক সুন্দরভাবে সেই স্মৃতিগুলোকে মনে করিয়ে দিলেন এই লেখায়। আমার অবশ্য খেলনার চেয়ে, খাবার দাবারে ঝোঁক ছিল বেশি। :P

মধুর স্মৃতি জাগানিয়া এই লেখায় অনেক অনেক ভাল লাগা।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

ইমিনা বলেছেন: আপনার প্রতি আমি আসলেই অনেক কৃতজ্ঞ। আপনার স্মৃতি চারণ গ্রামীন পটভূমিকায় পহেলা বৈশাখ কে আরো সমৃদ্ধ করেছে। আপনার স্মৃতি বর্ণনা আমার ই পোস্টের জন্য নতুন সংযোজন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ নববর্ষ। ভালো থাকবেন সব সময়।।

৩০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

হতাশ নািবক বলেছেন: ভাল লাগার মত একটা পোষ্ট, বর্ণনা সাবলীল আর ছবি তো ফাটাফাটি ।

চিরায়ত গ্রামীন ঐতিহ্য মনে করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

ফিরে গেলাম আনন্দময় শৈশবে, আর বর্তমান প্রজন্ম বর্ননায় দেখা পেল এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য।

শুভ নর্ববষ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

ইমিনা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমি খুবই অনুপ্রাণিত। পহেলা বৈশাখের গ্রামীন ঐতিহ্যের সামান্য একটা অংশ তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।
ভালোলাগাটুকু জানিয়ে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো :) :)

৩১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার পোস্ট...
সুন্দর বচনভঙ্গি, ভাষা শৈলী আর উপস্থাপনায় সৃতি কাতর হয়ে পড়লাম বোধয়হ অনেকটাই...
শুভেচ্ছা জানবেন , বৈশাখের নতুন রোদের শুভেচ্ছা...
শুভ নববর্ষ ...

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

ইমিনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :) :)
ভালো থাকবেন সব সময়।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আগামী হোক আরো সুন্দর ও সফল ।।

৩২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৮

সকাল রয় বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ____ শুভ নববর্ষ ইমিনা

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

ইমিনা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার খুব ভালো লাগছে :) :)
শুভ কামনা সব সময়ের ।।

৩৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

অদৃশ্য বলেছেন:





দিলেনতো মনে করিয়ে সেইসব স্মৃতি... বৈশাখের এই মেলাতে ছোটবেলাতে যেতাম শুধু চাকু কিনবার জন্য... আর সেই চাকু কিনে ফেরার পর চলতো গাছে গাছে হামলা... কখনো দিনে কখনো রাতে...

চমৎকার হয়েছে লিখাটি... অনেক কিছুই ফিল করালেন...

শুভকামনা...

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

ইমিনা বলেছেন: চাকু?
ভয় পেয়েছি B:-) B:-)
এখন ও কি চাকুর শখ আছে নাকি ? B:-) B:-)
...
ফিল করাতে পেরেছি বলে ধন্য হয়ে গেলাম :P :P
অনেক অনেক শুভ কামনা :) :

৩৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ, পড়তে পড়তে একদম জীবন্ত লাগছিল। কিন্তু মন খারাপের বিষয় হল সেই দিনগুলা আর ফিরবেনা

বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

ইমিনা বলেছেন: হু, যে সব ভালো কিছু স্থায়ী হয় না তারমধ্যে শৈশব স্মৃতি অন্যতম।
:( :(
নতুন বছরের শুভেচ্ছা :) :)
অনেক অনেক ভালো থাকবেন ।।

৩৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২১

অদৃশ্য বলেছেন:






আছে বৈকি... বাসায় আম গাছ আছেতো?


শুভকামনা...

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

ইমিনা বলেছেন: বাসায় এখন মোট ১৫টি আম গাছ আছে। নিজ হাতে লাগিয়েছি । অন্য রকম মজা :) :)
আম গাছ থাকলে তি হবে বলেন তো? B:-) B:-)


গত বছর তোলা আমার বাসার সামনের আম গাছের ছবিটি :(

৩৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

একজন আরমান বলেছেন:
স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো। :)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

ইমিনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরমান ভাই :) :)
শুভ কামনা সব সময় ।।

৩৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: খুবই চমৎকার একটা পোষ্ট! নাড়ীর টানে সবাই যেন একটু বেশি উৎফুল্ল।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ইমিনা বলেছেন: মন ভালো করা মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ :) :)
অনেক দিন পর ব্লগে এসেছেন বোধ হয় ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো :) :)

