নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচন হয়ে গেল তিউনিসিয়ায়

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৫




তিউনিসিয়া আরব বসন্তের সূতিকাগার।


জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেল তিউনিসিয়ায়। ১৫ সেপ্টেম্বর। গতকাল ফল ঘোষনা না হলেও ফলাফল জানা গেছে।

স্বৈরশাসক বেন আলীর বিদায়ের পর অন্যান্ন আরব দেশের মত মৌলবাদি বা একনায়কের খপ্পর থেকে বেচে যাওয়া তিউনিসিয়া নিয়ে আমার আগ্রহ বরাবরই ছিল।
বাংলাদেশী পত্রিকায় ইসরাইলি নির্বাচনের খবর থাকলেও তিউনিসিয়ার কোন খবরই দেখি না। টিভিতেও নেই।
বিবিসি ইংলিশ পেজে কিছু পেলাম।

২০১৪ নির্বাচনে পশ্চিমা সেক্যুলার ধারণাকে ভিত্তি করে সুশীল সমাজকে নিয়ে সাইদ এসেবসি গড়ে তোলেন 'নিদা তুনিস'। আরব বসন্তের পর কর্মদক্ষতা দিয়ে নিদা তুনিসকে স্থানীয় ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জিতিয়ে দেশটিকে মৌলবাদি খপ্পর থেকে বাচিয়ে দিয়েছিল।
এসেবসি জয়লাভ করলেও ইসলামপন্থি আধা-মৌলবাদি আন্নাহদা দলের অনেককে স্পিকার পদ সহ বিভিন্ন পদ দেয়া হয়েছিল।
তিউনিসিয়া ছিল আরব বসন্তের সূতিকাগার।
বিপ্লব-পরবর্তী উত্তাল দিনগুলোতে ইসলামপন্থী আর সেক্যুলারদের ক্ষমতা ভাগাভাগিতে স্থিতিশীল ছিল তিউনিসিয়া। যদিও ক্ষমতার ভাগাভাগি করে দেশটিকে ৫ বছর একটানা শান্তিপুর্ন রাখা আরব দুনিয়ায় অকল্পনীয় ঘটনা।
গত বছর মুসলিম উত্তরাধিকার আইন সংসোধন করেছিল।




ত্রুটিপুর্ন মুসলিম উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তিউনিসিয়ায় সম্পত্তিতে নারীপুরুষের সমান অধিকার বিল পাশ হয়েছে। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষেরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সমানাধিকার দেয়া হচ্ছে।

গত ২৩ নভেম্বর দেশটির মন্ত্রীসভা পরিষদ নতুন এই বিল পাস করে। বিলটি পাস করার আগে দেশটির মন্ত্রীসভায় ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়।
তিউনিসিয়ার কট্টরপন্থি মুসলিমরা এই বিলের প্রবল বিরোধিতা করে আসছিলন। তাদের অভিযোগ নতুন এই আইন ইসলাম বিরোধী। তবে প্রেসিডেন্ট এসবেসি পক্ষ থেকে বলা হয়, তিউনিসিয়ার সংবিধান দেশটির নাগরিকদের মতামতের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। নাগরিকদের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে এসবেসি সরকার বদ্ধ পরিকর।

২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট এসেবসি দেশটির নাগরিকদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য স্বতন্ত্র স্বাধীনতা ও নারী সমানাধিকার কমিটি গঠন করেন।
অন্যান্ন আরব দেশের মত তিউনিসিয়ায় ভিন্নধর্মে বিবাহ নিষিদ্ধ ছিল, বিশেষ করে মুসলিম নারীদের ভিন্নধর্মে বিবাহ কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ ছিল। গত বছর একটি আইনে দেশটির মুসলিম নারীদের যে কোন ধর্মে বিয়ে করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী পিতার সম্পত্তির পুত্রের চেয়ে কন্যা সন্তান বঞ্চিত হয়ে অর্ধেক কম পেত। এখন সমানধিকার।

গত অগাস্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট, যিনি একজন উদার সেক্যুলার রাজনীতিক, নারীদের অধিকার এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে খসড়া প্রস্তাব পেশ করতে একটি কমিটি গঠন করেন।

তিউনিসিয়াই একমাত্র দেশ যেখানে ‘আরব বসন্ত’ সফল হয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।





১৫ সেপ্টেম্বর আবারও জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেল তিউনিসিয়ায়।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থিরা গত বছর থেকেই ভাল করছিল
গত বছরের স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩৩, ইসলামপন্থি আধা-মৌলবাদি আন্নাহদা ২৯ আর এসেবসি সেকুলার নিদা তুনিস ২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

কিন্তু বেচারা প্রেসিডেন্ট সাইদ এসেবসি মারা যাওয়াতে একটু আগেই আগাম নির্বাচন হলো।
এই নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২৬ জন, যার মধ্যে দু’জন নারীও ছিলেন। মূল প্রতিদ্বন্দীদের মধ্যে ছিলেন -

১। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নাবিল করৌই।
২। ইসলামপন্থী আন্নাহাদা দলের প্রধান ও প্রাক্তন স্পিকার আবদুল ফাত্তাহ মুরো।
৩। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ শাহেদ।

কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে সবাইকে অবাক করে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থি কায়েস সাইদ 18.4% ভোটে প্রথম হন। উনি একজন ল প্রফেসর।
২য় হন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নাবিল করোই (সদ্য জেল থেকে বের হওয়া)।

যেহেতু এরা কেউই ৫০% ভোট পান নি। ফ্রান্স, মিশরের মত এই দুজনের ভেতরেই আবার ভোট হবে। অক্টোবরে।
আর পার্লামেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ৬ অক্টোবর। সেই একই দিনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ড (ফাইনাল) ভোটগ্রহণও করা হতে পারে।

তিউনিসিয়ার গণতন্ত্রের জন্য শুভকামনা।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবদের মাঝে এখন ভালো করছে আলজিরিয়া ও তিউনিসিয়া; তরুণা দেশ গড়াতে মন দিয়েছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তিউনিসিয়া, লেবানন জর্ডন, মরক্কো। আলজিরিয়া ভাল করছে
গাজা বাদে ফিলিস্তিনও দেশ গড়াতে মন দিয়েছে।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তিউনিসিয়ার গণতন্ত্রের জন্য শুভকামনা। আর নিজ দেশে বিরোধী দলকে সাইজ করে, রাতে ভোট দিয়ে অলিখিত অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু থাকুক...

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
- বিএনপিকে কোন সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বলা যায়?
ক্ষমতায় যতবার এসেছে খুনখারাপি ও ষড়যন্ত্র করে। এখনো অপেক্ষায় আছে কবে কোন এক শক্তি তদের কোলে তুলে গদিতে বসাবে।
বিএনপি খুজে পেছনের দরজা। এদের জন্য নির্বাচন ও গণতন্ত্র না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই ভোটে জিততে কারচুপি লাগে নাকি।

বাস্তবতা হলো বিএনপি এতটাই দুর্বল অবস্থায় ছিল যে বলার বাইরে।
বিএনপি গণসংযোগে সম্পুর্ন অনুপস্থিত ছিল। নেতারা, প্রার্থিরাও ভোট দেয়া তোদুরের কথা ঘর থেকে বেরই হয় নি
এদেশের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। বিম্পি প্রার্থিরা ১০টি টাকাও খরচ করেনি।

এজেন্ট দেয়ার মত অবস্থাতেই তারা ছিল না। আদতে তাদের কি পরিকল্পনা ছিল বোঝাই মুসকিল।
প্রচারের খরচ না করে হয়তো নির্বাচনে কারচুপি দেখিয়ে গন্ডগোল পাকানোই বেশি পছন্দের ছিল।

এছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য কিংবা দ্বন্দ্ব, মতপার্থক্য এত প্রকট ছিল যে বাইরে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছিল।
বিভ্রান্ত নেতাদের একের পর এক ফোনালাপ ফাঁস। পাকিস্তানি ফান্ড, পাকি গোয়েন্দাদের সাথে কথাবার্তা ফাস। নিজদলের কর্মিদের না পেয়ে শিবিরের কাছে হাত পাতা।

এছাড়াও বিশেষ করে নির্বাচনের দুদিন আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ড.কামালের উক্তি - "জামাতকে ২৫ সিটের কথা আগে জানলে ঐক্যফ্রন্টই করতাম না। - পুরাই বিশৃক্ষল দল। যে দলের মধ্যে জোটের মধ্যে নেতাদের নিজেদের মধ্যে মধ্যে বোঝাপড়া নাই।
কে নেতা ঠিক নেই।

মুল নেতা ড কামাল, জাফরুল্লা নির্বাচনে দাড়ান নি, এখানেইতো মনস্তাত্তিক ভাবে পিছিয়ে পড়া।
এছাড়া
ভোট প্রচারনায় বিএনপি একদমই ছিলো না,
পোষ্টার লাগায় নি, লাগানোর চেষ্টাও করেনি। আসলে একটি পোষ্টারও ছাপায় নি (শুধু জোটের জামাতের পোষ্টার দেখা গেছে)
ভোটার স্লিপ বিতরনেও বিএনপি ছিলো না, কোন স্লিপও ছাপানো হয় নি।
এদেশের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। বিম্পি প্রার্থিরা প্রচারে ১০ টি টাকাও খরচ করেছে কিনা সন্দেহ ।
এজেন্ট নিয়োগে বিএনপি ছিলো না, উপস্থিত থাকার কথাও না।
নির্বাচন কমিশন সপ্তাহ আগে এজেন্টদের নামের তালিকা চেয়েছিল সব দলগুলোর কাছে।
বিএনপি এজেন্টদের নামধাম বা কোন তালিকাও দেয় নি। উছিলা - তালিকা দিলে গুমকরা হবে।
ভোট কেন্দ্রে বিএনপি নেতা কর্মিরা ছিল না। গেটেও ছিলনা, একটু দুরেও ছিলনা থাকার চেষ্টাও ছিলো না, বাসায় বসে টিভি দেখছিল।
ভোটারদের চা বিড়ি খাওয়ানোর জন্য বিম্পির কেউ ছিলনা (সিলেটে জামাতের ছিল)
ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার কাজেও বিএনপি ছিলো না,
অজ্ঞাত কারনে প্রায় সব বিম্পি প্রার্থী নিজের ভোটটিও প্রদান করেননি। ভোটকেন্দ্রের কাছেও আসেন নি। বাসায় ছিলেন।

