নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগরিক চলাচল ভোগান্তি কমাতে আমার নিজস্য কিছু ভাবনা

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:২৪



প্রতিবছর ঢাকায় আসলে যে জিনিসটি ভোগায়, তা হচ্ছে ঢাকার সেই ঐতিহাসিক যানজট।
গাড়ী বাসায় রেখে যে হাটবো তাতে আরো ডাবল ভোগান্তি।
এসব নিয়ে প্রায়ই ভাবি কিছু একটা লেখা দরকার। এই পোষ্টটি লিখতে ১ মাস জাবত লিখছি আর মুছছি। আজ মোটামুটি রেডি করলাম।

আমার কিছু প্রস্তাব

ঢাকায় গণপরিবহন বলতে যা বোঝায়, তা নেই। বাস যা আছে বেশিরভাগ ছোট বাস, নিয়ম ছাড়া ফ্রীস্টাইল! যাত্রী উঠানোর প্রতিযোগিতা বাসে বাসে ঘষাঘষি, ধাক্কাধাক্কি যাত্রী নামানোর সময় রাস্তার মাঝে স্লো করে নেমে যেতে বলা, যাত্রী রাস্তার মাঝে, আসপাস দিয়ে শা শাঁ করে মটর সাইকেল গাড়ী রিকসা। (সাইড করে নামালে পেছনের বাস ফস করে ওভারটেক, ফলাফল এই বাসের যাত্রী হারানো) রাজধানী ঢাকার অতি সাধাারণ চিত্র।

মেট্ররেল চালু হলে আবস্য কিছুটা নৈরাজ্য কমবে। তবে বাসের প্রয়জন ফুরবে না। আর ঢাকার যে জানজট।
ভোগান্তি কমাতে ঢাকা শহরে দরকার দোতালা বাস সার্ভিস। পৃথক বাস লেন ভিত্তিক একটি সার্ভিস।
সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রনে হলে ভাল হবে। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্য কোন বাস থাকবে না। তারা ব্যাবস্থাপনা ও মনিটরিং করবে।
এই মনিটরিং, ক্যামেরা ভিত্তিক মনিটরিং। বাস দিবে পি পি পি ভিত্তিক বাস কম্পানী, বা ব্যাক্তি মালিক, মানসম্পন্ন দোতালা বাস সব নিয়ম মেনে যারা দিতে পারবে, তারাই লেন ভিত্তিক বাস সার্ভিস সদস্য হতে পারবে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বরাদ্দ হবে। বিআরটিসিও আসতে পারে নতুন দোতালা বাস দিতে পারলে।
থাকবে রাস্তায় দাগ দেয়া সম্পুর্ন পৃথক বাস লেন, এই লেনে অন্য কোন যানবাহন ঢুকবে না।



আমেরিকা সহ বেশিরভাগ দেশে রাইট ওয়ে ড্রাইভ। ট্রাফিক রাস্তার ডান দিকে। রাস্তার ডান দিকে বাস লেন।


পৃথক বাস লেন দরকার

বাংলাদেশে রাস্তার পরিমান খুবই কম ৯% মাত্র। থাকার কথা ২০-২৫%
এরপরও যা আছে সেটাই দক্ষতার সাথে সর্বত্তম সর্বচ্চ ব্যাবহার করতে হবে।
ঢাকার রাস্তা এমনিতেই জ্যাম। উন্নত দেশের ন্যায় প্রধান প্রধান রাস্তায় 'পৃথক বাস লেন' করা হলে মুল রাস্তার পরিমান কমে যানজট হয়তো আরেকটু বাড়বে, কিন্তু লেনে থাকা কোন বাস জামে পড়বে না। বাসযাত্রী সাধারন পাবলিক দ্রুত যেতে পারবে। গাড়ীওয়ালারাও বাসে যেতে উৎসাহি হবে।

ঢাকার সংকির্ন রাস্তায় বাস লেনের স্থানসংকুলান হবে?

নিশ্চই হবে। হতেই হবে। রাস্তার উপর বসা হকার, মুরগীওয়ালা মাছওয়ালাদের উঠিয়ে দিলে এমনিতেই বাস লেনের যায়গা হয়ে যায়। বাস স্ট্যান্ডের যায়গাও সমস্যা হওয়ার কথা না।

অনেক বাঘা বুদ্ধিজীবি বলছেন ঢাকার সব বাস উঠিয়ে দিয়ে ৬ টি কম্পানীকে দিলেই বাস নৈরাজ্য কমবে।
আমি মনে করি এটাও ভুল সিদ্ধান্ত।
বুদ্ধিজীবিদের কথামত নগর পরিবহনে ফিক্সড ৫-৬ টি কর্পোরেট জায়েন্ট কম্পানীকে চান্স দিলে তারা সরকারি দলের ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেটেড মাফিয়া হয়ে ভাড়া লাগামহীন করেদিতে পারে। বাস লেন ও দোতালা বাস সার্ভিস আমার মতে ভাল একটি সমাধান।

তাই বাস লেনে একজন ১টি বাস দিলেও আগে আসিলে আগে পাইবেন ভিত্তিতে বরাদ্দ দিতে হবে। নির্ধারিত ৫ হাজার বা নির্ধারিত সীমা অতিক্রম না করা পর্যন্ত। কম্পানী বা ব্যাক্তি যেই আগে আসুক। বেশী আসলেই ভাল। প্রতিযোগতামুলক ভাবে ভাড়া কম থাকবে।
যাত্রা শেষে যাত্রীদের রেটিং দেয়ার ব্যাবস্থা থাকবে, মাস শেষে খুব কম রেটিং প্রাপ্ত বাস বা কম্পানী বাদ দিয়ে অপেক্ষমান নতুন বাস বা কম্পানীকে সুযোগ দিবে।

কার্ড ভিত্তিক মান্থলি বা উইকলি টিকেটে ভাড়া ডিসকাউন্ট থাকবে। ক্রেডিট কার্ড মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা মোবাইল এপ ভিত্তিক ভাড়া পরিশোধ ব্যাবস্থা থাকলে ভাংতি পয়শার ভ্যাজাল দূর হবে। স্কুল ছাত্রদের স্কুল টাইমে টিকেট হাফ দামে থাকতে হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টদের হাফ ভাড়া দেয়ার দরকার নেই।


