নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ! একটি ফেক নিউজ

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫




আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হয়েছে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির গতানুগতিক বার্ষিক মিটিং ৪৩তম সম্মেলন।
শুরু ৩০ সে জুন। বৈঠক চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় এখন পর্যন্ত ১৬৭টি দেশের ১০৯২টি স্থান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবন বাদ দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।

মুল ব্যাপারটি হচ্ছে বার্ষিক মিটিং এর পুর্বে এসব স্থানের মধ্যে সুন্দরবন সহ ৫৪টি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কে বিভিন্ন কারণে নরমাল তালিকা থকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশ করে আসছিল আন্তর্জাতিক পরিবেশ বাদিরা। বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ দিতে নয়।

বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধি মহলের প্ররচনায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অব ন্যাচার (IUCN) গত ৭ জুন এক প্রতিবেদনে সুন্দরবনকে ঝুঁকিতে থাকা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছিল। কোন মিডিয়া ব্যাপারটি না জানলেও বাংলাদেশে ওদের চামচারা ঠিকই খবর পেয়ে যায়। তৎপর টিআইবি মিটিং ডেকে মিডিয়াকে জানায় সুন্দরবন রক্ষা কমিটিরা তৎপর হয়ে সোশাল মিডিয়ায় সোচ্চার হতে থাকে। গুজব ছড়াতে থাকে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে সুন্দরবন।


মূল ব্যাপারটি হচ্ছে -
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি বরাবর পাঠানো IUCN ওই প্রতিবেদনে সুপারিশ করে বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীর বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাস্থল বাংলাদেশের সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ১৫০টি শিল্পস্থাপনা হচ্ছে, যা সুন্দরবনের টিকে থাকার জন্য হুমকি। তাই সুন্দরবনকে ঝুঁকিতে থাকা বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ইন ডেঞ্জার) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’


কিন্তু অপশক্তির মুখে ছাই দিয়ে ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া সম্মেলনে গত ৩ জুলাই বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শন সুন্দরবনকে বিপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐহিত্য কমিটি। আজারবাইজানের বাকুতে কমিটির ৪৩তম সভায় ২১ টি দেশের প্রতিনিধী সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এতে জানানো হয়, বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি সুন্দরবনকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় আলোচনার জন্য অন্তর্ভুক্ত করে। এ বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য বাকুতে শুনানির আয়োজন করা হয়। তবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটিতে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনার পর সর্বসম্মতভাবে সুন্দরবনকে বিপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত হয়।

শুনানিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। ওই ব্যাখ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি।

সুন্দরবনের পাশে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ, বনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচলসহ বিভিন্ন কারণে সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকির মুখে দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন সংস্থা। এ কারণে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি সুন্দরবনকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরেই আশঙ্কা ছিল সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে। আসলে ইউনেসকো তালিকা থেকে বাদ নয়, নর্মাল তালিকা থেকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রাখতে চেয়েছিল।

প্রতি বছরই মিটিং হয়। বাংলাদেশ এতদিন ঘাষ খায় নি।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সুন্দরবনের হালনাগাদ অবস্থা জানিয়ে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির কাছে ছবি/স্যাটেলাইট ছবি ও লিখিত প্রতিবেদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সুন্দরবন সুরক্ষায় সরকার জাতিসংঘ প্রস্তাবিত প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে জানতে চেয়ে সরকারকেও চিঠি দেয় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি। ২২ এপ্রিল সরকার ওই চিঠির জবাব দেয়। আর ২০ মে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির কাছে রামপাল ও তালতলী বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদন (ইআইএ) জমা দেয় সরকার। বলা হয় ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন এলাকার অনেকটা বাইরে অবস্থিত। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে ৫ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। যা অতিব প্রয়োজনীয়।
প্রাপ্ত সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সুন্দরবনকে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রেখে দেয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি।

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি সুন্দরবনের বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে জেডব্লিউজির নেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে কমিটিকে হালনাগাদ তথ্য দিতে সরকারকে অনুরোধ করেছে কমিটি।

ভবিষ্যতে ইআইএর মাধ্যমে পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে নির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে ইআইএ সম্পন্ন করতে হবে বলে সুপারিশ করা হয়েছে।


প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুন্দরবন নিয়ে আলোচনার দিন সভায় বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। ব্যাখ্যায় সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরা হয়। ২১ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটিতে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানার পর সদস্য দেশ গুলো বাংলাদেশ ও সুন্দরবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন।