৩৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

যাযাব৮৪ বলেছেন: খুব ভাল লাগছে

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

ইমিনা বলেছেন: এই প্রোপিক টা দেখলেই ভালো লাগে :) :)
আরো ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে।
নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো :) :)

৩৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার।
নস্টালজিয়ায় ভরে করে নতুন বছর বরণ।
শুভ নববর্ষ।
দারুন হোক বছর পুরো।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

ইমিনা বলেছেন: কবি'র কাছে ভালো লাগলো তো আর কথা ই নাই :) :)
ধন্যবাদ আর ধন্যবাদ জানাই
নতুন বছর শুভ হোক, সুন্দর হোক, আনন্দের হোক ।।

৪০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ইখতামিন বলেছেন:
সাবলীল বর্ণনায় শৈশবের সুন্দর স্মৃতিচারন

পহেলা বৈশাখে ঝড় হয়। কারণ আছে। আমাদের মতো ওরাও বর্ষবরণ উৎসবে মেতে উঠে.. B-)

নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো..

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৮

ইমিনা বলেছেন: এই বার ই প্রথম বারের মতো ঝড় ছাড়া পহেলা বৈশাখ পেলাম। তার মানে ওরা এই বার বর্ষবরণ করে নি
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ভালো লাগা :) :)
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ...

৪১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

অদৃশ্য বলেছেন:






কিছু আগে আপনার এখানে একটি মন্তব্য করে গেলাম সেটা কোথায় গেলো !?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

ইমিনা বলেছেন: সেটা বেড়াতে গিয়েছে। সেটা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। আমি না করলাম, তাও আমার কথা কর্ণপাত করিল না :( :(

৪২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: তখন সিক ছিলাম , ফ্রিজের পেপসি খেয়ে । :( :(

মনে রাখার জন্য অনেক থ্যাংক ইউ ইমিনাপু :D

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

ইমিনা বলেছেন: আপু, এমনি তে ই পেপসি খাওয়া অস্বাস্থ্যকর, তার মধ্যে ফ্রিজে রেখে রেখে খাওয়া আরো খারাপ। নিজের ভালো নিজে না বুঝলে কয় জন ঠিক এভাবে আমার মতো ভালো বুঝাবে? :P :P

৪৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

আমিনুর রহমান বলেছেন:




নববর্ষের শুভেচ্ছা ! পোষ্ট পড়ে পুরোনো স্মৃতি মনে পরে গেলো !

পড়ে অন্যকোণ সময় শেয়ার করবো।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ইমিনা বলেছেন: কি যে সার্থক হয়েছে না এই স্মৃতিকথা লিখে !!! :)
ভাবতেই ভালো লাগে।
...
নববর্ষের শুভেচ্ছা আমিনুর ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ :) :)

৪৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৯

ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:

দারুন কথামালায় অসাধারণ স্মৃতিচারন......................ভালো লাগল।

পুরাতন গ্লানি
যত জরা ব্যাধি
নিঃশেষ হউক তারা
নববর্ষে আসি।
-/////শুভ নববর্ষ/////-

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪০

ইমিনা বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে।
সে জন্য অশেষ ধন্যবাদ :) :)
ভালো থাকবেন সব সময় ।
শুভ নববর্ষ ...

৪৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:১১

দ্যা লায়ন বলেছেন: বাংলার বৈশাখী মেলা গুলো খুব মিস করি

চমৎকার ছবি কথা নিয়ে আপনার পোস্ট ভালো লাগলো

ধন্যবাদ

সুন্দর থাকুন সব কিছুতে

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:১৮

ইমিনা বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম :) :)
মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ কামনা

৪৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৩৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ।অনেক সৃতি মনে করিয়ে দিলে আপি ।
শৈশবে শুধু বড় হতে চাইতাম ,, আর এখন ভাবি যদি সত্যি একটা টাইমমেশিন পাওয়া যেত! ! ঐ সময়ে ফিরে গিয়ে আর কোনদিন বড়ই হতাম না! !!! :(

আমার ছোট মেয়ে শুধু বড় হতে চায় , আমি বলেছি বড় হয়ে গেলে আবার সেই ছোট ই হতে চাইবে আমার মত ।সে সাথেসাথে কি উত্তর দিয়েছে জানো? ?
মাম্মি তোমার মতো অল্ড হতে চাইনি , অনেক কাজ কর্তে হয়. আমি শুধু মাহী র থেকে বড় হবো!