বাঘা বুদ্ধিজীবিদের পরামর্শে বাস লেনের কথা নেই। কোন শুনলাম না।
তারা শুধু শহরের সব বাস বন্ধ করে ৬টি বাস কম্পানীর মাধ্যমে চালাতে বলছে!
এতে নাকি ঠেলাঠেলি বন্ধ হবে! আমার তো মনে হয় ৬টা কর্পোরেট মাফিয়া তৈরি হবে। যাই করুক লেন ভিত্তিক করা উচিত কিন্তু কেউ লেনের কথা বলছে না।
আরো একটা বিপদ। ওদের কথায় সব বাস বন্ধ করে দিয়ে শুধু ৬টা কর্পোরেট বাস কম্পানীকে ব্যাবসার সুযোগ দিলে হঠাৎ লাখখানেক বাসশ্রমিক বেকার কর্মহীন হয়ে যাবে, তারা বিক্ষোভও ভাংচুর শুরু করে দিতে পারে। তাই প্রথমেই প্রচলিত বাসসার্ভিস বন্ধ করা ঠিক হবে না। দুটোই চলবে, পরে লেন ভিত্তিক বাস জনপ্রীয় হয়ে গেলে এমনিতেই প্রচলিত সার্ভিস দুর্বল হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। বা অল্পসংখক লেনবিহীন বাস টিকে থাকতে খুব কম ভাড়ায় যাত্রী নিবে। পরে সরকার বা সিটি কতৃপক্ষ হুকুম জারি করে বন্ধ করবে, বা অবস্থা বুঝে।



নিউইয়র্কে টাইম স্কোয়ারের কাছে চলন্ত গাড়ী থেকে তোলা। সরু রাস্তায়ও বাস লেন। গাড়ী ঢুকে গেলেও সেকেন্ডের ভেতর বের হয়ে লেন ফ্রী করে দিচ্ছে। ছবি কার্টেসি জাহাংগির ভাই।


বাস লেনে চলাচল করতে বর্তমান বাস মালিকদের সহ অন্যান্নদেরও অফার দেয়া যায়। কর্পোরেট জায়েন্টরা আসলেও সমস্যা নেই,
তবে তাদের মনোপলি সুবিধা দেয়া যাবেনা। সব নিয়ম মেনে বিআরটিসিও লেনে আসতে পারে।
শুধু দোতালা নতুন বাস প্রশিক্ষিত গ্রাজুয়েট চালক সহ সকল নিয়ম মেনে যারা নতুন দোতালা বাস দিতে পারবে তারাই শুধু বাস লেনে চলতে পারবে। কোটায় ৬০% নারী চালক দিলে ভালহয়। কানাডা ও আমেরিকায় সিটি সার্ভিসে অনেক নারীচালক বাস চালাচ্ছে। সেই নারীচালকদের ভেতর কিছু বাংলাদেশীও দেখেছি।

দোতালা বাস কেন?
ঢাকায় খুব কম রাস্তা, বিপুল ঘনবসতি। বিপুল যাত্রী। ডাবলডেকার বাস দরকার। কারন এতে একটি বাসই রাস্তা কম দখল করে দুটি বাসের সমান শতাধিক যাত্রি বহন করতে পারবে।

বাসষ্টান্ডে বাস ১ মিনিট থামবে। ম্যাক্সিমাম দেড় মিনিট। অন্যকোথাও থামবে না। এর অন্যথা হলে ক্যামেরা ভিত্তিক অটো মনিটরিঙ্গে ১ মিনিট বিলম্বের জন্য জরিমানা হবে ১ হাজার টাকা। ২ মিনিট দেরি হলে জরিমানা সহ ড্রাইভার ১মাস সাসপেন্ড। প্যানেলে একাধিক ড্রাইভার ওয়েটিংএ থাকবে। বেকারের দেশে গ্রাজুয়েট ড্রাইভার অভাব হবে না।



মাথাভারি ৪ হাজার ২শত কোটি টাকার নির্মানাধিন BRT. Gazipur-Airport rapid bus service



এই মামুলি বাস লেন ভিত্তিক সার্ভিস করতে এক মাথাভারি এক প্রজেক্ট দেখলাম (Airport-Gazipur BRT Line)
গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট মাত্র ২০ কিলোমিটার রাস্তা, 20.5km rapid bus service. খরচ কত জানেন? ৪ হাজার ২শত কোটি টাকা।
অর্ধেক টাকা শেষ। কাজ, ১/৩ ও হয় নি। উদ্ভট উটের পিঠে স্বদেশ!

রাস্তায় দাগ দিয়ে দিবে সিটি কর্পোরেশন, বাস লেন আইন করে দিবে, লিখে দিবে বাস লেন। ইংরাজি মারানোর দরকার নেই বাংলায় লেখা থাকবে। বাকিটা করবে বাস মালিকরা।
সরকার বা সিটি কতৃপক্ষ কোন বাস কিনবে না।
সরকার বা স্থানিয় সরকার (সিটিকর্প) নিয়োজিত টিম ক্যামেরা ভিত্তিক মনিটরিং করবে। হাজার কোটি লাগে নাকি, শত কোটি কেন দু-চার কোটিতেই হয়ে যাওয়ার কথা। টাকার তো অভাব নেই, যা লাগে খরচ করবে করুক। কিন্তু সবকিছু স্বচ্ছ থাকতে হবে।

বাস লেন শুধু শাদা দাগ দিয়ে দিলেই হবে, কংক্রিট ব্লক দিয়ে আলাদা করার দরকার নেই। কোন গাড়ী বাস লেনে ঢুকবে না। বিপদে বা ভুলকরে ঢুকে পরলে ৫৯ সেকেন্ডের ভেতর সরে যাবে, নতুবা প্রতি মিনিটে বাস লেনে অবস্থানের জন্য ক্যামেরা ভিত্তিক অটো ২০০টাকা বড় গাড়ী ৪০০ টাকা জরিমানা হবে। গাড়ী আটকে নাটক করার দরকার নেই, জরিমানার টিকেট ইমেইল, sms ও বাসার ঠিকানায় যাবে। জরিমানা পরিশোধ না করলে প্রতিমাস ২০% বিলম্ব ফি সহ পরিশোধ করতে হবে। নতুবা পুন রেজিষ্ট্রশনের সময়ে মোটা অংকের বিলম্ব ফি সহ দিতে বাধ্য।
স্কুল বাস, বিশ্ববিদ্যালয় বাস, সরকারি-বেসরকারি স্টাফ বাস বা মিলিটারি স্টাফ বাস বাস লেনে ঢুকবে না। ঢুকলেই জরিমানা। অটো।



আমেরিকায় যেখানে সাইকেল লেন নেই সেসব রাস্তায় বাস লেনে বাইসাইকেল চলার অনুমতি আছে। সমস্যা হয় না।





বাস লেন ভিত্তিক বাস সার্ভিস রাস্তার এহেন ফ্রীস্টাইল নৈরাজ্য কমিয়ে আনবে




পথচারি বিড়ম্বনা
একসাথে এত বিপুল মানুষের চিন্তাধারা এত সংকির্ন হয় কিভাবে ভেবে পাই না।

ট্রাফিক আইন হচ্ছে মুলত শুধু মাত্র গাড়ীর জন্য ও গাড়ী চালকের জন্য।
কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের পর মনে হচ্ছে ঢাকার রাস্তার ট্রাফিক মুল সমস্যা বেপরোয়া ড্রাইভার নয়, হতভাগ্য পথচারিরাই।
ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জন্য পথচারিদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে না, কোন গ্রাউন্ডেই হতে পারে না। বাংলাদেশের আইনে নেই। পৃথিবীর কোথাও এরুপ আইন নেই।

টিভিতে, পত্রিকায় সবাই বলছে দেখছি, ঢাকার মুল সমস্যা নাকি 'মানুষ ফুটওভার ব্যাবহার করছে না কেন'?