প্রথমে কিউবা, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ও চীন সুন্দরবনকে বিপন্ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
২১ রাষ্ট্রের ভেতর উগান্ডা সহ ১৫ টি রাষ্ট্র এই প্রস্তাব সমর্থন করে।
কিউবা, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা এবং চীন ছাড়াও আজারবাইজান, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, তিউনিসিয়া, তানজানিয়া, বুরকিনাফাসো, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে ও পর্যবেক্ষক মর্যাদার রাষ্ট্র ভারতসহ ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেয়। সুন্দরবন সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসিত হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এ কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছরই বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদলকে সুন্দরবন পর্যবেক্ষন করতে আমন্ত্রণ জানাবে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তারা হালনাগাদ তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন কমিটিকে জমা দেবে। গতানুগতিক রুটিন ওয়ার্ক।


ইউনেস্কোর সভা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে আগামী ১০ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

সুত্র সিএনএন ও আজার তাস বার্তা সংস্থা।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ১,৫৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশে সুন্দরবনকেই ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এরিয়া করার জন্য যোগ্য মনে হলো !!!
যোগ্য স্থানে এতো অযোগ্য লোক বাস করে আমার জীবনে আমি দেখিনি - এখন তাও দেখছি ভবিষ্যতে আরো দেখবো - ইনশাল্লাহ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দরবনের ভেতর ইন্ডাস্ট্রি করা হচ্ছে এটাও একটি ফেক নিউজ।
ব্রিটিশ-পাকি আমলে বন্দর ছিল চালনা। সেটা ছিল সুন্দরবনের কাছেই।

স্বাধীনতার পর বন্দরটি আরো ৫০ কিলোমিটার উত্তরে মংলায় নিয়ে আসা হয়।
শিল্পপ্রতিষ্টান সমুহ গড়ে ওঠে মুলত এই বন্দরটি ঘিরেই। যা সুন্দরবনের বহু দূরে।
রামপালও সুন্দরবন থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: প্রস্তাবিত সুন্দরবন সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন
পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হোক এটাই আমার প্রার্থনা ।

১১ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটিও পড়ুন -
ইউনেসকো কিছুটা লজ্জাও পেয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইউনেস্কো সুন্দরবন রক্ষায় টাকা দেয়? টাকা দিলে, বাংলাদেশ সরকার সব সময় উহাকে ওয়ার্লড হ্যারিটেজ, ম্যারিটেজ হিসেবে রাখার জন্য প্রাণ দিয়ে ফেলবে, বাকীদের ভাবতে হবে না; টাকা বন্ধ হয়ে গেলে বাকীদের ভাবতে হবে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইউনেস্কো সুন্দরবন রক্ষায় টাকা দিত, যদি সুন্দরবন বিপন্ন তালিকায় থাকতো।
সাইফুর থাকলে সে টাকার জন্য এই কাজটাই করত।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

জুন বলেছেন: ইউনেস্কোরই মনে হয় মায়া লেগেছে সুন্দরবনের জন্য । আমি অনেকবার গিয়েছি, কত যে সুন্দর যে না দেখেছে সে বুঝতে পারবে না আমার নিজের তোলা ছবি দিলাম :)

সুন্দরবনে খালের তীরে রোদ পোহাচ্ছে কুমীর কি অপুর্ব দৃশ্য তাই নয় কি ?

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দরবন যে কি সুন্দর না দেখলে বোঝার উপায় নেই।
স্বাধীনতার পর গাজী অষ্ট্রিচ প্রভৃতি স্টিমারগুলোমনে হয় সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে খুলনা যেত। আমি তখন অনেক ছোট। তবে এখনো স্পষ্ট মনে আছে।

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,



আপনার দেয়া শিরোনাম - "ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ..." এটা নিজেই একটা ফেক শিরোনাম। এবং বিভ্রান্তিকারক।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত খবরগুলোতে, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনকে বাদ ; এমন কথা কোথাও বলা হয়নি সম্ভবত! আপনিও কোনও তথ্যসূত্র উপস্থাপন করেননি কোথায় এমনটা বলা হয়েছে। বলেছেন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ভালো! তাহলে কিছু সূত্র দিলুম বক্তব্য সহকারে, দেখুন আপনার দেয়া শিরোনামটি এবং গুজব ছড়ানোর বক্তব্যটুকু কতোটা যুক্তিযুক্ত ----

"........ ৩০ জুন থেকে ১০ জুলাই আজারবাইজানে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৩তম সভা হবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনের ওপরে বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের সুপারিশগুলো সেখানে পেশ করা হবে। বন রক্ষায় বাংলাদেশের কাজগুলো সন্তোষজনক না হওয়ায় আমাদের জাতীয় গর্ব, সম্পদ ও নিরাপত্তার বর্ম সুন্দরবনকে ইউনেস্কোয় বিপদাপন্ন ঐতিহ্য তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে।...............................সুন্দরবন বিষয়ে কেন্দ্রের সুপারিশ যদি চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে সুন্দরবন তার বর্তমান ঐতিহ্যের সম্মান হারাবে।
-সুলতানা কামাল।সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্ভবত ২৮ কিম্বা ২৯ জুন'২০১৯ তারিখের পত্রিকা।( এই মন্তব্যে আগে থেকে এমন সূত্র দিতে হবে জানলে সঠিক তারিখটি লিখে রাখতুম)