আওয়ামী লীগের প্রিপারেশন ছিল বছরব্যাপি ব্যায়বহুল শক্ত সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা।
জয়বাংলা থিম সং সহ শত শিল্পি সেলিব্রেটি ব্যাপক প্রচারনা নিয়ে তারা যথেষ্ট পেশাধারি ভাবে প্রস্তুতি।
প্রতিটি নির্বাচন এলাকায় বার বার ফিল্ড ভিজিট। প্রয়োজনে হাসিনা নিজে উপস্থিত হয়ে তদারকি

বাংলাদেশের ইতিহাসে সব থেকে ভালো নিখুত নির্বাচন ছিল ২০০৮ এ
সেই নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ছিল ৮৭.১৩%।
বিম্পি ২০০৮ এর চেয়ে ২০১৮ তে অনেক লেজেগোববে অবস্থায়।
আগেরবারের চেয়ে মাত্র ২৩টি আসন কম পেয়েছে, খুব অবাক হওয়ার কিছু আছে?

পোষ্টার বিহীন প্রচার বিহীন নেতৃত্তবিহীন। দুএকজন যাও ছিল অনুপস্থিত ভাবে থাকায়, বিষয়টি একচেটিয়া হয়ে গেছে। পঙ্গু রোগাক্রান্তদের যে দশা হয় বিএনপির তাই - হয়েছে।



৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: তিউসিনিয়া দেশটিতে অবৈধ ভাবে বহু বাঙ্গালী প্রতি বছর নদী পথে যায়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তিউসিনিয়া দেশটিতে কোন বাঙ্গালী যায় না। নদী পথই তো নেই। আছে সমুদ্রপথ।
লিবিয়াতে আটকে পড়া কিছু বাংগালী একসময় বিপাকে পড়ে তিউসিনিয়া গেছিল। পরে এরা কিছু সমুদ্র পথে ইটালি গেছিল।

এর দেখাদেখি পরে কিছু বাঙ্গালী তিউসিনিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করে সমুদ্রপথে

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তিউনিসিয়া খুবই সুন্দর দেশ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:




উদারপন্থি কট্টরপন্থি মিলে সুন্দর সহবস্থান

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: তিউনিশিয়ার জনগন ভাগ্যবান। এমন সংবাদ মনে আশা জাগায় যে,আমাদের দেশেও গনতন্ত্রকে হত্যা করা নীশিথ রাতের ভোট ডাকাতদের পতন একদিন হবেই হবে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: রাতের ভোট?
বিএনপি জামাতের হয়ে বিবিসি আগের মতই শুটিং করেছে।
বিবিসি ক্যামেরার সামনে এসব অভিনয় করানো হয়েছে।
লোকটা ক্যামেরার সামনে সরাসরি তাকিয়ে বাক্সের জিনিস দেখিয়ে দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!
কোনটা বাস্তব কোনটা অভিনয় বুঝতে সমস্যা হয় না
আমরা কি শুটিং অভিনয় কিছুই বুঝিনা?
ঘটনা বাস্তব হলে একজন বাক্স ধরতো, আরেক জন পাছা দিয়ে আড়াল করে রাখত। সবার চোখে লুকোচুরির একটা ভাব থাকতো। ক্যামেরাম্যানকে ধমক দিত।

আরেকটা নাটক ছাড়া হয়েছিল নির্বাচনের পর পর। "খুশির ঠেলায় ঘোরতে"
মানে ভোটাররা বার বার জাল ভোট দিচ্ছে তার প্রমান।
পরে প্রমান হয়েছে সেটা ভোটের অনেক আগে অভিনয় করে তৈরি করা। এরা কেউ ভোটার না, সাংবাদিক না ই, এমেচার অভিনেতা মাত্র।
সুপরিকল্পিত ভাবে নির্বাচনের পরদিন মিথ্যা নাটকটি সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া কুচক্রিদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্থা নেয়ার দরকার ছিল।

বিবিসি সিএনেন আলজারিরার এরুপ ভুমিকা শুটিং নাটক আমরা আগেও দেখেছি।
২০১৩ তে এি তিন বিদেশী মিডিয়া ক্রমাগ্রত ভাবে শাপলা চত্তরে ৩০০০ মৃত্যুর দাবি করে যাচ্ছিল।
শুটিং অভিনয় চলছিল বিরামহীন।
একটি কবরস্থানে সারি সারি কবর। একজনকে (কবরখোড়ার শ্রমিক) অভিনয় করে তাকে শিখানো কথা বলাচ্ছিল, -
"এখানে মাত্র হাজার হাজার রক্তাক্ত লাশ কবর দেয়া হয়েছে"। আসলে কবরগুলো ছিল রানাপ্লাজার।

রাতের ভোটও এরুপ একটি নাটক মাত্র।



শুধু দেশটা বাংলাদেশ বলে এরা পার পেয়ে গেল।

একই ধরনের মিথ্যা নাটক তৈরি করার দায়ে মিসর, ইরান ও তুরষ্কে বিবিসি ও আলজারিরার অনেক সাংবাদিক এখনো জেল খাটছে, মৃত্যুদন্ডের মুখোমুখি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