আমি মার্কিন প্রবাসি হলেও ঢাকার একজন গাড়ীওয়ালা-বাড়ীওয়ালা প্লাস একজন ড্রাইভার। এরপরও আমাকে হাটতে হয়। স্বল্প দূরত্বে আমি হাটতে পছন্দ করি। পথচারির কষ্ট আমি বুঝি।

আমি না জেনে, না বুঝে কিছু লিখি না। একটি লেখা লেখার আগে আমি প্রচুর স্টাডি করি। ফলে আমি যা লিখি তা স্পষ্টভাবে আমার সুচিন্তিত অবস্থান। জানি এটি একটি প্রতিষ্ঠিত নৈরাজ্য-অবহেলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। জানি অনেকেই বিরোধিতা করবে। কারো দ্বিমত যুক্তিযুক্ত হলে মেনে নিবো।

যে যাই মনে করুক, আমি কঠিনভাবে পথচারিদের জোড়পুর্বক ফুটওভার ব্যাবহারের বিরুদ্ধে।
রাস্তা পারাপারের জন্য চাই সহজ ওয়াইড জেব্রা ক্রসিং।





ঢাকার রাস্তা বিভাজক উচু কংক্রিট ডিভাইডার ও ডিভাইডার ও ফুটপাতের সব এন্টিট্যাঙ্ক ব্যারিকেড রেলিং উঠিয়ে দিতে হবে।

এত জনবহুল পথচারির দেশে ১% প্রাইভেট কারের নির্বিঘ্ন চলাচল সুবিধা করতে ৯৯% পথচারিকে বিপাকে ফেলছে। একটা রাস্তা পার হতে আধামাইল হেটে ফুটওভার নামক পাহাড় টপকাতে বলা ..
উচু রোড ডিভাইডারে তো আছেই, এরপর যুদ্ধক্ষেত্রের ন্যায় মোটা এঙ্গেলের এন্টিট্যাঙ্ক রেলিং! ফুটপাতেও উচু রেলিং ব্যারিকেড!
ফকিন্নির বাচ্চারা রাস্তায় নামলে বড়লোকের গাড়ীতে হাত পড়লে গাড়ী ময়লা হয়ে যাবে না? তাই মোটা এঙ্গেল-রড দিয়ে ঘিড়ে ফেলতে হবে রাস্তা ফুটপাত। এমনিতেই রাস্তা গাড়ীতে জ্যাম, এই সব লোহার আবর্জনা মানুষকেও জ্যামে আটকে ফেলেছে।
অসুস্থ চিন্তার কিছু উম্মাদ মানুষদের বুদ্ধি। গাড়ীতে চড়া, যারা ইহজনমে কোনদিনও ফুটপাতে হাটেনি তাদেরি বুদ্ধি।
সিফাউল্লাকে ভাড়া করে অকথ্য গালাগাল করাতে ইচ্ছা হয়।


কিছু ফুটপাতও উচু এন্টি ট্যাঙ্ক রেলিং, সামনে হাইজ্যাকার দেখলেও পালানোর উপায় নেই। রাতের কথা আর বললাম না।
২০১৬ তে আমার নিজের তোলা ছবি।







নিউইয়র্কে এত পথচারি, এত গাড়ী, অসংখ্য জেব্রাক্রসিং, এখনপর্যন্ত কোন ফুটওভার ব্রীজ চোখে পড়েনি। ডালাস বা অরল্যন্ডোতেও নেই, ঢাকার কাছের ব্যাঙ্কককেও দেখিনি।
বিভিন্ন দেশে ফুট ওভার ব্রীজ গুলো মূলতো যেখানে রেলপথ আছে, একাধিক রাস্তার সংযোগ, বেশী প্রশস্ত মহাসড়ক সেরকম ঝুকিপূর্ণ সেসব জায়গায় হয় / হওয়ার কথা। অথচ আমাদের দেশে কিছুদুর পরপর এই ব্যায় সাপেক্ষ এইসব ছাদওয়ালা ফুটওভার ব্রীজ করা হয় হচ্ছে কিছু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করতেই। আর উচু লোহার রেলিং দিয়ে রাস্তা পারাপার স্থায়ী ভাবে বন্ধ। ছাদ সহ ফুটওভার ব্রীজ করা হচ্ছে হকারদের বসানো সুবিধা করতে, কিছু হকার-চাদাবাজ বখাটেদের আড্ডাবাজির জন্যই।
সরকারের কবে এত দয়া হইলো যে হেটেচলা মানুষদের মাথায় ছাতা ধরবে?


বিপুল পথচারিদের বাধ্য করা হচ্ছে ফূটওভারে উঠতে। কিন্তু নিচে গাড়ীওয়ালাদের বেআইনি পার্কিং, হকার, রাস্তা দখল কতৃপক্ষের কাছে সমস্যা নয়। শুধু পথচারিরা রাস্তায় নামলেই সমস্যা। ছবি আমার নিজের তোলা।


শুধু ফুটপাতে নয়, রাস্তায় উপর হকার, দোকান, মাছ-মুরগী, পসরা নিয়ে ভ্যানগাড়ী দাড়করিয়ে অর্ধেক রাস্তা দখল করতে পারবে, গাড়ীওয়ালারা যাতেচ্ছভাবে দুই রো পার্কিং করে রাস্তা সরু করে ফেলতে পারবে। কেউ কিছু বলবে না।
শুধু পথচারি রাস্তায় নামলে খবর আছে। রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করা হলে তো ৫ পুলিশ মার মার কাট কাট করতে করতে ছুটে আসবে। ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে দল বেধে সাংঘাতিকরাও। এতবড় সাহস। ফুটওভার থাকতে রাস্তায় নামা, যানজট ও দুর্ঘটনার তোরাই তো বড় কারন।



পুরো রাস্তার মাঝে ব্যারিকেড, কেউ রাস্তা পার হতে পারে না, কিন্তু হকার রাস্তায় বসা, চালু রোডের দুই লেন দখল করে গাড়ী পার্কিং। কেউ কিছু বলছে না। শুধু মানুষ রাস্তা পার হতেগেলেই ম্যাজিষ্ট্রট সহ ৫ পুলিশ ছুটে আসবে।