"........The World Heritage Centre of Unesco has decided to put the Sundarbans on the list of World Heritage in Danger.
The centre decided this last week as it was not happy with Rampal power plant and other development projects being implemented in the southwest region where the mangrove forest is located.
The centre also requested the government to invite its mission to prepare a set of corrective measures to secure the Sundarbans from any potential environmental danger.
The World Heritage Centre, which enlisted the Sundarbans as natural heritage in 1997, has been raising objections about the power plant since the government took the initiative of constructing it at the edge of the forest."
সূত্র - Heritage in Danger:

"............Dissatisfied with the government’s role in not fulfilling its pledges to save the forest, the World Heritage Committee of UNESCO recommended that the Sundarbans be included on the 'World Heritage in Danger' list.
The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organisation (UNESCO) said the Bangladesh government was very slow in halting the construction of the Rampal power plant and it did not respect the decision to disallow factories in the vicinity of forest.
The recommendation was released on 7 June while the heritage committee will take a final decision at its annual meeting in Azerbaijan on 30 June-10 July.
সূত্র : UNESCO unhappy over Bangladesh role to save the Sundarbans

আর কেন যে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ঝুকিপূর্ণ বলছে তার জন্যে এখানে দেখুন-
".........The United Nations has urged Bangladesh to halt construction of a huge coal-fired power plant near the Sundarbans, warning of a serious threat to the delicate ecosystem of the world's largest mangrove forest.................................... The planned 1,320 megawatt Rampal plant, a joint project by India and Bangladesh, would be powered each year by nearly five million tons of coal transported by boat along the ecosystem's fragile waterways.
Scheduled to open in 2018, the plant would also discharge nearly 125,000 cubic metres a day of chemically-tainted water used to cool generators, according to design specifications............................... It recommended that the plant be relocated "to a more suitable location, where it would not impact negatively on the Sundarbans".
There was no immediate comment from Bangladesh authorities or from the joint-venture company behind the $1.7-billion power plant."
সূত্র - UNESCO urges Bangladesh to scrap Sundarbans plant

"...............The official advisory organisation on natural World Heritage has recommended putting the Sundarbans on a list of natural sites in danger as Bangladesh has continued implementing a coal-fired power plant project near the forest.
The World Heritage Committee of 21 governments is scheduled to decide on the recommendations by the International Union for Conservation of Nature or IUCN in its annual meeting in Azerbaijan from June 30 to July 10, according to the union.
It said UNESCO released the recommendations by the union and addressed those to the committee on June 7.
In July, 2017, UNESCO withdrew a plan to inscribe the Sundarbans in the list of heritage sites in danger by 2018 in case of the failure to meet the mission's recommendations."
সূত্র - Bangladesh risks Sundarbans getting listed as World Heritage in danger

আশা করি শিরোনামটি নিয়ে একবার ভাববেন, তা বিভ্রান্তি বা গুজব ছড়াচ্ছে কিনা।


০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আহমেদ জী এস ভাই
অনেক কষ্ট করলেন।

ইংরেজি পত্রিকাগুলো ভেতরের পাতায় মোটামুটি সঠিক বলেছে, যা সাধারন মানুষ পড়ে না। বা চোখে পরে না
পড়ে বাংলা পত্রিকাগুলো আর অনলাইন ভার্ষান। আর এসবের সুত্র দিয়ে এই ফেক নিউজটি (সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ) হাজার হাজার পোষ্ট ফেবুসহ সোশাল মিডিয়া ভেসে গিয়েছিল।
আপনি এখন জোড় গলায় অস্বীকার করলে কোন লাভ হবে না।
গুজব ছড়ানো হয়েছিল এটা ১০০% সত্য।

সব প্রমান সবসময় পকেটে রাখা মুসকিল। তবুও অনেক খুজে দুএকটা নিচে দিলাম। ধন্যবাদ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গুগল করলেই এখনো অনেক অনেক পাবেন। দেখুন

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৮

করুণাধারা বলেছেন: ৬ নং মন্তব্য খুব ভালো লাগলো, লাইক।

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপু
অন্যের পোষ্ট অন্যের মন্তব্যের উপর ভরসা না করে নিজস্য বিবেক দিয়ে বিবেচনা করুন।
সুন্দরবন সহ বাংলাদেশের অনেক কিছুই বিভিন্ন মানব শৃষ্ট কারনে বিপন্ন। এটা কেউ অস্বীকার করে না। আমিও করি না।

কিন্তু ইউনেস্কোর পদক্ষেপ নিয়ে সংবাদ মাধ্যম গুলো বাংলাদেশ বিরোধী বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল, আমি বিভ্রান্তি কিছুটা দূর করার চেষ্টা করলাম মাত্র।
মুল কথা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছিল। এটাই সত্য।
আমি মুল ব্যাপারটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাকিটা আপনাদের বিবেচনা।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৮

