নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা বিরোধী আন্দোলন ছিল সবটাই প্রপাগান্ডা নির্ভর

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

গত ৩ মাস জাবত যা দেখছি।
কোটা বিরোধী তথাকথিত মেধাবীদের আন্দোলন ছিল সবটাই বাশের কেল্লার ন্যায় প্রপাগান্ডা নির্ভর। মিথ্যা ও ভন্ডামি পদে পদে।

১। প্রথম ভন্ডামি ছিল বংগবন্ধুর ছবি।

মেধাবীদের ‘আন্দোলন।’ মুহূর্তেই হাজার হাজার মানুষ। জনস্রোত। এবং সবার হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি!
এরা কোথায় ছিল এতদিন? এত বিপুল দেশপ্রেমিক! কই, এরা আগে কখনো জয় বাংলা উচ্চারন করতো? জয় বংগবন্ধু তো দুরের কথা বুকে আমি রাজাকার লেখা জামাত শিবির কবে শেখ মুজিবর রহমান কে কখনো বঙ্গবন্ধু বলতো? (বঙ্গবন্ধু উচ্চারন করলে যাদের অজু নাকি নষ্ট হয়ে যায়)।
অথচ ওরা শাহবাগ - টিএসসি দখল করে রাজাকারের বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে মার্চপাস্ট করছে!
ফাজলামির সীমা থাকা দরকার।


২। আন্দোলনটা শুরুই হয়েছিল একটি মিথ্যা দিয়ে
- কোটায় গন্ডমুর্খ নিয়োগ দিয়ে দেশের "৫৫% খায়া ফেলতেছে" গত ৮-১০ বছর সরকারী নিয়োগ পর্যালচনা করে দেখা গেছে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগে ৭০-৭৭% নির্বাচিত হয়েছিল কোটার বাইরে থেকে, তথাকথিত মেধবীকোটায়। পর্যাপ্ত শিক্ষিত প্রার্থি না পাওয়াতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পেয়ে আসছিল মাত্র ৩-৪% , সর্বচ্চ একবার পেয়েছিল ৭%
আন্দোলনকারিদের মুল দাবি ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ থেকে কমিয়ে ৫% করা। অতচ মুক্তিযোদ্ধারা কার্যত ৫% চেয়ে কম পেয়ে আসছিল।
অতচ নির্বিচারে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল - গন্ডমুর্খ নিয়োগ দিয়ে দেশের "৫৫% খায়া ফেলতেছে"।

৩। সবচেয়ে নির্লজ্জ ডাঁহা মিথ্যা প্রপাগান্ডা হচ্ছে কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তরা অ-মেধাবী, মুর্খ।
মন্ত্রিপরিষদের প্রাক্তন সচিব সাদাত হোসেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির টকশোতে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন এই দাবি অসত্য।
কোটা প্রার্থিরা মেধাবীদের মতই পর্যাপ্ত জিপিএ নিয়ে আবেদন করতে হয়, একই প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা হয়, পরিক্ষায় মেধাবিদের মত পর্যাপ্ত নম্বর পেয়ে পাশ করার পরই কোটার ব্যাপারটি আসে। কোটাধারি নির্বাচিতরা অ-মেধাবী বা মুর্খ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
অর্থাৎ কোটায় নির্বাচিত প্রার্থিরা তথাকথিত মেধাবীদের মতই সমান বা বেশী মেধাবী, কারন তাদের বুকে অন্তত "আমি রাজাকার" লেখা নেই।

৪। রগকাটা গুজবের কথা তো সবারই জানা।
আগের দিন গভীর রাতে উষ্কানি দিয়ে ছাত্রীদের হল থেকে রাস্তায় নামানো হয়েছিল, রাতের আধারে একটা দুর্ঘটনা ঘটলে দায়ী করার জন্য ছাত্রলীগ তো আছেই। তাই পরদিন ছাত্র নেত্রীরা প্রতিটি রুমে যেয়ে সাবধান করে দেয় যাতে আজ রাতে কেউ আর বের না হয়।
হয়তো উষ্কানি দেয়া নেত্রীদের রুমে একটু খারাপ ভাষায় বলেছিল "আজ রাতে যেই খানকি গেইট থেকে বের হবি .. তাদের থাবরানো হবে" বা আরো খারাপ ভাষায় খারাপ ভাবে বলতে পারে।
হয়তো রুমের অন্যান্য মেয়েরা একথায় তেমন প্রতিবাদি না হওয়ায় বা এমনিতেই ক্ষোভে অন্ধ হয়ে কাঁচের পার্টিশনে লাথি মারে, পা কেটে রক্তাক্ত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
অতচ নির্বিচারে গুজব ছড়ানো হয়েছিল ছাত্রলীগ আন্দোলনরত এক ছাত্রীর রগ কেটে দিয়েছে। ছবি সহ লক্ষ লক্ষ শেয়ার, স্ট্যাটাস। সামুতেও ডজন ডজন পোষ্ট, মেয়েটি পর্যন্ত হাসপাতালে বলেছিল কেউ রগ কাটেনি, রগকাটা হয় নাই। এরপরও হাজার হাজার স্ট্যাটাস, পোষ্ট, লাইক, শেয়ার,

এই মিথ্যা ছবি দিয়ে সামুতে আমেরিকায় পিএইডি করা এক নামজাদা হেভিওয়েট ব্লগার, কানাডা প্রবাসি এক নারী সেলিব্রেটি ও আরো অনেকে চরম উষ্কানিমুলোক পোষ্ট দিয়েছিল। এতে প্রকৃত সত্য মিথার পাহাড়ে ডুবে যায়। পরে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার পরও এসব সেলিব্রেটিরা একবারো দুঃখিত বা অনুতপ্ত হয় নি।

৫। আরেকটি নির্লজ্জ ডাঁহা মিথ্যা তাদের ৩ নেতাকে চোখ বেধে গ্রেফতার করে মেঝেতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির খালেদের জেরার মুখে স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে কাউকেই চোখ বাধা হয়নি, মেঝেতে নয়, সবাই চেয়ারেই বসা ছিল।

৬। আরেকটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার! আহত তরিকুলকে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

রাজশাহীতে তরিকুল পর্যাপ্ত চিকিৎসা পেয়েছিল।
রামেক ডাক্তার সাহেব নিজেই বলেছেন তরিকুল হাসপাতালে এলে তাৎক্ষনিক তরিকুলের এক্সরে করা হয়।
তরিকুলের ভাংগা পা রক্তাক্ত ছিল না, ভেতরে হাড্ডি ক্র্যাক ছিল। তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিয়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে, অসুধপত্র দিয়ে পরদিন ছুটি দেয়া হয়। ১৫ দিন পর আসলে আবার এক্সরে হবে, তার পর অবস্থা বুঝে ১০-১৫ দিন পর ব্যান্ডেজ খুলতে আবার আসতে হবে।
গুরুতর বাদে সাধারন হাড্ডি ভাংগা সকল রোগিদের জন্য এটাই নিয়ম।
কিন্তু এখানেও মিথ্যা প্রপাগান্ডা। মিথ্যা প্রচার চলছে,
টকশোতে এখনো বলে যাচ্ছে তরিকুলকে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। দিনের পর দিন বলে যাচ্ছে নির্লজ্জ মিথ্যুক বেহায়ার দল।