রাস্তায় হকার দোকান, পসরা ভর্তি ঠেলাগাড়ী, দুই রো প্রাইভেট গাড়ী পার্কিং ভ্যানগাড়ি নিয়ে হকার এসব পুলিশ বা সাংবাদিক টকবাজদের চোখে পরবে না।
এমনিতেই তো যানজটে সব রাস্তা ঘন্টার পর ঘন্টা থেমে থাকে। তাই বলে পায়ে হাটা পথচারিদেরও থেমে থাকতে হবে?
ভারি সওদাপাতি-ব্যাগ নিয়ে আধা মাইল হেটে এরপর পাহাড় টপকাতে হবে? আর হকার গাড়ীওয়ালারা রাস্তার উপর পার্কিং করে যতেচ্ছ রাস্তা সরু করুক। কোন সমস্যা নেই। শুধু গাড়ীবিহিন একটা ফকিন্নির বাচ্চাও যাতে রাস্তায় নামতে না পারে, গাড়ীতে হাত লাগিয়ে নোংড়া করতে না পারে। রাস্তা পার না হতে পারে, ম্যাজিষ্ট্রেট সহ ৫টা পুলিশ লাগাও। ছিনতাই ধরতে ১ পুলিশ খুজে নাপেলেও সমস্যা নেই।

জ্যাম ও জটের কারনে ঢাকায় অতি ধীর গতির যানবাহন। বেশিরভাগ সময় থেমেই থাকে। ফুটওভার বা জেব্রাক্রসিং ছাড়াও মানুষ ফাকে ফাকে ইজি দ্রুত রাস্তা পার হতে পারে। আর রাতে ও ভোর সকালে রাস্তায় কোন গাড়ী থাকেনা। এরপরও রাস্তা পার হতে অকারন মাইল হাটা, উচু শিড়ি পর্বতারহন। দিনমজুরের শ্রমঘন্টা নষ্ট।

ঢাকায় আমাকে একবার গভীর রাতে অফিসের গাড়ী থেকে একটি বাসার কাছে নেমে বিপাকে পরেছিলাম। রাস্তার যাষ্ট ওপেরেই গলির ভেতর বাসা, কিন্তু পুরো রাস্তা ও ফুটপাত এন্টিট্যাঙ্ক ব্যারিকেড। আধা মাইল দূরে একটি ফুটওভার। আমার মত বলিষ্ঠ পুরুষও মধ্যরাতে ছাদওয়ালা ভুতুরে অন্ধকার ফুটওভারে উঠতে সাহস হয়নি। রাতে মহিলা বা অন্যান্নরা কিভাবে যাচ্ছে জানি না।

আলোচিত এয়ারপোর্ট সড়কে দুর্ঘটনায় বেশী হতাহতের আরেকটি বড় কারন ফুটপাত এন্টিমানুষ নামের এন্টিট্যাঙ্ক ব্যারিকেড। এই উচু রেলিঙ্গের কারনেই উম্মাদের মত ধেয়ে আসা বাস দেখেও পালিয়ে বাচতে ফুটপাতে উঠেযেতে পারেনি স্কুলগামি অপেক্ষমানরা।
এই উচু ডিভাইডার ইমার্জেন্সি সময়ে (অগ্নি দুর্ঘটনা, ভুমিকম্পে বা ভবন ধ্বসে) দ্রুত ইভাকুয়েশন বাধাগ্রস্থ করবে। রাস্তার ওপারে ছিনতাই হচ্ছে উচু রেলিঙ্গের কারনে এপারে পুলিশ বা জনতা তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারবে না। এই লৌহ নির্মিত আপদের এখুনি অপসারন দরকার।




ফুটওভার ব্রীজ থাকবে। হতে হবে ছাদবিহীন উম্মুক্ত ফুটওভার ব্রীজ। উম্মুক্ত আলোকিত থাকলে নিরাপদ বোধ আসবে।
ফুটওভার ব্রীজ ব্যাবহার হবে অপসনাল। নীচে বিভিন্ন স্থানে জেব্রাক্রসিং থাকবে। যে রাস্তাপার নিরাপদ মনে করবেনা সে ফুটওভার ব্যাবহার করবে। যানজটে থেমে থাকা অবস্থায়, রাতে বা ভোরে যখন রাস্তা বেশীরভাগ সময় রাস্তা যখন যানবাহন শুন্য, তখন পথচারিরা জেব্রা ক্রসিং দিয়ে বা যেকোন স্থান দিয়ে সরাসরি সতর্কভাবে রাস্তা পার হবে।
মানুষ গাড়ির অবস্থান ও গতি দেখেই রাস্তা পার হয়, মানুষ রাস্তা অতিক্রম কারনে কোন জানজট হয়েছে এমনটা কোথাও দেখিনি
সারা বিশ্বেই পথচারিদের সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার। ঢাকায় তো বিপুল পথচারি।


রেলপথ একটি ভাল সমাধান।

মেট্ররেল হলে, পৃথক বাস লেন হলে জানজট কিছুটা কমে যাবে সত্য।
কিন্তু আরো কিছু করার আছে।
বর্তমান বিদ্যমান রেলওয়ের সঠিক ব্যবহার করে মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারে।

জয়দেবপুর-ঢাকা নারায়নগঞ্জ চালু ব্রডগেজ ডাবল রেললাইন আছে। ঢাকা নারায়নগঞ্জ অংশটিও ডাবল ব্রডগেজ করে দিল্লির মত দোতালা ব্রডগেজ মেট্রসার্ভিস রেলওয়ে করে ১৫ মিনিট পর পর ট্রেনের ব্যাবস্থা করা হলে। ঢাকা থেকে জানজট নেই হয়ে যাবে।
দোতালা বগি আসার আগে একজিষ্টিং বগি দিয়েই জয়দেবপুর-বিমানবন্দর-তেজগা-্কমলাপুর নারায়নগঞ্জ বিরামহীন সিটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা দরকার। যদিও কমলাপুর নারায়নগঞ্জ একটি দায়সারা একটি সার্ভিস আছে। লাইন ওয়ান ওয়ে। এটাকে টুওয়ে ব্রডগেজ লাইন করতে হবে।
এই রুটে চট্টগ্রাম-কমলাপুর পর্যন্ত টুওয়ে ব্রডগেজ লাইন হয়ে গেছে। সমস্যা হওয়ার কথা না।
টুওয়ে আছেই। তাই অন্যান্ন রুটে প্রচলিত সার্ভিস বিঘ্ন হবে না।
এরপরও সার্ভিস লাইন হিসেবে আরেকটি লাইন করলে ভাল। ১০০% নির্বিঘ্ন সার্ভিস দেয়ার জন্য।