নির্বাচনের দুদিন পর রিজভির সংবাদ সম্মেলন।
ভাল করে লক্ষ করুন। রাতের ভোটের কোন কথাই বলা হয় নি।
আরো কিছুদিন পর বিবিসির ফরমায়েসি ভিডিও হাইলাইট হওয়ার পর বিম্পি নেতা্রা রাতের ভোট রাতের ভোট বলে জিকির করা শুরু করে।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,

সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট। লিখেছেনও বেশ । আরব বসন্ত বিকশিত হোক ভ্রমরার গুঞ্জনে ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ বস।

তিউনিসিয়ার গণতন্ত্রের জন্য শুভকামনা।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ত্রুটিপুর্ন মুসলিম উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তিউনিসিয়ায় সম্পত্তিতে নারীপুরুষের সমান অধিকার বিল পাশ হয়েছে। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষেরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির সমানাধিকার দেয়া হচ্ছে।

হাস্যকর! খুবই হাস্যকর কথা এবং বিভ্রান্তিমূলক।ইসলামে কোন ভুল নেই এবং তারা যেটা সংশোধন করেছে এগুলো তাদের মনগড়া।মহান আল্লাহ্‌ কোন ভুল করেন নি।বরং মহান আল্লাহকে জেনে বুঝে ভুল বুঝেছে তিউনিশিয়ার মুসলিম অধিবাসীরা তাই পতনও তাদের জন্যই।সম্পত্তির ভাগবন্টন এটা আপনি বুঝবেন না কারন ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান শূন্যের কোঠায়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামে কোন ভুল নেই। ঠিক কথা।
আমিও ইসলাম ধর্মের মানুষ
ধর্ম নিয়ে তর্ক চলে না। ধর্ম চোখ বন্ধ করেই বিশ্বাস করতে হয়।

তবে ধর্মপুস্তকে কিছু ভুল আছে। বিশেষ করে আল-কোরানে।
উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে কিছু ভুল দেখা যায় (কুরআন ৪:১১-১২) সূরা নেসার ১১-১২ আয়াতে
স্ত্রীঃ ১/৮=৩/২৪ ; কন্যাঃ ২/৩ = ১৬/২৪ ; পিতাঃ ১/৬ = ৪/২৪; মাতাঃ ১/৬ = ৪/২৪
মোট = ২৭/২৪ = ১.১২৫ (যা ১ হওয়ার কথা)

মক্কা বিজয়ের পর কেবলা জেরুজালেম দিক থেকে মক্কাদিকে পরিবর্তন হয়। সম্পত্তি বন্টনে বারবার বিতর্ক উঠাতে উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে আয়াতটি ঠিক রেখে অংক পরিবর্তন করে স্ত্রী ৩/২৪ এর বদলে ৩/২৭ করা হয়। তখন এটাকে খারায়েজি বলা হয়েছিল।

কোরান মুখে মুখে নাজেল হয়েছিল। লেখার সময় ভুল হতে পারে। নাও হতে পারে
বহু বছর ধরে, আয়াত বাই আয়াত নাজেল হচ্ছিল। হজরত মুহম্মদ (স) মারা যাওয়ার পর কোরান লেখা শুরু করেন হজরত ওসমান, কিন্তু কোন আয়াত আগে পরে হবে, কোন আয়াত যোগ/বাদ দিতে হবে এ নিয়ে বিতর্কে হজরত ওসমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর যতবার কোরান লেখা হয়েছে ততবার যুদ্ধ হয়েছে, লিখিত কোরান পোড়ানো হয়েছে।
আমরা যে লিখিত কোরান দেখি হাফেজদের বংশানুক্রমে কারিদের মুখে মুখে টিকে থাকা সেটা হজরত মুহম্মদ (স) মারা যাওয়ার ৩-৪০০ বছর পরে মিশরে লিখিত ও সম্পাদিত।

মাওলানা মৌদুদি তো প্রকাস্যে বেশ কিছু কোরানের আয়াত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
জাকির নায়েকও বলেছেন অমুক আয়াতটা এভাবে লিখলে ভাল হত।
কাদিয়ানি ও বাহাই মোল্লারাও একই প্রশ্ন তুলেছেন

কোন মুসলিম দেশই হুবুহু কোরানের আইন মেনে চলছে না।
সবাই কোরানের আলোকে নিজস্য আইনে চলছে। প্রয়জনে আপডেট করছে।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বিবিসি, সিএনএন, আলজারিরার মতো হারামখোর লম্পট নিউজ প্রেজেন্টোর আছে বলে পৃথিবীতে দ্বন্দ্ব কলহ যুদ্ধ বেড়ই চলছে। বার্মা এই ক্ষেত্রে সঠিক অবস্থানে আছে তাদের দেশে এসব নিউজ প্রেজেন্টোর আর ক্যামেরাম্যান গিয়ে ঠান্ডা মেরে যায় নয়তো ঠেঙ্গানি মাফ নেই।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৭

রাকু হাসান বলেছেন:

হাসান ভাই পোস্ট মন্তব্য পড়লাম । আপনার কিছু মন্তব্য পুরোই হাছান মাহমুদের কপি পেস্ট । ভাল্লাগছে কিন্তু :P
পারেন বলতে হবে।আর কিছু বলতে চাই না ।শুভকামনা ও শুভরাত্রি জানবেন । :)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:



একটা লোক বক্স হাতে ক্যামেরার লেন্স বরাবর সরাসরি তাকিয়ে হাত লম্বা করে 'বাক্সের জিনিস' দেখিয়ে দেখিয়ে শিড়ি দিয়ে নামছে।

ঢাউস একটা মাইক্রফোন হাতে সাংবাদিকের মত একজন -
আচ্ছা আপা ভোট তো কয়েক বার দিলেন, আবার লাইনে দাঁড়ালেন কেন?
কিচ্ছুক্ষন চুপ থেকে - "মনে করেন খুশির ঠেলায়" ... ..। লাইনের সামনে একজন যোগ করলো 'খুশির ঠেলায় ঘোরতে'

"এখানে মাত্র কিছুক্ষন আগে হাজার হাজার রক্তাক্ত লাশ কবর দেয়া হয়েছে"।
এক কবর খোড়ার শ্রমিক বলছে - আল-জাজিরা টিভি সাংবাদিক।

এসব সত্য-মিথা অনুধাবন করতে যেয়ে জবান বন্ধ হয়ে গেল কবি ভাই?

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৬

রাকু হাসান বলেছেন:


এসব সত্য-মিথা অনুধাবন করতে যেয়ে জবান বন্ধ হয়ে গেল কবি ভাই?--হাসান ভাই।
কথা সেটা না ,মূল কথা আপনার তুলে ধরা কিছু তথ্য কে বিশ্বাস করি ,সমর্থনও করি । আবারও আপনার কিছু লজিক এমন করে তুলে ধরেন যা এক পাক্ষিক হয়ে যায় ।আপনার লেখায় যে বিষয়টা মিস করি সেটা হলো নিরপেক্ষ ,নির্মহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ । এটাই স্বাভাবিক আপনি যে আমার চাহিতা মতো ব্লগিং করবেন তা কিন্তু নয় ।আপনার অবস্থান কে সম্মান করি। ব্যক্তিগতভাবে কোনো দলের আমি নয় ।আমার মতামত বলেন আর যুক্তি বলেন সব কিছুতে নির্মহ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি । সেটাই বলতে/বুঝাতে চাই মন্তব্যে। আপনার এই পোস্টের তথ্যগুলো কোনো পক্ষকে উসকানি দিবে । যেমন: তথা কপিত বির্তকীত ব্লগার মাহমুদুর রহমান । আমি মনে করি 'ত্রুটিপুর্ন মুসলিম উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তিউনিসিয়ায় সম্পত্তিতে নারীপুরুষের সমান অধিকার বিল পাশ হয়েছে। এভাবে না লিখে আপনি অন্যভাবেও সমালোচনা ও সমর্থন করতে পারতেন । অবশ্যই বিশ্বাস করি আপনি যেসব টেকনিক্যাল বিষয়ে দক্ষ । সেগুলো আমার মতো ব্লগার বলার নয় । আপনার জানা,অভিজ্ঞতা কম নয় ।দিনশেষে মতোপার্থক্য থাকবেই । সেগুলো নিয়েই চলতে হবে। শুভকামনা ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাই আমি কোন কালেই নিরপেক্ষ ছিলাম না, এখনো নেই।
আগামীতেও নিরপেক্ষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আমি ন্যায় ও সত্যের পক্ষে ১০০% । ৫০ঃ৫০ সম্ভব হবে না কখনোই।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধে অর্জন করা স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে, মানবতার পক্ষে ।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মোয়াবিয়া রাঃ আলী রাঃ নিয়ে আজ কয়দিন হলো ব্লগে ইসলাম ভার্সেস শিয়া দ্বন্দ্ব নাটক চলছে - - - - -

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জামাতি-ওহাবি কট্টরপন্থি চক্র ঢাকা সহ সর্বত্র কৌশলে তাদের মতবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
তাদের নির্দিষ্ট করা কয়েকটি মসজিদ বাদে অন্য মসজিদে নামাজ পড়তে মানা করছে। নামাজ শেষেও গোলমিটিং ...
তাদের মহিলা সদস্য দ্বারা 'তালিম' এর নামে হাউস টু হাউস তাদের নিজস্য মতবাদ প্রচরানা চালাচ্ছে।

খুব কৌশলে তাদের নিজস্য মতবাদ ব্রেনওয়াশ করা হচ্ছে।
শিয়া ও সুফিবাদিদের বিরুদ্ধে অকথ্য অপপ্রচার ও আক্রমনাত্বক কথা বলছে
মিলাদ, সবেবরাত হারাম বলছে। কদিন পরে, ঈদ ও হজ এত প্রয়োজনীয় না বলা হবে ..
মুয়াবিয়া, এজিদ, শিমার মহাত্ত গুণকির্তন করছে, এজিদ শিমার এরা এত খারাপ না বলা হচ্ছে।

স্বাভাবিক কারনে ব্লগ-ফেবুতে এসব উঠে আসছে।

১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। ঝামেলা বিহীণ।

১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তিউনিসিয়ার সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সারা বিশ্বের গণতন্ত্রপন্থীদের মনে আশার আলো জ্বেলেছে। কারণ, এই নির্বাচনে জনগণ তথা গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে।

