নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শেষদিকে যেভাবে বড়দের

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩১




গত এক সপ্তাহ ধরে খুদে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আমলা-মন্ত্রী থেকে আমজনতা সকলেই দারুনভাবে এপ্রিশিয়েট করেছে। সবাই বলেছে, সবাই চেয়েছে যে, এমনটা দরকার ছিলো।

স্কুলশিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নগরে বিভিন্ন স্থানে খন্ড খন্ড ভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন। সরকার সব দাবিমেনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রায় সমাপ্তির পথে -
তাহলে শেষদিন জিগাতলায় এমন রণক্ষেত্র কেন হলো ?
তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হচ্ছে, দাংগাহাংগামা গুজবের আগে শুরু হয়েছিলো, নাকি গুজবের পরে ?

খুদে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের "নিরাপদ সড়ক চাই" আন্দোলন টা শেষদিকে ইংলিশ হয়ে গেল।
"we want justice" বাংলাদেশের আন্দোলন ইংলিশে হয় কিভাবে? জাষ্টিস ফর তাহামিদ, জাষ্টিস ফর চৌধুরী (সাকা) স্টাইল!

রংঢেলে বানানো "৪ জন শিক্ষার্থী নিহত, এবং ৪ জনকে আটকে রেখে ধর্ষিত হচ্ছে" খবরটি মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যে বারুদের মতো ছড়ানো হয়েছে। এবং পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, এটি শক্তিশালী ওয়েল অর্গানাইজড টিমের পূর্ব পরিকল্পিত বিষয়। বিশেষ করে গুজব ছড়ানোর পরিকল্পিত ধাপগুলো যদি একটু খেয়াল করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন।

- প্রথমে কয়েকটি খুব আনাড়ি ভাবে (যেন মাত্র ঘটেছে, রিয়েলিষ্টিক সত্য বুঝানোর জন্য) হাতের মুখ ঢাকা ভিডিও ছেড়ে দেয়া হলো
- হাজার হাজার ইনবক্সে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে দেয়া হলো
- কাজী নওশাবাকে লাইভে নিয়ে আসা হলো।
- ঠিক ঐ সময়ের মধ্যেই BBC, CNN, Al-Jazeera কে ট্যাগ করে একই ক্যাটাগরির পোস্ট।
- ইনবক্সে ইনবক্সে BBC, CNN, Al-Jazeera হোয়াটসএপ নাম্বারগুলো দিয়ে বলা হয় যে, সবাই যেনো সেসব ভিডিওগুলো পাঠায়।

লক্ষকরে দেখবেন, ঠিক সেই সময়ে শুধু এ কটি তৈরিকরা ভিডিওই মাঠে ঘুরছিলো, যেখানে মুখ ঢেকে চিৎকার করে কাঁদো কাঁদো অভিনয় ৪জন নিহত, ৪ জন ধর্ষিত ...।
আবার একই সময়ে কাজী নওশাবার লাইভ ভিডিওতে জানাচ্ছে একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং ৪জনকে ততক্ষণাৎ ধর্ষণ করা হচ্ছে ! তিনি বলেননি, ধর্ষণ করা হয়েছে ; বরং তিনি বলছিলেন, ধর্ষণ করা হচ্ছে, রীতিমতো Present Continuous Tense !

দাবানলের মত, মফস্বলের মসজিদের মাইকের মত! "ডাকাত! ... ডাকাত! মসজিদে আক্রমন করেছে, মোসলমান ভাইয়েরা লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে আসেন"

৩০ মিনিটের মধ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বরং একই সময়ে BBC, CNN, Al-Jazeera ও খেলছিল।
হাঙ্গামাকারিরা লাশ না পেলেও বংলাদেশী মিডিয়া না পেলেও 'আল-জাজিরা' লাশ পেয়েছিল।
ঢাকার রাস্তা থেকে আল-জাজিরা লাইভ সম্প্রচার করছিল, বলছিল বাংলাদেশে দাংগা ছড়িয়ে পরেছে সংঘাতে এজাবৎ ৩জন নিহত?
(৬ দিন আগের বাস এক্সিডেন্টে মৃত্যু কে সংঘাতে নিহত! সাতার না জানাতে পানিতে ডুবে একজন জবি ছাত্র, সেটাও সংঘাতে নিহত?)
বাংলাদেশে বাক স্বাধিনতা নেই, সব মিডিয়া বন্ধ করে দিচ্ছে ! (শালার পুত রাস্তা থেকে সরাসরি খবর পাঠাইতেসস, এর আগে কবে পারছিলি) মিসরে ৩ আল-জাজিরা সাংবাদিককে কেন মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল এখন বোঝা যায়।

আরেকদিকে খেলা চলছিল মহম্মদপুরে একটি বাসায় 'কে কোন পদ পাবে' ভাগাভাগির খেলা। সাম্রাজ্যবাদি দানব দেশের দুত এসেছিলেন। গোপনে। উইদাউট প্রটকল, গাড়ীও দুতাবাসের হলুদ নম্বরপ্লেট নয়। পুরোনো সাধারন ঢাকামেট্র নাম্বারপ্লেট গাড়ী।
সংগবদ্ধ ষড়যন্ত্রকারিরা মোহম্মদপুরের বাসায় বার্নিকাটের সাথে গোপন বৈঠকে বসেছিল।
গোপনেই। বৈঠকে কারা কারা ছিল কিছুই জানা যায় নি। সবাই আগেই সরে পরছিল। কারা কারা ছিল সেটা জানার জন্যেই শহিদুল আলমকে ধরেছে হয়তো। রাষ্ট্রদুত বের হওয়ার আগে প্রটকল না নিয়ে আসায় সাথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষী ছিলনা। তাই সরকারের কাছে পুলিশী নিরাপত্তা চেয়েছিলেন, তখনি সবাই জেনে যায়। আওমীলীগ সাংবাদিক খবর দিয়ে লোকজন বাসা ঘেরাও করতে যায়, বার্নিক্যাটের গাড়ি না চেনাতে ওদের গাড়ী ভেবে ঢিল মেরেছিল
মার্শা বার্নিকাট অরক্ষিত অবস্থায় ওই এলাকায় তখন কী করছিলেন? কেন গিয়েছিলেন?
উনি নিজেই নিজেদের তৈরি আইন ভংগ করলেন।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওয়েবসাইটে গত ৩ জুলাই বাংলাদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারনে নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু বিধিবিধান মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেখানে মার্কিন সাধারন নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্ক হতে বলা হয়। নাগরিকরা কোথায় যেতে পারবে বা পারবে না সে সংক্রান্ত নির্দেশনাও আছে। পর্যাপ্ত রক্ষী ও স্থানীয় পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়া কোনো মার্কিন অফিসিয়াল নির্ধারিত এলাকা ও নির্ধারিত সময়ের বাইরে (রাতে) কোথাও যেতে পারবে না এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
এই নিয়মানুসারে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাতে মোহাম্মদপুরে কারো বাসায় যেতে পারেন না। কোনো ধরনের প্রটোকল ছাড়া কূটনৈতিক পাড়ার অনেক বাইরে সুজন সম্পাদক বদ বদিউলের বাসায় গিয়ে মার্শা বার্নিকাট গুরুতর ভাবে নিজ রাষ্ট্রের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন।