জয়দেবপুর - নারায়নগঞ্জ ট্রেনরুট সফল হলে বাকি লাইন সংস্কার করে সবগুলো রুটে ইন্টার ডিষ্ট্রিক্ট হাই স্পিড ট্রেন সার্ভিস চালু করতে পারে ইজিলি।

ট্রেন সার্ভিস কম রাস্তা দখল করে জানজট বিহীন সবচেয়ে নির্বিঘ্ন ভাল সার্ভিস।
উন্নত দেশে দুরপাল্লার ট্রেন অনেক সুন্দর। ট্রেন ভাড়া বিমান ভাড়া প্রায় সমান, অনেকসময় ট্রেন ভাড়া বেশী।

এক কথায় যা দরকার -

১। পৃথক বাস লেন ও লেনে উচ্চমানের দোতালা সিটি বাস সার্ভিস।

২। পথচারিদের সর্বচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। ফুটপাথে ও রাস্তা পারাপারে এন্টিমানুষ নামের সকল এন্টিট্যাঙ্ক ব্যারিকেড অপসারন করতে হবে।
প্রতিটি সিগনেলে, ইন্টারসেকসন ও প্রয়োজনিয় স্থানে থাকবে ওয়াইড জেব্রা ক্রসিং।
ফুটওভার ব্রীজ থাকবে, তবে ছাদবিহীন উম্মুক্ত হবে। ব্যবহার হবে অপসোনাল। পথচারিরা জেব্রা ক্রসিং বা ফুটওভার যে কোনটা বেছে নিবে।

৩। জয়দেবপুর-বিমানবন্দর-তেজগা-্কমলাপুর নারায়নগঞ্জ বিরামহীন উচ্চমান সিটি ট্রেন সার্ভিস চালু করতে হবে।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক পরিশ্রম করে এই লেখা তৈরী করেছেন সন্দেহ নাই। তবে মুলে যান নাই। চাইলে যে ঢাকাকে যানজট্মুক্ত করে একটি সুশৃংখল শহড়ে পরিনত করা যায় তা ১০/১২ বছরের বাচ্চারা হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আপনার দল এই বিশৃংখলার অবসান চান না। যারা চান তাদের স্থান হয় রিমান্ডে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার দল আবার কে, থাকি ট্রাম্পের দেশে।

ঢাকায় আসলে কষ্ট হয়, সেটা নিয়েই লেখা।
আপনার নির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে বলেন। সব যাগায় আম্লিগ-বিম্পি টেনে আনেন কেন?

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, ব্লগার ঢাবিয়ান আপনার পোষ্ট পড়েছেন।

আমি ঢাকার মেয়ের হওয়ার পরে পড়ে দেখবো, এখন প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকা উত্তর মেয়র পদ আপনার জন্য খালি রেখেছি।
আপনি আসেন নির্বাচনে দাড়ান।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: আপনার মত গুনি মানুষের কাছ থেকে এমন সুন্দর পোষ্টই চাই। দারুণ প্রস্তাবনা। ++

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি গুনি মানুষ নই,
কবিতা তো দুরের কথা আজ পর্যন্ত একটা ছড়াও লিখতে পারি নি।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের পরিকল্পনার অভাব নেই। সমস্যা হলো বাস্তবায়নকারীরা এসব ভাল কথা শোনা, বোঝা বা বাস্তবায়নের দরকার মনে করেনা।

১/ ২ কোটিতে প্রব্লেম সলভড হয়ে গেলে তো তাদের কমিশনিং বানিজ্যের কি হবে?
৪ হাজার কোটি টাকার কমিশন কত হয় তা তো সাধারন অংক না জানা যে কেউ বুঝবে ! শুধু বুঝবেনা- কতটা বিবেকহীন হলে এমন সব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

আপনার দারুন সব প্রস্তাবনায় সহমত। কিন্তু আমাদের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা গিনেজ বুকে রেকর্ড করার মতো।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনে আমেরিকান বাংঙালী টিম এসেছিলেন। কিন্তু কত্তাদের সিস্টেমের প‌্যাচে বলে ছেড়ে দেমা বলে পালীয়ে বেঁচেছেন।

প্রেসক্লাবের সামনে সাধারন মানুষ ট্রাফিকিং ইজি করার এবং জ্যাম নিরসনে নিজ খরচে বড় বড় ব্যানার করে দাড়িয়ে থাকে। সাংবাদিকরা তাদের দিকে ফিরেও দেখেনা।
আমাদের সীমিত সড়কে গতি আনতে একটা প্রস্তাব নিয়ে দৌড়েছিলাম কয়েকদিন। পরে হাল ছেড়ে দিয়ে ঝ্যামে বসে ঘুমাই ;)
প্রতিটি চাররাস্তার মোড়কে ৬:৯ করে আন্ডার ওভার পাস করে দিলেই কেউ না থেমেই বা কোন সিগনালের অপেক্ষা কনা করেই চলতে পারবে। লেফট, রাইট টার্ন ওপেন রেখে সব বিস্তারিত দিয়েই বানিয়েছিলাম।
কিন্তু হ হতোম্যি। খরচতো খুবই কম! এবং কমিশনও নেই। ব্যাস ফাইল বাতিলের খাতায়!

একটা সকালের দৃশ্য দেখুন।
ভদ্রলোকের অফিস সকাল ১০ টায়। মিরপুর থেকে মতিঝিলের নরমাল যাতায়াত সময় মাত্র ২০-২৫ মিনিট লাগার কথা। যেটা ঈদের ছুটিতে এবং অন্যান্য বন্ধের দিনে আসরেই তাই। বা আরো কম।
অথচ উনি ভোর সাড়ে ৬টায় উঠে সাড়ে সাতটার মধ্যে বাসষ্ট্যান্ডে! বােসর অপেক্ষায় দাড়িয়ে।
বড় বড় বাস ৫২ সিটের ধারন ক্ষম গেট বন্ধ করে যাচ্ছে। ষ্টাফ বাস!!!
বিআরটিসির ডাবল ডেকার! আসছে। রেডি গাড়িতে উঠবেন। কাছে আসতেই কন্ডাটর হাত নেড়ে মানা করছে।
ষ্টাফ বাস। পুরো গাড়ীতে যাত্রী মাত্র ১০-১২ জন! অথচ রাস্তায় অপেক্ষামান হাজার হাজার যাত্রি!
এভাবে ১০-২০ বিশটা গাড়ীর পর লক্কর ঝক্কর একটা গাড়ী পেলে আর তাতে উঠতে পারলেই ভাগ্যবান ভাবেন!
যদিও ঘামের গন্ধে আর ভীরের চাপে চীড়ে চ্যাপ্ট অবস্থা!
অত:পর ২৫ মিনিটের জার্নি দেড় থেকে পৌনে দু ঘন্টায় সমাপ্ত করে অফিসে পৌছানো!
জাস্ট ইমাজিন!!!