এখন শুরু হয়েছে "উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ" ব্যানারে কাহিনী।
দু-চার জনকে চড় থাপ্পোর/পিটুনি, কেউ মারা যায় নি, হাত পা ভাংগেনি, রক্তাক্ত হয়নি। এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কি আছে?
আগে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুকবাজি, বোমা গ্রেনেড, ইলিয়াস আলি অভিদের পিস্তলের তান্ডোবে লাশের পর লাশ পড়তো।
বা দুতিন বছর আগে আন্দোলনের নামে শতাধিক বাসযাত্রী, ড্রাইভাব হেল্পার, সিএনজি চালক পেট্রলবোমায় পুড়িয়ে কয়লা বানানো হচ্ছিল!
বা মাত্র কিছুদিন আগেও ধর্মাদ্ধ জঙ্গিরা দিনের পর দিন চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত তান্ডোব চালাচ্ছিল, তখন এই "উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ" শিক্ষক নামের কুলাঙ্গাররা কোথায় ছিল?

কোটা বাতিল/স্থগিত হয়েছে আগেই, সংস্কার লাগবে। মাত্রই বাজেট অধিবেশন শেষ হল।
তারহুরা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা এত সহজ না। প্রয়োজনও নেই। কারন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কখনোই ৩-৪% বেশী পাচ্ছে না, দেশের ৫৫% খায়া ফেলতেছে না। এখনতো সবই বন্ধ। এই দুমাসে কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয় নি, বিশ্বব্যাঙ্ক বলেছে সরকারি জনবল প্রয়জনের চেয়ে অনেক বেশী। মাথাভারি প্রশাসন। নিয়োগ দুচার বছর বন্ধ রেখে কিছু ছাটাই করা উচিত।

রাতারাতি প্রজ্ঞাপন কিভাবে সম্ভব।

প্রধানমন্ত্রী দেশের মালিক না যে বললেই কোটা বাতিল হয়ে যাবে। কয়েকদিন স্থগিত রাখতে পারে সুধু।

আদিবাসি/খুদে নৃগোষ্ঠি, পঙ্গু, এজিবিটি, মহিলা কোটা থাকতেই হবে।
বাংলাদেশ জেন্ডার ইকুইটি স্বাক্ষরকারি দেশ। চাকুরি বাজারে নারী-পুরুষ একটা কাছাকাছি গ্রহযোগ্য সমতা না আসা পর্যন্ত এসব সুরক্ষা দিতে রাষ্ট্র অংগিকারাবদ্ধ।
জেলা কোটাও থাকতে হবে। সরকারি উচ্চপদে ৯০% কুমিল্লা সিলেটের। উত্তরবঙ্গের একটাও নেই! জেলা বৈষম্য কমিয়ে আনাটাও জরুরি।

সরকারি চাকুরি জন্য এত মাথা খারাপ কেন? চাকুরির বাজারে সরকারি চাকুরি (সচিব থেকে পিয়ন পর্যন্ত) ৪% মাত্র।
শুন্যপদ ১% এর কম হবে। আজকাল পদ শুন্য হলেও নতুন নিয়োগ হয় না, কারন মাথাভারি প্রশাসন। বিশ্বব্যাঙ্ক বলেছে বাংলাদেশে সরকারি জনবল প্রয়জনের চেয়ে অনেক বেশী। মাথাভারি প্রশাসন। নিয়োগ দুচার বছর বন্ধ রেখে কিছু ছাটাই করা উচিত।

বেসরকারি কর্পোরেট ৯৬% চাকুরির তো কোটা নেই। প্রডাক্সান খাতে উচ্চ বেতনে ম্যনেজমেন্ট পদে বেশির ভাগ ভারতীয়রা দখল করে আছে। অনেকেই বেআইনি ভাবে। স্কোয়ার ও ইউনাইটেড হাসপাতালে দেখা যায় বিদেশী নার্স! দেশের ছেলে-মেয়েরা বেকার, আর কর্পোরেট আগ্রাসন! বিদেশী নিয়োগের বিলাসিতা চলছে! বাহহ!
প্রবাসী ভারতীয়দের সবচেয়ে বেশী বৈদেশিক রেমিটেন্স আসে বাংলাদেশ থেকেই।
কথিত মেধাবিরা কি কখনো দাবী করেছে "বিদেশীরা, ভারতীয়রা আমাদের চাকুরির বাজার দখল করছে" এর অবসান চাই?

ইসলামি ব্যাঙ্ক সহ দেশের ডজন খানেন শরিয়া ভিত্তিক ব্যাঙ্ক এ অলিখিত ১০০% শিবির কোটা, ওহাবী-সালাফি কোটা।
কেউ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলে চাকুরি হলেও সে ফায়ার হবে নিশ্চিত। হিন্দু বা অন্য ধর্মের একজনও নেই। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শুধু মুসলিমরা আবেদন করার যোগ্য! ইবিনেসিনাও একই অবস্থা।
এসব বৈষম্যের কোন প্রতিবাদ আছে?

প্রজ্ঞাপন জারি এত সহজ কোন ব্যাপার না।
কে কত পার্সেন্ট কোটা প্রাপ্য একটা এক্সপার্ট কমিটি তৈরি হবে,
গনশুনানি হবে, একটা প্রস্তাব হবে, প্রস্তাব ফাইনাল হবে
সংসদে আলোচনা হবে,
আইনটি প্রস্তাব আকারে সংসদে উথাপিত হবে, সংসোধনের দাবি পালটা দাবি হবে।
সময় হলে সংসদে ভোটাভুটি হবে।
প্রয়জনে আরো আলোচনা আরো সংসোধন হবে।
হা/না ভোটে আইনটি পাস হলে, বিলটি প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে যাবে ,
প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর ও প্রাথমিক অনুমোদন করে প্রেসিডেন্টের কাছে স্বাক্ষর করতে পাঠাবেন।
প্রেসিডেন্টের মনপুত না হলে উনি ফেরত পাঠাতে পারেন। আরো সংসোধন/ সংযোজনের জন্য।
ফাইনালি প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর হয়ে গেলে ফাইলটি সচিবালয়ে যাবে।
তারপর গেজেট নটিফিকেশন বা প্রজ্ঞাপন।
এসব দুএক মাসে হওয়ার কথা না। দুবছর লাগলেও আমি কোন সমস্যা দেখিনা।