মৌলবাদি আন্নাহাদা দল প্রাথমিক নির্বাচনেই আউট হয়ে গেছিল।

আরব বসন্তের পর গত মধ্য সেপ্টেম্বরে তিউনিসিয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো অবাধ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ২৬ জন প্রার্থী অংশ নেন। কিন্তু কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হন। ফলে শীর্ষ দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটের নিয়মটি সামনে আসে।


প্রথম দফার নির্বাচনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, তিউনিসিয়ার জনগণ দেশটির রাজনীতির মৌলবাদি আন্নাহাদা সহ পরিচিত মুখদের চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করে। আর যে দুই প্রার্থী শীর্ষে উঠে আসেন, তাঁরা তিউনিসিয়ার রাজনীতিতে ‘আউটসাইডার’। তাঁদের একজন কায়েস সাইদ (৬১)। অন্যজন নাবিল কারুই (৫৬)। এই দুজনের মধ্যে কায়েস রাজনীতিতে একেবারেই নবিশ।

কায়েস তিউনিসিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৮ সালে অবসরে যাওয়ার পর রাজনীতিতে নাম লেখান তিনি। কায়েস সামাজিক রক্ষণশীল। তবে তিনি গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষে। তিনি নাটুকে নন। কথা বলেন সোজাসাপ্টা। সৎ ব্যক্তি হিসেবে তাঁর ভাবমূর্তি আছে। তিনি জনবান্ধব। তাঁর কোনো রাজনৈতিক দল নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন তিনি।

নাবিল ব্যবসায়ী। মিডিয়া মোগল। তিনি ক্যারিশম্যাটিক। কড়া পপুলিস্ট। তাঁর আদর্শ ডোনাল্ড ট্রাম্প, রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, রদ্রিগো দুতার্তের মতো নেতারা।

গত মধ্য অক্টোবরে তিউনিসিয়ায় দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। কায়েস প্রায় ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ভূমিধস জয় পান। নাবিলের প্রাপ্ত ভোট প্রায় ২৭ শতাংশ।

তিউনিসের রাস্তায় আরব বসন্তের সূচনালগ্নের আবহ তৈরি হয়। বিজয় উৎসবে শামিল হওয়া বউসাইরি আবিদি নামের একজনের মন্তব্য ছিল, ‘তিউনিসিয়া বিপ্লবের ফল পেতে শুরু করেছে। কায়েস দুর্নীতির লাগাম টানবেন। তিনি হবেন ন্যায়নিষ্ঠ প্রেসিডেন্ট।’

নির্বাচনে নাবিল তাঁর পরাজয় স্বীকার করে নেন। বিবৃতি দিয়ে কায়েসকে অভিনন্দন জানান।

কায়েস তাঁর বিপুল বিজয়কে তিউনিসিয়ার ‘নতুন বিপ্লব’ হিসেবে অভিহিত করেন। এই বিপ্লবের জন্য তিনি দেশটির বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। কারণ, তরুণ ভোটারদের অধিকাংশ ভোটই তাঁর ঝুলিতে গেছে। একটি সংস্থা জানায়, ১৮-২৫ বছর বয়সী ভোটারদের ৯০ শতাংশ ভোটই কায়েস পেয়েছেন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কাইস সাইদ
শিক্ষকতা থেকে তিউনিসিয়ার নির্দলীয় প্রেসিডেন্ট


গেল অক্টোবরে তিউনিসিয়ার নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন কাইস সাইদ। তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিত্ব নন তিনি। বরং তিনি একজন আইনের অধ্যাপক। কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। একাই লড়েছেন, সেøাগান তুলেছেন, ইশতেহার পেশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ২৫ জন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ‘হার্ট অফ তিউনিসিয়া’র নাবিল কারবি। অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে কিছুদিন আগেই যিনি কারাবরণ করেছেন। কিন্তু কারাগারে থেকেও তার দল যে প্রচারণা চালিয়েছে মিডিয়ায়, তার শতভাগের দশভাগও করেননি কাইস সাইদ। তবু তিনি ৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে রেসের দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে গেছেন। ৬১ বছর বয়সি আইনের অধ্যাপকের এ জয় ছিল অপ্রত্যাশিত, ভাবনাতীত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে
তিউনিসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক কাইস সাইদ। তার ক্লাস মানেই প্রাণোচ্ছল এবং প্রাণোচ্ছ্বাসে ভরা। যে কেউ যে কোনো প্রশ্ন করতে পারত যখন-তখন। তিনি উত্তর দিতেন।
কাইস সাইদের বড়বোন সেমেহ সেলমি বলেন, অন্যান্য অধ্যাপকের চেয়ে তিনি একটু বেশি ঠান্ডা মেজাজের ছিলেন। ক্লাসের ফাঁকে ছাত্রদের সমস্যা শুনতেন, সমাধান দিতেন। এমনকি কাউকে কাউকে ইচ্ছে করে ডেকেও পরামর্শ দিতেন। তিনি শাস্ত্রীয় আরবিতে ক্লাস করাতেন। তবে কেউ যদি আরবি না বুঝত, তিনি ফ্রেঞ্চে বলে দিতেন। এতই জমজমাট থাকত তার ক্লাস, দেরি করে এলে ক্লাসে জায়গা পাওয়া যেত না।