অথচ বিআরটিসির ষ্ট্রীকটলি পিক টাইমে ষ্টাফ বাসের সার্ভিস বন্ধ রাখা উচিত। আর বিআরটিসির যদি তা করতেই হয় তবে অতিরিক্ক বাস দিয়ে সাধারন মানুষের মুল সাভির্স ঠিক রেখেই করা উচিত।
কে শোনে কার কথা? কে ভাবে কার কথা!

দু:খিত মন্তব্য বিশাল হয়ে গেল !

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বড় পোষ্টে বড় মন্তব্য হবে, সমস্য নেই।
বিআরটিসি মাথাভারি প্রতিষ্ঠান।
পিক টাইমে অনত্র সার্ভিসে যায় কিভাবে।
বিআরটিসি অনেকগুলো বাস দেখলাম সামান্য মেরামতের অপেক্ষায় অকেজ করে ফেলে রেখেছে।
তুচ্ছ রাজনৈতিক কারনে মাত্র ৪ বছর চলার পর মুল্যবান ভলভো বাসগুলো অকেজ করে ফেলে রেখেছে।
অতচ একটি ভলভো বাস ২৫ বছর লাইফ!

আপনি ঠিকই বলেছেন।
প্রতিটি চৌরাস্তায় ৬:৯ করে আন্ডার পাস ওভার পাস করে দিলেই কেউ না থেমেই বা কোন সিগনাল বাদেই চলতে পারে।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঢাকায় যে পরিমান রাস্তা তাতে বাস লেন করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না, এতে বাসের গতি অনেক কমে যাবে। লাইনে চলতে গেলে দেখা যাবে গুলিস্তান থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বাসের লাইন লেগে গেছে। আপনি বলছেন ৬টি কোম্পানী হলে বাস মালিকের নৈরাজ্য বাড়বে এবং অনেক বাস শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। এখানে বলা হয়েছে ঢাকায় যত বাস আছে সব গুলিকে ৬টা কোম্পানির অধীনে নিয়ে আসার কথা তাই বাস শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে না। এটা করা হলে বাসে বাসে ভাড়ার জন্য প্রতিযোগিতা কমবে। আপনার কথামত এই ৬টি কোম্পানিকে যদি মনিটরিং করা হয় যাতে সিন্ডেকেট করতে না পারে তাহলে এতেও সুফল আসতে পারে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকায় তো দেখি গাড়ী বাস সবই থেমেই থাকে। অল্প একটু চলে আবার থেমে থাকে।
পৃথক বাস লেন থাকলে অন্তত একটি শ্রেনির গাড়ী (বাস) গতি বাড়বে। জটে পড়বে না।

আমেরিকার শহরগুলোতে মাঝে মাঝে বাংলাদেশের চেয়েও বড় জ্যাম হয়, কিন্তু পৃথক লেন থাকায় বাস সার্ভিস জ্যামে পড়ে না।
ঢাকায় সিটি বাস সার্ভিস ৬টি কোম্পানিকে দেয়ার এত ইচ্ছা থাকলে দেক। কিন্তু বাসগুলো লেন ভিত্তিক চলার ব্যাবস্থা করুক।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বর্তমান ঢাকা শহরের জন্য প্রিয় সমাধান, আমারও প্রিয় পরামর্শ গুলো।

লেন তৈরির জন্য বাম ডান একটা যেমন ব্যাপার তেমনি রিকশা অটো একটা ব্যাপার এই শহরে। আবার বিবেকহীন ড্রাইভ তো আছেই।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ। জাহাঙ্গীর ভাই।

বাস লেন রাস্তার বামদিকে ফুটপাত ঘেসে হবে।
ছবিতে যা দেখছেন সেটা ডান দিকে। কারন আমেরিকা সহ সেসব দেশে উল্টো নিয়ম। গাড়ী রাস্তার ডান দিকে চলে।
কানাডা বাদে কমনওয়েলথ দেশগুলোতে গাড়ী আমাদের দেশের মত বাম দিকে চলাচল।
জাপান ও থাইল্যান্ড ও বামে চলে। কুয়ালালামপুরেও দেখেছিলাম বামেই চলে।

বাদবাকি পৃথিবীর সকল দেশে চলে উল্টো। ডানদিকে।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: সুচিন্তিত প্রস্তাব ! সরকার ভেবে দেখবেন আশা করি !

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকার ভাববে?

সরকারের কেউ ব্লগ পড়ে নাকি! পড়ার টাইম আছে নাকি।
ব্লগে কি কমিশন বানিজ্য আছে যে এখানে এসে সময় নষ্ট করবে।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যে দেশে ৩/৪ কোটি মানুষ থাকলেই বেশী সেখানে বাস করছে ১৭/১৮ কোটি মানুষ।
ভাবা যায়?
তারপর মানুষ সচেতন নয় ।
আইন মানতে চায় না কেউ।
নেতা -পাতি নেতা, ছাত্র জনতা কেউই আইন মানতে চায় না।
নিয়ম কানুনের বালাই নেই।
কোন দিনই এই অবস্থার উন্নতির আশা করি না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

যে দেশে ৩/৪ কোটি মানুষ থাকলেই বেশী সেখানে বাস করছে ১৭/১৮ কোটি মানুষ।
আরো যোগ হয়েছে ১২ লাখ রহিঙ্গা। হাইব্রিড, বছরে ৫০ হাজার বংশবৃদ্ধি।
যাইহোক এদের তো আর মেরে কমিয়ে ফেলতে পারবেন না।

দেশে রাস্তার পরিমানও কম ৯% মাত্র। থাকার কথা ২০-২৫%
এরপরও যা আছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সেটাই দক্ষতার সাথে সর্বত্তম সর্বচ্চ ব্যাবহার গনপরিবহন ভোগান্তি অব্যাবস্থাপনা দূর করতে হবে।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: যাত্রী পারাপারে আপনার মতামতের সাথে আমি পুরোপুরি একমত।রাস্তার এপার থেকে ওপার যেতে হলে ২ মিনিট লাগার কথা অথচ আমাদের দেশের পরিস্থিতি এমন যে কমপক্ষে মাইল খানেক রাস্তা না গেলে আর ওপারে যাওয়া হয় না।
জেব্রা ক্রসিং আর রেড লাইট ইয়েলো লাইট সিস্টেম হতে পারতো বেটার, যদি আইনের বাস্তবায়ন থাকতো আমাদের দেশে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যানজটের চেয়ে ঢাকায় রাস্তাপারাপারের ভোগান্তিটাই বেশী।
ভারি সওদাপাতি-ব্যাগ থাকলে তো আরো কঠিন। নিয়ে আধা মাইল হেটে এরপর পাহাড় টপকানোর জন্য প্রস্তুতি।
ছাদ ওয়ালা ফুটওভার টবের গাছপালার জন্য উপরে কোন বখটেদের জটলা আছে কি না বোঝার উপায় নেই।
পুলিশ থাকলে তো আরো বিপদ, আপনাকে একা পেলে পকেটে ইয়াবা দিয়ে বলবে, ভালোয় ভালয় ২ হাজার ছাড়েন, নইলে তো বুঝেনই!