ইমিনার প্রতিটা দিন অনেক সুখ আনন্দে কাটুক সেই কামনা রইলো

হলুদ তারা :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

ইমিনা বলেছেন: ব্লগে এসে সর্বপ্রথমে সোহেলী আপুর ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা জড়ানো মন্তব্য পাওয়ার কারনে কি না জানি না তবে এটুকু বলতে পারি যে এই আপুটিকে খুব খুব আপন মনে হয়েছে সেই শুরু থেকে ই।
আর সে জন্য আপুর জন্য আমার মনে জমা হয়ে আসছে এতো এতো ইন্টারেস্ট। আপুর বড় মেয়ের নাম বুঝি মাহী? কোথাও কোন সিস্টেম করে এই কিউট বাবুনীদের একটা পিক আমাকে দেখতে দেওয়া যায় না আপু?
...
সমস্যা থাকলে কিন্তু আমি সানন্দে ই আমার ইচ্ছা ও আগ্রহ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে বিনিময়ে চাইবো ব্লগে আপনার অারো বেশী বেশী পোস্ট।
আপুর জন্য এবং আপুর বাবুনীদের জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা :) :)

৪৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:১৪

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: বাঁশের বাঁশি, টেনিস বল আর রঙিন পাখির ছাও
কোথায় আজি হারিয়ে গেলো পাইনা হদিসটাও
নয়ন তারার চুলের ফিতা, রঙিন বেলোয়ারী
কিনে দিলে বোনটি আমার খুশি হতো ভারী
আর পাবো কি এ জীবনে 'পর্বি' পাবার মেলা
ভাবছি বসে বিষন্নতায় কেটে যায় যে বেলা ...

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

ইমিনা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
অনেক বেশী নস্টালজিক হয়ে গেলাম :(
তবে আজ যে দিনটি কাটাচ্ছি সেটা ই হয়তো সময়ের মহাকালে হারিয়ে গিয়ে স্মৃতির পাতায় ঠাই নেবে। তখন আজকের দিনটাকে ও খুঁজে পেতে চাইবো।
জীবনটা এমন ই। পেছনের দিনগুলো বড্ড বেশী পোড়ায়, বড্ড বেশী আকড়ে ধরে :( :(
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভ কামনা সব সময়।।

৪৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

নাছির84 বলেছেন: সাবলীল বর্ণণায় চমৎকার পোষ্ট।
শৈশবের কথা মনে হলেই মনটা কেমন কেমন করে ওঠে....। আমাদের পাশের গ্রামে একটা মেলা বসতো। অঞ্চলটার নামে তার নাম ছিল-‌'খাঁ পুরার মেলা।' ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেনীতে পড়াকালিন দুইবার মেলাতে ষ্টল দিয়েছিলাম। আমি আর আমার চাচাত ভাই। বেশিরভাগই ছিল মাটির তৈজসপত্র। শেষ পর্যন্ত আমারই এক কুকর্মে পরে আর ষ্টল দিতে পারিনি। এক ষোড়শীর মাথায় আলতার আস্ত একটা বোতল ঢেলে দিয়েছিলাম ! পরে ম্যালা ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।
আজ এতদিন পর সেইসব স্মৃতিই মনে করিয়ে দিলেন গলিয়া'র কথায়। ধন্যবাদ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

ইমিনা বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকেই বুঝা যাইতেছে যে আপনি আপনার ছোটবেলায় মোটেও ভালো ছিলেন না :P :P
অার ঐ কুকর্মের পর গনধোলাই খেয়েছিলেন কিনা তা জানতে বড় মন চায় ...

৪৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ইস, পুরাই নষ্টালজিক করে দিলেন! শৈশব! আহারে!
আমাদের গ্রামের বৈশাখীমেলাকে তখন বলত গাছতলার মেলা (মনে হয় কোন এক কালে বড় কোন গাছের নিচে বসত), সেটাকে ঘিরে কি যে আনন্দ খেলা করত, আর কি যে আয়োজন সারা বছর জুড়ে! মাটির ব্যাংকে পয়সা জমানো, উফ! এখন সেই আমেজ আর পাওয়া যায় না কোথাও :( মেলার সেই কদমা, কটকটি, সমপাপড়ি! উফ! জ্বিহ্বে জল চলে আসছে!

