নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউনেস্কো আর হলুদ আলো! - ইয়া গফুর!

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

ইউনেস্কোর ১১ দফা সিদ্ধান্তে কোথাও দেখলাম না রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ বন্ধ করতে বলেছে বা তাদের আপত্তি আছে। বা আপত্তি বহাল আছে।

কিন্তু হলুদ পত্রিকাটির প্রথম পাতার লাল শিরোনামে -

"রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপারে ইউনেসকোর আপত্তি বহাল আছে"




এই পত্রিকার খবর সবাই সত্য ও গ্রহনযোগ্য মনে করে। আর প্রথম পাতায় থাকলে তো সেটা ধনান্তরি সত্য!
এই পত্রিকার লাল রঙের শিরোনামে দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানানো কোন ব্যাপারই না। যেমন -

এই পত্রিকা কিছুদিন আগে প্রথম পাতায় লিখেছিল -

রামপাল প্রকল্পে নেয়া ৭০ শতাংশ এক্সিম ব্যাঙ্ক ঋণ কিস্তি ও এর সুদ একাই বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হবে আর ভারত বসে বসে ৫০% লাভ খাবে! লায়াবেলিটি ১০০% বাংলাদেশের একার।
আম পাবলিক + শুশিল নামধারিরা এইসব অসম্ভব অবাস্তব খবরও বিশ্বাস করে বসে মস্ত মস্ত প্রবন্ধ লেখা সুরু করেছিল।

প্রকৃত পক্ষে এটি ছিল সম্পূর্ণ সুষম আন্তজার্তিক একটি চুক্তি। আন্তর্জাতিক স্টকমার্কেটে নিবন্ধিত, শেয়ার ক্রেতারা এসব চুক্তি খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে, হোষ্ট কান্ট্রির লোকসানের এত বিশাল ব্যাবধান দেখলে যে কেউ মুর্ছা যাওয়ার কথা। সংগবদ্ধ মিথ্যাচারিরা আকাশচুম্বি মিথ্যকেও সত্য বানিয়ে ফেলেছিল।

আসলে রামপাল চুক্তি ছিল একটি সুষম আর্থিক চুক্তি। জি টু জি ভিত্তিক। দুর্নীতির সুযোগ খুবই কম। চীন বা ফ্রান্সের কম্পানির সাথে হলে সাগর পরিমান দুর্নীতি হত।
এই প্রকল্প ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ এবং ৩০ শতাংশ ইক্যুইটি।
এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে যে ৭০ শতাংশ ঋণ (১৬০ কোটি ডলার) হিসাবে নেওয়া হবে সেট বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিশোধ করার প্রশ্নই আসে না।
ঋন নেয়া ও কিস্তি পরিশোধ করার দায়িত্ব নবগঠিত ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি.’ যা একটি লাভজনক মাল্টি ন্যাশানাল কম্পানি। যার মালিকানা বাংলাদেশ ভারত ৫০:৫০।
বাকি অংশ ইক্যুইটি ৩০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ (পিডিবি) বাংলাদেশ এবং ১৫ শতাংশ ভারতীয় ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) প্রদান করবে।
এই ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ও বিক্রি করবে।

কোন কারনে এই কম্পানী কিস্তি পরিশোধে ব্যার্থ হলে বিকল্প ব্যাবস্থা নিবে, বা ঋন রিশিডিউল করবে।
কোন কারনে এই কম্পানী দেউলিয়া হয়ে গেলে, অন্য আরেকটি কম্পানী এটি কিনে নিবে, বিশ্বে এরুপ শত শত উদাহরন আছে।
কেউ না কিনলে একটি ইনশুরেন্স কম্পানী এই দায় বহন করবে, যা লয়েড ইনশুরেন্স কম্পানির কাছে রিএশুরেন্স করা আছে। এরা নিয়মমাফিক দায় বহন করবে।

লয়েড ইনশুরেন্স কম্পানী সহ সবাই দেউলিয়া হওয়ার মত অসম্ভব ব্যাপার হয়ে গেলে তখন ফাইনাল লায়বেলেটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
এটাই নিয়ম, যেহেতু কারখানা ও সকল যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের মাটিতে।
এই চুক্তি নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। এরপরও প্রথমআলোরা দিনের পর দিন এসব ফালতু জিনিস লিখে গেছে। বার বার উলংভাবে ধরা খাওয়ার পরও অনুতপ্ত হয় নি, ভুল শ্বীকার করে নি।


কল্যানপুরের জঙ্গি ঘটনায় বলেছিল - সাজানো ঘটনা, জঙ্গিরা নয় পুলিশই আজান দিছে।
বিমানবন্দরের পুলিশফাড়ির কাছে আত্নঘাতি বোমা হামলাকারি কে সাজানো ও নিরিহ হোটেলকর্মচারি বলেছিল।
এখন অবস্য সেসব ব্যাপারে নির্লজ্জ বেহায়াদের মুখ ভোতা হয়ে গেছে।