রাজনীতির ময়দানে
যেহেতু তিনি আইনের অধ্যাপক, আইন এবং সংবিধান বিশ্লেষণ করতেন। তিনি সর্বপ্রথম মানুষের চোখে পড়েন ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময়। তখন তিনি প্রায়ই টিভির টকশোগুলোতে জনস্বার্থের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করতে উপস্থিত হতেন। তিউনিসিয়ার ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘদিনের শাসক যাইনুল আবেদিন বেন আলির পতন ঘটে সেই ক্ষুব্ধ সময়ে।
মানুষ তখন নতুন করে স্বপ্ন বাঁধে। দুর্নীতি, বেকারত্ব এবার দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করে। আর কাইস সাইদ জনগণের স্বার্থে আইন ও সংবিধানের বিশ্লেষণ করে তাদের সজাগ করতেন। তাদের সামনে তুলে ধরতেন তাদের কতটুকু অধিকার দিয়েছে রাষ্ট্র, এখন তারা পাচ্ছে কতটুকু।
আরব বসন্তের মূল স্পিরিটই যেহেতু তরুণরা, কাইস সাইদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সেই তরুণদেরই কাছে টেনেছেন। তিনি কাছে টানেননি, বরং তরুণরাই তাকে কাছে টেনেছে। রাষ্ট্রীয় নির্বাচনে তরুণরা যেসব হিসেব উলটে দিতে পারে, তিউনিসিয়া তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

তরুণদের সমর্থন
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাইস সাইদের অধিকাংশ ভোটারের বয়স ১৮ থেকে ২৫ এর মধ্যে। তার মানে তরুণ এবং যুবকরাই তাকে বেশি সমর্থন দিয়েছে। যদিও তিনি একটু কনজারভেটিভ চিন্তা লালন করতেন; কিন্তু তরুণরা সে কারণে তার প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করেনি।
তিনি পুরুষ ও মহিলাদের সমান উত্তরাধিকারের বিরোধিতা করেছেন এবং তিউনিসিয়ায় ১৯৯৪ সাল থেকে স্থগিত মৃত্যুদ- পুনরুদ্ধারের পক্ষে ছিলেন। স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিদেশি শক্তিগুলোকে দেশে সমকামিতাকে উৎসাহিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন।
তিনি নির্বাচনি ইশতেহারে বলেছিলেন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। পানি এবং স্বাস্থ্যসেবা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। শিক্ষাই সব চরমপন্থা দূর করতে পারে। তিনি বলেছেন, তিনি আইনে অন্তর্ভুক্ত সামাজিক স্বাধীনতাকে সম্মান জানাবেন।

তরুণরা তাকেই কেন সমর্থন দিল?
২৩ বছর বয়সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসমা সালেমি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি এবং আমার বন্ধু তিউনিসিয়ায় একদিন কাইস সাইদের কার্যালয়ে গেলাম। সেখানে খুব ভিড় এবং গার্ড ছিল। কাইস সাইদ যখন কার্যালয়ে প্রবেশ করলেন, তখন ছাত্রছাত্রীরা জিজ্ঞেস করল, নির্বাচিত হলে বেকারত্ব সমস্যা মোকাবিলায় আপনি কী করবেন? যে সমস্যা আরব বসন্তের পর না কমে, বরং বেড়েই চলেছে? তিনি তার উত্তর দিলেন, একটুও বিরক্তিবোধ করলেন না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কৃষিক্ষেত্রে আপনি কী করবেন, আমার বন্ধুদের কেন আপনাকে ভোট দিতে বলব? তিনি তখন বললেন, আমাদের ভালো মাটি থাকা সত্ত্বেও কেউ কৃষিকাজ করছে না। এরপর তিনি কিছু আইনের কথা বললেন, যেগুলো তিনি বাস্তবায়িত করবেন। তার উত্তর আমার পছন্দ হয়েছে। আমি জানি তিনি সব ঠিক করতে পারবেন না; তবে সংসদে দরকারি এমন কিছু প্রস্তাব করবেন, যা প্রশাসনকে ঠিক করে দেবে।
আরেক শিক্ষার্থী বলেছেন, আমি কারবিকে ভোট দিতে চেয়েছিলাম। কারণ তিনি উদ্ভাবনী এবং বিপণনের ভাষায় কথা বলেন। কিন্তু আমি ভোট দিয়েছি কাইস সাইদকে। কারণ আমি মনে করি, এ দেশে এখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির অপসারণ দরকার। আমি বিশ্বাস করি, তিনি দুর্নীতির অবসান ঘটাতে এবং একটি শক্তিশালী বিচারব্যবস্থা দাঁড় করাতে চেষ্টা করবেন।
মোদ্দাকথা হলোÑ তরুণদের একটি আশার জায়গা হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন কাইস সাইদ। তাদের ভরসা দিয়েছিলেন, স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আইনের শিক্ষক আইনের রক্ষাটা ভালো করেই করবেনÑ এ প্রত্যাশায় মূলত তরুণরা তাকে জিতিয়ে দিয়েছে।