২৩ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আরবান প্ল্যানিং বা নগর পরিকল্পনায় পথচারিকে সর্বচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়। পথচারী যেভাবে যে পথ দিয়ে চলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, নগর পরিকল্পনা সেই অনুযায়ী করা। আমাদের এখানে তার উল্টো ঘটনা ঘটে; নগর পরিকল্পকরা তাদের বুঝ অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা করেন এবং পথচারীকে চলতে বাধ্য করতে চান, তাতে পথচারী স্বচ্ছন্দ বোধ করুক আর না করুক।

প্রায়ই দেখা যায় ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে রাস্তা পারাপারের জন্য পথচারীদের দায়ী করা হয়। এই ধরনের প্রবণতার কার্যকারণ খুঁজে দেখলে দেখা যায়- ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে গেলে সময় ও শ্রম বেশি লাগে, তাছাড়া শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ মানুষদের জন্য তা ভয়ানক অসুবিধাজনকও।

কোন আধুনিক নগরে এভাবে ফুটওভার দিয়ে পথচারিদের রাস্তা পার হতে বাধ্য করা হয় না, পথচারিদের রাস্তা পারাপারের জন্য জেব্রাক্রসিং থাকে। শুধু তাই নয়, জেব্রাক্রসিংও যদি বেশি দূরত্বে থাকে, তাহলে যে স্থান দিয়ে পথচারি বেশি পারাপার হন, সেই 'ডিজায়ার লাইন' বরাবর নতুন ক্রসিং পর্যন্ত তৈরি করার নজির এই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে

ছবিটি নিউইয়র্কের প্রাক্তন ট্রাফিক কমিশনার জেনেট এর বই "স্ট্রিট ফাইট" থেকে নেয়া। উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটা আর্কেডে যাওয়ার সুবিধার জন্য পথচারীরা কয়েকশ ফুট দূরের জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করে রাস্তার মাঝখান দিয়েই পার হচ্ছেন।



ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পথচারীদের রাস্তা পারাপার প্রবনতা এই ডিজায়ার লাইন ফলো করে নিউইয়র্কের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট মাঝ বরাবরই জেব্রা ক্রসিং এর ব্যবস্থা করে দিল।

আর আমাদের দেশে পথচারীদের কথা ভাবাই হয় না ডিজায়ার লাইন ফলো করা তো দূরের কথা, উল্টো এক পথচারির জন্য ৫ পুলিশ লাগায়। ছিনতাইকারি ধরার পুলিশ পাওয়া যায় না। হাংবাদিকরা পত্রিকায় ছবি ছাপিয়ে তাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয় করা এবং অপরাধী প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলে, জনগন লাফায়। বিচারক পথচারিকে জরিমানা করার আইন করতে রুল জারি করে।

২৩ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চৌরাস্তা তিনরাস্তা ইত্যাদি ইন্টারসেকশানগুলোতে এমনিতেই ট্রাফিক সিগনালে গাড়ি থামতে হয়।
ঠিক সেখানে তার সাথে সিংক্রোনাইজ করে জেব্রা ক্রসিং স্থাপন করে ট্রাফিক সিগনেলের সাথে সমন্যয় করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে নিয়মিত বিরতিতে পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা করলে মানুষকে ঝুকি নিয়ে যত্রতত্র রাস্তাপারাপার করতে হবে না।
এটাই উন্নত দেশে পথচারি পারাপারের সুস্থ স্বাভাবিক নিয়ম।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

সনেট কবি বলেছেন: ভাল বলেছেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আস্লাময়ালাইকুম ফরিদ ভাই। ভাল আছেন?

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

রাকু হাসান বলেছেন:

আপনার প্রস্তাবগুলো ভাল লাগলো । বিশেষ করে বাস লেন,মনিটরিং সিস্টেম টা ,খুব ভাল লিখেছেন । আসলে এগুলো আলোর মুখ দেখার জন্য দরকার সুষ্ঠু কার্যকরি ,দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা-সু ব্যবস্থাপনা কিন্তু আমাদের সে রকম মনোবল ই নেই অনেক সময় ,এসব ক্ষেত্রে আনিসুল হকের মত লোক দরকার । আশাবাদী তবু ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ রাকু ভাই।

বাস লেন ও ক্যামেরা ভিত্তিক মনিটরিং কোন ব্যাপারই না। শুধু দরকার সংস্লিষ্ট মহলের সদিচ্ছা।
বাংলাদেশের গাড়ীর নম্বরপ্লেট চিপভিত্তিক স্মার্ট হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই, স্মার্ট ক্যামেরায় চলন্ত গাড়ীর নম্বরপ্লেট স্ক্যান করে অটো মনিটরিং সম্ভব।
উন্নত দেশে এভাবেই অটোমেটিক ভাবে টোল রসিদ বা জরিমানার নোটিস পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আমিও এসেই ৫০ ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছিল। নোটিসটাও সেই রকম। গাড়ীর পেছনের ছবিসহ স্টপ সাইন লংঘনের সময়কার। পর্যাপ্ত কোর্ট ফি দিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে জজের উপস্থিতিতে ভিডিও প্রমান দেয়া হবে।
তবে কেউ এপথে যায় না। একবার জরিমানা দিলেই ড্রাইভার ১০০% সিধা হয়ে যায়।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুব চিন্তা ভাবনা করে লিখেছেন বুঝা যাচ্ছে।
কিন্তু এর পাশেও যে অনেক সমস্যা আছে সেগুলো এড়িয়ে গেছেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না সব কিছুর সাথে সব কিছুর সামঞ্জস্য আছে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এর পাশেও যে অনেক সমস্যা আছে সেগুলো এড়িয়ে গেছেন।

কি সমস্যা খুলে বলেন।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



লেখাটি সময়ের দাবী মেঠানোর মত। প্রথমে একটা কিছু দিয়ে শুরু হোক তারপর ধীরে ধীরে উন্নত করা যাবে। কিন্তু শুরু হয় না কোন কিছুই।