শনিবার আওয়ামীলীগ অফিস আক্রান্ত হবে কেউ ভাবতে পারেনি। অফিসে থাকা পেটমোটা লোকজন ভাল মাইর খেয়েছিল, প্রস্তুতি ছিলনা। ক্যাডার/নেতারা ফাকা গুলিবর্শন করেও ঠ্যকাতে পারেনি। পর্যাপ্ত পুলিশও ছিলনা। লীগ ভাবতেও পারেনি নিজের অফিসে এভাবে মাইর খেতে হবে, মাইর খাবে।



স্কুল কলেজের বাচ্চাদের গায়ে কেউ হাত তুলেনি।
দুজনকে জিগাতলা অফিসে আটকে রেখেছে গুজব ছড়িয়ে তদেরকে উষ্কানি দিয়ে জিগাতলা নিয়ে মার খাওয়াতে চেয়েছিল বড়রা।
কিন্তু বাচ্চারা রাস্তার দায়িত্ব ছেড়ে যেতে চায় নি। যায় নি।
জিগাতলায় দলিয় অফিস আক্রমন, ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় যোগ দিয়েছিল সাদা শার্ট পরা বড়রা বড়রা, অছাত্ররা। নিউমার্কেট একাকার দুইহাজার সাদা ইউনিফর্ম একদিনেই বিক্রি হয়েছিল। হামলা এলোপাথারি মাইর পদদলিত, যেনতেন ভাবে একটা লাশ দরকার ছিল । পায়নি।






ইষ্টওয়েষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বসুন্ধরা

পরদিন রবিবার ও সোমবার ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল জামাত-শিবিরের। অন্যান্ন জেলা থেকেও লোকবল সংগ্রহ করা হয়েছিল সবগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দিয়ে সমগ্র ঢাকা ভয়াবহ ভাংচুরের প্ল্যান হয়েছিল। স্কুলছাত্র খুদে শিক্ষার্থীদের মানবঢাল বানিয়ে বিরামহীন তান্ডোব চালানোর প্লান ছিল, যদিও খুদে শিক্ষার্থীরা আগের দিনই বাসায় ফিরে গেছিল। সাদা শার্টপরা কিছু ভুয়া ছাত্র তখনো মাঠে ছিল, পুলিশ ও হেলমেটধারি ছাত্রলীগ ওদের আইডিকার্ড চেক শুরু করলে ওরাও গা ঢাকা দেয়।
ওরা ভেবেছিল ইউনিভার্সিটির বড়ছাত্ররা নামলে নগর বিএনপির নেতাকর্মি সমর্থকরাও নামবে, কিন্তু কেউ নামেনি। অল্প কয়টা পুলিশ রাস্তায়, বিজিবিও নামানো হয় নি। আর শখানেক ছাত্রলীগের হেলমেটধারী মটরসাইকেল, মোকাবেলার সাহস হয়নি।
ইষ্টওয়েষ্ট ও নর্থ সাউতের কিছু ছাত্র ও ঢাকার বাইরে থেকে আনা বহিরাগতরা একযোগে মিলিটারি কায়দায় গেটথেকে বাহিরে আসার ভিডিও লাইভ করে অন্য বিশ্ববিদ্যলয়গুলো অনুপ্রানিত করতে দেখা যায়। প্রগতি সরনি ও বিমানবন্দর সড়ক অবোরোধের আহবান জানাতে থাকে।

বেশিরভাগ পুলিশ শাহাবাগ ও জিগাতলায় থাকায় বসুন্ধরায় পুলিশের সংকট ছিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অবস্থান শুন্যের কোঠায়। মহাখালী এলাকা থেকে তিতুমির কলেজের ক্যাডার আনতেও দেরি হচ্ছিল। তাই পুলিশ আউটসোর্সিং করে ভলেন্টিয়ার যোগার করতে হয়েছিল। এরা বেশিরভাগ সিটি কর্পোরেশনের ঝাড়ুদার, বস্তির দিনমজুর।
কিন্তু শিবির বিপুল বহিরাগত আনারপরও দুটি ছাড়া আর কোন বেসরকারি ইউনিভার্সিটি গ্যাঞ্জাম করাতে পারেনি। তেজগা ও রামপুরায় অল্প কিছু নেমেছিল, তারা কোন ইউনিভার্সিটির বোঝা যায় নি। ঢাবিতে ছাত্রদল প্রাধান্য থাকায় ওদের মোটামুটি শক্ত অবস্থান ছিল শুরু থেকেই। শাহাবাগে সকালে বিপুল জমায়েত হয়ে রাস্তা বন্ধ করেছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে তারাও শাহাবাগ ছেড়ে ক্যাম্পাসের ভেতর যেয়ে আস্তে আস্তে থেমে যায়।
হয়তো বেসরকারিরা রাস্তা দখল রাখতে ব্যার্থ দেখার পর হতাস হয়েই।

সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েগেলে বেচারা হারিকেন হাতে 'একজন' হতবুদ্ধি হয়ে বসে থাকে! পর দিন স্ট্যাটাস এডিট করে। বেচারা।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

বিজন রয় বলেছেন: যন্ত্রণা।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
https://www.youtube.com/watch?v=kLZ95ckqd1Y

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

নাজিম সৌরভ বলেছেন: আপনার লেখায় মিশরের উদাহরণ! দারুণ তো! বাংলাদেশ এবং মিশর দুটোই গণতান্ত্রিক দেশ! আমেরিকা ইউরোপ চাইলে এই দুই দেশ থেকে শিক্ষা নিতে পারে! ধন্যবাদ!