যে সুবিধা পেয়েছেন কাইস সাইদ
রাজনৈতিক নেতাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন কাইস সাইদ। অন্যদের থেকে নির্বাচনে একটু অ্যাডভান্টেজ বেশিই পেয়েছেন তিনি। কারণ তিনি পুরোনো কোনো রাজনৈতিক দল থেকে আসেননি। তার চরিত্রে দাগ নেই। পক্ষান্তরে অন্যান্য দল থেকে আসা, যেমন নাবিল কারবি অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত।
নাবিল কারবি যখন বন্দি, তখন কাইস সাইদ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি এ সুযোগে প্রচারণা চালিয়ে সুবিধা নেবেন না। এ ঘোষণা তাকে প্রচারণার চেয়েও বড় সুযোগ করে দেয়। সবাই ভাবতে শুরু করে আসলেই তার ভেতর ক্ষমতার লোভ নেই।
তিউনিসিয়ার এনজিও আল-বাওসালার সভাপতি সেলিম খারার বলেছেন, অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হওয়া একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সুস্থ করে তোলার ঘোষণা তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ তার চরিত্রে অর্থনৈতিক কোনো কেলেঙ্কারির ঘটনা ছিল না। তিনি বিদেশি কারও কাছ থেকে তহবিল পাননি। তাই কারও সঙ্গে তার লিয়াজোঁ আছেÑ এ সন্দেহ কারও হয়নি।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক সিওম বাউস্কার বলেন, আমি তাকে দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়েছি। কারণ আমার মনে হয়েছে, আমাদের তরুণদের দাবি তিনি স্পর্শ করে যাবেন। এটা নতুন বিপ্লব নয়, বরং নতুন সূচনা আমাদের। আমরা বিকশিত হচ্ছি।
তথ্যসূত্রঃ আলোকিত বাংলাদেশ

১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: আরব বসন্ত লিবিয়ার মতো পৃথিবীর সবচেয়ে জনক্যল্যানমূলক রাষ্টর ধ্বংস করেছে,সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বাধিয়েছে।
তবে তিউনসিয়া বিভিন্ন দিক দিয়ে সবসময়ই এগিয়ে আছে।
পারিবারিক আইন ওখানেই প্রথম সংশোধন করা হয়,যা দেখে আইয়ুব খান পাকিস্তানে চালু করে ১৯৬১ সালে।
তবে ড: কামালরা ১৯৭২-এর সংবিধানে নারী-পুরুষ সমান অধিকারের কথা বললেও মানসিকতায় আইয়ুব খানের উর্দ্ধে উঠে সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিতে পারেননি।
তিউনিসিয়ার ছবিতে নেক আগে থেকেই নারীদের নগ্নতা চালু অঅছে,যা নৈতিকভাবে নিন্দনীয়।

১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তিউনিসিয়া নারীদের নগ্নতা চালু থাকলে সৌদিতে আরবআমিরাতে নেই? আমার তো মনে হয় বেশীই আছে।
নগ্নতা জিনিষটা আপেক্ষিক।
নগ্নতার মাত্রাও আপেক্ষিক। সাধারন জিন্স ও টি সার্টকেও অনেকসময় অস্লিল ও নগ্ন বলা হয় ক্ষেত্র বিশেষে। আবার সর্টস ও অফসোল্ডার সার্টকেও সামারের নর্মাল পোশাক বলা হয়।

যাক বললে অনেক কথা বলা হয়ে যাবে, আপনি আমার লেখাটি পড়েছেন, নারী-পুরুষ সমান অধিকার, সম্পত্তিতে সমান অধিকার নিয়ে কিছুটা হলেও ভেবেছেন, সেজন্য ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ।

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫২

অনল চৌধুরী বলেছেন: সৌদি,আরবআমিরাত,কুয়েত,কাতার,বাগরাইন-সব উপসাহরীয় ধনী দেশের শাসকরা সেরা লম্পট,কিন্ত নারীদের বাধ্যতামূলকভাবেই পর্দা করতে হয়।এখন সৌদিতে কিছুটি স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।
কিন্ত এসব দেশের চলচ্চিত্রই নাই,তো নগ্নতা দেখাবে কিভাবে???
আমিরাতে শত শত বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের মেয়েদর নাইট ক্লাবে নাচতে বাধ্য করা হয়,কিন্ত সেখানেও চলচ্চিত্র তৈরী হয়না।
তবে জর্ডান,ফিলিস্তিন,সিরিয়া,লেবানন,তিউনিসিয়া এদের চেয়ে আলাদা।
এসব দেশে বোরখা পরা আর ছাড়া সবরকম মেয়েই আছে।

১৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: ধর্মে পর্দা করার নির্দেশ থাকলে সেই ধর্মের অনুসারীরা সেটা মানতে বাধ্য,যেমন মানতে বাধ্য,চুরি,ঘুষ,মদ.মাদক,ব্যাভিচার আর জুয়া থেকে বিরত থাকতে।
কিন্ত এসব প্রায় কেইউ মানে না।
আমি চলচ্চিত্রের কথা বলেছি,পোষাকের কথা বলিনি।
https://www.youtube.com/watch?v=wfp_se71ZsE
এ্ ছবিতে পুরো নগ্নতা দেখানো হয়েছে,যা এখনো কোনো আরব ছবিতে অচিন্তনীয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.