বাস অর্ধেক সিট পুর্ন থাকার পরও বলেছিল বাসে ফরহাদমজহার সহ ৩ জন যাত্রী ছিল, তারা যাত্রী নয়, পুলিশ।
ফরহাদমজহারকে পুলিশ গুম করেছে বলে দিনে ৬-৭ বার আপডেট দিচ্ছিল।
পরে ভিডিও ফাস হওয়ার পর "ইয়া গফুর" বলে চিৎকার করে সব আপডেট বন্ধ! .. টোটালি বোবা।

গত এপ্রীলে একটি চাঞ্চল্যকর শিরনাম-
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রিজার্ভের অর্থ চুরি -
বলেছেন ম্যানিলায় ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা এফবিআইয়ের কর্মকর্তা।


অনেক শুশিল বিস্তারির না পড়েই স্ট্যাটাস দেয়া সুরু করেছিল FBI তদন্তে রিজার্ভের অর্থ চুরিতে সরকারি লোকজনই জড়িত।

আসলে মুল ঘটনা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগের লোকজন এই রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্তে হারনো অর্থের ফাইনাল ডেষ্টিনেশন উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করে মামলার নথি তৈরি করছেন। এ ঘটনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাঁরা এক চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করছেন।
হলুদআলোর আরো শত অপকর্ম লিখলে পোষ্টে স্থানসংকুলান হবে না।

তবে এইসব পজেটিভ খবর হলুদ আলোতে আসবে না, ইত্তেফাক এমনকি ইনকেলাবে পর্যন্ত ছেপেছে।

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুর্নীতি
আরো ৫ জন কারাগারে


স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে | ৩ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৯:১১

কক্সবাজার মহেশখালী’র মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে’র ২০ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলায় আরো পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ও জেলা জজ মীর সফিকুল আলম তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ৩ জুলাই মহেশখালী কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পের মামলায় দুদক চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর আসামীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়। পাঁচজনের মধ্যে সবাই আওয়ামীলীগ নেতা, জেলা পরিষদ সদস্য রুহুল আমিন, ধলঘাটা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু, আমিনুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও মুহিবুল ইসলাম।
দুদকের আইনজীবি সিরাজ উল্লাহ জানান, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ভুয়া মালিকানা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মামলার আসামিরা। আরো ৩ কোটি টাকার চেক ইস্যু করা হলেও পরে সেই টাকা পুনরায় উদ্ধার করা হয়। টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য তৎকালীন ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মাহমুমুদর রহমান ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- জিআর-১০৪০/২০১৪।
এই মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এডিসি জাফরকেও আসামী করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন



ইউনেস্কোর প্রকাশিত দফাগুলো পড়ে যা জানা গেল -

'এনি হাউ রামপাল হচ্ছেই' মেনে নিয়ে ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ঝুঁকি কমাতে ব্যাপক মনিটরিং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার সুপারিশ করতেই এই ১১ দফা দাবি। কোথাও নির্মানাধিন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরিতে আপত্তি আছে, এখুনি কাজ বন্ধ করতে হবে, বা প্রকল্প বাতিল করতে হবে, এধরনের কিছু পেলাম না।

বরং ১১ টি দফার ৭ টিতেই পরিবেশের উপর বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম, পদক্ষেপ ইত্যাদিতে স্পষ্ট ভাবে স্বাগত ও সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ চালু হওয়ার পর সুন্দরবনে পরিবেশগত প্রভাব। বায়ু ও পানিদূষণ এসবের প্রভাব নিরূপণ নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশকে। ঝুঁকি কমাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সুন্দরবনের আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সাল ভ্যালুর (ওইউভি) ওপর ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। পরিবেশ ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে আরও তথ্য দিতে হবে। বাস্তবায়নের অগ্রগতি উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। সরকার একটি Strategic Environment Assessment (SEA) করে রিপোর্টটি World Heritage Center for Review by IUCN এর কাছে একটি কপি জমা দেবে। ততদিন পর্যন্ত সরকার ঐ এলাকায় কোন বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ওরিয়ন ও রামপাল ২য় ইউনিট করা হবে না।
'রামপাল প্রথম ইউনিট চলবে' এটা আর মুখফুটে বলা লাগে?



ইউনেসকোর ১১ দফা সিদ্ধান্ত

১. ডব্লিউএইচসি/১৭/৪১.সিওএম/৭বি নথিপত্র যাচাই।

২. ৩৯ সিওএম ৭ বি.৮ সিদ্ধান্ত প্রত্যাবর্তন, যেটি ২০১৫ সালে জার্মানির বনে বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের ৩৯তম অধিবেশনে গৃহীত হয়।

৩. ওরিয়ন পাওয়ার প্ল্যান্ট ও রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় পর্যায় অনুমোদন না করার বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত।

৪. রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব নিয়ে সুন্দরবন ও দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় একটি কৌশলগত পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (এসইএ) চালানোর যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে, তাকে স্বাগত। এই সমীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে কোনো বৃহদাকার শিল্প বা অবকাঠামো নির্মাণ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হলো। এসইএ যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করে একটি প্রতিবেদন বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র এটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারকে (আইইউসিএন) দিয়ে পর্যালোচনা করে নেবে।