আসলে কমিশন বানিজ্য দেশের ভাল কাজের বড় বাঁধা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কমিশন বানিজ্য দেশের ভাল কাজের বড় বাঁধা। ঠিক আছে।
তবে কমিশন বানিজ্য অবস্য দিন দিন কমে আসছে। এই সরকার যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারে ৮-১০ টা বোইং বিমান সহ অন্যান্ন বিমান কিনছে, কোন কমিশন নেই। বিবিয়ানা, মৌলবিবাজার শেভরন গ্যাস চুক্তি, এলএনজি টার্মিনাল ইত্যাদি বড় কেনাকাটায় কোন কমিশন নেই।

আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রলিয়া, ইইউ ইত্যাদি সভ্যদেশ সমুহ থেকে কেনাকাটায় কোন কমিশন বানিজ্য ২০০০ সাল থেকে টোটালি অসম্ভব হয়েগেছে।
দুর্নিতীর স্বর্গরাজ্য হচ্ছে চীন ও রাশিয়া, এরা রাষ্ট্রিয় ভাবেই কমিশন বানিজ্যকে প্রশ্রয় দেয়। তবে বর্তমানে এখান থেকে কেনাকাটা, সেটাও দিন দিন কঠিন হয়ে আসছে। কয়েকটি মামলায় হেরে বড় জরিমানা দেয়ার পর বিদেশী অফশোর ব্যাঙ্কগুলো এখন আর দুর্নিতিবাজদের কালোটাকা রাখতে চাচ্ছে না।
স্মাগলারদের জনপ্রিয় ভার্চুয়াল কারেন্সি বিটকয়েন মার্কিন আয়কর বিভাগের নজরদারিতে ভীতির সঞ্চার হয়ে এখন চরম মন্দাবস্থা।
একমাত্র নিরাপদ ছিল ক্যাস টাকা।
কিন্তু সেটাও এখন কঠিন নজরদারি হচ্ছে। ২০১৫র পর বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সব ব্যাঙ্কে ক্যাস লেনদেন করতে পরিচয়পত্র স্ক্যান করে রাখা হচ্ছে।
কমিশন বানিজ্য ও দুর্নিনি সনাক্ত করা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
সংস্লিষ্ট দেশসমুহের দুদক ও আয়কর বিভাগ একটু তৎপর হলেই এসব বড় বড় আর্থিক দুর্নিতি ইজিলি দমন সম্ভব।

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ বিশ্লেষণ। খালি কিছু বানান শুধরে নিতে হবে।
এসব করতে অনেক সময় লাগবে। সমস্যাটা হলো, আমাদের শহরগুলো পরিকল্পনা করে তৈরী হয়নি। তাই এ অবস্থা। পরিকল্পনা করে তৈরী হলে, এমন হত না।
তবে মেট্রোরেল এলে, অনেকট দুর্ভোগ কমবে কিছুটা। তবে, মনে হয়, মেট্রোরেল যতটুকু হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি অঞ্চল কাভার করতে পারবে৷ তাতেই অনেক কাজ হয়ে যাবে। আর এজন্য সত্যিই আগামী অন্তত দশ বছর এই সরকার দরকার

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল ভাই

মেট্রোরেল এলে অনেকট দুর্ভোগ কমবে সত্য, তবে প্রচলিত রেলকেও দক্ষতার সাথে সর্বচ্চ ব্যাবহার করতে হবে।

১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৭

রাকু হাসান বলেছেন:

খুব সুন্দর প্রতি উত্তর দিয়েছেন হাসান ভাই ! পোস্ট আরও পড়ার উচিত ছিল । খারাপ লাগছে । বেশি পাঠক পেলে খুশি হতাম । ভাল আছেন? আমি আলহামদুলিল্লাহ্

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পোস্ট আরও পঠিত হওয়া উচিত ছিল?
কিন্তু কি করবো ভাই, মডুরা কয়েক বছর জাবত আমার পোষ্ট আর নির্বাচিত পাতায় নেয় না।

১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: ১০০ ভাগ সহমত।

পোষ্টে +++

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ

১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

গ্রীনলাভার বলেছেন: আমেরিকাকে ব্রিটিশরা বলে দেয়নি কিভাবে রাস্তা বানাতে হবে। জার্মানরা আমেরিকা থেকে শেখেনি কিভাবে গাড়ি চালকদেরকে শিখাতে হয় রাস্তার নিয়মকানুন। শুধু বোধ করি বাংগালদেরকেই বিদেশীরা এসে এসে শেখায়। আর ভারতের উদাহরন না দিলে আবার সহজবোধ্যও হয় না। অনুকরন নয়, দরকার শিক্ষা। মানুষকে মানুষ বলে চিনতে পারার শিক্ষা।

ও! আরেকটি কথা, বোধ করি শুধুমাত্র এই বাংলাদেশেই ব্রিলিয়ান্টরা রাজনীতি করে না এবং মূল ক্রিকেট দলের বাইরে ও মাঠের বাইরেই মুর্খ ক্রিকেট বোদ্ধাদের ছড়াছড়ি।

২৭ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একদম সঠিক বলেছেন।

তবে বাংলাদেশে ব্রিলিয়ান্টরা নেই এটাও ভুল।

ডিজাষ্টার ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশ পৃথিবীর সেরা।

আরো আছে।
জঙ্গি সন্ত্রাস দমনে যে যাই বলুক যতেষ্ঠ দক্ষতা দেখাতে পেরেছে বাংলাদেশ।
বিক্ষোভ কন্ট্রলেও যতেষ্ঠ মেধা দেখা যাচ্ছে।
২০১৩ ৫ই মে শাপলা চত্তরে ১০ লাখ মারমুখি হেফাজতিকে ১০ মিনিটেই দক্ষতার সাথে তাড়িয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে, প্রায় বিনা রক্তপাতে। শুধু সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিপেটা , ফাকা গুলিবর্ষন। কানে ধরে ফেরত পাঠানো।
বিশ্ব পুলিশ মব কন্ট্রোল ইতিহাসে এটি একটি মাইলফলক বলা যায়।

প্রায় একই রকম ঘটনায় মিশরে তাহারির স্কোয়ারে ৫ লাখ ইসলামিষ্ট বিক্ষোভকারি তাড়াতে ৩ দিন লেগেছিল। ১১ হাজার ব্রাদারহুড সমর্থক নিহত হয়েছিল।
আলজেরিয়াতেও ফরাসি পুলিশ অদক্ষ ভাবে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে হাজার হাজার নিহত হয়েছিল ৫০ এর দশকে।
চীনের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারেও ১০ লাখ নিরস্ত্র অবস্থান ধর্মধটকারিদের তাড়াতে অদক্ষ ভাবে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে হাজার হাজার নিহত হয়েছিল।

১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.