নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তরুণীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবরটি ৫ দিনেও কোন পত্রিকা ছাপেনি

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

তরুণীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবরটি কোন পত্রিকায় গুরুত্ব পায়নি।
গুরুত্ব? না আসলে স্থানীয় একটি ছোট পত্রিকা ছাড়া কোন পত্রিকা ছাপেইনি। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া তো আরো দুরের ব্যাপার।
সুধু একটি জাতীয় পত্রিকায় (যুগান্তর) ভেতরের পাতায় ছোট করে এসেছিল। এরপর নো আপডেট।




মধুপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে এক তরুণীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবর পায় মধুপুর থানা পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে। হত্যা করে লাশ সড়কের পাশে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রেখে যায় এমনটি ধারণা করে শনিবার মধুপুর থানা পুলিশ নিজেরাই একটি হত্যা দায়ের করে। তখনো সব মিডিয়া কিছুই জানে না। বেওয়ারিস লাশ পাওয়ার খবরটি পর্যন্ত ছাপেনি। রহিংগা .. ভারতের রাম-রহিম সিং নিয়ে ব্যাস্ত ছিল।

টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় গত শুক্রবার পরিচয় না মেলায় গত শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে ওই তরুণীর লাশ টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে মধুপুর প্রশাসন। এরপর সব ভুলে যাওয়ার কথা।

মিডিয়া ভুলে থাকলেও পুলিশ বসে থাকেনি।
মফস্বলে দেখেছি পুলিশ বাদির কাছ থেকে যথেষ্ট এমাউন্ট না পেলে মামলার তদন্ত আগায় না, পুলিশ বাদি মামলায় পুলিশ আসামী খুজে না। টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে পুলিশ নড়েই না।
মধুপুর পুলিশ বসে থাকেনি।
ক্লু বের করতে সেই পথের একের পর এক বাস থামিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ চলতে থাকে। বাসস্ট্যান্ডের কর্মচারিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলতে থাকে এভাবে চার দিন পার হয়ে যায়। এরপরও ধর্যহারা হয় নি মধুপুর পুলিশ।

মধুপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ব্যাপক তদন্তের পর নিহতের ভাই খোজাখুজি ও জিডি মারফত জানা যায়, ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন ওই রুপা নামের এই তরুণী।

পুলিশ ছোয়া পরিবহনের সকল কর্মচারির ডিউটি রেকর্ড তন্ন তন্ন করে সেই রাতের বাসের চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাকটার খুজে বের করে। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পিটিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৩ জন ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জরিত বলে জানা যায়।
এই তিনজন ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করে। পরে ওই তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।



তারপর জানা যায় নিহত তরুণী রুপা প্রামানিক, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ি গ্রামের, সে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজে এলএলবি বিষয়ে অধ্যায়নরত ছিল এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলা সদরে অবস্থিত ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রোমশনাল ডিভিশনে কমর্রত ছিলেন।

এই তিনজন আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর সব মিডিয়ার হুশ হয়।
ঘটনার ৬ দিন পর জাতীর বিবেক, বড় পত্রিকাগুলো খবরটি প্রথম পাতায় হেডলাইনে ছবিসহ ছাপে।

গতানুগতিক ভাবে খবরের নীচে কমেন্টররা লিখছে -

দেশে ভগ্ন আইনশৃক্ষলা ব্যাবস্থা ..
দুর্নিতীবাজ পুলিশ, আইনের শাসন নেই ..
দেশে বিচারহীনতার কারনেই এভাবে ... একের পর এক ...

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


পত্রিকার সংখ্যা কমায়ে আনার দরকার; নিউজপ্রিন্ট আমদানীর টাকাগুলো ঘরে থাকুক।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঘটনার ৬ দিন পর জাতীর বিবেকদের হুশ ..

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেখেন বিদেশে আরামে থেকে প্রথমআলোতে এই বাষ্টার্ড কি লিখেছে দেখুন -
প্রায় প্রতিদিন ধর্ষণ হচ্ছে। ধর্ষণ করে অনেক মেয়েদের হত্যা করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, এই দেশটাতে কোনো পুলিশ নেই। নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ নেই। আইন নেই। বিচার নেই।
view this link

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৮

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: চাঁদগাজীর সাথে সহমত

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গাজী সাব ফালতু একটা অসম্পুর্ন মন্তব্য করেছে, এইটার সাথে একমত হলেই বা কি।
আমার মুল বক্তব্যের সাথে একমত কি না, সেটা স্পষ্ট করে বলুন।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এটা খুবই হতাশাজনক খবর! আজকাল কোন একটা সামান্য ঘটনাই ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রকাশ পায় আর এটা তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ খবর। ব্লগে কোন সাংবাদিক থাকলে তাকে অনুরোধ এ বিষয়ে ভাবতে।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের পুলিশের যে বদনাম আছে, কয়েকজন তা ঘুচাতে পারবে না।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পুলিশের বদনাম আছে সত্য
মফস্বলে দেখেছি পুলিশ বাদির কাছ থেকে যথেষ্ট এমাউন্ট না পেলে মামলার তদন্ত আগায় না, পুলিশ বাদি মামলায় পুলিশ আসামী খুজে না। টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে পুলিশ নড়েই না।
অবস্য মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার পেলে পুলিশ বাধ্য হয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসে।

এখানে মিডিয়ার কোন চাপ তো দুরের কথা খবরই ছিল না। টাকা প্রাপ্তিরও কোন সম্ভাবনাই ছিলনা।
মধুপুর থানার ওসি ও সব স্টাফদের আন্তরিক চেষ্টার ফলে আসামী সনাক্ত হওয়া এবং খুজে পাওয়া সম্ভব হয়। যেটা মোটামুটি এদেশে বিরল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.