নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।

০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৫



ফুটবল আমাকে ক্রিকেটের চেয়ে অনেক বেশী টানে।
ছোটকালে ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবলই বেশী খেলেছি। আবাহনি প্রিয় দল হলেও যে দল বা খেলোয়াড় ভাল খেলে ব্রাদার্স বা মোহামডান যেই হোক তাদেরকে সমর্থন দিতাম।

তবে আমি ছোট থেকেই ইংলিশ ফুটবল লীগ ও ইংল্যান্ড দলের ভয়াবহ রকমের পাগলা সমর্থক। বন্ধুরা খুব অবাক হতো আমি কেন ব্রাজিল আর্জেন্টিনা বার্সেলোনা মাদ্রিদ ব্রায়ান বুরুশিয়া এসি মিলান বাদ দিয়ে ফালতু ইংলিশ দলকে সমর্থন করি।
অনেক কিছুরই কোন কারন থাকে না।

১৯৭৭ ও ৭৮ এ পরপর ২ বার চ্যাম্পিয়ান সহ মোট ৪ বারের চ্যাম্পিয়ান লিভারপুল।
এছাড়া অন্যান্ন ইংলিশ দল ম্যানচেসটার ইউনাইটেড, এস্টনভিলা, নটিংহাম ফরেষ্ট, চেলসি একাধিক বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল।

আজ যেভাবে চ্যাম্পিয়ান লিভারপুল।


শনিবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালটা এবার ছিল ‘অল ইংলিশ’।
নিজ দেশের টিম লন্ডনের টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে ১৪ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতলো দলটি । মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় আজ শনিবার শিরোপা লড়াইয়ে ২-০ গোলে জিতল।

২ মিনিটেই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল। প্রথম আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া সাদিও মানের শটে বল মিডফিল্ডার মুসা সিসোকোর বুকে লেগে এরপর হাতে। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। নিখুঁত স্পট কিকে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন ১১ নং জার্সির মোহামেদ সালাহ।




শুরুর ধাক্কা সামলে বল দখলে রেখে আক্রমণে মনোযোগী হয় টটেনহ্যাম। তবে বিরতির আগে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি এর মাঝে ৬৯তম মিনিটে জেমস মিলনারের নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে চলে গেলে ব্যবধান বাড়েনি। ১০ মিনিট পর সন হিউং মিনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন। তিন মিনিট পর ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের শট ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দলকে এগিয়ে রাখেন আলিসন। ৮৭তম মিনিটে বলতে গেলে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন ওরিগি। সেই দির্ঘদেহী কালো বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড। ডি-বক্সে বাঁ দিকে বলটি পেয়েই পেয়ে নিচু শটে সেকেন্ড বার দিয়ে জালে গোল।
চ্যাম্পিয়ান হলো লিভারপুল।




ফাইনালের চেয়েও অনেক বড় কঠিন ছিল সেই সেমিফাইনাল

৭ ই মে সেকেন্ড লেগ সেমিফাইনালে নিজ মাঠ এনফিল্ডে যেভাবে কঠিন বার্সেলোনা কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে লিভারপুল।
ফাইনালের চেয়েও অনেক কঠিন ছিল সেই খেলায় জেতা। দুই টপ আহত সালাহ ও ফিরমিনো নেই।
ফলটা সত্যি অবিশ্বাস্য। ন্যু ক্যাম্পে ৩-০ গোলে হেরে এসেছিল লিভারপুল। তিন গোলে পিছিয়, এখনো অনেক দূরের পথ। কি হবে? অনেকটা অসম্ভবকে সম্ভব করে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সাকে ৪-০ গোলে হারাল অল রেডসরা। তাই দুই লেগ মিলে ৪-৩ গোলে এগিয়ে থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল লিভারপুল।

সে দিন পাহাড়সম একটা লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এনফিল্ডে খেলতে নামে জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ওরিগি ও উইনালডাম দুজনে জোড়া গোল করে স্বপ্ন সম্ভবের পথে।

প্রথম লেগে বার্সেলনার মাঠে মেসির দ্বারা নাস্তানাবুদ লিভারপুল নিজ মাঠে গতিময় ফুটবল আর লম্বা পাসে কাবু হয়ে যায় মেসিদের বার্সা। খেলার ৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় লিভারপুল। এ সময় জর্ডান হেন্ডারসনের শট বার্সার গোলরক্ষক স্টোগন ফিরিয়ে দেন। তবে ফিরতি বলে গোল করে শুরুতেই লিভারপুল সমর্থকদের আনন্দে উদ্ভাসিত করেন ২৭ নং জার্সির ওরিগি। প্রথমার্ধে মাত্র ১-০ গোলে অগ্রগামী। এগ্রগেটে জিততে হলে দরকার আরো ৩ গোল।


দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হাল্কা চোট পাওয়া রবার্টসনের পরিবর্তে জর্জিনিও উইনালডামকে মাঠে নামান ক্লপ। নাটকিয় ফল। দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে জোড়া গোল করে উইনালডাম। খেলার ৫৪ মিনিটে আর্নল্ডের সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে দুর্দান্ত এক গোল এই ডাচ মিডফিল্ডারের। দুই মিনিটের ব্যবধানে শাকিরির নেয়া শটে মাথা ছুঁয়ে ফের লক্ষ্যভেদ করেন উইনালডাম। ৩-৩ গোলে সমতা।