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেটা আল-জাজিরার ব্যাপারে উদাহরন।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: বুড় গুলর আর তর সইছিল না !!! ভাল একটা উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা কে এরা নস্ট করে ছাড়ল। বাচ্চারা বাচ্চাদের মত দাবি পেশ করে সুন্দর করে দাবি আদায় করে ক্লাসে ফিরে যেত তা না বুড়ো শালিক গুলা এসে দিল সব রঙ লাগিয়ে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা সেটাই।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় ছিল তখন বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্ররা রাস্তায় নামে নি।
কিন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাসে ফিরে গেল,
এরপর কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এরা রাস্তায় কেন নামল ? তাদের দাবীটা কি ছিল?

we want justice বিচার চাই? কার বিচার? ড্রাইভারের?
কতিপয় মৌলবাদি রাজনিতিক ছাত্রের কু-পরামর্শে লক্ষহীন এইমলেস অষ্পষ্ট দাবী নিয়ে রাস্তায় ইট লাঠি নিয়ে দৌড়াদৌরি ..
ঝাড়ুদাররা বাশ দিয়ে না পিটিয়ে ঝাড়ু দিয়ে পিটানো উচিত ছিল।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: চমৎকার হয়েছে আপনার রিপোর্ট রাইটিং, যদিও একপক্ষ সমর্থনে। সম্ভবত, আপনি দেশের বাইরে থাকেন আমার মত। কাজেই সবই নিউজ শুনে এবং অন্যদের রিপোর্ট পড়ে আপনার এই রি-রিপোর্ট। আরও তো অনেক নিউজ ছিল সেগুলোও ইনক্লুড করলে পারতেন। হেলমেট বাহিনী, লুঙ্গি বাহিনীর অবৈধ আক্রমণ পুলিশি হেফাজতে, সাংবাদিকদের উপর হামলা, ফেইস বুক বন্ধ করে দেয়া । আসল খবর গোপন করা , আর এই গোপন করতে গিয়েই গুজবকে জায়গা করে দেয়া, সকল চ্যানেলগুলোকে রিপোর্ট করা থেকে বিশেষ বাঁধা প্রদান করা। এই গুজব ছড়ানোর জন্য আমি সকারকেই দায়ী করবো- কারন যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা খুব যত্ন সহকারে আসল ঘটনাটি গুম করে দিয়েছে হয়তো, যার ফলে বোকা পার্টি অথবা অসহায় পার্টি গুজবের আশ্রয় নিয়েছে- এটাও হতে পারে। আবার হেলমেট পার্টিই এই আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য এই গুজব ছড়াতে পারে, যাতে জনতা এই আন্দোলনকারীদের পক্ষে আর না থাকে অর্থাৎ একত্রিত জনগণকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে দিয়ে জনশক্তি পণ্ড করে দেয়ার এক নোংরা রাজনীতি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি অন্যান্নদের মত হেলমেট বাহিনীর পরিচয় লুকানোর চেষ্টা করিনি।
সাংবাদিকদের উপর হামলা দুর্ভাগ্যজনক। এটা দলের জন্য ক্ষতি ছাড়া লাভ হয় নি।
এটা ঘটেছিল জিগাতলার আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে।
লীগের নেতারা শতাধিক সাংবাদিক ফটোগ্রাফার ও খুদে শিক্ষার্থিদের প্রতিনিধীদের এনেছিল। শর্ত ছিল কেউ ছবি তুলবে না।
সেই তরুন ফটোগ্রাফার তুলছিল, তার সাহস ছিল, কারন সে ছিল সামরাজ্যবাদি দেশের বড় একটি নিউজ এজেন্সির ফটোগ্রাফার।

চ্যানেলগুলোকে রিপোর্ট করা থেকে বিশেষ বাঁধা প্রদান করা।
ব্যাপারটা এরকম না। মাঠে শতাধিক গুজব ঘুরতে থাকায় সরকার সব চ্যানেলগুলোকে সতর্কতামুলক চিঠি পাঠায়।
সত্যতা যাচাই ছাড়া কোন সংবাদ/স্ক্রল যাতে না যায়।

চ্যানেলগুলোতে সারাক্ষনই এসব আলোচনা চলেছিল, বিরোধি নেতারা লাইভ টকশোতে যা ইচ্ছে তাই বলছিল। আসিফনজরুল, নরুলকবিররা টিভিতে ঘন্টাব্যাপি গলাফাটিয়ে উলংগভাবে যা তা ভাষায় নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছিল, উত্তাল সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এতটা অবাধ সুযোগ পৃথিবীর কোন দেশটা দেয়?

আর দাংগা-হাঙ্গামার ধাওয়া পালটা ধাওয়ার লাইভ সম্প্রচার করা হলে সেটা ভাল হত না। ভায়োলেন্স সারা ঢাকায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তো। সেটা কারো জন্যেই ভাল হত না। সেটা জেনেই চ্যানেলগুলো নিজেরাই সেলফ সেন্সর করে।

হেলমেট পার্টিই এই আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য .. একত্রিত জনগণকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে দিয়ে জনশক্তি পণ্ড করে দেয়ার এক নোংরা রাজনীতি।

এ আপনি কি বললেন? আপনি কি ধরেই নিয়েছেন, এটা রাজনৈতিক আন্দোলন। 'নিরাপদ সড়ক আন্দোলন' আর নেই?

হেলমেট বাহিনীকে নামানো আমি সমর্থন করিনি। পুলিশই একাই পারতো।
পুলিশ এর চেয়ে বড় মব কন্ট্রোল করেছে। পুলিশ ১০১৩ তে দশলাখ মারমুখি হেফাজতিকে ২০ মিনিটে কানে ধরে ফেরত পাঠিয়েছিল। তারা আজও মাথা তুলে দাড়াতে পারে নি।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:


হাসান ভাই ! আমার মতে ,গুজবের ফায়দা ক্ষমতাসীনরা সহ বিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো নিয়েছে । আর সব কিছূ গুজব বলে উড়িয়ে দেবার মত নয় । অনলাইনে যে ভিডিও গুলো আছে এখনও এগুলো সব গুলো গুজব নয় ,হ্যা অবশ্যই কিছূ ভিডিও আছে যেগুলো গুজব বুঝা যায় । দুঃখজনক গুজবের তালে সঠিক সত্য টা জানতে পারছি না আমরা । পোস্ট টা এক পক্ষ হয়ে গেছে একটু ভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে দেখারও সুযোগ ছিল । বার্নিকেটের তথ্য টা দিলেন এমন চাই না ,হলে দুঃখজনক । এমন গোপন বৈঠকের কোন পত্র পত্রিকাও দেখলাম না ,হয়ত চোখ এড়িয়ে গেছে । জিগাতলার কিছূ হয়নি এভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়ত ঠিক না । সেই জিগাতলায় আমার খুব কাছের একজন শিক্ষার্থী ছিল । তার মুখ থেকে বেশ কিছূ শুনে হতবাক । যা কোন মিডিয়ায় আসে নি । আচ্ছা সেখানে যদি কোন নাই হয় তাহলে ক্যামেরা ভেঙ্গে দেওয়ার মানে কি জানি না ,সাংবাদিক কে পেটালোও । ছাত্ররা খারাপ কিছু করলে এবং ভিডিও করলে এটা তো সরকারের ই লাভ ! তবে এটাই মনে করে ,যতটা জিগাতলায় হয়েছে তা কেউ জানাতে পারে নি একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়া । আবার এ নিয়ে গুজব আছে । আরেকটি জিনিস বেমানান লাগলো বলছেন ‘‘we want justice’স্লোগান টি শেষ দিকে ইংলিশ হয়ে গেল’
আমি প্রথম দিক থেকেই শুনেছি এই স্লোগান টা । ব্যক্তিগত ভাবে মানতে দ্বিমত যে হঠাৎ করে হয়েছে । আপনার পোস্টে একটু অন্যরকম ভাবে উস্থাপন করতে ;দেখলাম । আওয়ামী লীগের নিজ অফিসে মাইর খাওয়াটাও অনেক টা গুজব বলে মনে হয় । সেখানে কি কোন সিসি ক্যামরো ছিল না ,সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ কেন প্রকাশ হচ্ছে না । অনেক জন আহত হয়েছে ।

ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ও উসকানি ছড়ানোর অভিযোগে প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ যে ভিডিও টা পর গ্রেফতার করেছে সেটা সরকারের কাছে গুজব হলেও জনসাধারণের কাছে মোটেও গুজব নয় । আপনি গোপন বৈঠকের ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন , তাহলে সরকার কেন গোপন বৈঠকের ব্যাপার টা পরিষ্কার করছে না ? জানতে চাই আমরাও .....প্রয়োজনে সমর্থন ও দি ব । আল জাজিরা যে বলছে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা নেই সেটাই শতভাগ একমত এবং সব টিভি চ্যালেন বন্ধ করে দিছে সেটাই দ্বিমত পোষণ করছি । বন্ধ না করলেও সরকার যে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সেটা একটু খোলা চোখে দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ন। ডেইল স্টার ,একাত্তর টিভি কে সর্তক করে দেওয়ার নিউজ এখনও অনলাইনে পাবেন ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জিগাতলার কিছূ হয়নি, এমনটা দাবী করিনি।

আমি দির্ঘদিন ঐ এলাকার বাসিন্দা ছিলাম, এলাকার লোকজনের কাছথেকে খবরাখরর নিয়েছি।
আপনার দাবী সত্য। সেখানে অনেককিছুই নিয়ন্ত্রনের বাইরে ছিল, ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছিল, ভাংগেনি। পরে ফেরত দিয়েছে। অনেকেই সাপ মারার মত নির্মম পিটুনির শিকার হয়েছে। অনেক নিরিহ ছাত্র পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছে, মারাও যেতে পারতো। হাসপাতালে আহত অনেক। নেতারা থাকার পরও বিশৃক্ষলা মারপিট থামাতে পারেনি। এটা ব্যর্থতা। একটা বড় দুর্ঘটনা হয়ে পুরো দেশ বিপদে পারতো। আওয়ামীলীগের উচিত অযোগ্য ঐসব নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্থা নেয়া।
মিডিয়া সেলফ সেন্সর করে এসব অনাখাংঙ্কিত ঘটনা তুলে ধরে সংগাত উষ্কে দিতে চায় নি।

বার্নিকাটের ব্যাপারটা সব পত্রিকায় এসেছে, ছোট সংক্ষিপ্ত ভাবে। বাকি টা আমার নিজস্য ধারনা।
উত্তাল ঢাকায় রাতের আধারে ভাংগাচোরা গাড়ীতে একডজন সুশিলের সাথে গোপন বৈঠক, যেখানে সবসময় সাংবাদিক-ক্যামেরাতে চেহারা দেখাতে উম্মুখ থাকে, সেখানে দ্রুত গাড়ীনিয়ে ভো।
বাকিটা বুঝতে বেশী কল্পনা শক্তি লাগে?


১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা নেই?

অর্ধশতাধিক পত্রিকা, ৩৬ টি টিভি চ্যানেল, এফএম রেডিও, শতাধিক অনলাইন মিডিয়া। যা ইচ্ছে তাই লিখছে।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ভেতর ভারত বাদে কোন দেশটা বাংলাদেশের সমান বা কাছাকাছি বাক স্বাধীনতা?
কোন মুসলিম দেশেই বিরোধী দল ১ মিনিটও টিভিতে বক্তব্য দিতে পারেনা। লাইভ বক্তব্য তো দুরের কথা।
বাংলাদেশে বিরোধী নেতা ও সমর্থক সাংবাদিকরা ৩০টা চ্যানেলে ঘন্টার পর ঘন্টা আনসেন্সর্ড লাইভ ও টক সম্প্রচার করে সরকারের মুন্ডুপাত করে যেতে পারে।
যেটা তুরষ্ক, ইরান, চী্‌ রাশিয়া, ফিলিপিনস, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া কোথাও ১ মিনিটও সম্ভব না।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: আপনার মতো ব্লগারও এমন বিটিভি মার্কা লেখা লেখবে ধারণা ছিলো না। এটা না পড়ে বিটিভির খবর আরেকবার দেখা উচিৎ ছিলো।
জয় হোক বিটিভির, জয় হোক চামচামির....।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গুজব সবদেশেই আছে।
গত কয়েক মাসে হোয়াটসঅ্যাপে ছেলেধরা গুজব ও ভুয়ো খবর ছড়ানোর জেরে মেঘালয়ের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দক্ষিণের কর্নাটক— সহ দেশজুড়ে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন গণপিটুনিতে। মোবাইল অ্যাপটির বিপজ্জনক ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনাও শুরু হয়েছে দেশে। এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক বেশ কয়েক বার চিঠি পাঠায় হোয়াটসঅ্যাপকে। এই সপ্তাহের শুরুতেই ভারতে এসেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান ক্রিস ড্যানিয়েলস। তাঁকেও ভুয়ো খবর নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এমনও বলা হয়েছিল, যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেই ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে, তাই এ সবে মদত জোগানো হচ্ছে বলে হোয়াটসঅ্যাপকেই দায়ী ধরে নেওয়া হবে।