রাকু হাসান বলেছেন:


ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস স্যার । বিজ্ঞতাসুলভ মন্তব্য রেখেছেন । আমি নিয়মিত দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে চোখ বুলায় । চেষ্টা করি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও চোখ রাখতে । কোথায় এমন তথ্য পাইনি । পেয়েছি সুন্দরবন হুমকির মুখে ,এমন সব তথ্য । আপনার সুনির্দিষ্ট তথ্যের লিংক থাকলে দিলে উপকৃত হবো ।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন:



@ রাকু হাসান ,

লিংকগুলো আপনি আমার মন্তব্যের প্রতিটি বক্তব্যের পরে পরেই পাবেন। এর বাইরেও হাযারো লিংক আছে। নেটে সুন্দরবন লিখে অথবা সুন্দরবনের সাথে " ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ" কিম্বা " ইন ডেঞ্জার" ইত্যাদি লিখে সার্চ দিন। ইংরোজিতে সার্চ দিন। নেটে বাংলায় তথ্য সংখ্যা কম।

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

বিডি আইডল বলেছেন: তুই আগের মতই ছাগলই আছোস?

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তু সামু কো পুরানা বুড্ডা ছাগু হ্যায়।

১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২৯

রাকু হাসান বলেছেন:

আহমেদ জী এস
--স্যার আমি সম্ভবত ঠিক মতো মন্তব্য করতে পারেনি । আপনার চমৎকার মন্তব্যে লাইক প্রদান করে ,কিছু বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি । তারপরের কথাগুলো হাসান ভাইকে উদ্দেশ্য করেই । আপনার লিংকের লেখা বেশ কিছু ইতিমধ্যে পড়েছি আমি । আমি লিংক চাচ্ছিলাম পোস্টকর্তার কাছ থেকেে, উনার ডিপেন্সের ভিত্তিতে । কোথায় বলা হলো সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে--এমন বিশ্বাসযোগ্য লিংক । আপনার লিংক নিয়ে আমার নেতিবাচক মন্তব্য নেই এবং ছিল না ।
হাসান ভাই এখন হয়তো যুক্তি দিবেন আমাদের শিরোনাম বুঝতে । কেননা তিনি সেখানে আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দিয়ে দিয়েছেন :D
হেপি ব্লগিং ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাকু ভাই

লিংক ফিঙ্ক দিয়ে কিছু হয় না। বাস্তবতাটা বুঝে নিতে হয়।
এদেশে ইচ্ছাকৃত 'ফেক নিউজ' ছড়ানো অবাক হওয়ার কিছু নেই। অনেক ভিআইপি, ব্লগার পিএইচডি ব্লগার এই ব্লগেই পরিকল্পিত ভাবে ইচ্ছাকৃত ভাবে 'ফেক নিউজ' ছড়িয়েছিলেন।

অনেক বড় বড় মিডিয়া হাউস, বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক খুব সুপরিকল্পিত ভাবে 'ফেক নিউজ' বা টেম্পারিং করা নিউজ ছড়িয়ে এরপরও সিনাজুড়ি করে বহাল আছে।
২০১৫তে প্রথমআলো চতুরতার সাথে হেডলাইন করেছিল - "রিজার্ভ চুরিতে রাষ্ট্র জরিত" -এফবিআই
অথচ হেডলাইনের নীচে এফবিআই এর খবরটি ছিল রিজার্ভ চুরিতে একটি ভিন্ন রাষ্ট্র উঃ কোরিয়া জরিত।


শহিদুল আলমের মত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোকও রঙ দিয়ে রক্তাক্ত বানানো ধর্ষিতা-নিহত ছাত্রীর ছবি দিয়ে দেশে পরিকল্পিত দাঙ্গা বাধানোর ফরমায়েসি এসাইনমেন্ট নিয়েছিলেন।
পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এরকম হলে তার নিশ্চিত মৃত্যুদন্ড হত। বাংলাদেশ বলে বিদেশী চাপে উনি বেচে গেলেন।

এই পোষ্টে আমার বক্তব্য খুবই স্পষ্ট।
কিছু মিডিয়া ইছাকৃত ফেক নিউজ ছাপিয়েছিল। এসব ব্যাবহার করে সোশাল মিডিয়ায় মচ্ছবও চলেছিল।
কিন্তু ৩রা জুলাই ইউনেস্কোর সম্মেলনে বাংলাদেশকে নিয়ে আলোচনার দিন ফলাফলে সবকিছু ভুয়া প্রমানিত হয়েছে।


১২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুবই ভাল একটি পোস্ট। পড়ে অনেক উপকৃত হলাম । আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: - ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.