প্রজ্ঞাপন হাতের মোয়া না যে প্যাডে কম্পোজ করে, সাইন করে ফটোকপি করে দেয়ার মত এত সহজ কিছু না।

এই সকল বাস্তবতা না বুঝে, না জেনে যে সকল শিক্ষিত শয়তান, আর কিছু বখাটে পোলাপান অনবরত বলেই চলেছে একটি প্রজ্ঞাপন দিলেই নাকি ঝামেলা শেষ!! এই সকল বদমাশের দল, জানেনা তারহুরা করে শুন্য কোটার প্রজ্ঞাপন জারী হলে প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে! মানবধিকার লঙ্ঘন হবে, আদালতে রিট হবে, একটা বড়সড় অরাজগতার শৃষ্টি হবে।

কোটা সংস্কার হবে। তবে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

গরল বলেছেন: আপনার কথা হয়ত ঠিক, কিছু উষ্কানি ও গুজব যে নেই তা না, তবে সরকারও বিচক্ষনতার পরিচয় দেয়নি। আর কোটা সংস্কারটাও জরুরী ও সময়ের দাবি। যেখানে ৫-৭% এর বেশী পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে ৩০% রাখারই বা যৌক্তিকতা কতটুকু।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোটা সংস্কারটা অতি জরুরী কিছু না। তবে সময়ের দাবি।

জরুরি দাবি হওয়া উচিত - 'সবার জন্য কর্মসংস্থান চাই'
সরকারি শুন্যপদ ১% ও নেই

বেসরকারি কর্পোরেট সেক্টরে নিয়মবহির্ভুত ভাবে ৫ লাখের উপর ভারতীয় উচ্চ বেতনে চাকুরির বাজার দখল করছে।
এই অনিয়মের অবসান চাই।

কর্পোরেট অফিসে নিয়মবহির্ভুত ভাবে ৫টা অফিস সময় শেষ হওয়ার পরও ঘন্টার পর ঘন্টা অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত বিনা ওভারটাইমে কাজ করানো হচ্ছে।
এই অনিয়মের অবসান চাই।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে মেধাবী কোনকালে ছিলো না, এখনো নেই; আছে পড়ুয়া, ভালো ছাত্র; ভালো ছাত্রদের থেকে বিসিএস হচ্ছে, এরাই জাতির সবচেয়ে বড় ডাকাত।

বিসিএস'রা দেশকে নাইজেরিয়াতে পরিণত করেছে!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মেধাবী কারে কয়?

শাল মগস্ত, রাজধানীর নাম মগস্ত করা বিসিএস গাইডে হাফেজ।
এরা বছরের পর বছর সরকারি পদের (ঘুষের চাকুরি) জন্য বসে থাকে, অন্য চাকুরি খোজে না।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই মুহূর্তে বেকার সমস্যা সমধানের জন্য কোনটা বেশি জরুরী?

বছরে ১০-১২টা শুন্যপদ সরকারি চাকরীতে কোটা সংস্কারের জন্য যুদ্ধ করা?

৯৫% সম্পূর্ণ কোটামুক্ত বিশাল চাকরীর বাজার সম্পূর্ণ বিদেশীদের দখলে চলে যাওয়ার আগে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলা?

কোন কোটা ছাড়াই যদি দেশের সবগুলো সরকারী শূর্ণ্য পদ পূরণ করা হয়,তাহলেও মাত্র ৫% (প্রকৃত শুন্যপদ ০.১%) কর্মসংস্থান হতে পারে।আর এই ৫& চাকরীর জন্য বিসিএস প্রিলিতে ৩লাখে ২৯০০০০ ফেলকরা আমাদের স্বঘোষিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা মহাসাগরেরা এই দুচারটি জবের জন্য আরো এক বছর বসে থাকে। রাস্তাঘাটে আন্দোলনের নামে কেউ শিক্ষকের বাসায় আগুণ ধরিয়ে দিচ্ছে,
কেউ আন্দোলনের নামে সরকার হঠানোর ইন্ধন যোগচ্ছে আর কেউ সরকার হঠানোর জন্য প্রাপ্ত টাকার ভাগাভাগি নিয়ে নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করে সাধারন ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার বিঘ্নসৃষ্টি এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।

অন্যদিকে দেশের ৯৫%চাকরীর বিশাল বাজার প্রকৃত মেধাবীর অভাবে হাহাকার করছে।
আর এই সুযোগে বিদেশীরা আমেরিকা, ইটালি, বৃটেন, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রলিয়া,মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা এবং ভারতের সত্যিকারের মেধাবীরা এসে বিসিএসের চেয়ে ভাল বেতন টেকনিক্যাল ও ম্যানেজমেন্ট জবগুলো দখল করে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা রেমিটেন্স নিয়ে যাচ্ছে।

চাকরি করতে যোগ্যতা, মেধা লাগে। ম্যাঁডাবী,সার্টিফিকেট নয়।


৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

চোরাবালি- বলেছেন: গতকাল কোটা নিয়ে কথা হচ্ছিল, একজন বেশ বিরোধীতা করল কোটা বাতিলের বিপক্ষে বিশাল একটা বক্তিতা দিলেন। পরে খোজ নিয়ে জানা গেল তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জায়গা পেয়েছেন, তারা চাচা ২টি ফ্লাট দখল করে রেখেছেন।

আসলেই কোটা রাখতেই হবে। না থাকলে যে তাদের স্বার্থ রক্ষা হবে না।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ২ নং মন্তব্যকারী যথার্থ বলেছেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর সবদেশেই পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠির জন্য কোটা ব্যাবস্থা আছে