কিন্তু ভারতের দাবি মেনে নিলে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবসার মূল নীতিটিই প্রশ্নের মুখে পড়বে। তাই এই দাবির কোনও প্রযুক্তিগত সমাধান এই মুহুর্তে দিতে পারবে না তারা। তবে ভারতের অন্যান্য কিছু দাবি মেনে নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের কোনও অফিস নেই বলে নিজেদের অসুবিধের কথা জানিয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
সেই দাবি মেনে নিয়ে একটি অফিস করার কথা জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া কোনও নির্দিষ্ট মুহূর্তে সর্বোচ্চ কত জনকে একটি মেসেজ ফরওয়ার্ড করা যাবে, সেই সংখ্যাও কমানো হয়েছে। কোনও মেসেজ ফরওয়ার্ডেড হয়ে আসছে কি না, তা ব্যবহারকারীরা যাতে বুঝতে পারেন সেই ব্যবস্থাও ইতিমধ্যে করে ফেলেছে তারা। একই সঙ্গে ভুয়ো খবর আটকাতে জন সচেতনতা বাড়ানোর কাজে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।ফেসবুকের মালিকানায় থাকা হোয়াটসঅ্যাপের সব থেকে বড় বাজার ভারতই। সারা পৃথিবীতে হোয়াটসঅ্যাপের ১৫০ কোটি ব্যবহারকারীর মধ্যে ২০ কোটিই ভারতে থাকেন। সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। হোয়াটসঅ্যাপের বিশাল মঞ্চকে ব্যবহার করে অনেকেই এই নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাবে, এই সম্ভাবনা প্রবল। সে ক্ষেত্রে, অবধারিত ভাবে ভুয়ো খবরের দাপট ও তাকে ঘিরে অশান্তি বাড়বে। খুব তাড়াতাড়ি জনসচেতনতা বাড়িয়ে সেই বিভ্রান্তি ও হিংসা কতটা কমানো সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা গাড়ীতে চড়ে যাবার সময় সব যানবা হন চলাচল বন্ধ থাকায়, তিনি বাংলাদেশে বিদেশী "হাইওয়ের মত রাস্তায়" চলেন; বাকীরা কিভাবে চলে, উনার মাথায় ঢুকে? কেন এত এ্যাকসিডেন্ট হয়, উনি বুঝেন?

আন্দোলন থামানোতে উনার দক্ষতা দেখছি, পরিবহনে মাফিয়া মন্ত্রী রেখে উনি একা দেশের ভেতরে "হাইওয়াতে" চলা কি দক্ষতা?

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

নতুন বলেছেন: জামাত শিবির অবশ্যই চাইবে এই আগুনে আলু পোড়া দিতে...

কিন্তু আয়ামীলীগও চাইবে জাতে এরা একটু এগিয়ে আসুক তাহলে এই জুজুতে একসনে জাওয়া যাবে...

বেশিরভাগ পুলিশ শাহাবাগ ও জিগাতলায় থাকায় বসুন্ধরায় পুলিশের সংকট ছিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অবস্থান শুন্যের কোঠায়। মহাখালী এলাকা থেকে তিতুমির কলেজের ক্যাডার আনতেও দেরি হচ্ছিল। তাই পুলিশ আউটসোর্সিং করে ভলেন্টিয়ার যোগার করতে হয়েছিল। এরা বেশিরভাগ সিটি কর্পোরেশনের ঝাড়ুদার, বস্তির দিনমজুর।

wow বাংলাদেশে পুলিশের অভাবে এখন হেলমেট বাহিনি, ঝাড়ুদার,বস্তির দিনমুজুর ডেকে আনতে হ্চ্ছে জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে?> =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনি বুঝতেছেন কি বলছেন আপনি??? সরকার ঝাড়ুদার, বস্তির দিনমুজুরকে ডেকে আনবে???

ভাই হেলমেট বাহিনির জনগনের উপরে , সাংবাদিকের উপরে আক্রমন কি আপনার চোখে পড়ে নাই?

অবশ্য দলকানা হলে হেলমেট বাহিনি চোখে পড়ার কথা না।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এরা ঝাড়ুদার। লুঙ্গিপরা লোকগুলো দেখলে কি ছাত্র মনে হয়?
হেলমেট বাহিনি চোখে পড়বেনা কেন?
লেখাটা আরেকবার পড়ুন।

আর হেলমেট তো ডিফেনসিভ। চাপাতি, বন্দুক, রামদাও এর চেয়ে হেলমেট অনেক ভাল।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

তানভির জুমার বলেছেন: জ্বলন্ত আলো বলেছেন: আপনার মতো ব্লগারও এমন বিটিভি মার্কা লেখা লেখবে ধারণা ছিলো না (আমার কিন্তু ধারনা আছে আপনি যে আওয়ামীপন্থি)। এটা না পড়ে বিটিভির খবর আরেকবার দেখা উচিৎ ছিলো।
জয় হোক বিটিভির, জয় হোক চামচামির....। মনে রাখবেন ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা কা ভাই সত্য আর মিথ্যা দুটো আলাদা শব্দ ভুলে যাননি আশা করি!

মোহাম্মদপুর ইষ্যুতে আপনার কল্পনা শক্তির প্রশংসা করতেই হয়।
কিন্তু বেচারা সুজন সম্পাদক দেখুন কি বলছে- আর আপনার কি বলছেন!
উনার ই-মেইল প্রমাণ সহ উনার বক্তব্য -

নিচে ড. বদিউল আলমের বিবৃতি তুলে ধরা হলো।

গত ৪ আগস্ট ২০১৮, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট আমার মোহাম্মদপুরস্থ ১২/২, ইকবাল রোডের বাসায় একটি নৈশভোজ শেষে ফেরার পথে বাসার সামনে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত কর্তৃক আক্রমণের শিকার হন। একই সময়ে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়িতেও হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনাটি নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্রতত্ত্বের গল্প ফাঁদছে এবং বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এ অপচেষ্টার প্রেক্ষিতে আমি এর বিবরণ নিম্নে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরলাম।
ঘটনার প্রেক্ষাপট:
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাশা বার্নিকাটকে আমি এবং আমার স্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বহুদিন থেকেই চিনি। গত ৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমি তাঁকে তাঁর বিদায়ের প্রাক্কালে আমার পরিবারের সঙ্গে একটি নৈশভোজে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানাই। রাষ্ট্রদূত তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং তারিখ নির্ধারণের লক্ষে তাঁর প্রটোকল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ৯ জুলাই আমি তাঁর প্রটোকল কর্মকর্তাকে একটি ই-মেইল পাঠাই। একই দিনে আরেকটি ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি আমাকে ০৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৭-৩০ টায় নৈশভোজটি আয়োজনের সময় দেন। দূতাবাসের প্রটোকল অনুযায়ী নৈশভোজের স্থান, সময় ও অংশগ্রহণকারীদের তালিকা সবই ইমেইলের মাধ্যমে তাদেরকে পাঠানো হয়। নৈশভোজের সময়, উদ্দেশ্য ও উপস্থিত অতিথিদের তালিকা নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সর্বৈব মিথ্যা তা এই ইমেইলগুলো দেখলেই যে কেউই বুঝতে পারবেন।