অনেক ভালো লিখেছেন! স্মৃতিকে উলটপালট করে দেওয়া লেখা একেবারে! নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৪৮

ইমিনা বলেছেন: ইস্, কি যে ভালো লাগছে আমার প্রিয় কল্প-কাহিনীর ব্লগারের মন্তব্য পেয়ে !!!
আর মন্তব্যের মাঝের অন্তর্নিহীত মুগ্ধতা না হয় না বললাম।
ভাইয়া, এই রুপ শৈশব স্মৃতিকে থিম হিসেবে নিয়ে একটা কল্প-কাহিনী লিখে ফেলেন প্লিজজজজজ ...
আপনার জন্য রইলো নতুন বছরের অনেক অনেক শুভ কামনা :) :)

৫০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৬

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: এই সুইট আপিটা একটা ছোট্ট আর্জি করেছে , আমি কি আর সেটা না রেখে পারি! !!!

হুম বড়টা মাহীদিয়া আরওয়া , ডাক নাম তানহা রেখেছিলাম কিন্তু কেন যেন ডাকা হয়না .মাহী
ছোট -- মায়সারা মুনতাহা ., পার্সিয়া Click This Link

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

ইমিনা বলেছেন: বাবুনীদের পিক দেখতে চেয়ে খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। না জানি আপু আবার রাগ করে বসে। তাহলে তো অনেক দুঃখ পেতাম।
কিন্তু এখন তো আমি সোহেলী আপুর পুরো পৃথিবীর সন্ধান পেয়ে গেলাম :) :)
বাবুনীদের পিক এবং নাম সত্যিকার অর্থেই সোহেলী আপুকে রিপ্রেজেন্ট করে। অনেক গ্রেট :) :)
থ্যাঙ্কু আপু, অনেক অনেক।।

৫১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

নাছির84 বলেছেন: গণধোলাই !!!! এখন যতদুর মনে পড়ে, আশেপাশে করতালির আওয়াজটা বড্ড কানে বাজছিল।
তা, আলতা ঢাললে যে গণধোলাই খেতে হয় তা জানতুম না। শিখলাম। এ দুনিয়ায় কতকিছু শেখার আছে.....

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

ইমিনা বলেছেন: কোন মেয়ের মাথায় আলতা ঢেলে দিলে যদি করতালির অাওয়াজ শুনতে হয় তবে স্বীকার করতেই হবে - ঐ টা একটা আজব দুনিয়া। ঐ দুনিয়ার আমি পছন্দ করি নাহ্ :(

৫২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

শায়মা বলেছেন: ইমিনা আপুনি আমার পুতুলপোস্টে করা তোমার মন্তব্যের জবাব কিছুতেই দিতে পারছিনা! কমেন্ট অপশান খুললেই ১০০ পর্যন্ত আসে!:(

২০০ থেকে ৩০০ কিছুতেই খুলছে না! স্যরি আপুনি! তুমি যেন আবার রাগ করোনা!:(

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

ইমিনা বলেছেন: থ্যাঙ্কু শায়মা আপুনি জানিয়ে যাবার জন্য। আমি তো অভিমানের কষ্টে মারা যাচ্ছিলাম।
আর অনেক অনেক ভালোলাগা আপনাকে পেয়ে :) :)
কত যে মিস করেছি আপুনিকে সে হিসাব করা ও প্রায় অসম্ভব।
লাভ য়্যু, লাভ য়্যু আপুনি :) :)

৫৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

কালোপরী বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ :)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৮

ইমিনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুনি
:) :) :)
অনেক দিন ধরে ই আপনি কোন লেখা পোস্ট দিচ্ছেন না
:( :(
এতো ভালো লিখতে পারেন অথচ আমরা তা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি না :(:(

৫৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

মরদেহ বলেছেন: মধুর স্মৃতি...
লেখাটা প্রায় মিস্‌ করে ফেলেছিলাম।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

ইমিনা বলেছেন: মন ভালো করা মন্তব্য।
:) :)
সেই জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন ।।

৫৫| ১২ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯

পংবাড়ী বলেছেন: ভালো লেগেছে।

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

ইমিনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :) :)
শুভ কামনা সব সময় ।।

৫৬| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: খুব ভাল লাগলো পুরো পোস্টটি। শৈশব স্মৃতি বড়ই মধুর। কপিলা গাছের বীজের ব্যাপারটা চমৎকার। কত মজার বিশ্বাস ছিলো আমাদের মনে!!



শুভকামনা রইলো।

২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

ইমিনা বলেছেন: কাকতাড়ুয়া !!!
:) :)
এই পোস্ট পছন্দ হইবে জানলে তো আরো একটু যত্ন নিয়ে লিখতাম :) :)

৫৭| ০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

ছবিঘর বলেছেন: স্মৃতিচারন ভালো লেগেছে :)

০১ লা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

ইমিনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ছবিঘর :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.