এই আন্দোলন টোটালি সভ্যতা বিরোধী মানবতা বিরোধী প্রপাগান্ডা নির্ভর কিছু বখাটেদের আন্দোলন।
জেন্ডার সমতা বিরোধী, রাষ্ট্রিয় ওয়েলফেয়ার বিরোধী, সংবিধান বিরোধী তথাকথিত মেধাবী, ঘুষের চাকুরি লোভি, শাল মগস্ত রাজধানীর নাম মগস্ত করা মেধাবীদের আন্দলোন।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আপনি কি কোটাধারী? পুরাই দলকানার মত বলে গেলেন। ৮ এপ্রিলে সাধারণ ছাত্রদের উপর পুলিশ-ছাত্রলীগের যৌথ হামলা, শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের হতে না দেওয়া, ইশা কর্তৃক নির্যাতন, ছাত্রলীগ ও বহিরাগতদের চাপাতি-রামদার মহড়া, লাস্ট কয়েক দিনে আন্দোলনের কর্মীদেরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা, হাতুড়ি দিয়ে পা ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক নির্যাতনের মতো গাড়িপোড়ানো ইত্যাদি মামলা দিয়ে আন্দোলনের নেতাদেরকে বন্দি করা, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও বহিরাগতদের সন্ত্রাসী হামলা, পুলিশ-প্রক্টরের না দেখার ভাণ করা ইত্যাদি সবই তো এড়িয়ে গেলেন। তারা বুকে "আমি রাজাকার" কেন লিখেছিল তা আপনি ভাল করেই জানেন (আমিও আমার একটা ব্লগে এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম)। তবুও সেটা নিয়ে গ্রাম্য পলিটিশিয়ানের মত কথা বললেন। হ্যাঁ, আন্দোলনকারীদের থেকে কিছু মিথ্যা অবশ্যই ছড়িয়েছিল, কিন্তু এরও কারণ আছে। আন্দোলনের কন্ট্রোল রুম ছিল না যে, ওখান থেকে সব ঘোষণা ও খবর প্রচার পাবে। তাই যেকোনো গণ আন্দোলনের মত এটাতেও বেশ কিছু গুজব ছড়িয়েছে। আর, আন্দোলনের নেতাদেরকে শিবির বলে প্রচার করাই তো সবচেয়ে বড় মিথ্যা ও গুজব ছিল। সেটাও তো এড়িয়ে গেলেন। কাছ থেকে দেখেছি যে, শুরু থেকে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল ছাত্রলীগের স্বাধীনচেতারা কিছু ছেলে (যাদের বেশিরভাই এখন সরে এসেছে)। তাদের জন্যই এই আন্দোলন শুরু থেকে আওয়ামীতোষণকারী ছিল। আর সাধারণ যেকোনো মানুষ বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধুই বলবে। আপনি যে ৩-৪% কোটার কথা বললেন, তা উচ্চপর্যায়ে। নিচের দিকে কোটা কোটা আর কোটা। যেমন রেলওয়েতে ৪০% পোষ্য কোটা।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি কোটাধারী হব কিভাবে? আমি কি সরকারী চাকুরি করি?
আমি বাংলাদেশে একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতাম, এখন চাঁদ্গাজীর দেশে নিউইয়র্কে আছি। স্থায়ীভাবেই।
আমি মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে ১০০% গর্বিত দলকানা।

হাতুরি ব্যাবহার হয়েছে শুধু রাজশাহীতে, সেখানে শিবির প্রাধান্যে বিরোধীরা সসস্ত্র ও শক্তিশালি।
অন্যান্য স্থানে খালি হাতেই পিটুনি হয়েছে। হাতুড়ি দিয়ে মাথায় বারি দেয়া হয় নি। চেপে ধরে সুধু পায়ের একটি বুড়ো আংগুলে দুটো বারি দিছে। রাজশাহিতে যেখানে কথায় কথায় শিবিরের গুলি বোমা খুনাখুনি হয়ে আসছে, সেখানেীই মামুলি একটি বুড়ো আংগুলে হাতুড়ি আঘাত সামান্যই বলা যায়।

আমি এসব ছাত্রলীগের মারপিটের তীব্র বিরোধি।
প্রয়োজনে পিটাবে পুলিশ। ছাত্রলীগ কেন?
ছাত্রলীগ ও ছাত্র রাজনীতি বিলুপ্ত হওয়া উচিত।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ১/ মেধাবীদের ‘আন্দোলন।’ মুহূর্তেই হাজার হাজার মানুষ। জনস্রোত। এবং সবার হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি!
এরা কোথায় ছিল এতদিন? এত বিপুল দেশপ্রেমিক! কই, এরা আগে কখনো জয় বাংলা উচ্চারন করতো?

রাজনৈতিক পরিচয়ে অন্ধ হওয়া কখনোই ভালো নয়! রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে যখন শাহবাগে সবাই একত্রিত হয়েছিল তখনও এরাই কিন্তু ছিল। সেই আন্দোলন কিন্তু সাধারণ মানুষ দিয়েই শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নাম ক্যাশ করে বেঁচে থাকা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্র লীগ কিন্তু সেখানে ছিল না। সাধারণ মানুষের সেই আন্দোলন পরে এসে আওয়ামী লীগ জয়েন করেছিল! আর সাধারণ মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু এখনো আদর্শের নাম। আওয়ামী লীগের মত বঙ্গবন্ধুর ব্যবসা তারা করে না। তাই হয়ত আপনি এত বঙ্গবন্ধু প্রেমিক দেখেন না। কারণ এই সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর সাইনবোর্ড ব্যবহার করে গুন্ডামি, নারীর শ্লীলতা হানি কিংবা চাপাতি নিয়ে বের হবে না।


২/ কাগজে কলমে কত পার্সেন্ট কোটা বিদ্যমান এটা সবাই জানে। আর সরকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে আপনি যে হিসাব দিলেন তার পাশাপাশি এইচ টি ইমামের কোটা দিয়ে কত পার্সেন্ট নিয়োগ হয়েছে সেই হিসাব কি আপনার কাছে আছে। যেহেতু ঐ নিয়োগের প্রক্রিয়া সচ্ছ উপায়ে হয় নি তাই হয়ত প্রকৃত হিসাব বের করা সম্ভব না। আপনি যেহেতু অন্ধের মত বক্তব্য তুলে ধরেছেন সেহেতু আপনার কাছ থেকে সেই হিসাব আশাও করা যায় না।

৩/ রাজাকার ইস্যুটা আপনারা যেভাবে ব্যবহার করছেন তা দেখে মনে হয় আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যে কেউ কোন কথা বলবে তাকেই আপনারা রাজাকার ট্যাগ দিয়ে দিবেন। আমিও অপেক্ষায় রইলাম রাজাকার ট্যাগ খাবার জন্য। নিয়োগ প্রাপ্তরা অমেধাবী এই ধরনের কথা একটা ধোঁয়াশা তৈরি করার জন্য হয়ত আপনারাই আমদানি করেছেন। একটি পদের জন্য পরীক্ষা নেয়া হল। সেখানে ১০ জন আবেদন করল। পরিক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় হল কোটা বিহীন কেউ আর তৃতীয় হল কোটা ধারি কেউ। এখন নিয়োগ পেল তৃতীয় হওয়া আবেদনকারী। এখানে আপনি বলেন মেধার কি জায়গা হয়েছে? অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী জায়গা পেয়েছে! আলোচনা হচ্ছে এই বৈষম্যের! অমেধাবীদের ধরে ধরে চাকরি দেয়া হচ্ছে বিষয়টা তা নয়!

৪/ হয়তো উষ্কানি দেয়া নেত্রীদের রুমে একটু খারাপ ভাষায় বলেছিল "আজ রাতে যেই খানকি গেইট থেকে বের হবি .. তাদের থাবরানো হবে" আবারো রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার চেষ্টা! এখানে হয়ত দিয়ে আপনি এপ্রোচ সহজ করার চেষ্টা! অন্ধ হওয়া দোষের না এভাবে বিবেক বন্ধক দেয়া কি মানানসই! হলে যারা থাকার অভিজ্ঞতা আছে তাদের কাছে এই হয়ত এর গল্প করে কোন লাভ নেই। সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন যে কি করে তা ওপেন সিক্রেট!