০৪ আগস্ট ২০১৮: যা ঘটেছিল :
০৪ আগস্ট ২০১৮, সন্ধ্যায় আমার বাসায় নৈশভোজে যোগ দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ড. কামাল হোসনে ও তার স্ত্রী ড. হামিদা হোসেন এবং জনাব এম হাফিজউদ্দিন খান। এই দুই দম্পতির সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমরা বহুদিন থেকেই ঘনিষ্ঠ। অসুস্থতার কারণে জনাব খানের স্ত্রী উক্ত নৈশভোজে যোগ দিতে পারেননি। উপরোক্ত চারজন ছাড়া আমি, আমার স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ ও দুই কন্যাসহ মোট দশজন নিয়ে ছিল এই নৈশভোজের আয়োজন।
রাত আনুমানিক ১১টার সময় রাষ্ট্রদূত যখন আমার বাসা থেকে চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন, তখন একদল দুর্বৃত্তÑযাদের সংখ্যা আনুমানিক ৩০-৪০ জন তাঁর গাড়িতে হামলা করে। তারা তাঁর গাড়ি এবং আমার ছেলে, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের কোচ, ড. মাহবুব মজুমদারের ওপর আক্রমণ করে। দুর্বৃত্তরা জনাব বার্নিকাটের গাড়ির পেছন পেছন ধাওয়া করে এবং ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। তারা পিস্তল ও লাঠিসোটা বহন করছিল এবং জনাব রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে আগুন দেওয়ারও উস্কানি দিচ্ছিল।

রাষ্ট্রদূতের গাড়ি দ্রুততার সাথে স্থান ত্যাগ করার পর দুর্বৃত্তরা দোতলায় অবস্থিথ আমার বাসায় হামলা চালায়। তারা আমার বাসায় ইট-পাটকেল ছুঁড়ে জানালার কাঁচ ভাংচুর করে এবং গেট ভেঙ্গে বাসায় ঢোকারও চেষ্টা করে। যদি তারা আমাদের বাসায় ঢুকতে সক্ষম হত, তাহলে আরও গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। আমরা সাথে সাথে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ‘৯৯৯’ নাম্বারে কল করি। দুর্বৃত্তরা প্রায় আধা ঘন্টা আমাদের বাসার সামনে অবস্থান করে ও তা-ব চালায় এবং আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। তারা দিনের বেলায় আমাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দিতে থাকে।
আমাদের ‘৯৯৯’ নাম্বারে কল করার প্রেক্ষিতে হামলা শেষ হবার পর পুলিশ আসলেও আমাদের সঙ্গে কথা না বলে এবং আমাদের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা না করেই চলে যায়, যদিও আমরা তখণ চরমভাবে আতঙ্কগ্রস্ত ছিলাম।

০৫ আগস্ট ২০১৮: অভিযোগ দাখিল:
০৫ আগস্ট ২০১৮, সকালে আমি আমার তিনজন সহকর্মীসহ উপরোক্ত ঘটনাটির বিবরণ তুলে ধরে মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমি তাঁকে জানাই যে, দুর্বৃত্তদের হামলার কারণে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া চিঠিতে ঘটনাটি সম্পর্কে একটি মামলা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাই এবং একইসঙ্গে আমি এবং আমার পরিবারকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদানেরও অনুরোধ করি। থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তারা জানাবেন যে এ বিষয়ে মামলা হবে, না-কি এটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে থানা থেকে আমাদেরকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও আমরা গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারি যে, আমার অভিযোগটিকে জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

ষড়যন্ত্রতত্ত্ব হাজির করার অপচেষ্টা:
যদিও নৈশভোজের বিষয়টি ছিল নিতান্তই একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান এবং এর তারিখ নির্ধারণ করা হয় নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর বিক্ষোভ শুরুর ২০ দিন আগে, তথাপিও মহলবিশেষ এটিকে নিয়ে একটি ষড়যন্ত্রতত্ত্ব হাজির করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এটিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য গণমাধ্যমগুলোকে তারা ব্যবহার করছে এবং নৈশভোজটিকে ‘ষড়যন্ত্র সভা’, ‘গোপন বৈঠক’ বলে অভিহিত করছে। একইসঙ্গে সেই নৈশভোজের সাথে কোনো ধরনের সংস্রবহীন আরও কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নাম তারা এতে জড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পুলিশের বরাত দিয়ে বিডিনিউজ২৪.কম (৬ আগস্ট ২০১৮) প্রকাশিথ এক প্রতিবেদনে আমার বাসার নৈশভোজে ড. কামাল হোসেন, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, এম হাফিজউদ্দিন খান, বিচারপতি আব্দুর রউফসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ‘ থঅকার কথা বলা হয়। এটি একটি সর্বৈব অপপ্রচার, কারণ এই পারিবারিক অনুষ্ঠানে ড. হোসেন ও খান দম্পতি ব্যতীত বাইরের অন্য কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং কেউ উপস্থিতও ছিলেন না।

কি হবে ভাই বলতে পারেন? মিথ্যা কি আপনার আত্মাকে পীড়িত করে না?
কেন মানুষ মিথ্যা বলবে?
ক্ষমতা?
অর্থ?
কয়দিনের জীবন ভাই???
আজকে মরলে কালকে দুইদিন!

সত্যেতো অন্তত আত্মার প্রশান্তি টুকু থাকে। মিথ্যায়তো কিছূই না।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদ্রোহী কবি ভাই।
নৈরাজ্য দাঙ্গাহাঙ্গামা ছড়িয়ে পরা কারো কাম্য হতে পারে না।

আর কুচক্রি সাম্রাজ্যবাদিদের সেট করা গনতন্ত্র কখনো মংগলকর হয় না। ইতিহাসে নেই।
তাদের কর্পোরেট আগ্রাসন সুবিধা করতে একটা তাবেদার সরকার দরকার হয়।
উদীয়মান একটি স্বাধীন শান্তিপুর্ন দেশকে সাম্রাজ্যবাদিদের খপ্পরে পরে দেশকে অশান্ত করে পাকিস্তানের মত পরিস্থিতি করা কারো কাম্য হতে পারে না।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য সত্য হবে না। এটা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।
কারন ড. বদিউল আলম এখানে স্পষ্টভাবে একটি পক্ষ।
আমার কাছে কোন প্রমান নেই, প্রায় সবটাই আমার নিজস্য অনুমান। এই অনুমান পুরোটা ভিত্তিহীন নয়। একটু লক্ষ করুন।

উত্তাল ঢাকায় রাতের আধারে, মহম্মদপুরের মত বিপদসংকুল এলাকায় প্রটোকল বাইপাস করে ভাংগাচোরা গাড়ীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর রাষ্ট্রদুত! ভাবা যায়। কোন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত কি দেখা যায় না?