সমীকরণটা তখন অনেক সহজ হয়ে যায় লিভারপুলের জন্য। ফাইনালে যেতে রক্ষণ সামলে প্রয়োজন ছিল মাত্র এক গোলের। নইলে টাইব্রেকার।
৭৯ মিনিটে সেই ওরিগিই। এ সময় কর্নার পায় লিভারপুল। গোলরক্ষক স্টেগেনসহ বার্সেলোনার রক্ষণভাগ তখনও ঠিকভাবে প্রস্তুত। রেফারির বাঁশ সঙ্গে সঙ্গে কর্নার শট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড। সেই বলে জোরালো শটে বল ঠিকানায় পাঠান সেই ওরিগি। সালাহ ও ফিরমিনো সুস্থ থাকলে ওরিগি হয়তো মাঠে নামারই সুযোগ পেতেননা।

এরপর ইতিহাস। ফাইনালে লিভারপুল।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাসান ভাই,

লিভারপুল ফেভারিট দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সঙ্গে আপনার পর্যালোচনাটিও দারুন সুন্দর হয়েছে। কথায় বলে আনন্দ শেয়ার করলে আনন্দ বাড়ে। এখন আমাদের জন্য ঢাকা শহরের বিখ্যাত মিষ্টির অর্ডার দেন। আমরা এখন মিষ্টি খামু। হাহাহা...

শুভকামনা জানবেন।

০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একজন ফুটবল পাগল আমি।
জনজমাট ক্রিকেটের দিনে বেরসিকের মত ফুটবল নিয়ে পোষ্ট দিলাম।
লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন! তাই খুশির ঠেলায় ....

মিষ্টি খান



২| ০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
সালাহ প্রথম গোলটা করে প্লিয়ারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রেখেছিল।গোল কিন্তু পরেরটাও ভাল হয়েছে। মনে হচ্ছে, সবচেয়ে ভাল হয়েছে আপনার এই পর্যালোচনাটা।


ধন্যবাদ ;)

০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফাইনালে সালাহ পেনাল্টিতে প্রথম গোলটা করে প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রেখেছিল।
গোল কিন্তু পরের ওরিগির গোলটাও ভাল হয়েছে।

তবে সবচেয়ে দুর্দান্ত খেলাটি ছিল ৭ ই মে বার্সেলোনার সাথে। কঠিন বার্সাকে ৪-০ গোল দিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবে ফাইনালে।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলা আমি খুব ফুটবল খেলেছি। আমাদের এখানে একটা ক্লাব ছিল। নিয়মিত সেই ক্লাবে খেলতাম।

০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ক্লাবে খেলতেন। শুনে ভাল লাগলো।

৪| ০২ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্রিকেট খেলা খেলতে ও দেখতে সোজা, সেজন্য বাংগালী, পাকী ও ভারতীয়রা উহা নিয়ে মেতে থাকে

০৩ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ক্রিকেট খেলা খেলতে ও দেখতে সোজা

ব্যাপারটা সেরকম না।


ক্রিকেট অবস্য ফুটবলের মত পার্ফমেন্স নির্ভর খেলা না।
৪২ বছরেও একজন ক্রিকেটার পারফর্মেন্স ধরে রেখে জাতীয় দলে থাকতে পারে।
ফুটবলে ২৮-৩০ বছরের আগেই অবসর নিতে হয়।

ক্রিকেট ৫০% টস নির্ভর, এরপরে আছে মাঠ ও পিচের কন্ডিশন। ওয়েদার কন্ডিশন।
যে কোন সময় যে কেউ এমনকি একটা বাজে টিমও অনুকুল পরিবেশ পেয়ে জিতে যেতে পারে।
যেটা ফুটবলে অসম্ভব।

৫| ০২ রা জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জগতারন বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:
ক্রিকেট খেলা খেলতে ও দেখতে সোজা, সেজন্য বাংগালী, পাকী ও ভারতীয়রা উহা নিয়ে মেতে থাকে

গাজী সাহেব আজকেও কিন্তু আপনার মন্তব্যের শেষে যতী চিহ্ন (।) দেন নাই। তার মানে কি আপনার মন্তব্যের পরও আরও কথা বাকী আছে যা আমাদের বুঝিয়া নিতে হইবেক। এ-ই যেমন পাকী মানে অভিশপ্ত পাপী'রা ?

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

হাসান রাজু বলেছেন: এবার টোটেনহাম, আয়াক্স, লিভারপুল, ম্যানসিটি টিমগুলো কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে এমন সব ম্যাচ খেলেছে যা ছিল উত্তেজনার পারদে টাঁসা। বিশেষ করে ম্যানসিটি-টোটেনহাম, টোটেনহাম-আয়াক্স, আয়াক্স-জুভেনটাস, লিভারপুল-বার্সা। এই ইউসিএল ই সম্ভবত সর্বকালের সেরা বর্ষ ছিল। কোয়ার্টার ফাইনাল প্রায় ম্যাচ ও সেমিফাইনাল ছিল দর্শকদের জন্য পয়সা উস্যুল ম্যাচ।

০৩ রা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি ঠিকই ধরেছেন।
ইংলিশ দলগুলো এবার চরম ফাইট দিছে। যে কারনে অল ইংলিশ ফাইনাল হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.