সরকারী উচ্চ পদে সিলেট কুমিল্লার অধিকাংশ তাই অন্য জেলার মানুষকে চাকরি দিয়ে সাম্য আনতে হবে না। সরকারের কাজ হচ্ছে অবহেলিত সেই জেলার মানুষকে শিক্ষায় শিক্ষিত করা। যাতে করে তারা নিজ যোগ্যতায় চাকরি পেতে পারে। কোটা দিয়ে তাদের সমান অধিকারে আনা সম্ভব না। আর কোটা নিয়ে কোন কথাতেই সবার আগে চলে আসে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে। এটা একটা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার উত্তম পন্থা। এই কোটা তো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য না। এই মুহূর্তে চলছে মুক্তিযোদ্ধা নাতি নাতনি কোটা। এর জন্য বলা হয় স্বাধীনতা বিপক্ষ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের এই দেশেই সামনে এগিয়ে যাবার সুযোগ দেয় নি। সময়ের হিসাবে সেই হিসাবটাও তো সঠিক না।

স্বাধীনতার ৪৮ বছরে আওয়ামীলীগ এবং তার সহযোগী সরকার ক্ষমতায় ছিল বেশি। ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে হিসাব করি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সরকার। এরশাদের ৯ বছর আওয়ামিলিগের সহযোগী ( যেহেতু শেখ হাসিনা সরকারের অংশ এরশাদ, সেই হিসাবে স্বাধীনতা বিরুধি হিসাবে এরশাদকে বলা যাচ্ছে না। নয়ত শেখ হাসিনা স্বাধীনতা বিরুধিদের সাথে জোট করেছে তা স্বীকার করতে হবে) , ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী সরকার, ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আওয়ামী সরকার চলছে। সময়ের হিসাবে দেশ স্বাধীনতার পর অধিকাংশ সময় আওয়ামী সরকার। তারপরও কিভাবে মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত। যদি অবহেলিত হয়ে থাকে তাহলে এর দায় তো আওয়ামী সরকারের বেশি।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

রাকু হাসান বলেছেন: আপনার পোস্টের বেশ কিছু বিষয়ের সাথে বিনয়ের একতম হতে পারছি না । দুঃখিত

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সামুর সবাই একমত হতে হবে এমন দাবী তো করিনি।

প্রধানমন্ত্রী শুন্য কোটা ঘোষণার বিকল্প ছিল না!
তবে, প্রধানমন্ত্রী শুন্য কোটার কথা বলার পর আরো কিছু বলেছিলেন,
আদিবাসী, নৃগোষ্ঠি কিছু কোটা রাখতেই হবে
যারা কোটার সুবিধা প্রাপ্ত কিছু (নারী/মু্ক্তিযোদ্ধা/আদিবাসী/প্রতিবন্ধী) তাদের জন্য রাষ্ট্র ভিন্ন পদক্ষেপ নিবে।
সেই ভিন্ন পদক্ষেপ কি এত সহজেই নেওয়া সম্ভব? কোটার সুবিধা পায় এমন কয়েকটি মন্ত্রণালয় আছে। স্টাডি করে সে সকল গোষ্ঠির সুপারিশ কি ১ মাসেই পাওয়া সম্ভব?

এই সকল বাস্তবতা না বুঝে, না জেনে যে সকল শিক্ষিত শয়তান অনবরত বলেই চলেছে একটি প্রজ্ঞাপন দিলেই নাকি ঝামেলা শেষ!! এই সকল বদমাশের দল, একটি বারের জন্যও বলেনি, তারহুরা করে শুন্য কোটার প্রজ্ঞাপন জারী হলে প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে! আদালতে রিট হবে, একটা বড়সড় অরাজগতার শৃষ্টি হবে।

আসলে কোটাফোটা কিছু না , ওটাই কারন।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: গন্ডমূর্খ কি জিনিস?
৫% যদি কোটা থেকে বাস্তবেই যায় তো তাদের জন্য ৪০% রাখার প্রয়োজন কি? লোক দেখানো রাজনীতি?
বংগবন্ধুর ছবি আর নাম ব্যবহারের অধিকার কি শুধু আওয়ামীলিগের?

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

প্রতারনা করে সবার হাতে মুজিবের ছবি দিয়ে এক সকালেই শাহাবাগ ভরে
রাস্তা বন্ধ,ঢাকা অচল! এরপর আর বঙ্গবন্ধু নাই, বঙ্গবন্ধু নাম তুলে গালাগালি।
আরো বেশী পিটানো দরকার ছিল।

প্রধানমন্ত্রী শুন্য কোটা ঘোষণার বিকল্প ছিল না!
তবে, প্রধানমন্ত্রী শুন্য কোটার কথা বলার পর আরো কিছু বলেছিলেন,
আদিবাসী, নৃগোষ্ঠি কিছু কোটা রাখতেই হবে
যারা কোটার সুবিধা প্রাপ্ত কিছু (নারী/মু্ক্তিযোদ্ধা/আদিবাসী/প্রতিবন্ধী) তাদের জন্য রাষ্ট্র ভিন্ন পদক্ষেপ নিবে।
সেই ভিন্ন পদক্ষেপ কি এত সহজেই নেওয়া সম্ভব? কোটার সুবিধা পায় এমন কয়েকটি মন্ত্রণালয় আছে।
স্টাডি করে সে সকল গোষ্ঠির সুপারিশ কি ১-২ মাসেই পাওয়া সম্ভব?
রোজা ঈদ গেল, জটিল বাজেট অধিবেসন এইসব বাদ দিয়ে শুধু কোটা ফোটা নিয়ে পরে থাকতে হবে!

এই সকল বাস্তবতা না বুঝে, না জেনে যে সকল শিক্ষিত শয়তান, আর কিছু বখাটে পোলাপান অনবরত বলেই চলেছে একটি প্রজ্ঞাপন দিলেই নাকি ঝামেলা শেষ!! এই সকল বদমাশের দল, একটি বারের জন্যও বলেনি, তারহুরা করে শুন্য কোটার প্রজ্ঞাপন জারী হলে প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে! মানবধিকার লঙ্ঘন হবে, আদালতে রিট হবে, একটা বড়সড় অরাজগতার শৃষ্টি হবে।

আসলে কোটাফোটা কিছু না , গন্ডোগল পাকানো। ওটাই কারন।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