কথিত এক ডজন সুশিলের সাথে গোপন বৈঠক, বাংলাদেশী ইনটেলিজেন্স সিআইএ সাথে কুলিয়ে উঠার প্রশ্নই আসে না।
আর শুশিলরা যেখানে সবসময় ওরা সাংবাদিক-ক্যামেরাতে চেহারা দেখাতে উম্মুখ থাকে, সেখানে দ্রুত গাড়ীনিয়ে ভো।
বাকিটা বুঝতে বেশী কল্পনা শক্তি বেশী লাগে?

বাংলাদেশ সরকার এটা নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করবে না। কারন সব চক্রান্ত ষড়যন্ত্র ইতিমধ্যেই নস্যাৎ হয়ে গেছে।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

মোঃ মাইনুল হোসেন তুষার বলেছেন: সব গুজব এটা যেমন অসত্য ঠিক তেমনি সব সত্য এটাও অসত্য। বাচ্চাদের আন্দোলনের ফায়দা নেয়ার পায়তারা যেমন করেছে একপক্ষ ঠিক তেমনি পুলিশের ছত্রছায়ায় অমানুষের মত ছাত্রদের পিটিয়েছে একপক্ষ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্যাপারটা সেরকম নয়।
কারা আগে হামলা করেছিল? ছাত্র +বহিরাগতরা
নাকি পুলিশ +ছাত্রলীগ + শ্রমিকেরা?

এজাবৎ তথ্যে যা জান যায় কলেজ ইউনিফর্ম পরা বড়রা ও বহিরাগতরা আগে পার্টি অফিসে হামলা করেছে।

হামলা যদি ছাত্ররা আগে করে থাকে এবং উদ্দেশ্য আওয়ামীলীগ অফিস হয়ে থাকে তাহলে ধানমন্ডি অফিস রক্ষা ও উন্মত্ত ছাত্র + বহিরাগত দের প্রতিরোধের জন্য ধন্যবাদ জানাই পুলিশ, ছাত্রলীগ এবং ফুটপাতের হকার শ্রমিকদের।

আশা করি আপনি সত্যিটা জানেন। আমাদের জানিয়ে কৃতজ্ঞ ভাজন হবেন।

দয়া করে বলবেন না যে ছাত্র নামধারিরা আওয়ামীলীগ অফিস, রাস্তার গাড়ি, মার্কেট ভাংচুর করলে পুলিশ ছাত্রলীগ এবং ফুটপাতের হকার শ্রমিকরা এই ভাংচুরে সহযোগিতা করা উচিৎ।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একটা পক্ষ যে কোন একটা কিছু নিয়ে সরকার পতনের সুযোগ খুঁজবেই। দেশের মানুষেরও পিঠ ঠেকে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহজাহানকে পদত্যাগ করিয়ে দিলে আন্দোলন এতটা জমতো না। আর ১ম দিন হোক আর ৭ম দিন হোক এক সময় ছাত্র লীগ মাঠে আসবে সেটা সবাই জানত।
তবে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে 'ষড়যন্ত্র তত্ত্বে' পানি ঢেলে দিয়েছেন বদিউল আলম।
আরেকটা কথা, আমেরিকান রাষ্ট্রদূতকে শত্রু বানিয়ে আওয়ামীলীগের জন্য শুভ হবে না...

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকান রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' এটা সরকার একবারো বলেনি, প্রতিবাদ করেনি। কারন ষড়যন্ত্র সহজেই ব্যার্থ হয়েছে।
হাসিনার কাছে এসব ডালভাত। ২০১৩ ডিসেম্বরে হাসিনা আমেরিকান সেক্রেটারি অব স্টেট জন কেরির কঠিন টেলিফোন হুমকি মোকাবেলা করেছিল।
বদ বদিউল পানি ঢালার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী শাহজাহানকে পদত্যাগ করিয়ে দিলে আন্দোলন এতটা জমতো না।

খুদে শিক্ষার্থিদের আন্দোলনে বা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনে সরকারের কোন সমস্যা হয় নি, বরং উপকারই হয়েছে।
শেষদিকে রাজনৈতিক শক্তি সহ বড়রা এসে পড়ায় সরকার শক্ত হাতে দমন করে।

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত না।
তবে আপনি ভালো লিখেছেন।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: এত কিছু বললেন, কিন্তু প্রথম দিনই যদি সরকার একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতো, তো আন্দোলনই হতো না, সেই কথাটাই বললেন না।
যাউগ্গা, আগুন দ্যান, বিড়ি ধরাই...

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইতিবাচক পদক্ষেপ ? কি?
মন্ত্রী শাহজাহান খানকে বর্খাস্ত করা? সামান্য হাসির জন্য চাকরি খাইয়া দিবেন?

আন্দোলন তো হয়ই নাই, লোকের অভাবে। যেই কটা বিএনপি কর্মি নামছিল, ক্যালকাটা দুতাবাসের সামনে এর চেয়ে বেশী লোক ছিল।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: দালালরা তো খুব সুন্দর গল্প লিখতে পারে।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১২

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

আনখী১৯৯২ বলেছেন: m.somewhereinblog.net/mobile/blog/dimvaji6/30249051#comments

১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

রাকু হাসান বলেছেন: হাসান ভাই ! বির্তকে যাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই । কারও লেখায় পাঠকের দ্বিমতের জায়গা থাকতে পারে ,আমি সেখানে দ্বিমত ।
কেমন বাক স্বাধীনতা তার প্রমাণ তো শহিদুল আলম স্যার ই তো যথেষ্ট । উনাকে সুযোগ ছিল কারণ দর্শনোর নোটিশ দিতে । আদালতে তলব করতে , বা জিজ্ঞসাবাধের জন্য নিয়ে যেতে । কিন্তু এটা তো ডাইরেক্ট আকশন করলো ।