৫. পরিবেশগত পর্যবেক্ষণের তথ্য দেওয়ার জন্য স্বাগত। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণের প্রবেশ, স্বাদু পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থানের ওপর যে হুমকি সৃষ্ট করেছে, তা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের জন্য স্বাগত। এই হুমকির কারণে সম্পদ বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

৬. বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ পুরো সুন্দরবনের ব্যাপারে বাংলাদেশ (সুন্দরবন) ও ভারতের (সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্ক) আন্তসীমান্ত সহযোগিতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে উভয় দেশের সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত। সংশ্লিষ্ট এলাকায় পর্যাপ্ত স্বাদু পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে ২০১৬ সালে ইউনেসকোর মিশনের করা সুপারিশ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

৭. রামপাল প্রকল্প নিয়ে ২০১৬ সালে ইউনেসকোর রিঅ্যাক্টিভ মনিটরিং মিশনের করা অন্যান্য সুপারিশও পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

৮. ‘ন্যাশনাল ওয়েল স্পিল অ্যান্ড কেমিক্যাল কন্টিনজেন্সি প্ল্যান’-এর (এনওএসসিওপি)খসড়া তৈরির অগ্রগতিকে স্বাগত। সেই সঙ্গে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল জোগান এবং মানবসম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানানো হলো। সাম্প্রতিক নৌদুর্ঘটনাগুলোতে বিপজ্জনক উপাদান ছড়িয়ে পড়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে আরও তথ্য দিতে হবে। নৌচলাচলের কারণে ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে নৌচলাচল ব্যবস্থাপনা, ড্রেজিংয়ের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কেও তথ্য দিতে হবে।

৯. পশুর নদে পরবর্তী কোনো ড্রেজিং কার্যক্রম চালানোর আগে সুন্দরবনের আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সাল ভ্যালুর (ওইউভি) ওপর এর প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা চালানোর অনুরোধ জানানো হলো। সেই সঙ্গে কৌশলগত পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) করারও অনুরোধ জানানো হলো।

১০. কমিটি উদ্বিগ্ন যে, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনে পরিবেশগত প্রভাব পড়বে। বায়ু ও পানিদূষণ বাড়বে। নৌচলাচল ও ড্রেজিং বেড়ে যাবে। মিঠা পানি কমে যাবে। এর মধ্যেই ওই অঞ্চলের পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪১তম অধিবেশন ডব্লিউএইচসি/ ১৭ / ৪১. কম/ ১৮, পি ১০৪ অনুসারে কমিটি কৌশলগত পরিবেশ মূল্যায়নের (এসইএ) অংশ হিসেবে এসবের প্রভাব নিরূপণ নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশকে। ঝুঁকি কমাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সুন্দরবনের আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সাল ভ্যালুর (ওইউভি) ওপর ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. সবশেষে অনুরোধ, যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। কমিটির ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় ৪৩তম অধিবেশনে ওই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে।


সম্পুর্ন রিপোর্টটি http://whc.unesco.org/en/sessions/41com/ থেকে ডাউনলোড করে ২৯৫ পাতার pdf ফাইলের ১০৩ পাতায় রামপাল অংশ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবই ঠিক আছে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র শেখ হাসিনার জন-প্রিয়তা কমায়েছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জনপ্রিয়তা কমার আরো অনেক কারন আছে রে ভাই

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৩০

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: http://www.thedailystar.net/bangla

ফিরিঙ্গা ভাষা একমাত্র জনাব তৌফিক এলাহিই বোঝে আর কেউ বোঝে না। ভাষাটা বুঝতে পারলে বোঝা যেত ইউনেস্কোর সিদ্ধান্তে ছাড়ের কথা নেই।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডেইলি স্টার প্রথমআলোর ইংলিশ ভার্শন। মালিকও একই।
মডিফাই করা খবর প্রথম পাতায় দিয়ে দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানানো এদের কাছে কোন ব্যাপারই না। কোন ব্যাপারই না।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আমেরিকা ভালই জানে এশিয়ায় তার ইন্ডিয়া ছাড়া আর কোন বন্ধু নাই। আর ইন্ডীয়াকে হাতে রাখতে হইলে আওয়ামী লীগকে রাগানো যাবেনা। তাই আওয়ামী লীগ যাই করুক না কেন, তাতে আম্রিকার কাম জাতিসংঘ কাম ইউনেস্কোর আপত্তি নাই। তাছাড়া রাম্পালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তো ইন্ডিয়ার জন্যই হচ্ছে। তাই তারা খালি 'অনুরোধ' আর 'বিবেচনা' দিয়া কাজ সারছে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় থাকতে এরকম কিছু করত, তাইলে 'কেলানি' কারে বলে - তা পুরা জাতি টের পাইত।

২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে নির্বাচন মেনে নেবেনা বলছিল, কিন্তু ২০১৪ সালে বিএনপি ছাড়া যে নির্বাচন হইল, তা তো ঠিকই মাইন্যা নিল। এইখানেই সব রহস্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.