যাযাবর চখা বলেছেন: আপনের পোষ্ট পুরাটাই প্রপাগান্ডা নির্ভর। X((

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ১ - বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেছিল যাতে জামায়াত-বিএনপি ট্যাগ না খায় এ জন্য। ভেবেছিল ছাত্রলীগকেও কাছে পাবে। একই কারণে শেখ হাসিনাকে (ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও) 'মাদার অব এডুকেশন' খেতাব দিয়েছিল তারা...
২ - এসব পরিসংখ্যান দুই পক্ষের কাছেই আছে। কোটার সংস্কার হওয়া দরকার। কোটা আন্দোলনকারীদের যুক্তি ছিল ১০০ তম আর ১০০০তম একই মেধাবী নয়...
৩ - কোটার কারণে অনেক পরের দিকের মেধাবীরা উপরের দিকের মেধাবীদের স্থান দখল করে। যার কারণে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ণ হয় না...
৪ - গুজব হোক আর সত্য হোক। ছাত্র নেতা আর নেত্রীরা হলে হলে যা করে তার প্রতিবাদে সুযোগ পেলে এরকমই বিস্ফোরণ হবে...
৫ - কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের আওয়ামী লীগের কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল। কোন বড় দলের ব্যাকিং ছাড়া এরকম আন্দোলনে এক সময় হার মানতেই হবে। যে কারণে, চোখ বাঁধা, পুলিশ নিয়ে যাওয়া, টক শো-তে ভ্যবাচ্যাকা সব কিছু মিলিয়ে হযবরল...

প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপনি যেভাবে বললেন, সেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সংসদে বললেন, কোটাই বাতিল করে দিলাম(এটা কীভাবে বলে দিলেন কোন প্রজ্ঞাপন ছাড়া, গণশুনানি ছাড়া, ভোটাভুটি ছাড়া?)। বরং উনি বা সরকারের কেউ একটা টাইমফ্রেম দিতে পারতেন। উনি বা উনার সরকার চাইলে এগুলো ১ সপ্তাহের ব্যপার...

বিঃদ্রঃ তবে কোটা আন্দোলনকারীরা এত তাড়াতাড়ি আবার আন্দোলনে নামা উচিত হয়নি(এটা আমি চাঁদগাজীর পোস্টেও লিখেছি)। কমপক্ষে ১ বছর অপেক্ষা করতে পারতে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কোটাই বাতিল করার ভিডিও তো ছিলই। এই পর্যায়ে তারা অপরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে...

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আন্দোলনকারীদের যুক্তি ছিল ১ম আর ১০০তম একই মেধাবী নয়। এই যুক্তি সম্পুর্ন অগ্রহনযোগ্য।
এরা সবাই GPA 5 পেয়ে আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। প্রিলিমিনারি, লিখিত পরিক্ষায় পাশ, এরপর ভাইবা পাস করার পর কয়েকশত প্রার্থির একটি প্যানেল তৈরি হয়। তারপর কোটার প্রশ্ন।
৬ লাখ পরিক্ষার্থি থেকে বাছাই করা কয়েকশত প্রার্থি সবাই এমসিকিউ পরিক্ষায় ১০০ তে ১০০ পাওয়া, ১ নং বা ৬৪ নং হোক তালিকায় প্যানেলের প্রত্যেকে সমান মেধাবী।


আমার একটি প্রশ্ন, পাবলিক সার্ভেন্টদের অতি মেধাবী হওয়ার প্রয়জনিয়তা আছে কি না?

ডা। জাফরুল্লা চৌধুরী কিছুদিন আগে প্রথম আলোতে ডাক্তারি ভর্তি পরিক্ষা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলেন।
কট্টর আওয়ামী বিরোধী গণস্বাস্থ প্রধান জাফরুল্লা চৌধুরীর কিছু কথা আমার কাছে ভাল লেগেছে।

উনি বলেছেন পাবলিক মেডিকেলে (সরকারি ডাক্তার) সুপার মেধাবি খুব একটা প্রয়োজন নেই,
কেবল উচ্চ জিপিএ, ভর্তি পরিক্ষার উচ্চ স্কোর কখনোই পাবলিক হেলত সেক্টরের একজন ভাল ডাক্তারের মাপকাঠি হতে পারেনা। জিপিএ-৮/১০ দরকার, তবে সেটাই মূল নিয়ামক নয়। একজন ডাক্তারি পাস করতে ডাক্তার হতে যতটুক মেধার দরকার ততটুকু হলেই চলে।
মুল দরকার জনসেবামুলক মনভাব, নির্লোভ সেবার মানসিকতা ও সহমর্মিতা।
বেশি দরকার সাধারণ মানুষের জন্য ভালোবাসা, দেশপ্রেম। প্রয়োজনে গ্রাম, চর ও সারা বাংলাদেশকে নিজের শহর মনে করতে পারা এবং স্বাস্থ্য টিমের সকল কর্মীর সঙ্গে মিলে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মন-মানসিকতা।
সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন হচ্ছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস।

ডা। জাফরুল্লা চৌধুরীর অভিমত বিসিএস পাবলিক সার্ভেন্টদের বেলায়ও প্রযজ্য বলে মনে করি।
সুত্র- view this link

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেছিল যাতে জামায়াত-বিএনপি ট্যাগ না খায় এ জন্য।

আমিও সেটাই বলে চেয়েছি,
যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেছিল তারা আদৌ বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ আদর্শ ধারন করত না।
শুধু করেছিল যাতে জামায়াত-বিএনপি ট্যাগ না খায় আর পুলিশের প্রাথমিক ধাওয়া না খায়। সেকারনেই বঙ্গবন্ধুর ছবি আর 'মাদার অব এডুকেশন'

এব্যাপারে একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিনা ভোটের নির্বাচনের মনোয়নপত্র পেয়েছেন মনে হচ্ছে। কথাবার্তা স্টাইল পুরাই হবু মন্ত্রীর =p~

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

নিঃশব্দের অটল প্রহরী বলেছেন: এই দলকানা ছাগলটা এখনও ঝিরঝিরায়া ল্যাদায় সামুতে। সেলুকাস।

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কোটার তো প্রয়োজন দেখি না। যে লোক হাঁটতে পারে না তার লাঠি দরকার নয়তো হুইল চেয়ার। সুস্থ-সবল লোকের জন্য কেন কোটা? পরীক্ষা দিয়া পাশ করলে বা ঠিক মতন ঘুষ দিতে পারলে যেখানে চাকরি হয় সেখানে কোটার কী মূল্য?
যারা প্রতিবন্ধী তারাও মেধার জোরে চাকরি পায়।

তারপরও আমি বলি প্রতিবন্ধী কোটা রেখে বাকি সব কোটা তুলে দেওয়া হোক। যার মেধা আছে সে চাকরি পাক। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনেক রাজাকার (ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা) আর রাজাকারের ছাও রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাচ্ছে। কোটা না থাকলে সেটা হইতো না। আর যেই দেশে ঘুষ ছাড়া বলতেগেলে কিছুই হয় না, সেখানে এইসব কোটা-ফোটা দিয়া কী হবে আর মেধা দিয়াই বা কী হবে?