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘একটি অসুস্থ শিশু, বিচারকের ট্রাক ও একটি মামলা' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যাতে মানিকগঞ্জে বিচারক মাহবুবুর রহমানের বাড়ি বদলের ট্রাকের কারণে একটি অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নেওয়ার পথ রুদ্ধ হওয়ার কথা বলেন স্থানীয়রা৷ এই ঘটনা নিয়ে আদালতের এক কর্মচারী ওই শিশুর মামা এবং স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন৷ প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়৷ পরে ওই প্রতিবেদনের কারণে প্রতিবেদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব'র বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম দাবি করে, যথাযথ ‘ব্যাকরণ' মেনে সংবাদ পরিবেশন করার পরও কোনো কারণ ছাড়াই এ মামলা করা হয়েছে৷

এ রকম আরও উদাহারণ দেওয়া যাবে । হ্যা দেশীয় চ্যালেনে অনেক সময় কিছু কথা সরকার বিরোধী বলা যায় কিন্তু সেটা তত টাই যত টা বললে সরকার মাইন্ড করবে না । সরকার এটা কে কৌশল হিসাবে ব্যবহার করছে । যাতে করে আন্তাজার্তিক পর্যায়ে বেশি চাপ বা আলোচনার মুখোমুখি না হয় । কজন গ্রেফতার হলো পত্র পত্রিকায় অভাব নেই । কোন দেশে আছে বা নেই ,অথবা তাদের থেকে কতটা খারাপ ভাল ভেবে লাভ কি ! নিজেরা কতটা উন্নতি করতে পারলাম ,সেটা দেখলে মনে হয় ভাল ।

মানহানির অভিযোগে বাক স্বাধীনতার উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির বির্তকীত আইন ।

ভাল থাকবেন ।

১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট, আমি দুঃখিত কয়েকদিন ব্যস্ততা থাকায় ব্লগে আসতেই পারিনি, মিস করেছিলাম এত সুন্দর একটা পোষ্ট।
সত্য কথা গুলো অকপটে বলে গেছেন, এতে অনেকের গা জ্বলবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, সত্য মোকাবিলা করার সৎ সাহস আমাদের দেশের মানুষের কমই আছে। এদেশের মানুষ সত্য শুনলে গাঁজাখোর ট্যাগ লাগিয়ে এড়িয়ে যাওয়াতে পটু।

আমার কাছে শেষমেশ মনে হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে পরবর্তী সবই পূর্ব পরিকল্পিত। তারা যেভাবে মিথ্যাচার করেছে এবং মিথ্যাচার সত্য করবার জন্য বাহিরে থেকে ক্যাড়ারদের ঢাকায় জড়ো করেছে তাতে আমার কাছে তাই মনে হচ্ছে যে তারা পরিকল্পনা মাফিক কাজ করেছে, কিন্তু মিথ্যাচারে সবকিছু পণ্ড হয়ে গেছে। মিথ্যা সারাজীবন এভাবেই পণ্ড হবে এটাই স্বাভাবিক।

আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা বিশেষজ্ঞ নই, তবুও মনে হচ্ছে 'একটা রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে কতটা দেউলিয়া হয়ে গেলে, জনগণের কাছ থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, কতটা জনসমর্থন হারালে কোমলমতি স্কুল ছাত্রছাত্রীদের-ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলনে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য মিথ্যাচার ও সহিংস করে তুলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে?'

২০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
চারজন ছাত্রকে মৃত দেখিয়ে ঢাকাকে হত্যা খুনের রক্তে লাল করার চেষ্টাশীল মিথ্যাচার


আমি সরাসরি ভিডিও আপলোড করতে পারিনা বলে লিঙ্ক দিয়ে গেলাম, যাদের মনে হবে সত্যি সত্যি চারজন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল তারা দেখে আসতে পারেন।

২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ধর্ষণের ব্যাপারটি যেভাবে প্রচার করা হয়েছে যারা দেখতে চান তো দেখে নিবেন

কতটা মিথ্যাচারে লিপ্ত ছিল বিএনপি জামাত শিবির তা মুখে বলে কাউকে বুঝানো সম্ভব হবার নয়। কিছু কিছু ফেসবুক লাইভ থেকে চারজন ছাত্রের মৃত্যু ছাত্রীকে আ লীগ অফিসে ঢুকিয়ে ধর্ষণ চোখ তুলে নেয়ার কথা বলে ডাক দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধেরও!! হা হা হা কতটা ছাগল হলে সড়ক দুর্ঘটনাবশত মৃত্যুর ইস্যু নিয়ে এমন জঘন্য খেলায় মেতে উঠতে পারে তা তাদের বলার ভঙ্গিমা দেখেই বুঝা যায়। কতই না চেষ্টা করলো তারা একটা মিথ্যে ছড়িয়ে জনগণকে পথে নামানোর জন্য হা হা হা, জনগণ তাদের মুখে থুথু ছিটিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে। এদেশে আর মিথ্যাচারে জনগণের অনুভূতি জাগানো যাবেনা, এটা বিশ্বাস করা উচিৎ, না করলে এভাবেই বারবার ছাগল হতে হবে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

স্কুলের শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় ছিল তখন বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্ররা রাস্তায় নামে নি।
কিন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাসে ফিরে গেল, ফিরে যাচ্ছিল।
এরপর কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এরা রাস্তায় কেন নামল ? তাদের দাবীটা কি ছিল?

we want justice বিচার চাই? কার বিচার? ড্রাইভারের?
একজন লাঠিধারি এক ছাত্রকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ভাইয়া আপনাদের মুল দাবীটা কি?
উত্তর আসলো - "দাবী অনেক কিছু, .. এখন বলার টাইম নাই"

বসুন্ধরা ও আফতাবনগরে বেসরকারি ভার্সিটিতে শত শত একই সাইজের লাঠি সরবারহ করলো, কারা করলো?
কতিপয় মৌলবাদি রাজনিতিক ছাত্রের কু-পরামর্শে লক্ষহীন এইমলেস অষ্পষ্ট দাবী নিয়ে রাস্তায় ইট লাঠি নিয়ে দৌড়াদৌরি .. দেশকে অকারন অশান্ত করার কোন মানে আছে?
ব্যাপক গুজব প্রচারনা সত্তেও অন্য কোথাও হাংগামা ছড়ায় নি। এই কুচক্রিদের জনসমর্থন যে শুন্যের কোঠায় এতেই প্রমান হয়।

পুলিশ একদিনেই কোন রক্তপাত ছাড়াই এদের পরিকল্পিত তান্ডোব থামাতে পেরেছে। দেশকে শান্ত করতে পেরেছে।
এজন্য অবস্য কেউ ধন্যবাদ দিবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.