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকারি চাকুরি জন্য এত মাথা খারাপ কেন?
চাকুরির বাজারে সরকারি চাকুরি কয়টা? মোট চাকুরির বাজারে (সচিব থেকে পিয়ন পর্যন্ত) ৪% মাত্র।
বিসিএস বাদে শুন্যপদ .০১% এর কম হবে।

আজকাল পদ শুন্য হলেও নতুন নিয়োগ হয় না, কারন মাথাভারি প্রশাসন। বিশ্বব্যাঙ্ক বলেছে বাংলাদেশে সরকারি জনবল প্রয়জনের চেয়ে অনেক বেশী। মাথাভারি প্রশাসন। নিয়োগ দুচার বছর বন্ধ রেখে কিছু ছাটাই করা উচিত।
এই আট-দশটা চাকরির জন্য লাখ লাখ মেধাবীরা এইভাবে মুল্যবান মেধা নষ্ট করতেছে ..

এবার দেখলাম বুয়েটের ট্রিপলই প্রথম হওয়া এক ছাত্র বিসিএস প্রসাসন ক্যাডারে!
বুয়েটের ট্রিপলই এক ছাত্রের পিছে রাষ্ট্রের কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
ছাত্রের নিজের পকেটের ২-৩ লাখ, সাড়ে চার বছরের কঠিন শ্রম তার পরিবারেরও অর্থ শ্রম মুল্যবান সময়
এই কষ্টার্জিত মেধা বিসর্জন দিয়ে বিসিএস প্রসাসন কর্মকর্তা? মানে উপজেলা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ক্যারানিগিরি তল্পিবহন করা!
এরা কোন মেধাবী?
এরা বছরের পর বছর সরকারি পদের (ঘুষের চাকুরি) জন্য বসে থাকে, অন্য চাকুরি খোজে না।

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


সংবিধানের ১৯(১) ধারায় উল্লেখ আছে, "রাষ্ট্র প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে"। কোটা পদ্ধতি সংবিধানের এ ধারার সাথে সাংঘর্ষিক হলেও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থেকেই এটা করা হয়। সাধারন মানুষেরও তাতে সমর্থন আছে। তবে কোটা পদ্ধতিটি অবশ্যই যৌক্তিক হওয়া বাঞ্চনীয়। অতি কোটার কুঠারাঘাতে সরকার ও প্রশাসন যাতে মেধাহীন হয়ে না পড়ে সে বিষয়েও সরব দৃষ্টি রাখা জরুরী।

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬% কোটা সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০%, জেলা কোটা১০%, নারী কোটা ১০%, উপজাতি কোটা ৫% এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১%। সাধারন শিক্ষার্থীদের জন্য বাকী ৪৪%।

হিসাব করে দেখা গেছে দেশের প্রায় ৩% মানুষ এসব কোটা প্রথার সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী। বাকী ৯৭% মানুষ কোটা প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নারী কোটা, জেলা কোটা, উপজাতি কোটা এবং প্রতিবন্ধী কোটা নিয়ে তেমন আপত্তি না থাকলেও মূলত ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই যত আপত্তি। সমাজের কোন বিশেষ অংশকে সুবিধা দিতে গিয়ে বৃহত্তর অংশকে বঞ্চিত করা কোন অবস্থাতে কাম্য নয়।

৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কী যুক্তিসঙ্গত?

এ প্রশ্নের সমাধানের আগে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া জরুরী।

(১) বাংলাদেশে কী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংরক্ষিত আছে?
(২) তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কী কোন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে?
(৩) সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সবাই কী কোটা প্রথার সুবিধা পাচ্ছে?
(৪) বাংলাদেশে কত পার্সেন্ট মানুষ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য?

একাত্তরে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা না হওয়ায় গত দুই দশকে হাজার হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত হয়েছে। রাজনৈতিক যোগসাজশে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ইউনিটগুলোর দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির ফলে এমনটি হয়েছে বলে বিজ্ঞজনের মত। বিষয়টিতে সরকার টিকমত গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশ এখন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধায় সয়লাভ। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই কারসাজিতে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশে যদি একজনও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা থাকে তাহলে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তা অমর্যাদাকর ও অপমানের।

কিছুদিন আগে পত্রিকার একটি সংবাদ দেখে আৎকে উঠলাম। বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের ছেলে ফেরিওয়ালা! স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নয়, বাস্তবে। তিনি নাকি গ্রামে গ্রামে, হাটে বাজারে ফেরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সংবাদটি কতটুকু সত্য জানি না। যদি সত্য হয় তাহলে পুরো জাতি উনার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।

তিনি কী কোন কোটার মধ্যে পড়েন না?

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছুদিন আগে পত্রিকার একটি সংবাদ দেখে আৎকে উঠলাম। বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের ছেলে ফেরিওয়ালা!

এ খবর টা ১০ বছর আগের খবর।
২০০৯ এ ১৬ই ডিসেম্বর প্রথমআলোতে ছাপা মহাজোট সরকারের প্রথম বিজয় দিবসের একটি আলোচিত খবর।
মানে এটা তার আগের ৭ বছরে বিম্পি-জামাত ও তত্তাবধায়ক সরকারের অবহেলার ফসল।

এখন খবর নিয়ে দেখেন ভাল আছে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কী যুক্তিসঙ্গত?
আবার আৎকে উঠবেন না।
আমি বলবো ৩০% অপর্যাপ্ত, এটা ১০০% করা উচিত।
(যদিও ৩% বেশী পাবেনা ,কারন মুক্তিযোদ্ধারা দরিদ্র ও পর্যাপ্ত শিক্ষিত নয়)।

এটা শুধু সরকারি সেক্টরে, বেসরকারি সেক্টরেও কোটার পরিসর বাড়ানো উচিত। থাকতে হবে।
এই কোটা বর্তমানে শুধু জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে, নিহত শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকেও কোটা ও ভাতা সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

তালিকায় কিছু ভুয়া আছে তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দিতে চাছেন? ভুয়া থাকলে সংসোধন করতে হবে বাদ দেয়া যাবে না।

মুক্তিযোদ্ধারা ঘরবাড়ী ফেলে বিনা বেতনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে গেল, জীবন হারালো! এরা প্রানপন যুদ্ধ করে স্বাধীন না করলে আমাদের জন্য ভিক্কার কোটা থাকত মাত্র ১০%
বাকী ৯০% থাকত পাঞ্জাবী আর উর্দূভাষীদের জন্য।

কেউ যুদ্ধে যেতে বলেনি, এরপরও মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে গেছিলো এক কাপড়ে।
বাপ মা কে না বলে, বিনা বেতনে। যুদ্ধকালিন সময়ে ওরা কখনোই কোন বেতন দাবী করে নাই।
যুদ্ধশেষের দিকে অল্পকিছু হাতখরচ দেয়া হচ্ছিল। যুদ্ধে যাওয়ার অপরাধে রাজাকাররা ওদের ঘরবাড়ী জালিয়ে দিয়েছিল। পরিবারের উপর অত্যাচার হয়েছিল।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন একটি দেশ উপহার দেয়ার পরও ওরা কোন পুরষ্কার, চাকুরী বা বকেয়া বেতন দাবি করেনি। পরে ভিক্কা করে রিকশা চালিয়ে জীবনপার করেগেছে। কোন ভাতা কোন সুবিধা কখনোই দাবী করেনি।

৩০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধপক্ষ ক্ষমতায় এসে প্রতিদান দেয়ার ইচ্ছে থাকার পরও কিছু দিতে পারেনি।
আরো ৪ বছর পরে রাষ্ট্র আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করলে সামান্য ভাতা, কিছু সম্মান, আর সরকারী চাকুরিতে ৩০% অগ্রাধিকার দেয়া শুরু করে।
কোটা সিষ্টেম বাংলাদেশের শুরু থেকেই চলছে কোন বিতর্ক ছাড়াই।
কোটা ব্যাবস্থা পৃথিবীর সকল সভ্য দেশে চালু আছে, আছে।
ধনাঢ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অষ্ট্রেলিয়াতেও আছে, পাসের দেশ ভারতেও ...
আপনি বলছেন জনসংখ্যার ১.২৫% মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০% কেন?

পৃথিবীতে কোথাও জনসংখার অনুপাতে কোথাও কোটা রাখা হয় না, কোটার কোন নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজও থাকে না। সবসময় সবর্চ্চ ১০০% অগ্রাধিকার।
কোটা রাখা হয় সাধারনত পিছিয়ে পরা, আদিবাসি জনগোষ্ঠির জন্য, অনুন্নত রিমোট এলাকার জন্য। পঙ্গু ডিসএবেলদের জন্য তো আছেই। আর প্রাক্তন যুদ্ধফেরত যোদ্ধাদের (ভেটারেনস) জন্য।
চাকুরি বাজারে এসব বেনিফিসারিরা সংখায় ১% হলেও এদের কোটা ১০০%, চাহিবা মাত্র চাকুরি।
সরকারি বেসরকারি সব সেক্টরেই। যে কোন আদিবাসি, পঙ্গু বা প্রাক্তন যোদ্ধা পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকলে তার চাকুরি আগে হবে ১০০% ভাগ কোটা। পঙ্গুরা পর্যাপ্ত আউটপুট দিতে পারেনা এরপরও তাকে ডেকে চাকুরি দেয়া হয়, এতে এম্পয়েআর ট্যাক্স রেয়াত পায়, কানাডাতে কোন পঙ্গু নিয়োগ হলে কম্পানী ক্ষতিগ্রস্থ মনে হলে পঙ্গুর ৯০% বেতন সরকার দেয়।
কম্পানীরা উম্মুখ হয়ে থাকে কোটা বেনিফিসারিদের চাকুরি দিতে।

কেউ তো কখনো বলে না জনসংখার ১-২% মানুষ দেশের ৯৮% মেধাবী নাগরিকদের অর্থ চাকুরি সব লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে!
কেউ তো বলে না বিশেষ অংশকে সুবিধা দিতে গিয়ে বৃহত্তর অংশকে বঞ্চিত করে দেশের সর্বনাষ করা হচ্ছে!

ভেটারেনসরা আমেরিকায় অত্যন্ত সম্মানি নাগরিক। তাদের ক্যাপে গাড়ীতে লেখা "প্রাউড ভেটারেন"
আমেরিকায় ২য় মহাযুদ্ধ ফেরত সৈনিক, ভিয়েতনাম ফেরত যোদ্ধাদের ও তাদের পোষ্যদের উচ্চহারে কোটা ও অন্যান্ন সুবিধা চালু আছে। ভেটরেনসদের জন্য থাকে আলাদা কাউন্টার আলাদা লাইন। পার্কিং স্পেস, রেশন, ট্রেনভাড়া ফ্রী! বুড়ো হয়েগেলেও তাদের পরিচর্যার জন্য লোক রাখা হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের গুর্খা সৈনিকদের ৩য় প্রজন্মদের এখনো বিশেষ সুবিধা, ভাতা দিয়ে যাচ্ছে বৃটেন সরকার।



১৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: কোটা ব্যবস্থাকে আমি ঘৃণা করি।

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোটা ব্যাবস্থা পৃথিবীর সকল সভ্য দেশে চালু আছে। আপনি হয়ত অসভ্য।

১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

রুহুল আমিন খান বলেছেন: এতদিন ইয়ং জেনারেশনকে চেতনার আফিমে বুদ রেখে মুক্তিযুদ্ধে নামে যে মাজার ব্যাবসা চলছিলো এই কোটা বিরোধী আন্দোলনে তা শেষ। এখন দেখা যাক ভায়াগ্রা ভ্যাকসিনের(প্রশাসনিক শক্তি দলীয় ক্যাডার) জোরে মুক্তিযুদ্ধের মাজার ব্যাবসা কত দিন চলে।
মুক্তিযুদ্ধ নামক ডিম পাড়া হাঁস কে তথাকথিত বিচক্ষন প্রজ্ঞাবান শেখ হাসিনা অবশেষে জবাই করে ফেললো এই কোটা ইস্যুতে।
অথছ উনি চাইলে একটা ভারসাম্যপূর্ন ব্যাবস্থা নিতে পারতে দুই পক্ষের জন্য তার জনপ্রিয়তা ইয়ং জেনারেশনের কাছে বেড়ে যেত।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধে নামে যে মাজার ব্যাবসা চলছিলো?
এতদিন ইয়ং জেনারেশনকে আফিমে বুদ রেখে ৩০ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবের নাম উচ্চারন করতে দেয়া হয় নাই।
পাকিস্তানি হানাদার না বলে শুধু হানাদার!


মিথ্যা প্রতারনা আর গুজব নির্ভর আন্দোলন কখনো সফল হয় না।

৬ লাখ আবেদনকারি। জিপিএ প্রিলিমিনারি, সেকেন্ডারি এরপর ভাইবা দিয়ে ১০০ জন প্রাথমিক নির্বাচিত। প্রথমে চাকুরি হবে ৪০ জনের, বাকিরা ওয়েটিংয়ে।
এই ১০০ ভেতর ১০ জন মেয়ে, ১ জন চাকমা, ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের।
আন্দোলনকারিদের মুল দাবী এই ১৪ জন অ-মেধাবী, প্রথম ৪০ জনের ভেতর এদেরকে নেয়া যাবে না।

অতচ এই ১০০ জন সবাই জিপিএ ৫, এমসিকিউ তে ১০০ তে ১০০ নম্বর পাওয়া প্রত্যেকেই সমান মেধাবী। তালিকা থাকলেও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.